কম যান
নেশার ঘরে, জুয়া খেলায়
যত পারো কম যান
রঙ তামশার রঙ্গধরণী সল্পক্ষণ
কবে জানি যাই জান
পাপনদে থাকলে ডুবে
দিলটাকে সমজান
যত পারে করে যাক
পূণ্যের সন্ধান
সময় থাকতে ভাল হোন
নেওয়ার আগে যম জান
মৃত্যুর পূর্বে পাও যেন তুমি
জান্নাতের সুঘ্রাণ
নেশার ঘরে, জুয়া খেলায়
যত পারো কম যান
রঙ তামশার রঙ্গধরণী সল্পক্ষণ
কবে জানি যাই জান
পাপনদে থাকলে ডুবে
দিলটাকে সমজান
যত পারে করে যাক
পূণ্যের সন্ধান
সময় থাকতে ভাল হোন
নেওয়ার আগে যম জান
মৃত্যুর পূর্বে পাও যেন তুমি
জান্নাতের সুঘ্রাণ
আলেমের কাছে কলমা শিখে
হলে তোরা মুসলমান
তোরাই করছিস আজ দেখি
আলেম চরম অপমান
আলেম পড়াবে তোর জানাজা
যখন হবি লাশ
আলেম হলেন এই ত্রিভুবনে
মহান খোদার দাস
আলেমের কাছে কোরআন শিখে
বদদ্বীন খোঁজে দ্বীন
কেমন করে শোধ করিবে তুই
আলেমগণের এই ঋণ
দ্বীনের পথে অবিরাম চলছে ছুটে
পিছু হটে না তবু
কাফের বেদুইন কখনো তাদের
করতে পারে না কাবু।
একদিন তোরা বুঝবে সবি
করতে পারবে না কিছু
লজ্জা ঘৃণায় চলবে চলবে তোরা
মাথা করবে নিচু
আবার বলি তোমরা শোনো
আলেমদের সম্মান কর
উপযুক্ত সম্মান দিয়ে তোরা
তাদের সজহ পথ ধর।
হাতের মুষ্টিতে শক্ত করে শান দাও
প্রতিবাদের তরে মনকে শক্ত করে নাও।
অচিরেই শুরু করতে হবে মহসযুদ্ধ
মুসলিম সমাজ আজ বেজায় ক্ষুব্ধ।
প্রতিহতর তরে বেঁধে নাও মহাজোট
কোন মালাউন বসাতে না পারে যেন ঠোঁট।
ইমানের জোরে আত্মাকে করে নাও শুদ্ধ
মক্তভাবে বাঁচাতে মনুষ্যত্বকে করে নাও বিশুদ্ধ।
গাজওয়ায়ে হিন্দের তরে আজো
মজলুম কান্না হৃদয়ে করুন সুরে বাজে।
কাশ্মীর বসনিয়া সিরিয়া,লিবিয়া ফিলিস্তিন
হরদমে খুজে ফিরে মুজাহিদ প্রতিদিন।
খালিদের তারিকের, শিষ্য তুমি বিন কাসিমের
মুক্ত করিতে আকসা, তুমিও তৈরি হও অসীমের।
কি দূর্বল আহ কি মুমূর্ষু যন্ত্রণায় হয়েছে তারা কাতর
ফিরে কি পাবে না তাঁরা কখনো স্বাধীনতা আবার।
ফিরাতে হবে তাদের স্বাধীন জীবিকার তরে
অন্যায় জুলুমে যেন আর নাহি কেহ মরে।
প্রতিহত করতে হবে তাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে
শান্তি পাবে তারা আমাদের ঐক্যের জোরে।
এসো মুমিন মুজাহিদ তোরা
রাখো ভাই হাতে হাত,
ছেড়ে যেওনা অবেলায়
বিনিময় করি দ্বীনের সৌওগাত।
কতই সুন্দর মধুর বানী পাঠিয়েছে
কালেমায় শাহাদাত,
এ বাণীটি পৌঁছাতে হবে
করতে হবে আঘাতে প্রতিঘাত।
যদি তোরা সমান্যতে ভয় পাও
প্রতিবাদেবকার হবে হিম্মত,
তাই এসো ভাই মুমিন মুজাহিদ
মোরা রুখে সব জুলমাত।
হৃদয়ে থেকে রক্ত ঝরে
আঁখি থেকে পরে জল।
উষ্ণ জলে ভাসছে হৃদয়
জনপ্রিয়তা নিয়ে ভয়।
কোন সুখেতে হাসছো তুমি
মনপুড়ে আজ হচ্ছে খাক্
বলো যা হবার তা হয়ে যাক
আরো বলো সততা দূরে রাখ।
দেখতে তোমায় মানুষরুপী
মনুষ্যত্ব নাই তোমার মনে
ঘুরে আবার তুমি জনে জনে
গুজব ছড়াও ক্ষণে ক্ষণে।
কুকুর বিড়াল অনেক দামি
মুসলিম হয়ে করো বোকামী
প্রযোজনে করো হানাহানি
প্রমাণ করতে চাও তুমি দামী।
মুসলমানের মৃত্যুতে আজ
উৎসাহ দেওয়া তোমার কাজ।
বিশ্ব জুড়ে নিঃস্বর খেলায়
মা-বোনদের কান্নার মেলায়।
তোরা হলো মসলিম শাসক
কাজকর্ম করো কেমন আজব
মসলিম হয়ে মুমিন মারো
বেধর্মীদের হাতটি ধরো।
আরব মরুর হেরার বুকে
নবীর ধ্যানের গর্ত আছে!
সেথায় যাবো আমার আশা
আমায় ধরেছে চরম নেশায়।
ঘুরতে যাবার ইচ্ছে আছে
মনের ভিতর বাজনা বাজে।
আমার চোখে স্বপ্ন জমা
সুরমা ওয়ালা সুরমাও আছে!
ফরিয়াদ জানাই এই অসহায়
প্রিয় নবীর মাজারে যায়।
মন ভরিয়ে করবো সালাম
মনে মনে সফত নিলাম।
আজ শুধু আমার একটি চাওয়া
আমার নবীর পরম কাছে!
স্বপ্নে হলেও একবার তোমায় দেখার
আমার বড় ইচ্ছা আছে!
ঈমান আছে, আমল আছে
নেই তবে এখলাছ
মরন হবে, স্মরণ আছে
নেই শুধু এহসাস
কোরআন আছে, হাদিস আছে
নেই তার আলোচনা
দ্বীন আছে, ইসলাম আছে
নেই শুধু প্রকাশ
কলম আছে, কালি আছে
নেই শুধু জ্ঞান
প্রাণ আছে, জ্ঞান আছে
নেই কোন অনুশোচনা
চোখ আছে, মুখ আছে
নেই শুধু স্বাধীনতা
দল আছে, বল আছে
নেই শুধু একতা
টাকা আছে, পয়সা আছে
নেই শুধু উদারতার
ছেলে আছে, মেয়ে আছে
নেই শুধু সুশিক্ষা।
কান্নার তরে গগন কাঁপে
চন্দ্রও লুটাই পরে ধরায়।
সোমবারেতেই জন্ম তোমার
সোমবারেতেই মৃত্যু তোমার।
ছাড়লো তিনি ধরনী তল
কিছুটা হারালাম মনের বল।
থেকে গেল আসা মধুর বানীর
বার্তা নিয়ে জিব্রাইল আসবে না জানি।
সেই শোকে কাঁদলো আরো বিশ্ববাসী
ভুলতে পারে না নবীর ভালো বাসাবাসি।
নেমে আসলো আত্মা ঘাতক আজ্রাইল,
সাথে নিয়ে নবীর আত্মা হননের ফাইল।
সকল সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ নবী দু"জাহান
তাঁর বিদায়ে কলিজা হলো খানখান।
তিনি ছিলেন নূর নিনাদ, করেনি কোন বিবাদ!
বিদায় নিলো দ্বীনের রবী, শ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ!
আমরা এখন খোদার হুকুম
আগের চেয়ে অনেক কম মানি।
তাই ধরাতে মুসলিম সমাজ
হচ্ছি সদা লাঞ্চিত আজ।
জুলুম করে দাঁত কেলিয়ে
পৃথিবীর পরিবেশে থেকে বেড়িয়ে।
বলি সবাই, কি হয়ে যাবে এমন হলে
পর্দা ছেড়ে পরী-বেশে নারী চলে।
পর্দা করি জীবন গড়ি
আসবে নাকো আর নির্যাতন।
কুকুরদলের ধ্বংসী হানা
নির্যাতিত হবে না, এটাও জানা।
খোদার হুকুম মানলে সবে
আপদ থেকে নিরাপদে সবাই রবে।
মোর নবীজি চাইতো যদি
হতো সোনার পাহাড়,
সেই নবীজি অনেক সময়
করেনি কোন অনাহার।
নিজের ভোগে চায় নি কিছু
চাইতো সবার তরে,
সেই নবীজির আদর্শ ভাই
রাখনা বুকে ধরে।
যাঁর জীবনটা কাটলো কেঁদে-
উম্মতী উম্মতী করতে
তাঁহার আদর্শ করলে ধারন
শয়তান নাহি পারবে ধরতে।
মোদের নবী শ্রেষ্ঠ নবী, শ্রেষ্ঠ নবী
শ্রেষ্ঠ ছিলো দু'জাহান,
নবীর সুপারিশ ছাড়া শেষ দিবসে
পাবে না কেউ পরিত্রাণ।
সালাত পড়ি, জীবন গড়ী
সালাত আদায় করি,
সালাত পড়ে সঠিক পথে
নেকীর পাহাড় গড়ী।
সালাত মোদের হৃদয় নীড়ে
এনে দিবে জান্নাতী ঘ্রান,
জাহান্নামের আগুন থেকে
মোরা পাবো পরিত্রান।
সালাতে মাঝে হয় কথা
খোদা তাআলার সাথে,
চাওয়া পাওয়ার যত কথা
বলবো খোদার কাছে।
সালাত আদায় করলে হবো
খোদর অতি আপন,
পরকালে পেয়ে যাবো মোরা
অতি সুখের ভুবন।
তুমি কি বৃষ্টি হবে?
ভিজিয়ে দিবে আমায় সকাল দুপুরে।
তুমি কি সূর্য্য হবে?
আমায় আলো দিবে চুপটি করে।
তুমি কি আকাশ হবে?
ঢেকে রাখবে সযত্নে আমায় শুধু।
তুমি কি বাতাস হবে?
তোমার কমল ছোঁয়ায় দিবে যাদু।
তুমি কি রাত হবে?
আদর করে, আমায় রাখবে বুকে।
তুমি কি চাঁদ হবে?
আমাবস্যায় জ্বলবে ধুঁকে ধুঁকে।
তুমি কি আমার সাথী হবে?
সবসময় আমায় নিয়ে কথা কবে।
তুমি কি আমার হবে?
চিরকাল আমার কাছে রবে।
জেগে উঠো মুমিন মুসলিম
জিহাদের দাও ডাক।
নবীকে (সাঃ) নিয়ে ব্যাঙ্গকারীর
মাথায় মারো লাথ।
বেশি বাড়াবাড়ি করছে তারা
কলিজায় করছে আঘাত।
শক্ত জবাব দিয়ে হবে ওদের
ভাঙতে হবে কালোহাত।
ওরা মাঝে মাঝে বদনাম রটায়
পরিনামে পায় জবাব।
বিবেক মোদের ডাক দিয়েছে
করতে হবে প্রতিবাদ,
হাসিমুখে নবীর তরে শহীদ হবো
করবো মোরা জিহাদ।
বুকভরা স্বপ্ন, মনে আছে ভালোবাসা
সাথে আছে সেই নিষ্পাপ হৃদয়ের আশা।
স্বপ্নরা মেলছে ডানা, হৃদয়ে দিয়েছে হানা
সেই তরে ধরেছে নতুন নতুন বাহানা!
আচ্ছা!
একবার কি ফিরে দেখা যায় না?
একবার কি কাছে আসা যায় না?
তাছাড়া;
নতুন করেও কিছু বলা হয় না!
নতুন করে কি আকাশে ঘুড়ি হওয়া যায় না?
এই হৃদয় একবার কমল পরশ দিতে পারবে না?
ভালবেসে কি হাত দুটি একবার বাড়াতে পারো না?
হ্যাঁ,
আমি বসে আছি,
তোমার পথেই চোখ মেলে চেয়ে আছি,
আমি জানি তুমি ফিরবেই,
আমার প্রিয়োসী হয়ে।
তুমি আবার আসবেই,
হ্যাঁ আমি জানি সত্যি আমি জানি,
কারণ তুমি যে, আমার হৃদয় রানী।
যে দেশে চলে না পর্দার বিধান
গাজা সেবানে নাবালক ছেলে,
পীর সাহেবরা করে শরাব পান
বার আসলে এমপি-মন্ত্রী মিলে।
ডিসকোর ভিতর রয় মাতোয়ারা
ধর্ষক দিয়ে করে জয় লাভ,
সুদ ঘুষের কারবার চলে যথাতথা
সিদ্ধ ছাড়া আসেনা ভাব।
শিরক করে পীরের সাহেবরা
বিদ'য়াত হলো চির সঙ্গী,
কুফরি করে মহা আনন্দে
ইমানের সাথে চালাই ভঙ্গি।
কুরআনের পাখি যায় নির্বাসনে
তাফসির প্রচার বন্ধ হয়,
শত্রুর সাথে দফায় দফায় সন্ধি
হক কথাতে নীরব রয়।
জুব্বা টুপি রাখলে গাঁয়ে
দেখলে দাড়ি পুলিশ ধরে,
কেউ হয় না দেখেও অবাক
মেধাবীর সব কারাগারে মরে।
এমন দেশে আসবে না কেন ঘূর্ণিঝড়?
কারণ মোরা জানতে চাই,
আল্লাহর কাছে করে আবদার
লজ্জা সমর বলতে কিছুই নাই?
মহান মালিকের পবিত্র বানী
পড়লে বলো জঙ্গিবাদী,
রাষ্ট্র বিধান হলো না কুরআন
উল্টো দিলো চরম অপবাদ।
এমন এক জালিম রাজ্যে
আসবে গজব স্বাভাবিক এটা,
অনুপাত হয় না নিজ কার্যকর্মে
ভালো কথা বললে বলে বেটা।
আল্লাহ তুমি সর্বশক্তিমান
ক্ষমার তরে দুই হাত তুলি,
পবিত্র মহান সত্তা তুমি
কষ্টের মাঝে তোমায় নাহি ভুলি
তোমার দয়াতে রয়েছি বেঁচে
মৃত্যু দিলে কিছু করার নাই,
আমার সোনার বাংলাদেশে
ইসলামী রাজ্য কায়েম চাই।
ততটুকু সুযোগ দাও খোদা তুমি
আমরা শহীদি মরন চাই,
আমি কি লিখতে কি লিখেছি
ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টি দেখ ভাই।
রচনাকালঃ- ১৯/১১/২০১৯
অনুরাগের খুন হয়েছে
ভালবাসা উঠেছে শৃঙ্গে,
ধর্ষিত ললনা বলে না
কথা চলমান বঙ্গে।
দ্বন্দ্ব মন্দ বাড়ে গোল
অপমান জানে শুনে
মিথ্যায় বেরে যায় সংশয়
প্রনত নেই বিনয়ে!
আস্ফালন দাম বাড়ে নাই
নিন্দা করলেও দুখ
লোভে হয় দৈত্যের নীতি
প্রশস্ত হয় মুখ!
অভিলাষীতে নেই কোন সুখ
ক্ষয় করে পিঞ্জর
ঈমানের জোর নেই আর
খুঁটিও হয়েছে নড়বড়!
রক্ত লালে লাল হয়েছে
উদীয়মান সূর্য্য মতো,
সবুজের মাঝে উঠল জেগে
রক্তিম অর্ক কতো।
স্বাধীনতার জোয়ার আসলো
সারি সারি গাছে,
চারদিকে ছড়িয়ে পরেছে
প্রভাত ফেরির পাখি ঝাক,
বিহঙ্গী দিলো দূর গগণে উড়াল
উড়তে উড়তে দেয় নাচ।
শহীদের আত্মার কান্না দেখে,
আকাশ অঝোরে কাদলো,
চোখের কোটায় ঝরাল জল
মুক্ত হয়েও নাহি হাসল।
রক্ত বয়ে ভেসেছিল মাটির
পিপড়ের বাসায় বন্যাও,
সেই লোহিতে লাল হয়েছে
অশ্রু ঝড়া কান্নাও,
বিজয় নামের পড়বে মালা
হবে না কোন অন্যায়।
শহীদের পোড়া লাশটি দেখে
শকুন ও বাজ ডাকলো শেষে,
ভর দুপুরে চিৎকার মারে
আর্তনাদের করুন বেসে,
কান্না চেপে খুঁড়ছে মাটি
স্বজনের প্রান হারিয়েছে যে।
সবকিছু ফেলে দিল হেসে
দেশটা স্বাধীন হল শেষে,
মায়ের বুকে সন্তান নামে
বলছি সবাই নেচ নেচে ।
মোর অর্থে বাজেট করো
সংসদে হয় ভাগ,
ভাগাভাগিতে কমতি হলে
করি তোরা রাগ।
জনগণের অর্থ ঠকিয়ে নিয়ে
হয়েছো তোরা শক্তিধর,
এই বলতেই হইছো বেজার
বলিস মর পাবলি মর,
তোর ভাগ্যের চাকা হবে লরচর
বলো সবাই মিলে ধর।
দেশের বোঝা বইছে পাবলিক
করছে তাঁরা কান্নাকাটি,
বলিস তোরা, করিস তোরা অনিয়ম
আয়েশে চলে হাটাহাটি।
মুখোস পরা জনদরদী হয়ে বলিস,
দেশের তরে জীবন বাজি।
তোরা হলে ভণ্ড নেতা
মোগো বলিস কংস মামা।
মামার সাথে বাজি নিয়ে
সোনার বাংলা হল তামাতামা।
তোদের যুগল চরণে পরি
মোর পাওনা মোরে দে
তোদের কর্মফলে যা পাবে
সেটাই তোরা নে।
সবিনয়ে বলি তোদের শুনো
বেহিসাবি করিস না ভাগাভাগি,
ক্ষধার তরে কাতর মোরা
করি না তবুও রাগারাগি।
রচনাকাল ১৮/০৯/২০১৮
পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইল আজ অতিশয় অবসন্ন
ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তের আল্পনা শুধুই কল্পনা।
মূল্যহীন হয়েছে বাহান্ন, ঊনসত্তর কিংবা একাত্তর আবার,
এই প্রশ্ন জাগে মনে সবার।
দেশের তরে হয়েছে দু'লক্ষ মা, বোনের সম্ভ্রম হানি
ইতিহাস পড়ে প্রতিটি কথায় তো জানি।
আজ কম্পনে কম্পিত হয় মা বোনের হৃদয়
অশ্রুসিক্ত নয়নে বলে এরই তরে হয়েছি কি সম্ভ্রম হারা?
কাঙ্খিত শহীদ মিনার তো হলো নিষ্প্রাণ
তাই গাইতে পারেনা, সে সেই বিদ্রোহী কোন গান।
স্মৃতিসৌধ আছে শুধু স্মৃতির পাতায় আঁকা
পাতার উপর পাতা পরে সে-তো আছে ঢাকা।
পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইল রূপান্তর হয়েছে কারাগার
বন্দি না হয়েও আজ জনজীবন হচ্ছে ছারখার।
দেওয়ার কথা থাকলেও পায়নি মৌলিক অধিকার
এমন স্বাধীনতার ছিলো কি এমন দরকার?
তখন বলেছিলাম সবে এই প্রাণের বিনিময়ে
হে খোদা বাংলায় একখানি পতাকা দিও।
সকলের প্রার্থনায় দিয়েছো লাল সবুজের পতাকা
ভিন্ন ভিন্ন মত একত্রিত করে হয়েছিল আঁকা।
এখন পতাকা আছে শুধু ইতিহাসে
তাঁর সম্মান সব ধুয়ে মিশে গেছে।
করতে পারে না শুধু সে আত্মচিৎকার
সে যে নিষ্প্রাণ, আছে শুধু তার আকার।
মোরা করতে চাই এই অশান্ত বর্গমাইলকে শান্ত
শহীদের রক্তে অাল্পনার মান দিয়ে হবো ক্ষান্ত।
ফিরে পাবে বাহান্ন কিংবা ঊনসত্তর তাদের সম্মান
প্রয়োজনে আবারো আরে দিবো তাজা তাজা প্রাণ।
সোনার বাংলার তরে ধরেছি আবার বিদ্রোহী গান
বিদ্রোহ করে ফিরিয়ে আনবো হারানো স্বাধীনতার মান।
স্বাধীনতা রক্ষায় বাজি ধরেছি মোদের প্রাণ
স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিদের করবো খান খান।
রচনকাল ২০/১০/২০২০
ধর্ষণের বাজে কম্পন
ভেতর-বাহির সর্বত্রই।
মানবতা কোথায় তুমি?
আছো কোন গগণে?
খুঁজি তোমায় সর্বক্ষণে
যাচিও আমি জনে জনে।
ক্ষমতার দোহাই দিয়ে
করবে কত মানুষ গুম?
আর করবে কত খুন।
বিলীন হয়েছে মনাবতা
মঞ্চে বলে কথার কথা
বৃথা হয়েছে স্বাধীনতা।
মলিন হয়েছে মায়ে বদন
মায়ের কষ্ট দেখে ক'জন।
ক্ষণে ক্ষণে হারাছে স্বজন
শোকে ফলে করেনি ভজন।
মায়ের সম্মান হবে ফিরাতে
বর্বরতাকে হবে তারাতে,
অন্যায় ও দুনীতিকে হবে হারাতে
মোদের দাঁড়াতে হবে রুখে।
নষ্ট করতে হবে কালো হাত
সেই তরে ভুলে হবে জাতপাত।
আর হবে না কথার কথা
ফিরে পেতে চাই স্বাধীনতা
কারো তরে থাকবে না হীনতা
বাংলায় জাগ্রত হবে মানবতা।