অবনতি
এম এ মাসুদ রানা
লজ্জায় মরে আজ ইসলাম বিশ্ব
কাফের খুশিতে মশগুল,
ফিতনার যুগে কুফরের জয়
সত্যকে বলেছে ভুল।
পীরের পায়ে সেজদায় পরে
সত্য সব জলে ভাসে,
মুসলমানদের কর্মে মুনাফিক
জয়ের হাসি হাসে।
রচনাকাল ০৬/০১/২০২১
লজ্জায় মরে আজ ইসলাম বিশ্ব
কাফের খুশিতে মশগুল,
ফিতনার যুগে কুফরের জয়
সত্যকে বলেছে ভুল।
পীরের পায়ে সেজদায় পরে
সত্য সব জলে ভাসে,
মুসলমানদের কর্মে মুনাফিক
জয়ের হাসি হাসে।
রচনাকাল ০৬/০১/২০২১
এম এ মাসুদ রানা
সত্য ও মিথ্যার মাঝখানে
টাকার বিস্তার হয় সবখানে।
টাকায় বাড়ায় সব আপত্তি
টাকায় সৃষ্টি করে শক্তির ভিত্তি।
টাকায় বৃদ্ধি করে সম্মান
টাকায় হলো পৃথিবীর তামান।
জগৎ জুড়ে টাকা উড়ে
টাকার মেলায় অনেকে ধরে।
রাজনীতি বলো সমাজকর্ম বলো
সর্বত্রই শুধু টাকা নিয়েই চলো।
অসৎ লোক পায় সুখ সাচ্ছন্দ্য
তারাই বসবাস করে মহানন্দে।
টাকায় তাদের একমাত্র হাতিয়ার
অর্থেই প্রয়োজনে করেছে তৈয়ার।
সুখের মাঝে খুঁজে দুঃখের ছায়া
টেনে আনে বারেবারে মিথ্যে মায়া।
এম এ মাসুদ রানা
খোদার প্রেমে বন্দী হয়ে
জনমভরে কাঁদিল কাবায়
ঘোরাঘুরি জনম দাসী
পিরীতের ইবাদত খানায়।
আমার ভেতর আমিই সেটা
সেই আমিটাই সর্বময়!
আল্লাহর কথায় পথ ধরিয়ে
এই ত্রিভুবন আলোকময়!
তামান পৃথিবী আলোকিত
ভুবন বেশেই মুসাফির!
কণ্ঠে ধ্বনি সরল বাণী
আল্লাহু আল্লা শান তাকবির।
এম এ মাসুদ রানা
মরুভূমির মরিচীকা দেখেছি,
রুক্ষতার মাঝেও দেখেছি উল্লাস।
আমি তোমাকে পেয়েছি সহজেই,
হারিয়ে ফেলেছি সব প্রতারণা।
তপ্ত বালুতেও ফোটে রক্ত রঙ্গিন ফুল
প্রতারকের প্রতারণা প্রতিশ্রুতি রক্ষায়।
মৃদু বাতাসে উড়তে দেখেছি,
তোমার এলোমেলো কেশাম্বলী।
আমার সবই তোমায় দিয়েছি,
তোমার ভালবাসার এক ডাকে,
মনের কথাও বলেছি অনায়াসে।
ভাঙ্গল আমার মনের ভুল!
বৈরাগ্যকে ভালবাসা দিয়েছি
তোমায় ভালোবেসেছি।
এম এ মাসুদ রানা
এই যে তুমি চলে যাও
আমার সামনে দিয়ে
আবার ফিরে দ্যাখ
ক্লান্ত ভরা মন নিয়ে।
পশ্চিমে অস্তমিত হলো বেলা
চেষ্টায় ছিল না হেলা,
তুমি কোথাই যে চলে যাও
সুখকে দিয়ে দোলা।
তোমার চোখে দেখা যায়
সীমাহীন ব্যস্ততা,
কাঁধে ঝুলানো থাকে ব্যাগ
অসম্ভব কিছু কথা।
এমন কি কর্ম ব্যস্ততায়
তুমি থাকো সর্বদাই?
কাজের মাঝে ডুবে থেকে
ভাগ্য ফিরাবে তাই।
তুমি ঘুচাতে চাও ব্যর্থতা
মনে প্রবল আশা,
সময় নেই ফিরে তাকানোর
নিজের প্রতি ভরসা।
তোমার ব্যথা ভরা মন
সাফল্য খুঁজে সারাক্ষণ,
কথা ফোটেনা তাই মুখে
হৃদয়ে চলে হরদমে রণ।
তোমার দুঃখের যত কথা
যত বেদনা জমা বুকে,
পার না সুখটুকু চেয়ে নিতে
রয়েছো শুধুই ধুঁকে।
কোথাও রাখো সমদুঃখ মাথা
মিলে যদি শান্তি
নিভে যায় যদি বুকের আগুন
একটু মিলে শীতলতা।
রচনাকালঃ- ২২/০৯/১৯ নোট
এম এ মাসুদ রানা
বাড়ির কাছে উপজেলা শহর
কৃষক কুমার নৌকা বায়
ন্যায়ের শাসনের লয় হলে
পৃথিবীর শোভা দেখা যায়!
আশেপাশে জাহান্নাম জ্বলে
জ্বলছে নরক অবিরাম,
অন্তবিহীন পান্থপথে কর্মফলে
বাতাসে নড়ে অবিরাম।
ভাল-মন্দ, সৎ-অসৎ
কে বা রাখে কার খোঁজ,
নতুন এসে পুরনো পতন
পূর্ণদেহ শূন্যেই হয় ভোজ।
মরণকে স্মরণ করুন
এম এ মাসুদ রানা
যেদিন ফুরিয়ে যাবে জীবনের আশা
সেদিন হারিয়ে যাবে মুখের সব ভাষা।
প্রাণহীন দেহখানি ঘরের রইবে পড়ে,
স্বজনেরা আঁখি জল মুছবে আঁচলে।
গুণগান গায়বে তোমার মরণের পরে
মনে হবে 'দুনিয়াটা ছিলো মায়ায় ভরে।
নিঃশ্বাস থেকে যাবে, কার বিশ্বাস আছে?
কে বলতে পারবে, কে ক'দিন নিজে বাঁচে?
বাদশাহ হও-মেথর হও; ধনী কিংবা গরীব হও
মৃত্যুর জন্য তোমরা সবাই সাদায় প্রস্তুত রও।
দু'দিনের এই মিছে মায়ার খেলা ঘরে;
কীসের এত্তো গর্ব করে রব বলো পরে?
মরণ যখন আসবে দুয়ারে; যেতে হবে ইশারায়
যমদূত শিকার করবে তোমায় তার নিজ ইচ্ছায়।
এম এ মাসুদ রানা
জীবন হিসাবের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে
আজ করছি শেষ ঘুমের অপেক্ষা।
পৃথিবীর চরম বাস্তবতায় স্থীর নিয়তি
অনন্ত জীবনে তরে দিতে হবে যাত্রাপথ।
পালিয়ে বেড়ানোর নেই কোন উপায়
নিঃষ্ঠুর রহস্যময় নিশ্চিত শীতল মৃত্যু থেকে।
নেই কোন প্রস্তুতি, নেই কোন অবকাশ
আকস্মিক নতুনত্বের ঘটবে আগমন।
কামনা-বাসনা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির সমাপ্তি
সাধ-স্বপ্ন, ইচ্ছা-অনিচ্ছা সবে হবে বিনাশ
নিরুপায় নির্জনতায় বাধ্যগত গহীনে প্রস্থান।
অন্ধকার গন্তব্যে মুছে যাবে ক্ষয়িষ্ণু অতীত
বন্ধ হবে পৃথিবীর সমস্ত মায়া কান্না কোলাহল।
অপ্রতিরোধ্য সময় নিয়ে যায় নির্জন নিরিবিলি
সীমাহীন এক অন্ধকার গোপন কুঠরিতে
যেতে হবে তখুনি জীবনের শেষ ঘুম ঘুমাতে।
এম এ মাসুদ রানা
ধূসর আকাশ-সাদা ঘুড়ি
চলে অদৃশ্য লাটাই দিয়ে
সে অর্থে হয় বেওয়ারিশ
নতুন সাঁজের আনাগোনা।
টবে সাজানো ক'টা চারা
সরল ছন্দিত ছন্দে ভরা
ঝড়ো হাওয়া থমকে আসা
গুল্ম গুলো হয়েছে ছন্ন-ছাড়া।
রক্ত রাঙা রোজ ক্যাকটাস
পরিপাটি সাঁজে গন্ধরাজ,
শিশু-সুলভ চয়নে অর্কিড
সময়ের তরে কাঠগোলাপ।
বেমালুম দর্শকের আগমন
অযথা করে না পায়চারি
জীবিত-মৃত ইন্দ্রের খেলা
নিভৃত করে কেউ আর্তনাদ।
এম এ মাসুদ রানা
হাজরো নিষ্ঠুরতায়
অনুক্ষণ ক্ষত-বিক্ষত করে আমায়;
আমি ঘুমাতে পারি না।
আমার দুটো নিদ্রাতুর আঁখি
ঘুমবিজড়িত হয়ে পড়ে,
মুহূর্তেই বীভৎস স্বপ্ন দেখে চমকে উঠি ;
আমি ঘুমাতে পারি না।
আমিও তো মানুষ
কে বলবে এটা মিথ্যা কথা?
জেগে জেগে কত যে স্বপ্ন দেখি প্রতিদিন;
দেখার পরেই ভেঙে যায়,
ভেঙে যায় আবার শুরু করি।
স্বপ্নের এই ভাঙা-গড়াতেই দিন চলে যায় ;
স্বপ্ন নিয়ে স্বপ্ন দেখে কেটে যায় দিবস রজনী,
আমি ঘুমাতে পারি না।
এম এ মাসুদ রানা
কিছু সুখ লুকিয়ে থাক
কৃষ্ণচূড়ার ডালে,
কিছু ব্যথা বাসা বাঁধুক
হৃদয়ের খালে।
কিছু দুখ হারিয়ে থাক
প্রেয়সীর গায়ে,
তবুও থাকি পরিশেষে
শোকর আদায়ে।
প্রিয়ার ভুবন হয়ে উঠুক
গোলাপের ঝাঁড়
বাগিচায় ফুল ও কাঁটা থাক
সুবাস তো অপার।
হাসনাহেনা, বকুল, বেলি
ফোটাও সমান
সুঘ্রাণে ভরে উঠুক প্রিয়ার
সুখের আসমান।
ফিরে এসো না
এম এ মাসুদ রানা
প্রবঞ্চিত জীবনে কষ্ট দিয়ে যাও
সুখ পাখিটাকে কেড়ে নাও
তুমি আমাকে যন্ত্রণা দিয়ে যদি
অন্য কারো একজন হও।
তোমাকে বলবো না কোনো দিন
ভালবাসো ওগো আমায়
তোমার দেখানো পথ ধরে কোনদিন
খুজবো না গো তোমায়।
তুমি চলে যাও চলে যাও পাখি
দূর নীলিমার নতুন দেশে
বধু বেশে থাক তুমি মহাসুখে
ফিরে এসো না আগের বেশে।
এম এ মাসুদ রানা
কখনো জানতে চেয়েছো, আমি কেমন আছি?
বসন্তের কোকিল কি, এখনো ঘুম ভাঙ্গায়?
নাকি শীতের রিক্ততা আজও আচ্ছাদিত করে
রেখেছেব আমার এই নগর।
তোমার মিথ্যে আশ্বাস ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছো সব,
আমার সেই খবর কি তুমি রাখো?
আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছো নির্দয় ডাকাতের মতো,
আজ গৃহান্তরে গৃহহীন আমি।
আচ্ছা,
তুমি অপলোক দৃষ্টিতে চোখের দিকে চেয়ে বলতে,
স্বপ্নচারিণী,
আমার পৃথিবীর সমস্ত মায়া তোমার দুই নয়নে বন্দি।
তবে তুমি কেন আজ দেখতে পাও না?
কি এক অস্থির স্থিরতা এই দুনয়ন জুড়ে?
তুমি কি বুঝতে পারো না?
এ শহর আজ অন্ধকারে ঢাকা,
অনিশ্চয়তা চারিপাশে।
নাহ্!
তুমি অনেক বদলে গেছো, দীপ্তমান পৃথিবীতে।
তবে হ্যাঁ,
কখনো অন্ধকারে একাকিত্ব অনুভব করতে যেও না।
কারণ,
তখন আমার সমস্ত স্মৃতি চারিপাশ থেকে
তোমায় আকড়ে ধরবে, তোমায় প্রশ্ন করবে।
তুমি উত্তর দিতে পারবে না।
সেদিন জীবন্ত লাশের যন্ত্রনা উপলব্ধি করতে পারবে।
এই যন্ত্রনা খোঁচাতে খোঁচাতে রক্তাক্ত করে দিতে পারে,
তাই তুমি একাকিত্ব অনুভব করতে যেও না,
অনন্তকাল তুমি তোমার দীপ্তমান পৃথিবীতেই
" ভালো থেকো"।
জিয়া মানে
এম এ মাসুদ রানা
জিয়া মানে বাংলার প্রাণ
স্বাধীনতার ঢেউ!
জিয়া মনে উন্নয়নের বানী
দেয়নি অন্য কেউ!
জিয়া মানে ফসলের হাসি
কৃষাণ কৃষাণীর গান,
জিয়া মানে রূপসী বাংলা
গ্রাম বাংলার প্রাণ।
জিয়া মানে আশার আলো
কৃষকের ঘরে বাতি,
জিয়া মানে একটি বাংলাদেশে
আমরা স্বাধীন জাতি।
এম এ মাসুদ রানা
যখন তোমার সাথে কেউ থাকে না
তোমার একাকীত্ব যখন কাটে না
তোমাকে নিয়ে যখন কেউ ভাবে না
তোমার দৃষ্টিতে যখন কেউ আর আসে না
তখনি তুমি তুমি বলে ডাকো
তোমার একাকীত্ব সময়ে আমার সাথে থাকো
তোমার মনের কথা আমায় কখনো বলো নাকো
তোমার সুখের তরে আমায় সাথে নিয়ে রাখো।
বুঝেছি আমি তোমার সব ছলাকলা
সবার কাছে এইসব কথা কখনো যায় না বলা
আসোনা কাছে যখন আমার থাকে শুধু অবেলা
মহানন্দে থাকো যখন হৃদয় হয় আমার ঝালাপালা।
তোমার ইচ্ছায় আসো তুমি
তোমার ইচ্ছামত আবার ছেড়ে চলে যাও
তোমার প্রয়োজনে তুমি আবার ডেকে নাও
তোমার প্রয়োজন শেষে হও আবার উধাও।
তুমি মনে করেছো তোমার ছলনা বুঝি না
সবে বুঝি তাইতো আগের মতো তোমায় খুঁজি না
তুমি পাল্টে গেছো একেবারে শুধু সুখের তাড়নায়
তুমি তোমার মুখে আমাকে একবারও না জানায়।
এম এ মাসুদ রানা
কাশ্মীরে মরে যারা তাঁরও
কারো ভাই বোন স্বজন,
তাদের হাহাকার চিৎকার
শোন যায় গানের মতন।
আমাদের মা বোনও ভাই
আমাদেরই পুত্র, কন্যা,
কাশ্মীরে জমিনে শুধু বহে
মানুষের রক্তের বন্যা!
বির্তকবাদী আর কিছু
তার দাস কুত্তায়!
ওরা মেতে উঠেছেরে
মুসলিম গণহত্যায়!
নাই কি আপনার আমার
ঈমানী কোন শক্তি,
প্রতিবাদ করলে তাহারা
হতে পারে মুক্তি।
রচনাকাল ১৫/০৮/২০১৯
এম এ মাসুদ রানা
তুমি কি সত্যি ভাবো?
আমি তোমাকে বিরক্ত করি
যদি ভেবে থাকো তাহলে বললাম সরি
তোমার বিপরীতেই এখন পথ ধরি।
অহেতুক বিরক্ত করতে আসবো না তোমায়
অজান্তেও বদনাম করবো না আরা কামায়
ভেবো না দুষ্ট ও লম্পট আমায়
আড়াল করার চেষ্টায় আছি আমায়।
তেমন করে তোমায় নিয়ে ভাবি না আর
ফিরে দেখি না তোমাকে আর বার বার,
হৃদয়ে আসে না আগের মতো হাহাকার
করিও না কখনো আর তেমন চিৎকার,
নিজেকে নিজেই দিই শুধু ধিক্কার
তুমি তোমাকে সাজিয়ে নিয়ও চমৎকার।
অবনতি
এম এ মাসুদ রানা
ভূলুণ্ঠিত হয়েছে আজ বাংলার মানবতা
সাম্যের গান ধরে কখনো কখনো যথাতথা
শহীদের রক্তের আল্পনা হলো আবার বৃথা
মৌলিক অধিকার এখন শুধু মুখের কথা।
দেশে রয়েছে অনেক আধুনিক হাসপাতাল,
আধুনিক চিকিৎসকও রয়েছে বিদ্যমান
রয়েছে অনেক অনেক অত্যাধুনি যন্ত্রপাতি
বানানো হয়েছে সবকিছুই বিলাসবহুল।
তফাৎ রয়েছে শুধু ব্যবহারের জায়গায়
সিলিন্ডার আছে ভিতরে অক্সিজেন নাই
শয্যা আছে সঠিক কোন রকম ব্যবহার নাই
বিজ্ঞ চিকিৎসকের, পদোন্নতিও হয় নাই।
স্বাধীনতা অর্জনের পরক্ষণেই বলেছিলো সবে,
অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান, ও শিক্ষা দিবে,
কেন অক্সিজেনের অভাবে হাসপাতাল প্রাণ নিবে?
প্রণের বিনিময়ে মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিবে।
হাসপাতালের বারান্দায় বাবা ফয়সাল কান্না করে
সন্তানের শোকে জননীর কেন তাঁদের অশ্রু ঝরে?
তবুও পাষাণ্ড চিকিৎসকের হৃদয় নাহি নড়ে
সুচিকিৎসার বার্তা নিয়ে চিকিৎসক নাহি দৌঁড়ে।
আমরা জানতাম খোদার পরে বাঁচাই যদি প্রাণ
এক কথায় সবাই বলে দিতো চিকিৎসা বিধান।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে শুরু হয়েছে ব্যাপক দর কষাকষি
তারদের মূল্য আমরা না দিতে পারায় হয়েছি দোষী।
চিকিৎসকেরা বাংলাকে করেছে এখন কসাইখানা
তাই যমদূত দিয়েছে সবুজ বাংলায় সরাসরি হানা
রূপসী বাংলা প্রিয়জন হারিয়ে হয়েছে সর্বহারা
ফজলে রাব্বীর স্বপ্নও এইবার হলো তো ছন্নছাড়া।
শামসুজ্জোহা
এম এ মাসুদ রানা
আমি দেখিনি অধ্যাপক শামসুজ্জোহাকে
তবুও তাঁর জন্য প্রাণ মাঝে মাঝে কাঁদে।
তিনি ছিলেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক,
জেনেছি বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাস পড়ে
তাঁর জীবনটা দিয়ে গেছে তাঁর ছাত্রদের তরে।
জানার পরে বুকটা গর্ভে গেলো মোর ভরে
পিছু হটেনি তিনি তাঁর স্বজন বা মৃত্যু ডোরে।
বলেছিলেন তিনি ওরা সকলে আমার সন্তান
তাদের মারতে পারবে না থাকতে এই জান।
স্বাধীনতার ইতিহাস প্রথম বুদ্ধিজীবী করে গণ্য
তাঁর জীবনী পড়ে নিজেও মনে হলো ধন্য।
শামসুজ্জোহা জন্ম নিবেনা কি বাংলায় আবার?
অন্যায় বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে দাঁড়াবে বার বার
কোন ছাত্র মরবে না বাংলায় কারো নির্যাতনে আর।
নিষ্ফল বাসনা
এম এ মাসুদ রানা
আমি জানি, তোমার থেকে জানি,
এখন তোমার নেই কোন কাজ
তাই তো এস এম এস করেছি আজ।
তুমি দাও নাই উত্তর, বলনি তুমি হাই
তাহলে কি আমি বুঝে নিবো আমার মূল্য নাই
আমার সাথে কথা বলতে, তোমার মনে নাহি চাই
বলা, চলা,কথা এসবের কোনোই দাম নাই।
মূল্য চাইবো না, এস এম এসও করবো না,
হুট করে হারিয়ে যাবো কোন এক অজানা পানে
যে পানে আমায় কেহ নাহি চিনে আর জানে।
তখন হয়তোবা, তখন তুমি মোরে খুঁজিবে
মনের মাঝে স্বপ্ন নিয়ে অনেক কিছু বাঁধিবে
তোমার সাধ্য থাকিবেনা যে, গতি পথ রুধিবে
মাঝে মাঝে হাঁসি মাখা মুখে কান্নাও আসিবে।