Sunday, May 12, 2019

ছোট্টো পাখি

ছোট্টো পাখি

__ এম এ মাসুদ রানা ____


সবুজ বনের ছোট্ট পাখি
অবুঝ তার মন!
জানে না এই  জগৎ জুড়ে 
আছে অন্য জন!


কে আপন কেইবা তার পর
জানতে চাই না কখন 
আপন মনে ঘুরে বেড়ায় ঘুরে
সুখ থাকে না যখন। 


 নীল আকাশের বুকে বসে
আছে সে মহাসুখে 
তাইতো সে নিজে দুঃখ ভুলে
থাকতে চাই  সুখে!

Wednesday, May 8, 2019

নারী

       


         নারী

এম এ মাসুদ রানা 


হে মুসলিম নারী,
কিছু কথা বলি
তোরা শোন, তোরা শোন,
পার্লা‌রে কেন যাও?
ওজুর পানির চেয়ে,
ভালো মেকাআপ
পৃথবীতে আছে বল কী?

তোদের সৌন্দ‌র্যের প্রকৃত রুপ
ঢাকা প‌রে বেরঙ্গের মেকআ‌পে!
মে‌য়েদের সম্মান বাড়ে শুধু
পর্দা আর ইবাদতে।

তাই ব‌লি কি শোন
দুনিয়াবি ও মেকআপ ছেড়ে
দীন ইসলামের পথে চলো!!
এই পথেতে পাবে তোরা
জান্নাতের আলো!!

Sunday, May 5, 2019

শ্রাবণ

    

_______  শ্রাবণ _________
___ এম এ মাসুদ রানা ___

আকাশ ঘিরে মেঘ করেছে
ডাকছে কড়কড়!
বৃষ্টি হবে মুষলধারে খবর 
শুনে সবাই জড়সড়,
সূয্যি মামা দেয় দিবে না
কথায় হবে না  নড়চড়। 

রোজ সকালের স্নিগ্ধ আলো
আছরে পরা ভূবন মাঝে,
হৃদয় দুয়ার খুলে দিয়ে থাকি 
সকাল সন্ধ্যা সাঁঝে।

চোখে জমা বিষাদ টুকু 
কলো মেঘের সাথে,
যাক নিমিষে ধুয়ে সকল 
বৃষ্টি ভেজা রাতে। 
ভালোবাসার নামবে শ্রাবণ
মনের ছুঁয়ে যাবে যাতে।

Friday, May 3, 2019

নীল পরী

 _____ নীল পরী ______

__ এম এ মাসুদ রানা __


নীল আকাশের নীল পরীরা

উড়ছে  দিবানীশি,

আমার বাড়ি আসলে তরা

বাজবে সুখের বাঁশী।


নীল পরীরা নীল জামাতে

কি সুন্দর নীল চোখ!

এই চক্ষু দেখলে তাদের

রইবে নাকো দুঃখ শোক।


আমার প্রিয়া যদি পড়তো জামা

নীল কারুকাজে আঁকা,

ডাকতাম কি আর নীলপরীদের

থাকতাম না বসে একা একা!

শ্রমিক

           


            শ্রমিক 

   মোঃ জুলফিকার আলী জিল্লুর 


ঘাম ঝড়ানো  বুকে,বুকের পাঁজর ভাঙ্গা,
কাজের  ফাঁকে খুন ঝরে গা হয়েছে রাঙা।
হঠাৎ করে মালিক এসে, কাজে দিলে ফাঁকি!
মজুরী তো পেলে না আজ, কাজ যে আছে বাকী।

রক্ত ঝরা গায়ে হাত দু 'খানা পেতে-
এমন কথা বল না বাবু "
ছোট্ট ছেলে অনাহারী পায়নি যেনো খেতে।
ধুততেরী সব বায়না ধরো অনাবদারী যত!
কাজ মিটেনি রক্ত ঝড়ার ছলে, পয়সা দেব কত।

বিনয়ী স্বরে ' বাকিটুকু কাল জীবন বাজি রেখে-
যা পাব মিলিয়ে দিও কাজটি তোমার দেখে।
আজ শুধু দাও অর্ধেক,কিনবো কিছু খানা-
বাকীটুকু না হয় দিও পরে,করছি না তো মানা।

ক্ষিপ্র স্বরে ' মুখে মুখে তর্ক কর কেন?
কাজটি কর শেষ,উল্টো হয় না যেনো।
ক"দিন পরে মিটিয়ে দিব সব,পাওনা আছে যত,
 আর যদি হয় তেরাবেরা,শ্রমিক আছে কত!

অশ্রু -ঘাম -রক্ত মিলে হৃদয় হলো একাকার
ক্ষুধা-তৃষ্ণা অশ্রুসিক্ত তনু প্রশ্ন করে তুমি কার?
কাজের মালিক পাওনা যে রোজেই রাখে বাকি-
রক্ত তুমি বৃথা,তুমিও দিলে পাওনা পেতে ফাঁকি।

আজ যদি কাঁদে অনাহারে সন্তান, তুমি বিধাতার!
বিচার চাইনি আমি' মালিক ওরা,বিচার হবে কার?
অধিকার চেয়ে ' বছরে বছরে হাঁক তুলি একবার,
জানিনা!কোথায়?কি?কার কাছে এ আবদার?

Wednesday, May 1, 2019

নিরাশা



 নিরাশা

এম এ মাসুদ রানা


ভালবাসার তো নেই কোন সময়
ব্যস্ত ও কাজে কাটে এই জীবন
বুকে হাত বেধে রাখা যায় না আর
ঘাড় বাকা করে দাড়ানোর নেই সময়

ঘামের জলে শীতল হয়  গা
প্রখর  রৌদ্দুরে বড়ই ক্লান্ত আমি
কাছেও  পাই না কোন কিছু
কিভাবে মিটাবো হৃদয়ের রৌদ্দুর।

কাজের মাঝে কেটে যায় বেলা অবেলা
ব্যাকুল করে মন কাজের কোলাহলে,
তৃষ্ণায় বড় ক্লান্ত এই প্রাণ
জল টেনে পান করার নেই কোন সময়

আমার নদী বয় না আমার পানে
নেই তার কোন স্রোত
আটকে রাখে শুধু সংসারে
আটকা মনে বাধা দেয় সময় অসময়।

 ফিরবো কখন তোমার পানে
বন্দী যে, আছে আমার দুটি আঁখি,
বাধা দেয় যত সমাজের যত বাসনা
যত বাধা যত কথা সবে মোর নিরাশা।

Monday, April 29, 2019

প্রতীক্ষা

  প্রতীক্ষা 

এম এ মাসুদ রানা 


এই মন চায় একটু বসি
তোমার হৃদয়ের কাছাকাছি,
থাকি তোমার পাশাপাশি
একটু একটু ভালোবাসি।

এই তৃষ্ণাতুর অবুঝ মন
চায় তোমাকে অনুক্ষণ,
কবে বুঝবি-রে পাষাণী
তোমার অপেক্ষায় সর্বক্ষণ।

তুমি নাকি ব্যস্ত থাকো
তোমার নিজের কাজে,
একটু ফোন করিস
সব কাজের মাঝে ।

Sunday, April 28, 2019

শ্রমিকের গান

শ্রমিকের গান

এম এ মাসুদ রানা


লেনিন আর লেনিহান
ধর্মতলা আর আগরতলা
মে দিনের গান
কলাতী আর
সলোমনের মা
ফুল ও বসন্ত
সুভাষের বিরুদ্ধে সুভাষ।
আর তারপর
বেলভিউ নার্সিংহোম
এবং শেষশয্যায় শায়িত
আছে শত শ্রমিকের শ্রম।

পদাতিকের পা থামে
কাদের যেন
পা চালানোর কথা থেকে যায়
ইতিহাস তো লেখায়
কত মানুষের কথা।
বেশি করে লেখা হলো না
আমার ক্ষুদ্র শ্রমিকের কথা।

Saturday, April 27, 2019

তরুণের গান

____তরুণের গান___

 __এম এ মাসুদ রানা__


জেগে উঠো তরুন সমাজ
অলসতা আর করো না
  আলসতার সময় শেষ,
শেষ হয়ে যাচ্ছে  আজ
  তোমার আমার বাংলাদেশ।
---
তোমরা যদি তরুণ সমাজ
 থাকো সবাই মৃয়মান
পানি ছাড়া শুকনো মোহনা
  না তুলে কোন শব্দ
না থাকে কোন জলজ প্রাণ।
---
বাংলাদেশ হারাবে তখনি
 যখনি যুব সমাজ হবে দূর্বল
দেশকে করো সবেমিলে ভক্তি
   হয়ে যাও সবল ও সতেজ
সাহস ও শক্তি আনো মনে
তরুন ছাড়া থাকবে না এদেশের প্রাণ।
--

Thursday, April 25, 2019

আল্লাহর রহমত

★আল্লাহর রহমত★
এম এ মাসুদ রানা

ছলছল জলধারা
তাকে বলে ঝরনা। 
ভাদ্রের রৌদূরে
কখনো হয় তো বন্যা!

টলটলে অশ্রুতে
মুখভরা কপোল, 
আঘাত পেলে আসে 
দু"চোখে জল।

আদিষ্টরই  শীর
হয় গো ধীর!
পাপের প্রাচীরই
হইবে চৌচির!

ঘুচে দাও মুছে দাও
আঁধারের দাগ!
প্রাণবাঁশির মুছে যাক
হারনো যত রাগ!

দূর হবে জীবনের 
সব কালো রাত!
আসবে ক্ষমার রাতি 
আল্লার অশেষ রহমত।

Monday, April 22, 2019

পাখি

____পাখি______

এম এ মাসুদ রানা  


পাখি পাখি এই মন
পাখি লর্গ মোর মন
পাখি মেলে যা উরি
জাকি মারি গৈ নাম
এরি আহা পদুলিত
বুটলি আন নরাক
            উরি
পাখি মেলি যা উরি।

Sunday, April 21, 2019

উৎসব

             


             উৎসব  

           এম এ মাসুদ রানা


ধর্ম যার যার উৎসব যেন সবার
এই কথাটা মানি না তো আমি
কেন আমায় নিয়ে করো টানাটানি?
তোমাদের চলন বলনও মানি না আমি।

আমি বলি শুনো,
ধর্ম আমার উৎসব আমার
তোমার বৈশাখ আমার নয়!
যেমন করে আমার সালাত
আমার জুমাহ তোমার নয়!

উৎসব মানেই নয়তো হাসি
উৎসব মানে হয় ইবাদত!
উৎসবে হয় নেকি,বদি
বুঝে শুনে আগাও পথ!

কুরান হাদীস জীবনের বিধান
একটু খুলে দেখবেন ভাই!
বৈশাখী সাজ প্রসাদ খাওয়া
হারাম জানা শিখরে ভাই!

Friday, April 19, 2019

ভাগ্যের লিখন


ভাগ্যের লিখন
     এম এ মাসুদ রানা

কতই না সুন্দর এই বিশ্ব ভূবন
কতই সুন্দর তোমার এই মন,
আমি উজাড় করেছি জীবন 
ভালোবাসা দিয়েছি সর্বক্ষণ।

তুমি সে ভুলে করেছো পিছুটান
তোমার মনে জমে না তার মান 
কতই না কত মান বা অভিমান। 
গ্রহণ করেছো মন প্রাণ দিয়ে 
উজার করা ভালোবাসা নিয়ে।

আশা নিয়ে পাশে দাঁড়াবে যখন,
ভালোবাসা কাছে থাকবে তখন।
তুমি আবার বলবে না কি? 
এটা আমার ভাগ্যের লিখন।

Thursday, April 18, 2019

অপু বিস্বাস

অপু বিস্বাস

এম এ মাসুদ রানা

====================
অাহ! রে..............
অপু তোমরা,
অসচেন থাইকো না।
অসচেন থাকলে পরে,
শাকিব শোষণ করবে তরে
জনে জনে নালিশ কররা
বিচার কবু পাইবা না।

আহা! রে...........
অপু তোমরা,
অসচেন থাইকো না।
বর্গা চাষী উপেন আলী
তাঁহার মেয়ে ছিল অপু
ফুলের সুন্দর জীবন
শাকিব তারে ছাড়ল না।

Wednesday, April 17, 2019

যুকক

           যুবক 

       এম এ মাসুদ রানা  


যুবক কি হলো তোমার
ভুলেছো খোদার দ্বীন ও ইসলাম,
গভীর রাতের সেজদা ছেড়ে
চলাছো কেন চ্যাটিং ড্যাটিং?

নিত্য নতুন ফ্যাশন করো
করছো কেন বাহাদুরি।
জামায় করছো নানান কাজ!
দাঁড়িতে দিচ্ছ ভীষণ ছাট।

জামার সাথে নেই পকেট,
কেমনে থাকবে,
তসবী, আতর, সুরমা কাছে!

পড়বি নামাজ গভীর রাতে
করবি ও প্রেম প্রভুর সাথে
দোজাহান দেখবি তখন
চাইবে শুধু তোমার নাজাত!

Tuesday, April 16, 2019

অহংকার


    অহংকার 

এম এ মাসুদ রানা  


কত হাক কত ডাক
সুখ হীন দিনরাত,
মনের মাঝে
চিন্তা যারযার
কি করে
বড় হব সবার।

কেউ কেন
ভাবেনা কথা তার
অর্থ ধন সম্পদ
শূন্য ঘর যার।

অর্থ প্রাচুর্য
গড়েছে আপনার
চারি দিকে
কত নাম ডাক।

ক্ষুধার জালায়
ভেজা চোখ যার
তবে কেন
রাখনা খবর তার।

যেতে হবে চলে
সবি রেখে ফেলে
অর্থ আর অহংকার
করেছে জীবন অন্ধকার। 

Sunday, April 14, 2019

নববর্ষ

     
নববর্ষ 

এম এ মাসুদ রানা


দিনপঞ্জির শেষের শেষ পাতাটা
বলল আমায় ব্যথায় এসেছে বুকে,
একটা বছর পেরিয়ে গেল
শত দুঃখ কষ্টের মাঝে।

এবার এলো দেখ নতুন বছর
বিচিত্র সুখের সাজে,
দূঃখ সব বিলিন হবে
একত্রে মিলিত হবো নতুন নতুন রূপে।

আমার দেওয়া শিক্ষাগুলো
যতন করে রেখ,
চলার পথে রঙ লাগিয়ে
ভীষণ ভালো থেকো।

চৈত্ররথ

_______চৈত্ররথ _______

     _____মাসুদ রানা_______


চৈত্র মাসের দুপর বেলা
আগুন হাওয়া বয়।
দাসী ছেলে বেড়ায় ঘুরে,
সকল পাড়াময়।
রোদের অাঁচে পুড়ছে মাটি
উড়ছে ধুলো বালি।
চারি দিক ঝরছে ঝাঁ ঝাঁ
অাকাশ হলো কালি।

ছোট বেলার কথা

ছোট বেলার কথা

এম এ মাসুদ রানা  


প্রভাতের হালকা আলো
আসতো যখন জানালা দিয়ে
ছোট বেলায় শুনিতাম সে ক্ষণে
গুনগুন কত গলা যে,

কত যে মধুর লাগিত
ছোট শিশুর কাছে
নিরবে যেতাম শুনে
যেই কুরানের বাণী ,

আজও প্রভাতে আলো আসে
আজও গগনে সূর্য হাসে
আসছেনা কেবল আজিকে
সেই মধুর বাণী,

আজিকে প্রভাতে ভেসে আসে
শুধুই গান বাজনার ধ্বনি।

বর্ষবরণ

             বর্ষবরণ  

      এম এ মাসুদ রানা 


ঋতুরাজ বসন্তের বিদায় বেলায়
তুমি ওগো আসলে
নতুন রূপের, নতুন সাজে
সাজাবে নতুন করে এই ভূবন।

তোমাকে যে, করতে হবে বারণ
কিভাবে যে, করবো তোমায় বরণ?
সেই ভাবনার স্বাদ নিয়েছে আমার মন
তোমাই বরণের জন্য, আমি হয়েছি বে কূল।

যে হাতে চৈত্রের সাথে ঋতুরাজের দিয়েছি বিদায়
সে হাতে তোমাকে করিবো কেমনে বরণ
তবুও যে, তোমাকে বারণ করতে এতো স্বাদ জাগে মনে
তোমাকে বরণ করতে হয়েছি বে কূল।

আমি যে, শুণ্য হাতে এসেছি তোমার পানে
তোমার আগমনে আমি করবো গমন,
নতুন কোন এক দিগন্তে,
যেখানে থাকবে না কোন বিস্বাদের স্বাদ
তাহলেতো হবে আমার বর্ষবরণ।