Friday, October 30, 2020

প্রানান্তর প্রচেষ্টা

 প্রানান্তর প্রচেষ্টা 

   এম এ মাসুদ রানা 


জেগে উঠো মুমিন মুসলিম

জিহাদের দাও ডাক।

নবীকে (সাঃ) নিয়ে ব্যাঙ্গকারীর 

মাথায়  মারো লাথ।


বেশি বাড়াবাড়ি করছে তারা

কলিজায় করছে আঘাত।

শক্ত জবাব দিয়ে হবে ওদের 

ভাঙতে হবে কালোহাত।


ওরা মাঝে মাঝে বদনাম রটায়

পরিনামে পায় জবাব।


বিবেক মোদের ডাক দিয়েছে

করতে হবে প্রতিবাদ,

হাসিমুখে নবীর তরে শহীদ হবো 

করবো মোরা জিহাদ।

Wednesday, October 28, 2020

হৃদয় রানী

  হৃদয় রানী 

 এম এ  মাসুদ রানা 


বুকভরা স্বপ্ন, মনে আছে ভালোবাসা

সাথে আছে সেই নিষ্পাপ হৃদয়ের আশা।

স্বপ্নরা মেলছে ডানা, হৃদয়ে দিয়েছে হানা

সেই তরে ধরেছে নতুন নতুন বাহানা!


আচ্ছা!

একবার কি ফিরে দেখা যায় না?

একবার কি কাছে আসা যায় না? 


তাছাড়া; 

নতুন করেও কিছু বলা হয় না!

নতুন করে কি আকাশে ঘুড়ি হওয়া যায় না?

এই হৃদয় একবার কমল পরশ দিতে পারবে না?

ভালবেসে কি হাত দুটি একবার বাড়াতে পারো না?


হ্যাঁ, 

আমি বসে আছি,

তোমার পথেই চোখ মেলে চেয়ে আছি,

আমি জানি তুমি ফিরবেই, 

আমার প্রিয়োসী হয়ে। 


তুমি আবার আসবেই,

হ্যাঁ আমি জানি সত্যি আমি জানি,

কারণ তুমি যে, আমার হৃদয় রানী।

Tuesday, October 27, 2020

ফরিয়াদ

   ফরিয়াদ  

এম এ মাসুদ রানা 


যে দেশে চলে না পর্দার বিধান 

গাজা সেবানে নাবালক ছেলে,

পীর সাহেবরা করে শরাব পান

বার আসলে এমপি-মন্ত্রী মিলে।


ডিসকোর ভিতর রয় মাতোয়ারা 

ধর্ষক দিয়ে করে জয় লাভ,

সুদ ঘুষের কারবার চলে যথাতথা 

সিদ্ধ ছাড়া আসেনা ভাব।


শিরক করে পীরের সাহেবরা

বিদ'য়াত হলো চির সঙ্গী, 

কুফরি করে মহা আনন্দে

ইমানের সাথে চালাই ভঙ্গি। 


কুরআনের পাখি যায় নির্বাসনে  

তাফসির প্রচার বন্ধ হয়,

শত্রুর সাথে দফায় দফায় সন্ধি

হক কথাতে নীরব রয়।


জুব্বা টুপি রাখলে গাঁয়ে

দেখলে দাড়ি পুলিশ ধরে,

কেউ হয় না দেখেও অবাক 

মেধাবীর সব কারাগারে মরে।


এমন দেশে আসবে না কেন ঘূর্ণিঝড়? 

কারণ মোরা জানতে চাই,

আল্লাহর কাছে করে আবদার 

লজ্জা সমর বলতে কিছুই নাই?


মহান মালিকের পবিত্র বানী 

পড়লে বলো জঙ্গিবাদী,

রাষ্ট্র বিধান হলো না কুরআন 

উল্টো দিলো চরম অপবাদ। 


এমন এক জালিম রাজ্যে

আসবে গজব স্বাভাবিক এটা, 

অনুপাত হয় না নিজ কার্যকর্মে

ভালো কথা বললে বলে বেটা।


আল্লাহ তুমি সর্বশক্তিমান  

ক্ষমার তরে দুই হাত তুলি,

পবিত্র মহান সত্তা তুমি

কষ্টের মাঝে তোমায় নাহি ভুলি


তোমার দয়াতে রয়েছি বেঁচে 

মৃত্যু দিলে কিছু করার নাই,

আমার সোনার বাংলাদেশে

ইসলামী রাজ্য কায়েম চাই।


ততটুকু সুযোগ দাও খোদা তুমি

আমরা শহীদি মরন চাই,

আমি কি লিখতে কি লিখেছি

ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টি দেখ ভাই।


রচনাকালঃ- ১৯/১১/২০১৯

দ্বন্দ্ব

 দ্বন্দ্ব 

এম এ  মাসুদ রানা 


অনুরাগের খুন হয়েছে 

ভালবাসা উঠেছে শৃঙ্গে,

ধর্ষিত ললনা বলে না

কথা চলমান বঙ্গে।


দ্বন্দ্ব মন্দ বাড়ে গোল

অপমান জানে শুনে

মিথ্যায় বেরে যায় সংশয়

প্রনত নেই বিনয়ে!


আস্ফালন দাম বাড়ে নাই 

নিন্দা করলেও দুখ

লোভে হয় দৈত্যের নীতি

প্রশস্ত হয় মুখ!


অভিলাষীতে নেই কোন সুখ

ক্ষয় করে পিঞ্জর

ঈমানের জোর নেই আর

খুঁটিও হয়েছে নড়বড়!

স্বচ্ছন্দতা

 স্বচ্ছন্দতা

এম এ  মাসুদ  রানা 


রক্ত লালে লাল হয়েছে 

উদীয়মান সূর্য্য মতো,

সবুজের মাঝে উঠল জেগে

রক্তিম অর্ক কতো।


স্বাধীনতার জোয়ার আসলো 

সারি সারি গাছে,

চারদিকে ছড়িয়ে পরেছে

প্রভাত ফেরির পাখি ঝাক,

বিহঙ্গী দিলো দূর গগণে উড়াল

উড়তে উড়তে দেয় নাচ।


শহীদের আত্মার কান্না দেখে,

আকাশ অঝোরে কাদলো,

চোখের কোটায় ঝরাল জল

মুক্ত হয়েও নাহি হাসল।


রক্ত বয়ে ভেসেছিল মাটির

পিপড়ের বাসায় বন্যাও,

সেই লোহিতে লাল হয়েছে 

অশ্রু ঝড়া কান্নাও,

বিজয় নামের পড়বে মালা

হবে না কোন অন্যায়।


শহীদের পোড়া লাশটি দেখে

শকুন ও বাজ ডাকলো শেষে, 

ভর দুপুরে চিৎকার মারে

আর্তনাদের করুন বেসে,

কান্না চেপে খুঁড়ছে মাটি 

স্বজনের প্রান হারিয়েছে যে।


সবকিছু ফেলে দিল হেসে

দেশটা স্বাধীন হল শেষে,

মায়ের বুকে সন্তান নামে

বলছি সবাই নেচ নেচে ।

ভাগাভাগি

 ভাগাভাগি

এম এ মাসুদ রানা


মোর অর্থে বাজেট করো

সংসদে হয় ভাগ,

ভাগাভাগিতে কমতি হলে 

করি তোরা রাগ।


জনগণের অর্থ ঠকিয়ে নিয়ে

হয়েছো তোরা শক্তিধর, 

এই বলতেই হইছো বেজার

বলিস মর পাবলি মর,

তোর ভাগ্যের চাকা হবে লরচর

বলো সবাই মিলে ধর।


দেশের বোঝা বইছে পাবলিক

করছে তাঁরা কান্নাকাটি, 

বলিস তোরা, করিস তোরা অনিয়ম

আয়েশে চলে হাটাহাটি। 

মুখোস পরা জনদরদী হয়ে বলিস,

দেশের তরে জীবন বাজি।


তোরা হলে ভণ্ড নেতা

মোগো বলিস কংস মামা।

মামার সাথে বাজি নিয়ে 

সোনার বাংলা হল তামাতামা।


তোদের যুগল চরণে পরি

মোর পাওনা মোরে দে

তোদের কর্মফলে যা পাবে 

সেটাই তোরা নে।


সবিনয়ে বলি তোদের শুনো

বেহিসাবি করিস না ভাগাভাগি,

ক্ষধার তরে কাতর মোরা 

করি না তবুও রাগারাগি। 


রচনাকাল ১৮/০৯/২০১৮

সন্তপ্ত

   সন্তপ্ত    

এম এ মাসুদ রানা 


পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইল আজ অতিশয় অবসন্ন  

ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের আল্পনা শুধুই কল্পনা। 

মূল্যহীন হয়েছে বাহান্ন, ঊনসত্তর  কিংবা একাত্তর আবার,

এই প্রশ্ন জাগে মনে সবার। 


দেশের তরে হয়েছে দু'লক্ষ মা, বোনের সম্ভ্রম হানি 

ইতিহাস পড়ে প্রতিটি কথায় তো জানি।

আজ কম্পনে কম্পিত হয় মা বোনের হৃদয় 

অশ্রুসিক্ত নয়নে বলে এরই তরে হয়েছি কি সম্ভ্রম হারা?


কাঙ্খিত শহীদ মিনার তো হলো নিষ্প্রাণ 

তাই গাইতে পারেনা, সে সেই বিদ্রোহী কোন গান।

স্মৃতিসৌধ আছে শুধু স্মৃতির পাতায় আঁকা 

পাতার উপর পাতা পরে সে-তো আছে ঢাকা।


পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইল রূপান্তর হয়েছে কারাগার 

বন্দি না হয়েও আজ জনজীবন হচ্ছে ছারখার।

দেওয়ার কথা থাকলেও পায়নি মৌলিক অধিকার 

এমন স্বাধীনতার ছিলো কি এমন দরকার?


তখন বলেছিলাম সবে এই প্রাণের বিনিময়ে 

হে খোদা বাংলায় একখানি পতাকা দিও।

সকলের প্রার্থনায় দিয়েছো লাল সবুজের পতাকা 

ভিন্ন ভিন্ন মত একত্রিত করে হয়েছিল আঁকা। 


এখন পতাকা আছে শুধু ইতিহাসে 

তাঁর সম্মান সব ধুয়ে মিশে গেছে। 

করতে পারে না শুধু সে আত্মচিৎকার 

সে যে নিষ্প্রাণ,  আছে শুধু তার আকার।


মোরা করতে চাই এই অশান্ত বর্গমাইলকে শান্ত

শহীদের রক্তে অাল্পনার মান দিয়ে হবো ক্ষান্ত। 

ফিরে পাবে বাহান্ন কিংবা ঊনসত্তর তাদের সম্মান 

প্রয়োজনে আবারো আরে দিবো তাজা তাজা প্রাণ।


সোনার বাংলার তরে ধরেছি আবার বিদ্রোহী গান 

বিদ্রোহ করে ফিরিয়ে আনবো হারানো স্বাধীনতার মান।

স্বাধীনতা রক্ষায় বাজি ধরেছি মোদের প্রাণ

স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিদের করবো খান খান।


রচনকাল ২০/১০/২০২০

Wednesday, October 21, 2020

মানবতা

মানবতা 

এম এ  মাসুদ  রানা 


ধর্ষণের বাজে কম্পন 

ভেতর-বাহির সর্বত্রই। 

মানবতা কোথায় তুমি?

আছো কোন গগণে?

খুঁজি তোমায় সর্বক্ষণে

যাচিও আমি জনে জনে। 


ক্ষমতার দোহাই দিয়ে

করবে কত মানুষ গুম?

আর করবে কত খুন।

বিলীন হয়েছে মনাবতা

মঞ্চে বলে কথার কথা

বৃথা হয়েছে স্বাধীনতা। 


মলিন হয়েছে মায়ে বদন

মায়ের কষ্ট দেখে ক'জন।

ক্ষণে ক্ষণে হারাছে স্বজন

শোকে ফলে করেনি ভজন।


মায়ের সম্মান হবে ফিরাতে

বর্বরতাকে হবে তারাতে,

অন্যায় ও দুনীতিকে হবে হারাতে

মোদের দাঁড়াতে হবে রুখে।


নষ্ট করতে হবে কালো হাত

সেই তরে ভুলে হবে জাতপাত।

আর হবে না কথার কথা

ফিরে পেতে চাই স্বাধীনতা

কারো তরে থাকবে না হীনতা

বাংলায় জাগ্রত হবে মানবতা।

নিষ্কৃতি

  নিষ্কৃতি 

   এম এ  মাসুদ  রানা 


সরল ভাবে, সহজ বিষয়

যায় না বলা, ক্ষণে ক্ষণে!

অনেক ক্ষণে, অকপট বিষয়

বোধের ভুলে, দুর্বোধ্যও হয়!


সুবোধ্য ব্যপার, অবন্ধুর করে

অনেকে তো, নেয় না ঋজুতে!

শুরু করে, কলঙ্ক খোঁজা

সহজ করে, হয় না যাচা।


উদ্বেগ যতই আসে এই মগজে,

যাই কি লেখা খুব সহজে?

অনেকে আবার বলেই ফেলে

ভাবের আবেগ দিয়ে বলে চলে।


না হয় যদিও দোষ, তত্ত্বজ্ঞানের কাছে

তবুও কী ভাই নিষ্কৃতি আছে।

বিদ্রোহীর বানী

বীদ্রোহীর বানী 

এম এ  মাসুদ  রানা


রক্ত দিয়ে কেনা মানচিত্রে শকুনের আনাগোনা 
জীবন দিয়ে এনেছি তোমায় এটাও জানাশোনা 
কামুক বাসনায় হায়েনারা শুরু করেছে জাল বুনা
তোমার পবিত্রাতাকে করছে তারা এখন তুলোধুনা।

মানচিত্র তোমার রক্ষায় যারা রক্ষা যন্ত্র, 
তারাই পড়ে না তোমার রক্ষায় রক্ষা মন্ত্র 
তোমায় ভোগের তরে ধরে তারা কু-তন্ত্র 
তাদের তরে ব্যবহার করে না পবিত্র গ্রন্থ। 

তোমার অবয়বে তারা পড়াতে চায় না প্রসাধনী
স্বার্থ সিদ্ধ লাভে হতে পারে অনায়াসে খুনি 
এমতাবস্থায় তারাই দাবী করে জ্ঞানী আর গুণী 
কথায় কথায় বলে তারা তারাই দেশের মনি। 

দেশের কল্যান তরে তোলে যারা নিশানার ঝড়
সমাজপতিরা তাদেরকে বলে ওদের তোরা ধর।
দেশের তরে অনেকেই এখনো দিয়ে যায় প্রাণ
অনেকেই তাদের সম্মানে তরে ধরে জয়গান। 

বারে বারে বলে সেই বিদ্রোহী সৈনদল 
নিরবে বসে থেকে হবে না কোন ফল। 
পবিত্র মানচিত্র যখন আছে শকুনের ডানায়, 
তখনি দিতে হবে কলমের ডোগা দিয়ে হানা
বিদ্রোহীর বানীতে ঘায়েল হবে হয়েনার দল

দ্বিধা

  দ্বিধা

          এম এ মাসুদ রানা 

                                                         

কঠিন সময় হচ্ছে পার,

কিছু কথায় স্রোত ধরে রাখা। 

যুক্তিক বানীতে থেতো করা হলো

কয়েকটি কঠিন কথার কথা।  

পাতায় ছিলো এক ফোঁটা বৃষ্টির জল ,

উপমা দিয়ে করছে যে, টলমল। 

বিশ্বাসের মধ্যে লুকিয়া থাকা কিছু কথা,

ওজনও নেই জানা, এটাই তো বড় ব্যথা

মনের গভীরে একটু আসে তো যথাতথা

হয়তো সময়ে অসময়ে অনেক কথা।

অবলম্বন চাইছে, 

মেঘের ওপর আঁকা আছে ধুসর নক্সাখানি

তোমার কথায় কথা মিলিয়ে তা জানি 

প্রেষ্যে হয়েছে অনেক কথা এটাও তো মানি

হাই বলবো এখন যায়নি মনের দ্বিধা খানি।

দিশেহারা মন

 দিশেহারা মন 

এম এ  মাসুদ  রানা 


পরন্ত  বিকেলে 

মায়াবী চোখ

এলোমেলো চুল

আর  মুখে হাসি।


কি যে, মন চায় 

আমি কি যে, করি

সেই তরে শুধু নড়ি

মন চায় ভালোবাসি। 


অজানা দিগন্তে 

অজানা প্রান্তে।

মন চাই শুধু জানতে

পারি না কিছু  মানতে ।


উদাসী মন করে গন্ গন্

অজানা শব্দ করে ঝনঝন 

কীটপতঙ্গ করে ভনভন 

সাহসে হয়েছি টনটন। 


কিছু খুঁজার তরে 

রয়েছি তো পরে

তবুও নাহি কেন নড়ে

তাহলে কি যাবো ঝরে।


অযাচিত অশোভনে

কোন কিছুর লোভনে

তার কিছু শ্রবণে

আছি কোন এক ভবনে।

ফিরে পেতে চাই

  ফিরে পেতে চাই 

  এম এ  মাসুদ  রানা 


আবার একটা কঠিন সংগ্রাম চাই 

সংগ্রাম ছাড়া কখনো শান্তি নাই।

স্বাধীনভাবে বাঁচা হয়ে গেছে দায়

জনসাধারণ বলে সর্বক্ষেত্রে হায় হায়।


সুবর্ণ জয়ন্তী এসে গেছো মাথার কাছে

মৌলিক অধিকার নিয়ে নাহি কেহ বাঁচে।

এখনো কেন সর্বসাধারণ অধিকার যাচে?

তাহলে কী এই স্বাধীনতার মূল্য আছে?


স্বাধীনতা তুমিও তো রক্ত দিয়ে কেনা

সেই রক্তের নেই কি কোন রকম দেনা?

আমারও দরকার আছে তোর কাছে জানা

জানতে চাইলে করে সবাই শুধু মানা 

তোমাকে তো বুহু প্রাণের বিনিময়ে আনা।


তোমার তরে রক্ত গঙ্গায় করতে হবে আবার স্নানান

তোমার তরে রণ  হবে সবাইকে দিতে হবে জানান

তোমার রক্ষায় দিতে হবে নতুন নতুন তাজা প্রাণ 

রণ করে ফিরে পেতে চাই  স্বাধীনতার মান।

কলঙ্ক মুক্ত হতে চাই

 কলঙ্ক মুক্ত হতে চাই 

এম এ  মাসুদ  রানা  


ভাটির জননী, তুমি এখনো নিরব কেন? 

তুমি তোমাকে নিয়ে ভাবো না কেন? 

তোমার প্রতিবাদ করতে এতো বিড়ম্বনা কেন?

তোমার নিজের প্রতি নেই কেন অনুতাপ? 


তোমার প্রতি মাঝে মাঝে হয় অনেক রাগ 

তোমার প্রতি তবুও থাকি অনেকটাই সজাগ। 

তোমার প্রতি থাকে  অনেক অভিযোগ,

তোমার প্রতি তবুও থাকে অনেক অনুরাগ।


তোমাকে রক্ষা করতে যারা রক্ষাকবচ 

তারাই আজ কেন এতোটা অবুঝ?

তারাতো তোমার কামুক বাসনায় মক্তো

তাই তার হতে পারেনি তোমার শক্ত ভক্ত।


তুমি প্রতিবাদী হও প্রতিশোধ নেওয়ার তরে

সবাই নিশ্চুপ হয়ে যায় যেন তোমার ভরে

সকল ধৃষ্টতা যেন তোমার ভয়ে নড়ে 

আবার তার সবাই তোমার জয়গান ধরে।


নৎসাৎ করে দাও সেই কুচক্রী মহল 

কুচক্র করে যেন তারা না পাই কোন ফল 

যেন তারা ফেলাতে না পরে কারো চোখে জল

জ্বালিয়ে দাও তোমার প্রতিবাদী দাবানল। 


তুমি ধ্বংস করে দাও তাদের কালো হাত 

ভেঙ্গে দিতে হবে তো তাদের বিষদাঁত 

কুকর্মের তরে হয় যেন তাদের হয় লাজ

প্রভাতে বলতে চাই  কলংকমুক্ত হলাম আজ।

Tuesday, October 20, 2020

আমি আমার মতো

 _____ আমি আমার মতো 

         এম এ  মাসুদ  রানা 


তোমাকে বলি,

তুমি অর্থশালী, অর্থ আছে তাই 

তুমি বিত্তবান,  সম্পদ আছে তাই 

তুমি শক্তিশালী, শক্তি আছে তাই  

তুমি ক্ষমতাশালী, ক্ষমতা আছে তাই। 


তোমাকে বলি,

আমি অর্থহীন, অর্থ নেই তাই 

আমি বিত্তহীন, সম্পদ নেই তাই 

আমি নিরবল, গায়ে জোর নেই তাই 

আমি অসহায়, আমিই নিরুপায়। 


তোমাকে বলি 

তুমি মতামত কিনতে এসো না 

তুমি অর্থের লোভ দিয়ে ডেকো না

তুমি শক্তি প্রয়োগ করতে চেয়ো না

তুমি ক্ষমতা আমায় দেখাও না।


তোমাকে বলি,

আমি অর্থহীন, অর্থের নেই কোন লোভ 

আমি বিত্তহীন, সম্পদের প্রতি নেই লোভ

আমি নিরবল, শক্তি দিয়ে পেতে চাই না ফল

আমি অসহায়,  করো উপর ভর করে পেতে চাই ঠাই।


তোমাকে বলি,

অহেতুক বিরক্ত করো না আমায়

অহেতুক লোভ দেখাইয়ো না আমায় 

অহেতুক বল প্রয়োগ করো না আমায়

অহেতুক ক্ষমতা দেখাইয়ো না আমায়।


তোমাকে বলি, 

আমাকে আমার মতো থাকতে দাও

আমাকে আমার মতো বাঁচতে দাও

আমাকে আমার মতো চলতে দাও 

আমাকে আমার মতো বলতে দাও।

Saturday, October 10, 2020

সোনালীর তরে

সোনালীর তরে
এম এ মাসুদ রানা

সোনালী,
বিচিত্র বিশ্বাসে ভরা নীল আকাশ
বৃষ্টির জলে ভেজা মাঠ-ঘাট।

সোনালী,
মনে পড়ে অতীতের কথা!
নাকি, দিব্যি ভুলে গেছো সব অতীত?
এক দোরে বাঁধা ছিলাম দু'জন,
প্রেমে মাতাল ছিল দু’টি মন।
তোমার এমন কি হল?
তুমি এত ভূলোমন হলে কেন?

সোনালী,
মনে করে দেখো
সেদিন ছিল আমার জন্মদিন।
আচ্ছা কিভাবে তুমি ভুলে যাও
এমন মধুর দিনের মধুর ক্ষণ!
তুমি কি অভিমান করেছো?
নাকি রাগ করেছো?
আমার সাথে কি আর বলবেনা কভু কথা?
আমি তো তোমার রাগ ভাঙাতে জানতাম।
তবে আজ কেন পারছিনা বলো?

সোনালী,
মনে পড়ে কি তোমার?
গ্রামের মেঠো পথে চলা, যেন হাওয়ায় উড়ে
চলছিলাম আমরা, অজানা দূরে গগণ পুরে।
পথ থেকে পথের প্রান্তরে ছিলনা তো অন্ত!
তোমার হাত ধরে চির সবুজ মাঠে হাঁটা।
হাঁটছিলাম যখন ক্লান্তিহীন, উৎফুল্ল মন,
তুমি কি করে ভুলে গেছো সেদিনের উষ্ণ আলিঙ্গন।
তোমার চোঁখে মুখে ফুটেছিল অদ্ভুত এক অনুভূতি
তবে কেন আজ এত উদাসী আমার তরে জানাবে কিছু।

সোনালী,
বন্ধু সকল বলে তুমি নাকি হয়ে গেছো পর?
তুমি নাকি এখন অন্যেকে সাঁজিয়ে তোমার বর?
আমি বিশ্বাস করিনা,
আমি বিশ্বাস করতে পারি না!
কি করেই বিশ্বাস করি বলো?
তুমি তো আমায় পাগলের মত ভালবাসতে
সময়ে অসময়ে, বেলা অবেলায় কাছে আসতে।
এসব কি কখনো মিথ্যা হতে পারে?

সোনালী,
মনে পড়ে নাকি তোমার?
বর্ষার জলে করছিলে খেলা
পাতায় পাতায় ছিল প্রজাপ্রতির মেলা
বোঝে উঠতে পারি নি কখন নেমেছিলো বেলা।
কি করে ভুলে গেলে তুমি?
কেনই বা তোমার এমন স্মৃতি ভ্রম হল?
আমায় একটু বলবে কি তুমি
তো সেই স্মৃতিতে পুঁড়ে মরি আমি।
স্বরনালী সুখ আর সিগ্ধ শ্বাসে
তোমার কথা যেন প্রাণে বাঁজে
কাছাকাছি ছিলে তুমি বলেছি রবে সারাক্ষণ 
তাই তো হৃদয়ে চলে আমার বিরহের রণ।

Thursday, October 8, 2020

ক্ষয়

            ক্ষয়
এম এ মাসুদ রানা

ডাক!
অস্থি মজ্জায় ঘ্রাণ;
শব্দে শব্দের হাতছানি,
মনে অবস্থাও হলো জানাজানি।
মনের সত্তা আবছা নীল
অকারণে এক অনুভূতির ফীল।

মন!
মুখের এঁটো কথা,
হিংসার আলনাতে,
প্রতিহিংসার জানালাতে,
তুমি এসেছিলে সমলাতে।

ঝোলানো!
অর্থ না থাকায় করবো অনশন,
অনশন ভাঙ্গল সে সকালের। 
আত্মভোলা মেঘে বার্তা নিয়ে এলো,
আর দিতে হবে না লেকচার। 

সর্বহারা সংশয়!
কুড়িয়ে পেলাম ফোনে 
ঠিক তখনি প্রশ্ন জাগলো মনে
আমি দিতে পারবো কি?
ভালোবাসার দানা ..
রাখতে পারবো তো তার মান!

আর্তচিৎকার

আর্তচিৎকার
এম এ মাসুদ রানা

বুকের গভীরে চাপাকান্না কখনো দেখা যায়?
দেখেছো তো তার চোখে গঙ্গা ও যমুনার বান!
তুমি দেখতে নাহি যদি পাও,
তাহলে ঐ কলেজ পারার গলির পথে যাও,
দেখতে পাবে লাল সবুজে পতাকাটির হাহাকার,
শুনতে পাবে সন্তান হারা মায়ের আর্তচিৎকার।
যে ডিসেম্বরে আয়োজন করো রঙ রঙের বাতি,
সেই রাতেও তো খালি হয় মায়ের কোল খানি।
বোনটি আমার বোন ডাক শোনার অপেক্ষায়,
চাপাকান্নাও ধরে রাখে দু'চোখে,
কখন যে ডাক দিয়ে বসে, ভাইটি বোন বলে।
সেই আশায়, সেই অপেক্ষায়,
মা বোন আজও ঐ কলেজ পারার গুলিতে কাঁদে।
স্বাধীনতার পক্ষে আছি বলে তো আজো হাসি
স্বাধীনতার মর্মকথা যখন যাচি, আর্তচিৎকারে ভাসি।
কোথায় মৌলিক অধিকার, হলো না এর সাধিকার
এই স্বাধীন বাংলায় হয়নি কোন অপরাধীর বিচার
এই জন্যেই মাঝে মাঝে করি আর্তচিৎকার।

শুভ রাত্রি

      শুভ রাত্রি 
এম এ মাসুদ রানা

ঘুমটা ও আঘাত হানে
আসে ক্ষণে ক্ষণে,
মন চাই না আর ছুটতে
আর বনে বনে।

ঘুমের ঘর কান্না করে
হারালাম কি জীবন?
ঘুমের মাঝেও ছুটে যায়
সুখ করতে হরণ।

হিসাব কি যায় মিলানো 
ঘুমের মাঝে গল্প?
তুমিও কি  ঘুমিয়ে পরবে
সময় খুবই স্বল্প?

তাই তো এখন হলাম আমি
একা যাত্রী, 
তোমায় এখন বললাম আমি 
শুভ রাত্রি।