Sunday, September 13, 2020

অপেক্ষা

অপেক্ষা
এম এ মাসুদ রানা


আমি সেই সময় টুকু চিনি
যাকে তোমরা অপেক্ষা বলো!
অপেক্ষা যে অপেক্ষা নয়,
মনে হয়, প্রতিটি মুহূর্তে বিষ পানের শামিল।
প্রতিটি দমে, পলে অনুপলে, ক্ষণে অনুক্ষণে,
মনে হয়তো দীর্ঘ্য দিনের মতন
যখন তোমরা বলো, অপেক্ষা কর,
একটু অপেক্ষা কর,
আমি আসবো, আবার আসবো।


অপেক্ষায় কেটে গেছে দিন, মাস, বছর
বলেছো তোরা যাই, চোখের পলকে আসবো,
হৃদয়ের প্রবণতাও নিভে গেছে অপেক্ষার তরে।
কিছুটা সময় বাকী আছে,
লাশ হয়ে পরে রব অচেনাদের কাছে,
তোমার তরে অপেক্ষায় থেকে যদি নাহি বাঁচি
লাশ হয়েও থাকতে পারবো কিছুক্ষণ তোদের কাছাকাছি
অপেক্ষায় রেখে গেছো শুধুই মিছামিছি।


বলি কারো তরে অপেক্ষা করবো না আর,
অপেক্ষা করতে করতে করেছি জীবনটা পার
সেও কারো জন্যে অপেক্ষা করেনি তো আবার!
সময় বয়ে চলে তার গতিতে,
অনেকটা মৃত্যুর মতো,
তবুও মরিনি এখনো আমি।

হয়নি যাবার বেলা

 হয়নি যাবার বেলা 
 এম এ মাসুদ রানা  

যেদিন এই দেহে থাকিবে না প্রাণ
সেদিন দুঃখ কষ্ট সবে হবে অবসান। 
বিদেহী হবে আত্মা আমার
কমল দেহ করে চুরমার।

আত্মীয় স্বজনরা করবে শুধু চিৎকার 
পিতা-মাতা ভাই-বোন পাবে না নিস্তার 
সময়ে অসময়ে করবে তাঁরা হাহাকার 
বলবে খোদা এই ছিল তোমার বিচার।

বন্ধু বান্ধব শুভাকাঙ্ক্ষী সকল 
একবার দেখার জন্য হবে তাঁর বেকুল।
পড়শীরা দেখে বলবে হলো কি আবার
সেবায় ত্রুটি এমন কি ছিলো তাঁর 
কেন পৃথিবীতে থাকতে পারলনা আর।

সেই ক্ষণে তুমিও বলবে কি কিছু কথা
রেখো না আমার তরে পেয়েছো তুমি যে ব্যথা।
কিছু কিছু ভুল আছে মেনে নিতে হয় 
জমিয়ে রাখলে তা শুধু বারাবে সংশয়। 
অভিযোগ থাকলে তুমি লুকিয়ে রেখে
বিরহ গড়াবে শুধু সত্যি ডেকে।

সন্ধ্যার ছন্দে

________ সন্ধ্যার ছন্দে
          এম এ মাসুদ রানা  

পাখিদের ঐক্যতানে গান
তুই সন্ধ্যা এবার নাম।
বাগানে গোলাপ, জবা, গাঁদা
দোলনচাঁপার গন্ধও চাঁপা।
গৌধুলি বিকালে নানান রঙ্গে রঙ
ধরেছো তুমিও আমার সঙ।
দোলছে গোলাপ কলি, বাদমী কলমী,
ঝিলে ফোটেছে সাদা শাপলা, আর পদ্ম
তোমার আমার সঙ্গোপনে ছিল না ছদ্ম।
অভিসার ছন্দ আনে আপন মনে
গুছানো খোঁপার কোন এক কোনে।
ধরি ফুল দুই আঙ্গুলে,
চুপি চুপি কইছি কথা আসে যেন মঙ্গলে।
ভেঙ্গে গেছে লাজ, ভয়,
নিরবতায় হাতে হাত একটা কিছু কয়।
অপলক দৃষ্টিতে, মিষ্টি মিষ্টি কথা রয়
তবুও মনের মাঝে সংশয় হয়।
তোমার স্পর্শে হৃদয়ে শিহরণ জাগে,
মধুর আলিঙ্গনের তরে আমায় ডাকে।

শহর

শহর
এম এ মাসুদ রানা 
নগরের নাগরিক, সভ্যতায় সভ্য সমাজ
দফায় দফায় কঠিন কাজ বেরেছে আজ।
গনতন্ত্র , রাষ্ট্রযন্ত্র, চালায় কি এক ভিষণ যন্ত্রে
পুঁজিবাদ ও সহিংসতাও চলে কোন মন্ত্রে।
আমি এই নগরের নাগরিক, সভ্যতায় সভ্য,
গনতন্ত্রের নিয়ামক, পুঁজিবাদের নিশানা নিয়ে লিখবো গদ্য।
তাঁহারা কি করে জানবে আমাদের ক্ষুধার কথা?
জাত-পাত, ধর্ম,  মধ্যবিত্ত চর্চার বিষয় কথা বলে বৃথা।
হিংসা, বিদ্বেষ, অন্যায়, ব্যাভিচার, নির্যাতনে একাকার 
গভীরে আমাদের বসবাস, ক্ষুধা আর তৃষ্ণার হাহাকার।
আকাশকুসুম লোভ লোভ দেখিয়ে সৃষ্টি করে তুলকালাম 
চেয়ারের চাষাবাদের নেশায়, তাঁহারা হয় বেশামাল।
কখনো বেরিয়ে আসে বর্ণচোরা মূখ, লোভের দীর্ঘশ্বাস,
চকচকে চোখ, লকলকে জিহবা আর লালার স্রোত
ছায়াটাকেও সন্দেহের চোখে দেখে, বিশ্বাসে আছে  ক্রোধ।
খুন, ধর্ষণ, জ্বালাও, পোড়াও, অবরোধ আর হরতাল,
পদাশ্রিত হতেই হবে, এই নিয়ে হয় তাঁরা মাতাল
লোভের তারনায় তাঁহারা খুঁড়ে দেখে পাতাল।

ইন্দ্রজাল

 ইন্দ্রজাল
এম এ মাসুদ রানা 

কোন এক নিষিদ্ধ রাত
কুয়াশা মাখা অন্ধকারে কাত।
আমার পাশে একজন মায়াবী
হাতের ইশারায় করে ভিন্ন দাবী।
হাতের মুঠোয় পেষিত আমার হাত
কিছু করতে চাইলে চলে যাবে জাত।
জল স্থল অন্তরীক্ষের সকল বাস্তবতা
হারিয়ে যাচ্ছে রহস্যময় গভীরে মনের কথা!
আমার চোখ খেলা করে তার চোখে,
পদ্মার স্রোতে ভেসে আছে অজানা রোগ।
মাকরাশা অদ্ভুত দ্রুততায় বুনে চলে তার জাল,
প্রতিটা টানে টানে জ্বালাময়ীর ভালবাসা ঝাল।
হঠাৎ হানা দেয় দমকা হাওয়া,সব মুহূর্তেই ছিন্ন ভিন্ন,
কোথায় ঊরে যায় কুয়াশার চাঁদরে তন্নতন্ন। 
এক স্বপ্নহীন অনশ্তিত্তের অন্তহীন ঘুম,
স্বপ্নের চাদরে চাষ করছি একাএকা পাহাড়ি জুম।
রাত্রির কোন প্রহর ঘোষণা করছে শেয়ালের দল?
চাঁদের মুখে ডানা মেলে ঊরে যায় এটাই পখিদে বল।

শুন্যতা

শুন্যতা 
 এম এ মাসুদ রানা 
মনের গভীরে দীর্ঘ মায়াময় ছায়ামূর্তি
শয়নে স্বপ্নে চলে আসে ভিন্ন উক্তি 
উক্তির মাঝেও থাকে তো যুক্তি
এরই মাঝে প্রাণে নিয়ে আসে শক্তি
শুন্যতা থাকা শর্তেও সৃষ্টি হয় ভক্তি।
যখন নিরবে চক্ষু তুলে তাকায়!
মনে গভীরে আবার ছায়ামূর্তি আঁকায়।
দীর্ঘশ্বাস হতে থাকে দীর্ঘ, তপ্ত হয় হৃদয়
আকাশের ওপারে আকাশ, আছে ততই। 
বাতাসে প্রিয় গন্ধ, খোঁজে স্পর্শ, শিহরণ
এতে জাগবে মনে ভীতর আরো জাগরণ 
তখনি মন দিয়ে মন হবে হরণ।
নিবিড় মেঘের দল খোঁজে কোলাহল
নিবিড় মনে আসে আরো বেশি মনোবল। 
খুঁজে পায় শুন্যতা, পাণ্ডুর, বিবর্ণতা 
নিরবে নিবিড়ে হবে যতশত মনের কথা।
হঠাৎ খামচে ধরে,ছিরেফেলতে ইচ্ছে করে
হৃদয় আমার! মায়াবি স্বপ্নের আঘাত প্রতিক্ষণ
শুন্যতার কারণে কখন আসবে আমার মরণ
পূর্ণতা না হলে কেউ করবে না কখনো স্মরণ।

তোমার অতলে

তোমার অতলে
এম এ মাসুদ রানা 

গভীর রাতে নেমেছে পরীরা আজ,
জোছনার আলোয় হচ্ছে তাদের কাজ।
রুপালী নদীর বুকে রয়েছে তারা শুকে
নিটোলে উঠেছো কিসের তরে ঝুঁকে।

সজল নয়নে চকিত ছলছলা পানি,
বিলাসী অহংকারেও দিয়েছে হাতছানি। 
ঠোঁটের ভাঁজে অগ্নি জোছনার রূপ
ডাকিতেছে নীরব প্রণয়ের ধুপ।

ছুঁয়ে দেবো আশাতীত ভালবাসার ছাপ,
আমার হবে বলে ধরবে, এই হাত।
খুঁজে নেই অনন্ত মধু মাস পশুরা খায় ঘাস
তখুনি মনে হয় তোমার অতলে হল বাস।

অপরিচিতা

অপরিচিতা
এম এ মাসুদ রানা 

পরিচিত জনও মাঝে মাঝে ভীষণ অপরিচিত লাগে।
অন্ধকারে পেঁচার ডাকে  প্রিয়ার কান্নাও কানে বাজে।
রোদেলা দূপুরটাকেও মাঝে মাঝে অপরিচিত লাগে
কা কা ডাকে তোমার বিচ্ছেদের ডাকও মনে জাগে।

তুমি কি একবারও ভাবে দেখনি?
আমার বুক ছাড়া, অন্য কারো বুকে সুখী হবে না
একটু কোমল পরশে ঝলসে যাবে তুমি;
পায়ের নিচে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য থাকবে না ভূমি! 

আমি মনে মনে ভেবেছিলাম 
লাল পলাশের মত ফাগুনের ফুলে ফুলে
এটা ফাগুন ভাবা ছিল তোমার ভুলে ভুলে
হাতছানি দিয়েছিল বিচ্ছেদ দুলে দুলে।
তখনি তোমাকেও লেগেছিল ভীষণ অপরিচিতা
তোমাকে ভালোবাসা হলো আমার বৃথা!
গাঙ চিলের মতো মেলেছো বিলাসী ডানা
উড়ে গিয়ে দিবে কখন কাকে হানা।
ওহ! 
কি ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছিল তোমায় 
ব্যথিত হওয়া পরেও থাকতে পারি নাই ঝিমায়।

বসনায় অধীর

 বসনায় অধীর  
            এম এ মাসুদ রানা 

জীবন যেখানে ছিলো, 
সেখানেই থমকে আছে।
ফিরে যদি আসতে চাও 
টেনে নিবো আমি আবার। 

আমার শহরে ডাক পরেছে,
ধুলো মেঘ ব্যস্ততা থমকে রয়েছে। 
আসছে কত্তো সুমিষ্ট সতেজ বাতাস 
থাকছেনা এতে কোন তিক্ততার আচ।

এখানে তুমি আর আমি বলবো কথা,
কথার মাঝে থাকবে না যথাতথা। 
প্রচন্ড কোলাহলে কতো নিরবতা
এটাই তোমার প্রতি আমার একাত্মতা।

অভিমান ভাঙ্গবে কি তোমার  সহসা?
অভিমান আছে কি হৃদয়ে কঠিনভাবে বসা?
দীর্ঘশ্বাস এখনো হয়নি এক রতিও নিরাশ
আশা আছে করবে তুমি এই হৃদয়ে বসবাস।

বাঁচিবার সাধ

____বাঁচিবার সাধ
 এম এ মাসুদ রানা

অমানিশার নিকষ আঁধারে বসে আছি
বিষের পেয়ালা সাজাবো বলে।
তারাদের জলসা হবে কোন কালে
ঘোর নেশায় বিভোর হয়ে আজি !

হৃদপিণ্ডের জমানো রাশি রাশি খুনে
ভালোবাসা গেয়ে ওঠে গুনগুনিয়ে।
বহমান যৌবন-নদী ধরেছে বাজী-
তবুও ক্লান্ত মনে দূর্বার মৃত্যুমহারথী।

 সন্ধ্যায় হাসনাহেনা ফুলের গন্ধে মাতাল
জোনাকিদের মিটিমিটি আলো দিতে হয়নি দেরী,
ঝিঁঝিঁ পোকারাও হয়নি ক্লান্ত একই সুরে গেয়ে;
ক্লান্ত শুধু আমি তোমার পথ চেয়ে চেয়ে৷

জীবন জীবনের কাছে এত দামী বুঝিনি আগে, 
কাটে না বিষণ্ণ প্রহর কাল গুনে গুনে৷
এখনও মরিনি আমি বিরহের কুটিল বিষ পানে,
তোমার ফেরার প্রতীক্ষা আজো বাঁচিবার সাধ আনে৷

অনুভুতি

 অনুভুতি
 এম এ মাসুদ রানা 

দু'লাইন পদ্য আর কিছু ছন্দ
সামান্য অনুভূতিতে হয়েছে বন্দ।
হিসেবি ছন্দ, বেহিসেবি শব্দ করো না জব্দ
অচেনা মাতাল নদীতে থাকবে না জলাবদ্ধ। 
হৃদস্পন্দের মতো ক্ষণে ক্ষণে জাগে অশান্ত ঢেউ
আগুন জ্বলে প্রতিটি চূড়ায় চূড়ায় জানেনা কেউ। 
সোনালী আলোর স্রোতে কি ভেসে যায় ঢেউ?
কথায় কথায় করতে পাবে না হেউ।

অপলক দৃষ্টিতে, গুধলি ভীষণ তমিশার উদাস নৃত্য 
অনেকেই জানে না, নৃত্যের মাঝে আছে কি কৃতিত্ব? 
আমি তবে এখন কি জোছনা নিয়ে কবিতা লিখবো?
আমি তবে এখন কি তাঁরাদের নিয়ে গল্প লিখবো?
জোছনার জলে ভেজা মায়াবী এক নারীর কথা
তাঁর জ্বালাময়ী কথার কথায় আছে মনের ব্যথা। 
যার নেশা ধরা বাঁকা চুলে অজস্র তাঁরা জ্বলে।
যে সাদা বকুল গন্ধ ছড়ায় মেঘের ভাঁজে ভাঁজে
হৃদয়ের গভীরে কিছু কথা এখনো জমা আছে।

সুখ

________ সুখ ________
___ এম এ মাসুদ রানা ___

সুখ তো সে চলে গেছে
রেখে গেছে শুধু স্মৃতি।
তোমার ঠিকানা নিয়েছি
দরজায় দাঁড়িয়ে আছি
আমার তরে নিমন্ত্রণে।
কতো কথা রয়ে গেছে
কতদিন চলে গেছে
চলে গেছো অন্য ঠিকানাটায়
পরে আছি ধুলির মাঝে
প্রতিক্ষায় আসবে কি কাজে?
চেনা মুখ অচেনা রাস্তায়
দেখি আমি কত বারে বার
সুখের দেখা হয় যদি আবার
দেখা দিয়ে যাও বলে সবার,
ভাবি আমি এই বুঝি এলে
আমার ঠিকানায়।
অবশেষে নিঃশ্বাস হয় গো ভারী
তবু্ও ঘুরি ফিরি টারিটারি।
মনে হয় প্রভাতেই হবে তোমার দেখা
সেই খুশি নিয়ে ঘুরি একা একা
হবে তো আবার তোমার দেখা।

ফেলে আসা শিমুলতলা

★★ ফেলে আসা শিমুলতলা ★★
★★★ এম  এ  মাসুদ রানা ★★★

নীল আকাশের নীল রঙে নীল হয় জল
হিজলের ফুলে হয় বৃষ্টি নুপুর!
বকুল ফুল দিয়ে তৈরী হাতের কাকন 
রেশমী রুপালী চুড়ি ভেঙ্গে হয় চূর্ণ বিচূর্ণ 

দক্ষিনা বাতাস বয়, মন হয় উদাসী
সাথীকে খুঁজতে হয়েছিলাম অতি সাহসী
মুখে থাকবে সর্বক্ষণে সুখের হাসি
ফেলে আসা শিমুলতলার স্মৃতি বেকুল।

নীরব জোছনায় নির্জনে সাপের হিসহিস
কানের কাছে অভদ্র মশা করে ফিসফিস। 
ভেসে যায় পূর্নিমায় জোছনা মাখা মেঘে
বসে আছি শিমুলতলা গোলাপ বাগানে শেষে।

ভালোবাসার গান

_______ ভালোবাসার গান
____    এম এ মাসুদ রানা

তুমি যদি থাকতে পাশে,
আমিও থাকতাম তোমার কাছে।
বিকেলের স্নিগ্ধ আলোয়,
কথার মাঝে কথা থাকবে না ঝাঁঝাল।
দিতাম তোমায় সব বাগানের ফুল
বাশের পাতায় তৈরি করতাম দুল
ফুলে ফুলে সাজিয়ে দিতাম বেনী গাঁথা চুল।
স্বর্ণলতায় হাতে দিতাম কাঁকন গড়ে
খোঁপায় গুজে দিতাম একটি গোলাপ ফুল।
সাদা ফুলের গন্ধে মাতাল তোমার হরিনীর চোখ
দিশেহারা সেই চোখে চোখ রেখে থাকতাম অপলক,
নীড়েফেরা পাখিদের দল যেমন মেলে ডানা,
ছোঁয়ায় অভিমান হয়ে যেত বিকেলের আলো ফান।
সন্ধ্যের শীতল বাতাসে ছড়ায় ভালোবাসার গান

ভিন্ন আকাশ

_________ ভিন্ন আকাশ __________
          এম এ মাসুদ  রানা 

আমার আলোর পাখি, 
আমার আকাশটা আজ তোমার কাছে ভিন্ন ,
তাই তো করছো অচেনা আকাশটাকে ছিন্ন।
চাঁদের গায়ে ভালোবাসার কথা লিখে দিলাম
তোমার আকাশটাকে ভালোবেসে কি পেলাম।

আমার আলোর পাখি; 
কতকাল রাখবে বন্দী নিজেকে অন্ধকারে?
প্রতিটি নেশা ধরা পূর্নিমার রাতে,
ভিন্ন ভিন্ন পোষাকে নতুন তোমার সাঁজ।
তুমি নিজেকে আটকাতে পারবে কি?
মুক্তভাবে খোলা আকাশের নিচে চলা।
তোমাকে আসতেই হবে ফিরে
অচেনা আকাশের নীড়ে। 

আমার আলোর পাখি, 
চাঁদ গলা জোছনা শিক্ত ভালবাসার কথা
চকিতে তোমার খোপা খুলে দেওয়া যথাতথা। 
সাঁতার কাটবে সেই খোলা চুলে দূর্বার 
অপ্রতিরোধ্য প্রেমিকের চঞ্চল ঠোঁটের মত
চক্ষু ছুয়ে দিবে , ওষ্ঠ যুগল দেখে তোমার।
সারা গায়ে, সারা রাত আঁকবে রঙ্গিন ছবি
মনে করো, তোমার আকাশে সর্বদায় থাকবে রবি।

আমার আলোর পাখি, 
আমাকেতো তুমি  আর আটকাতে পারবেনা।
তোমার আমার আকাশটা আজ ভিন্ন তাই ,
চাঁদের গায়ে ভালোবাসার কথা লিখে দিলাম।
তোমার ভালোবাসা অনাদর হলেও নিয়ে লিনাম,
আমার যত্ন গড়া ভালোবাসাও তোমাকে দিলাম।

তোমাকে অনেক বেশি ভালবাসি

__তোমাকে অনেক বেশি ভালবাসি __
এম এ মাসুদ রানা

অনেক বেশি ভালোবাসি তোমাকে
বনলতা নাকি আমার সরলতা?
কতটুকু বুঝবে নিশিত অন্ধকারে
ক্লান্ত জীবনানন্দ হয় তো শান্ত!
তারও বেশি দেখেছি তোমায়
জোছনার আলোকিত রজনীতে আমি।

বিভোর ছিলাম তোমার সুগন্ধী চুলে!
দু লাইন পদ্যের ছলে, সে তছ্নছ করে দিলে
ভেবোনা, আমি তো আছি তোমার কাছাকাছি।
জোনাকির রঙ্গে ঝিলমিল পান্ডুলিপিতে
নতুন কবিতা জন্ম নিবে তো আবার।
চোখ-মুখ থেকে মুছে যাবে বিদিশার নেশা,
পদ্ম পাপড়ি চোখে তাকাবে আমায় ভালোবেসে।
কোনো এক বর্ষা মেঘ ডাকা পূর্নিমার রাতে,
তুমি থাকবে শুধু আমার অতি কাছে।
অবারিত জোছনার আলোয় ভালোবাসাবাসি,
হাজার বছর ধরে হাটবো, দূর্গম পথ পাশাপাশি
তোমাকে অনেক বেশি ভালবাসি।

Monday, September 7, 2020

মনের বচন

মনের বচন
এম এ মাসুদ রানা 

আবার হবে তো দেখা 
শেষ দেখা নই তো,
আবার হবে তো কথা 
শেষ কথা নই তো।

আবার আসবে তো কাছে
শেষ আসা নই তো,
আবার বসবে তো কাছে
শেষ বসা নই তো।

আবার হবে তো মজা 
শেষ মজা নই তো,
আবার হবে তো হাসা
শেষ হাসা নই তো।

আবার হবে তো চলা
শেষ চলা নই তো,
আবার হবে তো বলা 
শেষ বলা নই তো।

Saturday, September 5, 2020

শিক্ষক ও শিক্ষা

শিক্ষা ও শিক্ষক
এম এ মাসুদ রানা

শিক্ষক মাষ্টার ছোট একটি শব্দ
করে না কারো সাথে গর্ব।
সমাজটাকে সাজাতেব হয়েছে ব্যস্ত
শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দিতে বুদ্ধি রটায় কত্ত।

বাবা-মা' জন্ম দিলো ,শিক্ষক দিলো শিক্ষা,
সঠিক পথে চলতে উপদেশে ছিল না অপেক্ষা। 
ভাল আর মন্দে, দুঃখ আর আনন্দে
মন্দ কথা নাহি বলে, ভাল হতে বলে ছন্দে।
শিক্ষাগুরুর সম্মান , কেউ করে না আসম্মান
যায় যদি যাক তাদের প্রাণ।

সময়ের সারাক্ষণ,পড়াতে চায় তোনা মন
ঘুরতে মন চাই যখন তখন।
কটুক্তি আর কটু কথা বলে কত্ত যথাতথা
তাঁদের কথায় পায় না কখনো ব্যথা।
রাগে পরে পরে স্নেহ ভালোবাসায় দেয় স্থান 
আমায় ভালো করতে তাঁর বিভিন্ন কথাও ছড়ান।
সমাজের প্রিয়জন ,তোমরাই সুধীজন 
তোমাদের কাছে ছুটে যেতে চাই যখন তখন।
সেই কথা মনে আসলে আবেগে ফেটে পরে মন।

Wednesday, September 2, 2020

কৌমুদীর রূপ

কৌমুদীর রূপ
এম এ মাসুদ রানা

পাংশু জোছনা আর ক্ষণ অন্ধকারে ডুবা
পৃথিবীর সব স্বপ্নময় স্বপ্নের মতো,
ত্রিস্রোতা নদীর জলে জমাট বাধা
সপ্নের ফাঁদ গুলো ভেসে যায় জেনো!

গহীন অরণ্য আর অচেনা সব ডাকে
ধ্যান ভেঙ্গে তাকাই,
স্বপ্ন আর বাস্তবতা মিশে একাকার-
কুল করে কাহার কণ্ঠ শুনে আমার বিকার!

যেন তুমি ডাকিতেছ মিশে যেতে জলে
সেইখানে তোমার রূপ ভেসে যায়ে বলে!
আমায় নিয়ে যেতে করেছো ছল
তবুও হায়ায়নি এখনো মনবল।

Saturday, August 29, 2020

প্রাপ্যতা

প্রাপ্যতা
এম এ মাসুদ রানা

নির্জন নিরিবিলি বসে গল্প করি
বর্ষার আকাশে স্রোতহীন নদীতে ভাসায় তরি।
প্রবাহমান নদীর স্রোতের কাছাকাছি,
মনে মনে বলি এসো প্রিয়া গল্প করি।
তোমার মায়াবী কথাগুলো শুধু আমারেই কাঁদায়
এই ভেবে ভেবে আমার দু'চোখ ভাসায়।

কী ভেবেই তুমি নিয়েছ পলাতকা নারী সাঁজ?
দখিনা বাতাসে ডেকে যায় পূর্নিমার চাঁদ।
রোদে সোনালী চুল উড়ে, ঢেকে দেয় চোখ,
শুকনো হৃদয় তখনি দেখে রূপালী মেঘ।

অনাদর অবহেলায় পরে কেটেছে বেলা 
দেখবে ক্ষত বিক্ষত লাশ ধংসের প্রমত্ত মেলা।
ছিন্ন ভিন্ন রুপালী চাঁদখানি পরে আছে ধুলির মাঝে
জোছনায় বৃষ্টির প্রতিক্ষা নিরব হৃদয়েও বাজে।
হেমন্তের কাঙ্গাল রাতে তুমি করিবে অনুভব,
এতে হবে না প্রাপ্যতায় প্রাপ্তি সব।