Wednesday, October 21, 2020

মানবতা

মানবতা 

এম এ  মাসুদ  রানা 


ধর্ষণের বাজে কম্পন 

ভেতর-বাহির সর্বত্রই। 

মানবতা কোথায় তুমি?

আছো কোন গগণে?

খুঁজি তোমায় সর্বক্ষণে

যাচিও আমি জনে জনে। 


ক্ষমতার দোহাই দিয়ে

করবে কত মানুষ গুম?

আর করবে কত খুন।

বিলীন হয়েছে মনাবতা

মঞ্চে বলে কথার কথা

বৃথা হয়েছে স্বাধীনতা। 


মলিন হয়েছে মায়ে বদন

মায়ের কষ্ট দেখে ক'জন।

ক্ষণে ক্ষণে হারাছে স্বজন

শোকে ফলে করেনি ভজন।


মায়ের সম্মান হবে ফিরাতে

বর্বরতাকে হবে তারাতে,

অন্যায় ও দুনীতিকে হবে হারাতে

মোদের দাঁড়াতে হবে রুখে।


নষ্ট করতে হবে কালো হাত

সেই তরে ভুলে হবে জাতপাত।

আর হবে না কথার কথা

ফিরে পেতে চাই স্বাধীনতা

কারো তরে থাকবে না হীনতা

বাংলায় জাগ্রত হবে মানবতা।

নিষ্কৃতি

  নিষ্কৃতি 

   এম এ  মাসুদ  রানা 


সরল ভাবে, সহজ বিষয়

যায় না বলা, ক্ষণে ক্ষণে!

অনেক ক্ষণে, অকপট বিষয়

বোধের ভুলে, দুর্বোধ্যও হয়!


সুবোধ্য ব্যপার, অবন্ধুর করে

অনেকে তো, নেয় না ঋজুতে!

শুরু করে, কলঙ্ক খোঁজা

সহজ করে, হয় না যাচা।


উদ্বেগ যতই আসে এই মগজে,

যাই কি লেখা খুব সহজে?

অনেকে আবার বলেই ফেলে

ভাবের আবেগ দিয়ে বলে চলে।


না হয় যদিও দোষ, তত্ত্বজ্ঞানের কাছে

তবুও কী ভাই নিষ্কৃতি আছে।

বিদ্রোহীর বানী

বীদ্রোহীর বানী 

এম এ  মাসুদ  রানা


রক্ত দিয়ে কেনা মানচিত্রে শকুনের আনাগোনা 
জীবন দিয়ে এনেছি তোমায় এটাও জানাশোনা 
কামুক বাসনায় হায়েনারা শুরু করেছে জাল বুনা
তোমার পবিত্রাতাকে করছে তারা এখন তুলোধুনা।

মানচিত্র তোমার রক্ষায় যারা রক্ষা যন্ত্র, 
তারাই পড়ে না তোমার রক্ষায় রক্ষা মন্ত্র 
তোমায় ভোগের তরে ধরে তারা কু-তন্ত্র 
তাদের তরে ব্যবহার করে না পবিত্র গ্রন্থ। 

তোমার অবয়বে তারা পড়াতে চায় না প্রসাধনী
স্বার্থ সিদ্ধ লাভে হতে পারে অনায়াসে খুনি 
এমতাবস্থায় তারাই দাবী করে জ্ঞানী আর গুণী 
কথায় কথায় বলে তারা তারাই দেশের মনি। 

দেশের কল্যান তরে তোলে যারা নিশানার ঝড়
সমাজপতিরা তাদেরকে বলে ওদের তোরা ধর।
দেশের তরে অনেকেই এখনো দিয়ে যায় প্রাণ
অনেকেই তাদের সম্মানে তরে ধরে জয়গান। 

বারে বারে বলে সেই বিদ্রোহী সৈনদল 
নিরবে বসে থেকে হবে না কোন ফল। 
পবিত্র মানচিত্র যখন আছে শকুনের ডানায়, 
তখনি দিতে হবে কলমের ডোগা দিয়ে হানা
বিদ্রোহীর বানীতে ঘায়েল হবে হয়েনার দল

দ্বিধা

  দ্বিধা

          এম এ মাসুদ রানা 

                                                         

কঠিন সময় হচ্ছে পার,

কিছু কথায় স্রোত ধরে রাখা। 

যুক্তিক বানীতে থেতো করা হলো

কয়েকটি কঠিন কথার কথা।  

পাতায় ছিলো এক ফোঁটা বৃষ্টির জল ,

উপমা দিয়ে করছে যে, টলমল। 

বিশ্বাসের মধ্যে লুকিয়া থাকা কিছু কথা,

ওজনও নেই জানা, এটাই তো বড় ব্যথা

মনের গভীরে একটু আসে তো যথাতথা

হয়তো সময়ে অসময়ে অনেক কথা।

অবলম্বন চাইছে, 

মেঘের ওপর আঁকা আছে ধুসর নক্সাখানি

তোমার কথায় কথা মিলিয়ে তা জানি 

প্রেষ্যে হয়েছে অনেক কথা এটাও তো মানি

হাই বলবো এখন যায়নি মনের দ্বিধা খানি।

দিশেহারা মন

 দিশেহারা মন 

এম এ  মাসুদ  রানা 


পরন্ত  বিকেলে 

মায়াবী চোখ

এলোমেলো চুল

আর  মুখে হাসি।


কি যে, মন চায় 

আমি কি যে, করি

সেই তরে শুধু নড়ি

মন চায় ভালোবাসি। 


অজানা দিগন্তে 

অজানা প্রান্তে।

মন চাই শুধু জানতে

পারি না কিছু  মানতে ।


উদাসী মন করে গন্ গন্

অজানা শব্দ করে ঝনঝন 

কীটপতঙ্গ করে ভনভন 

সাহসে হয়েছি টনটন। 


কিছু খুঁজার তরে 

রয়েছি তো পরে

তবুও নাহি কেন নড়ে

তাহলে কি যাবো ঝরে।


অযাচিত অশোভনে

কোন কিছুর লোভনে

তার কিছু শ্রবণে

আছি কোন এক ভবনে।

ফিরে পেতে চাই

  ফিরে পেতে চাই 

  এম এ  মাসুদ  রানা 


আবার একটা কঠিন সংগ্রাম চাই 

সংগ্রাম ছাড়া কখনো শান্তি নাই।

স্বাধীনভাবে বাঁচা হয়ে গেছে দায়

জনসাধারণ বলে সর্বক্ষেত্রে হায় হায়।


সুবর্ণ জয়ন্তী এসে গেছো মাথার কাছে

মৌলিক অধিকার নিয়ে নাহি কেহ বাঁচে।

এখনো কেন সর্বসাধারণ অধিকার যাচে?

তাহলে কী এই স্বাধীনতার মূল্য আছে?


স্বাধীনতা তুমিও তো রক্ত দিয়ে কেনা

সেই রক্তের নেই কি কোন রকম দেনা?

আমারও দরকার আছে তোর কাছে জানা

জানতে চাইলে করে সবাই শুধু মানা 

তোমাকে তো বুহু প্রাণের বিনিময়ে আনা।


তোমার তরে রক্ত গঙ্গায় করতে হবে আবার স্নানান

তোমার তরে রণ  হবে সবাইকে দিতে হবে জানান

তোমার রক্ষায় দিতে হবে নতুন নতুন তাজা প্রাণ 

রণ করে ফিরে পেতে চাই  স্বাধীনতার মান।

কলঙ্ক মুক্ত হতে চাই

 কলঙ্ক মুক্ত হতে চাই 

এম এ  মাসুদ  রানা  


ভাটির জননী, তুমি এখনো নিরব কেন? 

তুমি তোমাকে নিয়ে ভাবো না কেন? 

তোমার প্রতিবাদ করতে এতো বিড়ম্বনা কেন?

তোমার নিজের প্রতি নেই কেন অনুতাপ? 


তোমার প্রতি মাঝে মাঝে হয় অনেক রাগ 

তোমার প্রতি তবুও থাকি অনেকটাই সজাগ। 

তোমার প্রতি থাকে  অনেক অভিযোগ,

তোমার প্রতি তবুও থাকে অনেক অনুরাগ।


তোমাকে রক্ষা করতে যারা রক্ষাকবচ 

তারাই আজ কেন এতোটা অবুঝ?

তারাতো তোমার কামুক বাসনায় মক্তো

তাই তার হতে পারেনি তোমার শক্ত ভক্ত।


তুমি প্রতিবাদী হও প্রতিশোধ নেওয়ার তরে

সবাই নিশ্চুপ হয়ে যায় যেন তোমার ভরে

সকল ধৃষ্টতা যেন তোমার ভয়ে নড়ে 

আবার তার সবাই তোমার জয়গান ধরে।


নৎসাৎ করে দাও সেই কুচক্রী মহল 

কুচক্র করে যেন তারা না পাই কোন ফল 

যেন তারা ফেলাতে না পরে কারো চোখে জল

জ্বালিয়ে দাও তোমার প্রতিবাদী দাবানল। 


তুমি ধ্বংস করে দাও তাদের কালো হাত 

ভেঙ্গে দিতে হবে তো তাদের বিষদাঁত 

কুকর্মের তরে হয় যেন তাদের হয় লাজ

প্রভাতে বলতে চাই  কলংকমুক্ত হলাম আজ।