Thursday, February 21, 2019

সেকাল একাল


                                                                                                            




সেকাল

একাল
মোঃ জুলফিকার আলী জিল্লুর
আমিও একদিন ছাত্র ছিলাম।অতিতে ফিরে গেলে মনে এক স্মৃতিময় সুখ জাগে। মনে জাগে প্রধান শিক্ষক,আমান স্যারের শিক্ষা কৌশল। মনে পড়ে মমতাজ স্যারের নম্র হাসি আর তীব্র শাসন।সৃস্মির গায়ে গাচুলি দেয় অন্য সব প্রিয় শিক্ষকদের সুখময় শাসন।
খুব মনে পড়ে সাজা গুলো।কিঞ্চিৎ অপরাধে বেঞ্চের নিচে মাথা ঢুকিয়ে রাখা,তপ্ত রৌদ্রে সূর্যমুখী হয়ে দাড়িয়ে থাকা,কাচা কঞ্চির নির্মম বেত্রাঘাত, ছেলেদের দিয়ে মেয়েদের আর মেয়েদের দিয়ে ছেলেদের কান মোলানো আর কান ধরে দাড়িয়ে থাকা সে তো নিত্য দিনের ব্যাপার।সত্যিকার মানুষ হিসাবে গড়ে তুলবার সুনিপূণ কৌশল গুলি হৃদয়কে আজও দাগা দেয়
শাসন আর সোহাগ যে সন্মান সৃষ্টিতে কিভাবে মানুষকে সহায়তা করে আজ তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পারছি। তাদের সেই শাসন মাখা সোহাগ গুলি আজও নাড়া দেয়।আজও স্যারদের দেখলে মনে হৃদয়ে ভয়ের, সন্মানের অনুভূতি জন্ম নেয়।মনে জাগে স্যারের সাথে কথা বলতে কোন ভুল বাক্যপ্রয়োগ হচ্ছে কি না
আজও স্যারদের দেখলে বিবেক তাড়িত হয় সাবধান হয়ে দাড়িয়েছি কি না।সালাম টা দৃষ্টিগোচরের সাথে সাথে পৌঁছাতে পেরেছি কি না।
কি দারুন আর্কষণ তৈরী করেছে সেকালে শিক্ষা আদর্শ। আমি ছাড়াও সেকালের অনেক ছাত্রকে স্যারদের দেখে আচুকাচু করতে দেখে আমার মনে অনুভূতি হয় যে, সেকালের স্যারেরা শাসনের অন্তরালে কি যে আদর্শ সৃষ্টি করেছে তা অকল্পনীয়
স্যারেরা কাচা কঞ্চির বেত্রাঘাতে রক্ত ঝড়িয়ে যে স্যার কিংবা বড়দের সামনে উচ্চবাচ্য কথা বলার জীবাণু বের করেছিল,সে দিন দুষ্ট দৃষ্টি পুণ্য হলেও আজ যে তার অর্থ বুঝেছি তাতে কোন সন্দেহ নাই।
হৃদয়ের দরজা ভেঙে মন বারবার ছুটে যেতে চাই সেকালের স্যারদের দরজায়,স্যালুট জানাতে জানাতে চাই স্যারদের হাতের কাঁচা কঞ্চিটিকে, জানাতে চাই শিক্ষার অন্তরালে শাসনটিকে
স্যারেরা শ্রেণী কক্ষে ঢুকবার সময় আমাদের ভয়ের দৃশ্যটি, এই আসছে অংক স্যার এই আসছে ইংরেজি স্যার, নিঃশব্দ হয়ে যেতাম সকল ছাত্র ছাত্রী। পড়া না হওয়ার ভয়টুকু ভিতরে থাকলে তো আর কথায় নেই।স্কুলে অনুপস্থিত হলে সাজার ধরন হতো অভিনব নিয়মে
প্রাথমিক শিক্ষা পেড়িয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা জীবনে পাড়ি দিলে সাজা লজ্জা পাওয়ার ধরনও বদলে যায়।এই ধরুন ইটের খোয়ায় হাঁটু পেড়িয়ে রৌদ্র অভিমুখে নীল ডাউন করে রাখা,বৃত্তকারে একে অপরের কান ধরে উঠ বস করানো ছাড়াও কাচাকঞ্চির তীব্র আঘাত সেতো সচরাচর
প্রাথমিক মাধ্যমিক শিক্ষা সৌখিন শাসনের অন্তরালে ছোটখাট দু একটি স্যারদের দৃষ্টির বাইরে বন্ধু মহলে কিল ঘুসি হলেও স্যারদের দরবারে পৌচ্ছানো ছিল দূর্লভ।ভুল ক্রমে পৌচ্ছালোও হাতের চামড়া ফেটে আসামী বাদী দু পক্ষরেও রক্ত ঝড়ার সম্ভাবনা ছিল তাতে কোন সন্দেহ ছিল না
শিক্ষা জীবন পেড়িয়ে যখন কর্ম জীবনে পাড়ি দিলাম,তাও আবার শিক্ষকতা পেশায়। তখন মনে হলো একটি প্রবাদ
শিক্ষকের গরম,দোকানদারের নরম,আর মেয়েদের শরম
এই উপাদানের ঘাটতি ঘটলে পেশা যে একেবারে রসাতলে যায় বর্তমান শিক্ষাঙ্গন প্রবেশ করলো বোধকরি এর উপলব্ধি করা সম্ভব
বর্তমান বিদ্যাপিঠে বিদ্যার মহিমা যুগের সাথে যুদ্ধ করে কালের ট্রেনর যাত্রী হলেও সন্মানের মহিমা যে টেনের চাকায় পিষ্ট হচ্ছে তা স্যার আর ছাত্রের ঘেষাঁঘেসি, মেশামেসি আর ঠেসাঠেসি অনুমেয়
সরকার অধিভুক্ত কতিপয় বিদ্যাপিঠ নিয়মের শৃঙ্খলায় আবদ্ধ হলেও বহিরাগত বিদ্যাপিঠ সমুহে শিক্ষার্থীরা মুক্ত বিহঙ্গের মত স্বেচ্ছাচারী নীতিতে চলাফেরা করার দৃশ্যটি হৃদয় বিদারক
ক্লাস রুমে ডুকেও তারা মনের আনন্দে নিজের বাক্যলাপে ব্যস্ত।শিক্ষক মহোদয় শিক্ষার বান ছুড়বার চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীরা শোভনীয় নয়।মাঝে মাঝে উচ্চস্বরে ধমক দিলে হেন সময় শান্ত থেকে পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়।এমনি করে সময় অতিবাহিত হলে ঘন্টা বেজে যায়।তার মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী বুঝবার চেষ্টা করলেও মনের জায়গায় পুরোটা ঠাঁই দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না
শিক্ষা আর দীক্ষা, শিক্ষক আর শিক্ষার্থী ক্লাস রুমে যে সতীনের রুপে অবর্তীর্ণ, তাতে এই মনে হয় বাড়ীর কর্তা বড়ই নিরুপায়। কাউকেই শাসন দ্বারা বধ করবে অতপর পরক্ষণে স্নেহের যাদুই অবশ করবে এই সময় বিন্দু পরিমান অবশিষ্ট থাকে না।
তার মধ্যেই শিক্ষার্থী সংকোচহীন ভাবেই প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠে। বলা বাহুল্য তাদের দ্বারা সম্ভব না হলে বহিরাগত অছাত্র নামীয় ছাত্ররা অতিথির বেশে মুহূর্তে মধ্যে এসে শাসকের রুপ ধারণ করে
মাঝে-মধ্যে শিক্ষক মহোদয় শিক্ষার্থী কর্তৃক অভিযুক্ত হয়ে আসামীর কাঠগড়ায় চোর্যরুপে দাড়িয়ে নিজের শিক্ষকতা পেশার প্রাণশক্তি হারিয়ে ফেলে।
অপরাধ যদি গুরুতর হয় সে ভিন্ন কথা।লঘু অপরাধ কর্তৃক, ধরুন ঃগালে থাপ্পর, হাতে বেত,দাড়িয়ে রাখা, পরীক্ষায় স্থান পরিবর্তন করে দেওয়া, কান মোলিয়ে দেওয়া, পরীক্ষায় ফেল হওয়া ইত্যাদি। অধুনা শিক্ষানিবাসে শিক্ষার্থীদের সামাজিক কিংবা আত্মা মর্যাদায় নিদারুণ বাঁধে
তাই শিক্ষার্থীরা কখনো গোপনে কখনো প্রকাশ্যে অপমানের প্রতিশোধে জ্বলে। কখনো কখনো অভিভাবক কিংবা অতিথি বন্ধুদের উপস্থিতি তাদের প্রতিবাদকে সজিব করে তুলে
শিক্ষক মহোদয় গাছ বপনের প্রাক্কালে গাছের গোড়ায় শাসন নামের লাঠিটি গাছকে সোজা কারার জন্য অলংকিত করতে না পেরে গাছ যে আঁকা বাঁকা আচরনে বড় হচ্ছে, সে কারনে আশার ফসলে ইউ পোকার আবির্ভাব ঘটছে তাতে সন্দেহ নাই
আজকাল শিক্ষক আর শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ের বাহিরেও তেমন চলাফেরায় আদর্শ প্রতিফলন পরিলক্ষিত হয় না।কেমন জানি নতুন সমাজ নতুন জাতি আর নতুন আদর্শ, নতুন ভাবে মানে চলতে পুরনো কে অনায়াসে বাধ্য করে ফেলেছে।
বাধ্য করার ফসল যদি গতানুগতিক সফলতার বাইরে সুস্থ সামাজিকতার আবির্ভাব ঘটাতো তা আলেদা কথা।তা তো নয়ই বরং সভ্যতা, সংস্কৃতি, আচার আচরণ পচনের সীমানা ঘেসেছে কি না তা ভাববার ব্যাপার
বর্তমানে শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত কিংবা তাদের কমল হৃদয়ে কোন প্রকার আঘাত ছাড়াই শিক্ষা জীবনকে আদর্শিক ছাত্র রুপে পরিনত করার সরকার কর্তৃক আদিষ্ট হওয়ায় অভিভাবক মহোদয় সেই তরীতে পাড়ি জমিয়েছেন। তাই আর সোনার ছেলে কিংবা মেয়েদের শাসন নামক শব্দটি মোটেই মেনে নিতে নারাজ। তবে যৎসামান্য অভিভাবক যে শাসন নামক শব্দটি শিক্ষার ক্ষেত্রে অপরিহার্য মনে করেন,তা অস্বীকার করার মোটেই উপায় নেই
জায়গায় শিক্ষক মহোদয় বড়ই নিরুপায়। ক্লাসে নয় জন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে সহনশীল হয়ে এক জনের প্রতি কঠোর হওয়া বড়ই দুঃসাধ্য। শাসন ছাড়া সোহাগ আর সোহাগ ছাড়া শাসন একেবারে যে বিফল তা অভিভাবক মহোদয় অবহিত না হলেও শিক্ষক মহোদয় যে মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছে তা বুঝতে বিন্দু মাত্র অবশিষ্ট নেই
সরকার বাহাদুর শিক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মসূচি
প্রণয়ন করে শিক্ষা পরিবারকে আলোকিত করার সৎচ্ছা নিদারুন প্রশংসনীয়।
এই ধরুন, শিক্ষককে প্রকৃত গুনগত মানের শিক্ষক বানাতে বিভিন্ন কর্মশালা, প্রশিক্ষণ, প্রত্যক্ষ,পরোক্ষ নানা ভাবে উদ্দ্যোগ গ্রহণ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
তবে প্রশিক্ষণ যত মজবুতই হউক বিদ্যালয় তদারকি বড়ই নিরস।তাই অতি উৎসাহী আমরা কিছু শিক্ষক অর্থ উপার্জনের নির্মিতে একই টিকিটে ডবল প্রোগ্রাম পেত বেমালুম মত্ত
শিক্ষকতা পেশায় উপস্থিত হয়ে আমার উপলব্ধি হয়েছে পেশাগত শিক্ষক হওয়া যত সহজ শিক্ষক হওয়া ততো সহজ নয়।পেশাগত শিক্ষক হয়ে আমরা মাস ফুরাবার অপেক্ষায় থাকি আর শিক্ষক হতে হলে অনেক মেধা, শ্রম, জ্ঞান নৈতিকতা অর্জন করতে হয়।
যা ছাত্র, অভিভাবক সমাজের হৃদয়ে স্থান দখল করতে হয়।তাই প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কতটুকু প্রয়োগ হচ্ছে তা নিরীক্ষা করা প্রয়োজন
সেই সাথে শিক্ষক মহোদয়, সোনাকে অলংকার রুপে সৃষ্টি করতে যত টুকু অগ্নিয় তাপ শক্তি প্রয়োগ প্রয়োজন তা দেওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।কেবল হাত হাত দোলায় আর মুখের মিষ্টি বুলি ছুড়ে সোনাকে অলংকার করার দুঃস্বপ্ন পরিহার করতে হবে
সহজ পদ্ধতি সোহাগ দ্বারা সোনার সন্তানদের মানুষ বানানো সহজ,তবে গুনের প্রদীপ জ্বালানো মোটেই সহজ নয়।যেমন একটি পরিপূর্ণ নতুন মটর গাড়ী তেলবিহীন অচল,তেমনি জ্ঞানের তেল ছাড়া একজন পরিপূর্ণ মানুষও সমাজে অচল।
বর্তমানে জ্ঞানের তেল ছাড়া মানুষ তৈরির কারখানা গুলিতে মানুষ উৎপাদন হচ্ছে বলেই সংবাদ মাধ্যম গুলিতে অপরাধের সংবাদ প্রতিনিয়ত মানুষের হৃদয়কে ক্ষতবিক্ষত করছে
উদাহরণ এই রুপ এসে দাড়ায়" ঐশী যার আদরের অমূর্ত লালনে মানুষ রুপে বড় হল,অবশেষে সেই সর্বনাশের কারন হলো।এছাড়া শাসন হীন বিদ্যানিবাশ গুলো আজ শিক্ষার্থীদের অবাধ চলাফেরার কারনে বয়ঃসন্ধি কালেই অভিভাবকদের পুলিশি দায়িত্ব পালন করতে হয়।
এতটুকু সজাগ দৃষ্টির আড়াল হলে সোনার সন্তান আর সোনার থাকে না।সেচ্ছাচারী মন হয়ে উঠে মদপায়ী,ছেলে হলে হয় কন্যাচোরা আর মেয়ে হলে পুত্রচোর।ফলে ক্রমাগত দূর্বিত্তায়ন বেড়ে সমাজে অশুভ রোগ আবির্ভাব ঘটে।
যেমন মরন রোগ, বাল্য বিবাহ, ইফটিজিং, নেশাগ্রস্ত, ছেলে দ্বারা পিতা খুন মেয়ে দ্বারা মাতা খুন, প্রেমিক দ্বারা প্রেমিকা খুন,প্রেমিকা দ্বারা প্রেমিক খুন,গুম,এলোপাথাড়ি ধর্ষণ,ছাড়াও নানা বিদ অপরাধের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে
মুলত আদর্শিক মানুষ তৈরি করতে শিক্ষক মানষিকতা হারায় বলে, অপরাধ অপরাধী জন্মলাভ করে মানুষ তৈরির কারখানা গুলোতে।পরবর্তিকালে ছড়িয়ে পড়ে সমাজ, জাতি দেশের সর্বত্রে।আর এই কারখানা যতদিন পর্যন্ত শাসন আর সোহাগের দ্বারা পরিচালিত হওয়ার যৌবন ফিরে না পায় ততোদিন পর্যন্ত সঠিক উৎপাদনে সক্ষমতা ফিরে আসবে বলে আশা করা অসম্ভব
তাই কিছু সাফল্য অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই নিতে হবে বোধ করি।ফিরে আসতে হবে,শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ক্ষমতা, অভিভাবক মাত্রাতিরিক্ত স্নেহবোধ,শিক্ষক লাঞ্চনা,তিরস্কার থেকে। ফিরে আসতে হবে সন্মানবোধে
আবার একটি সংগ্রামে সকলকে একত্রিত হবে-
আমায় সৃষ্টিতে আমার বিদ্যালয়,
শাসন-স্নেহে জীবন হবে জয়।
পিতা মাতা জন্মদাতা কর্ম গড়ে বিদ্যালয়,
শিক্ষক মোদের শিক্ষাগুরু তাদের হাতে বিশ্বজয়



Monday, February 18, 2019

সুখে থাকো তুমি

______ সুখে থাকো তুমি ______
          এম এ মাসুদ রানা

      তুমি আমাকে ভুলে যাও
  অন্য কারো বুকে যদি খুজে পাও।
 আমার মনের শত ব্যাথা সহে নিবো,
তোমায় বিদায় দিবো ব্যাথা রেখে বুকে।
     আমার হৃদয়ের ঝরা স্বপ্ন পাতা
          নাই'বা হলো রঙ্গিন।
নিঝুম রাতে থাকলাম না হয় একলা
নাই'বা হোক তোমার সাথে দেখা।
 আমি সর্বদায় প্রার্থনা করি তাই
          মহান বিধাতার সমীপে,
            তোমার জীবন হোক
               ফুলে ফুলে ভরা!

Saturday, February 16, 2019

মন

____________ মন ____________
_____  এম এ মাসুদ রানা ______

কেন আবার ফিরে ফিরে চাও
 আমার মনের সীমানা ছুয়ে যায়
 এই মনে প্রানে প্রবল ঝড় তুলে
 মিষ্টি মধুর সূরে গীত গাও!

কেন তুমি ডাকো আমায় বারে বার
 আমার মনের আকাশ ছুয়ে দাও
নিশাচরের ডানায় ডানায়,
 রঙধনুর সাত রঙ ছড়িয়ে যাও!

কেন তুমি মনে প্লাবন নাও
স্বপ্নভরা মনে ছুয়ে যায় বারে বার
প্লাবনে ভাবনা ভাবি সারাক্ষণ
 তুমি কেন এমন ঢেউ তোলে যাও!

ইমান

ঈমান
মো: মাসুদ রানা

আল্লাহ মোদের প্রভু  ভাইরে
আল্লাহ মোদের প্রভু,
সেই  নামেরই জিকির মোরা
ভূলবো নাকো কভু।
টাকা পয়সার লেখে মোরা
ঈমান নাকো ছাড়বো,
আল্লাহ উপর ঈমান যখন
আনছি আরো আনবো।

Tuesday, February 12, 2019

নামাজ

#####নামাজ#####

মাগো আমি পড়বো নামাজ 
উঠবো সকাল বেলা,
করবো না আর মোয়াজ্জিনের
অ্যান অবহেলা।
শীতের দাপটে যতই থাকুক
নেই পরওয়া আর,
অ্যান শুনে শয্যা ছেড়ে
হবে ঘরেরকথা বার।

প্রতিশ্রুতি ডে

.                   প্রতিশ্রুতি ডে
______ এম এ মাসুদ রানা ________

             যদি আস্থাটা লিখে দিই
                    তোমার নামে
               যদি স্বপ্নটা ভরে দিই
                    নীল খামে...!

              যদি প্রেমের দেবতা হই
                    অনাগত দিনে
                সখি মনটা দিবে কি
                    মনের দামে...?

Sunday, February 10, 2019

স্বপ্ন কন্যা

______স্বপ্ন কন্যা_____
__এম এ মাসুদ রানা__

তুমি স্বপ্নে আসো
তুমি স্বপ্নে হাসো,
স্বপ্ন ভেঙ্গে গেলে
তুমি কোথায় থাকো।

শুধুই কি তুমি
স্বপ্ন হয়ে থাকো?
আর স্বপ্নতেই
বাসা বাঁধ।

স্বপ্ন ছেড়ে বাস্তবে কি
কখনো আসো?
বাস্তবে কি তুমি
দূরে দূরে থাকো?

Saturday, February 9, 2019

স্বপ্ননীল

~~~~ স্বপ্ননীল ~~~~
~~ এম এ মাসুদ রানা ~~

স্বপ্ননীল  সুখ নিয়ে
 মন হারিয়ে যায়,
কোন এক অজানা আকাশে
 মনের রং ছড়িয়ে যায়
কোন এক সুদূরে।

 তাহলে সুখের হাসিতে
হেসে  নিও ওগো তুমি।
সকালে ঝড়া শিশিরে
আসতে মন চাই
আসিও কোন সময়ে,
রাখিবো তোমায় যত্নে!

Thursday, February 7, 2019

মায়ের ভাষা

০০০০০  মায়ের ভাষা  ০০০০০
    মোঃ জুলফিকার আলী জিল্লুর

      মায়ের ভাষা তোমায় পেতে
           রক্তে গোসল করি
       তোমার জন্য রাজপথে ঐ
            জীবন বাজী ধরি।

          বর্ণ মালা তুমি তো গো
            আমার মায়ের ভাষা
       তোমায় নিয়ে জড়িয়ে আছে
               স্বপ্ন ভরা আশা।

          ভিনদেশীরাই মেতে ছিল
               স্বপ্ন চুরির নেশায়
         সালাম রফিক জীবন দিল
              প্রিয় বাংলা ভাষায়।

          মুখের ভাষা নেবে কেরে
             এমন বাজি ধরে
          পশ্চিমাদের ঘৃণার নেশায়
             জীবন দিল ছেড়ে।

      হারাতে  এসে হেরে গেল সেই
             শোষক চোষক দল
        মায়ের ভাষা পেতে কি কেউ
               হতে চাই দুর্বল।

      শুকনো রুধির ঘ্রাণ নিতে ঐ
            ছুটছি শহীদ মিনার
   জব্বার বরকত আজো হাসে সেই
           মুক্ত সুখে বাংলার।

         বিশ্ব মাঝে সকাল সাঁঝে
           হচ্ছে প্রভাত ফেরী
     সালাম রফিক মরেনি আজো
             তাদের গান ধরি।

একটি গোলাপ ফুল

একটি গোলাপ ফুল
 এম এ মাসুদ রানা
__________________
__________________
সাহারাতে ফুটে ছিল,
একটি গোলাপ ফুল ।
সেই ফুলেরই সুবাস নিলেন
সারা জাহানে ছড়িয়ে দিলেন
আমার মোহাম্মদ রাসুল ।

যে পেয়েছে সে ফুলের ঘ্রান
সে হয়েছে খাঁটি মুসিলমান
খোদার প্রাণেরই বুল বুল ।

সেই ফুলেরই ঘ্রাণ যে ঘুরে
আমার প্রাণে এসেছে উড়ে
সদা আমি যে হই আকুল ।

সেই ফুলেরই সৌরভ নিয়ে
মোর দেহ মনে ছড়িয়ে দিয়ে
আমি হব বেহেস্তেরই গুল ।

অনন্ত প্রেম

 
 
       অনন্ত প্রেম
 এম এ মাসুদ রানা

    সুখ পাও যদি তুমি 
      দু"হাত পেতে নাও!
হৃদয় গহীনের ভালবাসার
      সুরভী ছুয়ে দাও।

    মনে যদি টানে তোর 
    ছুটে যায় বারে বার
   বুঝে নিও সেই খানে
   কিছু কিছু আছে আবার।

দাঁড়িয়ে আছে, অনন্ত প্রেম
 তুলে নিতে দোষ কি তাতে,
         মনে ছুয়ে যায়। 

      তোমার চাঁদের আবীরে
    যদি গভীর রাতে এসে
দ্বীপ শিখা জ্বলায় তোর মনে।

      কাছে টেনে নিও তুমি
দেখবে  কতো ঝরা পাতার স্বপ্ন
          যদি হয় ক্ষনিকে,
 অনন্তকাল থাকবে তোর মনে।

Sunday, February 3, 2019

প্রেম তো মরে না


প্রেম তো মরে না

মন ভাঙে, প্রেমাস্পদ দূরে সরে যায়। কিন্তু প্রেম তো মরে না। মনের গহিন কোণে, যাকে আমরা বলি অবচেতন, সেখানে সুপ্ত অবস্থায় থেকে যায়।


ধরুন, হঠাৎ দেখা হয়ে গেল রেলগাড়ির কামরায় বা বাসস্ট্যান্ডে এমনকি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের সামনেও হতে পারে। অদ্ভুদ দশ বছর পর। চেহারায়, আদলে পরিবর্তন ঘটেছে অনেক। প্রাণবস্তু চঞ্চল ছিপছিপে তরুণীটি এখন কিছুটা পৃথুলা, পূর্ণবয়স্ক নারী। সংসার-সন্তান সামলে পরিণত জীবনের অভিজ্ঞতার রেখাগুলোকে আড়াল করতে পারেনি প্রসাধনের প্রলেপ। কিন্তু এই নারীকে না চেনা তো অসম্ভব। চমকে উঠেছেন আপনি। ভেবেছেন দ্রুত নিজেকে আড়াল করবেন কিনা। কিন্তু ততক্ষণে চোখাচোখি হয়ে গেছে। আর আপনাকে অবাক করে দিতে হাত তুলে ডাকল। খুব সহজ-স্বাভাবিক গলায় জানতে চাইল, “কেমন আছ?” “ভালো” তুমি? এরপর পরস্পরের সংসার সন্তানের কুশলাদি বিনিময় হলো। আপনার মনে তখন স্মৃতির তোলপাড়। তাঁর মনের অবস্থা অবশ্য বোঝার উপায় নেই। হঠাৎ রবীন্দ্রনাথের কবিতার নারী হয়েইে যেন সে জানতে চাইল, ‘আমাদের গেছে যেদিন একেবাইের কি গেছে?’ কী উত্তর দেবেন আপনি, সেই রবীন্দ্রনাথের কবিতা ধার করেই বললেন, ‘রাতের সব তারাই আছে দিনের আলোর গভীরে।’ দশ বছর পর দশ মিনিটের এই আলাপের পর আবার দুজনার দুটি পথ দু দিকে গেল বেঁকে। শুধু একটি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল বুক ফুঁড়ে। কত কথা ভিড় করে আসে মনে। চলচ্চিত্রের ফ্লাশব্যাকের মতো অনর্গল ছবির পর ছবি ভেসে ওঠে। টিকিট হাতে সিনেমা হলের সামনে অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকার দিন, লাইব্রেরির বারান্দায় বসে দুজনের ঘনিষ্ঠ মুহুর্তগুলো কিংবা নদীর কিনারে বসে দিগন্তলাল সুযাস্তের দিকে তাকিয়ে রঙিন ভবিষ্যতের স্বপ্ন বোনে........।

এর আগে কখনো-সখনো ওর কথা মনে পড়েনি এমন তোন নয়। কিন্তু আজ সে রাতের মতো স্মৃতিরা যেমন করে ছুটে আসছে, আগে তো এ রকম হয়নি।


এ রকম আপনার আমার সবার হয়। মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, এর নাম ‘রিট্রাইভাল কিউ’। একটি সূত্র আপনাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে স্মৃতির কাছে। যেমন একটি চাবি হয়তো খুঁজে পাচ্ছিলেন না দীর্ঘদিন। হঠাৎ করে একটা বাক্স দেখে স্মৃতিটা উসকে উঠল, আরে এই বাক্সের মধ্যেই তো ছিল চাবিটা। অর্থাৎ বাক্সটি ছিল সূত্র। কেন ভেঙে যায় প্রেম? কেন দূরে সরে যাওয়া? সাধারণভাবে প্রেমের কয়েকটি শর্ত আছে। 

কাছাকাছি থাকা, দায়বদ্ধতা ও বিশ্বাস। এর কোনো একটির অনুপস্থিতি বা ঘাটতি থেকে ভাঙন ধরে। 
কাছাকাছি থাকার ব্যাপারটিকে অবহেলা করা যায় না। বলা হয়, ছোট ছোট বিচ্ছেদ প্রেমকে গভীর করে দীর্ঘ বিচ্ছেদ প্রেমের মৃত্যু ঘটায়। দীর্ঘকাল প্রেমাস্পদের নৈকট্য বঞ্চিত হলে প্রেমের করুণ পরিণতি ঘটতে পারে। 

হালকা চালে একটা সম্পর্ক গড়ে উঠল। কিছুদিন একজনের সঙ্গ উপভোগ করলাম, কিন্তু কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেই--- এ রকম সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় না। 

বিশ্বাস হচ্ছে যেকোনো সম্পর্কের মূল ভিত্তি। সন্দেহ ও অবিশ্বাসের কারণে সম্পর্কের সুতোটি ছিঁড়ে যায়। এসব ছাড়া অনেক সময় বাহ্যিক কারণেও প্রেমের সমাপ্তি ঘটতে পারে। অভিভাবকদের জোরজবরদস্তি বা সামাজিক রীতির তীব্র ভ্রুকুটিও প্রেমিক যুগলকে পৃথক করতে পারে। পরস্পরের কাছ থেকে।  মন ভাঙে, প্রেমাস্পদ দূরে সরে যায়। কিন্তু প্রেম তো মরে না। মনের গহিন কোণে, যাকে আমরা বলি অবচেতন, সেখানে সুপ্ত অবস্থায় থেকে যায়। ‘রিট্রাইভাল কিউ’র উসকানি পেলে আবার জেগে ওঠে সেই প্রেমের স্মৃতি। তবে সেই স্মৃতি আঁকড়ে ধরেই মানুষ বেঁচে থাকে, তা-ও কিন্তু নয়। আবেগের কেন্দ্র থাকে মস্তিস্কে। নতুন আবেগম এসে ঢেকে দেয় পুরোনো আবেগকে। ঢেকে দেয় বলে পুরোনো প্রেমের কথা ভুলে সুখের দাম্পত্য জীবন গড়ে তুলতে পারে মানুষ। এখানেও প্রেম আছে। আছে স্বামী বা স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততা, সন্তানের প্রতি ভালোবাসা ও বিশ্বস্ততা, সন্ত্রানের প্রতি বাৎসল্য আর সংসার ঘিরে আশা ও আনন্দ। 

অনেকে স্বামী বা স্ত্রীকে তাঁর পূর্ব প্রেমের কথা জানাতে চাই না। কারণ, সেটা সহজে গ্রহণ করতে পারেন না স্বামী বা স্ত্রী। কেন তাঁরা এ কথা বোঝার চেষ্টা করেন না যে, মায়ের কোল থেকেই পড়েই তো কেউ স্বামী বা স্ত্রীর কোলে এসে পড়েন না। মধ্যখানে এত বড় জীবন ঘটনাবিহীন থাকবে এট কী করে সম্ভব? তবে বুদ্ধিমানেরা বলেন, পুরোনো কাসুন্দি না ঘেটেই যদি দাম্পত্য সম্পর্ক ও সংসার নিরাপদ থাকে, তাহালে না জানানোই ভালো। কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসে!

শরৎচন্দ্রের উপন্যাস দেবদাস পড়তে ভালো, সঞ্চয়লীলা বনশালীর চলচ্চিত্র দেবদাসও দেখতে মন্দ নয়। কিন্তু প্রেমের ব্যর্থতায় বাঈজি বাড়ি ঘুরে আসা বা মাতাল হয়ে ‘পারু পারু’ বলে হাহাকারে পার্বতীর বাড়ির সামনে এসে জীবন বির্সজন আদর্শ প্রেমিকের জীবন হতে পারে না। এ ধরনে চরিত্র মানুষের মনে সাময়িক করুণা জাগায়, সমীহ জাগায় না। এটা মনুষ্যত্বের অবমাননা ছাড়া আর কিছুই নয়। মনোচিকিৎসক আহমেদ হেলালের পরামর্শ, ইগো-ডিফেন্স তৈরি করতে হবে। ব্যর্থতা, প্রতারণার বোধ থেকে নিজেকে আঘাত করা, নিজের ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করা যেমন পকৃত প্রেমিকের কাজ হতে পারে না, তেমনি প্রেমাস্পদের সুখের জীবন দেখে ঈর্ষাপরায়ন বা প্রতিহিংসাপ্রবণ হওয়াটাও দৃঢ় ব্যক্তিত্বের পরিচয় প্রকাশ করে না।  জীবনকে নদীর সঙ্গে যে তুলনা করেন কবি-লেখকেরা, তা এখন ক্লিশে মনে হতে পারে। কিন্তু এই তুলনার মধ্যে যুক্তি আছে। নদীতে ছোট-বড় ঢেউ ওঠে, তা মিলিয়েও যায়। কিন্তু যে ঢেউ নদীর পার ভাঙে, সেই আঘাত বা ক্ষতাটাই দীর্ঘস্থায়ী হয়। 

তবে সবচেয়ে ভালো হয় ‘প্রাক্তন’-এর সঙ্গে সহজ-সুন্দর একটি সম্পর্ক বজায় রাখতে পারলে। আগের মতো আবেগের তীব্রতা নেই, কিন্তু বন্ধুত্বের মাধুর্য আছে। পরস্পরের প্রতি অভিযোগ-অভিমান-ক্ষোভ নেই, নতুন কোনো চাওয়া-পাওয়া নেই, আছে ক্ষমা ও মমতা।  

Saturday, February 2, 2019

অহংকার

______ অহংকার
___ এম এ মাসুদ রানা

কত হাক কত ডাক
চেঁচামিচি করে দিনরাত,
মনের মাঝে পুশে রাখে
যাতনা বাসনা যারযার
কি করে বড় হবো?
এই ভাবনা যে করি অহর্নিশ।

কিছু মানুষ ভাবেনা নিজে
নিজের ভাবেনার কথা তার
অর্থ ধন সম্পদ চাই না গরিতে
শূন্য ঘর শূন্য ভাবে রহিতে চাই।

অর্থ প্রাচুর্য নিয়ে করেতেছে
আপন মনে গড়িবার সাধ
চারি দিকে করে ডাকাডাকি
কতই নামের হাঁক।

ক্ষুধার জালায় পরে থাকে
কান্না মেশানো কতই না মুখ
করে না তো তাদের খবর
আসে না তো কাছে যাচিতে
আছে কি তাদের কোন সাধ?

চলে যেতে হবে অচিন দেশে
সবে কিছু ফেলে রেখে,
কেন যে পরে আছি মিছে
অর্থ আর অহংকারে।

Thursday, January 31, 2019

ভিন্ন সাঁজে

_______  ভিন্ন সাঁজে
___ এম এ মাসুদ রানা

আমি আমার মতো করে,
আজ সেঁজেছি অনুপম সাঁজে
আমার কাছে ভীষণ দামী পোশাকে
মনের মাঝে লেগেছে এক বিশেষ অনুভুতি।

কতো জনেই তো কতভাবে সাঁজে
নিত্য নতুন ভিন্ন রঙের পোশাকে ।
যেভাবে মানায় তাঁকে তাঁর মনের মতো করে
সেই সাঁজে থাকেনা তো কারো কোন বাঁধা।

তাই আমিও আজ সবার মাঝে সেঁজেছি
এক ভীষণ রঙে ভিন্ন সাঁজে।
আমিও চাইনি সাঁজতে ইচ্ছে করে
আমার সাঁজানোর পিছনে আছে কিছু না কিছু।

যেমন কেউ সাঁজেনা ইচ্ছে করে
তবুও সাঁজে নিত্য নতুন রূপে।
আমি সেঁজেছি ভীষণ ভাবে
কোন কিছু না কিছু কারণে।

কষ্ঠের মাঝে সাঁজে তো সবাই
তাঁদের মনের মতো করে।
আমারও অনেক কষ্টের মাঝে
সেঁজেছি আপন মনের মতো ক‍রে ।

সবার মাঝে আমি নাই বা হলাম ভীষণ দামী
কিন্তু সেঁজেছি যে এক ভিন্ন সাঁজে,
কোন কো এক কারণে অকারণে।

Tuesday, January 29, 2019

আমার ভাবনা

____   আমার ভাবনা ____
___ এম এ মাসুদ রানা ____

সখী, ভাবনা কাহারে বলে।
সখী, যাতনা কাহারে বলে ।
সখী, সাধনা কাহারে বলে।

তোমরা যে বলো দিবা- নিশি
‘ভালোবাসা’ ‘ভালোবাসা’
সখী, এটা আবার কী?
সখী, ভালোবাসা কারে কয় !
সে কি শুধুই যাতনা আর যাতনা?
সে কি শুধুই দু"চোখের জল ?
সে কি শুধুই  দীর্ঘ শ্বাস ?
মানব  তব কেন ছুটে মিছে আশায়,
এমন সাধনা ও বাসনায়।

আমার চোখে তো সবই শোভন,
সকলই নবীন, সকলই প্রবীণ,
সুনীল গগন, শ্যামল শস্য,
পূর্ণিমা জোছনা, কুসুম কলি
সবই আমার মতো ভাবি।
তারা শুধুই হাসে, শুধুই গায়,
হাসিয়া খেলিয়া মরিতে চায়—
না জানে বেদন, না জানে রোদন,
না জানে সাধের যাতনা যত ।

ফুল সে হাসিতে হাসিতে ফোঁটে
আবার হাসিতে হাসিতে ঝরে পরে।
জোছনা হাসিয়া হাসিয়া ধরনীতে আসে,
জোছনা আবার হাসিয়া মিলায়া যায়।
সাগর তো হাসিতে হাসিতে চলে,
হঠাৎ কেন গর্জনে ফেঁপে উঠে দুই কূল।

Sunday, January 27, 2019

নীরব মানবতা

_____ নীরব মানবতা
___ এম এ মাসুদ রানা

আমি এই ধরণীতলে কে
হারিয়ে যাই ক্ষণে ক্ষণ
সীমাহীন কতই যাতনার তলে!

কাত্তুর সুরে সংগীত ভেসে আসে ;
মোর হৃদয়হীনা হৃদয়ের পথে
পূর্ব  দিগন্তের সূর্যটা হাসতে হাসতে উঠে!

দিবসের প্রভাতের শুভ ক্ষণে
স্মৃতির দরজায় উঁকি দেয় সুরে বেসুরে
ঠিক তখনি ম্লান হয় আনন্দ মেলা।

স্বার্থের কারনে স্বার্থ বেচাকেনা করি
নিষ্ঠুর মানবতার মানব হয়ে
কতই না মায়াবতী রূপ ধারণ করি।

মনবতার আদালতে দিয়ে থাকি তালা;
পৃথিবীর স্বার্থ সিদ্ধ লাভের আশে --
মিথ্যে  অভিনয় ও আছে যত ছলাকলা।

যে সুধা পান অযোগ্য অযোগ্য জানেও
আবার সন্ধনী হয় সতত এ সংসারে --
 যার আছে কি কোনো কিঞ্চিত মূল্য?

আমার মানবতা কত যে বড়
দেখাতে চাই না ফিরে একবার
মানবতা আমরা বুঝেও না বুঝিও।

মানবের মানষ চেতনার এ বড় গুণ
থাকার কথা সবার মাঝে সর্বক্ষণ
জলন্ত দাবানল জ্বলায় সম শিখা!

মানবতায় হীনতা পোড়ায় না তবু ;
দগ্ধ করে না চেতনার অঙ্গীকার
তাইতো মানবতা আজ এতই  নীরব।

Friday, January 25, 2019

ফেলানি

°°°°°°°°°°°°° ফেলানি °°°°°°°°°°°
°°°°°°°°° এম এ মাসুদ রানা °°°°°°°°

তোমায় নিয়ে নতুন  লেখা লেখেনা আর কেউ,
তোমায় নিয়ে নতুন করে ভাবে না তো কেউ,
তোমার জন্য মমতা মহো দেখায় না তো কেউ,
তোমায় নিয়ে আবেগ ভরে ভাবনা ভাবে না তো কেউ।

সারা বঙ্গ বলেছিল, ঝুলোনি তুমি ঝুলেছে এই বঙ্গ,
তোমার রক্তে রাঙ্গায়নি তোমার শরীর, রাঙ্গিয়েছে এই বঙ্গ,
লিখেছিল অনেকে তোমার জন্য বিশেষ কিছু ছন্দ,
করেনি কেউ তোমায় গালাগালি আর মন্দ।

তোমার জন্য কেঁদেছিল সবে হাসেনি কোন প্রাণ
তোমার জন্য  করেছিল প্রতিবাদ, করেনি কেউ অপমান
তোমার জন্য কেঁদেছিল পূর্ববঙ্গ, চেয়েছিও সুবিচার
তোমার জন্য করেনি আপোষ পাইনি সুবিচার।

শুধু কাঁদেনি তোমার পিতা, কেঁদেছে গোটা বঙ্গ
কান্না দেখে সাথে ছিলো সবাই, ছিল না শুধু পশ্চিম বঙ্গ
বিচার চেয়ে চেয়ে পেয়েছি কি আর কত্তো গালমন্দ
কেঁদেছিল গোটা বিশ্ব শুধু কাঁদেনি পশ্চিম বঙ্গ।

Wednesday, January 23, 2019

প্রবাসীর কথা

____ প্রবাসীর কথা
__ এম এ মাসুদ রানা

তোমরা তো দেশে থাকো
তোমরাই হলে আসল সুখী।
আমরা প্রবাসে যারা
আমরা প্রবাসে থাকি
আমাদের নাই দিবানিশি!

তোমরা তো চাকুরী করো
হয়তোবা কেউ না কেউ !
বাড়ি ফিরে মাকে  বল
মা ভাত দিছো কই।

আমাদের নাই  বাড়ি
সবাই মিলেই একটি ঘর!
এইটা কার ঐটা কার
চেচাঁমেচি দিবানিশি  ভর!

তোমারা যাও লাইব্রেরিতে
করো অভিধান পাঠ!
আমাদের তো কিছু নেই
আছে শুধুই মায়ের দেওয়া
ছেঁড়া খেতা বালিশের থাক।

শেষ ইচ্ছা

_________ শেষ ইচ্ছা ___________
______ এম এ মাসুদ রানা ________

আমি হাসবো যতো আসুক বিরহব্যাথা
আমি কাঁদবো না কখনো,
আসুক যত জীবনে আধার।
বেদনা চেপে  রাখবো বুকের গভীরে
তোমার কোলে মাথা রেখে ভুলে যাবো বলে,
কয়েক ঘন্টা ঘুমাবো ক্লান্তি হবে অবসাদ।

এই প্রেম যে আমার অনন্তের অসীম
আমরণ চিত্তে রবে প্রজ্বলিত শিখা,
তোমার ভালোবাসা অর্জনের আশায়
কতো যে, হা-হা-কার মনে দোলা দেয় বারে বারে।

আর কতো জ্বলন্ত শিখাকে জ্বালাবে ,
আর ফিরিয়ে দিওনা তৃষ্ণাতূর হৃদয়কে।
তোমার কোলে দুঃখ ভুলি বলে
এই নিয়ে করেছো কত্তনা খেলা,
আর খেলা নই শেষ ঘুমাতে দাও
ঘুমাতে দাও শুধু একবার।

Monday, January 21, 2019

মনের কথা

 মনের কথা

এম এ মাসুদ রানা 


মন জ্বলে মনের প্রহরে
তুমি হীনা বল রইব কেমনে,
সেতো তুমি ভালো জানো
মন পুড়ে স্মৃতির সরণে।

তুমি বিনে আর নেই কেউ 
এই মন সাজার,
আমি তুমি হীনা কতোটা একা
দিবসেও আধার,
বহু পথে হেঁটে আসা ক্লান্ত মন 
নেই কেউ বাঁধার।

যতটা ভাবনা ভাবি তোমার 
ফিরে আসা নিয়ে,
সবে কিছু মিছে আশা হবে
মিছে ভরষা দিয়ে।

Monday, January 7, 2019

সিমনের যাত্রায়

________সিমনের যাত্রায়__________
__জুলফিকার আলী (জিল্লুর)__
বালিয়াডাঙ্গী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়

অনাদর, অনাদর এ কোন অনাদর ?
তোমার সর্বঙ্গের কচি মাখা প্রেম গুলি
     ছলকে দেখার দুলকে-দুলকে
                মুচকি হাঁসি।
ছোট-ছোট দুষ্ট আর মিষ্টি কথার
                ইন্দ্রোজালে
এ কোন অনাদর রেখে গেলে তুমি?

ভূলতে পারি না,  কিছুতেই ভুলতে পারি না
দীঘল পায়ের চপল চলা আর ছলকে দেখা।
       তুমি তো তোমার মত করে
সাজালে তোমার স্বর্গ রথের ভেলা-
                     কিন্তু
তোমার স্মৃতির যাদু আতকে তুলে
বাঁধ ভাঙ্গা ঝড়ে বেলা অবেলা।

তোমার বাল্যবেলার ধুলো মাখা অঙ্গখানি
        না জানি তৃষ্ণাতুর করে তুলে
                     অবশেষে
                ঢেউ ভাঙ্গা ঢেউ এ
       বুকের ভাঙ্গা পথ ভেঙ্গে ফেলে
কাফন পরা দাফনের একোন অনাদরে।

Tuesday, January 1, 2019

হে নতুন বর্ষ

______ হে নতুন বর্ষ _______
____ এম এ মাসুদ রানা _____

পা‌ল্টে যাবে বর্ষপুঞ্জির পাতা
কম‌বে সবার জীবনআয়ু!
কাঁদ‌ছে হৃদয় শোক বেদনায়
কাঁপ‌ছে আরও জীবনের স্নায়ু!

‌কি‌সের আবার নিউ ইয়ার
কি‌সের আবার হাসি খু‌শি!
আমলনামায় দেখ‌ছি কি?
আমরা সবাই কলুসিত ভু‌সি!

নতুন সূর্য আনুক ব‌য়ে
স্বর্ণমাখা দিবস নিয়ে!
এই করি প্রার্থনা মোরা
‌শোধ হ‌য়ে যাক জমাকৃত
আছে পাপের যত ঋণ!!

Wednesday, December 19, 2018

আমাদের স্বাধীনতা

আমাদের স্বাধীনতা 
এম এ মাসুদ রানা 

লাশ ঝুলে কাঁটাতারে
ঝুলছে আরও তড়িৎ তারে, 
মরা বাদুড়, ঝুলছে ঝুলুক
লাজ-শরমের যাই মরে। 
গর্ব করে বলবি মোরাস্বাধীনতার 
তরে জীবন দিয়েছি মোরা।

বুকের পরে চলছে গুলি
হচ্ছে খালি মায়ের কোল
উড়ছে খুলি এই বাংলার
মগেরমুলুক, চলুক বল।
লাজ-শরমের কী আছে যায়!
বুক ফুলিয়ে বল তোরা
মোদের দেশ স্বাধীন দেশ
ইতিহাসে আছে ভরা।

Tuesday, December 18, 2018

জীবন

________জীবন_________
____এম এ মাসুদ রানা_____

জীবন সংগ্রামে চলছি একা
নেই কোন সজনীর দেখা,
কি আসে, কি যায়?
কি পাবো আর না পাবো।

তা নিয়ে আর ভাবি না
জয় না পরাজয়,
হবে তো নিশ্চয়
পাবতো যাতনা না যন্ত্রণা।

বারে বারে ফিরে আসে
ঘুরে যায় কি আর?
জীবন চলে কি ভাবনায়
তা নিয়ে আশাতীত।

Saturday, December 15, 2018

আবেগী মন

_________ আবেগী মন
              এম এ  মাসুদ রানা

কিছু কিছু পরিচয় হয়ে থাকে অচেনা
তারা কল্পনার রঙে ছড়ায় দুটি ডানা।
 মনে মনে ছবি এঁকে যায় দিবানিশি
 তাদের  মনের তুলিতে আল্পনায় সুখ।
কিছু জানা নাইবা হলো তাদের জানা
 তৃষ্ণাত্ব  বুকে কোন থাক না শূন্যতা।
 কাছে এসে প্রেমী হারিয়ে যায় সব কথা
 কষ্টের ঢেউ যতই আসুক তাদের বুকে!
থাকে না কোন ব্যথা তাদের মনে।

Wednesday, December 12, 2018

জিজ্ঞাসা

______________ জিজ্ঞাসা
___________ এম এ মাসুদ রানা

তুমি কি এখনো দিবানিশি আময়া নিয়ে ভাবো?
তুমি কি এখনো সারারাত জোছনা দেখো?
তুমি কি এখনো আগের মতই গান লিখো?
তমি কি এখনো আগের মতোই থাকো?

তোমার সে স্বপ্ন কি এখনো নতুন?
নতুন দিনের হলেও, কি শুরু না কি শেষ?
তুমি কি এখনো সে দিনের কথা মনে করো?
তুমি কি এখনো আকাশের পানে চেয়ে চেয়ে থাকো?

নিঝুম রাতের তারারা এখনো কি তোমাকে খোঁজে না?
অশ্রুকণা গুলো কি এখনো বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পরে না?
তোমার সেই স্বপ্নগুলো এখনও কি নতুন?
নতুন দিনের হলো কি এখন নতুন ভাবে সাজাও?

তোমার চোখের মাঝে এখন আর কি তারারা হাসে না?
রাতের পাখিরা এখন তোমায় কি আর ডাকাডাকি করে না?

ভালো নেই বলে কি থেমে যাবে তোমার জীবন?
চেয়ে দেখো সেই জোছনা তাকিয়ে আছে তোমার পানে।

আমি বলি,
তুমি তো এখনো ঘুমিয়ে আছো আমারি মাঝে ,
আয়নায় মোর প্রতিচ্ছবি সে তো আমি নই।

Thursday, November 29, 2018

প্রতিক্ষা

________ প্রতিক্ষা
_____ এম এ মাসুদ রানা

এসো তুমি শ্যামল সুন্দর হয়ে,
আনো তব তাপহরা তৃষাহরা সঙ্গসুধা।

বিরহ নিয়ে চাহিয়া আছি আকাশের পাণে।

সে যে এক  ব্যথিত হৃদয় আছে বিছায়ে
   তমালকুঞ্জপথে অশ্রু সজল ছায়াতে,
         নয়নে জাগিছে করুণ রাগী॥

       বকুলমালা রেখেছে গাঁথিয়া,
বাজাইছে তার অঙ্গনে মিলন বাঁশরি সুর ।
         
        আনো সাথে তোমার মিলন বাসর
তোমার চঞ্চল নৃত্যের বাজিবে ছন্দে ও তালে সে--
          বাজিবে তোমার কঙ্কণ ও কিঙ্কিণী,
               ঝঙ্কারিবে মঞ্জীর রুণু রুণু

Tuesday, November 27, 2018

স্বপ্নভরা মন

সপ্নভরা মন এম এ মাসুদ রানা পশ্চিম আকাশে সূর্য অস্তে চাঁদ উঠলো রাতে, চারদিকে অন্ধকার করে, পৃথিবী আবার নতুন সাজে । অন্ধকার রাতে জেগে ওঠে, নিশাচর প্রাণীগুলো খেলা করে, আকাশে লুকিয়ে থাকা লক্ষ কোটি তারকারাজি নাহি কবু নড়ে। শন-শন বাতাস আসে শীতল করে দেহ ও মন, এক পশলা বৃষ্টি আসে ঐ মনের আকাশে যখন । স্মৃতির পাতায় দাগ এঁকে কত অজানা স্মৃতি, সময় যখন ভাবিয়ে তুলে, মনের গপন নীতি ।। তারপরও মানুষ বাঁচে আশা ভরে বুকে, নতুন সূর্য উদয় হবে , আধার ফুরাবে কবে। রচনাকাল ২৮/১১/২০১৭

Tuesday, November 20, 2018

ছন্দ

যে গান লেখেছি
আমি গাইবো বলে
গাইবো গাইবো বলে
থেকে গেছে জীবনের
গতি পথ............!
গাইবো গাইবো বলে
আর গাওয়া হল না
বলবো বলবো বলে
আর বলা হল না।

Saturday, November 17, 2018

বিষণ্নতা

_______ বিষণ্নতা ________
      এম এ মাসুদ রানা 

দিনের শেষ হয়ে,
এবার আসবে বুঝি বিষণ্নতার কাঁকড়,
রোদেলা দিনের অনেক স্মৃতিমধুর হয়ে ভাসে।
কোনটা রঙিন, কোনটা মলিন চাঁদরে মোড়ানো?
কোনটা  ছিটে-ফোঁটা নয়নের জল?
কোনটা আঁধার ভাঙা চাঁদের আলো?
মনে পড়ে, পা-দোলানো আম্র-কানন,
সত্যি, বড় বিষণ্নতা আজ চেপে ধরেছে
আমায় রেখেছে সীমাহীন অন্ধকারে।

কাঁদবার ইচ্ছেটুকু থাকলেও কাঁদতে পারি না,
সব জল শুকিয়ে গেছে সে-বেলায়।
কবে কার প্রেমের নেশায় মাতাল হয়ে
ডুব দিয়ে ছিলাম, উত্তাল সাগরে
এই তো এবার! তার সমাপ্তি ঘটেছে।

দিনের শেষে, আমি বড় একা , 
শূন্য আকাশের নিচে বসে আছি 
একটি গাঙচিলের মতো মেলেছি ডানা
ক্লান্ত হয়ে ফিরলেও 
বলার জোন  জায়গা নেই সে-কথা,
সবই ধোঁয়ায় সফেদ, রঙহীন ধূসর কুয়াশা
আমার পানে,আশাহীন দীপশিখা রয়েছে চেয়ে,
ক্লান্তির ঘুমে ঢলে পড়া আমার চোখের পাতায়।

Monday, November 12, 2018

স্বপ্নচারিতা

_________ স্বপ্নচারিতা ________
             এম এ মাসুদ রানা

মাঝ রাতে তোমার ঘুম ভাঙ্গবে যখন
কাঁদবে তুমি নিরবে তখন,
হাত নেড়ে খুজবে আমায়
পাবে না খুজে দৃষ্টির আওতায়।

আমি হারিয়ে যাবো এক অজানায়
তোমার কাছে আর আসবো না ফিরে,
দুরে থেকে চাইবো তোমার সুখ
ভালো আর বাসবো না তোমায়।

লাভ কি আসে যায় ভালোবেসে!
সব কিছু বল আমায় খুলে,
তোমার কাছে ছিলাম যখন
কোন কিছুই বলনি তখন।

Monday, November 5, 2018

শুভেচ্ছা

কবি এম এ মাসুদ রানার প্রতি শুভেচ্ছা
ড: চণ্ডীচরণ

হে কবি ,
মাসুদ রানা ,
বলি ,
পরালে এ মনিহার গলায় আমার ,
অপূর্ব লাগে কবি ঐ -
কাব্য তোমার ৷
ছন্দ ফোটে যেন কত রঙিন ছবি ,
সেই আলোতে হবে ভুবন আলো ,
করবে তোমার কাব্য গুলি ৷
প্রস্ফুটনে দেখি ঐ পদ্মকলি ৷
আরো লেখো কবি !
জাগুক ঘুমন্ত শিশু ,
নিষ্পাপ যে ভাবে যিশু ,
সাড়া বিশ্বকে জাগালো যেমতি ,
পাপরি খোলা প্রস্ফুটিত পদ্ম ,
হবে কবি ঐ তব কাব্য সেমতি ৷

Saturday, November 3, 2018

আজকের মানবতা

________ আজকের মানবতা
________ এম এ মাসুদ রানা
             

আমার সবাই  ধরনীর তলে
হারিয়ে যাই ক্ষণে ক্ষণে
 সীমাহীন কতই না কৌতুহলে!

অনন্ত সংগীত ভেসে আসে ;
হৃদয়হীন হৃদয় পথে
পূর্ব দিগন্তের সূর্যটা হাসে!

জীবন মানে জীবনের শুভক্ষণে,
উঁকি মারে যেন সুরে বেসুরে
 শেষ হয়ে আসে সেই মধু ক্ষণ।

তবুও স্বার্থের বাজারে করি বেচা-কেনা;
নিষ্ঠুর  হায়েনার  মতো
অভিনয় অভিনব কতো রূপে ধরি।

বিবেকের আদালতে দিয়েছি মেরে তালা;
পৃথিবীর মহত্ব লাভের আশায়
মিথ্যে  অভিনয়ে করি মিছে ছলাকলা।

সেই সুধা পান অযোগ্য বলে তাই,
খুঁজে বেড়াই সতত এ সংসারে
 যার কোনো কিঞ্চিত মূল্য নাই।

আমার আমিত্ব যে কতো বড়ো
দেখাতে চাই কতো না কতো উপাচারে
 অথচ এতোটুকু আমি বুঝিও না নিজে।

মানবের মানষ চেতনা কেন এতো অহমিকা;
গরল সম নি:সৃত থাকে সর্বক্ষণ
পোড়ায় প্রজ্বলিত দাবানল সম শিখা!

বোধ বোধকে পোড়ায় না কখনো;
করে না কখনো দগ্ধ চেতনার অঙ্গীকার
তাইতো আজ নীরবে আছে আমাদের মানবতা!

Sunday, October 28, 2018

অনাগত কাল

_________অনাগত কাল_________
_______ এম এ মাসুদ রানা
*******************************
                 ★★★★★★
আনিবে প্লাবন-রক্তে-কন্ঠে এমনি অবেলা
লালে লাল শত যুব-তরু প্রাণ, ভাঙ্গিবে এ প্রাচীর।
রুধিবে কে?
বাধিবে কে?
আজি এ উত্তালবেলা
লড়াকু লড়িয়া দানিয়াছে আপন প্রাণ তাহার

মন্ত্রে-তন্ত্রে দানিবে লেলিহান শিখা।
খরা-জরা,ছিন্ন-কদকায় যত সব লুটেরা
রুধ প্রাচীরের ওপারে নিয়েছে যত দীক্ষা
ক্ষত প্রাণে আনিবে অন্ধ-রুক্ষ-তারা।

কারা-তালা শৃঙখল ভাঙ্গিবে দীপ্ত চরণে
নয়ন তারা জ্বলিবে প্রলয় রূক্ষ-হুকারে।
ছুটিবে তুমি রিক্ত হস্তে ,ভুলিয়া সব আপন প্রাণে
নহে তব তরে অন্জ্ঞলি,নম-নম-নম করে !
সবুজ সমারহে জ্বালিয়াছো অগ্নি আপন ক্রোধে-
ধরনীর ললাটে আঁকিলে তব রক্তের নখর।

রুক্ষ-শুক্ষ ক্ষেত-মজুর ,কামার-কুমার, প্রেমে-ক্রোধে
ধরিয়াছে হাল,ছেদিয়া-ভেদিয়া অতল পাতাল পুর
রুখিবে কে স্নায়ু ?
প্রমত্ত জল স্রোত,হিম-গিরী
রিক্ত বদনে বাধিয়াছে এ বন্ধন কালো আর গৈারী।

Saturday, October 27, 2018

তৃপ্তির অভাব

 তৃপ্তির অভাব

 এম এ মাসুদ রানা


প্রিয়োসী সবার সবেই তো আছে,
আমার আছে বলো কি?
বুকের মাঝে দূঃখের আগুন জ্বলছে দিবানিশি
সেই আগুনে পুরছি অহর্নিশি। 

মেঘলা আকাশে মেঘের পাশে সোনালী রোদ হাসে।
ঝিলিমিলি আলো এই পৃথিবীতে আসে
আমার দূঃখে আধারে নেই সুখের ঝিকিমিকি।

চাঁদের আলোয় রাতের কালো মুছে দেয় যেমন;
আমার আধার মুছে দিতে পারো নাকি তেমন?
হৃদয়হীনা হলে তুমি কেমনে বলো বাঁচি!
বৃষ্টি ঝরার পরে নীল আকাশে রংধনু আসে
তেমনি করে আসতে পারো না কি তুমি?

সবাই সবে নিয়ে আছে কতো সুখে
সবে কিছু তুমি জানো না কী?
তোমার জেনে এমন কিছু করার থাকাবে কী?
সবার সবে তো আছে আমার আছে কী?

Thursday, October 25, 2018

স্বার্থ

_________ স্বার্থ
_____  এম এ মাসুদ রানা

আপন মানুষ  চিনেছে যে জন
জয় করেছে সে সবার মন,
আপন করার স্বাদ পেয়েছে সে জন
শুদ্ধ মনে যে করেছে সাধন  ভজন।

হৃদয়ে যার দারর করেছে বন্ধ
চোখ থাকিতে তাকে বলে সবে অন্ধ,
দেখতে হবে না সয়  দরদীর দ্বার
স্বারের হিংসা আপনা হতে করতে হবে দূর।

স্বার্থ লোক হয় গো লোভী
লোভীরে কি আর  সাধনে মানায়?
সাধন আর ভজন জানে ক"জন
কেবল জানে কতক সাধক আর স্বজন।

লোভ লালোসা দূরে রাখে
থাকবে তাঁরই সবার মাঝে।
তাঁরেই আপন করে দেখা যাবে
অনুনয়ে দুই চক্ষু বুজে সবে সয়।

Friday, October 19, 2018

লিপি


--------লিপি---------
_______মাসুদ রানা________
দাও ফিরিয়ে সেই লিপিকে, 
লাও তোমার ঈর্ষা 
লাও যত লৌহ লোষ্ট্র ও প্রস্তয়,
মোর লিপিকে নিয়ে আর হেলা করো না
হে বন্ধু সে তো তোমাকে যাচে না,
যাচে না তোমার কোন কিছুই, 
তবুও........................
কেন তুমি মোর লিপিকে নিয়ে করো খেলা
বার বার নয় শত বার বলি লিপি শুধুই আমার।


Sunday, October 7, 2018

আমরা স্বাধীন

                               আমরা স্বাধীন 
  এম এ মাসুদ রানা 

কোন দেশে আছি মোরা,
হায় পেলাম কোন দেশ!
স্বাধীন দেশে বাস করেও
স্বাধীনতার পাইনি লেশ।
ডিসেম্বর মাস আসলে পরে
বিজয় দিবসের চলে ঢেউ,
স্বাধীন দেশে বাস করেও
স্বাধীনতা পায়নি কেউ।

Thursday, October 4, 2018

মন

____ মন
__এম এ মাসুদ রানা

এই মনের শহরে,
কোথায় আছো তুমি।
আমি কাঁদি আর খুজি
আফসোস.....!
আজো নিখোঁজ আছো কি?
এই ভালবাসার নগরে,
কোথাও নেই তুমি।
তুমি কি ভাববো
আমি হেরে গেছি,
না-না-না-না-না
আমি হারি নাই
আজো ভালবাসনি তোমমায়।

Tuesday, October 2, 2018

বিজয় দিবস


_______বিজয় দিবস______
      এম এ মাসুদ রানা 

পাক বাহিনীর শাসন শোষণে
অতিষ্ঠ অাজ বাঙ্গালীরা,
জালিম হাটাতে স্বাধীনতা পেতে
বীর সন্তানেরা পাগল পারা।
নয়টি মাস চলে গেল
ত্রিশ লক্ষ জীবন দিল,
দেশটা হানাদার মুক্ত হলো
ষোলই ডিসেম্বর বিজয় এলো।

Tuesday, September 25, 2018

নিরাশা

&&&&নিরাশা%%%

**মাসুদ রানা****

তুমি অামার খড়কুটার
ছোট ঘরে এসো না।
তুমি আমার অগুছালো
বিছানায় বসো না।
আমার প্রতিটি খড়কুটতে
আছে বিরহ আর বেদনা।
তুমি আমাকে পাবে না,
সত্যি করে বলছি
তুমি আমাকে পাবে না।

Saturday, September 22, 2018

আবেগী মন

------- আবেগী মন
এম মাসুদ রানা


কাল সারাটা ক্ষন,
 আমি মিশে ছিলাম তোমার বুকের পাঁজরে।
স্পষ্ট শুনতে পেয়েছি তোমার
 প্রতিটি হৃদয় স্পন্দন।
তুমি অনুভব করতে পারনি
আমি দেখেছি তোমার চোখ,
সেই চোখে ব্যকুলতা দেখেছি,
কিন্তু তা আমার জন্য নয়।

কাল আমি মিশে ছিলাম
 তোমার প্রতিটি শিরায় উপশিরায়,
স্পষ্ট শুনেছি রক্ত চলাচলের শব্দ
কিন্তু তুমি শুনতে পাওনি।
 আমার বুকের একান্ত চাপা কান্না
 যার স্রষ্টা তুমি,
আমি সারাক্ষন খুঁজেছি তোমায়
 যে তোমাতে আমি হারিয়ে ছিলাম আমার আমাকে...
আমি খুঁজে পায়নি
 কারন তুমি ছিলে অন্য কোন ভূবনে।

Friday, September 21, 2018

আত্মসমালোচনা

------ আত্মসমালোচনা
----এম এ মাসুদ রানা

আত্মসমালোচনা হলো এক বড় গুণ,
সুখ এক নিঝুম ছদ্মবেশী,
কেউ কারো দেখতে পারে না,
আবার সবাই খুজে বেসামাল ।

না জানি কত্তো হিংসা বিদ্বেষ
করি না পাপ পূণ্যের হিসাব,
কেবল মাত্র একটাই  খুজি
সুখ শান্তি এই ভূ-জগতে।

খুজি না কাউকে আপন কে পর
পারি না হতে কারো আপন স্বজন,
কেন পারি না হতে কারো প্রিয়জন
খুজি না এটার কোন কারন।

সবে নিয়ে ভাবনা আসে বেলা অবেলা
কেবল মাত্র একটাই ভাবনা ভাবি না কোন বেলা,
অবসরে নিজেকে নিয়ে গভীর আত্মসমালোচনা।

Sunday, September 16, 2018

স্বাধীনতা

_______"স্বাধীনতা"_______
______মোঃ-মাসুদ রানা_____
_________________________

স্বাধীনতা তুমি শহীদ জিয়ার
কালুরঘটের ধ্বনি,
স্বাধীনতা তুমি স্বপ্নে দেখা না কি?
বাংলার  কমল বদন খানি।

স্বাধীনতা তুমি লাক্ষো শহীদের রক্ত দিয়ে কেনা
আমাদের স্বাধীন দেশের মাটি,
স্বাধীনতা তুমি মুক্তি জনতার
দেহতে রক্তমাখা পাটি।

স্বাধীনতা তুমি রক্তে রাঙা
বাংলার সবুজ রাজ পথ,
স্বাধীনতা তুমি বাঙালী বধূর
গৌরব উজ্জ্বল  নথি।

স্বাধীনতা তুমি আবাল বৃদ্ধ বণিতার
কৃষক শ্রমিকের মুখে হাসি,
স্বাধীনতা তুমি গর্জে ওঠা-
পাগল, নিপীড়িত দেশ বাসি।

স্বাধীনতা তুমি যুদ্ধ জয়ের
মুখোরিত সেই গান,
স্বাধীনতা তুমি ছিনিয়ে আনা
বাঙালী জাতির প্রাণ ।

স্বাধীনতা তুমি  দেখো না কোন অপরাধ
এই বাংলার প্রাণ
স্বাধীনতা তুমি যুগে যুগে যেন,
হয়ে আছ অম্লান ।

স্বাধীনতা তুমি বাঙালীর বুকে
থাকবে চিরস্মরণীয়  হয়ে,
লাঞ্ছিত হতে দেবো না তোমা

আগলেবো জীবন দিয়ে।

উৎসর্গ চন্ডি চরন

_______উৎসর্গ চন্ডি চরন________

__মোঃ-জুলফিকার আলি(জিল্লুর)_

কাব্যমালার কাব্যগুলি
জলদানিতে রেখেছি ঝুলি
গীতিমালার গুচ্ছগুলি
কণ্ঠনালির বীণায় গেঁথে
অপেক্ষা যে করছি আমি
কখন পাবো কখন দেব
সব সাজানো
আমার মনের পদ্যগুলি
তাঁহার গলায় পরবে ঝুলি
অনেক রঙ্গের রংতুলি অাজ
সাজিয়ে নিলাম তাঁহার তরে
যাঁহার লয়ে
কৌমুদীরই শিশির ভেজা
সব ফুলতেই সাজিয়ে দেবে
ছন্দমালার অঙ্গগুলি।।

Saturday, September 15, 2018

অজুহাত

 &&&&&&&& অজুহাত &&&&&&&&&

%%%%%% মাসুদ রানা %%%%%%%%

আমায় তরীমণি বলে আর কেউ ডাকবে না।
ভালোবেসে কেউ আর কবিতা লিখবে না।
রংধনুর সাত রং নিয়ে কেউ আসবে না। 
যা-হোক, বলবি দোষ কি ছিল আমরা?  
আমায় ছেড়ে তাহলে, কেন চলে গেল? 
ওহ! তুই তো বলছিস, ওটা তোমার অভিনয়। 
তবে, আমি যেটা জানেছি, 
ওটা তোমার মিথ্যা অজুহাত। 
আমার বিস্বাস, 
তুমি ঠিক একদিন সবকিছু ঠিক করে 
আমার নদীর খেয়ায় ভাসাবি। 
আর বুকে জরিয়ে বলবি,  
আমি পারি নাই ভুলতে তোমাকে।

Thursday, September 13, 2018

কোন কিছুই তোমার সমান নয়

______কোন কিছুই তোমার সমান নয়_____
                     এম এ মাসুদ রানা

এইবার হাত দাও, টের পাচ্ছো আমার অস্তিত্ব! পাচ্ছো না?
একটু দাঁড়াও আমি তৈরী হয়ে নিই ।

এইবার হাত দাও, টের পাচ্ছো আমার অস্তিত্ব! পাচ্ছো না?
তেমার জন্মান্ধ চোখে শুধু ভুল অন্ধকার ওটা নয়, ওটা চুল ।

এই হলো আমার আঙ্গুল, এইবার স্পর্শ করো,–না, না, না,
ওটা নয়, ওটা কন্ঠনালী, গরলবিশ্বাসী এক শিল্পীর
মাটির ভাস্কর্য, ওটা অগ্নি নয়, অই আমি–আমার যৌবন ।

সুখের সামান্য নিচে কেটে ফেলা যন্ত্রণার কবন্ধ–প্রেমিক,
ওখানে কী খোঁজ তুমি? ওটা কিছু নয়, ওটা দুঃখ;
রমণীর ভালোবাসা না-পাওয়ার চিহ্ন বুকে নিয়ে ওটা নদী,
নীল হয়ে জমে আছে ঘাসে,–এর ঠিক ডানপাশে, অইখানে
হাত দাও, হ্যাঁ, ওটা বুক, অইখানে হাতা রাখো, ওটাই হৃদয় ।

অইখানে থাকে প্রেম, থাকে স্মৃতি, থাকে সুখ, প্রেমের সিম্পনি;
অই বুকে প্রেম ছিল, স্মৃতি ছিল, সব ছিল তুমিই থাকো নি ।

Friday, September 7, 2018

খোদা প্রেম

--------- খোদা প্রেম ------------
®®®® মাসুদ রানা ®®®®

জীবন চলার পথে, ভুল পথে
যদি চলে যাই।
ক্ষমা করে দিও তুমি,
দূরে ঠেলে দিও না কো
ওগো দয়াময়।
বহতা নদীর মত ছুটেছি পানে,
তোমার ইবাদত মন শুধু পিছু টানে-
ভুলেছি তোমাকে
তোমার প্রেমকে।

Wednesday, September 5, 2018

শৈশব

#########শৈশব ########$

@@@@ মাসুদ রানা@@@@@

দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায়
রইল না, রইল না।
সে যে আমার নানা রঙ্গের দিনগুলি,
হারানো স্মৃতির নিকুঞ্জপথে।
কুঁড়াই ঝরা ফুল,  একেলা আমি।
হারায় না কিছুই যত কথা যত গান,
সবই আছে, সবই সবই থাকে
কিছুই যায়না ভোলা।
ভুলে থাকে যে তো নয় ভোলা,
বিস্মৃতি মর্মে  বসিয়ে রক্তে মোর দিয়েছে যে দোলা।।

Tuesday, September 4, 2018

নারী

@@@নরী@@@

@@মাসুদ রানা@@

নারীর জন্য বাড়ি গাড়ী
নারীর জন্য মন,
নারী ছাড়া এই দুনিয়ায়
কী আছে আর কন?

নারী পেলে কব্য লিখি
সুন্দরে হয় লীন
নারী থেকে বিমুখ থাকে
কোন সে হৃদয়হীন?

নারী মাতা, নারী ভগ্নী
নারী হয় আপনজন
নারী আছে, থাকবে নারী
নারীর জন্য হয় রণ।

পুরুষের জীবনে সঙ্গে নারী
গড়বে সাধের সমাজ
আছি সদা মিলেমিশে তাই 
সমাজটা সুন্দর আজ।