Friday, May 3, 2019
শ্রমিক
মোঃ জুলফিকার আলী জিল্লুর
ঘাম ঝড়ানো বুকে,বুকের পাঁজর ভাঙ্গা,
কাজের ফাঁকে খুন ঝরে গা হয়েছে রাঙা।
হঠাৎ করে মালিক এসে, কাজে দিলে ফাঁকি!
মজুরী তো পেলে না আজ, কাজ যে আছে বাকী।
রক্ত ঝরা গায়ে হাত দু 'খানা পেতে-
এমন কথা বল না বাবু "
ছোট্ট ছেলে অনাহারী পায়নি যেনো খেতে।
ধুততেরী সব বায়না ধরো অনাবদারী যত!
কাজ মিটেনি রক্ত ঝড়ার ছলে, পয়সা দেব কত।
বিনয়ী স্বরে ' বাকিটুকু কাল জীবন বাজি রেখে-
যা পাব মিলিয়ে দিও কাজটি তোমার দেখে।
আজ শুধু দাও অর্ধেক,কিনবো কিছু খানা-
বাকীটুকু না হয় দিও পরে,করছি না তো মানা।
ক্ষিপ্র স্বরে ' মুখে মুখে তর্ক কর কেন?
কাজটি কর শেষ,উল্টো হয় না যেনো।
ক"দিন পরে মিটিয়ে দিব সব,পাওনা আছে যত,
আর যদি হয় তেরাবেরা,শ্রমিক আছে কত!
অশ্রু -ঘাম -রক্ত মিলে হৃদয় হলো একাকার
ক্ষুধা-তৃষ্ণা অশ্রুসিক্ত তনু প্রশ্ন করে তুমি কার?
কাজের মালিক পাওনা যে রোজেই রাখে বাকি-
রক্ত তুমি বৃথা,তুমিও দিলে পাওনা পেতে ফাঁকি।
আজ যদি কাঁদে অনাহারে সন্তান, তুমি বিধাতার!
বিচার চাইনি আমি' মালিক ওরা,বিচার হবে কার?
অধিকার চেয়ে ' বছরে বছরে হাঁক তুলি একবার,
জানিনা!কোথায়?কি?কার কাছে এ আবদার?
Wednesday, May 1, 2019
নিরাশা
নিরাশা
এম এ মাসুদ রানা
ভালবাসার তো নেই কোন সময়
ব্যস্ত ও কাজে কাটে এই জীবন
বুকে হাত বেধে রাখা যায় না আর
ঘাড় বাকা করে দাড়ানোর নেই সময়
ঘামের জলে শীতল হয় গা
প্রখর রৌদ্দুরে বড়ই ক্লান্ত আমি
কাছেও পাই না কোন কিছু
কিভাবে মিটাবো হৃদয়ের রৌদ্দুর।
কাজের মাঝে কেটে যায় বেলা অবেলা
ব্যাকুল করে মন কাজের কোলাহলে,
তৃষ্ণায় বড় ক্লান্ত এই প্রাণ
জল টেনে পান করার নেই কোন সময়
আমার নদী বয় না আমার পানে
নেই তার কোন স্রোত
আটকে রাখে শুধু সংসারে
আটকা মনে বাধা দেয় সময় অসময়।
ফিরবো কখন তোমার পানে
বন্দী যে, আছে আমার দুটি আঁখি,
বাধা দেয় যত সমাজের যত বাসনা
যত বাধা যত কথা সবে মোর নিরাশা।
Monday, April 29, 2019
Sunday, April 28, 2019
শ্রমিকের গান
শ্রমিকের গান
এম এ মাসুদ রানা
লেনিন আর লেনিহান
ধর্মতলা আর আগরতলা
মে দিনের গান
কলাতী আর
সলোমনের মা
ফুল ও বসন্ত
সুভাষের বিরুদ্ধে সুভাষ।
আর তারপর
বেলভিউ নার্সিংহোম
এবং শেষশয্যায় শায়িত
আছে শত শ্রমিকের শ্রম।
পদাতিকের পা থামে
কাদের যেন
পা চালানোর কথা থেকে যায়
ইতিহাস তো লেখায়
কত মানুষের কথা।
বেশি করে লেখা হলো না
আমার ক্ষুদ্র শ্রমিকের কথা।
Saturday, April 27, 2019
তরুণের গান
____তরুণের গান___
__এম এ মাসুদ রানা__
জেগে উঠো তরুন সমাজ
অলসতা আর করো না
আলসতার সময় শেষ,
শেষ হয়ে যাচ্ছে আজ
তোমার আমার বাংলাদেশ।
---
তোমরা যদি তরুণ সমাজ
থাকো সবাই মৃয়মান
পানি ছাড়া শুকনো মোহনা
না তুলে কোন শব্দ
না থাকে কোন জলজ প্রাণ।
---
বাংলাদেশ হারাবে তখনি
যখনি যুব সমাজ হবে দূর্বল
দেশকে করো সবেমিলে ভক্তি
হয়ে যাও সবল ও সতেজ
সাহস ও শক্তি আনো মনে
তরুন ছাড়া থাকবে না এদেশের প্রাণ।
--
Thursday, April 25, 2019
আল্লাহর রহমত
★আল্লাহর রহমত★
এম এ মাসুদ রানা
ছলছল জলধারা
তাকে বলে ঝরনা।
ভাদ্রের রৌদূরে
কখনো হয় তো বন্যা!
টলটলে অশ্রুতে
মুখভরা কপোল,
আঘাত পেলে আসে
দু"চোখে জল।
আদিষ্টরই শীর
হয় গো ধীর!
পাপের প্রাচীরই
হইবে চৌচির!
ঘুচে দাও মুছে দাও
আঁধারের দাগ!
প্রাণবাঁশির মুছে যাক
হারনো যত রাগ!
দূর হবে জীবনের
সব কালো রাত!
আসবে ক্ষমার রাতি
আল্লার অশেষ রহমত।
Monday, April 22, 2019
Sunday, April 21, 2019
উৎসব
এম এ মাসুদ রানা
ধর্ম যার যার উৎসব যেন সবার
এই কথাটা মানি না তো আমি
কেন আমায় নিয়ে করো টানাটানি?
তোমাদের চলন বলনও মানি না আমি।
আমি বলি শুনো,
ধর্ম আমার উৎসব আমার
তোমার বৈশাখ আমার নয়!
যেমন করে আমার সালাত
আমার জুমাহ তোমার নয়!
উৎসব মানেই নয়তো হাসি
উৎসব মানে হয় ইবাদত!
উৎসবে হয় নেকি,বদি
বুঝে শুনে আগাও পথ!
কুরান হাদীস জীবনের বিধান
একটু খুলে দেখবেন ভাই!
বৈশাখী সাজ প্রসাদ খাওয়া
হারাম জানা শিখরে ভাই!
Friday, April 19, 2019
ভাগ্যের লিখন
ভাগ্যের লিখন
এম এ মাসুদ রানা
কতই না সুন্দর এই বিশ্ব ভূবন
কতই সুন্দর তোমার এই মন,
আমি উজাড় করেছি জীবন
ভালোবাসা দিয়েছি সর্বক্ষণ।
তুমি সে ভুলে করেছো পিছুটান
তোমার মনে জমে না তার মান
কতই না কত মান বা অভিমান।
গ্রহণ করেছো মন প্রাণ দিয়ে
উজার করা ভালোবাসা নিয়ে।
আশা নিয়ে পাশে দাঁড়াবে যখন,
ভালোবাসা কাছে থাকবে তখন।
তুমি আবার বলবে না কি?
এটা আমার ভাগ্যের লিখন।
Thursday, April 18, 2019
Wednesday, April 17, 2019
যুকক
যুবক
এম এ মাসুদ রানা
যুবক কি হলো তোমার
ভুলেছো খোদার দ্বীন ও ইসলাম,
গভীর রাতের সেজদা ছেড়ে
চলাছো কেন চ্যাটিং ড্যাটিং?
নিত্য নতুন ফ্যাশন করো
করছো কেন বাহাদুরি।
জামায় করছো নানান কাজ!
দাঁড়িতে দিচ্ছ ভীষণ ছাট।
জামার সাথে নেই পকেট,
কেমনে থাকবে,
তসবী, আতর, সুরমা কাছে!
পড়বি নামাজ গভীর রাতে
করবি ও প্রেম প্রভুর সাথে
দোজাহান দেখবি তখন
চাইবে শুধু তোমার নাজাত!
Tuesday, April 16, 2019
অহংকার
অহংকার
এম এ মাসুদ রানা
কত হাক কত ডাক
সুখ হীন দিনরাত,
মনের মাঝে
চিন্তা যারযার
কি করে
বড় হব সবার।
কেউ কেন
ভাবেনা কথা তার
অর্থ ধন সম্পদ
শূন্য ঘর যার।
অর্থ প্রাচুর্য
গড়েছে আপনার
চারি দিকে
কত নাম ডাক।
ক্ষুধার জালায়
ভেজা চোখ যার
তবে কেন
রাখনা খবর তার।
যেতে হবে চলে
সবি রেখে ফেলে
অর্থ আর অহংকার
করেছে জীবন অন্ধকার।
Sunday, April 14, 2019
চৈত্ররথ
_______চৈত্ররথ _______
_____মাসুদ রানা_______
চৈত্র মাসের দুপর বেলা
আগুন হাওয়া বয়।
দাসী ছেলে বেড়ায় ঘুরে,
সকল পাড়াময়।
রোদের অাঁচে পুড়ছে মাটি
উড়ছে ধুলো বালি।
চারি দিক ঝরছে ঝাঁ ঝাঁ
অাকাশ হলো কালি।
ছোট বেলার কথা
ছোট বেলার কথা
এম এ মাসুদ রানা
প্রভাতের হালকা আলো
আসতো যখন জানালা দিয়ে
ছোট বেলায় শুনিতাম সে ক্ষণে
গুনগুন কত গলা যে,
কত যে মধুর লাগিত
ছোট শিশুর কাছে
নিরবে যেতাম শুনে
যেই কুরানের বাণী ,
আজও প্রভাতে আলো আসে
আজও গগনে সূর্য হাসে
আসছেনা কেবল আজিকে
সেই মধুর বাণী,
আজিকে প্রভাতে ভেসে আসে
শুধুই গান বাজনার ধ্বনি।
বর্ষবরণ
বর্ষবরণ
এম এ মাসুদ রানা
ঋতুরাজ বসন্তের বিদায় বেলায়
তুমি ওগো আসলে
নতুন রূপের, নতুন সাজে
সাজাবে নতুন করে এই ভূবন।
তোমাকে যে, করতে হবে বারণ
কিভাবে যে, করবো তোমায় বরণ?
সেই ভাবনার স্বাদ নিয়েছে আমার মন
তোমাই বরণের জন্য, আমি হয়েছি বে কূল।
যে হাতে চৈত্রের সাথে ঋতুরাজের দিয়েছি বিদায়
সে হাতে তোমাকে করিবো কেমনে বরণ
তবুও যে, তোমাকে বারণ করতে এতো স্বাদ জাগে মনে
তোমাকে বরণ করতে হয়েছি বে কূল।
আমি যে, শুণ্য হাতে এসেছি তোমার পানে
তোমার আগমনে আমি করবো গমন,
নতুন কোন এক দিগন্তে,
যেখানে থাকবে না কোন বিস্বাদের স্বাদ
তাহলেতো হবে আমার বর্ষবরণ।
Wednesday, April 10, 2019
আল্পপনা
আল্পনা
এম এ মাসুদ রানা
আল্পনার কল্পনায়,
লিখতে চেয়েছিলাম অল্পনার নাম
আল্পনার কল্পনাতে ডুবে থাকি সারক্ষণ
আল্পনার কল্পনাতে মোর বাস।
লিখবো কি অল্পনাকে নিয়ে
ভেবেছি শতবার,
বুকের পাজড়ে জমানো ভাষা
কালি হয়ে যায় এই চোখের জ্বল,
মনের পাতাটা অগোছালো তাই
পরে আছে জোরাজীর্ন দেহে
উই পোকায় খেয়েছে মোর হৃদয়
রয়ে গেছে ব্যাথার চিহ্ন।
ধুকে ধুকে পুরছে হৃদয়
বিষাদের জ্বালায় জ্বলি দিবানিশি
এভাবে আধার ঘনিয়েছে জীবনে
ফোটা ফোটা মেঘছাড়া বৃষ্টি।
এম এ মাসুদ রানা
আল্পনার কল্পনায়,
লিখতে চেয়েছিলাম অল্পনার নাম
আল্পনার কল্পনাতে ডুবে থাকি সারক্ষণ
আল্পনার কল্পনাতে মোর বাস।
লিখবো কি অল্পনাকে নিয়ে
ভেবেছি শতবার,
বুকের পাজড়ে জমানো ভাষা
কালি হয়ে যায় এই চোখের জ্বল,
মনের পাতাটা অগোছালো তাই
পরে আছে জোরাজীর্ন দেহে
উই পোকায় খেয়েছে মোর হৃদয়
রয়ে গেছে ব্যাথার চিহ্ন।
ধুকে ধুকে পুরছে হৃদয়
বিষাদের জ্বালায় জ্বলি দিবানিশি
এভাবে আধার ঘনিয়েছে জীবনে
ফোটা ফোটা মেঘছাড়া বৃষ্টি।
Tuesday, April 9, 2019
ফুল
_______ ফুল
____ এম এ মাসুদ রানা
ফুল ফুটেছে চাঁদ উঠেছে
সৌরভ ছড়ায় সব জায়গায়
মুগ্ধ হয়েছে সবে ফুলের ঘ্রাণে।
যা কিছু ছিলো
সবি দিয়েছে ছড়িয়ে
ফোটানোর বেলাতে।
এভাবেই চাই দেখতে সবে
ঝরে যেতে দিতে চাই না কবু
সবি দিয়ে আরো যে চাই
ছন্দে ছন্দে, তালে তালে।
যেদিন,
আর আসবোনা ফিরে
তোমাদের মাঝে, চলে গেলে
সেদিন খুজবে সবাই
পাবে নাতো কেউ!
মালা হয়ে থাকবে গোলায়
থাকবে না কোন তার ঘ্রাণ
মিলে যাবে সব ঘ্রাণ প্রকৃতির নিয়মে
পরে রবে ধুলীর মাঝে প্রযোজনে বেশ
ধুলো পথে ধুলোবালি দিয়ে হবে শেষ।
Thursday, April 4, 2019
Subscribe to:
Posts (Atom)