Sunday, April 14, 2019

নববর্ষ

     
নববর্ষ 

এম এ মাসুদ রানা


দিনপঞ্জির শেষের শেষ পাতাটা
বলল আমায় ব্যথায় এসেছে বুকে,
একটা বছর পেরিয়ে গেল
শত দুঃখ কষ্টের মাঝে।

এবার এলো দেখ নতুন বছর
বিচিত্র সুখের সাজে,
দূঃখ সব বিলিন হবে
একত্রে মিলিত হবো নতুন নতুন রূপে।

আমার দেওয়া শিক্ষাগুলো
যতন করে রেখ,
চলার পথে রঙ লাগিয়ে
ভীষণ ভালো থেকো।

চৈত্ররথ

_______চৈত্ররথ _______

     _____মাসুদ রানা_______


চৈত্র মাসের দুপর বেলা
আগুন হাওয়া বয়।
দাসী ছেলে বেড়ায় ঘুরে,
সকল পাড়াময়।
রোদের অাঁচে পুড়ছে মাটি
উড়ছে ধুলো বালি।
চারি দিক ঝরছে ঝাঁ ঝাঁ
অাকাশ হলো কালি।

ছোট বেলার কথা

ছোট বেলার কথা

এম এ মাসুদ রানা  


প্রভাতের হালকা আলো
আসতো যখন জানালা দিয়ে
ছোট বেলায় শুনিতাম সে ক্ষণে
গুনগুন কত গলা যে,

কত যে মধুর লাগিত
ছোট শিশুর কাছে
নিরবে যেতাম শুনে
যেই কুরানের বাণী ,

আজও প্রভাতে আলো আসে
আজও গগনে সূর্য হাসে
আসছেনা কেবল আজিকে
সেই মধুর বাণী,

আজিকে প্রভাতে ভেসে আসে
শুধুই গান বাজনার ধ্বনি।

বর্ষবরণ

             বর্ষবরণ  

      এম এ মাসুদ রানা 


ঋতুরাজ বসন্তের বিদায় বেলায়
তুমি ওগো আসলে
নতুন রূপের, নতুন সাজে
সাজাবে নতুন করে এই ভূবন।

তোমাকে যে, করতে হবে বারণ
কিভাবে যে, করবো তোমায় বরণ?
সেই ভাবনার স্বাদ নিয়েছে আমার মন
তোমাই বরণের জন্য, আমি হয়েছি বে কূল।

যে হাতে চৈত্রের সাথে ঋতুরাজের দিয়েছি বিদায়
সে হাতে তোমাকে করিবো কেমনে বরণ
তবুও যে, তোমাকে বারণ করতে এতো স্বাদ জাগে মনে
তোমাকে বরণ করতে হয়েছি বে কূল।

আমি যে, শুণ্য হাতে এসেছি তোমার পানে
তোমার আগমনে আমি করবো গমন,
নতুন কোন এক দিগন্তে,
যেখানে থাকবে না কোন বিস্বাদের স্বাদ
তাহলেতো হবে আমার বর্ষবরণ।