Monday, February 18, 2019

সুখে থাকো তুমি

______ সুখে থাকো তুমি ______
          এম এ মাসুদ রানা

      তুমি আমাকে ভুলে যাও
  অন্য কারো বুকে যদি খুজে পাও।
 আমার মনের শত ব্যাথা সহে নিবো,
তোমায় বিদায় দিবো ব্যাথা রেখে বুকে।
     আমার হৃদয়ের ঝরা স্বপ্ন পাতা
          নাই'বা হলো রঙ্গিন।
নিঝুম রাতে থাকলাম না হয় একলা
নাই'বা হোক তোমার সাথে দেখা।
 আমি সর্বদায় প্রার্থনা করি তাই
          মহান বিধাতার সমীপে,
            তোমার জীবন হোক
               ফুলে ফুলে ভরা!

Saturday, February 16, 2019

মন

____________ মন ____________
_____  এম এ মাসুদ রানা ______

কেন আবার ফিরে ফিরে চাও
 আমার মনের সীমানা ছুয়ে যায়
 এই মনে প্রানে প্রবল ঝড় তুলে
 মিষ্টি মধুর সূরে গীত গাও!

কেন তুমি ডাকো আমায় বারে বার
 আমার মনের আকাশ ছুয়ে দাও
নিশাচরের ডানায় ডানায়,
 রঙধনুর সাত রঙ ছড়িয়ে যাও!

কেন তুমি মনে প্লাবন নাও
স্বপ্নভরা মনে ছুয়ে যায় বারে বার
প্লাবনে ভাবনা ভাবি সারাক্ষণ
 তুমি কেন এমন ঢেউ তোলে যাও!

ইমান

ঈমান
মো: মাসুদ রানা

আল্লাহ মোদের প্রভু  ভাইরে
আল্লাহ মোদের প্রভু,
সেই  নামেরই জিকির মোরা
ভূলবো নাকো কভু।
টাকা পয়সার লেখে মোরা
ঈমান নাকো ছাড়বো,
আল্লাহ উপর ঈমান যখন
আনছি আরো আনবো।

Tuesday, February 12, 2019

নামাজ

#####নামাজ#####

মাগো আমি পড়বো নামাজ 
উঠবো সকাল বেলা,
করবো না আর মোয়াজ্জিনের
অ্যান অবহেলা।
শীতের দাপটে যতই থাকুক
নেই পরওয়া আর,
অ্যান শুনে শয্যা ছেড়ে
হবে ঘরেরকথা বার।

প্রতিশ্রুতি ডে

.                   প্রতিশ্রুতি ডে
______ এম এ মাসুদ রানা ________

             যদি আস্থাটা লিখে দিই
                    তোমার নামে
               যদি স্বপ্নটা ভরে দিই
                    নীল খামে...!

              যদি প্রেমের দেবতা হই
                    অনাগত দিনে
                সখি মনটা দিবে কি
                    মনের দামে...?

Sunday, February 10, 2019

স্বপ্ন কন্যা

______স্বপ্ন কন্যা_____
__এম এ মাসুদ রানা__

তুমি স্বপ্নে আসো
তুমি স্বপ্নে হাসো,
স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে
তুমি কোথায় থাকো।

শুধুই কি তুমি
স্বপ্ন হয়ে থাকো?
আর স্বপ্নতেই
বাসা বাঁধ।

স্বপ্ন ছেড়ে বাস্তবে কি
কখনো আসো?
বাস্তবে কি তুমি
দূরে দূরে থাকো?

Saturday, February 9, 2019

স্বপ্ননীল

~~~~ স্বপ্ননীল ~~~~
~~ এম এ মাসুদ রানা ~~

স্বপ্ননীল  সুখ নিয়ে
 মন হারিয়ে যায়,
কোন এক অজানা আকাশে
 মনের রং ছড়িয়ে যায়
কোন এক সুদূরে।

 তাহলে সুখের হাসিতে
হেসে  নিও ওগো তুমি।
সকালে ঝড়া শিশিরে
আসতে মন চাই
আসিও কোন সময়ে,
রাখিবো তোমায় যত্নে!

Thursday, February 7, 2019

মায়ের ভাষা

০০০০০  মায়ের ভাষা  ০০০০০
    মোঃ জুলফিকার আলী জিল্লুর

      মায়ের ভাষা তোমায় পেতে
           রক্তে গোসল করি
       তোমার জন্য রাজপথে ঐ
            জীবন বাজী ধরি।

          বর্ণ মালা তুমি তো গো
            আমার মায়ের ভাষা
       তোমায় নিয়ে জড়িয়ে আছে
               স্বপ্ন ভরা আশা।

          ভিনদেশীরাই মেতে ছিল
               স্বপ্ন চুরির নেশায়
         সালাম রফিক জীবন দিল
              প্রিয় বাংলা ভাষায়।

          মুখের ভাষা নেবে কেরে
             এমন বাজি ধরে
          পশ্চিমাদের ঘৃণার নেশায়
             জীবন দিল ছেড়ে।

      হারাতে  এসে হেরে গেল সেই
             শোষক চোষক দল
        মায়ের ভাষা পেতে কি কেউ
               হতে চাই দুর্বল।

      শুকনো রুধির ঘ্রাণ নিতে ঐ
            ছুটছি শহীদ মিনার
   জব্বার বরকত আজো হাসে সেই
           মুক্ত সুখে বাংলার।

         বিশ্ব মাঝে সকাল সাঁঝে
           হচ্ছে প্রভাত ফেরী
     সালাম রফিক মরেনি আজো
             তাদের গান ধরি।

একটি গোলাপ ফুল

একটি গোলাপ ফুল
 এম এ মাসুদ রানা
__________________
__________________
সাহারাতে ফুটে ছিল,
একটি গোলাপ ফুল ।
সেই ফুলেরই সুবাস নিলেন
সারা জাহানে ছড়িয়ে দিলেন
আমার মোহাম্মদ রাসুল ।

যে পেয়েছে সে ফুলের ঘ্রান
সে হয়েছে খাঁটি মুসিলমান
খোদার প্রাণেরই বুল বুল ।

সেই ফুলেরই ঘ্রাণ যে ঘুরে
আমার প্রাণে এসেছে উড়ে
সদা আমি যে হই আকুল ।

সেই ফুলেরই সৌরভ নিয়ে
মোর দেহ মনে ছড়িয়ে দিয়ে
আমি হব বেহেস্তেরই গুল ।

অনন্ত প্রেম

 
 
       অনন্ত প্রেম
 এম এ মাসুদ রানা

    সুখ পাও যদি তুমি 
      দু"হাত পেতে নাও!
হৃদয় গহীনের ভালবাসার
      সুরভী ছুয়ে দাও।

    মনে যদি টানে তোর 
    ছুটে যায় বারে বার
   বুঝে নিও সেই খানে
   কিছু কিছু আছে আবার।

দাঁড়িয়ে আছে, অনন্ত প্রেম
 তুলে নিতে দোষ কি তাতে,
         মনে ছুয়ে যায়। 

      তোমার চাঁদের আবীরে
    যদি গভীর রাতে এসে
দ্বীপ শিখা জ্বলায় তোর মনে।

      কাছে টেনে নিও তুমি
দেখবে  কতো ঝরা পাতার স্বপ্ন
          যদি হয় ক্ষনিকে,
 অনন্তকাল থাকবে তোর মনে।

Sunday, February 3, 2019

প্রেম তো মরে না


প্রেম তো মরে না

মন ভাঙে, প্রেমাস্পদ দূরে সরে যায়। কিন্তু প্রেম তো মরে না। মনের গহিন কোণে, যাকে আমরা বলি অবচেতন, সেখানে সুপ্ত অবস্থায় থেকে যায়।


ধরুন, হঠাৎ দেখা হয়ে গেল রেলগাড়ির কামরায় বা বাসস্ট্যান্ডে এমনকি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের সামনেও হতে পারে। অদ্ভুদ দশ বছর পর। চেহারায়, আদলে পরিবর্তন ঘটেছে অনেক। প্রাণবস্তু চঞ্চল ছিপছিপে তরুণীটি এখন কিছুটা পৃথুলা, পূর্ণবয়স্ক নারী। সংসার-সন্তান সামলে পরিণত জীবনের অভিজ্ঞতার রেখাগুলোকে আড়াল করতে পারেনি প্রসাধনের প্রলেপ। কিন্তু এই নারীকে না চেনা তো অসম্ভব। চমকে উঠেছেন আপনি। ভেবেছেন দ্রুত নিজেকে আড়াল করবেন কিনা। কিন্তু ততক্ষণে চোখাচোখি হয়ে গেছে। আর আপনাকে অবাক করে দিতে হাত তুলে ডাকল। খুব সহজ-স্বাভাবিক গলায় জানতে চাইল, “কেমন আছ?” “ভালো” তুমি? এরপর পরস্পরের সংসার সন্তানের কুশলাদি বিনিময় হলো। আপনার মনে তখন স্মৃতির তোলপাড়। তাঁর মনের অবস্থা অবশ্য বোঝার উপায় নেই। হঠাৎ রবীন্দ্রনাথের কবিতার নারী হয়েইে যেন সে জানতে চাইল, ‘আমাদের গেছে যেদিন একেবাইের কি গেছে?’ কী উত্তর দেবেন আপনি, সেই রবীন্দ্রনাথের কবিতা ধার করেই বললেন, ‘রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে।’ দশ বছর পর দশ মিনিটের এই আলাপের পর আবার দুজনার দুটি পথ দু দিকে গেল বেঁকে। শুধু একটি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল বুক ফুঁড়ে। কত কথা ভিড় করে আসে মনে। চলচ্চিত্রের ফ্লাশব্যাকের মতো অনর্গল ছবির পর ছবি ভেসে ওঠে। টিকিট হাতে সিনেমা হলের সামনে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকার দিন, লাইব্রেরির বারান্দায় বসে দুজনের ঘনিষ্ঠ মুহুর্তগুলো কিংবা নদীর কিনারে বসে দিগন্তলাল সুযাস্তের দিকে তাকিয়ে রঙিন ভবিষ্যতের স্বপ্ন বোনে........।

এর আগে কখনো-সখনো ওর কথা মনে পড়েনি এমন তোন নয়। কিন্তু আজ সে রাতের মতো স্মৃতিরা যেমন করে ছুটে আসছে, আগে তো এ রকম হয়নি।


এ রকম আপনার আমার সবার হয়। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, এর নাম ‘রিট্রাইভাল কিউ’। একটি সূত্র আপনাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে স্মৃতির কাছে। যেমন একটি চাবি হয়তো খুঁজে পাচ্ছিলেন না দীর্ঘদিন। হঠাৎ করে একটা বাক্স দেখে স্মৃতিটা উসকে উঠল, আরে এই বাক্সের মধ্যেই তো ছিল চাবিটা। অর্থাৎ বাক্সটি ছিল সূত্র। কেন ভেঙে যায় প্রেম? কেন দূরে সরে যাওয়া? সাধারণভাবে প্রেমের কয়েকটি শর্ত আছে। 

কাছাকাছি থাকা, দায়বদ্ধতা ও বিশ্বাস। এর কোনো একটির অনুপস্থিতি বা ঘাটতি থেকে ভাঙন ধরে। 
কাছাকাছি থাকার ব্যাপারটিকে অবহেলা করা যায় না। বলা হয়, ছোট ছোট বিচ্ছেদ প্রেমকে গভীর করে দীর্ঘ বিচ্ছেদ প্রেমের মৃত্যু ঘটায়। দীর্ঘকাল প্রেমাস্পদের নৈকট্য বঞ্চিত হলে প্রেমের করুণ পরিণতি ঘটতে পারে। 

হালকা চালে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠল। কিছুদিন একজনের সঙ্গ উপভোগ করলাম, কিন্তু কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেই--- এ রকম সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় না। 

বিশ্বাস হচ্ছে যেকোনো সম্পর্কের মূল ভিত্তি। সন্দেহ ও অবিশ্বাসের কারণে সম্পর্কের সুতোটি ছিঁড়ে যায়। এসব ছাড়া অনেক সময় বাহ্যিক কারণেও প্রেমের সমাপ্তি ঘটতে পারে। অভিভাবকদের জোরজবরদস্তি বা সামাজিক রীতির তীব্র ভ্রুকুটিও প্রেমিক যুগলকে পৃথক করতে পারে। পরস্পরের কাছ থেকে।  মন ভাঙে, প্রেমাস্পদ দূরে সরে যায়। কিন্তু প্রেম তো মরে না। মনের গহিন কোণে, যাকে আমরা বলি অবচেতন, সেখানে সুপ্ত অবস্থায় থেকে যায়। ‘রিট্রাইভাল কিউ’র উসকানি পেলে আবার জেগে ওঠে সেই প্রেমের স্মৃতি। তবে সেই স্মৃতি আঁকড়ে ধরেই মানুষ বেঁচে থাকে, তা-ও কিন্তু নয়। আবেগের কেন্দ্র থাকে মস্তিস্কে। নতুন আবেগম এসে ঢেকে দেয় পুরোনো আবেগকে। ঢেকে দেয় বলে পুরোনো প্রেমের কথা ভুলে সুখের দাম্পত্য জীবন গড়ে তুলতে পারে মানুষ। এখানেও প্রেম আছে। আছে স্বামী বা স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততা, সন্তানের প্রতি ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততা, সন্ত্রানের প্রতি বাৎসল্য আর সংসার ঘিরে আশা ও আনন্দ। 

অনেকে স্বামী বা স্ত্রীকে তাঁর পূর্ব প্রেমের কথা জানাতে চাই না। কারণ, সেটা সহজে গ্রহণ করতে পারেন না স্বামী বা স্ত্রী। কেন তাঁরা এ কথা বোঝার চেষ্টা করেন না যে, মায়ের কোল থেকেই পড়েই তো কেউ স্বামী বা স্ত্রীর কোলে এসে পড়েন না। মধ্যখানে এত বড় জীবন ঘটনাবিহীন থাকবে এট কী করে সম্ভব? তবে বুদ্ধিমানেরা বলেন, পুরোনো কাসুন্দি না ঘেটেই যদি দাম্পত্য সম্পর্ক ও সংসার নিরাপদ থাকে, তাহালে না জানানোই ভালো। কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!

শরৎচন্দ্রের উপন্যাস দেবদাস পড়তে ভালো, সঞ্চয়লীলা বনশালীর চলচ্চিত্র দেবদাসও দেখতে মন্দ নয়। কিন্তু প্রেমের ব্যর্থতায় বাঈজি বাড়ি ঘুরে আসা বা মাতাল হয়ে ‘পারু পারু’ বলে হাহাকারে পার্বতীর বাড়ির সামনে এসে জীবন বির্সজন আদর্শ প্রেমিকের জীবন হতে পারে না। এ ধরনে চরিত্র মানুষের মনে সাময়িক করুণা জাগায়, সমীহ জাগায় না। এটা মনুষ্যত্বের অবমাননা ছাড়া আর কিছুই নয়। মনোচিকিৎসক আহমেদ হেলালের পরামর্শ, ইগো-ডিফেন্স তৈরি করতে হবে। ব্যর্থতা, প্রতারণার বোধ থেকে নিজেকে আঘাত করা, নিজের ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করা যেমন পকৃত প্রেমিকের কাজ হতে পারে না, তেমনি প্রেমাস্পদের সুখের জীবন দেখে ঈর্ষাপরায়ন বা প্রতিহিংসাপ্রবণ হওয়াটাও দৃঢ় ব্যক্তিত্বের পরিচয় প্রকাশ করে না।  জীবনকে নদীর সঙ্গে যে তুলনা করেন কবি-লেখকেরা, তা এখন ক্লিশে মনে হতে পারে। কিন্তু এই তুলনার মধ্যে যুক্তি আছে। নদীতে ছোট-বড় ঢেউ ওঠে, তা মিলিয়েও যায়। কিন্তু যে ঢেউ নদীর পার ভাঙে, সেই আঘাত বা ক্ষতাটাই দীর্ঘস্থায়ী হয়। 

তবে সবচেয়ে ভালো হয় ‘প্রাক্তন’-এর সঙ্গে সহজ-সুন্দর একটি সম্পর্ক বজায় রাখতে পারলে। আগের মতো আবেগের তীব্রতা নেই, কিন্তু বন্ধুত্বের মাধুর্য আছে। পরস্পরের প্রতি অভিযোগ-অভিমান-ক্ষোভ নেই, নতুন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই, আছে ক্ষমা ও মমতা।  

Saturday, February 2, 2019

অহংকার

______ অহংকার
___ এম এ মাসুদ রানা

কত হাক কত ডাক
চেঁচামিচি করে দিনরাত,
মনের মাঝে পুশে রাখে
যাতনা বাসনা যারযার
কি করে বড় হবো?
এই ভাবনা যে করি অহর্নিশ।

কিছু মানুষ ভাবেনা নিজে
নিজের ভাবেনার কথা তার
অর্থ ধন সম্পদ চাই না গরিতে
শূন্য ঘর শূন্য ভাবে রহিতে চাই।

অর্থ প্রাচুর্য নিয়ে করেতেছে
আপন মনে গড়িবার সাধ
চারি দিকে করে ডাকাডাকি
কতই নামের হাঁক।

ক্ষুধার জালায় পরে থাকে
কান্না মেশানো কতই না মুখ
করে না তো তাদের খবর
আসে না তো কাছে যাচিতে
আছে কি তাদের কোন সাধ?

চলে যেতে হবে অচিন দেশে
সবে কিছু ফেলে রেখে,
কেন যে পরে আছি মিছে
অর্থ আর অহংকারে।

Thursday, January 31, 2019

ভিন্ন সাঁজে

_______  ভিন্ন সাঁজে
___ এম এ মাসুদ রানা

আমি আমার মতো করে,
আজ সেঁজেছি অনুপম সাঁজে
আমার কাছে ভীষণ দামী পোশাকে
মনের মাঝে লেগেছে এক বিশেষ অনুভুতি।

কতো জনেই তো কতভাবে সাঁজে
নিত্য নতুন ভিন্ন রঙের পোশাকে ।
যেভাবে মানায় তাঁকে তাঁর মনের মতো করে
সেই সাঁজে থাকেনা তো কারো কোন বাঁধা।

তাই আমিও আজ সবার মাঝে সেঁজেছি
এক ভীষণ রঙে ভিন্ন সাঁজে।
আমিও চাইনি সাঁজতে ইচ্ছে করে
আমার সাঁজানোর পিছনে আছে কিছু না কিছু।

যেমন কেউ সাঁজেনা ইচ্ছে করে
তবুও সাঁজে নিত্য নতুন রূপে।
আমি সেঁজেছি ভীষণ ভাবে
কোন কিছু না কিছু কারণে।

কষ্ঠের মাঝে সাঁজে তো সবাই
তাঁদের মনের মতো করে।
আমারও অনেক কষ্টের মাঝে
সেঁজেছি আপন মনের মতো ক‍রে ।

সবার মাঝে আমি নাই বা হলাম ভীষণ দামী
কিন্তু সেঁজেছি যে এক ভিন্ন সাঁজে,
কোন কো এক কারণে অকারণে।

Tuesday, January 29, 2019

আমার ভাবনা

____   আমার ভাবনা ____
___ এম এ মাসুদ রানা ____

সখী, ভাবনা কাহারে বলে।
সখী, যাতনা কাহারে বলে ।
সখী, সাধনা কাহারে বলে।

তোমরা যে বলো দিবা- নিশি
‘ভালোবাসা’ ‘ভালোবাসা’
সখী, এটা আবার কী?
সখী, ভালোবাসা কারে কয় !
সে কি শুধুই যাতনা আর যাতনা?
সে কি শুধুই দু"চোখের জল ?
সে কি শুধুই  দীর্ঘ শ্বাস ?
মানব  তব কেন ছুটে মিছে আশায়,
এমন সাধনা ও বাসনায়।

আমার চোখে তো সবই শোভন,
সকলই নবীন, সকলই প্রবীণ,
সুনীল গগন, শ্যামল শস্য,
পূর্ণিমা জোছনা, কুসুম কলি
সবই আমার মতো ভাবি।
তারা শুধুই হাসে, শুধুই গায়,
হাসিয়া খেলিয়া মরিতে চায়—
না জানে বেদন, না জানে রোদন,
না জানে সাধের যাতনা যত ।

ফুল সে হাসিতে হাসিতে ফোঁটে
আবার হাসিতে হাসিতে ঝরে পরে।
জোছনা হাসিয়া হাসিয়া ধরনীতে আসে,
জোছনা আবার হাসিয়া মিলায়া যায়।
সাগর তো হাসিতে হাসিতে চলে,
হঠাৎ কেন গর্জনে ফেঁপে উঠে দুই কূল।

Sunday, January 27, 2019

নীরব মানবতা

_____ নীরব মানবতা
___ এম এ মাসুদ রানা

আমি এই ধরণীতলে কে
হারিয়ে যাই ক্ষণে ক্ষণ
সীমাহীন কতই যাতনার তলে!

কাত্তুর সুরে সংগীত ভেসে আসে ;
মোর হৃদয়হীনা হৃদয়ের পথে
পূর্ব  দিগন্তের সূর্যটা হাসতে হাসতে উঠে!

দিবসের প্রভাতের শুভ ক্ষণে
স্মৃতির দরজায় উঁকি দেয় সুরে বেসুরে
ঠিক তখনি ম্লান হয় আনন্দ মেলা।

স্বার্থের কারনে স্বার্থ বেচাকেনা করি
নিষ্ঠুর মানবতার মানব হয়ে
কতই না মায়াবতী রূপ ধারণ করি।

মনবতার আদালতে দিয়ে থাকি তালা;
পৃথিবীর স্বার্থ সিদ্ধ লাভের আশে --
মিথ্যে  অভিনয় ও আছে যত ছলাকলা।

যে সুধা পান অযোগ্য অযোগ্য জানেও
আবার সন্ধনী হয় সতত এ সংসারে --
 যার আছে কি কোনো কিঞ্চিত মূল্য?

আমার মানবতা কত যে বড়
দেখাতে চাই না ফিরে একবার
মানবতা আমরা বুঝেও না বুঝিও।

মানবের মানষ চেতনার এ বড় গুণ
থাকার কথা সবার মাঝে সর্বক্ষণ
জলন্ত দাবানল জ্বলায় সম শিখা!

মানবতায় হীনতা পোড়ায় না তবু ;
দগ্ধ করে না চেতনার অঙ্গীকার
তাইতো মানবতা আজ এতই  নীরব।

Friday, January 25, 2019

ফেলানি

°°°°°°°°°°°°° ফেলানি °°°°°°°°°°°
°°°°°°°°° এম এ মাসুদ রানা °°°°°°°°

তোমায় নিয়ে নতুন  লেখা লেখেনা আর কেউ,
তোমায় নিয়ে নতুন করে ভাবে না তো কেউ,
তোমার জন্য মমতা মহো দেখায় না তো কেউ,
তোমায় নিয়ে আবেগ ভরে ভাবনা ভাবে না তো কেউ।

সারা বঙ্গ বলেছিল, ঝুলোনি তুমি ঝুলেছে এই বঙ্গ,
তোমার রক্তে রাঙ্গায়নি তোমার শরীর, রাঙ্গিয়েছে এই বঙ্গ,
লিখেছিল অনেকে তোমার জন্য বিশেষ কিছু ছন্দ,
করেনি কেউ তোমায় গালাগালি আর মন্দ।

তোমার জন্য কেঁদেছিল সবে হাসেনি কোন প্রাণ
তোমার জন্য  করেছিল প্রতিবাদ, করেনি কেউ অপমান
তোমার জন্য কেঁদেছিল পূর্ববঙ্গ, চেয়েছিও সুবিচার
তোমার জন্য করেনি আপোষ পাইনি সুবিচার।

শুধু কাঁদেনি তোমার পিতা, কেঁদেছে গোটা বঙ্গ
কান্না দেখে সাথে ছিলো সবাই, ছিল না শুধু পশ্চিম বঙ্গ
বিচার চেয়ে চেয়ে পেয়েছি কি আর কত্তো গালমন্দ
কেঁদেছিল গোটা বিশ্ব শুধু কাঁদেনি পশ্চিম বঙ্গ।

Wednesday, January 23, 2019

প্রবাসীর কথা

____ প্রবাসীর কথা
__ এম এ মাসুদ রানা

তোমরা তো দেশে থাকো
তোমরাই হলে আসল সুখী।
আমরা প্রবাসে যারা
আমরা প্রবাসে থাকি
আমাদের নাই দিবানিশি!

তোমরা তো চাকুরী করো
হয়তোবা কেউ না কেউ !
বাড়ি ফিরে মাকে  বল
মা ভাত দিছো কই।

আমাদের নাই  বাড়ি
সবাই মিলেই একটি ঘর!
এইটা কার ঐটা কার
চেচাঁমেচি দিবানিশি  ভর!

তোমারা যাও লাইব্রেরিতে
করো অভিধান পাঠ!
আমাদের তো কিছু নেই
আছে শুধুই মায়ের দেওয়া
ছেঁড়া খেতা বালিশের থাক।

শেষ ইচ্ছা

_________ শেষ ইচ্ছা ___________
______ এম এ মাসুদ রানা ________

আমি হাসবো যতো আসুক বিরহব্যাথা
আমি কাঁদবো না কখনো,
আসুক যত জীবনে আধার।
বেদনা চেপে  রাখবো বুকের গভীরে
তোমার কোলে মাথা রেখে ভুলে যাবো বলে,
কয়েক ঘন্টা ঘুমাবো ক্লান্তি হবে অবসাদ।

এই প্রেম যে আমার অনন্তের অসীম
আমরণ চিত্তে রবে প্রজ্বলিত শিখা,
তোমার ভালোবাসা অর্জনের আশায়
কতো যে, হা-হা-কার মনে দোলা দেয় বারে বারে।

আর কতো জ্বলন্ত শিখাকে জ্বালাবে ,
আর ফিরিয়ে দিওনা তৃষ্ণাতূর হৃদয়কে।
তোমার কোলে দুঃখ ভুলি বলে
এই নিয়ে করেছো কত্তনা খেলা,
আর খেলা নই শেষ ঘুমাতে দাও
ঘুমাতে দাও শুধু একবার।

Monday, January 21, 2019

মনের কথা

 মনের কথা

এম এ মাসুদ রানা 


মন জ্বলে মনের প্রহরে
তুমি হীনা বল রইব কেমনে,
সেতো তুমি ভালো জানো
মন পুড়ে স্মৃতির সরণে।

তুমি বিনে আর নেই কেউ 
এই মন সাজার,
আমি তুমি হীনা কতোটা একা
দিবসেও আধার,
বহু পথে হেঁটে আসা ক্লান্ত মন 
নেই কেউ বাঁধার।

যতটা ভাবনা ভাবি তোমার 
ফিরে আসা নিয়ে,
সবে কিছু মিছে আশা হবে
মিছে ভরষা দিয়ে।

Monday, January 7, 2019

সিমনের যাত্রায়

________সিমনের যাত্রায়__________
__জুলফিকার আলী (জিল্লুর)__
বালিয়াডাঙ্গী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়

অনাদর, অনাদর এ কোন অনাদর ?
তোমার সর্বঙ্গের কচি মাখা প্রেম গুলি
     ছলকে দেখার দুলকে-দুলকে
                মুচকি হাঁসি।
ছোট-ছোট দুষ্ট আর মিষ্টি কথার
                ইন্দ্রোজালে
এ কোন অনাদর রেখে গেলে তুমি?

ভূলতে পারি না,  কিছুতেই ভুলতে পারি না
দীঘল পায়ের চপল চলা আর ছলকে দেখা।
       তুমি তো তোমার মত করে
সাজালে তোমার স্বর্গ রথের ভেলা-
                     কিন্তু
তোমার স্মৃতির যাদু আতকে তুলে
বাঁধ ভাঙ্গা ঝড়ে বেলা অবেলা।

তোমার বাল্যবেলার ধুলো মাখা অঙ্গখানি
        না জানি তৃষ্ণাতুর করে তুলে
                     অবশেষে
                ঢেউ ভাঙ্গা ঢেউ এ
       বুকের ভাঙ্গা পথ ভেঙ্গে ফেলে
কাফন পরা দাফনের একোন অনাদরে।