Thursday, May 28, 2020

হলো না

_________ হলো না ________
____ এম এ মাসুদ রানা _____

কেনাকাটা হলো না 
ঈদগাহে কেউ গেল না
প্রিয়াও মোরে শুভেচ্ছা দিলো না
ঈদটাও ভালো করে হলো না।

থেকে গেলো আফসোস 
সবাই মিলে করে বুদবুদ
মনে বহে হুদ হুদ
করে সবাই খুদবুদ।

মন করে বিষণ ডর
বুকে করে ধরফর।
হুকুম হয় না নড়চড় 
বাইরে আসলে বলে মর। 

বাইরে আসে না কোন তরে
কাছে আসে না করোনার ডরে
কাছে আসলে কেউ যদি সে মরে
এখনো মানুষ মরে সমান্য জ্বরে।

বলে সবে কোন কিছু হলো না
গাড়ি ঘোড়া চলে না
দোকান পাট খুলে না
অফিস আদালতে অভিযোগ চলে না।

সচেতনতা ও সহানুভূতির অভাব

___ সচেতনতা ও সহানুভূতির অভাব _______
________ এম এ মাসুদ রানা ________

বিলাসীতা যখন হয়েছে প্রধান কাজ
হৃদয়ে বাজে সাঁজ সজ্জার বাজ, 
উপদেশে দিয়ে আসেনা কোন লাভে 
হৃদয়ে সৃষ্টি করতে হবে সচেতনতার সাঁজ।

কথায় কথায় সবকিছু বন্ধের বাজনা বাজে
টেলিভিশনের পর্দায় সচেতনতার ছন্দ ভাসে। 
ক্ষুধার্ত পেটে এইসবে কি যায় আর আসে?
প্রিয়জন, স্বজন মোদের দেখে বলে নাই নাই। 

নিদারুন কষ্টে নিদ্রা নাহি চোখে আসে
করুণ দৃশ্য বিত্তবানদের চোখে নাহি ভাসে।
কেউ রাখে না কারো কোন খোঁজ, 
সাজাই প্রতিনিয়ত নানা আয়োজনের ভোজ,
তবুও নেওয়া হয়নি অনাহারী স্বজনের খোঁজ।

এমন অবস্থায় মার্কেটে যাই বলো কারা? 
মার্কেটে আসে কি করোনা ভাইরাস ছাড়া?
অবাদে দিচ্ছে না'কি মৃত্যুকে সাড়া?
বাংলায় দিচ্ছে না'কি সর্বনাশে নাড়া?
 
অবশেষে যেন দেখতে না হয় বাড়ি বাড়ি
সাঁজানো লক্ষ লক্ষ আছে লাশ সারি সারি!
শুনতে হবে স্বজন হারার আহাজারি 
লাশকে নিয়ে কেউ করবে না নাড়ানাড়ি 
এই দূর্দশা আসবে মনে হয় বাড়ি বাড়ি।

এখনো সময় আছে সচেতন হয় তারাতাড়ি 
সচেতনতার কথা বলো বাড়ি বাড়ি।
প্রচার করো সবাই মিলে হারাহারি 
বদ চিন্তা ছাড়ো নাড়ানাড়ি 
হুশিয়ার হয়, সবাই কুচিন্তা ছাড়ি।

আর্তনাদ

_____      আর্তনাদ 
___    এম এ  মাসুদ  রানা 

শূন্যে তাকায় মধ্যবিত্ত সমাজ 
পথঘাট হয়েছে ফাঁকা
ক'দিন থেকে আছি উপবাস
করতে পারিনি টাকা-কড়ি রোজগার। 

উচ্চবিত্তরা রাখছে ব্যাংকে জমা
বস্তা ভরা চাল, ফ্রিজে ভর্তি আমিষ।
তাদের ঘরে নেইতো কিছু অভাব
এটা খাবো, ওটা খাবো তাদের স্বভাব। 

এইতো বুঝি নিঃস্ব হলো মধ্যবিত্ত সমাজ
ওরাই বলে দূঃখী অসহায় দের নিয়ে মোদের বাস
তাকিয়ে দেখো মধ্যবিত্তরা তোদের কী কাজ?
তোদের কারণে মধ্যবিত্তরা গোলায় দিচ্ছে ফাঁস।

পেটে ভিষণ ক্ষুধা

_________  পেটে ভিষণ ক্ষুধা  ________
_________ এম এ মাসুদ রানা ________

কি করিবো যাদু? 
প্রাণ যে, আর মনে না।
পেটে যে, ভিষণ ক্ষুধা কেউ তো জানে না
ক্ষুধার জ্বালায় মনে হয় তো আর বাঁচে না
কেউ তো মোদের কাছে সুবার্তা নিয়ে আসে না
মোদের দুঃখ নিয়ে কেউ কখনো কাঁদে না
মন থেকে কেউ মোদেরকে ভালবাসে না।

ক্ষুদার রাজ্য যখন দেখি তোদের খেতে 
ক্ষুদা যে, মোর আরও বেশি বেশি করে নাচে।
কেউ তো আসে না মোদের কাছে
মোদের কষ্ট তাদের হৃদয়ে নাহি বাজে
মোদের জন্য তোদের হৃদয়ে ভালবাসা নাহি ফুটে
ডাস্টবিনের নোংরা খাবারটিও তো নাহি জুটে
তাই তো মোদের বাস হয়েছে ফুটপাতে। 

নিদারুণ ক্ষুদার কষ্ট নিয়ে এখনো বেঁচে আছি, 
মৃত্যু এসেছে তো মোর মনে হয় খুবই কাছাকাছি
বিত্তবানরা ব্যস্ত শুধু, মোদের ভাগ করতে ভাগাভাগি। 
তোরা কি ভাবিস না তোদের মৃত্যু তো এসেছে পাশাপাশি?
রাখে না মোদেরকে তোদের পাশাপাশি
রাখলেই তো সৃষ্টি হবে সকলের প্রতি সমান ভাল বাসাবাসি।

মোর ভাগ নিয়ে আসিস কি কখনো কাছে?
মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঝারিস সত্যের বড় বড় ভাষণ 
ভাষণের জন্যে তো তোদের এই আসন
সেই কারণেই করতে পারছিস মোদের শোষণ। 
শত মানুষের যে কথা বলিস, তা কখনো করিস?
তোদের ভাষণ হয়েছে কি কখনো আশিস?

তোদের ভাষণ, হয়নি কখনো আশিস 
মোদের কখনো নাহি ভালবাসিস
তোদের স্বার্থের কথা সর্বদাই যাচিস
এই স্বার্থের জন্য কখনো কখনো ফাঁসিস।

মোরা তো চাই না কোন ভাগ
মোরা চাই শুধুই ইনসাফ
হিসাব যেন নাহি হয় কখনো বেহিসাব। 
শুধু চাই দু"বেলায়, দু"মুঠো ভাত
ভাতের জন্যে হচ্ছি দিবানিশি কাত।
আমরা বাঁচতে চাই, আমরা বাঁচতে চাই 
বেহিসাবি সমাজে চাই শুরু ইনসাফ।

শুভ সকাল

🏝🏝🏝 শুভ সকাল  🏝🏝🏝
🏞🏞 এম এ মাসুদ রানা  🏞🏞
           
স্নিগ্ধ সকালের শুভ্রতায়
কেটে যাক না দিন মৌনতায়।
হয়তো রবে না কাছাকাছি
যেন তবুও যেন বয়েছো পাশাপাশি।
আলো-আঁধারির খেলা শেষে
সূর্য যেন আসে পূর্ব দিগন্তে ভাসে
তুমি মনে হয় আর আসবে না কাছে।
বলছি গভীর ভালোবেসে
চলো না যাই স্বপ্নের দেশে।
হোক না এটাই সত্য, 
তোমাতেই শুরু, তোমাতেই শেষ
রয়ে যাবে তবুও মধুর আবেশ।
জানি পরেছে তোমার মনে আকাল
বলতে চাই আমি শুভ সকাল।

মধ্যবিত্ত

_______ মধ্যবিত্ত 
____ এম এ মাসুদ রানা 

আমি মধ্যবিত্ত, 
নেই মোর জমানো কোন অর্থ 
অর্থের কাছে হয় বারে বার ব্যর্থ।
পেটে আছে ভিষণ ক্ষুধা 
ছটপট করতেছে এই জান
বেরিয়ে যাবে বুঝি মোর প্রাণ
মোদের নিয়ে করবে না আর ফান।

আমি মধ্যবিত্ত,
পাততে পারি না তো এই হাত
ক্ষুধার জ্বালায় হয়েছি কাত 
জীবনে ধরেছে চরম ভাজ
হাত পাতলে আসে মোর লাজ
চলে যাবে তো মোর জাত।

আমি মধ্যবিত্ত, 
কি করবো আজ হায়?
সময় এসেছে সম্মান বলে যায়-যায়
উচ্চবিত্তরা চালায় সমাজে খাই খাই
মধ্যবিত্তকে দেখলেই বলে নাই নাই।

আমি মধ্যবিত্ত,
সমাজে সম্মান বাঁচাতে করি অভিনয় 
এই জ্বালা নিয়ে তিলে তিলে জীবন ক্ষয়
এরই ফলে হরদমে মৃত্যুকে করছি জয়।
আবার এখন মৃত্যুকে করি চরম ভয়।
মোদের তরে সমাজপতিরা হয় না সদয়
সম্মান বাঁচাতে মধ্যবিত্ত তিলে তিলে ক্ষয়।

লকডাউন

_______ লকডাউন 
_____ এম এ  মাসুদ রানা 

কর্মব্যস্ত শহর হয়েছে আজ নিঃশব্দ
চারিদিকে বিরাজমান মরণের ভয়
এরই তরে জনজীবন তিলে তিলে ক্ষয়।

নেই কোন সোরগোল 
নেই কোন গোলমাল 
নেই কোন আয়োজন। 

হয় না তো কেউ বেসামাল 
হয় না তো কেউ মাতাল 
হয় না তো আবাদ রাতে বিচরণ। 

যার যার অবস্থানে লক ছাড়াই ডাউন।
বলতে পারো আমিও গৃহবন্দী
করি না আরও কারো সাথে সন্ধি।

প্রকৃতির অপরুপ দৃশ্য দেখি
ডাইরির পাতায় কবিতা লিখি
টেলিভিশনে ভিন্ন ভিন্ন ছায়াছবি। 

মুহুর্তেই লাশ হচ্ছে বহু তাজা প্রাণ 
বাধ্য হয়ে নিতে হচ্ছে লাশের ঘ্রাণ 
হয়েছে মহাবিশ্ব আজ নিষ্প্রাণ। 

দেশে দেশে দেখি শুধু মৃত্যুর মিছিল।
বিষন্ন ভগ্নহৃদয়ে তাই ভাবি সারাক্ষণ
কতক্ষণ থাকবে এই রণ। 

মানুষের চিৎকারে ভৃত্য হয়ে পরেছে সবে
মৃত্যু নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে আসবে কবে
সাবধান তো সবাইকে হতে হবে।

সবারই না'কি বাইরে বেরুনো নিষেধ
এটা হলো রাস্ট্রের আদেশ
লকডাউনে আছি এটাই বেশ।

মাফ করে দাও খোদ

______ মাফ করে দাও খোদা _____
______ এম এ  মাসুদ  রানা ______

কবিদের কাব্য শৈলী থমকে গেছে 
পরে গেছে চারিদিকে আর্তনাদ। 
উচ্চবিত্তকে করোনায় করছে কাত
নিম্নবিত্ত খিদায় নিচ্ছে মরণের স্বাদ।

করোনা পেতে রেখেছে  মরণ ফাঁদ 
সবাইকে করে সবাই নিরাশা। 
ফেলতে পারে না তো কেউ নিঃস্বাস 
আতংকের মাঝে করতেছে মানুষের বাস।

ঘোরে সবাই জনে জনে, 
আলাপ করে সবার সাথে ফোনে ফোনে। 
হবে কি করে করোনা থেকে আজাদ 
করতে চাই না কেউ নির্ঘাত মরণকে সাক্ষাৎ। 

সবকিছু ছেড়ে তুলেছি খোদার কাছে হাত 
আমাদের কৃতকর্মের জন্য হয়েছে মোদের লাজ।
পেতে চাই সবাই সুস্থ জীবনের স্বাদ
হে মেহেরবান আমাদের করে দাও মাফ।