Saturday, August 29, 2020

প্রাপ্যতা

প্রাপ্যতা
এম এ মাসুদ রানা

নির্জন নিরিবিলি বসে গল্প করি
বর্ষার আকাশে স্রোতহীন নদীতে ভাসায় তরি।
প্রবাহমান নদীর স্রোতের কাছাকাছি,
মনে মনে বলি এসো প্রিয়া গল্প করি।
তোমার মায়াবী কথাগুলো শুধু আমারেই কাঁদায়
এই ভেবে ভেবে আমার দু'চোখ ভাসায়।

কী ভেবেই তুমি নিয়েছ পলাতকা নারী সাঁজ?
দখিনা বাতাসে ডেকে যায় পূর্নিমার চাঁদ।
রোদে সোনালী চুল উড়ে, ঢেকে দেয় চোখ,
শুকনো হৃদয় তখনি দেখে রূপালী মেঘ।

অনাদর অবহেলায় পরে কেটেছে বেলা 
দেখবে ক্ষত বিক্ষত লাশ ধংসের প্রমত্ত মেলা।
ছিন্ন ভিন্ন রুপালী চাঁদখানি পরে আছে ধুলির মাঝে
জোছনায় বৃষ্টির প্রতিক্ষা নিরব হৃদয়েও বাজে।
হেমন্তের কাঙ্গাল রাতে তুমি করিবে অনুভব,
এতে হবে না প্রাপ্যতায় প্রাপ্তি সব।

আর কত দিন আর কত রাত

★★★ আর কত দিন আর কত রাত ★★★
★★★★★  এম এ মাসুদ রানা  ★★★★★

আর কত দিন, কত রাত
বিরহ বেদনায় কাঁদাবে আমায়।
এমন কিছু করবে তুমি 
একথা ভাবিনি কখনো আগে।
জানি তুমি থাকবে গো আমার হয়ে
তাই তো দিয়েছি পরান উজার করে
রাখিনি কোন কিছু আগলে ধরে।
সে দিনের সেই স্মৃতি আজো মনে পড়ে
সে দিনের সেই কথা আজো প্রাণে ধরে
সেই কথা স্মৃতি মনে হলে হৃদয় কেঁদে কেঁদে মরে।
তুমি কি আগে এমন কথা ভাবোনি?
তোমার দেওয়া তোমার ছবিটি পেয়ে
রেখেছি আমার হৃদয় মাঝে আপন করে
তবু তো নয়ন আমায় বারে বারে কাঁদায়।
তুমি  কি কেঁদেছিলে কখনো আগে?
তাই বুঝি আমাকে কাঁদাতে তোমার হৃদয় নাহি বাঁজে
বিরহ বেদনা দেওয়া তোমার কি সাঁজে!
অতীত স্মৃতি কথা তোমার মনে তো আসে।

Tuesday, August 25, 2020

অমীমাংসিত

অমীমাংসিত
এম এ মাসুদ রানা

হৃদয়ে অবহেলার রক্ত ঢাকা
আর কতকাল বইবো বলো?
মনের ভিতরে মন আছে বলেই -
তাই শুধু তোমাকেই চাই!
শুধু বিষ, আর শুধু বিষ,
সাথে থাকে অহর্নিশ।
আর কতকাল এই লুকোচুরি
খেলা আর খেয়ালি।
পাওয়া না পাওয়ার লড়াই!
কথায় কথায় করো এতো বড়াই,
কেনই বা বদলে গেলে!
আসতে পারো না কি কোন ছলে?
এতো করুণায় তোমার হৃদয় নাহি গলে।
কতকাল চলবে অমীমাংসিত সালিশ?
আবেগে অশ্রু জলে ভিজে কোমল বালিশ

Friday, August 21, 2020

কারাদণ্ড

______   কারাদণ্ড
        এম এ মাসুদ রানা 

আমি কার সাথে শুই?
কার সাথে ঘুমাই?
আমার কিছুই জানা নাই! 
পুরনো কথার কাছে ফিরে আসি বারবার, 
 ফিরে যাই, অতীতে, হই একাকার।
মুক্ত করতে চেয়েছিলো আমায়,
মুক্ত করতে পারে নাই। 
আমি জানি না, আমি জানি না, 
আমার মুক্তি হবো কখন ও কোথায়!
শুন্যতার সাদা শেওলায় ভেসে গেছি
একা একাই কারাগারে বসে আছি।
স্মৃতির পাতাগুলো এলোমেলো চারপাশ,
মুহূর্তে শুনবো কারাদণ্ডের স্বাদ।

Sunday, August 16, 2020

ভাল মানুষ

 ভালো মানুষ 
এম এ মাসুদ রানা

সাধনা হলো মোর শিক্ষা করা
শুরুর শিক্ষায় সাধনাকে ধরা।
আজ হয়াছি সাধনা সিদ্ধি
করিনি গুরু সাথে কোন যুক্তি।
বলি নাই মন্দ কথায় কোন ছন্দ 
হয়নি কখনো গুরুর সাথে দন্দ।

রাতেরো আকাশে চন্দ্রের আলোকে
বলে থাকি তো মোরা জোছনা, 
কেহ বলে আয় চাঁদ আয় কাছে আয়
চাঁদ মামা আয়, দুটো কথা বলে যায়।
চাঁদেরে কে চাই, ধূলির মাঝে 
জোছনা হলে সবাই আসতে চাই কাছে।

মুকুট পড়ে দাঁড়িয়ে থাকে রাজার বেসে
সে কি রাজা হবে কখনো শেষে-মেষে,
অন্ধকারে জ্বললে আলো, দূর হয় আধার 
মানুষ হবি, দরকার হবে না কাঁদার।
ভালো মানুষেরে গুণীরা করেছে কদর
সর্বক্ষণে তাঁহারা পেয়েছে সবার আদর।

Sunday, August 9, 2020

করোনাকালে

_____   করোনাকালে   _____
____ এম এ মাসুদ রানা ____

অন্তরঙ্গ দূরত্ব
পুরোনো নিয়মে তারা ঘুরপথে ফিরে আসতে চায়—
জানালার ধুলোট কাচে ছোপ ছোপ ছায়া বোনে,
সাড়া তোলে ব্যালকনিতেও।

কী দুঃসাহসে!
খকখক কাশি, বুড়োদের হাসির মতো ঠকঠক বাজে।
নতুন যারা, তারা চোখ মেলতে চায়
বন্ধ চোখের তারায় কড়কড়ে বালি 
তবু কী আহ্লাদে পিটপিট তাকায়!

জানালা-কপাট বন্ধ, রুদ্ধ ব্যালকনি
কারও আসার নেই, যাওয়ার নেই
বাতাস না, ধূলিকণা না, নিশ্বাসও না
পুরোনোরা কালো দাঁত ঝিকিয়ে হাসে;

কত দূরে যাবে
কতটা দূরে গেলে দূরত্বকে নিরাপদ বলবে তুমি!
কতটা দূরত্ব নিরাপত্তা দিলে দূরত্বকে দূরত্ব বলবে তুমি!
অন্তরঙ্গ দূরত্বে মানুষের মৃত্যুতে হয়।

টোকন ঠাকুর, খিদে ও খাদ্য
কেউ আমেরিকা যাবে, যাক
সামর্থ্য আছে যাওয়ার।
কেউ স্ট্রবেরি খাবে, খাক
সামর্থ্য আছে খাওয়ার।

 তুমি কি খাবে?
কোথায় যাবে? 
কি বা আর তুমি খেতে পারো?
কোথায় আর যেতে পারো?
মরবার আগে পেট পুরে খাও,
খিদে যা আছে তাই খেয়ে যাও।

আমি কি খাব? 
কোথায় যাবো?
এমন দেশ কি আছে? 
যেখানে মানুষ মানুষে ভেদাভেদ নাহি আছে,
রোগীদের প্রতি অনুরাগ সবার থাকে।

Saturday, August 8, 2020

অশান্ত মন

       অশান্ত মন
  এম এ মাসুদ রানা

নিদ্রাহীনতায় আমার দুটি'চোখে
জেগে আছি এক একা সারারাত।
তোমার স্মৃতি পরে মনে বারে বার,
দু'নয়নে আসে যায় জলে
তুমি বুঝলে না তার ফল।
গড়া স্বপ্নের বাধ ভাঙ্গে যায়
তবুও অশান্ত মন তোমাকে চায়।
হবে কি দেখা তোমার সনে?
ভাসা ভাসা মেঘ ভাসে মেঘে!
আসবে আবার কি শেষমেষে?
নিরাশার কাল আঁচলে ঢাকা
দমকা হাওয়া কখনো হয়নি ফাঁকা।
জ্যোৎস্নাটা আধারে ডুবে গেছে,
কেমনে দেখবো তোমায় বলো।
আজো আছি পথ চেয়ে!
তোমায় পাবার আশা নিয়ে
নিরাশার আশাকে দেখা দিয়ে।
আশাত্তুর হৃদয় হয় না ক্ষান্ত
নিরালায় বসলেই হয় অশান্ত।

Tuesday, August 4, 2020

হায়রে অর্থ

             হায়রে অর্থ
       এম এ মাসুদ রানা

যদি তোমার কাছে থাকে না অর্থ 
সব জায়গায় হবে তুমি ব্যর্থ।
প্রতি মুহূর্তে প্রিয়জনের কাছে পাবে কষ্ট 
তোমাকে দেখে বলবে তারা আমি ব্যস্থ।
করবে না কেউ তোমাকে স্বরণ
যদি হয় তোমার কোন কারণে মরণ।

ভাই-বোন, পিতা-মাতা দেখে শুধু সম্বল
তারা চাই, শুরু তারা চাই, তাদের অবলম্বন। 
শূণ্যতে হয় না কোন দোয়া কবুল আলেমগণে বলে
দোয়া দরূদে অর্থের প্রয়োজন আলেমের কথায় প্রমাণ। 
অর্থ ছাড়া দেবতাও তুষ্ট নয় গুণীজনে কয়
সবকিছু দিয়ে পূর্ণ করে পূজা দিলে দেবতা খুশি হয়।

অর্থ ছাড়া পায় না প্রেমিক প্রেমিকার কাছে দাম
অর্থ দিয়ে নির্ণয় হয় ভালবাসার মানা।
ভাই বল, বন্ধু বলো,  বলো কতো স্বজন 
অর্থ সাথে থাকলে করবে তারা কদর।
অর্থের বিনিময়ে হয় কত অপরই হয় আপন
অর্থ ছাড়াই হয় কত আপনই আপর।

যদি থাকে তোমার কাছে অর্থ 
তোমার কষ্টে তারাও পাবে কষ্ট। 
সর্বদাই কাছে থেকে হবে তারা ব্যস্থ
অর্থ থাকবে তবু্ও দিতে চাইবে অর্থ। 
ভুলেও বলবে না, হচ্ছে না তাদের সাধ্য
কাছে থাকতে হবে তারা বাধ্য। 
অর্থের কাছেই হয় শিক্ষার পচন
অর্থ ছাড়া কেউ শিক্ষাকে করে না যতন।

Saturday, August 1, 2020

বর্ষা

                    বর্ষা
          এম এ মাসুদ রানা 

হে বর্ষা, 
তুমি এসেছো নতুন সাঁজে
তাই তো মোর মনে কিছু কথা আসে।
কি দারুণ ছন্দে ডাকে মোর বন্দে
অনেক পাখির ছানা ডাকে মধুর কণ্ঠে। 

হে বর্ষা, 
তুমি এসেছো বলেই তো
জল করে তাই  থৈ থৈ
জেলে মাঝি করে হৈ হৈ।
হাঁস ছানা খেলা করে
মনের সুখে আহার ধরে। 
শিরি শির বৃষ্টি, শনশন শব্দ 
করেছো সবাইকে জব্দ। 

হে বর্ষা, 
তুমি এসেছো তাই তো,
ক্ষণে ক্ষণে মেঘ ডাকে
এই এলো বুঝি বৃষ্টি
একত্রে বসে থাকার সৃষ্টি 
বৃষ্টির দিকে থাকে সবার দৃষ্টি। 
বর্ষার দিনগুলি লাগে খুব মিষ্টি
আমন রোপনে কৃষকের দৃষ্টি। 

হে বর্ষা 
তোমার আগমনে তো
বিলে-ঝিলে ফোটে শাপলা পদ্ম
তাই কবিগণ লিখে গদ্য আর পদ্য
অভিনয় করবে তাই সেজেছে ছদ্ম। 
কি দারুণ তোর নতুন সাঁজ! 
ঝনঝন করে বাঁজে বৃষ্টির বাঁজ।
খেলে সবাই আপন খেলা
মাঠের মাঝে কাটে কৃষকের বেলা।

বিরহের দিন

                 বিরহের দিন 
             এম এ মাসুদ রানা

কোটিপতি ছেলের সাথে প্রিয়ার বিয়ের আয়োজন
সেই বিয়েতে করেছে আমায় নিমন্ত্রণ
যে প্রিয়া ছিলো আমার প্রাণের চেয়ে দামী
তার বিয়েতে কি উপহার দিবো বল আমি?

প্রিয়া দু'টি চোখে পরত যখন দু'টি চোখ
অজানার সুখে ভোরে যেতো সারা বুক।
ইশারায় ও কথার মাঝে খুঁজে পেতাম সুখ
ছোয়ার সাথে সাথে হারিয়ে যেতো হুস।

পাঁচ বছরের ভালোবাসা হলো মূল্যহীণ
তাই বাজেনি তোমার হৃদয়ে প্রেমের বীণ।
তাই দেখে দেখে কসটতে হবে সারাদিন
তোমার হৃদয় ছিলো ভালোবাসা মূলহীন,
নিমন্ত্রণ দিয়ে রাখলে না তো কোন ঋণ
শুরু হলো গেলো জীবনের বিরহের দিন।