Friday, July 5, 2019

ফিরে এসো তুমি

                            

                  ফিরে এসো তুমি

                        এম এ মাসুদ রানা 


কখনো বলি ফিরে এসো তুমি, আবার কখনো বলি এসো না ফিরে!
হঠাৎ ঘুম ভাঙার পর জানালার পর্দা ভেদ করে মৃদু আলো চোখের ওপর পরাতে শরীরের কম্বলটা টেনে মাথাটা ঢেকে নিজেকে জড়সড় করে আবার ঘুমাতে চেষ্টা করলাম। এক চোখে প্রচণ্ড ঘুম ভাব থাকা সত্তেও আর এক চোখ যেন ঘুম না পারার দলে। এক পলক ঘুম আসতে দেয় না।

চোখ খোলা রেখেই বালিশের পাশে থাকা মোবাইলটা হাতে নিয়ে সময়টা দেখলাম। সময় তখন সকাল ০৭.৩০ মিনিট।
কি যেন মনে হতে লাগল ঠিক এই সময়টাতে। কি যেন করতে হবে সকাল ০৭.৩০ মিনিটে ঠিক মনে করতে পারছি না। প্রতিদিনই তো এই সময়টাকে ঘিরে কিছু একটা করতে হয় আমাকে কিন্তু আজ কেন মনে পড়ছে না ?
 ভাবছি হয়ত মনের ভুল, তাই ভেবে নিরব হয়ে দুই চোখের পাতা বন্ধ করে ভাবনার সাগরে ডুব দিলাম। হ্যাঁ মনে পড়ছে কি করতে হবে আমাকে। ভেবেই আমি আনন্দিত কিন্তু কাজটা করার পর কতটুকু আনন্দিত হবো তা একমাত্র ওপরওয়ালা ছাড়া আর কাউকে বুঝাতে পারবনা।
প্রথম তোমার কণ্ঠস্বর শুনে দিনের শুরু করতে হয় আমাকে এই সমটাতে। জানি তোমার ফোন ১০ মিনিট কম ০৮টাতেই সুইচ অন করবে। তারপরও কেন জানি ঠিক ০৭.৩০ থেকেই তোমার ফোনে ট্রাই করতে ভালো লাগে ঠিক এই কথাটার জন্য যে, তোমার মত তারছিরা পাগল আমি আমার জিন্দেগিতেও দেখিনাই যে কিনা গত ১ বছর যাবত একই সময়ে একই কথা বলার জন্য অনবরত ফোনে ট্রাই করে যায়, শুভ সকাল মাসুদ , লাভ ইউ সো মাচ।

শুরু হল আমাদের কথা চলা। দুপর ২টা পর্যন্ত চলবে আমাদের এই ননস্টপ এস এম এসে কথা বলা। চলে আসবে অনেক রকম কথা বার্তা, হাসি কান্না, সুখ দুঃখ এমনকি হাজার বার একই কথা, লাস থেকে ওঠে অফিসে ওপর একটু রহম করোরে বাবা। শুধু চুপটি করে কথাগুলো হজম করতাম আর ভাবতাম, আল্লাহর অসীম মহিমা দ্বারা সৃষ্টি তুমি। কখনও কি পারবো আমার এই আমার এই কথা বলা মানুষটাকে। সে কি আমাকে একা ফেলে দূরে কোথাও চলে যেতে পারে ? মনে পড়ে অতীতের সব পুরোনো  কথাগুলো ?

আজও আমি সেই ধ্যান ধারনা, চিন্তা ভাবনা থেকে বের হয়ে আসতে পারি নাই। আমাকে আজও অপেক্ষা করতে হয় ঠিক এই সময়টার জন্য। রাতে যত দেরি করেই ঘুমাই না কেন ঘুম ভেঙ্গে যায় এই সময়টাতেই। ফোন চেক করে দেখি ভুলবশত যদি ১টা এস এম এস আমাকে করে ফেল ?
তাহলেই হয়ত একটু কথা বলার সুযোগ পেয়ে যাবো। তাই আজও আছি আমি তোমার অপেক্ষায়।

প্রতিটা মানুষ সুখের স্বপ্ন দেখে, আমিও দেখেছিলাম তোমায় নিয়ে যা তুমি ভেঙ্গে দিলে। কেমন করে পারলে তুমি ? মনে আছে তোমার সেইদিন গুলোর কথা, মনে পড়ে আমাদের দুঃখ আনন্দের দিন গুলো ?
হয়তো মনে পরে না, তাইতো আজ তোমায় প্রশ্ন করি তোমার ভালোবাসায় কি সত্যতা ছিল না ?
তোমার কান্না কণ্ঠের কথাগুলোও কি মিথ্যা ছিল ? মাঝে মাঝে ভাবি কি অন্যায় ছিলো আমার, তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখাটা নাকি তোমায় অনেক ভালবাসাটা ! বদলে গেছ তুমি তাইতো আজ আমি তোমার কাছে অচেনা মানুষ।

আমার পৃথিবী হঠাৎ যেনো স্তব্ধ হয়ে গেছে আজ । চারিদিকে হাকাকার। হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসায় বাস্তবতা, ভবিষ্যৎ ও স্বপ্নময়তায়, স্বপ্নেই বেঁধেছিলাম তোমায় তাইতো যন্ত্রণাময় অসীম অপেক্ষা করছি । জানি না কখনও কারো  ছিলাম কি'না। শুধু জানি ভালবাসি তোমায়। যে হেরে যায় তাকে পরাজিত বলা হয় না, পরাজিত তাকেই বলা হয় যে জিততেই চায় না। আমি তো তোমাকে ছেড়ে যায়নি, এখন তুমিই বল তুমি জয়ী হলে নাকি আমি হেরে গেলাম তোমার কাছে ?

ভালোবাসাবা সীমাহীন এই দিন সব নয়, শেষ নয়, আরো দিন আছে, ততো বেশি দূরেও নয় বারান্দার মতো, যেন ঠিক দরজার কাছে। যখন তোমাকে অনুভব করি আমার পৃথিবী কিছুক্ষনের জন্য থমকে যায়, হয়ত তোমার মধ্যে পৃথিবী ছাড়া কিছু আছে। সত্যি, লোকে বলে মন থেকে ভালবাসলে ভালোবাসা একদিন না একদিন জীবনে ফিরে আসেই। একা একা আর দিন কাটে না, মনের ভিতরের অঘটনগুলো আর কতকাল বেঁধে রাখব সেথায় ভরসার জলে কান্না শুনিয়ে তোমাকে বলতে চাই, মেয়ে ফিরে এসো, এসো না ফিরে জানিইতো আর আসবে না। তবুও মন বলে তুমি একদিন ফিরে আসবে। তাই আবার বলি তুমি ফিরে এসো আমার পানে। আবার নতুন করে সাজাবো আমাদের প্রেমের ভূবন।

অর্জন

 ___ ____ অর্জন _________

__ এম এ মাসুদ রানা ____


সংবাদ পত্র পড়ে মনে হলো

দেশটা গেছে রসাতলে। 

সোনা দেশে নারী ধর্ষণ হলে 

ধর্ষক ধরা পরেনা কলে।


শিশুর সাথে বৃদ্ধা ধর্ষণ 

চলছে ধর্ষণ দিনেরাতে। 

স্বামীকে বেধে তার সামনে

স্ত্রী ধর্ষণ শেষে মেশে। 


মায়ের সামনে মেয়ে ধর্ষণ, 

ছেলের সামনে মা ধর্ষণ, 

ধর্ষণ উৎসব ভেবে ধর্ষক 

করে বেড়ায় সুখের বর্ষণ।


মেতেছে এমন হলি খেলায়

বিচার বিভাগের নেই গর্জন, 

স্বাধীন দেশে লাভ করে হলো

কি তাহলে এটাই অর্জন?


সব মানুষের মনে ব্যাথা

হচ্ছে না কথা বলা। 

অপরাধীর মুক্ত হয়ে করছে

দারুণ হলি খেলা।


হচ্ছে না তো কারো সাজা

নিত্য নতুন করছে পাপ,

তারাই নিচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন সাজ

বিরুদ্ধে হচ্ছে না কাজ।


সবাই বলে এটা হলো আমাদেরই 

বিশেষ কিছু অর্জন 

তাই আইনের অজুহাতে করছে না

প্রশাসন এটাকে বর্জন।