Friday, June 5, 2020

আতংক

______ আতংক _________
___ এম এ মাসুদ রানা ____

বিশ্ববাসী আতংকে আজ
করোনার ভয়ে ছেড়েছে কাজ।
কখন যে, পরবো করোনার কোবলে
কাকে যে, মারবে মরন ছোবলে।

বিশ্ব আজ থমকে গেছে
মরণ ব্যাধি পৌঁছে গেছে।
কেউ পায় না পরিত্রাণ 
মনে করি ধরলে তো যাবে জান।

তবুও মানুষ ঠাট্টা করে
মরণ ব্যাধি করোনাকে নিয়ে!
খোদা যে, আজ শাস্তি দিচ্ছে 
মরণ ব্যধি করোনাকে দিয়ে।

খোদার গজব যতই আসুক 
অন্যায়ে কাছে করবে না স্বর নিচু।
ইমানদার জাতিই পারে কেবল 
করোনাকে হাঁটতে পিছু।

করোনা

_________  করোনা _________
_____ এম এ  মাসুদ  রানা ____

'করোনা' দিয়ে যতটুকু আঘাত
মনে ভিতরে পুষি ভয়ের প্রতিঘাত।
আল্লাহ'র প্রতি এনেছি কি ইমান
যতটুকু প্রয়োজন ততটুক নয়।

মৃত্যুর ভয় এসেছে এখন মনে 
স্রষ্টাকে বলছি এখন প্রতিক্ষণে।
করোনার নাম বলছে সবাই জনে জনে
মহামারী ধেয়ে এসেছে জনজীবনে। 

ক্ষমা যদি না করো হে দয়াময় 
আমাদের পাপ নিয়ে থাকবে সংশয়। 
পারবো না পার হতে বিপদের ক্ষণ
বিপদ ধাপে ধাপে এসে করবে দহন। 

মন থেকে করোনার ভয় 
করতে পারি যেন মোরা জয়।
ভয় ভীতি থেকে করোনা পরাজয়।
করতে পরি যেন করোনাকে ক্ষয়।

এখনো তোমায় ভালবাসি

___ এখনো তোমায় ভালবাসি ____
______ এম এ মাসুদ রানা _______

কত দিন  রাখনি কোন খোঁজ 
সত্যি ভূলে গেছ কি তুমি?
আমিও খুঁজিনি তোমায় কোনদিনি
ভূলে থাকতেও চেয়েছিলাম। 
সময়ের কালক্ষপণ ছিল বড্ড বেসামাল 
গা ভাসিয়ে ছুটেছি অজানায়।
কর্ম ব্যাস্ত জীবনের দোহাই ছিল বরাবর 
বুঝিনি কে আপন আর করে পর।
আজ তোমায় দেখতে পেলাম নতুন ভুবনে 
দেখেছিলাম কতটা যতনে। 
তোমাকে দেখে দেখে এসেছিল চোখে জল
সেই অজানার অশ্রু জল পাবি কি ফলে?
যেমন ছিলে তেমনই আছো রবে চিরদিন 
এতোটুকুু বদলাতে বাজানি কোন বীণ। 
সুখের হাসি আজো ভরে আছে তোমার বদনে
ব্যথাত্তুর কপাল দেখেছে ক"জনে।
বলতে চেয়েছিল তখনি উচ্চস্বরে, 
এখনো তোমায় ভালবাসি তোমাকে।

শেষ শয্যার শরীর

__শেষ শয্যার শরীর 
_ এম এ মাসুদ  রানা 

বিদ্যুতেরও সাধ্য নেই
রুদ্ধ করে রক্তের প্রবাহ,
যেভাবে রাতের ঘরে
এলে তুমি, আমার কাছাকাছি, 
শরীরের বস্ত্র ছেড়ে হাত নেড়ে
অগুছালো চুল, বাগিচায় ফুল  
যখন উধাও, লজ্জার সকল শীল,
মরে যাই আমি যে তখনি!

উতাল সমুদ্র দেখে ছুটে
এক জাহাজের নাবিক। 
ধ্রুবতারার লক্ষ্যহারা,
কম্পাসের কাঁটাও বিকল
কখন যে, হয় তার
হাহাকার, কীভাবে যে বাঁচি?
চারদিকে বাঁজে, মৃত্যুর বাজে
মায়াবতীর সুরে হয় তো কাজ।

সেই সময়ে, 
আমি একান্ত বাসরে
নতজানু ক্রমে ক্রমে হই।
নিশ্চিত  মৃত্যুর দেখা পেয়েও
সমুদ্র তখন থাকে ফেঁপে 
থাকি রতির চাদরে কেঁপে। 
হর্ষের বদ্বীপের প্রমুখে
প্রাণপণে চলি দাঁড় বেয়ে।

তোমার সম্মত দেহে
আমি সারারাত থাকি চেয়ে।
শেষ শয্যার শরীর ভেঙে
রতিপথ ধরে স্বর্গগামী ।