Saturday, October 10, 2020

সোনালীর তরে

সোনালীর তরে
এম এ মাসুদ রানা

সোনালী,
বিচিত্র বিশ্বাসে ভরা নীল আকাশ
বৃষ্টির জলে ভেজা মাঠ-ঘাট।

সোনালী,
মনে পড়ে অতীতের কথা!
নাকি, দিব্যি ভুলে গেছো সব অতীত?
এক দোরে বাঁধা ছিলাম দু'জন,
প্রেমে মাতাল ছিল দু’টি মন।
তোমার এমন কি হল?
তুমি এত ভূলোমন হলে কেন?

সোনালী,
মনে করে দেখো
সেদিন ছিল আমার জন্মদিন।
আচ্ছা কিভাবে তুমি ভুলে যাও
এমন মধুর দিনের মধুর ক্ষণ!
তুমি কি অভিমান করেছো?
নাকি রাগ করেছো?
আমার সাথে কি আর বলবেনা কভু কথা?
আমি তো তোমার রাগ ভাঙাতে জানতাম।
তবে আজ কেন পারছিনা বলো?

সোনালী,
মনে পড়ে কি তোমার?
গ্রামের মেঠো পথে চলা, যেন হাওয়ায় উড়ে
চলছিলাম আমরা, অজানা দূরে গগণ পুরে।
পথ থেকে পথের প্রান্তরে ছিলনা তো অন্ত!
তোমার হাত ধরে চির সবুজ মাঠে হাঁটা।
হাঁটছিলাম যখন ক্লান্তিহীন, উৎফুল্ল মন,
তুমি কি করে ভুলে গেছো সেদিনের উষ্ণ আলিঙ্গন।
তোমার চোঁখে মুখে ফুটেছিল অদ্ভুত এক অনুভূতি
তবে কেন আজ এত উদাসী আমার তরে জানাবে কিছু।

সোনালী,
বন্ধু সকল বলে তুমি নাকি হয়ে গেছো পর?
তুমি নাকি এখন অন্যেকে সাঁজিয়ে তোমার বর?
আমি বিশ্বাস করিনা,
আমি বিশ্বাস করতে পারি না!
কি করেই বিশ্বাস করি বলো?
তুমি তো আমায় পাগলের মত ভালবাসতে
সময়ে অসময়ে, বেলা অবেলায় কাছে আসতে।
এসব কি কখনো মিথ্যা হতে পারে?

সোনালী,
মনে পড়ে নাকি তোমার?
বর্ষার জলে করছিলে খেলা
পাতায় পাতায় ছিল প্রজাপ্রতির মেলা
বোঝে উঠতে পারি নি কখন নেমেছিলো বেলা।
কি করে ভুলে গেলে তুমি?
কেনই বা তোমার এমন স্মৃতি ভ্রম হল?
আমায় একটু বলবে কি তুমি
তো সেই স্মৃতিতে পুঁড়ে মরি আমি।
স্বরনালী সুখ আর সিগ্ধ শ্বাসে
তোমার কথা যেন প্রাণে বাঁজে
কাছাকাছি ছিলে তুমি বলেছি রবে সারাক্ষণ 
তাই তো হৃদয়ে চলে আমার বিরহের রণ।

Thursday, October 8, 2020

ক্ষয়

            ক্ষয়
এম এ মাসুদ রানা

ডাক!
অস্থি মজ্জায় ঘ্রাণ;
শব্দে শব্দের হাতছানি,
মনে অবস্থাও হলো জানাজানি।
মনের সত্তা আবছা নীল
অকারণে এক অনুভূতির ফীল।

মন!
মুখের এঁটো কথা,
হিংসার আলনাতে,
প্রতিহিংসার জানালাতে,
তুমি এসেছিলে সমলাতে।

ঝোলানো!
অর্থ না থাকায় করবো অনশন,
অনশন ভাঙ্গল সে সকালের। 
আত্মভোলা মেঘে বার্তা নিয়ে এলো,
আর দিতে হবে না লেকচার। 

সর্বহারা সংশয়!
কুড়িয়ে পেলাম ফোনে 
ঠিক তখনি প্রশ্ন জাগলো মনে
আমি দিতে পারবো কি?
ভালোবাসার দানা ..
রাখতে পারবো তো তার মান!

আর্তচিৎকার

আর্তচিৎকার
এম এ মাসুদ রানা

বুকের গভীরে চাপাকান্না কখনো দেখা যায়?
দেখেছো তো তার চোখে গঙ্গা ও যমুনার বান!
তুমি দেখতে নাহি যদি পাও,
তাহলে ঐ কলেজ পারার গলির পথে যাও,
দেখতে পাবে লাল সবুজে পতাকাটির হাহাকার,
শুনতে পাবে সন্তান হারা মায়ের আর্তচিৎকার।
যে ডিসেম্বরে আয়োজন করো রঙ রঙের বাতি,
সেই রাতেও তো খালি হয় মায়ের কোল খানি।
বোনটি আমার বোন ডাক শোনার অপেক্ষায়,
চাপাকান্নাও ধরে রাখে দু'চোখে,
কখন যে ডাক দিয়ে বসে, ভাইটি বোন বলে।
সেই আশায়, সেই অপেক্ষায়,
মা বোন আজও ঐ কলেজ পারার গুলিতে কাঁদে।
স্বাধীনতার পক্ষে আছি বলে তো আজো হাসি
স্বাধীনতার মর্মকথা যখন যাচি, আর্তচিৎকারে ভাসি।
কোথায় মৌলিক অধিকার, হলো না এর সাধিকার
এই স্বাধীন বাংলায় হয়নি কোন অপরাধীর বিচার
এই জন্যেই মাঝে মাঝে করি আর্তচিৎকার।

শুভ রাত্রি

      শুভ রাত্রি 
এম এ মাসুদ রানা

ঘুমটা ও আঘাত হানে
আসে ক্ষণে ক্ষণে,
মন চাই না আর ছুটতে
আর বনে বনে।

ঘুমের ঘর কান্না করে
হারালাম কি জীবন?
ঘুমের মাঝেও ছুটে যায়
সুখ করতে হরণ।

হিসাব কি যায় মিলানো 
ঘুমের মাঝে গল্প?
তুমিও কি  ঘুমিয়ে পরবে
সময় খুবই স্বল্প?

তাই তো এখন হলাম আমি
একা যাত্রী, 
তোমায় এখন বললাম আমি 
শুভ রাত্রি। 

Wednesday, September 30, 2020

কর্ম করো

          কর্ম করো
     এম এ মাসুদ রানা 

ধর্ম মেনে কর্ম করো, জীবনটাকে গড়ো
কর্ম ছাড়া ধরণী তলে, হয়নি কেহ বড়ো।
কর্ম করবে নিজের জন্য, রবে প্রতি ডোরে
কর্ম ফল আসলে পরে, গর্বে বুকটা ভরে।

কাজ করলে মজুরি পাবো, এমন নীতি মানো
মজুরি বুঝে কর্ম খোঁজে, সুখ জোড়িয়ে আনো। 
ধর্মের মাঝেও কর্ম আছে, সবারই জানা আছে
কর্ম করে রোজগার করে অনেকে সুখে গেছে। 

কর্ম করে খানা জোগাই, এটা সবাই জানি
অলস হয়ে বাচার কথা, কেহ নাহি মানি। 
সাজাতে থাকি নিজের ভুবন ভিন্ন কর্ম করে
আশা কারো আরো এনাম বরের কাছে ধরে।

লজ্জা ছেড়ে আপন কাজে কর্মজীবী  হও,
কতই জনে তো গেয়ে গেছে কর্মজীবীর গান
তাঁদের কথার মাঝে  কর্মের ছিলো অনেক দাম
রয়েছে ওঁদের কর্মগুনে ভুবন জুড়ে অমরত্বে মান।

বন্ধু

বন্ধু
এম এ মাসুদ রানা

বন্ধু হলো সুখের বাসা
খোদার সেরা দান
বন্ধু হলো আপন স্বজন
সবাই বলে জান।

কঠিন সময়ে পাশে থেকে
জোগায় মনে বল
আমি আছি তোমার সাথে
সামনে এবার চলো।

সত্যিকারের বন্ধু সে হয় 
দুঃখে পাশে থাকে
ভরসা দেয় কিছু হলে 
আমায় সাথে রেখে।

বন্ধু ছাড়া জীবন বৃথা 
বন্ধু গড়ে নাও
মনের মত বন্ধু পেতে
খোদার দয়া চাও।

নামাজ পড়ি

____ নামাজ পড়ি
__ এম এ মাসুদ রানা

নামাজ হলো বেহেস্তের চাবি
মানতে হবে ভাই,
পড়লে নামাজ পাবে নাজাত
নামাজ পড়তে চাই।

যতই থাকুক ব্যস্ত সময় তবও
নামাজ পড়ো ভাই,
নামাজ ছাড়া জান্নাতে যাওয়ার
কোন পথ নাই?

কুরআনে নামাজের কথা লেখা
আছে বিরাশি বার,
নাজাজ ছাড়া দেয় না যেন
কবর ঘরে পার।

আল্লাহর বিধাণ মেনে নামাজ
কায়েম করবো আজ,
নামাজের মাঝে কষবো না দুনিয়াবি 
আছে কোন কাজ।

বাঁচার অধিকার

বাঁচার অধিকার 
এম এ  মাসুদ রানা 

ধর্ষকদের হয় না সাজা
তারা মনান্দে চলে,
এম.পি, মন্ত্রী, নেতা সবাই 
প্রতিরোধের কথা বলে।

চলতো যদি ন্যায়ের শাসন
ধর্ষক পেতো সাজা,
ধর্ষণ করে পার পেত না
মন্ত্রী কিংবা নেতা।

দুঃখ হলেও সত্য এটাই
ন্যায়বিচার মিলে না
তোমার হয়ে কথা বলে
পকেট ভরে দিলে যা।

এইটাই হলো বাস্তবতা
চলছে এমন ভাবে
যাদের আছে টাকার গরম
মানুষ তারাই তবে!

এমনি করে চলবে কত্তো 
এমন নির্মম অবিচার, 
স্বাধীন বাংলায় নাই কি মোদের
বেঁচে থাকার অধিকার।

Sunday, September 27, 2020

ছন্নছাড়া

_____ ছন্নছাড়া
_ এম এ মাসুদ রানা

তুমি আজ নেই পাশে
বড্ড একা লাগে,
এমনটা হবে একদিন
বুজিনি তো আগে।

রাত্রি যতো গভীর হয়
স্মৃতি হয় ততই ভাবি,
ঘুরে ঘুরে চোখের সম্মুখে
আসে তোমার ছবি।

এক সময়ে নিদ্রার ঘরে
স্বপ্নে তুমি আসো,
সুখের নায়ে পাল উড়িয়ে
গান গাও আর ভাসো।

আমি সবই বুঝেছি আজ
স্বপ্নের মাঝে স্বপ্নঝড়া
বাঁচার মাঝে আছে মরা
জীবন হয়েছে ছন্নছাড়া।

Tuesday, September 22, 2020

আমি

___________ আমি
________ এম এ মাসুদ রানা 

তুমি বলো, আমি আমিত্বেই বিভোর, 
খোলে দেখি না, বলো মনের দোর। 
নিজের ভাবনায় থাকি, এটাই আমার স্বভাব,
সর্বক্ষেত্রে নিজের জন্যে, রাখো অনেক জবাব 
কার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত, কষতে থাকো হিসাব।

আমি আমিত্বেই থাকি, এটা তোমার মনের ভুল 
মনের দোয়ার খুলে, দেখি সবারই মনের কূল
অযাচিত হয়ে গেলে, সরাসরি মারে দেয় হুল।
অন্যের তরে কিছু করতে হলে পেতে হয় মাশুল 
আমি যে, সকলের তরে রহিতে চাই সর্বদাই ব্যাকুল।

আমি আমিত্বেই থাকি না জব্দ 
অন্যের তরে কিছু করতে হৃদয়ে হয় শব্দ;
তবুও তো কেহ করতে পারে না কখনো কবজ্ব
সবার কাছাকাছি থাকতে নিজেকে করেছি হেফজ।

তোমার মনের ধারণায়, সঠিক ভাবে ছড়ায় না
তোমার গভীরে থাকে, সর্বদাই অন্য সব ধারণা। 
তোমার তুমিতেই, থাকে বিষন্ন মন মানসিকতা 
তোমার ভাবনায় রাখো, কথার কথা যথাতথা
তোমার মতো করতে পারি না, কখনো বোকাসোকা।

আমি আমিত্বেই থকি না, কখনো বিভোর 
আমি সবই দেখে করি, এই মনকে সবুর।
আমি কখনো কখনো, দেখে করি না দেখার ভান
আমি ভাবি না এতেই, চলে যাবে আমার মান
আমি কারো জন্যও করি, কখনো নিজেকে কোরবান।

আমার আমি

______ আমার আমি
____ এম এ মাসুদ রানা

আমার হারিয়ে যাওয়া কবিতা;
আমার হারিয়ে যাওয়া ছবিটা।
আমার হারিয়ে যাওয়া শৈশব
আমার হারিয়ে যাওয়া কৈশোর।

আমার নষ্ট জীবন ;
আমার ছন্নছাড়া মন।
আমার মনে বাজে করুন সুর,
আমার অতলে আসে বিশ্রী দেবাসুর।

আমার বেহিসাবী ভালবাসা ,
আমার বেসামাল কাছে আসা।
আমার বেমালুম চলন বলন
আমার অগোছালো কথার ধারণ।

আমার আলোকিত হারিয়ে যাওয়া শহর,
আমার আলোকিত জীবনে নেমেছে কহর।
আমার নীল নীলিমায় আঁধারে ঘনঘটা
আমার দিবসে আলোর মাঝে কুয়াশার ছটা।

তুমি এসো মেঘলা আকাশে, মেঘ হয়ে,
তুমি এসো দূঃখ ভরা মনে,  কষ্ট হয়ে।
তুমি এসো ক্লান্ত হৃদয়ে, অবসন্ন হয়ে,
তুমি এসো জরাজীর্ণ দেহে, দূর্বলতা নিয়ে।

ফিরে আসবেই আমার জীবনে, 
আসবে না কেউ স্বাধীনতা হরণে।
অপেক্ষায় আছি তোমায় করবো বরণ
তাই সময়ে অসময়ে করি তোমায় স্মরণ।

Friday, September 18, 2020

উল্টো পাল্টা

উল্টা পাল্টা 

এম এ মাসুদ রানা


উল্টে গেছে শব্দমালা
পাল্টে নিও অর্থমালা।
ভালো বললে মন্দ বুঝো
শান্তি বললে অশান্তি।


ঘৃণা করার পরিবর্তে কি?
ভালবাসার অর্থ বুঝায় না।
দুরে যাওয়ার বিপরীতে
কাছে আসার পথ খুঁজো না।


তুমি আমায় রাখোনি মনে,
আমি তোমায় রাখেছি দমে।
আমার কথা যদি আসে কোন ক্ষণে
বুকের ক্ষত চিহ্ন পরবে তোমার মনে।


অনেক ভাল আছি আমি
না হয় তুমি মানিয়ে নিও।
তুমি আমায় ভুলে গেলে
জানিয়ে দিয়ো পত্র দিয়ে।

প্রতিশোধ

             প্রতিশোধ 
       এম এ মাসুদ রানা

তুমি আমার ক্ষত স্থানে গাচুলি দিয়ে যাও
এটাতে তুমি অনেক সুখ পাও।
ভেবেছো এই স্বভাবে পাবে না জবাব
এতে তো হয় আমার অনেক আজাব
তখনি মনে আনন্দে বলো শাবাশ শাবাশ।

নীল গগনে সূর্যটাও তো থাকে ফাঁকা
কেউ করতে পারে না তার সাথে দেখা।
দেখতে চাইলেও হবে এটা শুধুই বৃথা
যেমন সবাই জানে নিম ফল তিতা।

তুমি আমায় নিয়ে যাও অজানা কোন আকাশে
ফিরিয়ে দাও ফিরে আসার ঠিকানা দাও না শেষে,
আমি পথহারা হয়ে, নিরাশ হয় না অবশেষে,
ফিরে আসতে চেষ্টা করি অজানা পথ দেখে দেখে
তখনি আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠো নেচে নেচে।

তুমি আমায় ক্ষত স্থান বিক্ষত করে যাবে,
তোমায় আমি ছেড়ে দিবো সহজে কিভাবে,
আমিও প্রতিশোধ নিবো কোন এক সময়ে,
ভেবো না নিরব আছি, শুধু তোমার ভয়ে।
আমিও নিবো প্রতিশোধ চরম প্রতিশোধ
আমার থাকবে না তখন কোন হিতাহিত বোধ
শত চেষ্টা করেও করতে পারবে না প্রতিরোধ।

অভিসারিণী

____ অভিসারিণী
   এম এ মাসুদ রানা

তোমার অন্তঃসত্ত্বায় অন্তঃপুরে
যখনি ডাকিলাম মা
তখনি বললে ভুবনে আসবে তুমি
তা হবে না, তা হবে না।

ছুটেছিলে বিদিশায় দুষ্ট নেশায়
মিছে কিছু পাবার আশায়
চলেছিলে আপন মনে অজানা বনে
মাতাল ছিল যৌবন তৃষ্ণায়।

ক্ষণি ক্ষণের আবেগে তোমার
কয়েক মিনিটের সুখ!
তুমি কেন মা দেখতে দিলা না
আমায় ধরনীর মুখ?

এমনি করে তো আসিনি
তোমার গর্ভে আমি!
পৃথিবীতে নাকি সন্তান হয়
জীবনের থেকে দামি?

সুখের তরে কেন তুমি
আমায় গর্ভে নিলে?
সুখের শেষে আমায় কেন
কেটে ফেলে দিলে?

রোজ হাসরে আসবে তুমি
ঠিকই আমার কাছে!
কি বলবে খোদার কাছে
রেখেছো তো বেছে?

আমায় তো মরেছো তুমি
বাঁচিয়ছো আমার মান!
নয়তো সবাই বলতো আমায়
অবৈধ নাজায়েজ সন্তান!

নিষিদ্ধ সুখ পেতে তুমি
আমায় গর্ভে নিলে!
কলঙ্ক থেকে বাঁচতে তুমি
ডাস্টবিনে ছুড়ে দিলে।

তোমার মাতো করনি ওগো'মা
তোমার সাথে অবিচার এমন?
তুমি তাঁর কাছে অমূল্য রতন
সয়ে ছিলো যন্ত্রণা কেমন?

তেমার সাথে করতো যদি
তোমার মাও এমন!
বুঝতে ওগো'মা  তুমি সেদিন
মৃত্যু যন্ত্রণা কেমন!

Thursday, September 17, 2020

রক্তদান

রক্তদান
এম এ মাসুদ রানা

মানুষে মানুষে হচ্ছে বাঁচার লড়াই,
কেহ নাহি গাই মানবতার গান।
চারিদিকে ঝরছে রক্ত করছে চিৎকার
সবাই জানে সবার রক্তের একই আকার।
রক্তদানে আমাদের হয় কত্তো ভয়!
হবে কি কখনো সত্যিকারের মানবতার জয়?
এসো সবাই গাই মানবতার জয়গান
চলো সবাই আমরা করি স্বেচ্ছায় রক্তদান।
রক্তের অভাবে হারায় না যেন কোন প্রাণ
সবার মাঝে থাকুক ভালোবাসা অফুরান।
রক্তে নেই কোন জাত-পাত, ধর্ম কিংবা বর্ণ
এই কথাটি আমাদের জীবন হোক অর্থপূর্ণ।
আমরা সবাই এসে যদি করি রক্তদান
তাহলেই তো বাড়বে এই জাতির মান।
রক্তদানে ফিরে পেতে পারে কেউ প্রাণ
রক্তদানের দিতে পারবে না কোন প্রতিদান
রক্ত দিলে হয় কি কখনো কোন ক্ষতি?
কেন রক্তদানের থাকে অনেক ভয়-ভীতি?
যদি মানুষের মত মানুষ হতে চাও
তবে তুমি সেচ্ছায় রক্ত দাও৷

Sunday, September 13, 2020

অশরীরী প্রেম

অশরীরী প্রেম
এম এ  মাসুদ রানা 

চুপি চুপি করে অবুঝ মন 
প্রেমে পরেছো যখন
মিছে কিছু পাবার আশায়
অভিসারীর কালোমেঘ
নিষিদ্ধ কামনার রং
দেখেছো রঙিন স্বপন
নিভৃত রুদ্ধতার দ্বারে।

ঠোঁটে ঠোঁটে মিলিয়ে নয়
শরীরে প্রনয়ের সাথে নয়
চোখে চোখে দেখা শুধু  নয়
তিব্রতার অনুভূতির অনুভবে;
মনের মাঝে উতল তরঙ্গের তরে;
ছুঁয়ে দিতে হয় প্রেমময়ী মন
রাধাপদ্ম সৌরভে জুটেছিল যেমন।

তুই বালিকা

তুই বালিকা 
এম এ মাসুদ রানা 

বালিকাটি দেখিতেছে প্রাকৃতিক রুপ
আকাশে ছিলো তখন অনেক ধুপ,
বৃষ্টি আসিবে বলে প্রকৃতি হয়েছে চুপ
মেঘ দেখিয়া গৃহস্থালির সব কিছুই চুপ।

বালিকাটি দেখিতেছে বর্ষণের মেঘ
মাঝে মাঝে বলিতেছে তুইও চেয়ে দেখ।
ঘুড়িটা উড়িতেছে না আগে মত বেশ
গগনে থাকিবার আশা হয়েছে তাহার শেষ।

পাখিটা খিদের জ্বালায় করিতেছে চুঁই চুঁই
তখনি শুনিলাম আয় কাছে আয় তুই তুই।

বালিকাটি দেখিতেছে বৃষ্টি ভেজা পাখি
দেখিতে দেখিতে হইয়াছে সজল আঁখি।
পাখিগুলোকে আনন্দ দিয়াছে ফাঁকি
বালিকাটির কপলে নেই আর হাসি
তাহার হৃদয়ে বাজে করুণ সুরে বাঁশি।

স্বপ্ন অয়ন

----------- স্বপ্ন অয়ন ------------
       এম এ মাসুদ রানা

ভুলে ভুলে শুরু হয়েছে জীবন
ভুলে ভুলে হবে হয়তো মরণ,
ভুলের মাঝেও করি তোমায় স্বরণ
কাজের মঝেও থাকে না কোন ধরন।

ভুল দিয়ে জীবন হলো সবে শুরু,
ভুলে ভুলে তো মন করে দুরুদুরু।
আমার কল্পনার মাঝে আছে কল্পনা
এটা নিয়ে করি কত্তো সব জল্পনা,
মনের মাঝে আছে আঁকা কত আল্পনা
মনে যে, স্বপ্ন বুনেছি এটাও অল্প না।

তোর মনের মাঝে আসেনি কোন ভাবনা
আমায় নিয়ে করোনি কোন সাধনা
মনের মাঝে বাঁধানি কোন রকম বসনা
আমারে মনের মাঝে একটুও রাখো না।

আমার করুন ক্ষণে হয় না তোর যাতনা,
তাই তো কোন প্রহরেও তুমি আসো না,
কেমন আছিস! তুমি এটও তো যাচো না,
আমায় নিয়ে তুমি কখনো কিছুই ভাবনা?
তোমার ভাবনাতে আমার কিছু নেই 
দ্যাখো না তো তুমি আমায় কাছ থেকেই। 

বলি তোরে অতি যতনে, 
আমারে যদি না করো স্বরণ
বুঝে নিয়ও তখনি হবে আমার মরণ
দেখবে আমার আত্মা বিধাতা করেছে হরণ। 
করো না তখনো মন নিয়ে ছলনা 
ছলনার মিষ্টি কথা কখনো বলনা।

আমারও তো মন আছে, আমারও তো মন
ব্যথা পেলে সেও তো ভাসাবে নয়ন,
ভাল আর মন্দে করতে পরে তো চয়ন
ভুলের মাঝে আঁকতে পারে তো স্বপ্ন অয়ন।

গোধুলির বিকেলে

গোধুলির বিকেলে 

   এম এ মাসুদ রানা


দেখা হলো কোন গোধুলী বিকালে নিরালায়
কথা হলো দুজনে দুজনায় 
গোধুলীর বিকালে ছিলো অনেক তাপ
কথার মাঝেও হয়নি আনমনা।

প্রথমে হলো কিছু সামান্য ভোজন
সেখানে দেখালাম কিছু স্বজন,
ডাকতে ডাকতে ক্লান্ত  হয়ে গেলাম 
পরে দেখে তাঁরা আমার বদন।

হাসি খুশি ছিলাম তো অনেক বিভোর 
তবুও কথা হয়নি শেষ,
টুকিটাকি দুষ্টুমি আর মিষ্টি কথার মাঝে
কথা হচ্ছিল তবুও বেশ।

নির্জন নিরিবিলি, ছিল না চেচামেচি 
বসেছিল তো অনেক কাছাকাছি, 
কথার মাঝে কথা হয়েছিল অনেক বেশি 
মাঝে মধ্যে হয়তো চোখাচোখি। 

কথা শুরু হলো একসাথে হাটাহাটি 
রাস্তার পাস নিয়ে কাটাকাটি, 
মাঝে মাঝে বলে আমি চিল্লাতে পারি
চিল্লাবো বলে করে ছুটাছুটি। 

কিছু হলো কেনাকাটা এটা ওটা সেটা
খাকি খামে হলো বাঁধা, 
দাম নিয়েও হয়েছিল অনেকে কথা
মূল্য দিতে হলাম বৃথা। 

শেষমেষে আবারও হলো নতুন ভজন 
তখন ছিল না কোন স্বজন,
তারাহুরো করে খেয়ে বলে হলাম আমি প্রথম
বাড়ি ফিরার তরে চলে আয়োজন। 

পরিশেষ বাড়ি ফিরা একসাথে দু'জন
রাস্তায় বেজেছিল মোবাইল ফোন,
আলাপ আলোচনায় ফিরতেছিলাম 
কারো ফোন ধরিনি তখন।

অধীর আগ্রহে দাঁড়িয়ে ছিলো আমার তরে
আমার এক অতি আপনজন, 
কিছু কথা বলতে বলতে কি খাবো বলল যখন
একটু দেরী হলো বললাম তখন।

মনের কথা

 মনের কথা 
এম এ মাসুদ রানা 

রোজ আমি ঘুরি ফির, তড়িঘিড়ি
জীবনে তারনার তরে,
ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরে বলি
স্বপ্নগুলি গেল মরে।

আমি ঘুরি ফির আর খুঁজি
জীবনের কঠিন মনে,
জীবন যে জীবনের কাছে বন্দী
জীবন তাতো জানে।

হেলা আবহেলায় করে কোলাহল
খুঁজি শুধু কর্মের ফল,
চারিদিকে ছুটাছুটি করে পায় না খুঁজে
পানের এক গ্লাস জল।

ক্লান্ত দেহ তার সাথে অশান্ত মন
মাথাটা করে ফনফন,
কথার মাঝে কথা বলি শুধু আমি
ফোন বাঁজে টনটন।

অশান্ত মনের কথা সবাই বলে
শুধু যথাতথা।
সবার কাছে অনায়াসে পেয়ে থাকি
ব্যথা আর শুধু ব্যথা।

কেহ তো বুঝে না এই মনের কথা
লুকিয়ে আছে কি ব্যথা
বুঝতে চাই তো গভীরে গভীরভাবে
সময় নেই বলে শুধু কথা।

বুঝল না কেহ এই মনের কথা
করল না তো কেহ রফা
জনেজনে ঘুরে ফিরে হলাম একা
কেহই শুনল না মনের কাথা।