Thursday, March 28, 2019

অপূর্ণ ইচ্ছা

________ অপূর্ণ ইচ্ছা ________
_____ এম এ মাসুদ রানা ______

বুক ভরা আশা নিয়ে
এসেছিলাম তোমার কাছে,
তোমাকে ভালোবাসবো বলে
তুমি আমাকে ভালোবাসবে বলে।

বুক ভরা ভালোবাসা ছিল
সাগর সম গভীর বিশ্বাসও ছিল
পূর্ণিমা জ্যোস্না রাতের মত
নিশি জাগা সেই সুখ তারা
আগে যেমন ছিলো
আজও ঠিক তেমন আছো
যেমনটি ছিলো সে দিনে।

শুধু সময়ে বদলে গেছে
তোমার মনের টান।
অনুভূতিও হারিয়ে গেছে
কমল মনে দিলে যে,
সবুজ বুকে ক্ষত চিহ্ন
পোড়া মনের ভাজে ভাজে
কি যে,বিষাদের গন্ধ?
ইচ্ছেটা রইলো অপূর্ন!

Monday, March 25, 2019

স্বাধীনতা

_______"স্বাধীনতা"_______
______মোঃ-মাসুদ রানা_____
_________________________

স্বাধীনতা তুমি শহীদ জিয়ার
কালুরঘটের ধ্বনি,
স্বাধীনতা তুমি স্বপ্নে দেখা না কি?
বাংলার  কমল বদন খানি।

স্বাধীনতা তুমি লাক্ষো শহীদের রক্ত দিয়ে কেনা
আমাদের স্বাধীন দেশের মাটি,
স্বাধীনতা তুমি মুক্তি জনতার
দেহতে রক্তমাখা পাটি।

স্বাধীনতা তুমি রক্তে রাঙা
বাংলার সবুজ রাজ পথ,
স্বাধীনতা তুমি বাঙালী বধূর
গৌরব উজ্জ্বল  নথি।

স্বাধীনতা তুমি আবাল বৃদ্ধ বণিতার
কৃষক শ্রমিকের মুখে হাসি,
স্বাধীনতা তুমি গর্জে ওঠা-
পাগল, নিপীড়িত দেশ বাসি।

স্বাধীনতা তুমি যুদ্ধ জয়ের
মুখোরিত সেই গান,
স্বাধীনতা তুমি ছিনিয়ে আনা
বাঙালী জাতির প্রাণ ।

স্বাধীনতা তুমি  দেখো না কোন অপরাধ
এই বাংলার প্রাণ
স্বাধীনতা তুমি যুগে যুগে যেন,
হয়ে আছ অম্লান ।

স্বাধীনতা তুমি বাঙালীর বুকে
থাকবে চিরস্মরণীয়  হয়ে,
লাঞ্ছিত হতে দেবো না তোমায়
আগলেবো জীবন দিয়ে।

বার্তা

__________ বার্তা ___________
®®® এম এ মাসুদ রানা ®®®

বলবো না গো কোনদিন
আমার বার্তাটা পড়,
বলছিলে তো পড়বে
আজ কেন গো এমন হলো।

বার্তা দেওয়া যদি হয় অপরাধ
তা নিয়ে করবো না কোন প্রতিবাদ
তোমায় বার্তা দিয়ে যে ,
পেলাম আঘাত সে আঘাতে
সে আঘাতে জ্বেলে দিবস রাত।

পরিশেষে বলি ,
শুধু একবার, শুধু একবার
দ্যাখ আমার বার্তাটা।
বার্তা না দেখলে
বিফল হবে এই শুভ বার্তা।

Sunday, March 24, 2019

শুভ রজনী


****** শুভ রজনী ******
*** এম এ মাসুদ রানা ***

তুমি চলেই যাবে যদি!
তবে এসেছিলে কেন? 
মায়াবতী কপল নিয়ে 
বলে গেলে শুভ রজনী।

এমন করে খেললে কেন লুকোচুরি?
প্রতি ক্ষণেতো চলে তোমার খেলা।
খেলার ভেলায় ভাসালে তুমি 
নিলে না কোন খবর?
শুধু বলে গেলে শুভ রজনী।

রজনীর শুভ ক্ষণে বলি যাচে যাচে
তুমি কেমন আছো লুকোচুরি খেলে,
খেলার ভেলায় ভাসালে আমায় 
ভাসলে না একবারও তুমি।

Thursday, March 21, 2019

আবেগ

 ___________ আবেগ __________
            এম এ মাসুদ রানা 

জানি না কেন তোমার এতো  আবেগ
তোমার উতলা আকাশে জমেছে মেঘ,
বৃষ্টি  ঝড়িয়ে তোমার আবেগ করো শেষ
ঝড়াও জল আছি তো কাছাকাছি বেশ।

তুমি চেয়ে দেখো আমার পানে
সূর্যালোকে ফোটা কত রকমের  ফুলে,
ফাল্গুনে মৌ মৌ গন্ধে পাখি উদাস মনে গায়,
তৃষ্ণাতূর মনে জাগে যদি শিহরণ কোন ক্ষণে
শুকে নিও ফল্গুধারা সুরভী ঘ্রাণ ভাঙ্গা নিশিতে।

যদি মন কাঁদে আগেব ভুলে কোন লগনে
ব্যাকুল হয়ে থাকবে না কখনো যত্নে
চাদনী রাতের শিশির কণায়  ভিজে গেলেও 
তুমি খুজে পাবে আমারে!
আমি বলি ফিরে এসো আমার পানে।

Sunday, March 17, 2019

উপহার

******** উপহার *******
**** এম এ মাসুদ রানা ****

কেন তুমি বারে বার আসো?
কেন তুমি বারে বার ডাকো?
কেন তুমি বারে বার হাসো?
কেন তুমি বারে বার অভিমান করো?

জানি না তো এতে তোর কি লাভ?
জানি না তো এটা তোর কোন প্রতিবাদ?
জানি তো এটাতে আমার কি ক্ষতি ও লাভ?
জানি নাতো তোর কেন এতো নিরব প্রতিবাদ?

আমি বলি শুনো তুমি,
কেন কিছু বলনা তুমি?
তোর তো কিছু না কিছু বলার আছে,
বলতে চেয়েও কেন এতো লুকোচুরি?
যা বলার তা বলতে হবেই।
কোন করো, দ্বিধা আর দণ্ড।

আরো বলি, শুনে নিও তুমি,
আসা যাওয়া কি ভাবনা
কেউ নিরুদ্দেশে যাবে না।
যার কামনা বাসনা বারে বার,
আমি নেব তোমার উপহার।

Thursday, March 14, 2019

ফিরে এসো তুমি


***** ফিরে এসো তুমি
✪✪ এম এ মাসুদ রানা 

বৃষ্টির জন্য বসে আছি; 
যদি বৃষ্টি আসে,
বৃষ্টির পথ চেয়ে আছি
বৃষ্টি এলে নাচি।

মনে হয় বৃষ্টি নামবে
বাজবে আনন্দের বাজ
আকাশ ভেঙে প্রবল 
বৃষ্টি নামবে আজ।

আকাশে মেঘ রয়েছে 
বাতাসে স্তব্ধতা
আমার আকাঙ্খা বৃষ্টি 
রয়েছি আমি বদ্ধতায়।

আমার পানে 
সজীবতা হয়ে মৃয়মান প্রাণ
ফিরে এসো তুমি 
ফিরিয়ে দাও ভালোবাসার মান।

Wednesday, March 13, 2019

ছলনা

___________ ছলনা
______ এম এ মাসুদ রানা

ভালোবাসা দিয়ে আবার উধাও হয়ে গেলে,
এ কেমন প্রেম  দিলে বলো আমায়।
দাও নাই  প্রেম শুধু দিয়েছিলে  ছলনা,
মন নিয়ে খেলা খেলেছ আমার।

ছলনার মায়াজালে বেঁধেছিলে আমায়,
দু:খ বেদনা ছাড়া কি দিলে তুমি।
খেলার ছলে আমায় করেছিলে সাথী,
মন ভাঙ্গা যন্ত্রনা দিয়েছো দিবারাতি।

তোমাকে ভালোবেসে নিঃস্ব হয়েছি আমি
 পেয়েছি অনেক লাঞ্চনা আর বঞ্চনা,
ভালবাসার উল্টো পিঠে থাকে শুধু ঘৃনা।
মমতা যদি হয় নারীদের শ্রেষ্ঠ সম্মান,
সেই তুমি সম্মানে করেছো অপমান।
ভালবাসা কাকে বলে আজও বুঝলে না,
বুঝবে সেই দিন যখন আমি থাকব না।

Tuesday, March 12, 2019

মিছে ভাবনা

____ মিছে ভাবনা___
__এম এ মাসুদ রানা__

যখন তুমি কাছে ছিলে,
যখন তুমি পাশে ছিলে,
যখন তুমি আশার বানী শুনানে,
যখন তুমি খেলেছিলে লুকোচুরি।

আর বলেছিলে ভালোবাসি
তোমাকে ভালোবাসি।
তুমি একবার বল না ভালোবাসি
আমিতো তোমাকে ভালোবাসি
তোমারই পাশে আছি এবং থাকবো।

আমি যাচি নাই কোন কথা
বলি নাই বাসি ভালো তোমাকে,
তোমাকে নিয়ে ছিলনা কোন বাসনা
কনিনাই কোন জল্পনা ও কল্পনা,
বসি না ভালো তোমায়
বলেছি এই মুখে,
ফিরিয়ে দিয়েছি আমি ব্যথা দিয়ে বুকে।

তব কেন, তুমি চলে যাওয়া
আমর চাঁদ ডোবা ডোবা মনে হয়।
তোমাকে যাচিতে মন চায়
তুমি এখনো আমায় ভালোবাসো
আগের মত এখনো আমায় মনে রাখো।

Sunday, March 10, 2019

মিথ্যাবাদী

_____  মিথ্যাবাদী
___ এম এ মাসুদ রানা

স্বার্থপর চোখ ও দুঃখময় হাসি
বিদীর্ন চোখ পাথরের ঢেউ।
সঙ্কটময় চোখ ও আষাঢ়ে নদী
ফসিল চোখ  আঁধারের কেউ।

ভ্রান্ত চোখ ও টলমল নদীর জল
জখম চোখ একাকী বৈরাগী।
আমানত চোখ ও অধিক ধর্মীয়তা
মিথ্যাবাদী চোখ এক নষ্ট দীঘি।

জলসা চোখ ও গার্স্থালী সম্পত্তি
রাখালী চোখ দারিদ্র চোষা।
আহত চোখ ও বিষাক্ত কথা
দ্রব্য চোখ শুধু মন কষা।

Saturday, March 9, 2019

ললনা তোমাকে বলছি

ললনা তোমাকে বলছি
__ এম এ মাসুদ রানা

ললনা করো না প্রতারনা
বাড়িয়ে দিতে এসো না হাত;
তবে বদলে দেবো পৃথিবী,
বদলে দেবো তোমায়।

ভেঙে গুড়িয়ে দেবো জগৎ সংসার!
আগুন জ্বালিয়ে দেবো ধরনীর তলে,
আমার হৃদয়ের সাথে করো মিথ্যে প্রতারনা।
ভেবোনা এই আমার সতর্কবার্তা
এই আমার জ্যেষ্ঠ স্লোগান।

নিতান্ত নিবেদন,
একান্ত অনুরোধ তোমারি তরে।
ভালোবাসার আহ্বান হোক
ফাল্গুনের পলাশের ফুলে ফুলে;
হোক শ্রাবণও বৃষ্টি ধারায়
ভালোবাসা দুটি প্রাণের স্পন্দনে,
বিশ্বাসের অটুট বন্ধনে,
নিঃস্বার্থ হৃদয়ের অনুভূতিতে,
ফোটাও সুবাসিত সদ্য গোলাপ।

অব্যক্ত কথা

অব্যক্ত কথা
এম এ মাসুদ
রানা


তুমি সুখী হলে,
এই আমি দূরে রবো
ভেবোনা না মিছে বিরহে
 চিরদিন দু:খ পাব,
তোমার স্মৃতি ভেবে ভেবে।
হৃদয় কত না রঙয়ের স্বপ্ন দেখে যায়।
বলো তার সব কি সত্যি হয়?
দু’চোখে যদি নামে অকারনে শ্রাবণ
ভেবে নেবে সব কিছু ভাগ্যের লিখন।
স্মৃতি যদি হয়ে যায় বেদনা,
পিছু ফিরে  আর দেখব না।

Saturday, March 2, 2019

অধরা

_________ অধরা _________
_____ এম এ মাসুদ রানা _____

জীবনের চরম কর্মব্যস্ত ক্ষণে
তবুও তোমায় পরে মনে।

চার রাস্তার মোড় কিংবা
ল্যাম্প পোষ্টের পাশে দাড়িয়ে
বলি কেমন আছো তুমি।

কখনো কখনো ক্লান্ত মনে
বিশ্রামের শুভ ক্ষণে,
কত কথা জাগে মোর মনে
ঠিক তখনও,
জাগো তুমি মোর মনে।
হলে বুঝি মোর বনলতা সেন।

মোর ক্লান্ত অবসান করতে
হবে তো বনলতা প্রয়োজন।
তাই বলি শুনো নাতো তুমি
বলো না তো কখনো,
আমি সেই বনলতা।

Friday, March 1, 2019

নিঃসঙ্গতা


 নিঃসঙ্গতা 

এম এ মাসুদ রানা 


গৌধুলি বিকাল বেলায় 
সূর্য যখন অস্ত নামে!
গৌধুলীর রঙ মেখেছি গায়
ছুটছে নীড়ে পাখির দল।

দখিনা হাওয়ায় ভরেছে দেশে
মৃদুল হাওয়া নাড়ছে চুল।
চোখে মোর স্বপ্ন ভরা
ভাসছে যেন জলে ফোঁটা পাদ্ম।

সোনালী রং ধরেছে মনে
পশ্চিমাকাশ হচ্ছে ম্লান। 
স্বপ্নের প্রজাপতি মেলেছে ডানা
এক পশলা ভালোবাসা দিয়ে অন্তরে।

Sunday, February 24, 2019

আমার প্রেম

_____ আমার প্রেম
  এম এ মাসুদ রানা


আমার এ প্রেম নয় তো ভীরু,
নয় তো হীনবল -
শুধু কি এ ব্যাকুল হয়ে
ফেলবে অশ্রুজল।
মন্দমধুর সুখে শোভায়
প্রেম কে কেন ঘুমে ডোবায়।
তোমার সাথে জাগতে সে চায়
আনন্দে পাগল।

নাচ' যখন ভীষণ সাজে
তীব্র তালের আঘাত বাজে,
পালায় ত্রাসে পালায় লাজে
সন্দেহ বিহবল।
সেই প্রচন্ড মনোহরে
প্রেম যেন মোর বরণ করে,
ক্ষুদ্র আশার স্বর্গ তাহার
দিক সে রসাতল।
       

Thursday, February 21, 2019

সেকাল একাল


                                                                                                            




সেকাল

একাল
মোঃ জুলফিকার আলী জিল্লুর
আমিও একদিন ছাত্র ছিলাম।অতিতে ফিরে গেলে মনে এক স্মৃতিময় সুখ জাগে। মনে জাগে প্রধান শিক্ষক,আমান স্যারের শিক্ষা কৌশল। মনে পড়ে মমতাজ স্যারের নম্র হাসি আর তীব্র শাসন।সৃস্মির গায়ে গাচুলি দেয় অন্য সব প্রিয় শিক্ষকদের সুখময় শাসন।
খুব মনে পড়ে সাজা গুলো।কিঞ্চিৎ অপরাধে বেঞ্চের নিচে মাথা ঢুকিয়ে রাখা,তপ্ত রৌদ্রে সূর্যমুখী হয়ে দাড়িয়ে থাকা,কাচা কঞ্চির নির্মম বেত্রাঘাত, ছেলেদের দিয়ে মেয়েদের আর মেয়েদের দিয়ে ছেলেদের কান মোলানো আর কান ধরে দাড়িয়ে থাকা সে তো নিত্য দিনের ব্যাপার।সত্যিকার মানুষ হিসাবে গড়ে তুলবার সুনিপূণ কৌশল গুলি হৃদয়কে আজও দাগা দেয়
শাসন আর সোহাগ যে সন্মান সৃষ্টিতে কিভাবে মানুষকে সহায়তা করে আজ তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পারছি। তাদের সেই শাসন মাখা সোহাগ গুলি আজও নাড়া দেয়।আজও স্যারদের দেখলে মনে হৃদয়ে ভয়ের, সন্মানের অনুভূতি জন্ম নেয়।মনে জাগে স্যারের সাথে কথা বলতে কোন ভুল বাক্যপ্রয়োগ হচ্ছে কি না
আজও স্যারদের দেখলে বিবেক তাড়িত হয় সাবধান হয়ে দাড়িয়েছি কি না।সালাম টা দৃষ্টিগোচরের সাথে সাথে পৌঁছাতে পেরেছি কি না।
কি দারুন আর্কষণ তৈরী করেছে সেকালে শিক্ষা আদর্শ। আমি ছাড়াও সেকালের অনেক ছাত্রকে স্যারদের দেখে আচুকাচু করতে দেখে আমার মনে অনুভূতি হয় যে, সেকালের স্যারেরা শাসনের অন্তরালে কি যে আদর্শ সৃষ্টি করেছে তা অকল্পনীয়
স্যারেরা কাচা কঞ্চির বেত্রাঘাতে রক্ত ঝড়িয়ে যে স্যার কিংবা বড়দের সামনে উচ্চবাচ্য কথা বলার জীবাণু বের করেছিল,সে দিন দুষ্ট দৃষ্টি পুণ্য হলেও আজ যে তার অর্থ বুঝেছি তাতে কোন সন্দেহ নাই।
হৃদয়ের দরজা ভেঙে মন বারবার ছুটে যেতে চাই সেকালের স্যারদের দরজায়,স্যালুট জানাতে জানাতে চাই স্যারদের হাতের কাঁচা কঞ্চিটিকে, জানাতে চাই শিক্ষার অন্তরালে শাসনটিকে
স্যারেরা শ্রেণী কক্ষে ঢুকবার সময় আমাদের ভয়ের দৃশ্যটি, এই আসছে অংক স্যার এই আসছে ইংরেজি স্যার, নিঃশব্দ হয়ে যেতাম সকল ছাত্র ছাত্রী। পড়া না হওয়ার ভয়টুকু ভিতরে থাকলে তো আর কথায় নেই।স্কুলে অনুপস্থিত হলে সাজার ধরন হতো অভিনব নিয়মে
প্রাথমিক শিক্ষা পেড়িয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা জীবনে পাড়ি দিলে সাজা লজ্জা পাওয়ার ধরনও বদলে যায়।এই ধরুন ইটের খোয়ায় হাঁটু পেড়িয়ে রৌদ্র অভিমুখে নীল ডাউন করে রাখা,বৃত্তকারে একে অপরের কান ধরে উঠ বস করানো ছাড়াও কাচাকঞ্চির তীব্র আঘাত সেতো সচরাচর
প্রাথমিক মাধ্যমিক শিক্ষা সৌখিন শাসনের অন্তরালে ছোটখাট দু একটি স্যারদের দৃষ্টির বাইরে বন্ধু মহলে কিল ঘুসি হলেও স্যারদের দরবারে পৌচ্ছানো ছিল দূর্লভ।ভুল ক্রমে পৌচ্ছালোও হাতের চামড়া ফেটে আসামী বাদী দু পক্ষরেও রক্ত ঝড়ার সম্ভাবনা ছিল তাতে কোন সন্দেহ ছিল না
শিক্ষা জীবন পেড়িয়ে যখন কর্ম জীবনে পাড়ি দিলাম,তাও আবার শিক্ষকতা পেশায়। তখন মনে হলো একটি প্রবাদ
শিক্ষকের গরম,দোকানদারের নরম,আর মেয়েদের শরম
এই উপাদানের ঘাটতি ঘটলে পেশা যে একেবারে রসাতলে যায় বর্তমান শিক্ষাঙ্গন প্রবেশ করলো বোধকরি এর উপলব্ধি করা সম্ভব
বর্তমান বিদ্যাপিঠে বিদ্যার মহিমা যুগের সাথে যুদ্ধ করে কালের ট্রেনর যাত্রী হলেও সন্মানের মহিমা যে টেনের চাকায় পিষ্ট হচ্ছে তা স্যার আর ছাত্রের ঘেষাঁঘেসি, মেশামেসি আর ঠেসাঠেসি অনুমেয়
সরকার অধিভুক্ত কতিপয় বিদ্যাপিঠ নিয়মের শৃঙ্খলায় আবদ্ধ হলেও বহিরাগত বিদ্যাপিঠ সমুহে শিক্ষার্থীরা মুক্ত বিহঙ্গের মত স্বেচ্ছাচারী নীতিতে চলাফেরা করার দৃশ্যটি হৃদয় বিদারক
ক্লাস রুমে ডুকেও তারা মনের আনন্দে নিজের বাক্যলাপে ব্যস্ত।শিক্ষক মহোদয় শিক্ষার বান ছুড়বার চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীরা শোভনীয় নয়।মাঝে মাঝে উচ্চস্বরে ধমক দিলে হেন সময় শান্ত থেকে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়।এমনি করে সময় অতিবাহিত হলে ঘন্টা বেজে যায়।তার মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী বুঝবার চেষ্টা করলেও মনের জায়গায় পুরোটা ঠাঁই দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না
শিক্ষা আর দীক্ষা, শিক্ষক আর শিক্ষার্থী ক্লাস রুমে যে সতীনের রুপে অবর্তীর্ণ, তাতে এই মনে হয় বাড়ীর কর্তা বড়ই নিরুপায়। কাউকেই শাসন দ্বারা বধ করবে অতপর পরক্ষণে স্নেহের যাদুই অবশ করবে এই সময় বিন্দু পরিমান অবশিষ্ট থাকে না।
তার মধ্যেই শিক্ষার্থী সংকোচহীন ভাবেই প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে। বলা বাহুল্য তাদের দ্বারা সম্ভব না হলে বহিরাগত অছাত্র নামীয় ছাত্ররা অতিথির বেশে মুহূর্তে মধ্যে এসে শাসকের রুপ ধারণ করে
মাঝে-মধ্যে শিক্ষক মহোদয় শিক্ষার্থী কর্তৃক অভিযুক্ত হয়ে আসামীর কাঠগড়ায় চোর্যরুপে দাড়িয়ে নিজের শিক্ষকতা পেশার প্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলে।
অপরাধ যদি গুরুতর হয় সে ভিন্ন কথা।লঘু অপরাধ কর্তৃক, ধরুন ঃগালে থাপ্পর, হাতে বেত,দাড়িয়ে রাখা, পরীক্ষায় স্থান পরিবর্তন করে দেওয়া, কান মোলিয়ে দেওয়া, পরীক্ষায় ফেল হওয়া ইত্যাদি। অধুনা শিক্ষানিবাসে শিক্ষার্থীদের সামাজিক কিংবা আত্মা মর্যাদায় নিদারুণ বাঁধে
তাই শিক্ষার্থীরা কখনো গোপনে কখনো প্রকাশ্যে অপমানের প্রতিশোধে জ্বলে। কখনো কখনো অভিভাবক কিংবা অতিথি বন্ধুদের উপস্থিতি তাদের প্রতিবাদকে সজিব করে তুলে
শিক্ষক মহোদয় গাছ বপনের প্রাক্কালে গাছের গোড়ায় শাসন নামের লাঠিটি গাছকে সোজা কারার জন্য অলংকিত করতে না পেরে গাছ যে আঁকা বাঁকা আচরনে বড় হচ্ছে, সে কারনে আশার ফসলে ইউ পোকার আবির্ভাব ঘটছে তাতে সন্দেহ নাই
আজকাল শিক্ষক আর শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের বাহিরেও তেমন চলাফেরায় আদর্শ প্রতিফলন পরিলক্ষিত হয় না।কেমন জানি নতুন সমাজ নতুন জাতি আর নতুন আদর্শ, নতুন ভাবে মানে চলতে পুরনো কে অনায়াসে বাধ্য করে ফেলেছে।
বাধ্য করার ফসল যদি গতানুগতিক সফলতার বাইরে সুস্থ সামাজিকতার আবির্ভাব ঘটাতো তা আলেদা কথা।তা তো নয়ই বরং সভ্যতা, সংস্কৃতি, আচার আচরণ পচনের সীমানা ঘেসেছে কি না তা ভাববার ব্যাপার
বর্তমানে শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত কিংবা তাদের কমল হৃদয়ে কোন প্রকার আঘাত ছাড়াই শিক্ষা জীবনকে আদর্শিক ছাত্র রুপে পরিনত করার সরকার কর্তৃক আদিষ্ট হওয়ায় অভিভাবক মহোদয় সেই তরীতে পাড়ি জমিয়েছেন। তাই আর সোনার ছেলে কিংবা মেয়েদের শাসন নামক শব্দটি মোটেই মেনে নিতে নারাজ। তবে যৎসামান্য অভিভাবক যে শাসন নামক শব্দটি শিক্ষার ক্ষেত্রে অপরিহার্য মনে করেন,তা অস্বীকার করার মোটেই উপায় নেই
জায়গায় শিক্ষক মহোদয় বড়ই নিরুপায়। ক্লাসে নয় জন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে সহনশীল হয়ে এক জনের প্রতি কঠোর হওয়া বড়ই দুঃসাধ্য। শাসন ছাড়া সোহাগ আর সোহাগ ছাড়া শাসন একেবারে যে বিফল তা অভিভাবক মহোদয় অবহিত না হলেও শিক্ষক মহোদয় যে মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছে তা বুঝতে বিন্দু মাত্র অবশিষ্ট নেই
সরকার বাহাদুর শিক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি
প্রণয়ন করে শিক্ষা পরিবারকে আলোকিত করার সৎচ্ছা নিদারুন প্রশংসনীয়।
এই ধরুন, শিক্ষককে প্রকৃত গুনগত মানের শিক্ষক বানাতে বিভিন্ন কর্মশালা, প্রশিক্ষণ, প্রত্যক্ষ,পরোক্ষ নানা ভাবে উদ্দ্যোগ গ্রহণ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
তবে প্রশিক্ষণ যত মজবুতই হউক বিদ্যালয় তদারকি বড়ই নিরস।তাই অতি উৎসাহী আমরা কিছু শিক্ষক অর্থ উপার্জনের নির্মিতে একই টিকিটে ডবল প্রোগ্রাম পেত বেমালুম মত্ত
শিক্ষকতা পেশায় উপস্থিত হয়ে আমার উপলব্ধি হয়েছে পেশাগত শিক্ষক হওয়া যত সহজ শিক্ষক হওয়া ততো সহজ নয়।পেশাগত শিক্ষক হয়ে আমরা মাস ফুরাবার অপেক্ষায় থাকি আর শিক্ষক হতে হলে অনেক মেধা, শ্রম, জ্ঞান নৈতিকতা অর্জন করতে হয়।
যা ছাত্র, অভিভাবক সমাজের হৃদয়ে স্থান দখল করতে হয়।তাই প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কতটুকু প্রয়োগ হচ্ছে তা নিরীক্ষা করা প্রয়োজন
সেই সাথে শিক্ষক মহোদয়, সোনাকে অলংকার রুপে সৃষ্টি করতে যত টুকু অগ্নিয় তাপ শক্তি প্রয়োগ প্রয়োজন তা দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।কেবল হাত হাত দোলায় আর মুখের মিষ্টি বুলি ছুড়ে সোনাকে অলংকার করার দুঃস্বপ্ন পরিহার করতে হবে
সহজ পদ্ধতি সোহাগ দ্বারা সোনার সন্তানদের মানুষ বানানো সহজ,তবে গুনের প্রদীপ জ্বালানো মোটেই সহজ নয়।যেমন একটি পরিপূর্ণ নতুন মটর গাড়ী তেলবিহীন অচল,তেমনি জ্ঞানের তেল ছাড়া একজন পরিপূর্ণ মানুষও সমাজে অচল।
বর্তমানে জ্ঞানের তেল ছাড়া মানুষ তৈরির কারখানা গুলিতে মানুষ উৎপাদন হচ্ছে বলেই সংবাদ মাধ্যম গুলিতে অপরাধের সংবাদ প্রতিনিয়ত মানুষের হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করছে
উদাহরণ এই রুপ এসে দাড়ায়" ঐশী যার আদরের অমূর্ত লালনে মানুষ রুপে বড় হল,অবশেষে সেই সর্বনাশের কারন হলো।এছাড়া শাসন হীন বিদ্যানিবাশ গুলো আজ শিক্ষার্থীদের অবাধ চলাফেরার কারনে বয়ঃসন্ধি কালেই অভিভাবকদের পুলিশি দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এতটুকু সজাগ দৃষ্টির আড়াল হলে সোনার সন্তান আর সোনার থাকে না।সেচ্ছাচারী মন হয়ে উঠে মদপায়ী,ছেলে হলে হয় কন্যাচোরা আর মেয়ে হলে পুত্রচোর।ফলে ক্রমাগত দূর্বিত্তায়ন বেড়ে সমাজে অশুভ রোগ আবির্ভাব ঘটে।
যেমন মরন রোগ, বাল্য বিবাহ, ইফটিজিং, নেশাগ্রস্ত, ছেলে দ্বারা পিতা খুন মেয়ে দ্বারা মাতা খুন, প্রেমিক দ্বারা প্রেমিকা খুন,প্রেমিকা দ্বারা প্রেমিক খুন,গুম,এলোপাথাড়ি ধর্ষণ,ছাড়াও নানা বিদ অপরাধের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে
মুলত আদর্শিক মানুষ তৈরি করতে শিক্ষক মানষিকতা হারায় বলে, অপরাধ অপরাধী জন্মলাভ করে মানুষ তৈরির কারখানা গুলোতে।পরবর্তিকালে ছড়িয়ে পড়ে সমাজ, জাতি দেশের সর্বত্রে।আর এই কারখানা যতদিন পর্যন্ত শাসন আর সোহাগের দ্বারা পরিচালিত হওয়ার যৌবন ফিরে না পায় ততোদিন পর্যন্ত সঠিক উৎপাদনে সক্ষমতা ফিরে আসবে বলে আশা করা অসম্ভব
তাই কিছু সাফল্য অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই নিতে হবে বোধ করি।ফিরে আসতে হবে,শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ক্ষমতা, অভিভাবক মাত্রাতিরিক্ত স্নেহবোধ,শিক্ষক লাঞ্চনা,তিরস্কার থেকে। ফিরে আসতে হবে সন্মানবোধে
আবার একটি সংগ্রামে সকলকে একত্রিত হবে-
আমায় সৃষ্টিতে আমার বিদ্যালয়,
শাসন-স্নেহে জীবন হবে জয়।
পিতা মাতা জন্মদাতা কর্ম গড়ে বিদ্যালয়,
শিক্ষক মোদের শিক্ষাগুরু তাদের হাতে বিশ্বজয়