মোঃ জুলফিকার আলী জিল্লুর
ঘাম ঝড়ানো বুকে,বুকের পাঁজর ভাঙ্গা,
কাজের ফাঁকে খুন ঝরে গা হয়েছে রাঙা।
হঠাৎ করে মালিক এসে, কাজে দিলে ফাঁকি!
মজুরী তো পেলে না আজ, কাজ যে আছে বাকী।
রক্ত ঝরা গায়ে হাত দু 'খানা পেতে-
এমন কথা বল না বাবু "
ছোট্ট ছেলে অনাহারী পায়নি যেনো খেতে।
ধুততেরী সব বায়না ধরো অনাবদারী যত!
কাজ মিটেনি রক্ত ঝড়ার ছলে, পয়সা দেব কত।
বিনয়ী স্বরে ' বাকিটুকু কাল জীবন বাজি রেখে-
যা পাব মিলিয়ে দিও কাজটি তোমার দেখে।
আজ শুধু দাও অর্ধেক,কিনবো কিছু খানা-
বাকীটুকু না হয় দিও পরে,করছি না তো মানা।
ক্ষিপ্র স্বরে ' মুখে মুখে তর্ক কর কেন?
কাজটি কর শেষ,উল্টো হয় না যেনো।
ক"দিন পরে মিটিয়ে দিব সব,পাওনা আছে যত,
আর যদি হয় তেরাবেরা,শ্রমিক আছে কত!
অশ্রু -ঘাম -রক্ত মিলে হৃদয় হলো একাকার
ক্ষুধা-তৃষ্ণা অশ্রুসিক্ত তনু প্রশ্ন করে তুমি কার?
কাজের মালিক পাওনা যে রোজেই রাখে বাকি-
রক্ত তুমি বৃথা,তুমিও দিলে পাওনা পেতে ফাঁকি।
আজ যদি কাঁদে অনাহারে সন্তান, তুমি বিধাতার!
বিচার চাইনি আমি' মালিক ওরা,বিচার হবে কার?
অধিকার চেয়ে ' বছরে বছরে হাঁক তুলি একবার,
জানিনা!কোথায়?কি?কার কাছে এ আবদার?
No comments:
Post a Comment