Friday, August 3, 2018

শ্রমিকের দাবী

শ্রমিকের দাবী
মোঃ- মাসুদ রানা

আমাদের পাওনা দিয়ে দিবেন
ঘাম শুকানোর আগে
বলতে গেলেই জ্বলেন কেন
আপনারা ভীষন রাগে!

এই "শুয়োরের" বাচ্চা বলে
সদাই ছোড়েন গালি,
বুকের খাঁচায় লাত্থি মেরে
মারেন হাতে তালি।

আপনারা হলেন সভ্য সমাজ
আমরা মজুর কুলি,
আপনার কি মানায় মুখে
অসভ্যদের বুলি।

আপনাদের ঐ সভ্যতাটা
গড়েছি আমরা হাতে
আমরা শুধুই সভ্য হইনি
খোদার দুনিয়াতে।

পাওনা আমার ন্যায্য দিবেন
আজকে এটাই দাবী
নয়তো একদিন বিকল হবে
এই সভ্যতার চাবি।

আপনারা সব মানুষ বটেই
আমরা পথের কুকুর!
আমরা যদিও আপনারা নই
এইত খোদার শুকুর।



উৎসর্গঃ (বিশ্বের সকল নির্যাতিত শ্রমিক ভাইবোনদের)

মোর অংশ দে


  মোর অংশ দে
মোঃ- মাসুদ রানা



মোর অর্থে করো বাজেট
সংসদে হয় ভাগ,
তোমার চরন যুগলে পরি
মোর পাওা মোরে দে।

জনগণের অর্থ ঠকিয়ে
নিতে পরল না তোদের মনে।
এই বলতেই হইছো বেজার
বলিস মর পাবলি মর
তোর ভাগ্যের চাকা হবে কেন লরচর।

দেশের বোঝা বইছে পাবলিক
তোরা বলিস মোর ভাগ মোকে দে।
মুখোস পরা জনদরদী হয়ে বলিস,
দেশের তরে জীবন বাজি।

সবই নিলো ভণ্ড নেতা
মোগো বলিস কংস মামা।
মামার সাথে বাজি নিয়ে
ডিম দেওয়া সেই সোনার হাস।

নিয়তি

      নিয়তি
এম এ মাসুদ রানা


বয়সটা আর কত হবে?
সাত কিংবা আট,
পায়ে পায়ে ঘুরে বেড়ায়
নেই কোন ফাট্।

ভাবনায় ঘুম ভাঙ্গে
মাকে নিয়ে চিন্তা,
সকালটা কি মধুর হবে
কেমন যাবে দিনটা?

ঘড়িতে জানান দেয়
বেজে গেছে সাতটা,
তড়িঘড়ি ছুটে বেড়ায়
হাতে নিয়ে প্রাণটা।

দাদা দিদি কেউ নেই
নেই তার বাবা,
আছে শুধু মা তার
তাও আবার বোবা ।।

শরীর তো নয় আর
শুধু রোগে ভর্তি,
চিন্তায় ঘুম নেই
নেই মনে ফূর্ত্তি।

পেটে নেই দানাপানি
পকেটটা শূণ্য,
রাতভর মায়ের সেবায়
নিজে হয় ধন্য।।

মনে মনে ভাবে আর
করে কাজ আনমনে,
বিধাতার একি খেলা
শয়নে ও স্বপনে।

পাশাপাশি দুটি পথ
জীবন ও মরণ,
মানা ছাড়া গতি নেই
ভাগ্যের লিখন।।
*****

রজনীর শেষে ঈদ

রজনীর শেষে ঈদ

এম এ মাসুদ রানা


রজনী পোহালে আসছে ঈদ
তাড়াও না তোমার চোখের নিঁদ
খুশির ছটা বুকে নিয়ে গাও সেই গীত
দূর করে দাও সকল ভেদাভেদ ।

আজকে বাসো সবাইকে ভালো
তাড়াও মনের বিভেদ কালো
মিষ্টি চাঁদের হাসি দেখে নিজে হাসো
হাসির রেখায় হৃদয় করো আলো।

নিজকে নিজে নতুন সাজে গড়ো
বিশ্বটাকে দৃঢ় করে ঈদের নামাজ পড়ো
ঈদের খুশির খুশবু মেখে ঈদগাহে যাও
হৃদয়টাকে ছোট করে খোদার কাছে চাও।

মুক্ত মনের পাখি

মুক্ত মনের পাখি আমি
   এম এ মাসুদ রানা
___________________
___________________
মুক্তমনের পাখি আমি,
স্বডানায় ভর করে,
উড়ে চলি দূর অজানায়।
মেঘহীন এ গগণ,
পুরোটাই আমার শহর।
পারো তো এসো এ শহরে,
রৌদ্র হয়ে পোড়াতে নয়,
পূর্ণদীপ্ত শশী হয়ে,
আমি মুক্তডানায় মাখবো তোমার জোছনা।
না হয় এসো মুক্ত পাখি হয়ে,
দুর্বার ডানায় উড়ে উড়ে আপন মনে,
দু' জনায় হারিয়ে যাব,
ভালবাসার গহীন বনে।

বাংলাদেশ

      বাংলাদেশ
এম এ মাসুদ রানা



এক.

চোখের পাতায় ডুবলো সকাল

খুঁজবো কোথায় নীল,

নামলো আঁধার হারিয়ে গেলো

সুখের শঙ্খচিল।


মনের নদী শুকিয়ে মরু

বৃষ্টি ভীষণ খরা,

রাজনীতিতে বর্গী এলো

দেশটা এখন মরা।


কাঁদছে স্বদেশ মরছে স্বজন

পিচাশ এলো হেসে,

রফিক শফিক একুশ মাখা

আমার বাংলাদেশে।


কোথায় গেলো আসাদ তোমার

রক্তমাখা জামা,

চোখের জলে ভরছে সাগর

বিরান এ ভূম তামা।


দুই.

লোনায় কাঁদুক চোখের পাতা

বধির বিবেক মানবতা,

বাংলা মায়ের হৃদয় জুড়ে

শক্তি খুঁজুক শোকের বীজ,

ইশরাতের রক্ত অনল-

পুড়াক পিচাশ সকল নিজ।


তন্দ্রা কাটুক আগামরা আজ

গর্ব ত্যাগের মোদের ফায়াজ,

১৬ কোটি দ্রোহের শিখা

জঙ্গি জ্বলুক- কাটুক ঘোর,

অবন্তিদের ত্যাগের আলো



বাংলা জুড়ে আসুক ভোর।

বিশ্বকাপ

______ বিশ্বকাপ ______
__এম এ মাসুুদ রানা___
♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪♪

বিশ্ব কাঁপে আজব নেশায়
বিশ্ব জাগে ঐ খেলায়
বল পরে মানুষ উড়ে
আমরা থাকবো কই?

কে জিতবে আর কে হারবে
ধরি আমরা টাকার বাজি
কি করে আজ জিতবে খেলা
ভাবায় তুলে সারা বেলা।

খেলা খেলে আঁচে প্যাঁচে
নারী নাচে খেলার মাঠে
মাতাল হয়ে দেখি নাচ
নাচায় বিশ্ব ভারিয় তোলে।

নানা রঙ্গয়ের জার্সি পরে
কথায় কাটি কথার প্যাচ,
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে
কথায় ছাড়ি কথার লেজ।

রঙ মেখে সং সেজে
খাচ্ছে কি আর রঙ্গিন সুপ,
কেউবা দেখি জামা খুলে
নাচন নাচে গোলের তালে।

উৎসাহ আর সাহস দিতে
কেউবা সাজে বাজি বেশে
খেলার ছলে নগ্ন নারীর
নাচে পাগল হইল সবে।

জাগ্রত মানবতা

♦♦♦♦কবিতা♦♦♦♦
জাগ্রত  মানবতা
এম এ মাসুদ রানা

আমার আমি কোন ধরানীর তলে?
হারিয়ে যাই ক্ষণে ক্ষণে --
            সীমাহীন বাসনা জাগে মনে!

অভিন্ন সুরপ সংগীত ভেসে আসে ;
হৃদয়হীনা হৃদয়ের পানে--
           পূর্ব দিগন্তের সূর্যটা হাসে!

জীবনের প্রভাত বেলা কে?
উঁকি দেয় যেন মধুর সুরে সুরে --
             ফুরিয়ে আসে আনন্দ মেলা।

তবু স্বার্থের করি বেচাকেনা;
নিষ্ঠুর নিষ্ঠার সাথে মতো --
           অভিনব কতো রূপ আসে।

বিবেকের আদালতে দিয়ে যায় তালা;
পৃথিবীর মহত্ব লাভের আশে --
            মিথ্যে  অভিনয়ের করে ছলাকলা।

যে সুধা পান অযোগ্য হয় তাই,
খুঁজে ফিরি জগত এ সংসারে --
            যার কোনো সামান্যতম মূল্য নাই।

আমার আমি কতো বড়ো সে-যে
দেখাতে চাই কতো উপায়ে --
 অথচ
কতোটুকু নিজেও বুঝিও না আমি।

মানুষের মানুষত্বের চেতনায় এ অহমিকা;
গরল সম নি:সৃত হরদম --
পোড়ায় জলন্ত দাবানল সম শিখা!

বোধ বোধকে পোড়ায় না তবু ;
করে না দগ্ধ চেতনার অঙ্গীকার --
তাইতো আজ নীরব জাগ্রত্ব মানবতার


স্বাধীনতা

_______"স্বাধীনতা"_______
______মোঃ-মাসুদ রানা_____
_________________________

স্বাধীনতা তুমি শহীদ জীয়ার
কালুরঘটের ধ্বনি,
স্বাধীনতা তুমি স্বপ্নে দেখা না কি?
বাংলার  কমল বদন খানি।

স্বাধীনতা তুমি লাক্ষো রক্ত দিয়ে কেনা
আমাদের স্বাধীন দেশের মাটি,
স্বাধীনতা তুমি মুক্তি জনতার
দেহতে রক্তমাখা পাটি।

স্বাধীনতা তুমি রক্তে রাঙা
বাংলার সবুজ রাজ পথ,
স্বাধীনতা তুমি বাঙালী বধূর
গৌরব উজ্জ্বল  নথি।

স্বাধীনতা তুমি আবাল বৃদ্ধ বণিতার
কৃষক শ্রমিকের মুখে হাসি,
স্বাধীনতা তুমি গর্জে ওঠা-
পাগল, নিপীড়িত দেশ বাসি।

স্বাধীনতা তুমি যুদ্ধ জয়ের
মুখোরিত সেই গান,
স্বাধীনতা তুমি ছিনিয়ে আনা
বাঙালী জাতির প্রাণ ।

স্বাধীনতা তুমি  দেখো না কোন অপরাধ
এই বাংলার প্রাণ
স্বাধীনতা তুমি যুগে যুগে যেন,
হয়ে আছ অম্লান ।

স্বাধীনতা তুমি বাঙালীর বুকে
থাকবে চিরস্মরণীয়  হয়ে,
লাঞ্ছিত হতে দেবো না তোমায়
আগলাবো বুক দিয়ে।

ডায়েরী


♠♠ ডায়েরী ♠♠
এম এ মাসুদ রানা



ছিড়ে ফেলেছি আমি আমার
অগুছালো ডায়রির পাতা,
যেখানে আমার লেখা ছিল
কত অগুনিত  স্বপ্ন কথা।

কখনওই ছিড়তে পারিনি
আমার তৃষ্ণাতূর মনের পাতা,
যেখানে জমে আছে অনেক অনেক
জীবনের কতোশত স্বপ্ন ও আশা।

ছিড়েছি ডায়রির পাতা
লেখাছিল কলমের কালি দিয়ে,
হৃদয়ের পাতা থেকে মুছবো কি করে
জানি না এই আমি।

একাকী মন

 ____একাকী মন____
এম এ মাসুদ রানা 

একাকী নিরবতায়  
শুধু তোমায় ভাবে   
চঞ্চলা ও অশান্ত মণ।
জানি না মিলবে কবে দেখা?
মিলন কবে কী তোমার সাথে ?  
তুমিও কি ভাবো  আমায় নিয়ে?
না এর মঝে অন্য কিছু আছে!   
তোমারি বিচরণ  হরদমে করি
তোমায় স্বরণ।
তোমার স্মৃতি নেয় পিছু।
মনের ঘরে করে শুধু  ঘুর ঘুর
এক অন্য নেশা,  
ভাল থেকো তুমি, সুখে থাকো তুমি
সূখ পাখি নিয়ে।
চায়বো না কোন জবাব।

জুথী সোনার জন্য

___জুথী সোনার জন্য___
     এম এ মাসুদ রানা

জুথী রানী জুথী রানী
আপন মনে থাকো?
নইলে কেমন করে এমন
আমার ছবি আঁকো।
কমলা-হলুদ লাল- নীল আর
কত্তো রঙ্গের ছবি,
আঁকছো তুমি আপন মনে
দুলিয়া মাথার চুল।
লাল পোষাক আর নীল পোষক
নৃত্য দেখে দেখে,
নৃত্যের ছবি আঁকছো বুঝি
রং তুলির রং মেখে।
জুথী রানী ছবির দেশে
ছবির মাঝে থাকো,
আমার নিজের জন্য
একটি রঙ্গিন ছবি আঁকো।

স্বপ্ন কন্যা

______স্বপ্ন কন্যা______
     এম এ মাসুদ রানা


তুমি স্বপ্নে আসো
তুমি স্বপ্নে হাসো,
স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে
তুমি কোথায় থাকো।
শুধুই কি তুমি
স্বপ্ন হয়ে থাকো?
আর স্বপ্নতেই
বাসা বাঁধ।
স্বপ্ন ছেড়ে বাস্তবে কি
কখনো আসো?
বাস্তবে কি তুমি
দূরে দূরে থাকো?

ছোট বেলার কথা

ছোট বেলার কথা
এম এ মাসুদ রানা

প্রভাতের হালকা আলো
আসতো যখন জানালা দিয়ে
ছোট বেলায় শুনিতাম সে ক্ষণে
গুনগুন কত গলা যে,

কত যে মধুর লাগিত
ছোট শিশুর কাছে
নিরবে যেতাম শুনে
যেই কুরানের বাণী ,

আজও প্রভাতে আলো আসে
আজও গগনে সূর্য হাসে
আসছেনা কেবল আজিকে
সেই মধুর বাণী,

আজিকে প্রভাতে ভেসে আসে
শুধুই গান বাজনার ধ্বনি।


নিরাশ এই মন

________নিরাশ এই মন________
______এম এ মাসুদ রানা ________

ভালবাসার তো নেই কোন সময়
ব্যস্ত ও কাজে কাটে এই জীবন
বুকে হাত বেধে রাখা যায় না আর
ঘাড় বাকা করে দাড়ানোর নেই সময়


ঘামের জলে শীতল হয় এ গা
প্রখর  রৌদ্দুরে বড়ই ক্লান্ত আমও
কাছেও  পাই না কোন কিছু
কিভাবে মিটাম হৃদয়- রৌদ্দুর।

কাজের মাঝে কেটে যায় বেলা অবেলা
ব্যাকুল করে মন কাজের কোলাহলে,
তৃষ্ণায় বড় ক্লান্ত এই প্রাণ
জল টেনে পান করার নই কোন সময়

আমার নদী বয় না আমার পাশে
নেই তার কোন স্রোতের,
আটকে রাখে শুধু সংসারে
আটকা মনে বাধা দেয় সময় অসময়।

 ফিরবো কখন তোমার পানে
বন্দী যে, আছে আমার দুটি চোখ,
বাধা দেয় যত সমজের যত বাসনা
যত বাধা যত কথা সবে মোর নিরাশ।