Tuesday, July 30, 2019

সুরের বাঁধন

     সুরের বাঁধন 

    এম এ মাসুদ রানা 


‘আমি তোমার  বাঁধিতে চাই
আমার প্রানের , সুরের বাঁধনে
তুমি জান না, আমি যে, তোমায়
পেয়েছি এক অজানা সাধনায়।
সত্যিই কি মাধবী অপরূপ রূপ তোমার।

আমি পেয়েছি তোমায়
তুমিতো গ্যাস বেলুনের মতো উড়ে চলো
দুরন্ত অজানা আকাশের পানে
অন্য কারো সুরের বাঁধনে।
তুমি তো বুঝ না, তোমার কী সম্মান
কোথায় গেলে বাড়বে তোমার মান।

আমি পেয়েছি তোমায়,
আমার এ প্রাণ তোমাতে অবিচ্ছেদ্য
এক নিরাকার চিরন্তন ধ্রুব শিখা
হৃদয়ের গভীরে অজানা কম্পনের দিশা।

তোমাকে পেয়েছি অজানা সাধনে
হয়ত পাইনি কিছুই-
তবু স্বপ্নও কখনো সত্যের অধিক
রঙিন ছায়ার আচ্ছাদনে আচ্ছাদিত
সুরের মূর্ছনায় ঢেউয়ের তরঙ্গে
প্রাণস্পন্দন উত্থিত ক্রমশ জোয়ার
বিকালের সোনালি রোদ-মখমল উষ্ণতা
ছেড়ে চলে যেতে পারি না অন্য কোথাও
মায়ার বাঁধনে রূপশালি ধানভানা শরীরের ঘ্রাণ

মাথার ভিতরে আছে
এক চিরন্তন বোধ সদা আবর্তিত
আমি তারে নেভাতে পারি না
অন্য কোন অজানা সাধনে
সুরেরও বাঁধনে,শান্তির লগনে
তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার পরমাত্মা
ছেড়ে চলে যেতে পারি না সুরের মূর্ছনা।

Sunday, July 28, 2019

ভালোবাসায় সম্মান

 ভালোবাসায় সম্মান 

  এম এ মাসুদ রানা 


রাত বাড়লে মেরুদণ্ড ঋদ্ধ
হাড়ে বাড়ে এক অজানা শক্তি
প্রেমে-অপ্রেমে, বেলা-অবেলায়,
খেয়ালে-বেখেয়ালে ভালোবাসা পালায়।

বিড়াল ছানার মতো আদর করা,
ময়নার মতো কথা শেখানো।
নয়'তো বাঁকা হাড়গোড়ে এক অনুভূতি
বাসমতি গন্ধ ছড়িয়ে সে পালায়, গাংচিল
তেপান্তরে- হায় হায় জীবনবেদে সজারু
ভালোবাসার আশায় বসে থাকা বটতলায়।

ভালোবাসার তড়খড় লতিয়ে লালনের কালীগঙ্গায়
কবির কবিতায় ভালোবাসার মোহন বাঁশি বাজায়,
প্রেম-ভালোবাসার মরুদ্যানে ভালোবাসার শব্দগুলো
শুকিয়ে খড়খড়ে মড়েমড় শব্দ আসে যায়।

আপেক্ষিক সূত্র মানা যায় না, হৃদয়াঞ্চলের নদীতে পানশি চায়,
ছলছলিয়ে খিলখিলিয়ে ময়ূর সময় পেলে, ভালোবাসারা ডানা মেলে।
তেল ছড়িয়ে, হৃদয় জুড়িয়ে সন্ধ্যার আগেই আঁচলে জড়ায়।
ভালোবাসতে গেলে একটু পাগল হতে হয়, মজনু তো নয়
জীবনভর  ভালোবাসায় থাকে কবিরা, তাদের কল্প রাজ্যে
ভালোবাসার কাব্যমালা গাঁথতে হয়, নইলে কী ৩০ বছর যায়?

আপন না পর

      আপন না পর

       এম এ মাসুদ রানা 


আপন করার স্বাদ জাগে মনে
আপন করার ভাব থাকে
আপন করার আশায় থাকি
আপন করার ভাবনা ভাবি
আপন করার চেষ্টায় থাকি
আপন করার কামনা থাকে
আপন করার ইচ্ছা থাকে
আপন করার উপায় খু্জি।

আপন করে ভাবি সবসময়
আপন করে যাচি সবসময়
আপন করে বাঁচিতে চাই
আপন করে সাজিতে চাই
আপন করে হাঁসিতে চাই
আপন করে কাঁদিতে চাই।

আপন কেউ করে না আমায়
আপন কেউ করে ভাবে না আমায়
আপন কেউ  করে না আমায়
আপন কেউ সাজে না আমার।

আপন ভবনাটা আমার মিথ্যা
আপন ভাবনাটা আমার পাপ
আপন ভাবনাটা আমার অপরাধ
আপন ভাবনাটা হলো আমার অনুতাপ।

গরীব

       

     গরীব

এম এ মাসুদ রানা 


গরীবের বন্ধু হয় না
গরীবের সুখ সয় না
গরীবের কথা থাকে না
গরীবের আশা থাকে না
গরীবের কেউ কাছে থাকে না
গরীবের স্বপ্ন থাকে না
গরীবের অবলম্বন থাকে না
গরীবের যন্ত্রণা কেউ বুঝে না
গরীবের কথার অর্থ থাকে না
গরীবের মূল্যও থাকে না।

গরীবকে কেউ বিশ্বাস করে না
গরীবকে কেউ কাছে ডাকে না
গরীবকে কেউ পছন্দ করে না
গরীবকে কেউ সাহায্য করে না
গরীবকে কেউ পথ দেখায় না
গরীবকে নিয়ে সবাই খেলতে ভালবাসে।

গরীব জানেও জানে না
গরীব মানেও মানে না
গরীব কর্মের ফলও পায় না
গরীব চাওয়া আশা করেও চায় না
গরীব করে না কোন বায়না।
গরীব উচ্চ বাসনা করে না
গরীব ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবে না

গরীব নিম্ন কামনায় থাকে
গরীব সমান্য খাবার নিয়ে ভাবে
গরীব সামান্য খাবার খাবে
গরীব সামান্য ভাবনায় থাকে
গরীব সবসময় শূন্য থাকে।

Thursday, July 25, 2019

মানব শিখা

    

     মানব শিখা 

   এম এ মাসুদ রানা


মানব শিখায় উঠেছে মানবতা
শুঁকুন সেজেছে বিহঙ্গ।
কুকুর-বিড়াল ঘুরছে বুক ফুলিয়ে
মানুষকে করেছে কীটপতঙ্গ।

আকাশ ছায়ায় শকুন উড়েছে
পরিমল মানচিত্র ভয় পয়েছে,
পতাকা হবে কী কিছু ক্ষয়?
স্বাধীন বাংলায় কেমনে এ-সব হয়?
দাসের জীবন বহন করে জনতার।
নদীর জলে লাশ ভাসে
শুকুনেরা খেতেই আসে।

পরিমল মানচিত্র ঠুকরে খাচ্ছে,
কোন এক শুঁকুনের দল?
জাতীকে করেছে পদতল।
বিবেক জুড়ে বইছে ঝড়ো
হরিলুটের বাতাস!
পরবো না'কি আর স্বস্তির শ্বাস।

Tuesday, July 23, 2019

ঝড়ের ডরে

ঝড়ের ডরে

জিল্লুর 


মেঘ ভেঙে যাই
মেঘ ভেঙে যাই
থালায় থালায় জল।
মনের ভিতর ভয়ের রাজা
করছে কলাহল।

মেঘ ফেটে যাই
মেঘ ফেটে যাই
আগুন নিয়ে খেলে
চোখ জোড়াতে ঝাপসা লাগে
খেলা দেখতে গেলে।

জল পড়ে যাই
জল পড়ে যাই
একটু নাহি থামে
ঘরের ভেতর জল ভরেছে
ভয় ধরেছে দমে।

বান ভেসে যাই
বান ভেসে যাই
ধবংস লীলা নিয়ে
ঘর ভাসছে মানুষ ভাসছে
জীবন ছেড়ে দিয়ে।

শিশু কেঁদে যাই
বুড়ো কেঁদে যাই
ঝরের হাওয়ায় বেগে
মা ভেসে যাই বানের ঝরে
ভাই কেঁদে যাই রেগে।

Friday, July 19, 2019

তোমার ফুল

 তোমার ফুল  

এম এ মাসুদ রানা


গোলাপ রজনীগন্ধা ফুল থাকতে
তুমি দিলে যে, ফুল আমায়!
জুঁই চামেলি গাঁদা বকুল
এ কোন ফুল দিলে আমায়?

এই ফুল নয়তো সেই ফুল
যে ফুলের কারণে প্রতিনিয়ত হচ্ছিল
আমার  শত শত ভুল।
স্বপ্নদেশে নিত্য নিয়ে রাঙিয়ে যাও।
এসো কাছে, বসো পাশে
দূর থেকে কী যে, সুখ তুমি পাও?

কথা ছিল তো,
এসে হৃদয় বাগানে, ফুটাবে প্রেমের ফুল
তা না করে করেছো তুমি
অন্তর আমার কাঁটার দুই কূল।

যে ফুল ফুটিয়েছো, সে ফুল তো ফুল নয়
তবে কী ছিলো, সব তৃষ্ণার্ত ভুল?
তোমার প্রেমের বাগানে,
হাঁটতে যাওয়ায় হয়েছিলো বড় ভুল
তাই তো এখন হারিয়েছি দুই কূল।

Sunday, July 14, 2019

চোখের ভাষা

_______ চোখের ভাষা ________
_____ এম এ মাসুদ রানা _______

চোখে বুঝা যায় মনের কথা 
তারই মাঝে থাকে মনের ব্যথা।
চোখে চোখ রেখে শুধু নয়
হাতে হাত রেখেও শুধু নয়।
চোখের ভাষা বুঝতে হলে
চোখের মত চোখ থাকা চাই।

জীবনে কখনও চোখে চোখ রেখে
অনুরাগে অনুরাগের পত্র লেখে।
পত্রের সে, ভাষা বুঝতে হলে
মনের মতো একটা মন থাকা চাই।।

তাই তো এ চোখ, 
কখনও হাসে, কখনও কাঁদে।
অশ্রু জলে আবার কখনও ভাসে।
চোখের ভাষা বুঝতে হলে
চোখের মত চোখ থাকা চাই।

Monday, July 8, 2019

অধঃপতন

  অধঃপতন

এম এ মাসুদ রানা 


অধঃপতনে গেছে দেশ
এরই ফলে মেধা শেষ।
এই সমাজ চালান যারা
অধঃপতনে দিয়েছে সারা।

খুন ধর্ষণ খাদ্যে ভেজাল
ঘুষ ও দুর্নীতির ছড়াছড়ি।
নিয়োগবাজি আর চাঁদাবাজি
এই সব নিয়ে মাতামাতি।

নিচ্ছে নাতো দেশের খোঁজ
দূর্নীতি নিয়ে চলে ভোজ।
ধনী হবে এই বাসনায়
অর্থ নিচ্ছে গুনায় গুনায়।

কবে নাগাদ বন্ধ হবে
অমানুষী আর জোচ্চুরি?
মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আজ
সুযোগ বুঝে করবে কাজ।

Sunday, July 7, 2019

প্রার্থনা

        প্রার্থনা 

এম এ মাসুদ রানা 


প্রভু আমায় নিয়ও ক্বাবা ঘরে
তোমার অসীম দয়া ঢেলে!
আমার হৃদয় শান্ত হবে
তোমার ক্বাবার দেখা পেলে!

মুলতাজামে বুক ছোঁয়াবো
চোখ ভেজাবো জলে!
হাজরে আসওয়াদে চুম্বন দেব
পাপ থেকে পাবো পরিত্রাণ।
জমজম কূপের পানি করবো পান
করবে পূরণ তুমি মনের টান।
ইয়া ইলাহীর ক্বাবার ছোঁয়ায়
আমার হৃদয় হবে ম্লান!

দিন রজনী স্বপ্ন জাগে
কবে যাবো ক্বাবা ঘরে।
হৃদয় মাঝে আহামরি
করছি আমি ছুটাছুটি!
কখন যাবো ক্বাবা ঘরে!

Friday, July 5, 2019

ফিরে এসো তুমি

                            

                  ফিরে এসো তুমি

                        এম এ মাসুদ রানা 


কখনো বলি ফিরে এসো তুমি, আবার কখনো বলি এসো না ফিরে!
হঠাৎ ঘুম ভাঙার পর জানালার পর্দা ভেদ করে মৃদু আলো চোখের ওপর পরাতে শরীরের কম্বলটা টেনে মাথাটা ঢেকে নিজেকে জড়সড় করে আবার ঘুমাতে চেষ্টা করলাম। এক চোখে প্রচণ্ড ঘুম ভাব থাকা সত্তেও আর এক চোখ যেন ঘুম না পারার দলে। এক পলক ঘুম আসতে দেয় না।

চোখ খোলা রেখেই বালিশের পাশে থাকা মোবাইলটা হাতে নিয়ে সময়টা দেখলাম। সময় তখন সকাল ০৭.৩০ মিনিট।
কি যেন মনে হতে লাগল ঠিক এই সময়টাতে। কি যেন করতে হবে সকাল ০৭.৩০ মিনিটে ঠিক মনে করতে পারছি না। প্রতিদিনই তো এই সময়টাকে ঘিরে কিছু একটা করতে হয় আমাকে কিন্তু আজ কেন মনে পড়ছে না ?
 ভাবছি হয়ত মনের ভুল, তাই ভেবে নিরব হয়ে দুই চোখের পাতা বন্ধ করে ভাবনার সাগরে ডুব দিলাম। হ্যাঁ মনে পড়ছে কি করতে হবে আমাকে। ভেবেই আমি আনন্দিত কিন্তু কাজটা করার পর কতটুকু আনন্দিত হবো তা একমাত্র ওপরওয়ালা ছাড়া আর কাউকে বুঝাতে পারবনা।
প্রথম তোমার কণ্ঠস্বর শুনে দিনের শুরু করতে হয় আমাকে এই সমটাতে। জানি তোমার ফোন ১০ মিনিট কম ০৮টাতেই সুইচ অন করবে। তারপরও কেন জানি ঠিক ০৭.৩০ থেকেই তোমার ফোনে ট্রাই করতে ভালো লাগে ঠিক এই কথাটার জন্য যে, তোমার মত তারছিরা পাগল আমি আমার জিন্দেগিতেও দেখিনাই যে কিনা গত ১ বছর যাবত একই সময়ে একই কথা বলার জন্য অনবরত ফোনে ট্রাই করে যায়, শুভ সকাল মাসুদ , লাভ ইউ সো মাচ।

শুরু হল আমাদের কথা চলা। দুপর ২টা পর্যন্ত চলবে আমাদের এই ননস্টপ এস এম এসে কথা বলা। চলে আসবে অনেক রকম কথা বার্তা, হাসি কান্না, সুখ দুঃখ এমনকি হাজার বার একই কথা, লাস থেকে ওঠে অফিসে ওপর একটু রহম করোরে বাবা। শুধু চুপটি করে কথাগুলো হজম করতাম আর ভাবতাম, আল্লাহর অসীম মহিমা দ্বারা সৃষ্টি তুমি। কখনও কি পারবো আমার এই আমার এই কথা বলা মানুষটাকে। সে কি আমাকে একা ফেলে দূরে কোথাও চলে যেতে পারে ? মনে পড়ে অতীতের সব পুরোনো  কথাগুলো ?

আজও আমি সেই ধ্যান ধারনা, চিন্তা ভাবনা থেকে বের হয়ে আসতে পারি নাই। আমাকে আজও অপেক্ষা করতে হয় ঠিক এই সময়টার জন্য। রাতে যত দেরি করেই ঘুমাই না কেন ঘুম ভেঙ্গে যায় এই সময়টাতেই। ফোন চেক করে দেখি ভুলবশত যদি ১টা এস এম এস আমাকে করে ফেল ?
তাহলেই হয়ত একটু কথা বলার সুযোগ পেয়ে যাবো। তাই আজও আছি আমি তোমার অপেক্ষায়।

প্রতিটা মানুষ সুখের স্বপ্ন দেখে, আমিও দেখেছিলাম তোমায় নিয়ে যা তুমি ভেঙ্গে দিলে। কেমন করে পারলে তুমি ? মনে আছে তোমার সেইদিন গুলোর কথা, মনে পড়ে আমাদের দুঃখ আনন্দের দিন গুলো ?
হয়তো মনে পরে না, তাইতো আজ তোমায় প্রশ্ন করি তোমার ভালোবাসায় কি সত্যতা ছিল না ?
তোমার কান্না কণ্ঠের কথাগুলোও কি মিথ্যা ছিল ? মাঝে মাঝে ভাবি কি অন্যায় ছিলো আমার, তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখাটা নাকি তোমায় অনেক ভালবাসাটা ! বদলে গেছ তুমি তাইতো আজ আমি তোমার কাছে অচেনা মানুষ।

আমার পৃথিবী হঠাৎ যেনো স্তব্ধ হয়ে গেছে আজ । চারিদিকে হাকাকার। হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসায় বাস্তবতা, ভবিষ্যৎ ও স্বপ্নময়তায়, স্বপ্নেই বেঁধেছিলাম তোমায় তাইতো যন্ত্রণাময় অসীম অপেক্ষা করছি । জানি না কখনও কারো  ছিলাম কি'না। শুধু জানি ভালবাসি তোমায়। যে হেরে যায় তাকে পরাজিত বলা হয় না, পরাজিত তাকেই বলা হয় যে জিততেই চায় না। আমি তো তোমাকে ছেড়ে যায়নি, এখন তুমিই বল তুমি জয়ী হলে নাকি আমি হেরে গেলাম তোমার কাছে ?

ভালোবাসাবা সীমাহীন এই দিন সব নয়, শেষ নয়, আরো দিন আছে, ততো বেশি দূরেও নয় বারান্দার মতো, যেন ঠিক দরজার কাছে। যখন তোমাকে অনুভব করি আমার পৃথিবী কিছুক্ষনের জন্য থমকে যায়, হয়ত তোমার মধ্যে পৃথিবী ছাড়া কিছু আছে। সত্যি, লোকে বলে মন থেকে ভালবাসলে ভালোবাসা একদিন না একদিন জীবনে ফিরে আসেই। একা একা আর দিন কাটে না, মনের ভিতরের অঘটনগুলো আর কতকাল বেঁধে রাখব সেথায় ভরসার জলে কান্না শুনিয়ে তোমাকে বলতে চাই, মেয়ে ফিরে এসো, এসো না ফিরে জানিইতো আর আসবে না। তবুও মন বলে তুমি একদিন ফিরে আসবে। তাই আবার বলি তুমি ফিরে এসো আমার পানে। আবার নতুন করে সাজাবো আমাদের প্রেমের ভূবন।

অর্জন

 ___ ____ অর্জন _________

__ এম এ মাসুদ রানা ____


সংবাদ পত্র পড়ে মনে হলো

দেশটা গেছে রসাতলে। 

সোনা দেশে নারী ধর্ষণ হলে 

ধর্ষক ধরা পরেনা কলে।


শিশুর সাথে বৃদ্ধা ধর্ষণ 

চলছে ধর্ষণ দিনেরাতে। 

স্বামীকে বেধে তার সামনে

স্ত্রী ধর্ষণ শেষে মেশে। 


মায়ের সামনে মেয়ে ধর্ষণ, 

ছেলের সামনে মা ধর্ষণ, 

ধর্ষণ উৎসব ভেবে ধর্ষক 

করে বেড়ায় সুখের বর্ষণ।


মেতেছে এমন হলি খেলায়

বিচার বিভাগের নেই গর্জন, 

স্বাধীন দেশে লাভ করে হলো

কি তাহলে এটাই অর্জন?


সব মানুষের মনে ব্যাথা

হচ্ছে না কথা বলা। 

অপরাধীর মুক্ত হয়ে করছে

দারুণ হলি খেলা।


হচ্ছে না তো কারো সাজা

নিত্য নতুন করছে পাপ,

তারাই নিচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন সাজ

বিরুদ্ধে হচ্ছে না কাজ।


সবাই বলে এটা হলো আমাদেরই 

বিশেষ কিছু অর্জন 

তাই আইনের অজুহাতে করছে না

প্রশাসন এটাকে বর্জন।

Wednesday, July 3, 2019

বিনিময়

        বিনিময় 

এম এ মাসুদ রানা 


বিভাবসুর তীব্রতা
ক্লিষ্ট জনজীবিকা
জ্যোত্স্মা ভাস্কর কিরণ দেয়
ভবা স্বর কিরণে আছে যে, অভিমান।
স্পর্শকাতর হবে জ্যোত্স্ম,
জ্যোত্স্মগ্রহনে।

শৈল্পিক স্বর্গে সোহাগী বরণ
সম্প্রদায় আজি বিব্রত পতনে
পূর্বে ছিলো কি রতন?
যাচেনি কেউ  তার যাতনা।

উচ্চ শিখার গলুক প্রস্তর
আসুক বয়ে শৈল্পিক স্বর্গ
থাকুক না মড়িঘরে-
আশাতীত মানবের লাশ।

তুলির ডগায় বিকৃতি রক্ত
রক্তে মাঝে মাঝে ভেসে আসে
আশাতীত রক্তের স্বপ্ন।
রক্তের প্রতিটি ফোঁটা
যাচিতে চাই কি এর কারন?

Monday, July 1, 2019

মুক্তমনের পাখি আমি

মুক্তমনের পাখি আমি

_ এম এ মাসুদ রানা _

___________________
___________________
মুক্তমনের পাখি আমি,
স্বপ্ন আমার ডানায় ভরা।
উড়ে চলি দূর অজানায়
সুখ পাখির সন্ধানে।

মেঘহীন এ গগণ,
পুরোটাই যেন আমার শহর।
পারো তো এসো এই শহরে,
চাঁদনী রাতের মৃদু বাতাস হয়ে,
পূর্ণদীপ্ত শশী হয়ে এসো
রৌদ্র হয়ে পোড়াতে নয়।

আমার এই সুখের শহরে
মুক্তডানায় মাখবো জোছনা।
না হয় এসো মুক্ত পাখি হয়ে,
আপন মনে, দুর্বার ডানায় উড়ে উড়ে।
দূর অজনায় হারিয়ে যাব,
ভালবাসার গহীন বনে।

Saturday, June 29, 2019

ফিরে এসো তুমি

ফিরে এসো তুমি

এম এ মাসুদ রানা


ফিরে এসো তুমি
দূর আকাশের নীলিমা হয়ে
চারিদিকে নীলিমার রঙ হয়ে
হ্নদয়ের সকল আঁধার দূর করে।

ফিরে এসো তুমি
দূর আকাশে গোধুলী বিকাল হয়ে
নির্জন মাঠে অতি গোপনে
আমার হৃদয় ছুয়ে দিতে।

ফিরে এসো তুমি
দূর আকাশের ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়ে
চারিদিকে ভিজিয়ে দিয়ে
আমার হ্নদয়টা সতেজ করে।

ফিরে এসো তুমি
সাগরের ঢেউ হয়ে
চারিদিক প্লাবিত করে
আমার পুরো হ্নদয় ভরে।

ফিরে এসো তুমি
রাত্রি বেলার জোৎস্না হয়ে
নির্জনে বলব কথা দুজন মিলে
অতি গোপনে গোপনে।

ফিরে এসো তুমি
বিদেশী অতিথি পাখি হয়ে
আপ্যায়ন করবো তোমায়
অনেক দিন পরে পেয়ে।

ফিরে এসো তুমি
বসন্তের পাখির গানে গান হয়ে
শুনব তোমার মন দিয়ে
হ্নদয় মন পুলকিত করে।

ফিরে এসো তুমি
আকাশের পূর্ণিমা চাঁদ হয়ে
সারা রাত দেখব তোমায়
আকাশের দিকে তাকিয়ে।

ফিরে এসো তুমি
জ্যোৎস্না রাতের জোনাকি হয়ে
দু’হাত দিয়ে ধরে রাখব তোমায়
জন্ম জনমের তরে।

ফিরে এসো তুমি
পোষ মানা পাখি হয়ে
মনের খাঁচায় রাখব তোমায়
আজীবন বন্দি করে।

ফিরে এসো তুমি
ফুলের বাগানের মৌ মৌ গন্ধ হয়ে
সুভাষিত গন্ধে আমার কোমল হৃদয়
হ্নদয় তোমার ঘ্রাণে ভরে যাবে।

ফিরে এসো তুমি
খণ্ড-বিখণ্ড এই হ্নদয়ে
ভাঙ্গা মনে লাগবে জোড়া
কোন দিনও যাবে না ছিড়ে।

Wednesday, June 26, 2019

আমার কিছু কথা

সালাম নিবেন কাকা!
আমার কিছু কথা!
আমিই বাংলাদেশ!
আমার ডাক নাম লজ্জা!!
আমি বিশ্বজিত,আমি অভিজিৎ,আমি নাদিয়া, আমি তনু, আমি খাদিজা, আমি রাজন, আমি নুসরাত!
আমি ব্যার্থ ছাত্র,
আমি প্রশ্নপত্র না পাওয়া হত দরিদ্র!
আমি অবিরাম বাংলার মুখ!
আমি লাল সবুজের কফিন!
আমি পিলখানার অসহায় সেনা অফিসারের আঁধারে দাফন!
আমি পাতানো নির্বাচন!
আমি স্বাধীন দেশের পরাধীন জনগন!
আমি আন্তর্জাতিক 'নিরাপরাধ' ট্রাইবুনাল!
আমি শেয়ার বাজার, ডেসটিনি, হলমার্ক, রিজার্ভ চুরি! আমি বাসে ধর্ষিতা মাজেদা!
আমি ছেলের সামনে ধর্ষিতা মা!
আমি ভাইয়ের সামনে ধর্ষিতা বোন!
আমি এমপির গুলিতে গুলিবিদ্ধ সৌরভ!
আমি গুম হওয়া সন্তানের মায়ের নিরব কান্না!
আমি রানা প্লাজার ধুলোয় উড়া লাশ!
আমি সরকারী ভবনে রডের বদলে বাশঁ!
আমি তাজরীনের অগ্নিকান্ডের অসহায় গরীব কর্মচারী! আমি শিল্পী হয়েও স্তব্ধ আসিফ আর মনির খান!
আমি 'দৈনিক আমার দেশ, ইসলামিক ও দিগন্ত টিভি'! আমি শত্রু রাষ্ট্র ভারতের পা চাটা গোলাম!
আমি ধ্বসে পড়া ভবনের নিচে গলিত লাশের গন্ধ আর পদ্মার লঞ্চ ডুবি!
আমি গুম হওয়া ইলিয়াস,আযমী, আরমান আর হুম্মাম!
আমি সাগর-রুনির মেঘ!
আমি ছিনতাই হওয়া অসহায় পথচারীর ব্যাগ!
আমি জন্মের আগেই গুলিবিদ্ধ নবজাতক শিশু!
আমি শাপলা চত্বরের নির্মম গনহত্যা!
আমি সাত খুণ শীতলক্ষ্যার পাড়!
আমি ফেলানী,
আমি ১৬ কোটি মানুষের ভাগ্য ঝুলে আছি কাঁটাতারে!
আমি অন্ধ, তাই আমার বিবেকের দরজা বন্ধ।


Friday, June 21, 2019

প্রিয়ার কাছে নিবেদন

প্রিয়ার কাছে নিবেদন

        এম এ মাসুদ রানা 


আমি যাবো তোমার কাছে
আমি করবো দেখা তোমার সাথে
আমি বলবো কথা মিষ্টি সুরে
আমি পরিশেষে চলে এলাম তোমার কাছে।

তুমি আসবে বলে ওয়াদ করছিলে
তুমি দেখা করবে বলে কথা দিয়েছিলে
তুমি কথা বলবে বলে বেকুল হয়েছিলে
তুমি আয়োজন নিয়ে ব্যস্তও হয়েছিলে।

তুমি এসেছি, ওয়াদর কারনে
তুমি বলেছিলে, কথা দেওয়ার কারণে
তুমি নিজে রেখেছিলে ডেকে, ওয়াদার চাদরে
তুমি ব্যস্তও ছিলে, অবয়বে ছিল বিস্বাদের স্বাদ।

আমি শুধু নিঃচুপ ছিলাম
আমি চিন্তায় চিন্তায় বিভোর
আমি ভেবেছি শুধু তোমায় সারাক্ষণ
আমি চিন্তায় জানার চেষ্টা করছি এর কারণ।

তোমার অবয়বে যে, আঘাতের দাগ
তোমার অবসবে কি ব্যথার অনুতাপ?
তোমার  এই কারণে করেছি নিজের উপর রাগ,
তোমার প্রতি ছিল যে,  প্রবল অনুরাগ
তোমার আসার জন্যও ছিল বড় চাপ।

তোমায় তাই তো করেছিল অনেক চাপ
তোমায় করেনি এই কারনে মাফ।
তোমায় করেছে আঘাতের উপর আঘাত।
তোমায় করছে আঘাত, সেই কারনে কেঁদেছি দিনরাত।

তোমার আঘাতে আহত যে, আমি আজ
তোমার ব্যথায় ব্যথিত যে, আমি আজ
তোমার বোবা কান্নায় কাঁদিতেছি যে, আমি আজ
তোমার ব্যথা ভরা মনের জন্য দায়ী যে, আমি আজ।

পরিশেষে বলি,
আমি করিতছি মিনতি
আমি হলাম সবচেয়ে বড় দোষী
আমি হলাম সবচেয়ে বড় অপরাধী
আমি করিছে যে, ক্ষমার অযোগ্য ভুল।
আমায় তুমি করিও ক্ষমা, মাফ করে ভুল
আমায় ক্ষমা না করিলে পাবো না যে, কোন কুল।

Tuesday, June 18, 2019

ভাগ্য



ভাগ্য
এম এ মাসুদ রানা  

বয়সটা আর কত হবে?
সাত কিংবা আট,
পায়ে পায়ে ঘুরে বেড়ায়
নেই কোন ফাট্।

ভাবনায় ঘুম ভাঙ্গে
মাকে নিয়ে চিন্তা,
সকালটা কি মধুর হবে
কেমন যাবে দিনটা?

ঘড়িতে জানান দেয়
বেজে গেছে সাতটা,
তড়িঘড়ি ছুটে বেড়ায়
হাতে নিয়ে প্রাণটা।

দাদা দিদি কেউ নেই
নেই তার বাবা,
আছে শুধু মা তার
তাও আবার বোবা ।।

শরীর তো নয় আর
শুধু রোগে ভর্তি,
চিন্তায় ঘুম নেই
নেই মনে ফূর্ত্তি।

পেটে নেই দানাপানি
পকেটটা শূণ্য,
রাতভর মায়ের সেবায়
নিজে হয় ধন্য।।

মনে মনে ভাবে আর
করে কাজ আনমনে,
বিধাতার একি খেলা
শয়নে ও স্বপনে।

পাশাপাশি দুটি পথ
জীবন ও মরণ,
মানা ছাড়া গতি নেই
ভাগ্যের লিখন।।
*****

Sunday, June 16, 2019

শ্রদ্ধেয় বাবা


শ্রদ্ধেয়  বাবা 

 এম এ মাসুদ রানা 


ঘাম ঝড়ানো পরিশ্রম করে
অন্ন তুলে দিতো আমার মুখে,
তিনি আর কেহ নয়
 আমার শ্রদ্ধেয় বাবা।

রোজ ভোর বেলাতে ডেকে দিতো
আযানের সময়।
যায়তো ছুটে ফসলের  মাঠে
আহার বুনেন ক্ষেত খামারে
করতো ফসলের তল্লাশি।

সন্ধ্যা সাঁঝে ফিরতো ঘরে
রৌদ্র মাখা ক্লান্ত দেহ
স্বার্থ বিহীন এমন মানুষ
ধরাতে হবে নাতো কেহ।

বাবার ছবি বুকে আঁকা
বাবা মনের কাবা ঘর।
জগৎ মাঝে কোন নেই তুলনা
বাবা আমার বাবা।

Friday, June 14, 2019

তুমি কি শুনবে

তুমি কি শুনবে
এম এ মাসুদ রানা 

আমার ভাল-মন্দ
কিংবা দুঃখ ব্যথা!
তুমি কি শুনবে
আমার কিছু কথা?

আমার ভাল-মন্দ
কিংবা দুঃখ ব্যথা!
মাঝে মাঝে নিজেকে
লাগে বড্ড একা।

মনের মত বন্ধুর দেখা
পাবো আমি কোথায়?
চুপচাপ বসে থাকি
কিছু মনের ব্যথায়।

অচেতন মন বলে ওঠে,
কিছু একটা কর
কি করবো পাই না কিছু 
এবার তুমি নড়।

কখন যে হয়ে যায় পার‌
সকাল-দুপুর-সাঁঝ!
একা একা কোন কিছুতেই
উঠে না মনের বাজ।

ইশ্ একটা কাজ যদি
থাকতো আমার হাতে!
ভাল কিছু করতাম আমি
দিনে কিংবা রাতে।

উদ্ভট কিছু চিন্তা ভাবনা
মাথায় চলে আসে
সেইসব চিন্তা ভাবনার
আগা মাথায় ভাসে।

চিন্তার সাগরে কখনো ডুবে
হাবুডুবু খাই!
মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে
বলি বাই বাই।

কি আর পড়বো? এখন তো
লাগছে সবই বাসি।
কখনো কখনো মনে হয়
সব কিছুই কাছাকাছি।

কখনো বা জানালা দিয়ে
দূরে তাকায়ে দেখি
চোখের দৃষ্টি মাঝে মাঝে
সুদূরে হারিয়ে যায় জ্বি।

মনের গভীর কল্পনা ছেড়ে
অনন্ত নীলিমায়।
কখনো আমি বন্ধুর কাছে
বলি তোমার আশায়।

উত্তরের প্রতিক্ষায় থাকে
আমার নয়ন দু'টি।
চোখের সামনে ভাসে যে
স্বপ্নে রঙ্গীন জুটি।

মনের মাঝে জাগে কত
হাজারো জটিল প্রশ্ন
মাঝে মধ্যে লিখে ফেলি
ছড়া, কবিতা বা রত্ন।

কখনো পড়তে ভাল লাগে
রূপকথার গল্প কথা
পড়ে বুঝে মনের মাঝে আসে
আসে যথাতথা।