Sunday, September 13, 2020

বসনায় অধীর

 বসনায় অধীর  
            এম এ মাসুদ রানা 

জীবন যেখানে ছিলো, 
সেখানেই থমকে আছে।
ফিরে যদি আসতে চাও 
টেনে নিবো আমি আবার। 

আমার শহরে ডাক পরেছে,
ধুলো মেঘ ব্যস্ততা থমকে রয়েছে। 
আসছে কত্তো সুমিষ্ট সতেজ বাতাস 
থাকছেনা এতে কোন তিক্ততার আচ।

এখানে তুমি আর আমি বলবো কথা,
কথার মাঝে থাকবে না যথাতথা। 
প্রচন্ড কোলাহলে কতো নিরবতা
এটাই তোমার প্রতি আমার একাত্মতা।

অভিমান ভাঙ্গবে কি তোমার  সহসা?
অভিমান আছে কি হৃদয়ে কঠিনভাবে বসা?
দীর্ঘশ্বাস এখনো হয়নি এক রতিও নিরাশ
আশা আছে করবে তুমি এই হৃদয়ে বসবাস।

বাঁচিবার সাধ

____বাঁচিবার সাধ
 এম এ মাসুদ রানা

অমানিশার নিকষ আঁধারে বসে আছি
বিষের পেয়ালা সাজাবো বলে।
তারাদের জলসা হবে কোন কালে
ঘোর নেশায় বিভোর হয়ে আজি !

হৃদপিণ্ডের জমানো রাশি রাশি খুনে
ভালোবাসা গেয়ে ওঠে গুনগুনিয়ে।
বহমান যৌবন-নদী ধরেছে বাজী-
তবুও ক্লান্ত মনে দূর্বার মৃত্যুমহারথী।

 সন্ধ্যায় হাসনাহেনা ফুলের গন্ধে মাতাল
জোনাকিদের মিটিমিটি আলো দিতে হয়নি দেরী,
ঝিঁঝিঁ পোকারাও হয়নি ক্লান্ত একই সুরে গেয়ে;
ক্লান্ত শুধু আমি তোমার পথ চেয়ে চেয়ে৷

জীবন জীবনের কাছে এত দামী বুঝিনি আগে, 
কাটে না বিষণ্ণ প্রহর কাল গুনে গুনে৷
এখনও মরিনি আমি বিরহের কুটিল বিষ পানে,
তোমার ফেরার প্রতীক্ষা আজো বাঁচিবার সাধ আনে৷

অনুভুতি

 অনুভুতি
 এম এ মাসুদ রানা 

দু'লাইন পদ্য আর কিছু ছন্দ
সামান্য অনুভূতিতে হয়েছে বন্দ।
হিসেবি ছন্দ, বেহিসেবি শব্দ করো না জব্দ
অচেনা মাতাল নদীতে থাকবে না জলাবদ্ধ। 
হৃদস্পন্দের মতো ক্ষণে ক্ষণে জাগে অশান্ত ঢেউ
আগুন জ্বলে প্রতিটি চূড়ায় চূড়ায় জানেনা কেউ। 
সোনালী আলোর স্রোতে কি ভেসে যায় ঢেউ?
কথায় কথায় করতে পাবে না হেউ।

অপলক দৃষ্টিতে, গুধলি ভীষণ তমিশার উদাস নৃত্য 
অনেকেই জানে না, নৃত্যের মাঝে আছে কি কৃতিত্ব? 
আমি তবে এখন কি জোছনা নিয়ে কবিতা লিখবো?
আমি তবে এখন কি তাঁরাদের নিয়ে গল্প লিখবো?
জোছনার জলে ভেজা মায়াবী এক নারীর কথা
তাঁর জ্বালাময়ী কথার কথায় আছে মনের ব্যথা। 
যার নেশা ধরা বাঁকা চুলে অজস্র তাঁরা জ্বলে।
যে সাদা বকুল গন্ধ ছড়ায় মেঘের ভাঁজে ভাঁজে
হৃদয়ের গভীরে কিছু কথা এখনো জমা আছে।

সুখ

________ সুখ ________
___ এম এ মাসুদ রানা ___

সুখ তো সে চলে গেছে
রেখে গেছে শুধু স্মৃতি।
তোমার ঠিকানা নিয়েছি
দরজায় দাঁড়িয়ে আছি
আমার তরে নিমন্ত্রণে।
কতো কথা রয়ে গেছে
কতদিন চলে গেছে
চলে গেছো অন্য ঠিকানাটায়
পরে আছি ধুলির মাঝে
প্রতিক্ষায় আসবে কি কাজে?
চেনা মুখ অচেনা রাস্তায়
দেখি আমি কত বারে বার
সুখের দেখা হয় যদি আবার
দেখা দিয়ে যাও বলে সবার,
ভাবি আমি এই বুঝি এলে
আমার ঠিকানায়।
অবশেষে নিঃশ্বাস হয় গো ভারী
তবু্ও ঘুরি ফিরি টারিটারি।
মনে হয় প্রভাতেই হবে তোমার দেখা
সেই খুশি নিয়ে ঘুরি একা একা
হবে তো আবার তোমার দেখা।

ফেলে আসা শিমুলতলা

★★ ফেলে আসা শিমুলতলা ★★
★★★ এম  এ  মাসুদ রানা ★★★

নীল আকাশের নীল রঙে নীল হয় জল
হিজলের ফুলে হয় বৃষ্টি নুপুর!
বকুল ফুল দিয়ে তৈরী হাতের কাকন 
রেশমী রুপালী চুড়ি ভেঙ্গে হয় চূর্ণ বিচূর্ণ 

দক্ষিনা বাতাস বয়, মন হয় উদাসী
সাথীকে খুঁজতে হয়েছিলাম অতি সাহসী
মুখে থাকবে সর্বক্ষণে সুখের হাসি
ফেলে আসা শিমুলতলার স্মৃতি বেকুল।

নীরব জোছনায় নির্জনে সাপের হিসহিস
কানের কাছে অভদ্র মশা করে ফিসফিস। 
ভেসে যায় পূর্নিমায় জোছনা মাখা মেঘে
বসে আছি শিমুলতলা গোলাপ বাগানে শেষে।

ভালোবাসার গান

_______ ভালোবাসার গান
____    এম এ মাসুদ রানা

তুমি যদি থাকতে পাশে,
আমিও থাকতাম তোমার কাছে।
বিকেলের স্নিগ্ধ আলোয়,
কথার মাঝে কথা থাকবে না ঝাঁঝাল।
দিতাম তোমায় সব বাগানের ফুল
বাশের পাতায় তৈরি করতাম দুল
ফুলে ফুলে সাজিয়ে দিতাম বেনী গাঁথা চুল।
স্বর্ণলতায় হাতে দিতাম কাঁকন গড়ে
খোঁপায় গুজে দিতাম একটি গোলাপ ফুল।
সাদা ফুলের গন্ধে মাতাল তোমার হরিনীর চোখ
দিশেহারা সেই চোখে চোখ রেখে থাকতাম অপলক,
নীড়েফেরা পাখিদের দল যেমন মেলে ডানা,
ছোঁয়ায় অভিমান হয়ে যেত বিকেলের আলো ফান।
সন্ধ্যের শীতল বাতাসে ছড়ায় ভালোবাসার গান

ভিন্ন আকাশ

_________ ভিন্ন আকাশ __________
          এম এ মাসুদ  রানা 

আমার আলোর পাখি, 
আমার আকাশটা আজ তোমার কাছে ভিন্ন ,
তাই তো করছো অচেনা আকাশটাকে ছিন্ন।
চাঁদের গায়ে ভালোবাসার কথা লিখে দিলাম
তোমার আকাশটাকে ভালোবেসে কি পেলাম।

আমার আলোর পাখি; 
কতকাল রাখবে বন্দী নিজেকে অন্ধকারে?
প্রতিটি নেশা ধরা পূর্নিমার রাতে,
ভিন্ন ভিন্ন পোষাকে নতুন তোমার সাঁজ।
তুমি নিজেকে আটকাতে পারবে কি?
মুক্তভাবে খোলা আকাশের নিচে চলা।
তোমাকে আসতেই হবে ফিরে
অচেনা আকাশের নীড়ে। 

আমার আলোর পাখি, 
চাঁদ গলা জোছনা শিক্ত ভালবাসার কথা
চকিতে তোমার খোপা খুলে দেওয়া যথাতথা। 
সাঁতার কাটবে সেই খোলা চুলে দূর্বার 
অপ্রতিরোধ্য প্রেমিকের চঞ্চল ঠোঁটের মত
চক্ষু ছুয়ে দিবে , ওষ্ঠ যুগল দেখে তোমার।
সারা গায়ে, সারা রাত আঁকবে রঙ্গিন ছবি
মনে করো, তোমার আকাশে সর্বদায় থাকবে রবি।

আমার আলোর পাখি, 
আমাকেতো তুমি  আর আটকাতে পারবেনা।
তোমার আমার আকাশটা আজ ভিন্ন তাই ,
চাঁদের গায়ে ভালোবাসার কথা লিখে দিলাম।
তোমার ভালোবাসা অনাদর হলেও নিয়ে লিনাম,
আমার যত্ন গড়া ভালোবাসাও তোমাকে দিলাম।

তোমাকে অনেক বেশি ভালবাসি

__তোমাকে অনেক বেশি ভালবাসি __
এম এ মাসুদ রানা

অনেক বেশি ভালোবাসি তোমাকে
বনলতা নাকি আমার সরলতা?
কতটুকু বুঝবে নিশিত অন্ধকারে
ক্লান্ত জীবনানন্দ হয় তো শান্ত!
তারও বেশি দেখেছি তোমায়
জোছনার আলোকিত রজনীতে আমি।

বিভোর ছিলাম তোমার সুগন্ধী চুলে!
দু লাইন পদ্যের ছলে, সে তছ্নছ করে দিলে
ভেবোনা, আমি তো আছি তোমার কাছাকাছি।
জোনাকির রঙ্গে ঝিলমিল পান্ডুলিপিতে
নতুন কবিতা জন্ম নিবে তো আবার।
চোখ-মুখ থেকে মুছে যাবে বিদিশার নেশা,
পদ্ম পাপড়ি চোখে তাকাবে আমায় ভালোবেসে।
কোনো এক বর্ষা মেঘ ডাকা পূর্নিমার রাতে,
তুমি থাকবে শুধু আমার অতি কাছে।
অবারিত জোছনার আলোয় ভালোবাসাবাসি,
হাজার বছর ধরে হাটবো, দূর্গম পথ পাশাপাশি
তোমাকে অনেক বেশি ভালবাসি।

Monday, September 7, 2020

মনের বচন

মনের বচন
এম এ মাসুদ রানা 

আবার হবে তো দেখা 
শেষ দেখা নই তো,
আবার হবে তো কথা 
শেষ কথা নই তো।

আবার আসবে তো কাছে
শেষ আসা নই তো,
আবার বসবে তো কাছে
শেষ বসা নই তো।

আবার হবে তো মজা 
শেষ মজা নই তো,
আবার হবে তো হাসা
শেষ হাসা নই তো।

আবার হবে তো চলা
শেষ চলা নই তো,
আবার হবে তো বলা 
শেষ বলা নই তো।

Saturday, September 5, 2020

শিক্ষক ও শিক্ষা

শিক্ষা ও শিক্ষক
এম এ মাসুদ রানা

শিক্ষক মাষ্টার ছোট একটি শব্দ
করে না কারো সাথে গর্ব।
সমাজটাকে সাজাতেব হয়েছে ব্যস্ত
শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দিতে বুদ্ধি রটায় কত্ত।

বাবা-মা' জন্ম দিলো ,শিক্ষক দিলো শিক্ষা,
সঠিক পথে চলতে উপদেশে ছিল না অপেক্ষা। 
ভাল আর মন্দে, দুঃখ আর আনন্দে
মন্দ কথা নাহি বলে, ভাল হতে বলে ছন্দে।
শিক্ষাগুরুর সম্মান , কেউ করে না আসম্মান
যায় যদি যাক তাদের প্রাণ।

সময়ের সারাক্ষণ,পড়াতে চায় তোনা মন
ঘুরতে মন চাই যখন তখন।
কটুক্তি আর কটু কথা বলে কত্ত যথাতথা
তাঁদের কথায় পায় না কখনো ব্যথা।
রাগে পরে পরে স্নেহ ভালোবাসায় দেয় স্থান 
আমায় ভালো করতে তাঁর বিভিন্ন কথাও ছড়ান।
সমাজের প্রিয়জন ,তোমরাই সুধীজন 
তোমাদের কাছে ছুটে যেতে চাই যখন তখন।
সেই কথা মনে আসলে আবেগে ফেটে পরে মন।

Wednesday, September 2, 2020

কৌমুদীর রূপ

কৌমুদীর রূপ
এম এ মাসুদ রানা

পাংশু জোছনা আর ক্ষণ অন্ধকারে ডুবা
পৃথিবীর সব স্বপ্নময় স্বপ্নের মতো,
ত্রিস্রোতা নদীর জলে জমাট বাধা
সপ্নের ফাঁদ গুলো ভেসে যায় জেনো!

গহীন অরণ্য আর অচেনা সব ডাকে
ধ্যান ভেঙ্গে তাকাই,
স্বপ্ন আর বাস্তবতা মিশে একাকার-
কুল করে কাহার কণ্ঠ শুনে আমার বিকার!

যেন তুমি ডাকিতেছ মিশে যেতে জলে
সেইখানে তোমার রূপ ভেসে যায়ে বলে!
আমায় নিয়ে যেতে করেছো ছল
তবুও হায়ায়নি এখনো মনবল।

Saturday, August 29, 2020

প্রাপ্যতা

প্রাপ্যতা
এম এ মাসুদ রানা

নির্জন নিরিবিলি বসে গল্প করি
বর্ষার আকাশে স্রোতহীন নদীতে ভাসায় তরি।
প্রবাহমান নদীর স্রোতের কাছাকাছি,
মনে মনে বলি এসো প্রিয়া গল্প করি।
তোমার মায়াবী কথাগুলো শুধু আমারেই কাঁদায়
এই ভেবে ভেবে আমার দু'চোখ ভাসায়।

কী ভেবেই তুমি নিয়েছ পলাতকা নারী সাঁজ?
দখিনা বাতাসে ডেকে যায় পূর্নিমার চাঁদ।
রোদে সোনালী চুল উড়ে, ঢেকে দেয় চোখ,
শুকনো হৃদয় তখনি দেখে রূপালী মেঘ।

অনাদর অবহেলায় পরে কেটেছে বেলা 
দেখবে ক্ষত বিক্ষত লাশ ধংসের প্রমত্ত মেলা।
ছিন্ন ভিন্ন রুপালী চাঁদখানি পরে আছে ধুলির মাঝে
জোছনায় বৃষ্টির প্রতিক্ষা নিরব হৃদয়েও বাজে।
হেমন্তের কাঙ্গাল রাতে তুমি করিবে অনুভব,
এতে হবে না প্রাপ্যতায় প্রাপ্তি সব।

আর কত দিন আর কত রাত

★★★ আর কত দিন আর কত রাত ★★★
★★★★★  এম এ মাসুদ রানা  ★★★★★

আর কত দিন, কত রাত
বিরহ বেদনায় কাঁদাবে আমায়।
এমন কিছু করবে তুমি 
একথা ভাবিনি কখনো আগে।
জানি তুমি থাকবে গো আমার হয়ে
তাই তো দিয়েছি পরান উজার করে
রাখিনি কোন কিছু আগলে ধরে।
সে দিনের সেই স্মৃতি আজো মনে পড়ে
সে দিনের সেই কথা আজো প্রাণে ধরে
সেই কথা স্মৃতি মনে হলে হৃদয় কেঁদে কেঁদে মরে।
তুমি কি আগে এমন কথা ভাবোনি?
তোমার দেওয়া তোমার ছবিটি পেয়ে
রেখেছি আমার হৃদয় মাঝে আপন করে
তবু তো নয়ন আমায় বারে বারে কাঁদায়।
তুমি  কি কেঁদেছিলে কখনো আগে?
তাই বুঝি আমাকে কাঁদাতে তোমার হৃদয় নাহি বাঁজে
বিরহ বেদনা দেওয়া তোমার কি সাঁজে!
অতীত স্মৃতি কথা তোমার মনে তো আসে।

Tuesday, August 25, 2020

অমীমাংসিত

অমীমাংসিত
এম এ মাসুদ রানা

হৃদয়ে অবহেলার রক্ত ঢাকা
আর কতকাল বইবো বলো?
মনের ভিতরে মন আছে বলেই -
তাই শুধু তোমাকেই চাই!
শুধু বিষ, আর শুধু বিষ,
সাথে থাকে অহর্নিশ।
আর কতকাল এই লুকোচুরি
খেলা আর খেয়ালি।
পাওয়া না পাওয়ার লড়াই!
কথায় কথায় করো এতো বড়াই,
কেনই বা বদলে গেলে!
আসতে পারো না কি কোন ছলে?
এতো করুণায় তোমার হৃদয় নাহি গলে।
কতকাল চলবে অমীমাংসিত সালিশ?
আবেগে অশ্রু জলে ভিজে কোমল বালিশ

Friday, August 21, 2020

কারাদণ্ড

______   কারাদণ্ড
        এম এ মাসুদ রানা 

আমি কার সাথে শুই?
কার সাথে ঘুমাই?
আমার কিছুই জানা নাই! 
পুরনো কথার কাছে ফিরে আসি বারবার, 
 ফিরে যাই, অতীতে, হই একাকার।
মুক্ত করতে চেয়েছিলো আমায়,
মুক্ত করতে পারে নাই। 
আমি জানি না, আমি জানি না, 
আমার মুক্তি হবো কখন ও কোথায়!
শুন্যতার সাদা শেওলায় ভেসে গেছি
একা একাই কারাগারে বসে আছি।
স্মৃতির পাতাগুলো এলোমেলো চারপাশ,
মুহূর্তে শুনবো কারাদণ্ডের স্বাদ।

Sunday, August 16, 2020

ভাল মানুষ

 ভালো মানুষ 
এম এ মাসুদ রানা

সাধনা হলো মোর শিক্ষা করা
শুরুর শিক্ষায় সাধনাকে ধরা।
আজ হয়াছি সাধনা সিদ্ধি
করিনি গুরু সাথে কোন যুক্তি।
বলি নাই মন্দ কথায় কোন ছন্দ 
হয়নি কখনো গুরুর সাথে দন্দ।

রাতেরো আকাশে চন্দ্রের আলোকে
বলে থাকি তো মোরা জোছনা, 
কেহ বলে আয় চাঁদ আয় কাছে আয়
চাঁদ মামা আয়, দুটো কথা বলে যায়।
চাঁদেরে কে চাই, ধূলির মাঝে 
জোছনা হলে সবাই আসতে চাই কাছে।

মুকুট পড়ে দাঁড়িয়ে থাকে রাজার বেসে
সে কি রাজা হবে কখনো শেষে-মেষে,
অন্ধকারে জ্বললে আলো, দূর হয় আধার 
মানুষ হবি, দরকার হবে না কাঁদার।
ভালো মানুষেরে গুণীরা করেছে কদর
সর্বক্ষণে তাঁহারা পেয়েছে সবার আদর।

Sunday, August 9, 2020

করোনাকালে

_____   করোনাকালে   _____
____ এম এ মাসুদ রানা ____

অন্তরঙ্গ দূরত্ব
পুরোনো নিয়মে তারা ঘুরপথে ফিরে আসতে চায়—
জানালার ধুলোট কাচে ছোপ ছোপ ছায়া বোনে,
সাড়া তোলে ব্যালকনিতেও।

কী দুঃসাহসে!
খকখক কাশি, বুড়োদের হাসির মতো ঠকঠক বাজে।
নতুন যারা, তারা চোখ মেলতে চায়
বন্ধ চোখের তারায় কড়কড়ে বালি 
তবু কী আহ্লাদে পিটপিট তাকায়!

জানালা-কপাট বন্ধ, রুদ্ধ ব্যালকনি
কারও আসার নেই, যাওয়ার নেই
বাতাস না, ধূলিকণা না, নিশ্বাসও না
পুরোনোরা কালো দাঁত ঝিকিয়ে হাসে;

কত দূরে যাবে
কতটা দূরে গেলে দূরত্বকে নিরাপদ বলবে তুমি!
কতটা দূরত্ব নিরাপত্তা দিলে দূরত্বকে দূরত্ব বলবে তুমি!
অন্তরঙ্গ দূরত্বে মানুষের মৃত্যুতে হয়।

টোকন ঠাকুর, খিদে ও খাদ্য
কেউ আমেরিকা যাবে, যাক
সামর্থ্য আছে যাওয়ার।
কেউ স্ট্রবেরি খাবে, খাক
সামর্থ্য আছে খাওয়ার।

 তুমি কি খাবে?
কোথায় যাবে? 
কি বা আর তুমি খেতে পারো?
কোথায় আর যেতে পারো?
মরবার আগে পেট পুরে খাও,
খিদে যা আছে তাই খেয়ে যাও।

আমি কি খাব? 
কোথায় যাবো?
এমন দেশ কি আছে? 
যেখানে মানুষ মানুষে ভেদাভেদ নাহি আছে,
রোগীদের প্রতি অনুরাগ সবার থাকে।

Saturday, August 8, 2020

অশান্ত মন

       অশান্ত মন
  এম এ মাসুদ রানা

নিদ্রাহীনতায় আমার দুটি'চোখে
জেগে আছি এক একা সারারাত।
তোমার স্মৃতি পরে মনে বারে বার,
দু'নয়নে আসে যায় জলে
তুমি বুঝলে না তার ফল।
গড়া স্বপ্নের বাধ ভাঙ্গে যায়
তবুও অশান্ত মন তোমাকে চায়।
হবে কি দেখা তোমার সনে?
ভাসা ভাসা মেঘ ভাসে মেঘে!
আসবে আবার কি শেষমেষে?
নিরাশার কাল আঁচলে ঢাকা
দমকা হাওয়া কখনো হয়নি ফাঁকা।
জ্যোৎস্নাটা আধারে ডুবে গেছে,
কেমনে দেখবো তোমায় বলো।
আজো আছি পথ চেয়ে!
তোমায় পাবার আশা নিয়ে
নিরাশার আশাকে দেখা দিয়ে।
আশাত্তুর হৃদয় হয় না ক্ষান্ত
নিরালায় বসলেই হয় অশান্ত।

Tuesday, August 4, 2020

হায়রে অর্থ

             হায়রে অর্থ
       এম এ মাসুদ রানা

যদি তোমার কাছে থাকে না অর্থ 
সব জায়গায় হবে তুমি ব্যর্থ।
প্রতি মুহূর্তে প্রিয়জনের কাছে পাবে কষ্ট 
তোমাকে দেখে বলবে তারা আমি ব্যস্থ।
করবে না কেউ তোমাকে স্বরণ
যদি হয় তোমার কোন কারণে মরণ।

ভাই-বোন, পিতা-মাতা দেখে শুধু সম্বল
তারা চাই, শুরু তারা চাই, তাদের অবলম্বন। 
শূণ্যতে হয় না কোন দোয়া কবুল আলেমগণে বলে
দোয়া দরূদে অর্থের প্রয়োজন আলেমের কথায় প্রমাণ। 
অর্থ ছাড়া দেবতাও তুষ্ট নয় গুণীজনে কয়
সবকিছু দিয়ে পূর্ণ করে পূজা দিলে দেবতা খুশি হয়।

অর্থ ছাড়া পায় না প্রেমিক প্রেমিকার কাছে দাম
অর্থ দিয়ে নির্ণয় হয় ভালবাসার মানা।
ভাই বল, বন্ধু বলো,  বলো কতো স্বজন 
অর্থ সাথে থাকলে করবে তারা কদর।
অর্থের বিনিময়ে হয় কত অপরই হয় আপন
অর্থ ছাড়াই হয় কত আপনই আপর।

যদি থাকে তোমার কাছে অর্থ 
তোমার কষ্টে তারাও পাবে কষ্ট। 
সর্বদাই কাছে থেকে হবে তারা ব্যস্থ
অর্থ থাকবে তবু্ও দিতে চাইবে অর্থ। 
ভুলেও বলবে না, হচ্ছে না তাদের সাধ্য
কাছে থাকতে হবে তারা বাধ্য। 
অর্থের কাছেই হয় শিক্ষার পচন
অর্থ ছাড়া কেউ শিক্ষাকে করে না যতন।

Saturday, August 1, 2020

বর্ষা

                    বর্ষা
          এম এ মাসুদ রানা 

হে বর্ষা, 
তুমি এসেছো নতুন সাঁজে
তাই তো মোর মনে কিছু কথা আসে।
কি দারুণ ছন্দে ডাকে মোর বন্দে
অনেক পাখির ছানা ডাকে মধুর কণ্ঠে। 

হে বর্ষা, 
তুমি এসেছো বলেই তো
জল করে তাই  থৈ থৈ
জেলে মাঝি করে হৈ হৈ।
হাঁস ছানা খেলা করে
মনের সুখে আহার ধরে। 
শিরি শির বৃষ্টি, শনশন শব্দ 
করেছো সবাইকে জব্দ। 

হে বর্ষা, 
তুমি এসেছো তাই তো,
ক্ষণে ক্ষণে মেঘ ডাকে
এই এলো বুঝি বৃষ্টি
একত্রে বসে থাকার সৃষ্টি 
বৃষ্টির দিকে থাকে সবার দৃষ্টি। 
বর্ষার দিনগুলি লাগে খুব মিষ্টি
আমন রোপনে কৃষকের দৃষ্টি। 

হে বর্ষা 
তোমার আগমনে তো
বিলে-ঝিলে ফোটে শাপলা পদ্ম
তাই কবিগণ লিখে গদ্য আর পদ্য
অভিনয় করবে তাই সেজেছে ছদ্ম। 
কি দারুণ তোর নতুন সাঁজ! 
ঝনঝন করে বাঁজে বৃষ্টির বাঁজ।
খেলে সবাই আপন খেলা
মাঠের মাঝে কাটে কৃষকের বেলা।