Monday, December 7, 2020

ঈদের ছড়া

 ঈদের ছড়া

এম এ মাসুদ রানা 


 

প্রতি বছর রমজান মাসে,

রোজা শেষে ঈদ আসে।

এসেছে ঈদ বছর ঘুরে

ঈদের আনন্দ সবার তরে।


 


ঈদগাতে আলোর বাহার,

আজকে ঈদে আনন্দ সবার।

নতুন পোশাক পরে সবে,

সন্ধ্যা আকাশে চাঁদ উঠবে।


 


ঈদের খুশি চলবে ভুবন ময়,

কররো মোরা বিশ্বজয়।

হিংসা ঘৃণা নয়কো করি ভাই,

আনন্দে উপভোগ করি সবাই।


 


ঈদ মোবারক বলি সবাই

হিংসা বিদ্বেষ মনে নাই ।

ঈদগাতে নমাজ পড়ে,

খুশির জোয়ার সবার তরে।


 


খুশির রঙে মাতবে ত্রিভুবন 

ঈদ আনন্দে থাকে সবার  মন।

আজকে খুশির ঈদের দিনে,

নাহি কেহ ঈদের আনন্দ বিনে।

বন্দি দাস

 বন্দি দাস

এম এ মাসুদ রানা 


একাত্তরে আমারা আজাদ হলেও

এখনো আমজনতার বন্দি দাস,

নিরবে সয়েতে হচ্ছে জনতাকে

পাগলা কুকুরের হিংস্র ত্রাস!


বাংলায় মুক্তি লড়াই চলুক আবার

সাগরে বুকে উঠুক ঢেউ!

বঙ্গ জাতির মুক্তির ফের আসুক 

সিপাহশালায় নতুন কেউ!


শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা

শেখ মুজিবের অগ্নিবানীর সুর!

বাংলায় কালো রাতের হোক অবসান

আসুক আবার নতুন ভোর!

মধ্য নিশি

 .                   মধ্য নিশি

             এম এ  মাসুদ রানা 


একা একা আগুনে  জ্বলতে জ্বলতে, 

আমি একদিন অগ্নি শিখাকেও, 

হাড় মানিয়ে নিশ্চয়ই হবো জয়ী। 


ঐ সুদূর গগনে আছে যে একটি চাঁদ  

কলঙ্কিত করে রেখে সেটাকেও আজ,

সুন্দর বসবাস ঘটবে এটাই তো কাজ। 


অন্ধকারকে জয় করে নিশান উড়িয়ে

আমব‍্যসার ঘোর যাবে একেবারে ফুরিয়ে, 

উদ্বীপ্ত আলোক ছটায় মনকে জুড়িয়ে। 


অবহেলিত অনাকাঙ্ক্ষিত কলঙ্কিত বেশে,

চাঁদের আলো নিয়ে পরে থাকে ধুলির মাঝে

পৃথিবী আলোকিত করবে আছে যে কাজে।


আর তখনি দিপ্তমান একা একা জ্বলতে থাকা,

প্রজ্বলিত অগ্নি শিখাও  জয়ের ধ্বনি দিবে।

কবিতায় তোমাকে

 কবিতায় তোমাকে 

এম এ মাসুদ রানা 


যখন মেঘময় আকাশভরা নীলের মাঝে সাদা'রঙ

মনের মেঘের পাপড়িগুলো সাজে আবার সঙ।

হাওয়ার সাথে বৃক্ষের শাখা প্রশাখা দুলে উঠে

সবুজ পাতায় প্রজাপতিরা আনন্দে নাচেও বটে।

মনের রঙে রঙ আকাশে রংধনুকে মাতিয়ে তোলে

সন্ধ্যার ভারা মনে হাসে তোমায় পরীরা ডেকে বলে।

একদিন সবুজ বাগানে যখন একাকী হলো দেখা

অন্তরচোখে কত্তো কথা মনে মনে হয়েছিল শেখা।

হৃদয়ের উচ্ছাসের পুষ্প গাছে পুস্প কলিও ফোটেনি

হটাৎ যখন কালো আকাশে তারার দ্যুতি  ঘটায়নি।

নিভৃত চমকহীন আকৃতিময় শেষযাত্রার পথিক

রঙ্গীন অক্টোপাস ঘিরে আছে সমুদ্রের তলদেশ!

অনেক দিন থেকে  নিজেই চেয়ে দেখিনি শেষে

চাওয়া পাওয়ায় মাঝে তোমার কথা শুধু আসে।

অতীত

 অতীত

এম এ মাসুদ রানা 


অতীত ভীষন কষ্টদায়ক

যায় না তো ভোলা,

অতীতের পাতা বদলে গেলে

প্রাণে দেয় দোলা।


অতীতের পাতা অনেক কঠিন

যায় না সহজে ঘুচা,

কত কিছু মনে করে ছুটেছিলাম 

তোমার পিছু বৃথা।


স্বপ্ন ছিল আমার মনে 

আরো ছিলো আশা,

হঠাৎ করেই ভেঙ্গে গেলো

গুছানো ভালোবাসা।


অতীত ভাঙ্গা মন নিয়ে

কেঁদেছি কত্তো রাতে,

চোখের জল মুছিয়ে দেবে

কেউ ছিল না সাথে।


মনের সাথে যুদ্ধ করে 

ভুলতে চেয়েছি তোমায়

রাতের আধাঁর বাড়লে পরে

অতীত এসে যায়।


অতীতের পাতা প্রখর হলে

ব্যথা বাড়ে বুকে,

আমায় তুমি ভুলে গিয়ে

আছো অনেক সুখে।


অতীত গুলো থাকুক আমার

তুমি থাকো সুখে,

অতীতের পাতা ঝাপসা হয়ে

অশ্রু ঝড়ুক চোখে।

নামাজ

নামাজ

এম এ মাসুদ রানা 


মাগো আমি পড়বো নামাজ  

উঠবো সকাল বেলা,

করবো না আর মোয়াজ্জিনের 

আযান অবহেলা।


শীতের দাপটে যতই থাকুক

নেই পরওয়া আর, 

আযান শুনে শয্যা ছেড়ে

ঘর থেকে হবো বার।

৭১এর শহীদ

 ৭১এর শহীদ

এম এ মাসুদ রানা 


৭১এর শহীদদের কথা মনে আসলে

শুধুই দু"নয়ন অশ্রুতে ভাসে। 


কোন পিতা তার জীবনের বিনিময়ে,

সন্তানের সুখ রচনা করতে গিয়েছিল।

কোন ত্যাগী পিতা তার দু"নয়ন ভরা 

সুখের স্বপ্ন বিনিময় করেছিলো 

সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রচতে গিয়েছিলো!


পিতার ত্যাগের নষ্ট সন্তানেরা আজ,

পঙ্গু জননীর সিনায় রাখে পা।

গলায় চালায় অস্ত্র কিসের আশায়!

আহ! কি নির্মম যন্ত্রণা হয় তাঁদের!

আহা! কি  আত্মচিৎকার চিৎকার! 


মা ও মেয়ের নির্মম লড়াই!

আমি লজ্জায় মরে যাই,

দু'হাতে মুখ লুকাই,

বেদনার চোখ লুকিয়ে আড়ালে কাঁদি।

সেই সব নষ্ট সন্তানেরা অধম

সব দেখে শুনে চুপ করে থাকি।

আমি মুক্তি চাই

আমি মুক্তি চাই 

এম এ  মাসুদ রানা 


আমি যখনি ছিলাম বেকার 

ছিলো না কোন আকার

তুমি কথায় কথায় দিয়েছো 

আমায় অনেক ধিক্কার 


সয়ে ছিলাম তোমার শত কথা 

রখিনি কোন আবদার 

আমি যে সত্যি বেকার তাই তো 

ছিলো না জানার অধিকার।


মনে মনে জপেছিলাম কতই না 

রঙ্গিন খামের স্বপ্ন 

দেখার সাথে সাথে করেছিলাম 

মনে হয় এটাই রত্ন।


আমার স্বপ্ন একান্ত আমারি ছিলো 

জানেনি কেহ কোন ক্ষণে

সফল হবার চেষ্টার তরেও আমিও 

ছুটেছি কত্তোই রণে রণে।


এখনো তো আমি বিজেতা রণ সৈনিক 

প্রতিদিন বলো কত্তো কৌতুক 

ক্ষণে অনুক্ষণে সুখী হবার তরে দিতে 

চাও আমাকে অনেক যৌতুক। 


স্বার্থ তুমি পাওনি খুঁজে তেমার যখন 

তুমিও দূরে ছিলে তখন

তুমি এখন কেন বলো তবে আমায়

আমার সবকিছুই তোমার এখন?


প্রশ্ন করি তোমাকে আমি এখন 

তুমি তো ভালোবাসনি তখন

আমি নিঃস্ব, বৃত্তিহীন ও বেকার 

আকার ছিলো না যখন।


আমি চাই না তোমার স্বার্থের প্রম

 যে, অর্থ খুঁজো সারাক্ষণ 

আমি হেতু খুঁজিনি  যে, কোন রণে

তাই মুক্তি চাই সর্বক্ষণ।

আমি আমার মতো

 আমি আমার মতো 

এম এ  মাসুদ রানা


আলোর মাঝে কুয়াশা আমি 

হাসির মাঝে কান্না, 

আমার জীবনে এসেছে যা কিছু

তা আর ভুলা যায় না?


মাঝে মাঝে  বলে অনেকেই 

আমি নাকি ভাঙ্গা আয়না

লোকে বলে কখনো আমার 

মুখ দেখাও যাবে না?


আমার দিকে তাকালে হবে

বলে নাকি পাপ?

তাইতো দেখাতে চাইনি তোমাকে

আসেও যদি চাপ।


তখনিই বুক ফেটে যায় আমার 

সয়তে পরিনা অপবাদ, 

নিদ্রাহীনতায় কেটে গেছে যে, 

জীবনের কত্তো রাত।


তোমার বচনে, তোমার সাথে চলার 

হয়েছি কি আমি যোগ্য? 

আমার মতো হতে গেলে তোমার 

লাগে অনেক বড় ভাগ্য। 


আমি তো কিছু নিতে আসি নাই 

তোমাদের সুখের নীড়ে,

যা কিছু আছে আমার কাছে দিবো

তোমাদের মন উজার করে।


আমি আমাকে নিয়ে ভাবি না কখনো 

ধরেছি সাম্যের গান 

তোমারদের চাওয়ার মাঝে পায়নি 

আমার ছন্দের মান। 


আমাকে আমার মতো চলতে দাও 

এতেই কি আসে যাই,

মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে গেলেও আমি

বাঁচার অনুকম্পা নাহি চাই।

Friday, November 27, 2020

মন্ত্রী পরিষদ নিয়ে কথা

 মন্ত্রী পরিষদ নিয়ে কথা   

 "এম এ মাসুদ রানা" 


মন্ত্রী পরিষদের পরিকল্পনায়

ক্ষেপেছে মহিষ ও গোরু,

রেগে বেগে বলে মানুষ গুলো 

করলো আবার কি শুরু? 


মাছ ভাত আর কোরমা পোলাও 

আমরা আরা কি খাই?

খড়, ভুষি, ঘাস আর কচুরিপানা 

আমরা বাঁচার জন্যই চাই ।


সেটাতেও তোর হাত দিলে

হিংস্র মানব জাতি, 

মন চাচ্ছে  দানব গুলোর

মাথায় মারি ঘুষি লাথি। 


গোরু বলল দেখছি আমি 

তোরা আমার চেয়েও গোরু, 

কেমন করে এমপি মন্ত্রী হলো

মোরা মারি মাথায় ঝাড়ু?


ছাগল বলে ওরা হলো পাগল

কেমনে সংসদে পেল ঠাই ,

পাবনার সেই পাগলা গারদ 

সংসদকে বানাতে চাই। 


ঘোড়া ভেড়ার গভীর দৃষ্টি 

কচুরিপানার তরে, 

এগুলোও যদি মানুষে খায়

না খেয়ে যাবো মরে।


আমি বলি মাননীয় মন্ত্রী 

একটি বয়ান শুনুন, 

কচুরিপানার ভাবনা ছেড়ে 

ভালো কিছু নিয়ে ভাবুন ।


মাঝে মাঝে অনেকেই বলছে

খাদ্য খেতে কম,

কেউ বলেছে ভাত না খেয়ে 

আলু খাবেন হরদম।


জনতায় তাদেরকে বলে পাগল 

কতই দিয়েচ্ছে ধিক্কার,

মন্ত্রী পরিষদে মন্ত্রী হতে গেলে 

প্রয়োজন আছে শিক্ষার।


রচনাকাল:১৮/০৩/২০২০ ইং

প্রায়োপবেশন

প্রায়োপবেশন 

এম এ মাসুদ রানা 


অনাদর একোন অনাদর, 

বড় অবহেলা পেলাম ভালোবেসে, 

নিঃশ্বাস টুকু রেখে হারিয়ে য়াবে শেষে। 

এমন কি করবো বলো? 

কেমন করে রব একা? 

ফিরে দেখো এখনও আছি দাঁড়িয়ে,

আমি যায়নি এখনো  হারিয়ে

হাত দু'টো রেখেছি বাড়িয়ে! 

কেন হঠাৎ তুমি এলে?

হৃদয়ে জায়গা করে নিলে,

আপন করে নিয়েছিলে।

পেয়েও হারানো যায় না, 

হারিয়ে যাবার করছো বাহানা।

বাঁচার মানে টা যাবে হারিয়ে

যদি মন থেকে দাও তারিয়ে! 

শুনছো কি তুমি আমার কথা?

বুঝেছো আমার মন কি চাই? 

অতি গোপনে তোমায় শুধাই

আগে করো নাই কেন যাচাই?

এখন করো না আর বাছাই।

এমন করছো কিসের আশায়

পাগলামি করো কোন নেশায়।

বিচ্ছেদের বেদনা করে শনশন 

এখন করি মরনের জন্য অনশন।

আমার যাবার বেলায়

আমার যাবার বেলায়    

এম এ মাসুদ রানা 


তুমি বললে, 

তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও ;

আমার সীমানা ছেড়ে দূর বহুদূরে

আসতে চেওনা আবার কখনো ফিরে।

তোমাকে রাখতে চাইনা সাজানো নীড়ে 

অচেনা হয়ে যাও অচেনাদের ভীড়ে।

নতুন করে সাজাও নিজেকে কোন তীরে 

বলবো না তোমার চলল আস্তে না ধীরে। 


আমি চলে যাবো, চলে যাবো দূর বহুদূরে 

আসবো না কখনো কারো সাজানো নীড়ে।

সাজিয়ে নিবো নিজেকে আচেনাদের কাছে

নিজেকে নিয়েই নিজে থাকবো আমি বাঁচে।

আপন মনে বাঁধবো বাসা এক নতুন তীরে

কেহই বলবে না তোমার চলন কেন ধীরে।


আমরা যাবার বেলায়, আমি চেয়ে চেয়ে ছিলাম 

ফিরে যাবো আশা ছিলো ডাকবেই ভাবলাম।

ডাকলে না শুধু তুমি চেয়ে চেয়েই কাঁদলাম

মনকে প্রশ্ন করে আনেক কিছুই যাচলাম।

ফুল হাসে তাই ভ্রমর প্রেমেতে পড়ে 

হৃদয়কে হৃদয় দিয়ে পুড়িয়ে প্রেম বীরহ গড়ে।

চেয়ে দেখ একবার এই দিকে জল পরে পাতা নড়ে 

বিচ্ছেদের যন্ত্রণা তবুও তোমার হৃদয়ে নাহি ধরে।

জীবনের হিসাব

 জীবনের হিসাব

এম এ মাসুদ রানা 


নয়ন হয়েছে অশ্রু সজল, 

মনে কষ্ট প্রয়োগ করে বল, 

মুখে লুকানো হাসির ছল

চারপাশে অট্টহাসির ছলবল।


যে হাসিয়ে ছিলো, এক শুভ লগ্নে

সেই আবার কাঁদায়, অতি যতনে,

তবুও, নিরবে হেঁটেই চলি সুখের পতনে

পথের পর পথ ঘুরে খুঁজি অমূল্য রতন।


আমার নেই কোন জীবনের গল্প

আমার জীবনটাই অতি অল্প।

গল্প আছে  হয়ত সল্প

সল্প গল্পেই করি আবার কল্প।


তবুও, খুঁজি গল্পের শেষ অধ্যায়,

কল্পনায় ভাসি,কল্পনায় ডুবি তাই। 

কেটে যাচ্ছে সময়, জীবন যাচ্ছে বেশ

জীবনের হিসাব কষতেই সময় শেষ।

তোমাকে বলছি ললনা

 তোমাকে বলছি ললনা

এম এ মাসুদ রানা 


আমি তোমাকেই বলছি ললনা 

আমার দু'টো কথা শুনো না। 

কথায় কথায় করো কেন বাহানা?

তোমার হাসির মাঝেও থাকে ছলনা।


তুমি তো ধূর্তবাজ, জ্বেলে দাও প্রণয়ের ধূপ

আছে যে, তোমার মায়াবতী, মায়াবী রূপ 

তোমার চলন বলনে হও নাই কখনো শিষ্ট  

সুবিধার তরে হয়ে না আবার কখনো দৃষ্ট।


তোমার আদপহীনতায় বেয়াদব বানাও

তোমার আসল রূপটি নাহি কাওকে জানাও।

তোমার ছলনার পদতলে পৃষ্ঠ করছো কত প্রাণ 

দিয়েছো কি তাদের পবিত্র ভালোবাসার দাম।


নারীরা হয় সম্মানের নরেরা তাই যেন জানে 

খুঁজে না যেন বিপরীত কোন কিছুর মানে,

সম্মানের চোখে দেখুক তোমাকে সর্বক্ষণে

তোমার কুকৃতি বলে না যেন জনে জনে।


জোর নিবেদন করি তোমার তরে, 

তোমার বেহিসাবি চলনে যেন আরা নাহি কেহ মরে।

তোমরা তোমাদের জ্ঞানের দরজা খুলে দাও, 

সভ্য চলন-বলন ও পোষাক-আষাক বেছে নাও।

Thursday, November 19, 2020

মা

 মা 

এম এ মাসুদ রানা


মা'গো!

তোমার আঁচল এতো যে নিরাপদ 

আমি বুঝতে পেরেছি আজ।

তোমার গর্ভ হতে জন্ম আমার 

তবু কেন এত জীবনের লাগি বাজি।


মা'গো! 

তোমার আমার একই নরীতে বাধা প্রান 

ভুলে যাইনি গো মা আজো আমি।

কাজের চাপে ভুলে আছি মা

'করো না অভিমান! 

করলে অভিমান 

তোমার অভিমানে হবে অকল্যাণ। 

তুমি মমতা ময়ী মা' গো তুমি মমতা ময়ী!

আমি পরাজিত তুমি জয়ী।।


মা'গো! 

তোমার কাছে তোমার খোকা 

তোমার জীবনের চাইতে দামী 

তাইতো আমারে রেখেছিলে 

যঠরে জানে অন্তযামি।


মা'গো!

তোমার বকনিতে মধু মাখা 

মাগো শাষনেও আদর মাখা! 

আমি দৃষ্টির আড়ালে গেলে 

পরে মাগো তোমার হৃদয় হাহাকার করে।


 মা'গো!

আমি  অধম মা'গো ;

তোমার সন্তান, 

তুমি উওম আমি জানি,

মা'গো বড়ই আমি অপরাধী!

Wednesday, November 18, 2020

তোমার যাবার বেলায়

 তোমার যাবার বেলায় 

       এম এ মাসুদ রানা 


তুমি চলে যাবে, তবে চলে যাও, 

ফিরে এসো না, এই চেনা ভুবনে 

এই ক'দিনে তোমায় চিনেছে বা ক'জনে।

তুমি চলেই যাবে যদি কেন এসেছিলে? 

আমার খড়কুটোর এই ছোট্টো ঘরে

বসে ছিলে অগোছালো বিছানায়। 

বলেছিলে কতই না মধুর কথা 

রেখেছো কি মনে কিছু যথাতথা।

তোমার যত কথা বলেছো একসাথে, 

তোমার মন তখনও উঠেছিল নেচে

তোমার মন এখন নতুন ভুবনে গেছে

তাইতো বিদায় নিবে আমার কাছে। 

তোমার হরিণী চোখ, মায়াবতী কপল 

পরিশেষে দিয়ে গেলে আমায় ছবল।

Tuesday, November 17, 2020

তুমি

  তুমি  

এম এ  মাসুদ রানা 


তুমি হতাশার মাঝে আশা

তুমি নিরাশার মাঝে ভালোবাসা।

তুমি আবেগ ভরা মনের মাঝে বিবেক

তুমি অভিমানের মাঝে নিরভিমান।

তুমি শিশির মাঝে মিষ্টি সকাল

তুমি ক্লান্ত দুপুরের মাঝে প্রশান্তি।

তুমি গ্রীষ্মের রোদ্দুরের মাঝে শীতল হাওয়া

তুমি বর্ষার কর্দমাক্তর মাঝে বসন্তের ফুল।

তুমি ছেলেবেলার ক্রোধের মাঝে প্রবল উচ্ছাস 

তুমি ছোটবেলার দুষ্টুমির মাঝে শিষ্ট। 

তুমি মরুভূমির মধ্যে একমুঠো ঘাস 

তুমি মরীচিকার মাঝে পানির সন্ধান। 

তুমি কুৎসিত এর মাঝে পরম সুন্দরী

তুমি হৃদয়ের গহীনে অনুপমা, অনন্য, অনবদ্য।

Thursday, November 12, 2020

হতাশীর প্রত্যাশা

  হতাশীর প্রত্যাশা

এম এ মাসুদ রানা 


আমি নিরর্থক, আমি নয় কোন খানে স্বার্থক,

কথায়-কথায় সময়ে, অসময়ে করি চিৎকার 

চারিদিকে শব্দ শুনি শুধুই শুনি হাহাকার 

কারো করো কটু কথায় হৃদয় হয় ছাড়খাড়।


আমারে ধরতে করতে না কোন কৌশলের দরকার

আমি হয়ে গেয়েছি যে, তোমার সমাজে নিরাকার। 

আমায় খুঁজতে  দিতে দিতে হয় না কোন খানে হানা

আমায় ডাকলেই পাওয়া যাবে এটও তোমার জানা।


আমার সাথে  করো তুমি অনেক ছলাকলা 

বলতে চাই অনেক কিছু, হয় না কখনো বলা

মনকে বলি তোমাকে তো করবেই সবাই হেলা

তোমার জীবন নদীতে যে, ভাসে দূখের ভেলা।


আমায় করেছো হেলা, কাঁটছো আসময়ের বেলা 

তুমি তৈরী করেছো তোমার ভুবনে আনন্দের মেলা

তোমার মনানন্দের তরে আমার সাথে তোমার খেলা

আমায় দিয়ে তোমার ক্লান্ত মনকে শান্ত করে নিলা।


ভেবো না তুমি, আমি কিছুই বঝিনা

তোমার মনে লুকানো কথা সবাই জানি।

চেষ্টায় আছি, আমি আমাকেও যেন পাল্টে পরি

তোমার মতোই হতে পারি যেন অতি তারাতাড়ি

সেই তরে তোমার সাথে করি না কখনো বাড়াবাড়ি।


রচনাকাল ১১/১১/২০২০

চরম প্রতিবাদ

 চরম প্রতিবাদ 

এম এ মাসুদ রানা 


স্রষ্টা যাঁর প্রতি হয়েছে খুশি

দান করেছে সম্মান

কারো কি ক্ষমতা আছে?

করবে তাঁকে অসম্মান! 


জ্ঞানের ভান্ডার তাঁর হাতে

ধরণীর বুকে শ্রেষ্ঠ

তাঁকে নিয়ে ব্যাঙ করো

কেন বোকারাম কেষ্ট?


তাদের প্রতি চরম ঘৃণা

বাঁজে উঠে শরীরটা

আমি বলি তাদের মাথায়

মার লাথি আর ঝাঁটা। 


তাঁকে নিয়ে কুৎসা রটাটে

হয় না যেন সাহস 

তাঁকে নিয়ে ব্যাঙ করা 

নয়তো এতো সহজ।


তাদের প্রতি আমার ধিক্কার 

জানায় চরম প্রতিবাদ 

তাঁকে নিয়ে ব্যাঙ করে কেউ 

পাবে নাতো মাফ। 


রচনাকালঃ ১১/১১/২০২০

Monday, November 9, 2020

প্রেম এসেছিল নীরবে

 প্রেম এসেছিল নীরবে

লাবিব আল সরকার, এই নাম সম্পর্কে ও তার জন্মসূত্র পিতামাতা তা সবার অজানা। কেন না কোনো এক ডাস্টবিনের পাশ্বে এক পাগলী এক নির্জন প্রান্তে শিশুটিকে কুড়িয়ে পেয়েছিল। শিশুটির শরীরে তেমন কোন প্রতীক ও কোন রকম পোষাক পরিহিত ছিলো না। 

বেশ কয়েকদিন শিশুটিকে সযত্নে রেখে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াত। যেখান সেখান থেকে ময়লা ও নোংরা খাবার খাওয়াতো শিশুটিকে।

এমন এক সকালে এক নিঃসন্তান ভদ্রমহিলা রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়, পাগলীটার কোলে এই কোমলমতি শিশুটাকে দেখ, (এক অপরিচিত নোংরা বস্ত্র পরিহিতা মহিলার কোলে শিশুটিকে দেখে) দেখতে পেয়ে ভদ্র মহিলা এগিয়ে গেলেন। 

শিশুটিকে জড়িয়ে রেখেছে মহিলাটি। শিশুটিকে জরিয়ে রাখার করণে বয়স তেমন বোঝা না গেলেও পা দুটো দেখে মনে হয় ৩ থেকে ৪ মাসের বেশি বয়স হবে না। শিশুটির মা যে এই মহিলা নয় তা সহজে বোঝা যায়। মহিলাটির বয়স কম করে হলেও ষাটের বেশি হবে। তবুও শিশুটাকে বুকে আগলে রেখেছে অনেক যতনে। পাগলী হলেও শিশুটার প্রতি ছিলো তার অনেক ভালোবাসা, এটা বুঝতে ভদ্রমহিলাটার বাকি রইলো না। ভদ্রমহিলাটা ভাবলো শিশুটা এখানে এমন অবস্থায় থাকলে বাঁচতে পারবে না এটা নিশ্চিত। শিশুটাকে বাঁচাতে হবে যে কোন উপায়ে।


এই ভদ্রমহিলাটা ছিলো মরনব্যাধি রোগে আক্রান্ত, যে কোন মূহুর্তে চলে যেতে হতে পারে আত্মা দেহের বাহিরে। মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকে সবসময়, কখন আসে যমদূত তাকে দেখা করতে।


এই আগন্তুক মহিলা নিজের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় শিশুটিকে উদ্ধার করে এক অনাথ আশ্রামে রেখে দেন। সেই মহিলাটি নিজের কাছে না রেখে। প্রায় খোঁজ খবর রাখতেন শিশুটির, যাবতীয় খরচও বহন করতেন, এভাবে তার দিন চলে যেত , শিশুটি পাঁচ বছরে পা দিয়েছে। সেই আগন্তুক মহিলাটি নিঃসন্তান হওয়া মাতৃসুলভ মন দিয়ে শিশুটির থাকার স্থায়ী ব্যবস্থা করে দিয়ে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে সারা জীবনের বিদায় নিলেন এই মায়াভরা  ধরণী তল হতে।


তারপর অনেক কথা, তার জীবনে অনেক বাধা পার হতে হয়েছে লাবিব আল সরকারকে । স্কুল জীবনে অনেক সমালোচনা কটুকথা ও ব্যঙ্গর মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু ওকে থামিয়ে রাখা যায়নি কেবল তার মেধা ও কর্মকুশলতার কারণে। তিনি ছিলেন অনন্য মেধার অধিকারী, সহপাঠী ছাড়াও আশ্রমের প্রায় সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকাটা তার স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সবার সাথে সবসময় হাসি খুশিতে থাকতো। সবাইকে মাতিয়ে রাখতো বিভিন্ন ছন্দ কথা দিয়ে।


আনন্দ ও মুক্ত স্বাধীনতায় সে অতিবাহিত করল ইই স্কুল ও কলেজ জীবন। হাই স্কুল ও কলেজ জীবনে ছিলো তার ব্যাপক সফলতা। অনেক পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিল সে। এগুলো প্রতিটি সফলতার পিছনে ছিলো তার কঠোর প্ররিশ্রম ও দূরদর্শিতা। 


তারপর কলেজের চৌকাঠ অতিক্রম করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্পণ করল। সেখানে ও মাথা উঁচু করে পথচলা শুরু করলো। তবুও সে নিজেই কোন কোন মহূর্তে, যেন পরাজিত সৈনিকের মতো মনে হতো। কারণ কৈশোর জীবনে তার পরিচয়টা সে বুঝতে পারেনি, বয়ঃসন্ধি ও কালের পরিবর্তনের সাথে তাকে আঘাত করে। সময়ে অসময়ে খুঁড়ে খুঁড়ে জখম খায়। 

যখন সে একা থাকত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মানপত্র গুলিতে চোখ বুলিয়ে দেখে নিত। জীবনে চলার পথে কোনো না কোনো সময় বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়, তাই হয়েছিল লাবিব আল সরকার জীবনে। 


সেদিন ছিল বৈশাখী পূর্ণিমা। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অনুষ্ঠান সূচীতে ছিল কবিতা, নৃত্য, সঙ্গীত আর ছিল এক বিশেষ আলোচনা সভা। 

আলোচনার বিষয় ছিল বর্তমান যুব সমাজের কাছে কাজী নজরুল ইসলাম কতটা জনপ্রিয় ? 

জীবনানন্দ দাশের "বনলতা সেন" কবিতার বিশেষ আলোচনা ও আবৃত্তি। 

আর সমস্ত অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্বে ছিল লাবিব আল সরকার। রাত তখন প্রায় দশটা। বিচারক মণ্ডলী মূল মঞ্চের বিপরীত দিকে বসে আছেন। দর্শক সংখ্যা গত বছরের থেকে দ্বিগুণ বেড়েছে। মাঝে মাঝে দর্শক হাততালি দিচ্ছে মনানন্দে। ছোটরা বেলুন ও বিভিন্ন খেলনা নিয়ে খেলা করছে। কোথাও আবার আতসবাজি ফোটানোর আওয়াজ। প্যান্ডেলের মধ্যে কোথাও ফেরিওয়ালা খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করছে। সব মিলিয়ে এক অসাধারণ রাত্তির সম্মুখীন লাবিব আল সরকার।

হঠাৎ আলো নিভে গেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব দিকে কিসের চিৎকার, হৈ হুল্লা, হুড়োহুড়ি পড়ে গেল চারিদিকে। ঠিক সেই সময় কারা যেন এসে জাপটে ধরল লাবিব আল সরকারকে। টেনে নিয়ে গেল মঞ্চের বাইরে, গায়ে মারও পড়ল লাবিব আল সরকারের । তারপর কি হল আর কিছুই জানেনা লাবিব আল সরকার।

অচেন অবস্থায় পরে রইল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে।.........  একজন তাকে নিয়ে ভর্তি করেছে এক নার্সিংহোমে।


অচেতন অবস্থায় কেটেছে কয়েকদিন। যখন তার চেতনা ফিরল চোখ খুলে দেখল কোনো এক নার্সিংহোমের বিছানায় শুয়ে আছে। পাশে বসে আছে চেনা মুখ অতিথি। অনুষ্ঠান সূচীতে তার নাম ছিল। জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’কবিতা আবৃত্তি করবে। বাবা মাকে নিয়ে এসেছিল সেদিন। বাকি বিষয়টা লাবিবের অজানা।

অতিথির সঙ্গে ব্যাক্তিগত ভাবে আলাপ হয়নি কোনোদিন। লাবিব কিন্তু সেদিন দেখল খুব আপনজনের মতো পাশে বসে আছে। ছোট শিশুর মতো চোখে ভরে গিয়েছিল সেদিন। কথা ছিলনা দুজনের মুখে। অতিথি হাতের রুমাল দিয়ে চোখ মুছাতে গিয়ে নিজের চোখের জল গড়িয়ে পড়ছিল। অতিথিকে কাছে পেয়ে লাবিবের স্বপ্ন দেখছিল। নানা প্রশ্ন জেগেছিল তার মনের মনের গোপনে । কে এই মেয়েটি, কেনই বা তার পাশে বসে আছে? চার দেয়ালের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার এক অনন্য সুন্দর রোমান্টিকতা অনুভবের অনুভূতি হচ্ছিল লাবিবের।

ঠিক তখনি অতিথি পরিস্কার ভাবে বলল

কেন এতো চিন্তা করো? 
কিসের এতো ভাবনা তোমার?

এইতো আমি আছি তোমার পাশাপাশি। 


মনটাকে স্থীর করার চেষ্টা করল লাবিব। 

কিন্তু তার আগে চোখ পড়ল অতিথির দিকে। পরনে হালকা রঙের গোলাপি শাড়ি, পাশে থাকা রজনীগন্ধার তোড়া, এলোমেলো কেশ ভাগে বকুল ফুলের মালা দিয়ে জড়ানো, কপালে আলতো করে বসানো ছোট গোলাপি টিপ, খোলা জানালা দিয়ে পড়ন্ত বিকেলের শেষ আলোর রেখা পড়েছে শাড়ির ভাঁজে। বড়ই সুন্দর লাগছিল অতিথিকে। 

অতিথি এমন ভাবে কাছে আসবে তা লাবিব বুঝে উঠতে পারেনি। 

আর পারেনি বলেই রোমান্টিকতা ছুঁয়ে যাচ্ছিল একে অপরকে।

অতিথি বলল –
‘সারাক্ষণ কার কথা ভাবছেন ? 

কেনই বা ভাবছো? 

এই ভাবনার দরকার কি আছে? 

আমি তো রয়েছি তোমার পাশে।


লাবিবের চোখে জল। ছড়িয়ে পড়া আঁচলের এক কোন দিয়ে লাবিবের চোখ মুছিয়ে দিয়ে অতিথি বলল। 
এমন করে ভেঙে পড়লে তোমার শরীর খারাপ হয়ে যাবে। 

যাক সে কথা ডাক্তারবাবু বলেছেন আজ তোমাকে ছুটি করে দেবে। 

তাই আমি আগেই চলে এসেছি। বাবা মা একটু পরে গাড়ি নিয়ে আসছে।

এদিকে সন্ধের বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে উঠল। সেই আলোতে অতিথিকে এক পলকে দেখে নিল লাবিব। এমন এক সময়ে যৌবনা যুবতীর সন্নিধ্যলাভ লাবিবের কাছে পরম আনন্দের বিষয় ছিল। 

এমন সময় নার্সিংহোমের সামনে একটা গাড়ি এসে দাঁড়াল। অতিথির মধ্যে বেশ খুশির ভাব। জানালা খুলে দেখে নিল বাবা ও ভাই গাড়ি থেকে নামছে। কিন্তু তখন অতিথির চোখে মুখে এক বিষণ্নতার ছাপ। 

সে বলল –
এই যে তোমার ছুটি, এবার কোথায় যাবেন বল,

তোমাকে পৌঁছে দেওয়া হবে সাবধানে থাকবেন কিন্তু’।
লাবিব ভাবল কোথায় যাবো, 

আশ্রম থেকে এসেছি কতদিন হয়ে গেল। লাবিব আর কিছু বলতে পারছিল না। এমন সময় অতিথির বাবা এসে ঢুকল। কিছু বলার আগেই লাবিবকে নিয়ে গাড়িতে উঠল। লাবিবকে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে না। গাড়ি চলতে আরম্ভ করল। পৌঁছালো অতিথির বাড়ি। লাবিব হয়ে উঠল পরিবারের একজন। অতিথির সংস্পর্শে বেশ ভালোই কাটছিল লাবিবের দিনগুলি।

সেদিন ছিল ফাগুনী পূর্ণিমা। চাঁদ উঠেছে আকাশে , অন্য দিনের মতো এ-রাত্রিটা বেশ মোহময় লাগছিল। জানালার ফাঁক দিয়ে দেখা যায় কদম আর বড় অশ্বথের গাছ। ফুলে ভরে গেছে কদম গাছ। আর অশ্বথের ঝুড়ি গুলো মাটিতে নেমে এসেছে। ঘুম নেই লাবিবের। কাছে পেতে চায় অতিথিকে। 

এ এক নীরব ভালোবাসা টানছে

মনটা করে সবসম ছটপট, তাকে দেখার আশায়, দুটি কথা বলবো অতিথির সাথে। মাঝে মাঝে মনে অনেক ভয়ও আসে।

রাত কতটা হবে তা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। চোখে ঘুমও আসছে না। এমন সময় খুব হালকা কন্ঠস্বর ভেসে আসছে। হালকা হলেও বোঝা যাচ্ছে কার গলা। অতিথির মা ও বাবা কথা বলছে অতিথির জন্ম পরিচয় নিয়ে। অতিথি মন দিয়ে শুনছিল, শুনছিল লাবিবও। চাঁদ যে কখন গড়িয়ে পড়ছে পশ্চিম আকাশে তা বুঝতেই পারেনি লাবিব। হয়তো সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে, আর কেউ জেগে নেই। জেগে আছে শুধু লাবিব। কেবল ছোট একটি কাগজে লিখল 
আমাকে খুঁজো না অতিথি..........।

তেমার তরে আমার মনে প্রেম এসেছিল নিরবে।