Friday, November 27, 2020

মন্ত্রী পরিষদ নিয়ে কথা

 মন্ত্রী পরিষদ নিয়ে কথা   

 "এম এ মাসুদ রানা" 


মন্ত্রী পরিষদের পরিকল্পনায়

ক্ষেপেছে মহিষ ও গোরু,

রেগে বেগে বলে মানুষ গুলো 

করলো আবার কি শুরু? 


মাছ ভাত আর কোরমা পোলাও 

আমরা আরা কি খাই?

খড়, ভুষি, ঘাস আর কচুরিপানা 

আমরা বাঁচার জন্যই চাই ।


সেটাতেও তোর হাত দিলে

হিংস্র মানব জাতি, 

মন চাচ্ছে  দানব গুলোর

মাথায় মারি ঘুষি লাথি। 


গোরু বলল দেখছি আমি 

তোরা আমার চেয়েও গোরু, 

কেমন করে এমপি মন্ত্রী হলো

মোরা মারি মাথায় ঝাড়ু?


ছাগল বলে ওরা হলো পাগল

কেমনে সংসদে পেল ঠাই ,

পাবনার সেই পাগলা গারদ 

সংসদকে বানাতে চাই। 


ঘোড়া ভেড়ার গভীর দৃষ্টি 

কচুরিপানার তরে, 

এগুলোও যদি মানুষে খায়

না খেয়ে যাবো মরে।


আমি বলি মাননীয় মন্ত্রী 

একটি বয়ান শুনুন, 

কচুরিপানার ভাবনা ছেড়ে 

ভালো কিছু নিয়ে ভাবুন ।


মাঝে মাঝে অনেকেই বলছে

খাদ্য খেতে কম,

কেউ বলেছে ভাত না খেয়ে 

আলু খাবেন হরদম।


জনতায় তাদেরকে বলে পাগল 

কতই দিয়েচ্ছে ধিক্কার,

মন্ত্রী পরিষদে মন্ত্রী হতে গেলে 

প্রয়োজন আছে শিক্ষার।


রচনাকাল:১৮/০৩/২০২০ ইং

প্রায়োপবেশন

প্রায়োপবেশন 

এম এ মাসুদ রানা 


অনাদর একোন অনাদর, 

বড় অবহেলা পেলাম ভালোবেসে, 

নিঃশ্বাস টুকু রেখে হারিয়ে য়াবে শেষে। 

এমন কি করবো বলো? 

কেমন করে রব একা? 

ফিরে দেখো এখনও আছি দাঁড়িয়ে,

আমি যায়নি এখনো  হারিয়ে

হাত দু'টো রেখেছি বাড়িয়ে! 

কেন হঠাৎ তুমি এলে?

হৃদয়ে জায়গা করে নিলে,

আপন করে নিয়েছিলে।

পেয়েও হারানো যায় না, 

হারিয়ে যাবার করছো বাহানা।

বাঁচার মানে টা যাবে হারিয়ে

যদি মন থেকে দাও তারিয়ে! 

শুনছো কি তুমি আমার কথা?

বুঝেছো আমার মন কি চাই? 

অতি গোপনে তোমায় শুধাই

আগে করো নাই কেন যাচাই?

এখন করো না আর বাছাই।

এমন করছো কিসের আশায়

পাগলামি করো কোন নেশায়।

বিচ্ছেদের বেদনা করে শনশন 

এখন করি মরনের জন্য অনশন।

আমার যাবার বেলায়

আমার যাবার বেলায়    

এম এ মাসুদ রানা 


তুমি বললে, 

তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও ;

আমার সীমানা ছেড়ে দূর বহুদূরে

আসতে চেওনা আবার কখনো ফিরে।

তোমাকে রাখতে চাইনা সাজানো নীড়ে 

অচেনা হয়ে যাও অচেনাদের ভীড়ে।

নতুন করে সাজাও নিজেকে কোন তীরে 

বলবো না তোমার চলল আস্তে না ধীরে। 


আমি চলে যাবো, চলে যাবো দূর বহুদূরে 

আসবো না কখনো কারো সাজানো নীড়ে।

সাজিয়ে নিবো নিজেকে আচেনাদের কাছে

নিজেকে নিয়েই নিজে থাকবো আমি বাঁচে।

আপন মনে বাঁধবো বাসা এক নতুন তীরে

কেহই বলবে না তোমার চলন কেন ধীরে।


আমরা যাবার বেলায়, আমি চেয়ে চেয়ে ছিলাম 

ফিরে যাবো আশা ছিলো ডাকবেই ভাবলাম।

ডাকলে না শুধু তুমি চেয়ে চেয়েই কাঁদলাম

মনকে প্রশ্ন করে আনেক কিছুই যাচলাম।

ফুল হাসে তাই ভ্রমর প্রেমেতে পড়ে 

হৃদয়কে হৃদয় দিয়ে পুড়িয়ে প্রেম বীরহ গড়ে।

চেয়ে দেখ একবার এই দিকে জল পরে পাতা নড়ে 

বিচ্ছেদের যন্ত্রণা তবুও তোমার হৃদয়ে নাহি ধরে।

জীবনের হিসাব

 জীবনের হিসাব

এম এ মাসুদ রানা 


নয়ন হয়েছে অশ্রু সজল, 

মনে কষ্ট প্রয়োগ করে বল, 

মুখে লুকানো হাসির ছল

চারপাশে অট্টহাসির ছলবল।


যে হাসিয়ে ছিলো, এক শুভ লগ্নে

সেই আবার কাঁদায়, অতি যতনে,

তবুও, নিরবে হেঁটেই চলি সুখের পতনে

পথের পর পথ ঘুরে খুঁজি অমূল্য রতন।


আমার নেই কোন জীবনের গল্প

আমার জীবনটাই অতি অল্প।

গল্প আছে  হয়ত সল্প

সল্প গল্পেই করি আবার কল্প।


তবুও, খুঁজি গল্পের শেষ অধ্যায়,

কল্পনায় ভাসি,কল্পনায় ডুবি তাই। 

কেটে যাচ্ছে সময়, জীবন যাচ্ছে বেশ

জীবনের হিসাব কষতেই সময় শেষ।

তোমাকে বলছি ললনা

 তোমাকে বলছি ললনা

এম এ মাসুদ রানা 


আমি তোমাকেই বলছি ললনা 

আমার দু'টো কথা শুনো না। 

কথায় কথায় করো কেন বাহানা?

তোমার হাসির মাঝেও থাকে ছলনা।


তুমি তো ধূর্তবাজ, জ্বেলে দাও প্রণয়ের ধূপ

আছে যে, তোমার মায়াবতী, মায়াবী রূপ 

তোমার চলন বলনে হও নাই কখনো শিষ্ট  

সুবিধার তরে হয়ে না আবার কখনো দৃষ্ট।


তোমার আদপহীনতায় বেয়াদব বানাও

তোমার আসল রূপটি নাহি কাওকে জানাও।

তোমার ছলনার পদতলে পৃষ্ঠ করছো কত প্রাণ 

দিয়েছো কি তাদের পবিত্র ভালোবাসার দাম।


নারীরা হয় সম্মানের নরেরা তাই যেন জানে 

খুঁজে না যেন বিপরীত কোন কিছুর মানে,

সম্মানের চোখে দেখুক তোমাকে সর্বক্ষণে

তোমার কুকৃতি বলে না যেন জনে জনে।


জোর নিবেদন করি তোমার তরে, 

তোমার বেহিসাবি চলনে যেন আরা নাহি কেহ মরে।

তোমরা তোমাদের জ্ঞানের দরজা খুলে দাও, 

সভ্য চলন-বলন ও পোষাক-আষাক বেছে নাও।