Wednesday, December 30, 2020

আমি ঘুমাতে পারি না

 আমি ঘুমাতে পারি না 

এম এ মাসুদ রানা 


হাজরো নিষ্ঠুরতায়

অনুক্ষণ ক্ষত-বিক্ষত করে আমায়;

আমি ঘুমাতে পারি না।


আমার দুটো নিদ্রাতুর আঁখি

ঘুমবিজড়িত হয়ে পড়ে,

মুহূর্তেই বীভৎস স্বপ্ন দেখে চমকে উঠি ;

আমি ঘুমাতে পারি না।


আমিও তো মানুষ

কে বলবে এটা মিথ্যা কথা?

জেগে জেগে কত যে স্বপ্ন দেখি প্রতিদিন;

দেখার পরেই ভেঙে যায়,

ভেঙে যায় আবার শুরু করি।


স্বপ্নের এই ভাঙা-গড়াতেই দিন চলে যায় ;

স্বপ্ন নিয়ে স্বপ্ন দেখে কেটে যায় দিবস রজনী,

আমি ঘুমাতে পারি না।

সুখ

 সুখ

এম এ মাসুদ রানা 


কিছু সুখ লুকিয়ে থাক

কৃষ্ণচূড়ার ডালে,

কিছু ব্যথা বাসা বাঁধুক 

হৃদয়ের খালে।


কিছু দুখ হারিয়ে থাক

প্রেয়সীর গায়ে,

তবুও থাকি পরিশেষে 

শোকর আদায়ে।


প্রিয়ার ভুবন হয়ে উঠুক 

গোলাপের ঝাঁড়

বাগিচায় ফুল ও কাঁটা থাক

সুবাস তো অপার।


হাসনাহেনা, বকুল, বেলি

ফোটাও সমান

সুঘ্রাণে ভরে উঠুক প্রিয়ার

সুখের আসমান।

ফিরে এসো না

 ফিরে এসো না 

এম এ মাসুদ রানা 


প্রবঞ্চিত জীবনে কষ্ট দিয়ে যাও

সুখ পাখিটাকে কেড়ে নাও

তুমি আমাকে যন্ত্রণা দিয়ে যদি

অন্য কারো একজন হও।


তোমাকে বলবো না কোনো দিন

ভালবাসো ওগো আমায়

তোমার দেখানো পথ ধরে কোনদিন

খুজবো না গো তোমায়।


তুমি চলে যাও চলে যাও পাখি

দূর নীলিমার নতুন দেশে

বধু বেশে থাক তুমি  মহাসুখে

ফিরে এসো না আগের বেশে।

জিজ্ঞাসা

  জিজ্ঞাসা 

এম এ মাসুদ রানা  


কখনো জানতে চেয়েছো, আমি কেমন আছি?

বসন্তের কোকিল কি, এখনো ঘুম ভাঙ্গায়?

নাকি শীতের রিক্ততা আজও আচ্ছাদিত করে 

রেখেছেব আমার এই নগর। 


তোমার মিথ্যে আশ্বাস ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছো সব,

আমার সেই খবর কি তুমি রাখো?

আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছো নির্দয় ডাকাতের মতো,

আজ গৃহান্তরে গৃহহীন আমি। 


আচ্ছা, 

তুমি অপলোক দৃষ্টিতে চোখের দিকে চেয়ে বলতে,

স্বপ্নচারিণী, 

আমার পৃথিবীর সমস্ত মায়া তোমার দুই নয়নে বন্দি। 


তবে তুমি কেন আজ দেখতে পাও না?

কি এক অস্থির স্থিরতা এই দুনয়ন জুড়ে?

তুমি কি বুঝতে পারো না?

এ শহর আজ অন্ধকারে ঢাকা,

অনিশ্চয়তা চারিপাশে। 


নাহ্! 

তুমি অনেক বদলে গেছো, দীপ্তমান পৃথিবীতে।

তবে হ্যাঁ,

কখনো অন্ধকারে একাকিত্ব অনুভব করতে যেও না। 


কারণ, 

তখন আমার সমস্ত স্মৃতি চারিপাশ থেকে 

তোমায় আকড়ে ধরবে, তোমায় প্রশ্ন করবে।

তুমি উত্তর দিতে পারবে না।

সেদিন জীবন্ত লাশের যন্ত্রনা উপলব্ধি করতে পারবে। 


এই যন্ত্রনা খোঁচাতে খোঁচাতে রক্তাক্ত করে দিতে পারে,

তাই তুমি একাকিত্ব অনুভব করতে যেও না,

অনন্তকাল তুমি তোমার দীপ্তমান পৃথিবীতেই

" ভালো থেকো"।

জিয়া মানে

 জিয়া মানে

এম এ মাসুদ রানা 


জিয়া মানে বাংলার প্রাণ 

স্বাধীনতার ঢেউ! 

জিয়া মনে উন্নয়নের বানী

দেয়নি অন্য কেউ! 


জিয়া মানে ফসলের হাসি 

কৃষাণ কৃষাণীর গান,

জিয়া মানে রূপসী বাংলা

গ্রাম বাংলার প্রাণ।


জিয়া মানে আশার আলো 

কৃষকের ঘরে বাতি,

জিয়া মানে একটি বাংলাদেশে

আমরা স্বাধীন জাতি।

আপ্ত গুণ

 আপ্ত গুণ 

এম এ মাসুদ রানা 


যখন তোমার সাথে কেউ থাকে না

তোমার একাকীত্ব যখন  কাটে না

তোমাকে নিয়ে যখন কেউ ভাবে না

তোমার দৃষ্টিতে যখন কেউ আর আসে না


তখনি তুমি তুমি বলে ডাকো 

তোমার একাকীত্ব সময়ে আমার সাথে থাকো

তোমার মনের কথা আমায় কখনো বলো নাকো

তোমার সুখের তরে আমায় সাথে নিয়ে রাখো।


বুঝেছি আমি তোমার সব ছলাকলা 

সবার কাছে এইসব কথা কখনো যায় না বলা

আসোনা কাছে যখন আমার থাকে শুধু অবেলা

মহানন্দে থাকো যখন হৃদয় হয় আমার ঝালাপালা। 


তোমার ইচ্ছায় আসো তুমি 

তোমার ইচ্ছামত আবার ছেড়ে চলে যাও 

তোমার প্রয়োজনে তুমি আবার ডেকে নাও 

তোমার প্রয়োজন শেষে হও আবার উধাও। 


তুমি মনে করেছো তোমার ছলনা বুঝি না 

সবে বুঝি তাইতো আগের মতো তোমায় খুঁজি না

তুমি পাল্টে গেছো একেবারে শুধু সুখের তাড়নায় 

তুমি তোমার মুখে আমাকে একবারও না জানায়।

কাশ্মীর

 কাশ্মীর

এম এ মাসুদ রানা 


কাশ্মীরে মরে যারা তাঁরও

কারো ভাই বোন স্বজন,

তাদের হাহাকার চিৎকার 

শোন যায় গানের মতন। 


আমাদের মা বোনও ভাই 

আমাদেরই পুত্র, কন্যা,

কাশ্মীরে জমিনে শুধু বহে

মানুষের রক্তের বন্যা!


বির্তকবাদী আর কিছু 

তার দাস কুত্তায়!

ওরা মেতে উঠেছেরে 

মুসলিম গণহত্যায়!


নাই কি আপনার আমার 

ঈমানী কোন শক্তি,

প্রতিবাদ করলে তাহারা 

হতে পারে মুক্তি।


রচনাকাল ১৫/০৮/২০১৯

Saturday, December 19, 2020

তোমার ভাবনা

 তোমার ভাবনা 

এম এ মাসুদ রানা 


তুমি কি সত্যি ভাবো? 

আমি তোমাকে বিরক্ত করি

যদি ভেবে থাকো তাহলে বললাম সরি

তোমার বিপরীতেই এখন পথ ধরি।


অহেতুক বিরক্ত করতে আসবো না তোমায় 

অজান্তেও বদনাম করবো না আরা কামায়

ভেবো না দুষ্ট ও লম্পট আমায়

আড়াল করার চেষ্টায় আছি আমায়। 


তেমন করে তোমায় নিয়ে ভাবি না আর 

ফিরে দেখি না তোমাকে আর বার বার, 

হৃদয়ে আসে না আগের মতো হাহাকার 

করিও না কখনো আর তেমন চিৎকার,

নিজেকে নিজেই দিই শুধু ধিক্কার 

তুমি তোমাকে সাজিয়ে নিয়ও চমৎকার।

অবনতি

 অবনতি

             এম এ মাসুদ রানা 


ভূলুণ্ঠিত হয়েছে আজ বাংলার মানবতা 

সাম্যের গান ধরে কখনো কখনো যথাতথা 

শহীদের রক্তের আল্পনা হলো আবার বৃথা

মৌলিক অধিকার এখন শুধু মুখের কথা।


দেশে রয়েছে অনেক আধুনিক হাসপাতাল,

আধুনিক চিকিৎসকও রয়েছে বিদ্যমান

রয়েছে অনেক অনেক অত্যাধুনি যন্ত্রপাতি 

বানানো হয়েছে সবকিছুই বিলাসবহুল। 


তফাৎ রয়েছে শুধু ব্যবহারের জায়গায়

সিলিন্ডার আছে ভিতরে অক্সিজেন নাই 

শয্যা আছে সঠিক কোন রকম ব্যবহার নাই 

বিজ্ঞ চিকিৎসকের, পদোন্নতিও হয় নাই।


স্বাধীনতা অর্জনের পরক্ষণেই বলেছিলো সবে, 

অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান, ও শিক্ষা দিবে,

কেন অক্সিজেনের অভাবে হাসপাতাল প্রাণ নিবে?

প্রণের বিনিময়ে মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিবে।


হাসপাতালের বারান্দায় বাবা ফয়সাল কান্না করে 

সন্তানের শোকে জননীর  কেন তাঁদের অশ্রু ঝরে? 

তবুও পাষাণ্ড চিকিৎসকের হৃদয় নাহি নড়ে

সুচিকিৎসার বার্তা নিয়ে চিকিৎসক নাহি দৌঁড়ে।


আমরা জানতাম খোদার পরে বাঁচাই যদি প্রাণ 

এক কথায় সবাই বলে দিতো চিকিৎসা বিধান। 

চিকিৎসা ক্ষেত্রে শুরু হয়েছে ব্যাপক দর কষাকষি 

তারদের মূল্য আমরা না দিতে পারায় হয়েছি দোষী। 


চিকিৎসকেরা বাংলাকে করেছে এখন কসাইখানা 

তাই  যমদূত দিয়েছে সবুজ বাংলায় সরাসরি হানা

রূপসী বাংলা প্রিয়জন হারিয়ে হয়েছে সর্বহারা

ফজলে রাব্বীর স্বপ্নও এইবার হলো তো ছন্নছাড়া।

শামসুজ্জোহা

শামসুজ্জোহা

           এম এ মাসুদ রানা 


আমি দেখিনি অধ্যাপক শামসুজ্জোহাকে

তবুও তাঁর জন্য প্রাণ মাঝে মাঝে কাঁদে।

তিনি ছিলেন  রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক, 

জেনেছি বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাস পড়ে 

তাঁর জীবনটা দিয়ে গেছে তাঁর ছাত্রদের তরে।

জানার পরে বুকটা গর্ভে গেলো মোর ভরে

পিছু হটেনি তিনি তাঁর স্বজন বা মৃত্যু ডোরে। 

বলেছিলেন তিনি ওরা সকলে আমার সন্তান 

তাদের মারতে পারবে না থাকতে এই জান।

স্বাধীনতার ইতিহাস প্রথম বুদ্ধিজীবী করে গণ্য 

তাঁর জীবনী পড়ে নিজেও মনে হলো ধন্য।

শামসুজ্জোহা জন্ম নিবেনা কি বাংলায় আবার?

অন্যায় বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে দাঁড়াবে বার বার 

কোন ছাত্র মরবে না বাংলায় কারো নির্যাতনে আর।

নিষ্ফল বাসনা

 নিষ্ফল বাসনা

           এম এ মাসুদ রানা 


আমি জানি, তোমার থেকে জানি,

এখন তোমার নেই কোন কাজ

তাই তো এস এম এস করেছি আজ।

তুমি দাও নাই উত্তর, বলনি তুমি হাই

তাহলে কি আমি বুঝে নিবো আমার মূল্য নাই

আমার সাথে কথা বলতে, তোমার মনে নাহি চাই

বলা, চলা,কথা এসবের কোনোই দাম নাই। 

মূল্য চাইবো না, এস এম এসও করবো না, 

হুট করে হারিয়ে যাবো কোন এক অজানা পানে

যে পানে আমায় কেহ নাহি চিনে আর জানে।

তখন হয়তোবা, তখন তুমি মোরে খুঁজিবে 

মনের মাঝে স্বপ্ন নিয়ে অনেক কিছু বাঁধিবে

তোমার সাধ্য থাকিবেনা যে, গতি পথ রুধিবে

মাঝে মাঝে হাঁসি মাখা মুখে কান্নাও আসিবে।

হীন শাসন

 হীন শাসন

এম এ মাসুদ রানা 


দিবাকর আজ হয়েছে 

নিদারুণ ক্লান্ত 

দর্পে দর্পে চলে সর্বত্র 

শাসনে অশান্ত। 


ঘরে কিংবা বাইরে

কোথাও নাই শান্তি 

খুন ধর্ষণ ও বেবিচার

খেয়েছে সব অশান্তি।


জ্বলছে আগুন হরদমে 

শুনি সব খানে

কি যে হবে কি যে করি

বলি যাই জনে জানে।


দুষ্ট লোকে মিষ্টি কথায়

ভরেছে সোনার দেশ,

সৎ মানুষ লেজ গুটিয়ে

ভালোর স্বপ্ন শেষ। 


কেউবা আছে টাকার জোরে 

বাড়ায় গায়ের গরমে,

জ্ঞানীরা ইজ্জত লুকায়

নষ্ঠ হবে এই শরমে।


ধর্মের বানীর ছড়ায় তারা,

রাখে না মর্মবানী,

মানতে হয় তারা নারাজ, 

যতই করে কানাকানি।

ছলনাময়ী

 ছলনাময়ী 

এম এ মাসুদ রানা 


দুঃখ দিয়েছো তুমি 

কিছু বলিনি 

তুমি যে, ছলনাময়ী 

আগে জানিনি।


নিঝুম রাতে একাকী হলে

মন ভেঙ্গে যায়

স্মৃতি নামের স্মৃতির পাতা

আমায় কাঁদায়।


স্বপ্ন ভেঙ্গে স্বপ্ন নিয়ে 

সুখেই আছে তুমি

আমাকে কষ্ট দিয়ে কি 

সুখে রবে এমনি? 


১৩/১২/২০২০

আমরা প্রবাসী

 আমরা প্রবাসী

এম এ মাসুদ রানা 


পরিবার প্রিয়জনের  মায়া ছেড়ে

অন্য দেশে করি আমারা বাস,

শরীর দিয়ে ঝরে পরে কতোই ঘাম

তবু বলি মন তুমি একটু হাস।


প্রিয়জন চেয়ে রয় আমার দিকে

জোগাড় করে দেবো কড়ি বেশ,

হাজারো আঘাত সহ্য তবু বলি 

আমি খুব ভালো আছি বলে শেষ।


সারাটি বছর ধরে রেখে দিয়েছি

মনে জমা আছে যত বড় দুখ,

এতো ব্যথা যন্ত্রণা মনে নিয়ে 

বলি মুখে প্রবাসে অনেক সুখ।

প্রেম

 প্রেম

এম এ মাসুদ রানা 


সন্ধ্যা নামলো হঠাৎ করে, দিবসকে বিদায় দিয়ে

নিশাচরীর চরাচরের বিচরণের অধিকার নিয়ে।

সূর্যের আলোক রাশিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে

পৃথিবীর অভিনয়, সবে  কালো পর্দায় মুড়ে

আজ সন্ধ্যাটা নামে, হঠাৎ করে এসেছে দোরে। 

জোছনার বান ডাকে উঁকি দিবে জোনাকিপোকা 

দেখবে ভালোবাসার চিহ্ন হয়েছে থোকা থোকা।

মানুষের প্রেমে, ধরে নিও উর্বর ফসলী জমির মতো,

অনাগত শশ্যের মতো, নিষ্পাপ মুখ আসে কত্তো শত।

থেমে যাওয়া সময়ে ঝিঁঝিঁ পোকার হাঁক আর ডাক

চিতা প্রিয় হরিণীর রক্তের গন্ধের ঘ্রাণে চেয়ে থাক

উত্থাল পাথাল জোছনার স্রোতের মতো বেগ রাখ।

তবুও আরো শক্ত, বাঁধনে বাঁধে রাখতে হবে 

মানব মানবী বলবে, এই প্রেম অমর হয়ে রবে।

প্রার্থনা

প্রার্থনা 

এম এ মাসুদ রানা 


আমার মাথায় বড় ঋণের বোঝা

আমায় শুরু করেছে সবাই খোঁজা

বলতে পারি না জোরে কোন কথা

মাঝে মাঝে জীবনকে মনে হয় বৃথা।


আমার দিনে দিনে বাড়ে শুধুই দেনা 

সবাই বলে তেমাকে হয়ে গেছে চেনা

তুমি এমন এটাও হয়ে গেলো জানা 

লেনাদেনা করতে করবো সবাইকে মানা।


অভাব নিয়েছে নিরবধির রূপ 

সুখ হয়েছে আমার কাছে আগন্তুক 

দূঃখ বেদনা নিয়ে কাটে যুগ আর যুগ,

আমার জীবনে আসিবে না কি সুখ?


যাচি খোদর কাছে আমি কিছু সুখ 

আমার থেকে যাতে মুখ ফিরিয়ে নেই দুখ।

আমার জীবনে আসে যেন অনাবিল সুখ 

দেনার তরে মলিন হয় না যেন আমার মুখ। 


আসিবে যে, জীবনে শুভ দিন 

সেই দিনে থাকে না যেন আমার কোন ঋণ।

বুঝিবে তখন

 -------বুঝিবে তখন ---------

    এম এ মাসুদ রানা 


তুমি বুঝিবে, তুমি বুঝিবে,

আমি থাকিবো না যখন,

বাতায়নে রাতে দাঁড়িয়ে

আকাশের প্রাণ দেখিবে তখন, 

হাজার তারার জলসার মাঝে

আমায় খুজিবে তোমার মন। 


বুঝিবে সেইদিন বুঝিবে

চোখের জলে ভাসিবে বুক

শাড়ির আছলে মুছিবে চোখ

পাইবে না কোন জায়গায় সুখ।


আসল নকল চিনিবে

ভালো আর মন্দও জানিবে,

খুঁজিবে সেইদিন খুঁজিবে

নিশি রাতেও আমায় বুঝিবে,

ভেঙ্গে যাবে যখন তোমার ঘুম

দিশেহারা হয়ে খুঁজিবে।


হাতে নেবে আমার লেখা বই

খুঁজিবে আমি আছি কই,

পড়িবে আমার লেখা 

বলিবে তুমি ছাড়া কেমনে রই।


তুমি পড়িবে শুধু বইয়ের লেখা

বইয়ে আছে যে, ছবিটা আঁকা,

মনে মনে শুধু বলিবে কবি

আমার কথাগুলো ছিলো বাঁকা। 


কবিতা পড়িতে পড়িতে

তোমার নয়নে আসিবে জল,

পাগল হয়ে বলিবে

আমার কবি তুই কথা বল।


পাখি ডাকা ভোরে 

বাঁধিবে তোমায় ডোরে, 

আমার সমাধীর পাশ থেকে 

তুমি যাবে নাহি নড়ে।


নিথর প্রাণে থাকিবে দাঁড়িয়ে

জলভরা দু’টি চোখে 

আমায় তুমি বলে ডাকিবে,

আসিবে স্মৃতির কথা মুখে।


স্মৃতিময় স্মৃতি আঘাত করিবে

তোমার মনের ভিতর, 

বুঝিবে তখন বুঝিবে

সেই তরে করিবে ধড়-ফড়।

আধুনিক বিয়ে

 আধুনিক বিয়ে

এম এ মাসুদ রানা 


আধুনিকতার নেশায়

কোন তামাশায়!

মুসলমানেরা হরদমে

ঈমান হারায়!


প্রলয়কালের সাথে

তাল মিলিয়ে,

কেমনে মুমিন মুসলমান

করবে বিয়ে।


বিয়ের বাজার হয়েছে

বেজায় গরম,

যৌতুক দিতে নাই কোন

লজ্জা শরম।


দশ বারো লাখ 

টাকার কাবিনে,

নগদ বাকির সবে

থাকে জামিনে।


মোহরানা হয় নাকি

নারীর হক?

অনাদায়ে রয়ে যায়

ভেজার থাক।


ওই বিয়েটা হয় 

তেমন বকব্রতী, 

হলো না  বেশি

আর খরচাপাতি।

ঘুষ

 ঘুষ

    এম এ মাসুদ রানা 


চল্ চল্ চল্ প্রচুর ঘুষ পাবি চল্

সরকারি চাকরিতে এখন ঘুষ প্রবল

ছলে বা কৌশলে একটি পদ কর দখল

বিসিএস ক্যাডার কিংবা পিয়ান বল।


বর্তমানযুগে মানুষের এটাই গান

ঘুষের সুযোগ ও পেনশন পান

দোষ কি সবাই খায় আপ্নেও খান?

অবৈধ সম্পদ কারা না চান।


ঘরে ঘরে তোলে কেউ সময়ের দাবি

আইন করা হোক ঘুষে, মুখে মুখে রাখি।

ঘুষ হলো উন্নয়নের প্রধান একটা চাবি

বেশি ঘুষ নিলে আবার পুরস্কারো পাবি।


ঘুষ দিলে তুমিও তো ঘুষই পাবি

যা কিছু ক্ষতি করে দিবি শতগুণ নিবি

ঘুষ হয়েছে এখন জাতীয় একটা ছবি

সরকারি চাকুরী তরে তুমিও ঘুষ দিবি।


ঘুষ ছাড়া হয় কি এখন কোন কাম 

ঘুষ দিলে তো বেড়ে যাবে তেমার মান

সচিব, আমলা সবাই  করবে সম্মান

ঘুষ না দিলে, দিতে হতে পারে জান।

Thursday, December 17, 2020

জীবন

জীবন

এম এ মাসুদ রানা


জীবন সংগ্রামে চলছি একা

নেই কোন সজনীর দেখা,

কি আসে আর বা কি যায়

আয়োজন সবে হবে বৃথা?


তা নিয়ে আর কিছু ভাবি না

জয় না হয় পরাজয়,

হবে তো নিশ্চয়

হব মনে হয় যন্ত্রণায় ক্ষয়।


বারে বারে ফিরে আসে

ঘুরে যায় কি আর?

জীবন চলে কি ভাবনায়

তা নিয়ে আছে কি তার?


রচনাকাল ১৮/১২/২০১৭