ছলনাময়ী
এম এ মাসুদ রানা
দুঃখ দিয়েছো তুমি
কিছু বলিনি
তুমি যে, ছলনাময়ী
আগে জানিনি।
নিঝুম রাতে একাকী হলে
মন ভেঙ্গে যায়
স্মৃতি নামের স্মৃতির পাতা
আমায় কাঁদায়।
স্বপ্ন ভেঙ্গে স্বপ্ন নিয়ে
সুখেই আছে তুমি
আমাকে কষ্ট দিয়ে কি
সুখে রবে এমনি?
১৩/১২/২০২০
ছলনাময়ী
এম এ মাসুদ রানা
দুঃখ দিয়েছো তুমি
কিছু বলিনি
তুমি যে, ছলনাময়ী
আগে জানিনি।
নিঝুম রাতে একাকী হলে
মন ভেঙ্গে যায়
স্মৃতি নামের স্মৃতির পাতা
আমায় কাঁদায়।
স্বপ্ন ভেঙ্গে স্বপ্ন নিয়ে
সুখেই আছে তুমি
আমাকে কষ্ট দিয়ে কি
সুখে রবে এমনি?
১৩/১২/২০২০
আমরা প্রবাসী
এম এ মাসুদ রানা
পরিবার প্রিয়জনের মায়া ছেড়ে
অন্য দেশে করি আমারা বাস,
শরীর দিয়ে ঝরে পরে কতোই ঘাম
তবু বলি মন তুমি একটু হাস।
প্রিয়জন চেয়ে রয় আমার দিকে
জোগাড় করে দেবো কড়ি বেশ,
হাজারো আঘাত সহ্য তবু বলি
আমি খুব ভালো আছি বলে শেষ।
সারাটি বছর ধরে রেখে দিয়েছি
মনে জমা আছে যত বড় দুখ,
এতো ব্যথা যন্ত্রণা মনে নিয়ে
বলি মুখে প্রবাসে অনেক সুখ।
প্রেম
এম এ মাসুদ রানা
সন্ধ্যা নামলো হঠাৎ করে, দিবসকে বিদায় দিয়ে
নিশাচরীর চরাচরের বিচরণের অধিকার নিয়ে।
সূর্যের আলোক রাশিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে
পৃথিবীর অভিনয়, সবে কালো পর্দায় মুড়ে
আজ সন্ধ্যাটা নামে, হঠাৎ করে এসেছে দোরে।
জোছনার বান ডাকে উঁকি দিবে জোনাকিপোকা
দেখবে ভালোবাসার চিহ্ন হয়েছে থোকা থোকা।
মানুষের প্রেমে, ধরে নিও উর্বর ফসলী জমির মতো,
অনাগত শশ্যের মতো, নিষ্পাপ মুখ আসে কত্তো শত।
থেমে যাওয়া সময়ে ঝিঁঝিঁ পোকার হাঁক আর ডাক
চিতা প্রিয় হরিণীর রক্তের গন্ধের ঘ্রাণে চেয়ে থাক
উত্থাল পাথাল জোছনার স্রোতের মতো বেগ রাখ।
তবুও আরো শক্ত, বাঁধনে বাঁধে রাখতে হবে
মানব মানবী বলবে, এই প্রেম অমর হয়ে রবে।
প্রার্থনা
এম এ মাসুদ রানা
আমার মাথায় বড় ঋণের বোঝা
আমায় শুরু করেছে সবাই খোঁজা
বলতে পারি না জোরে কোন কথা
মাঝে মাঝে জীবনকে মনে হয় বৃথা।
আমার দিনে দিনে বাড়ে শুধুই দেনা
সবাই বলে তেমাকে হয়ে গেছে চেনা
তুমি এমন এটাও হয়ে গেলো জানা
লেনাদেনা করতে করবো সবাইকে মানা।
অভাব নিয়েছে নিরবধির রূপ
সুখ হয়েছে আমার কাছে আগন্তুক
দূঃখ বেদনা নিয়ে কাটে যুগ আর যুগ,
আমার জীবনে আসিবে না কি সুখ?
যাচি খোদর কাছে আমি কিছু সুখ
আমার থেকে যাতে মুখ ফিরিয়ে নেই দুখ।
আমার জীবনে আসে যেন অনাবিল সুখ
দেনার তরে মলিন হয় না যেন আমার মুখ।
আসিবে যে, জীবনে শুভ দিন
সেই দিনে থাকে না যেন আমার কোন ঋণ।
-------বুঝিবে তখন ---------
এম এ মাসুদ রানা
তুমি বুঝিবে, তুমি বুঝিবে,
আমি থাকিবো না যখন,
বাতায়নে রাতে দাঁড়িয়ে
আকাশের প্রাণ দেখিবে তখন,
হাজার তারার জলসার মাঝে
আমায় খুজিবে তোমার মন।
বুঝিবে সেইদিন বুঝিবে
চোখের জলে ভাসিবে বুক
শাড়ির আছলে মুছিবে চোখ
পাইবে না কোন জায়গায় সুখ।
আসল নকল চিনিবে
ভালো আর মন্দও জানিবে,
খুঁজিবে সেইদিন খুঁজিবে
নিশি রাতেও আমায় বুঝিবে,
ভেঙ্গে যাবে যখন তোমার ঘুম
দিশেহারা হয়ে খুঁজিবে।
হাতে নেবে আমার লেখা বই
খুঁজিবে আমি আছি কই,
পড়িবে আমার লেখা
বলিবে তুমি ছাড়া কেমনে রই।
তুমি পড়িবে শুধু বইয়ের লেখা
বইয়ে আছে যে, ছবিটা আঁকা,
মনে মনে শুধু বলিবে কবি
আমার কথাগুলো ছিলো বাঁকা।
কবিতা পড়িতে পড়িতে
তোমার নয়নে আসিবে জল,
পাগল হয়ে বলিবে
আমার কবি তুই কথা বল।
পাখি ডাকা ভোরে
বাঁধিবে তোমায় ডোরে,
আমার সমাধীর পাশ থেকে
তুমি যাবে নাহি নড়ে।
নিথর প্রাণে থাকিবে দাঁড়িয়ে
জলভরা দু’টি চোখে
আমায় তুমি বলে ডাকিবে,
আসিবে স্মৃতির কথা মুখে।
স্মৃতিময় স্মৃতি আঘাত করিবে
তোমার মনের ভিতর,
বুঝিবে তখন বুঝিবে
সেই তরে করিবে ধড়-ফড়।
আধুনিক বিয়ে
এম এ মাসুদ রানা
আধুনিকতার নেশায়
কোন তামাশায়!
মুসলমানেরা হরদমে
ঈমান হারায়!
প্রলয়কালের সাথে
তাল মিলিয়ে,
কেমনে মুমিন মুসলমান
করবে বিয়ে।
বিয়ের বাজার হয়েছে
বেজায় গরম,
যৌতুক দিতে নাই কোন
লজ্জা শরম।
দশ বারো লাখ
টাকার কাবিনে,
নগদ বাকির সবে
থাকে জামিনে।
মোহরানা হয় নাকি
নারীর হক?
অনাদায়ে রয়ে যায়
ভেজার থাক।
ওই বিয়েটা হয়
তেমন বকব্রতী,
হলো না বেশি
আর খরচাপাতি।
ঘুষ
এম এ মাসুদ রানা
চল্ চল্ চল্ প্রচুর ঘুষ পাবি চল্
সরকারি চাকরিতে এখন ঘুষ প্রবল
ছলে বা কৌশলে একটি পদ কর দখল
বিসিএস ক্যাডার কিংবা পিয়ান বল।
বর্তমানযুগে মানুষের এটাই গান
ঘুষের সুযোগ ও পেনশন পান
দোষ কি সবাই খায় আপ্নেও খান?
অবৈধ সম্পদ কারা না চান।
ঘরে ঘরে তোলে কেউ সময়ের দাবি
আইন করা হোক ঘুষে, মুখে মুখে রাখি।
ঘুষ হলো উন্নয়নের প্রধান একটা চাবি
বেশি ঘুষ নিলে আবার পুরস্কারো পাবি।
ঘুষ দিলে তুমিও তো ঘুষই পাবি
যা কিছু ক্ষতি করে দিবি শতগুণ নিবি
ঘুষ হয়েছে এখন জাতীয় একটা ছবি
সরকারি চাকুরী তরে তুমিও ঘুষ দিবি।
ঘুষ ছাড়া হয় কি এখন কোন কাম
ঘুষ দিলে তো বেড়ে যাবে তেমার মান
সচিব, আমলা সবাই করবে সম্মান
ঘুষ না দিলে, দিতে হতে পারে জান।
জীবন
এম এ মাসুদ রানা
জীবন সংগ্রামে চলছি একা
নেই কোন সজনীর দেখা,
কি আসে আর বা কি যায়
আয়োজন সবে হবে বৃথা?
তা নিয়ে আর কিছু ভাবি না
জয় না হয় পরাজয়,
হবে তো নিশ্চয়
হব মনে হয় যন্ত্রণায় ক্ষয়।
বারে বারে ফিরে আসে
ঘুরে যায় কি আর?
জীবন চলে কি ভাবনায়
তা নিয়ে আছে কি তার?
রচনাকাল ১৮/১২/২০১৭
চল্ চল্ চল্ প্রচুর ঘুষ পাবি চল্
সরকারি চাকরিতে এখন ঘুষ প্রবল
ছলে বা কৌশলে একটি পদ দখল
বিসিএস ক্যাডার কিংবা পিয়ান বল।
বর্তমানযুগে মানুষের এটাই গান
ঘুষের সুযোগ ও পেনশন পান
দোষ কি সবাই খায় আপ্নেও খান?
অবৈধ সম্পদ কারা না চান।
ঘরে ঘরে তোলে কেউ সময়ের দাবি
আইন করা হোক ঘুষে, মুখে মুখে রাখি।
ঘুষ হলো উন্নয়নের প্রধান একটা চাবি
বেশি ঘুষ নিলে আবার পুরস্কারো পাবি।
ঘুষ দিলে তুমিও তো ঘুষই পাবি
যা কিছু ক্ষতি করে দিবি শতগুণ নিবি
ঘুষ হয়েছে এখন জাতীয় একটা ছবি
সরকারি চাকুরী তরে তুমিও ঘুষ দিবি।
ঘুষ ছাড়া হয় কি এখন কোন কাম
ঘুষ দিলে তো বেড়ে যাবে তেমার মান
সচিব, আমলা সবাই করবে সম্মান
ঘুষ না দিলে, দিতে হতে পারে জান।
ঈদের ছড়া
এম এ মাসুদ রানা
প্রতি বছর রমজান মাসে,
রোজা শেষে ঈদ আসে।
এসেছে ঈদ বছর ঘুরে
ঈদের আনন্দ সবার তরে।
ঈদগাতে আলোর বাহার,
আজকে ঈদে আনন্দ সবার।
নতুন পোশাক পরে সবে,
সন্ধ্যা আকাশে চাঁদ উঠবে।
ঈদের খুশি চলবে ভুবন ময়,
কররো মোরা বিশ্বজয়।
হিংসা ঘৃণা নয়কো করি ভাই,
আনন্দে উপভোগ করি সবাই।
ঈদ মোবারক বলি সবাই
হিংসা বিদ্বেষ মনে নাই ।
ঈদগাতে নমাজ পড়ে,
খুশির জোয়ার সবার তরে।
খুশির রঙে মাতবে ত্রিভুবন
ঈদ আনন্দে থাকে সবার মন।
আজকে খুশির ঈদের দিনে,
নাহি কেহ ঈদের আনন্দ বিনে।
বন্দি দাস
এম এ মাসুদ রানা
একাত্তরে আমারা আজাদ হলেও
এখনো আমজনতার বন্দি দাস,
নিরবে সয়েতে হচ্ছে জনতাকে
পাগলা কুকুরের হিংস্র ত্রাস!
বাংলায় মুক্তি লড়াই চলুক আবার
সাগরে বুকে উঠুক ঢেউ!
বঙ্গ জাতির মুক্তির ফের আসুক
সিপাহশালায় নতুন কেউ!
শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা
শেখ মুজিবের অগ্নিবানীর সুর!
বাংলায় কালো রাতের হোক অবসান
আসুক আবার নতুন ভোর!
. মধ্য নিশি
এম এ মাসুদ রানা
একা একা আগুনে জ্বলতে জ্বলতে,
আমি একদিন অগ্নি শিখাকেও,
হাড় মানিয়ে নিশ্চয়ই হবো জয়ী।
ঐ সুদূর গগনে আছে যে একটি চাঁদ
কলঙ্কিত করে রেখে সেটাকেও আজ,
সুন্দর বসবাস ঘটবে এটাই তো কাজ।
অন্ধকারকে জয় করে নিশান উড়িয়ে
আমব্যসার ঘোর যাবে একেবারে ফুরিয়ে,
উদ্বীপ্ত আলোক ছটায় মনকে জুড়িয়ে।
অবহেলিত অনাকাঙ্ক্ষিত কলঙ্কিত বেশে,
চাঁদের আলো নিয়ে পরে থাকে ধুলির মাঝে
পৃথিবী আলোকিত করবে আছে যে কাজে।
আর তখনি দিপ্তমান একা একা জ্বলতে থাকা,
প্রজ্বলিত অগ্নি শিখাও জয়ের ধ্বনি দিবে।
কবিতায় তোমাকে
এম এ মাসুদ রানা
যখন মেঘময় আকাশভরা নীলের মাঝে সাদা'রঙ
মনের মেঘের পাপড়িগুলো সাজে আবার সঙ।
হাওয়ার সাথে বৃক্ষের শাখা প্রশাখা দুলে উঠে
সবুজ পাতায় প্রজাপতিরা আনন্দে নাচেও বটে।
মনের রঙে রঙ আকাশে রংধনুকে মাতিয়ে তোলে
সন্ধ্যার ভারা মনে হাসে তোমায় পরীরা ডেকে বলে।
একদিন সবুজ বাগানে যখন একাকী হলো দেখা
অন্তরচোখে কত্তো কথা মনে মনে হয়েছিল শেখা।
হৃদয়ের উচ্ছাসের পুষ্প গাছে পুস্প কলিও ফোটেনি
হটাৎ যখন কালো আকাশে তারার দ্যুতি ঘটায়নি।
নিভৃত চমকহীন আকৃতিময় শেষযাত্রার পথিক
রঙ্গীন অক্টোপাস ঘিরে আছে সমুদ্রের তলদেশ!
অনেক দিন থেকে নিজেই চেয়ে দেখিনি শেষে
চাওয়া পাওয়ায় মাঝে তোমার কথা শুধু আসে।
অতীত
এম এ মাসুদ রানা
অতীত ভীষন কষ্টদায়ক
যায় না তো ভোলা,
অতীতের পাতা বদলে গেলে
প্রাণে দেয় দোলা।
অতীতের পাতা অনেক কঠিন
যায় না সহজে ঘুচা,
কত কিছু মনে করে ছুটেছিলাম
তোমার পিছু বৃথা।
স্বপ্ন ছিল আমার মনে
আরো ছিলো আশা,
হঠাৎ করেই ভেঙ্গে গেলো
গুছানো ভালোবাসা।
অতীত ভাঙ্গা মন নিয়ে
কেঁদেছি কত্তো রাতে,
চোখের জল মুছিয়ে দেবে
কেউ ছিল না সাথে।
মনের সাথে যুদ্ধ করে
ভুলতে চেয়েছি তোমায়
রাতের আধাঁর বাড়লে পরে
অতীত এসে যায়।
অতীতের পাতা প্রখর হলে
ব্যথা বাড়ে বুকে,
আমায় তুমি ভুলে গিয়ে
আছো অনেক সুখে।
অতীত গুলো থাকুক আমার
তুমি থাকো সুখে,
অতীতের পাতা ঝাপসা হয়ে
অশ্রু ঝড়ুক চোখে।
৭১এর শহীদ
এম এ মাসুদ রানা
৭১এর শহীদদের কথা মনে আসলে
শুধুই দু"নয়ন অশ্রুতে ভাসে।
কোন পিতা তার জীবনের বিনিময়ে,
সন্তানের সুখ রচনা করতে গিয়েছিল।
কোন ত্যাগী পিতা তার দু"নয়ন ভরা
সুখের স্বপ্ন বিনিময় করেছিলো
সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রচতে গিয়েছিলো!
পিতার ত্যাগের নষ্ট সন্তানেরা আজ,
পঙ্গু জননীর সিনায় রাখে পা।
গলায় চালায় অস্ত্র কিসের আশায়!
আহ! কি নির্মম যন্ত্রণা হয় তাঁদের!
আহা! কি আত্মচিৎকার চিৎকার!
মা ও মেয়ের নির্মম লড়াই!
আমি লজ্জায় মরে যাই,
দু'হাতে মুখ লুকাই,
বেদনার চোখ লুকিয়ে আড়ালে কাঁদি।
সেই সব নষ্ট সন্তানেরা অধম
সব দেখে শুনে চুপ করে থাকি।
আমি যখনি ছিলাম বেকার
ছিলো না কোন আকার
তুমি কথায় কথায় দিয়েছো
আমায় অনেক ধিক্কার
সয়ে ছিলাম তোমার শত কথা
রখিনি কোন আবদার
আমি যে সত্যি বেকার তাই তো
ছিলো না জানার অধিকার।
মনে মনে জপেছিলাম কতই না
রঙ্গিন খামের স্বপ্ন
দেখার সাথে সাথে করেছিলাম
মনে হয় এটাই রত্ন।
আমার স্বপ্ন একান্ত আমারি ছিলো
জানেনি কেহ কোন ক্ষণে
সফল হবার চেষ্টার তরেও আমিও
ছুটেছি কত্তোই রণে রণে।
এখনো তো আমি বিজেতা রণ সৈনিক
প্রতিদিন বলো কত্তো কৌতুক
ক্ষণে অনুক্ষণে সুখী হবার তরে দিতে
চাও আমাকে অনেক যৌতুক।
স্বার্থ তুমি পাওনি খুঁজে তেমার যখন
তুমিও দূরে ছিলে তখন
তুমি এখন কেন বলো তবে আমায়
আমার সবকিছুই তোমার এখন?
প্রশ্ন করি তোমাকে আমি এখন
তুমি তো ভালোবাসনি তখন
আমি নিঃস্ব, বৃত্তিহীন ও বেকার
আকার ছিলো না যখন।
আমি চাই না তোমার স্বার্থের প্রম
যে, অর্থ খুঁজো সারাক্ষণ
আমি হেতু খুঁজিনি যে, কোন রণে
তাই মুক্তি চাই সর্বক্ষণ।
আলোর মাঝে কুয়াশা আমি
হাসির মাঝে কান্না,
আমার জীবনে এসেছে যা কিছু
তা আর ভুলা যায় না?
মাঝে মাঝে বলে অনেকেই
আমি নাকি ভাঙ্গা আয়না
লোকে বলে কখনো আমার
মুখ দেখাও যাবে না?
আমার দিকে তাকালে হবে
বলে নাকি পাপ?
তাইতো দেখাতে চাইনি তোমাকে
আসেও যদি চাপ।
তখনিই বুক ফেটে যায় আমার
সয়তে পরিনা অপবাদ,
নিদ্রাহীনতায় কেটে গেছে যে,
জীবনের কত্তো রাত।
তোমার বচনে, তোমার সাথে চলার
হয়েছি কি আমি যোগ্য?
আমার মতো হতে গেলে তোমার
লাগে অনেক বড় ভাগ্য।
আমি তো কিছু নিতে আসি নাই
তোমাদের সুখের নীড়ে,
যা কিছু আছে আমার কাছে দিবো
তোমাদের মন উজার করে।
আমি আমাকে নিয়ে ভাবি না কখনো
ধরেছি সাম্যের গান
তোমারদের চাওয়ার মাঝে পায়নি
আমার ছন্দের মান।
আমাকে আমার মতো চলতে দাও
এতেই কি আসে যাই,
মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে গেলেও আমি
বাঁচার অনুকম্পা নাহি চাই।
মন্ত্রী পরিষদের পরিকল্পনায়
ক্ষেপেছে মহিষ ও গোরু,
রেগে বেগে বলে মানুষ গুলো
করলো আবার কি শুরু?
মাছ ভাত আর কোরমা পোলাও
আমরা আরা কি খাই?
খড়, ভুষি, ঘাস আর কচুরিপানা
আমরা বাঁচার জন্যই চাই ।
সেটাতেও তোর হাত দিলে
হিংস্র মানব জাতি,
মন চাচ্ছে দানব গুলোর
মাথায় মারি ঘুষি লাথি।
গোরু বলল দেখছি আমি
তোরা আমার চেয়েও গোরু,
কেমন করে এমপি মন্ত্রী হলো
মোরা মারি মাথায় ঝাড়ু?
ছাগল বলে ওরা হলো পাগল
কেমনে সংসদে পেল ঠাই ,
পাবনার সেই পাগলা গারদ
সংসদকে বানাতে চাই।
ঘোড়া ভেড়ার গভীর দৃষ্টি
কচুরিপানার তরে,
এগুলোও যদি মানুষে খায়
না খেয়ে যাবো মরে।
আমি বলি মাননীয় মন্ত্রী
একটি বয়ান শুনুন,
কচুরিপানার ভাবনা ছেড়ে
ভালো কিছু নিয়ে ভাবুন ।
মাঝে মাঝে অনেকেই বলছে
খাদ্য খেতে কম,
কেউ বলেছে ভাত না খেয়ে
আলু খাবেন হরদম।
জনতায় তাদেরকে বলে পাগল
কতই দিয়েচ্ছে ধিক্কার,
মন্ত্রী পরিষদে মন্ত্রী হতে গেলে
প্রয়োজন আছে শিক্ষার।
রচনাকাল:১৮/০৩/২০২০ ইং
অনাদর একোন অনাদর,
বড় অবহেলা পেলাম ভালোবেসে,
নিঃশ্বাস টুকু রেখে হারিয়ে য়াবে শেষে।
এমন কি করবো বলো?
কেমন করে রব একা?
ফিরে দেখো এখনও আছি দাঁড়িয়ে,
আমি যায়নি এখনো হারিয়ে
হাত দু'টো রেখেছি বাড়িয়ে!
কেন হঠাৎ তুমি এলে?
হৃদয়ে জায়গা করে নিলে,
আপন করে নিয়েছিলে।
পেয়েও হারানো যায় না,
হারিয়ে যাবার করছো বাহানা।
বাঁচার মানে টা যাবে হারিয়ে
যদি মন থেকে দাও তারিয়ে!
শুনছো কি তুমি আমার কথা?
বুঝেছো আমার মন কি চাই?
অতি গোপনে তোমায় শুধাই
আগে করো নাই কেন যাচাই?
এখন করো না আর বাছাই।
এমন করছো কিসের আশায়
পাগলামি করো কোন নেশায়।
বিচ্ছেদের বেদনা করে শনশন
এখন করি মরনের জন্য অনশন।