Thursday, October 8, 2020

ক্ষয়

            ক্ষয়
এম এ মাসুদ রানা

ডাক!
অস্থি মজ্জায় ঘ্রাণ;
শব্দে শব্দের হাতছানি,
মনে অবস্থাও হলো জানাজানি।
মনের সত্তা আবছা নীল
অকারণে এক অনুভূতির ফীল।

মন!
মুখের এঁটো কথা,
হিংসার আলনাতে,
প্রতিহিংসার জানালাতে,
তুমি এসেছিলে সমলাতে।

ঝোলানো!
অর্থ না থাকায় করবো অনশন,
অনশন ভাঙ্গল সে সকালের। 
আত্মভোলা মেঘে বার্তা নিয়ে এলো,
আর দিতে হবে না লেকচার। 

সর্বহারা সংশয়!
কুড়িয়ে পেলাম ফোনে 
ঠিক তখনি প্রশ্ন জাগলো মনে
আমি দিতে পারবো কি?
ভালোবাসার দানা ..
রাখতে পারবো তো তার মান!

আর্তচিৎকার

আর্তচিৎকার
এম এ মাসুদ রানা

বুকের গভীরে চাপাকান্না কখনো দেখা যায়?
দেখেছো তো তার চোখে গঙ্গা ও যমুনার বান!
তুমি দেখতে নাহি যদি পাও,
তাহলে ঐ কলেজ পারার গলির পথে যাও,
দেখতে পাবে লাল সবুজে পতাকাটির হাহাকার,
শুনতে পাবে সন্তান হারা মায়ের আর্তচিৎকার।
যে ডিসেম্বরে আয়োজন করো রঙ রঙের বাতি,
সেই রাতেও তো খালি হয় মায়ের কোল খানি।
বোনটি আমার বোন ডাক শোনার অপেক্ষায়,
চাপাকান্নাও ধরে রাখে দু'চোখে,
কখন যে ডাক দিয়ে বসে, ভাইটি বোন বলে।
সেই আশায়, সেই অপেক্ষায়,
মা বোন আজও ঐ কলেজ পারার গুলিতে কাঁদে।
স্বাধীনতার পক্ষে আছি বলে তো আজো হাসি
স্বাধীনতার মর্মকথা যখন যাচি, আর্তচিৎকারে ভাসি।
কোথায় মৌলিক অধিকার, হলো না এর সাধিকার
এই স্বাধীন বাংলায় হয়নি কোন অপরাধীর বিচার
এই জন্যেই মাঝে মাঝে করি আর্তচিৎকার।

শুভ রাত্রি

      শুভ রাত্রি 
এম এ মাসুদ রানা

ঘুমটা ও আঘাত হানে
আসে ক্ষণে ক্ষণে,
মন চাই না আর ছুটতে
আর বনে বনে।

ঘুমের ঘর কান্না করে
হারালাম কি জীবন?
ঘুমের মাঝেও ছুটে যায়
সুখ করতে হরণ।

হিসাব কি যায় মিলানো 
ঘুমের মাঝে গল্প?
তুমিও কি  ঘুমিয়ে পরবে
সময় খুবই স্বল্প?

তাই তো এখন হলাম আমি
একা যাত্রী, 
তোমায় এখন বললাম আমি 
শুভ রাত্রি।