Sunday, September 8, 2019
Wednesday, September 4, 2019
শহীদ
শহীদ
এম এ মাসুদ রানা
শহীদের কাফেলায়
আজ প্রতি ওক্তে মুসলিম।!
কাশ্মীরি যোগ দেয়
রক্তের লেলিহান শিখায়!
রক্তের লালে রঞ্জিত
আজ পৃথিবীর জান্নাত!
একতার জল দিয়ে
ধুতে কেন চায় না মোরা?
কাশ্মীর কি নিবে কেড়ে?
তোদের কোনকিছু!
মূল কারণ ওটাতো না!
যত ক্ষোভ বিদ্বেষ হোক
মোদের তেলাওয়াত প্রার্থনায়!
আর কত লাশ নিবে?
আর কত রক্ত দিবে?
মোর কাশ্মীরের ভাই।
এজাজত নেতারা!
একটুও ভাবো না কি তোরা?
কত অসহায় হয়েছে তারা,
তোদের বিবেকের দরবারে
দেয়নি এখনো কোন সাড়া।
Tuesday, September 3, 2019
দালাল
দালাল
এম এ মাসুদ রানা
আজ জীর্ণশীর্ণ মুসলিম বিশ্ব
ছিন্নভিন্ন করেছে আরববিশ্ব,
সর্বক্ষেত্রে ঠোকাচ্ছে দিবানিশি
মুসলিম বিশ্ব হয়েছে একাকী।
ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে বিশ্ব মানবতা
নিপীড়িত হচ্ছে মুসলিম উম্মাহ
লাঞ্চিত হচ্ছে মুসলিম বিশ্ব
রক্তাক্ত করেছে মুসলিম জাহান।
আজ ইহুদীরা মেতে উঠছে
রক্তের হলি খেলায়,
মুসলিম নিধনে মাতাল হয়েছে।
আজ আরব বিশ্বও এক হয়েছে
মুসলিম নিধন সাধনে
কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে করছে কাজ।
আফগান ধ্বংস হলো
মুসলিমের সুরের সাধনে।
ইরাক ধ্বংসের কারনে
নাই কি মুসলিমের হাত।
দীর্ঘদিন রক্তে খেলা খেলছে
ফিলিস্তিনের মুসলিম।
আজ কাশ্মিরেতে মালাউনরা
করছে মায়ের বুক খালি।
আজ আরব বিশ্ব তবুও
করছে মালাউনের দালালি।
Monday, September 2, 2019
বসন্ত
বসন্ত
এম এ মাসুদ রানা
আসে শীত, যায় শীত
মিটে সব মনের জিদ।
অপ্রত্যাশিত ইচ্ছেগুলো
ব্যবধানে রয়ে গেলো।
পিঠাপুলির উৎসব হলো
পায়েস পোলাও, খেজুর রস
ভাপা পিঠা আর দুধ ভাত
খেয়েদেয়ে করি কাজ।
ভোরবেলা রোদের আশায়
ছুটে চলি যেথায় সেথায়,
উঠবে কবে দীপ্ত প্রভা ,
সবাই করে তার অপেক্ষা ।
কেমন করে কেটে গেল
ঘোটা দুই দুইটি মাস।
লেখাপড়া হয়নি তেমন
সেই যাতনা জ্বালায় এমন
রুদ্ধ করে শ্বাস-প্রশ্বাস ।
আসল আবার নয়া কাল
প্রকৃতিকে করেছে লাল।
সেই আমেজে ছুটে চলি
পথ-ঘাট আর অলি-গলি।
পাখিরা সব পেল পরিত্রাণ,
ঠান্ডা ভুলে ধরল সুরের গান।
এলো বসন্ত , এলো বসন্ত বলে
শীত গেলো সবে মাত্র চলে।
ফুলের আলোতে সুসজ্জিত গগণ
আকাশ বাতাস মুখরিত এখন।
এ যেন উঠে আসা নতুন প্রাণ
জরাজীর্ণ শীত থেকে অবসান।
এই ফুল , সেই ফুল
গন্ধরাজ গাদা জবা শিমুল
জাম্বুরা নয়নমণি বেলি বকুল
হাসনাহেনা গোলাপ পানিকচুরি
সজনে ডালিয়া আতা বরই সূর্যমুখি
চন্দ্রমল্লিকা আর শত ফুল ও ফল।
সে সব কারনে, পাখির ধরে গান
প্রস্ফুটিত সৌন্দর্যের বাড়াল মান।
আমি বলি স্বাগতম !
স্বাগতম হে বসন্ত ,
তোমার রূপ অফুরন্ত
শীতকে করেছ ক্ষান্ত।
Monday, August 26, 2019
শবে বরাত
শবে বরাত
এম এ মাসুদ রানা
ছলছল জলধারা
তোলপাল করে তোলে
তল পড়ে আজ!
টলটলে অশ্রু জলে
মুখরিত হবে যে, রাত
কিছু আশায় তুলবো যে, হাত।
অবনত শীর করবো তো নত
ধীর হয়ে ধীর হয়ে কথা হবে কত।
পাপের প্রাচীর মুছবো আজ
চৌচির হবে গুনার যত খাতা
মাথার উপর রবে না গুনার ছাতা
মন খুলে বলবো পুণ্যের কথা।
ঘুচে দাও, মুছে দাও
আছে যতশত পাপের দাগ
প্রাণবাঁশি পাক ফিরে
স্বর্গে আছে যত সুখ
মিটে যাক মনের যত দুখ।
দূর হতে যতসব জীবনের
আছে যত কালো রাত!
এসেছে ক্ষমার রাত্রী
শবে-ই বরাত!
কলম
কলম
এম এ মাসুদ রানা
কলম চলে বজ্রকঠিন
শব্দ দিয়ে বারুদ পরে
কাপুরুষদের ঠিকানা নড়ে
গ্রেনেড বোমা ছুড়ে মারে।
কলম চলে গোপন পথে
আঁধার রাতে থাকে সাথে!
নির্বিচারে পারুল মরে
অমানুষের গহীন বনে,
হচ্ছে কথা ক্ষণে ক্ষণে
নুসরাত কি রবে বনে।
কলম চলে দেশব্যাপী
লাশের বন্যায় ভাসাভাসি।
ধর্ষণ করে যে, মা বোনেরে
বেঁচে থাকা কি আর সাজে,
মরণ সুর হৃদয়ে বাজে।
মরণ জালা মনে নিয়ে
অপেক্ষায় থাকে দিনে রাতে।
Sunday, August 25, 2019
বিনয়
বিনয়
এম এ মাসুদ রানা
ব্যবহারে কর জয়
তোমরা মানুষের মন!
পরাজিত হলে ভেবনা
এটাতেই তোমার মরন,
মরনকে সরণ করে
ফেল অশ্রু জল!
তখনি পাবে অশ্রুর ফল।
বিনয়ের অফুরান বানী
কর সর্বক্ষণে টানাটানি
কেউ হরন করলে হবে না মানামানি।
মনের মাঝে শক্তি রেখে
করবে তুমি বিনয়ের বিনিময়
বিনয় বিনিময়ে হবে নাতো ক্ষয়।
পৃথিবীও ঋণী হয় বিনয়ের কাছে
পণ করবো মোরা বিনয়ী হওয়ার আয়েশে।
অমোঘ প্রীতি
অমোঘ প্রীতি
এম এ মাসুদ রানা
তোমার কথায় ফুল ফোটে
আঁধার রাতে জ্যোছনা ,
হৃদয় মাঝে কাননে কাননে
নীরবে নীরবে কূজন গোপনে
মধুর মিলনে মোহনা।
তোমার ভাবনায় সুর আসে
অঙ্গে অঙ্গে নতুন বাসনা
মন বিতানে মঞ্জুরিতে
গানে গানে রাগের ঝংকার
অমোঘ প্রীতি টানে।
তোমার সঙ্গে সুখ তরঙ্গ
চৈত্র ফাগুনে পলাশ ,
উপত্যকার শীতল বাতাস
জুড়িয়ে মনের উষ্ণ হতাস
প্রাণে শ্বাস প্রশ্বাস ।
Wednesday, August 21, 2019
শেষ কথা
শেষ কথা
এম এ মাসুদ রানা
তোমার শেষ চিঠিতে
ভালো আছিস, ভালো থাকিস
তোমার নমুনা প্রণয় বিনয়
সত্যি কি দারুণ অভিনয় করেছো?
তুমি পারো বটে,
ছাড়িয়ে গেছিস অনেক আগেই
সত্য-মিথ্যা, অদল-বদল, যখন-তখন।
তুমি কার, কে তোমার?
জানো কি তুই নিজে?
অবাক হই তোমাকে দেখে দেখে
বিনাশ হই আমি ভেতরে ভেতরে।
থাক!
তুমি থাকো তোমার মাঝে,
আমি নেই আর তোমার কাছে
সাজতে চাইনা আর কোন নতুন সাজে।
তুমি সুখী হও দূর দেশে
ডের বেশি সুখে।
আমি বেদনায় কাতুর রবো দূরে
কখনো আসবো না তোমার নড়ে।
Monday, August 19, 2019
কাশ্মীর বলছি
কাশ্মীর বলছি
এম এ মাসুদ রানা
হে মুসলিম শোন,
মন দিয়ে সব শোন!
তোমাদের কেন এতো ভাব?
ভার আছে শান্তির যে, অভাব।
তোমরা সবাই হর্ষে রবে!
আমার এই বেদন দেখে।
গ্রেনেড বোমায় চূর্ণ হয়ে
আমরা না হয় বিবর্ণ হয়!
জরন মরন যন্ত্রের ফলে
আমায় নিচ্ছে মৃত্যু কোলে!
এই পৃথিবীর মাস্তি আমেজ
ফূর্তি থেকেও বঞ্চিত রই!
সর্বদাই বিনয়ীভাবে তোমাদের কই।
আমার লাশের গন্ধ থেকে
তোমরা ফেল তৃপ্তির ঢেকুর!
আমার গায়ের রক্ত দেখেও
তামশা দেখ দাঁড়িয়ে দূর!
বাজায় বাঁশি করুন সুরে
তবুও তোমরা থাকো দূরে।
তোমরা থাকো আমাদের তরে
ভরসা করি তোমাদের পরে।
বিপদ এলে পাশে রবে
মনের কথা খুলে কবে।
সব যাতনা ভুলিয়ে দিবে
ভাই বলে বুকে টেনে নিবে।
এটাই হবে বড় চাওয়া
এর চেয়ে বেশি কিছু যায় না পাওয়া।
Sunday, August 18, 2019
অন্ধ আইন
অন্ধ আইন
এম এ মাসুদ রানা
অন্ধ আইনের, বদ্ধ কথা
বলবো কি যে, আর?
আঠারো বছর হয়নি ছলে,
মেয়ের বিয়ে বন্দ বলে।
স্বর্গ সুখ খোজার জন্য
মজনু জন্য ছোটে তার
খুঁজে খুঁজে দিশেহারা,
চলে না কেউ মজনু ছাড়া
যতই থাকুক কড়া পাহাড়ায়।
একুশ বছর হয়নি বলে
ছেলের বিয়ে বন্দ,
লিভটুগেদার আছে বলে
করে নাতো কেউ গালমন্দ।
কথায় কথায় বলে শুধু
গান, গল্প, আর ছন্দ।
সৎ পথে যে করে গমন
তার চলার পথ হবেই তো বন্ধ,
চোখ থাকিতে তাকে বলি অন্ধ।
অসৎ কাজ রুখার মতো
বায়না করে শত শত।
অসৎ কাজের বেলায়
আইন চলে কথায় কথায়।
হবে না কোন বাদ বিচার
আইন হয়ে যায় অন্ধ
বিবেকের কথা বন্দ।
Wednesday, August 14, 2019
কুরবানী
কুরবানী
এম এ মাসুদ রানা
কুরবানী হোক আল্লার জন্য
লোক দেখানো নয়,
আল্লাহর জন্য কুরবানীতে
আল্লাহ তুষ্ট হয়।
আল্লাহর হুকুমে কুরবানী দিলে
আল্লাহর তাকওয়া লাভ হয়।
সুদ ঘুষের আর কালো টাকাই
যতই করি না কুরবানী,
থাকুক না কত আহাজারি।
লাভ হবে না কোন কিছু
আল্লাহর হুকুম যদি না মানি।
সৎপথে ঐ কামাই করে
কিনবো কুরবানীর পশু
হোক না যতই ছোট,
প্রতিদান তো দিবেন আল্লাহ
দিবে না কোন লোকে।
সুখের সন্ধানে
সুখের সন্ধানে
মোঃ মাসুদ রানা
বয়সের সূর্য ঠিক মাথার উপরে,তবু
ক্লীষ্টতার ছোঁয়া ষোড়শী যুবতীর মতো
টকবক করে আহনীর্শ,
হঠাৎ মাচরাঙ্গা রুপ নিয়ে
ঝপ করে ঝাপ দেয় সুখ।
দাঁত ভাঙ্গা দান নিয়ে ফিরে এলে ঘর
হঠাৎ দ্যাখে কালোমেঘে এলোকেশী ঝড়
ছুটে আর ছুটে ঝড়ে খেলো না-কি ঘর?
হেথা গিয়ে দেখি কে আপন পর?
চারদিকে ওরা সব সুখ ন্যায় দ্যাখে
পুবের গগনে উঠেছে কি সূূর্য না-কি ডুবেছে?
প্রিয়তমা মোর ছেড়া আঁচলে ছেড়া
কণে মুছে জোড়া চোখ,
অবশেষে ঘুরে ফেঁড়ে দ্যাখে মোরে
নিস্তন্ধ, নিথর এইবুঝি সুখ।
Tuesday, July 30, 2019
সুরের বাঁধন
সুরের বাঁধন
এম এ মাসুদ রানা
‘আমি তোমার বাঁধিতে চাই
আমার প্রানের , সুরের বাঁধনে
তুমি জান না, আমি যে, তোমায়
পেয়েছি এক অজানা সাধনায়।
সত্যিই কি মাধবী অপরূপ রূপ তোমার।
আমি পেয়েছি তোমায়
তুমিতো গ্যাস বেলুনের মতো উড়ে চলো
দুরন্ত অজানা আকাশের পানে
অন্য কারো সুরের বাঁধনে।
তুমি তো বুঝ না, তোমার কী সম্মান
কোথায় গেলে বাড়বে তোমার মান।
আমি পেয়েছি তোমায়,
আমার এ প্রাণ তোমাতে অবিচ্ছেদ্য
এক নিরাকার চিরন্তন ধ্রুব শিখা
হৃদয়ের গভীরে অজানা কম্পনের দিশা।
তোমাকে পেয়েছি অজানা সাধনে
হয়ত পাইনি কিছুই-
তবু স্বপ্নও কখনো সত্যের অধিক
রঙিন ছায়ার আচ্ছাদনে আচ্ছাদিত
সুরের মূর্ছনায় ঢেউয়ের তরঙ্গে
প্রাণস্পন্দন উত্থিত ক্রমশ জোয়ার
বিকালের সোনালি রোদ-মখমল উষ্ণতা
ছেড়ে চলে যেতে পারি না অন্য কোথাও
মায়ার বাঁধনে রূপশালি ধানভানা শরীরের ঘ্রাণ
মাথার ভিতরে আছে
এক চিরন্তন বোধ সদা আবর্তিত
আমি তারে নেভাতে পারি না
অন্য কোন অজানা সাধনে
সুরেরও বাঁধনে,শান্তির লগনে
তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার পরমাত্মা
ছেড়ে চলে যেতে পারি না সুরের মূর্ছনা।
Sunday, July 28, 2019
ভালোবাসায় সম্মান
ভালোবাসায় সম্মান
এম এ মাসুদ রানা
রাত বাড়লে মেরুদণ্ড ঋদ্ধ
হাড়ে বাড়ে এক অজানা শক্তি
প্রেমে-অপ্রেমে, বেলা-অবেলায়,
খেয়ালে-বেখেয়ালে ভালোবাসা পালায়।
বিড়াল ছানার মতো আদর করা,
ময়নার মতো কথা শেখানো।
নয়'তো বাঁকা হাড়গোড়ে এক অনুভূতি
বাসমতি গন্ধ ছড়িয়ে সে পালায়, গাংচিল
তেপান্তরে- হায় হায় জীবনবেদে সজারু
ভালোবাসার আশায় বসে থাকা বটতলায়।
ভালোবাসার তড়খড় লতিয়ে লালনের কালীগঙ্গায়
কবির কবিতায় ভালোবাসার মোহন বাঁশি বাজায়,
প্রেম-ভালোবাসার মরুদ্যানে ভালোবাসার শব্দগুলো
শুকিয়ে খড়খড়ে মড়েমড় শব্দ আসে যায়।
আপেক্ষিক সূত্র মানা যায় না, হৃদয়াঞ্চলের নদীতে পানশি চায়,
ছলছলিয়ে খিলখিলিয়ে ময়ূর সময় পেলে, ভালোবাসারা ডানা মেলে।
তেল ছড়িয়ে, হৃদয় জুড়িয়ে সন্ধ্যার আগেই আঁচলে জড়ায়।
ভালোবাসতে গেলে একটু পাগল হতে হয়, মজনু তো নয়
জীবনভর ভালোবাসায় থাকে কবিরা, তাদের কল্প রাজ্যে
ভালোবাসার কাব্যমালা গাঁথতে হয়, নইলে কী ৩০ বছর যায়?
আপন না পর
আপন না পর
এম এ মাসুদ রানা
আপন করার স্বাদ জাগে মনে
আপন করার ভাব থাকে
আপন করার আশায় থাকি
আপন করার ভাবনা ভাবি
আপন করার চেষ্টায় থাকি
আপন করার কামনা থাকে
আপন করার ইচ্ছা থাকে
আপন করার উপায় খু্জি।
আপন করে ভাবি সবসময়
আপন করে যাচি সবসময়
আপন করে বাঁচিতে চাই
আপন করে সাজিতে চাই
আপন করে হাঁসিতে চাই
আপন করে কাঁদিতে চাই।
আপন কেউ করে না আমায়
আপন কেউ করে ভাবে না আমায়
আপন কেউ করে না আমায়
আপন কেউ সাজে না আমার।
আপন ভবনাটা আমার মিথ্যা
আপন ভাবনাটা আমার পাপ
আপন ভাবনাটা আমার অপরাধ
আপন ভাবনাটা হলো আমার অনুতাপ।
গরীব
গরীব
এম এ মাসুদ রানা
গরীবের বন্ধু হয় না
গরীবের সুখ সয় না
গরীবের কথা থাকে না
গরীবের আশা থাকে না
গরীবের কেউ কাছে থাকে না
গরীবের স্বপ্ন থাকে না
গরীবের অবলম্বন থাকে না
গরীবের যন্ত্রণা কেউ বুঝে না
গরীবের কথার অর্থ থাকে না
গরীবের মূল্যও থাকে না।
গরীবকে কেউ বিশ্বাস করে না
গরীবকে কেউ কাছে ডাকে না
গরীবকে কেউ পছন্দ করে না
গরীবকে কেউ সাহায্য করে না
গরীবকে কেউ পথ দেখায় না
গরীবকে নিয়ে সবাই খেলতে ভালবাসে।
গরীব জানেও জানে না
গরীব মানেও মানে না
গরীব কর্মের ফলও পায় না
গরীব চাওয়া আশা করেও চায় না
গরীব করে না কোন বায়না।
গরীব উচ্চ বাসনা করে না
গরীব ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবে না
গরীব নিম্ন কামনায় থাকে
গরীব সমান্য খাবার নিয়ে ভাবে
গরীব সামান্য খাবার খাবে
গরীব সামান্য ভাবনায় থাকে
গরীব সবসময় শূন্য থাকে।
Thursday, July 25, 2019
মানব শিখা
মানব শিখা
এম এ মাসুদ রানা
মানব শিখায় উঠেছে মানবতা
শুঁকুন সেজেছে বিহঙ্গ।
কুকুর-বিড়াল ঘুরছে বুক ফুলিয়ে
মানুষকে করেছে কীটপতঙ্গ।
আকাশ ছায়ায় শকুন উড়েছে
পরিমল মানচিত্র ভয় পয়েছে,
পতাকা হবে কী কিছু ক্ষয়?
স্বাধীন বাংলায় কেমনে এ-সব হয়?
দাসের জীবন বহন করে জনতার।
নদীর জলে লাশ ভাসে
শুকুনেরা খেতেই আসে।
পরিমল মানচিত্র ঠুকরে খাচ্ছে,
কোন এক শুঁকুনের দল?
জাতীকে করেছে পদতল।
বিবেক জুড়ে বইছে ঝড়ো
হরিলুটের বাতাস!
পরবো না'কি আর স্বস্তির শ্বাস।
Tuesday, July 23, 2019
ঝড়ের ডরে
ঝড়ের ডরে
জিল্লুর
মেঘ ভেঙে যাই
মেঘ ভেঙে যাই
থালায় থালায় জল।
মনের ভিতর ভয়ের রাজা
করছে কলাহল।
মেঘ ফেটে যাই
মেঘ ফেটে যাই
আগুন নিয়ে খেলে
চোখ জোড়াতে ঝাপসা লাগে
খেলা দেখতে গেলে।
জল পড়ে যাই
জল পড়ে যাই
একটু নাহি থামে
ঘরের ভেতর জল ভরেছে
ভয় ধরেছে দমে।
বান ভেসে যাই
বান ভেসে যাই
ধবংস লীলা নিয়ে
ঘর ভাসছে মানুষ ভাসছে
জীবন ছেড়ে দিয়ে।
শিশু কেঁদে যাই
বুড়ো কেঁদে যাই
ঝরের হাওয়ায় বেগে
মা ভেসে যাই বানের ঝরে
ভাই কেঁদে যাই রেগে।
Friday, July 19, 2019
তোমার ফুল
তোমার ফুল
এম এ মাসুদ রানা
গোলাপ রজনীগন্ধা ফুল থাকতে
তুমি দিলে যে, ফুল আমায়!
জুঁই চামেলি গাঁদা বকুল
এ কোন ফুল দিলে আমায়?
এই ফুল নয়তো সেই ফুল
যে ফুলের কারণে প্রতিনিয়ত হচ্ছিল
আমার শত শত ভুল।
স্বপ্নদেশে নিত্য নিয়ে রাঙিয়ে যাও।
এসো কাছে, বসো পাশে
দূর থেকে কী যে, সুখ তুমি পাও?
কথা ছিল তো,
এসে হৃদয় বাগানে, ফুটাবে প্রেমের ফুল
তা না করে করেছো তুমি
অন্তর আমার কাঁটার দুই কূল।
যে ফুল ফুটিয়েছো, সে ফুল তো ফুল নয়
তবে কী ছিলো, সব তৃষ্ণার্ত ভুল?
তোমার প্রেমের বাগানে,
হাঁটতে যাওয়ায় হয়েছিলো বড় ভুল
তাই তো এখন হারিয়েছি দুই কূল।
Sunday, July 14, 2019
চোখের ভাষা
_______ চোখের ভাষা ________
_____ এম এ মাসুদ রানা _______
চোখে বুঝা যায় মনের কথা
তারই মাঝে থাকে মনের ব্যথা।
চোখে চোখ রেখে শুধু নয়
হাতে হাত রেখেও শুধু নয়।
চোখের ভাষা বুঝতে হলে
চোখের মত চোখ থাকা চাই।
জীবনে কখনও চোখে চোখ রেখে
অনুরাগে অনুরাগের পত্র লেখে।
পত্রের সে, ভাষা বুঝতে হলে
মনের মতো একটা মন থাকা চাই।।
তাই তো এ চোখ,
কখনও হাসে, কখনও কাঁদে।
অশ্রু জলে আবার কখনও ভাসে।
চোখের ভাষা বুঝতে হলে
চোখের মত চোখ থাকা চাই।
Monday, July 8, 2019
অধঃপতন
অধঃপতন
এম এ মাসুদ রানা
অধঃপতনে গেছে দেশ
এরই ফলে মেধা শেষ।
এই সমাজ চালান যারা
অধঃপতনে দিয়েছে সারা।
খুন ধর্ষণ খাদ্যে ভেজাল
ঘুষ ও দুর্নীতির ছড়াছড়ি।
নিয়োগবাজি আর চাঁদাবাজি
এই সব নিয়ে মাতামাতি।
নিচ্ছে নাতো দেশের খোঁজ
দূর্নীতি নিয়ে চলে ভোজ।
ধনী হবে এই বাসনায়
অর্থ নিচ্ছে গুনায় গুনায়।
কবে নাগাদ বন্ধ হবে
অমানুষী আর জোচ্চুরি?
মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আজ
সুযোগ বুঝে করবে কাজ।
Sunday, July 7, 2019
প্রার্থনা
প্রার্থনা
এম এ মাসুদ রানা
প্রভু আমায় নিয়ও ক্বাবা ঘরে
তোমার অসীম দয়া ঢেলে!
আমার হৃদয় শান্ত হবে
তোমার ক্বাবার দেখা পেলে!
মুলতাজামে বুক ছোঁয়াবো
চোখ ভেজাবো জলে!
হাজরে আসওয়াদে চুম্বন দেব
পাপ থেকে পাবো পরিত্রাণ।
জমজম কূপের পানি করবো পান
করবে পূরণ তুমি মনের টান।
ইয়া ইলাহীর ক্বাবার ছোঁয়ায়
আমার হৃদয় হবে ম্লান!
দিন রজনী স্বপ্ন জাগে
কবে যাবো ক্বাবা ঘরে।
হৃদয় মাঝে আহামরি
করছি আমি ছুটাছুটি!
কখন যাবো ক্বাবা ঘরে!
Friday, July 5, 2019
ফিরে এসো তুমি
ফিরে এসো তুমি
এম এ মাসুদ রানা
কখনো বলি ফিরে এসো তুমি, আবার কখনো বলি এসো না ফিরে!
হঠাৎ ঘুম ভাঙার পর জানালার পর্দা ভেদ করে মৃদু আলো চোখের ওপর পরাতে শরীরের কম্বলটা টেনে মাথাটা ঢেকে নিজেকে জড়সড় করে আবার ঘুমাতে চেষ্টা করলাম। এক চোখে প্রচণ্ড ঘুম ভাব থাকা সত্তেও আর এক চোখ যেন ঘুম না পারার দলে। এক পলক ঘুম আসতে দেয় না।
চোখ খোলা রেখেই বালিশের পাশে থাকা মোবাইলটা হাতে নিয়ে সময়টা দেখলাম। সময় তখন সকাল ০৭.৩০ মিনিট।
কি যেন মনে হতে লাগল ঠিক এই সময়টাতে। কি যেন করতে হবে সকাল ০৭.৩০ মিনিটে ঠিক মনে করতে পারছি না। প্রতিদিনই তো এই সময়টাকে ঘিরে কিছু একটা করতে হয় আমাকে কিন্তু আজ কেন মনে পড়ছে না ?
ভাবছি হয়ত মনের ভুল, তাই ভেবে নিরব হয়ে দুই চোখের পাতা বন্ধ করে ভাবনার সাগরে ডুব দিলাম। হ্যাঁ মনে পড়ছে কি করতে হবে আমাকে। ভেবেই আমি আনন্দিত কিন্তু কাজটা করার পর কতটুকু আনন্দিত হবো তা একমাত্র ওপরওয়ালা ছাড়া আর কাউকে বুঝাতে পারবনা।
প্রথম তোমার কণ্ঠস্বর শুনে দিনের শুরু করতে হয় আমাকে এই সমটাতে। জানি তোমার ফোন ১০ মিনিট কম ০৮টাতেই সুইচ অন করবে। তারপরও কেন জানি ঠিক ০৭.৩০ থেকেই তোমার ফোনে ট্রাই করতে ভালো লাগে ঠিক এই কথাটার জন্য যে, তোমার মত তারছিরা পাগল আমি আমার জিন্দেগিতেও দেখিনাই যে কিনা গত ১ বছর যাবত একই সময়ে একই কথা বলার জন্য অনবরত ফোনে ট্রাই করে যায়, শুভ সকাল মাসুদ , লাভ ইউ সো মাচ।
শুরু হল আমাদের কথা চলা। দুপর ২টা পর্যন্ত চলবে আমাদের এই ননস্টপ এস এম এসে কথা বলা। চলে আসবে অনেক রকম কথা বার্তা, হাসি কান্না, সুখ দুঃখ এমনকি হাজার বার একই কথা, লাস থেকে ওঠে অফিসে ওপর একটু রহম করোরে বাবা। শুধু চুপটি করে কথাগুলো হজম করতাম আর ভাবতাম, আল্লাহর অসীম মহিমা দ্বারা সৃষ্টি তুমি। কখনও কি পারবো আমার এই আমার এই কথা বলা মানুষটাকে। সে কি আমাকে একা ফেলে দূরে কোথাও চলে যেতে পারে ? মনে পড়ে অতীতের সব পুরোনো কথাগুলো ?
আজও আমি সেই ধ্যান ধারনা, চিন্তা ভাবনা থেকে বের হয়ে আসতে পারি নাই। আমাকে আজও অপেক্ষা করতে হয় ঠিক এই সময়টার জন্য। রাতে যত দেরি করেই ঘুমাই না কেন ঘুম ভেঙ্গে যায় এই সময়টাতেই। ফোন চেক করে দেখি ভুলবশত যদি ১টা এস এম এস আমাকে করে ফেল ?
তাহলেই হয়ত একটু কথা বলার সুযোগ পেয়ে যাবো। তাই আজও আছি আমি তোমার অপেক্ষায়।
প্রতিটা মানুষ সুখের স্বপ্ন দেখে, আমিও দেখেছিলাম তোমায় নিয়ে যা তুমি ভেঙ্গে দিলে। কেমন করে পারলে তুমি ? মনে আছে তোমার সেইদিন গুলোর কথা, মনে পড়ে আমাদের দুঃখ আনন্দের দিন গুলো ?
হয়তো মনে পরে না, তাইতো আজ তোমায় প্রশ্ন করি তোমার ভালোবাসায় কি সত্যতা ছিল না ?
তোমার কান্না কণ্ঠের কথাগুলোও কি মিথ্যা ছিল ? মাঝে মাঝে ভাবি কি অন্যায় ছিলো আমার, তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখাটা নাকি তোমায় অনেক ভালবাসাটা ! বদলে গেছ তুমি তাইতো আজ আমি তোমার কাছে অচেনা মানুষ।
আমার পৃথিবী হঠাৎ যেনো স্তব্ধ হয়ে গেছে আজ । চারিদিকে হাকাকার। হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসায় বাস্তবতা, ভবিষ্যৎ ও স্বপ্নময়তায়, স্বপ্নেই বেঁধেছিলাম তোমায় তাইতো যন্ত্রণাময় অসীম অপেক্ষা করছি । জানি না কখনও কারো ছিলাম কি'না। শুধু জানি ভালবাসি তোমায়। যে হেরে যায় তাকে পরাজিত বলা হয় না, পরাজিত তাকেই বলা হয় যে জিততেই চায় না। আমি তো তোমাকে ছেড়ে যায়নি, এখন তুমিই বল তুমি জয়ী হলে নাকি আমি হেরে গেলাম তোমার কাছে ?
ভালোবাসাবা সীমাহীন এই দিন সব নয়, শেষ নয়, আরো দিন আছে, ততো বেশি দূরেও নয় বারান্দার মতো, যেন ঠিক দরজার কাছে। যখন তোমাকে অনুভব করি আমার পৃথিবী কিছুক্ষনের জন্য থমকে যায়, হয়ত তোমার মধ্যে পৃথিবী ছাড়া কিছু আছে। সত্যি, লোকে বলে মন থেকে ভালবাসলে ভালোবাসা একদিন না একদিন জীবনে ফিরে আসেই। একা একা আর দিন কাটে না, মনের ভিতরের অঘটনগুলো আর কতকাল বেঁধে রাখব সেথায় ভরসার জলে কান্না শুনিয়ে তোমাকে বলতে চাই, মেয়ে ফিরে এসো, এসো না ফিরে জানিইতো আর আসবে না। তবুও মন বলে তুমি একদিন ফিরে আসবে। তাই আবার বলি তুমি ফিরে এসো আমার পানে। আবার নতুন করে সাজাবো আমাদের প্রেমের ভূবন।
অর্জন
___ ____ অর্জন _________
__ এম এ মাসুদ রানা ____
সংবাদ পত্র পড়ে মনে হলো
দেশটা গেছে রসাতলে।
সোনা দেশে নারী ধর্ষণ হলে
ধর্ষক ধরা পরেনা কলে।
শিশুর সাথে বৃদ্ধা ধর্ষণ
চলছে ধর্ষণ দিনেরাতে।
স্বামীকে বেধে তার সামনে
স্ত্রী ধর্ষণ শেষে মেশে।
মায়ের সামনে মেয়ে ধর্ষণ,
ছেলের সামনে মা ধর্ষণ,
ধর্ষণ উৎসব ভেবে ধর্ষক
করে বেড়ায় সুখের বর্ষণ।
মেতেছে এমন হলি খেলায়
বিচার বিভাগের নেই গর্জন,
স্বাধীন দেশে লাভ করে হলো
কি তাহলে এটাই অর্জন?
সব মানুষের মনে ব্যাথা
হচ্ছে না কথা বলা।
অপরাধীর মুক্ত হয়ে করছে
দারুণ হলি খেলা।
হচ্ছে না তো কারো সাজা
নিত্য নতুন করছে পাপ,
তারাই নিচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন সাজ
বিরুদ্ধে হচ্ছে না কাজ।
সবাই বলে এটা হলো আমাদেরই
বিশেষ কিছু অর্জন
তাই আইনের অজুহাতে করছে না
প্রশাসন এটাকে বর্জন।
Wednesday, July 3, 2019
বিনিময়
বিনিময়
এম এ মাসুদ রানা
বিভাবসুর তীব্রতা
ক্লিষ্ট জনজীবিকা
জ্যোত্স্মা ভাস্কর কিরণ দেয়
ভবা স্বর কিরণে আছে যে, অভিমান।
স্পর্শকাতর হবে জ্যোত্স্ম,
জ্যোত্স্মগ্রহনে।
শৈল্পিক স্বর্গে সোহাগী বরণ
সম্প্রদায় আজি বিব্রত পতনে
পূর্বে ছিলো কি রতন?
যাচেনি কেউ তার যাতনা।
উচ্চ শিখার গলুক প্রস্তর
আসুক বয়ে শৈল্পিক স্বর্গ
থাকুক না মড়িঘরে-
আশাতীত মানবের লাশ।
তুলির ডগায় বিকৃতি রক্ত
রক্তে মাঝে মাঝে ভেসে আসে
আশাতীত রক্তের স্বপ্ন।
রক্তের প্রতিটি ফোঁটা
যাচিতে চাই কি এর কারন?
Monday, July 1, 2019
মুক্তমনের পাখি আমি
মুক্তমনের পাখি আমি
_ এম এ মাসুদ রানা _
______________________________________
মুক্তমনের পাখি আমি,
স্বপ্ন আমার ডানায় ভরা।
উড়ে চলি দূর অজানায়
সুখ পাখির সন্ধানে।
মেঘহীন এ গগণ,
পুরোটাই যেন আমার শহর।
পারো তো এসো এই শহরে,
চাঁদনী রাতের মৃদু বাতাস হয়ে,
পূর্ণদীপ্ত শশী হয়ে এসো
রৌদ্র হয়ে পোড়াতে নয়।
আমার এই সুখের শহরে
মুক্তডানায় মাখবো জোছনা।
না হয় এসো মুক্ত পাখি হয়ে,
আপন মনে, দুর্বার ডানায় উড়ে উড়ে।
দূর অজনায় হারিয়ে যাব,
ভালবাসার গহীন বনে।
Saturday, June 29, 2019
ফিরে এসো তুমি
ফিরে এসো তুমি
এম এ মাসুদ রানা
ফিরে এসো তুমি
দূর আকাশের নীলিমা হয়ে
চারিদিকে নীলিমার রঙ হয়ে
হ্নদয়ের সকল আঁধার দূর করে।
ফিরে এসো তুমি
দূর আকাশে গোধুলী বিকাল হয়ে
নির্জন মাঠে অতি গোপনে
আমার হৃদয় ছুয়ে দিতে।
ফিরে এসো তুমি
দূর আকাশের ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়ে
চারিদিকে ভিজিয়ে দিয়ে
আমার হ্নদয়টা সতেজ করে।
ফিরে এসো তুমি
সাগরের ঢেউ হয়ে
চারিদিক প্লাবিত করে
আমার পুরো হ্নদয় ভরে।
ফিরে এসো তুমি
রাত্রি বেলার জোৎস্না হয়ে
নির্জনে বলব কথা দুজন মিলে
অতি গোপনে গোপনে।
ফিরে এসো তুমি
বিদেশী অতিথি পাখি হয়ে
আপ্যায়ন করবো তোমায়
অনেক দিন পরে পেয়ে।
ফিরে এসো তুমি
বসন্তের পাখির গানে গান হয়ে
শুনব তোমার মন দিয়ে
হ্নদয় মন পুলকিত করে।
ফিরে এসো তুমি
আকাশের পূর্ণিমা চাঁদ হয়ে
সারা রাত দেখব তোমায়
আকাশের দিকে তাকিয়ে।
ফিরে এসো তুমি
জ্যোৎস্না রাতের জোনাকি হয়ে
দু’হাত দিয়ে ধরে রাখব তোমায়
জন্ম জনমের তরে।
ফিরে এসো তুমি
পোষ মানা পাখি হয়ে
মনের খাঁচায় রাখব তোমায়
আজীবন বন্দি করে।
ফিরে এসো তুমি
ফুলের বাগানের মৌ মৌ গন্ধ হয়ে
সুভাষিত গন্ধে আমার কোমল হৃদয়
হ্নদয় তোমার ঘ্রাণে ভরে যাবে।
ফিরে এসো তুমি
খণ্ড-বিখণ্ড এই হ্নদয়ে
ভাঙ্গা মনে লাগবে জোড়া
কোন দিনও যাবে না ছিড়ে।
Wednesday, June 26, 2019
আমার কিছু কথা
সালাম নিবেন কাকা!
আমার কিছু কথা!
আমিই বাংলাদেশ!
আমার ডাক নাম লজ্জা!!
আমি বিশ্বজিত,আমি অভিজিৎ,আমি নাদিয়া, আমি তনু, আমি খাদিজা, আমি রাজন, আমি নুসরাত!
আমি ব্যার্থ ছাত্র,
আমি প্রশ্নপত্র না পাওয়া হত দরিদ্র!
আমি অবিরাম বাংলার মুখ!
আমি লাল সবুজের কফিন!
আমি পিলখানার অসহায় সেনা অফিসারের আঁধারে দাফন!
আমি পাতানো নির্বাচন!
আমি স্বাধীন দেশের পরাধীন জনগন!
আমি আন্তর্জাতিক 'নিরাপরাধ' ট্রাইবুনাল!
আমি শেয়ার বাজার, ডেসটিনি, হলমার্ক, রিজার্ভ চুরি! আমি বাসে ধর্ষিতা মাজেদা!
আমি ছেলের সামনে ধর্ষিতা মা!
আমি ভাইয়ের সামনে ধর্ষিতা বোন!
আমি এমপির গুলিতে গুলিবিদ্ধ সৌরভ!
আমি গুম হওয়া সন্তানের মায়ের নিরব কান্না!
আমি রানা প্লাজার ধুলোয় উড়া লাশ!
আমি সরকারী ভবনে রডের বদলে বাশঁ!
আমি তাজরীনের অগ্নিকান্ডের অসহায় গরীব কর্মচারী! আমি শিল্পী হয়েও স্তব্ধ আসিফ আর মনির খান!
আমি 'দৈনিক আমার দেশ, ইসলামিক ও দিগন্ত টিভি'! আমি শত্রু রাষ্ট্র ভারতের পা চাটা গোলাম!
আমি ধ্বসে পড়া ভবনের নিচে গলিত লাশের গন্ধ আর পদ্মার লঞ্চ ডুবি!
আমি গুম হওয়া ইলিয়াস,আযমী, আরমান আর হুম্মাম!
আমি সাগর-রুনির মেঘ!
আমি ছিনতাই হওয়া অসহায় পথচারীর ব্যাগ!
আমি জন্মের আগেই গুলিবিদ্ধ নবজাতক শিশু!
আমি শাপলা চত্বরের নির্মম গনহত্যা!
আমি সাত খুণ শীতলক্ষ্যার পাড়!
আমি ফেলানী,
আমি ১৬ কোটি মানুষের ভাগ্য ঝুলে আছি কাঁটাতারে!
আমি অন্ধ, তাই আমার বিবেকের দরজা বন্ধ।
আমার কিছু কথা!
আমিই বাংলাদেশ!
আমার ডাক নাম লজ্জা!!
আমি বিশ্বজিত,আমি অভিজিৎ,আমি নাদিয়া, আমি তনু, আমি খাদিজা, আমি রাজন, আমি নুসরাত!
আমি ব্যার্থ ছাত্র,
আমি প্রশ্নপত্র না পাওয়া হত দরিদ্র!
আমি অবিরাম বাংলার মুখ!
আমি লাল সবুজের কফিন!
আমি পিলখানার অসহায় সেনা অফিসারের আঁধারে দাফন!
আমি পাতানো নির্বাচন!
আমি স্বাধীন দেশের পরাধীন জনগন!
আমি আন্তর্জাতিক 'নিরাপরাধ' ট্রাইবুনাল!
আমি শেয়ার বাজার, ডেসটিনি, হলমার্ক, রিজার্ভ চুরি! আমি বাসে ধর্ষিতা মাজেদা!
আমি ছেলের সামনে ধর্ষিতা মা!
আমি ভাইয়ের সামনে ধর্ষিতা বোন!
আমি এমপির গুলিতে গুলিবিদ্ধ সৌরভ!
আমি গুম হওয়া সন্তানের মায়ের নিরব কান্না!
আমি রানা প্লাজার ধুলোয় উড়া লাশ!
আমি সরকারী ভবনে রডের বদলে বাশঁ!
আমি তাজরীনের অগ্নিকান্ডের অসহায় গরীব কর্মচারী! আমি শিল্পী হয়েও স্তব্ধ আসিফ আর মনির খান!
আমি 'দৈনিক আমার দেশ, ইসলামিক ও দিগন্ত টিভি'! আমি শত্রু রাষ্ট্র ভারতের পা চাটা গোলাম!
আমি ধ্বসে পড়া ভবনের নিচে গলিত লাশের গন্ধ আর পদ্মার লঞ্চ ডুবি!
আমি গুম হওয়া ইলিয়াস,আযমী, আরমান আর হুম্মাম!
আমি সাগর-রুনির মেঘ!
আমি ছিনতাই হওয়া অসহায় পথচারীর ব্যাগ!
আমি জন্মের আগেই গুলিবিদ্ধ নবজাতক শিশু!
আমি শাপলা চত্বরের নির্মম গনহত্যা!
আমি সাত খুণ শীতলক্ষ্যার পাড়!
আমি ফেলানী,
আমি ১৬ কোটি মানুষের ভাগ্য ঝুলে আছি কাঁটাতারে!
আমি অন্ধ, তাই আমার বিবেকের দরজা বন্ধ।
Friday, June 21, 2019
প্রিয়ার কাছে নিবেদন
প্রিয়ার কাছে নিবেদন
এম এ মাসুদ রানা
আমি যাবো তোমার কাছে
আমি করবো দেখা তোমার সাথে
আমি বলবো কথা মিষ্টি সুরে
আমি পরিশেষে চলে এলাম তোমার কাছে।
তুমি আসবে বলে ওয়াদ করছিলে
তুমি দেখা করবে বলে কথা দিয়েছিলে
তুমি কথা বলবে বলে বেকুল হয়েছিলে
তুমি আয়োজন নিয়ে ব্যস্তও হয়েছিলে।
তুমি এসেছি, ওয়াদর কারনে
তুমি বলেছিলে, কথা দেওয়ার কারণে
তুমি নিজে রেখেছিলে ডেকে, ওয়াদার চাদরে
তুমি ব্যস্তও ছিলে, অবয়বে ছিল বিস্বাদের স্বাদ।
আমি শুধু নিঃচুপ ছিলাম
আমি চিন্তায় চিন্তায় বিভোর
আমি ভেবেছি শুধু তোমায় সারাক্ষণ
আমি চিন্তায় জানার চেষ্টা করছি এর কারণ।
তোমার অবয়বে যে, আঘাতের দাগ
তোমার অবসবে কি ব্যথার অনুতাপ?
তোমার এই কারণে করেছি নিজের উপর রাগ,
তোমার প্রতি ছিল যে, প্রবল অনুরাগ
তোমার আসার জন্যও ছিল বড় চাপ।
তোমায় তাই তো করেছিল অনেক চাপ
তোমায় করেনি এই কারনে মাফ।
তোমায় করেছে আঘাতের উপর আঘাত।
তোমায় করছে আঘাত, সেই কারনে কেঁদেছি দিনরাত।
তোমার আঘাতে আহত যে, আমি আজ
তোমার ব্যথায় ব্যথিত যে, আমি আজ
তোমার বোবা কান্নায় কাঁদিতেছি যে, আমি আজ
তোমার ব্যথা ভরা মনের জন্য দায়ী যে, আমি আজ।
পরিশেষে বলি,
আমি করিতছি মিনতি
আমি হলাম সবচেয়ে বড় দোষী
আমি হলাম সবচেয়ে বড় অপরাধী
আমি করিছে যে, ক্ষমার অযোগ্য ভুল।
আমায় তুমি করিও ক্ষমা, মাফ করে ভুল
আমায় ক্ষমা না করিলে পাবো না যে, কোন কুল।
Tuesday, June 18, 2019
ভাগ্য
ভাগ্য
এম এ মাসুদ রানা
বয়সটা আর কত হবে?
সাত কিংবা আট,
পায়ে পায়ে ঘুরে বেড়ায়
নেই কোন ফাট্।
ভাবনায় ঘুম ভাঙ্গে
মাকে নিয়ে চিন্তা,
সকালটা কি মধুর হবে
কেমন যাবে দিনটা?
ঘড়িতে জানান দেয়
বেজে গেছে সাতটা,
তড়িঘড়ি ছুটে বেড়ায়
হাতে নিয়ে প্রাণটা।
দাদা দিদি কেউ নেই
নেই তার বাবা,
আছে শুধু মা তার
তাও আবার বোবা ।।
শরীর তো নয় আর
শুধু রোগে ভর্তি,
চিন্তায় ঘুম নেই
নেই মনে ফূর্ত্তি।
পেটে নেই দানাপানি
পকেটটা শূণ্য,
রাতভর মায়ের সেবায়
নিজে হয় ধন্য।।
মনে মনে ভাবে আর
করে কাজ আনমনে,
বিধাতার একি খেলা
শয়নে ও স্বপনে।
পাশাপাশি দুটি পথ
জীবন ও মরণ,
মানা ছাড়া গতি নেই
ভাগ্যের লিখন।।
*****
Sunday, June 16, 2019
শ্রদ্ধেয় বাবা
শ্রদ্ধেয় বাবা
এম এ মাসুদ রানা
ঘাম ঝড়ানো পরিশ্রম করে
অন্ন তুলে দিতো আমার মুখে,
তিনি আর কেহ নয়
আমার শ্রদ্ধেয় বাবা।
রোজ ভোর বেলাতে ডেকে দিতো
আযানের সময়।
যায়তো ছুটে ফসলের মাঠে
আহার বুনেন ক্ষেত খামারে
করতো ফসলের তল্লাশি।
সন্ধ্যা সাঁঝে ফিরতো ঘরে
রৌদ্র মাখা ক্লান্ত দেহ
স্বার্থ বিহীন এমন মানুষ
ধরাতে হবে নাতো কেহ।
বাবার ছবি বুকে আঁকা
বাবা মনের কাবা ঘর।
জগৎ মাঝে কোন নেই তুলনা
বাবা আমার বাবা।
Friday, June 14, 2019
তুমি কি শুনবে
তুমি কি শুনবে
এম এ মাসুদ রানা
আমার ভাল-মন্দ
কিংবা দুঃখ ব্যথা!
তুমি কি শুনবে
আমার কিছু কথা?
আমার ভাল-মন্দ
কিংবা দুঃখ ব্যথা!
মাঝে মাঝে নিজেকে
লাগে বড্ড একা।
মনের মত বন্ধুর দেখা
পাবো আমি কোথায়?
চুপচাপ বসে থাকি
কিছু মনের ব্যথায়।
অচেতন মন বলে ওঠে,
কিছু একটা কর
কি করবো পাই না কিছু
এবার তুমি নড়।
কখন যে হয়ে যায় পার
সকাল-দুপুর-সাঁঝ!
একা একা কোন কিছুতেই
উঠে না মনের বাজ।
ইশ্ একটা কাজ যদি
থাকতো আমার হাতে!
ভাল কিছু করতাম আমি
দিনে কিংবা রাতে।
উদ্ভট কিছু চিন্তা ভাবনা
মাথায় চলে আসে
সেইসব চিন্তা ভাবনার
আগা মাথায় ভাসে।
চিন্তার সাগরে কখনো ডুবে
হাবুডুবু খাই!
মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে
বলি বাই বাই।
কি আর পড়বো? এখন তো
লাগছে সবই বাসি।
কখনো কখনো মনে হয়
সব কিছুই কাছাকাছি।
কখনো বা জানালা দিয়ে
দূরে তাকায়ে দেখি
চোখের দৃষ্টি মাঝে মাঝে
সুদূরে হারিয়ে যায় জ্বি।
মনের গভীর কল্পনা ছেড়ে
অনন্ত নীলিমায়।
কখনো আমি বন্ধুর কাছে
বলি তোমার আশায়।
উত্তরের প্রতিক্ষায় থাকে
আমার নয়ন দু'টি।
চোখের সামনে ভাসে যে
স্বপ্নে রঙ্গীন জুটি।
মনের মাঝে জাগে কত
হাজারো জটিল প্রশ্ন
মাঝে মধ্যে লিখে ফেলি
ছড়া, কবিতা বা রত্ন।
কখনো পড়তে ভাল লাগে
রূপকথার গল্প কথা
পড়ে বুঝে মনের মাঝে আসে
আসে যথাতথা।
রজনী পোহালেই ঈদ
রজনী পোহালেই ঈদ
এম এ মাসুদ রানা
রজনী পোহালে আসছে ঈদ
তাড়াও না তোমার চোখের নিঁদ
খুশির ছটা বুকে নিয়ে গাও সেই গীত
দূর করে দাও সকল ভেদাভেদ ।
আজকে বাসো সবাইকে ভালো
তাড়াও মনের বিভেদ কালো
মিষ্টি চাঁদের হাসি দেখে নিজে হাসো
হাসির রেখায় হৃদয় করো আলো।
নিজকে নিজে নতুন সাজে গড়ো
বিশ্বটাকে দৃঢ় করে ঈদের নামাজ পড়ো
ঈদের খুশির খুশবু মেখে ঈদগাহে যাও
হৃদয়টাকে ছোট করে খোদার কাছে চাও।
Tuesday, June 11, 2019
অপেক্ষা
অপেক্ষা
এম এ মাসুদ রানা
কীসের আশায়, কীসের নেশায়?
কার জন্য আপেক্ষায় আছি?
ক্ষণে ক্ষণে ফেলি দীর্ঘশ্বাস ।
আপেক্ষা যে, আপেক্ষা নয়,
বিষ পান করার মতই স্বাদ।
কথা ছিলো আসবে
আসতেও চেয়েছিলে
আসার জন্য মিনতিও ছিল।
করুণ সুরে বলেছিলে আসবে,
আসতেই হবে তোমাকে।
কেন করলে তুমি মিছে আয়োজন?
আয়োজন সাজেলে তোমার মত করে
আমার অপেক্ষায় থাকবে তুমি
বলেছিলে কেঁদে কেঁদে।
কথা ছিল অপেক্ষায় থাকবে
সেটা না করে অপেক্ষায় রাখলে।
জগৎ সংসার
জগৎ সংসার
এম এ মাসুদ রানা
আপন আপন করিয়া, কাঁদিলাম জনমভর
কী পেলাম, সেই কান্নার ফল?
কান্না করিয়া কাতোর হলাম
নিরাশ হইলাম আবশেষে, বুঝল না কেউ।
হেলেদুলে দিন গেল, বুঝলে না জীবনের হাল,
এই ভাবে কি আর চলবে কত কাল।
জীবন হলো কঞ্চি বাঁশের মতো,
জন্ম নেওয়ার সাথে ভাঙ্গে অবিরত।
ধনীরা ধন বাড়ায়, গরীবের তুলে পিঠের ছাল
দয়াল দয়ালেরে তোমার কী কোন দয়াময়া নাই?
জীবন দিলা জীবনের তরে, সদায় করিবো বাস
সদায় চলিবো সদায় বলিবো এমন ছিল আশ,
কেমনে হল নিরাশার ভীতরে বাস।
আশায় আশায় আছি, আমি হবো যে, সুখী।
যে, সুখের তরে ষাট লক্ষ বীর আছে উচ্চতরে,
না সিধীলে বিধিয়া কেবল, নর জনম ভর।
Wednesday, June 5, 2019
অভিমানী ভুলে যেওনা
অভিমানী ভুলে যেওনা
এম এ মাসুদ রানা
অভিমানী, চলে যেওনা…!
সবেতো এলে!
এখনো ভালবাসাই হয়নি।
শুভ্র বেলী ফুলের সুভাস মাখিয়ে,
এখনো বলা হয়নি ভালবাসি!
এখনি চলে যেওনা!
শব্দের ছন্দে তোমায় শিশিরে সিক্ত করা হয়নি।
উচ্ছল প্রকৃতির চোখে চোখ রেখে,
এখনো তোমার মোহে সন্মুহিত হইনি।
নিশ্চুপ গভীর মায়ায় জড়িয়ে ধরা হয়নি!
গুধুলী লগ্নে তোমার মায়াবী মুখে সপর্শ করা হয়নি!
অভিমানী, চলে যেওনা!
সবেতো এলে!
এখনো তোমায় ভালই বাসা হয়নি!
তোমার চোখে সার রং মাখিয়ে,
পৃথিবীর বুকে আল্পনা করা হয়নি।
তোমার হাসিতে মুখোরিত পুষ্প কাঁননে,
বিহঙের কলতান শুনা হয়নি!
একটা রাত তোমার আবেশে শিহরিত হইনি!
ভোরের মিস্টি আলোয় চোখ মেলে,
তোমার উস্কোখুস্কো চুলে বিলি কাটা হয়নি!
অভিমানী, চলে যেওনা!
সবেতো এলে!
তোমায় এখনো ভালবাসাই হয়নি!
তোমায় ছাড়া যার ভোর হয়,
সে তো বড় হতভাগিনী!!
তোমার আবেশে যার চোখের পাতা এক না হয়,
সে তো কলংকিনী!
অভিমানী, চলে যেওনা!
সবে তো এলে!
এখনো ভালবাসাই হয়নি!
সবে তো দেখা হলো..!
তোমার ভাগ্যে আমার জীবন শুরু হলো।।
এখনো ভালবেসে ভালবেসে ক্লান্ত হইনি।
সবে তো তোমার ইচ্ছেয় আমার পথ চলা শুরু হলো,
এখনি থেমে যেতে বলোনা!
সবে তো তোমায় ভালবাসলাম।
এখনো ছন্দের সুঁতোয় শব্দ দিয়ে কবিতা লিখা হয়নি।
অভিমানী…..
চলে যেওনা…!
সবে তো এলে,
এখনো ভালবাসাই হয়নি।
Monday, June 3, 2019
কষ্টের সীমানা
কষ্টের সীমানা
এম এ মাসুদ রানা
কষ্টের সীমানা কতদুর ?এর শুরু কোথায়? শেষ কোথায় ?
কারো কষ্ট মুহুর্ত মাত্র,
কারো কষ্ট অষ্টপ্রহর।
কারো কষ্ট সপ্তাহ, মাস বা বছর,
কখনো বা যুগ !
কারো কষ্ট জীবনের অন্তিম শয়নেই সমাপ্তি টানে।
কারো কষ্ট শুকতারার মত হঠাত খসে পরে।
কারো কষ্ট ইন্দুরবির মত পালাক্রমে আসে।
কারো কষ্ট তমঃবিষাদে নক্ষত্রের মত জ্বলে।
কারো কষ্টে কষ্টেই গাঁথা সুখের মালা।
কষ্টের সীমানা কতদুর ?
কারো কষ্ট এলোমেলো, কারো কষ্ট একা।
কারো কষ্ট নিরবে কাঁদে, যায়না তারে দেখা !
কারো কষ্ট দিন দুপুরে, কারো কষ্ট রাতে,
কারো কষ্ট লালে লালে নীল,দাগ কেটে রয় সুপ্রভাতে।
কারো কষ্ট নস্ট বলে, নস্টেই কাব্যের কষ্ট ,
নস্টে নস্টে এক জীবন হারে, কষ্টের গল্পটি স্পস্ট।
কষ্ট আমার চোখের কোনে, বুকে কষ্টের মরুভুমি,
কষ্ট আমার একলা রাতের, কষ্ট আমার তুমি।
কষ্টের সুতোয় কাব্য গাঁথি ,কষ্টেই আমি বাঁধা ,
অশ্রু দামে কষ্ট কিনি, কষ্টেই সুখ গাঁথা ।
কষ্ট আমার একটা আকাশ, বরফ গলা নদী,
কষ্ট আমার একটা অতীত, ছুঁয়ে দেখতে যদি।
কষ্ট আমার ঘরের চোকাঠে, শীতল পায়ে হাটে,
কষ্ট নড়ে চোখের ভিতর, কষ্টের কোলে বছর কাটে।
কষ্ট আমার দুপুর বেলা, কষ্ট একলা রাতি,
কষ্ট বুকের ভাসমান পাঁজর,কষ্ট পথের সাথী।
কষ্ট তোমার বিমুখ হওয়া, কষ্ট জলরাশি,
কষ্টের সাথে সন্দ্বি আমার, কষ্টে কষ্টে হাসি।
কষ্ট খুঁজি সকাল সন্দ্ব্যা, কষ্টেই যত ভয়,
কষ্ট আমার গোপন রাতের, সন্দ্ব্যাতারা সাক্ষী রয়।
Saturday, June 1, 2019
মা
__________মা____________
____এম এ মাসুদ রানা_______
মা!
তোমার আঁচল এতো যে নিরাপদ
আমি বুঝতে পেরেছি আজ।
তোমার গর্ভ হতে জন্ম আমার
তবু কেন এত জীবনের লাগি বাজি।
মা'গো!
তোমার আমার একই নরীতে বাধা প্রান
ভুলে যাইনি গো মা আজো আমি।
কাজের চাপে ভুলে আছি মা
'করো না অভিমান!
করলে অভিমান
তোমার অভিমানে হবে অকল্যাণ।
তুমি মমতা ময়ী মা' গো তুমি মমতা ময়ী!
আমি পরাজিত তুমি জয়ী।।
মা !
তোমার কাছে তোমার খোকা
তোমার জীবনের চাইতে দামী
তাইতো আমারে রেখেছিলে যঠরে জানে অন্তযামি।
তোমার বকনিতে মধু মাখা
মাগো শাষনেও আদর মাখা!
আমি দৃষ্টির আড়ালে গেলে
পরে মাগো তোমার হৃদয় হাহাকার করে।
(শূন্য )ফাঁকা !
আমি অধম মাগো
তোমার সন্তান
তুমি উওম আমি জানি ।
মা বড়ই আমি অপরাধী মাগো •••••••••○○
____এম এ মাসুদ রানা_______
মা!
তোমার আঁচল এতো যে নিরাপদ
আমি বুঝতে পেরেছি আজ।
তোমার গর্ভ হতে জন্ম আমার
তবু কেন এত জীবনের লাগি বাজি।
মা'গো!
তোমার আমার একই নরীতে বাধা প্রান
ভুলে যাইনি গো মা আজো আমি।
কাজের চাপে ভুলে আছি মা
'করো না অভিমান!
করলে অভিমান
তোমার অভিমানে হবে অকল্যাণ।
তুমি মমতা ময়ী মা' গো তুমি মমতা ময়ী!
আমি পরাজিত তুমি জয়ী।।
মা !
তোমার কাছে তোমার খোকা
তোমার জীবনের চাইতে দামী
তাইতো আমারে রেখেছিলে যঠরে জানে অন্তযামি।
তোমার বকনিতে মধু মাখা
মাগো শাষনেও আদর মাখা!
আমি দৃষ্টির আড়ালে গেলে
পরে মাগো তোমার হৃদয় হাহাকার করে।
(শূন্য )ফাঁকা !
আমি অধম মাগো
তোমার সন্তান
তুমি উওম আমি জানি ।
মা বড়ই আমি অপরাধী মাগো •••••••••○○
Tuesday, May 21, 2019
কালবৈশাখী
কালবৈশাখী
এম এ মাসুদ রানা
এক বৈশাখে নদীর বাঁকে
চৌরাস্তা বাজারে,
দলে দলে কোলাহলে
যেই না সবাই ঘাটে।
আকাশ কালো বজ্র আলো
উল্থাল জমিন পর,
এমনি হলো এলোমেলো
কালবৈশাখী ঝড়।
হাওয়ার তোরে সবই ওড়ে
লন্ডভন্ড হলো বালিয়াডাঙ্গী,
ঝড়ের সাথে বৃষ্টি নামে
যায় ভেঙ্গে গাছ-পালা ও বাড়ি।
তৃপ্ত হাওয়ায় দগ্ধ দেহে
শীতল পরশ মনে,
বোশেখ এলে কালবৈশাখী
ভাবায় ক্ষণে ক্ষণে।
Monday, May 20, 2019
অব্যক্ত কথা
________ অব্যক্ত কথা ___________
******* এম এ মাসুদ রানা *******
তুমি ছিলো আমার প্রথম ভাল লাগা
ভাল লাগাতে হয়েছিল ভালবাসা,
ভালবাসা নিয়ে ফুটল ভালবাসার ফুল
ভালবাসার ফুলে হয়েছিলও মালা
পরবো পরবো বলে হল না পরা।
আজও ভালবাসি বড় বেশি তোমায়
তোমার কথা মনে পরে বারে বারে,
প্রানটা হয় ব্যাকুল।
ভূলি নাই আমি , তুমিও রেখেছে মনে
হৃদয়ের গভীর অতলে।
আজ বহু দিন পড়ে মনে পরে যায়
আছড়ে পড়ে হৃদয়ে স্মৃতির ঢেউ,
যেমনি আছি আমি ,তুমিও ঠিক তাই,
কিছুটা ভাজ বদনে।
মনের সজীবতা ,চাওয়ার গভীরতা
একটুও পরিবর্তন হয়নি এখনো।
Friday, May 17, 2019
অবসান
~~~ অবসান ~~~
~ এম এ মাসুদ রানা ~
স্মৃতির পাতায় আজো
তুমি পুস্প হয়ে ফুটে।
পুরোনো সব স্মৃতিচারণ,
উঁকিঝুঁকি মারে মনের ঘরে।
মন আজ্ঞিনায় বাতাস হয়ে
রোজ আসো আমার বাতায়নে।
রাত্রি হলে আকাশের মাঝে
চাঁদ হয়ে ভাসো মনের গভীরে।
আলোয় আলোয় অনুভূতি ছড়ায়
সেই স্মৃতি যেন আসে আমার পাশে।
তবুও যে আমার থাকে পেরেশান
থাকে পাওয়ার সব আয়োজন
সেই স্মৃতি কবে হবে অবসান।
Tuesday, May 14, 2019
যৌবনের গান
যৌবনের গান
এম এ মাসুদ রানা ------------------------------------সোনামনি, সোনামনি,
আমরা কচিকাচার দল
দেশের মোরা কর্ণধার হবো,
দেশটাকে গড়বো নতুন করে
এটাই করবো মন বল।
ছুটছি মোরা দুরন্ত নেশায়
শিশু থেকে কৈশরে,
কৈশর থেকে যৌবনে,
নীল আকাশ ছুইয়ে দিবে ,
রংধনুর সব রং রাঙ্গিয়ে নিবো,
সততা বিশ্বাসের রশ্মি দিয়ে।
দেশটাকে গড়বো মোরা
যৌবনের গান........ ।
নতূন সূর্য আনবো মোরা,
দূর্নীতিকে রুখে দিবো
তোরা দেখবে বসে সবে।
দুলদুল ঘোড়ায় চড়বো মোরা,
দুরন্ত বেগে ছুটবো মোরা,
দেশ হতে দেশান্তরে।
সোনার বাংলা গড়বো মোরা
যৌবনের গান........ ।।
Sunday, May 12, 2019
ছোট্টো পাখি
ছোট্টো পাখি
__ এম এ মাসুদ রানা ____
সবুজ বনের ছোট্ট পাখি
অবুঝ তার মন!
জানে না এই জগৎ জুড়ে
আছে অন্য জন!
কে আপন কেইবা তার পর
জানতে চাই না কখন
আপন মনে ঘুরে বেড়ায় ঘুরে
সুখ থাকে না যখন।
নীল আকাশের বুকে বসে
আছে সে মহাসুখে
তাইতো সে নিজে দুঃখ ভুলে
থাকতে চাই সুখে!
Wednesday, May 8, 2019
নারী
এম এ মাসুদ রানা
হে মুসলিম নারী,
কিছু কথা বলি
তোরা শোন, তোরা শোন,
পার্লারে কেন যাও?
ওজুর পানির চেয়ে,
ভালো মেকাআপ
পৃথবীতে আছে বল কী?
তোদের সৌন্দর্যের প্রকৃত রুপ
ঢাকা পরে বেরঙ্গের মেকআপে!
মেয়েদের সম্মান বাড়ে শুধু
পর্দা আর ইবাদতে।
তাই বলি কি শোন
দুনিয়াবি ও মেকআপ ছেড়ে
দীন ইসলামের পথে চলো!!
এই পথেতে পাবে তোরা
জান্নাতের আলো!!
Sunday, May 5, 2019
শ্রাবণ
_______ শ্রাবণ _________
___ এম এ মাসুদ রানা ___
আকাশ ঘিরে মেঘ করেছে
ডাকছে কড়কড়!
বৃষ্টি হবে মুষলধারে খবর
শুনে সবাই জড়সড়,
সূয্যি মামা দেয় দিবে না
কথায় হবে না নড়চড়।
রোজ সকালের স্নিগ্ধ আলো
আছরে পরা ভূবন মাঝে,
হৃদয় দুয়ার খুলে দিয়ে থাকি
সকাল সন্ধ্যা সাঁঝে।
চোখে জমা বিষাদ টুকু
কলো মেঘের সাথে,
যাক নিমিষে ধুয়ে সকল
বৃষ্টি ভেজা রাতে।
ভালোবাসার নামবে শ্রাবণ
মনের ছুঁয়ে যাবে যাতে।
Friday, May 3, 2019
নীল পরী
_____ নীল পরী ______
__ এম এ মাসুদ রানা __
নীল আকাশের নীল পরীরা
উড়ছে দিবানীশি,
আমার বাড়ি আসলে তরা
বাজবে সুখের বাঁশী।
নীল পরীরা নীল জামাতে
কি সুন্দর নীল চোখ!
এই চক্ষু দেখলে তাদের
রইবে নাকো দুঃখ শোক।
আমার প্রিয়া যদি পড়তো জামা
নীল কারুকাজে আঁকা,
ডাকতাম কি আর নীলপরীদের
থাকতাম না বসে একা একা!
শ্রমিক
মোঃ জুলফিকার আলী জিল্লুর
ঘাম ঝড়ানো বুকে,বুকের পাঁজর ভাঙ্গা,
কাজের ফাঁকে খুন ঝরে গা হয়েছে রাঙা।
হঠাৎ করে মালিক এসে, কাজে দিলে ফাঁকি!
মজুরী তো পেলে না আজ, কাজ যে আছে বাকী।
রক্ত ঝরা গায়ে হাত দু 'খানা পেতে-
এমন কথা বল না বাবু "
ছোট্ট ছেলে অনাহারী পায়নি যেনো খেতে।
ধুততেরী সব বায়না ধরো অনাবদারী যত!
কাজ মিটেনি রক্ত ঝড়ার ছলে, পয়সা দেব কত।
বিনয়ী স্বরে ' বাকিটুকু কাল জীবন বাজি রেখে-
যা পাব মিলিয়ে দিও কাজটি তোমার দেখে।
আজ শুধু দাও অর্ধেক,কিনবো কিছু খানা-
বাকীটুকু না হয় দিও পরে,করছি না তো মানা।
ক্ষিপ্র স্বরে ' মুখে মুখে তর্ক কর কেন?
কাজটি কর শেষ,উল্টো হয় না যেনো।
ক"দিন পরে মিটিয়ে দিব সব,পাওনা আছে যত,
আর যদি হয় তেরাবেরা,শ্রমিক আছে কত!
অশ্রু -ঘাম -রক্ত মিলে হৃদয় হলো একাকার
ক্ষুধা-তৃষ্ণা অশ্রুসিক্ত তনু প্রশ্ন করে তুমি কার?
কাজের মালিক পাওনা যে রোজেই রাখে বাকি-
রক্ত তুমি বৃথা,তুমিও দিলে পাওনা পেতে ফাঁকি।
আজ যদি কাঁদে অনাহারে সন্তান, তুমি বিধাতার!
বিচার চাইনি আমি' মালিক ওরা,বিচার হবে কার?
অধিকার চেয়ে ' বছরে বছরে হাঁক তুলি একবার,
জানিনা!কোথায়?কি?কার কাছে এ আবদার?
Wednesday, May 1, 2019
নিরাশা
নিরাশা
এম এ মাসুদ রানা
ভালবাসার তো নেই কোন সময়
ব্যস্ত ও কাজে কাটে এই জীবন
বুকে হাত বেধে রাখা যায় না আর
ঘাড় বাকা করে দাড়ানোর নেই সময়
ঘামের জলে শীতল হয় গা
প্রখর রৌদ্দুরে বড়ই ক্লান্ত আমি
কাছেও পাই না কোন কিছু
কিভাবে মিটাবো হৃদয়ের রৌদ্দুর।
কাজের মাঝে কেটে যায় বেলা অবেলা
ব্যাকুল করে মন কাজের কোলাহলে,
তৃষ্ণায় বড় ক্লান্ত এই প্রাণ
জল টেনে পান করার নেই কোন সময়
আমার নদী বয় না আমার পানে
নেই তার কোন স্রোত
আটকে রাখে শুধু সংসারে
আটকা মনে বাধা দেয় সময় অসময়।
ফিরবো কখন তোমার পানে
বন্দী যে, আছে আমার দুটি আঁখি,
বাধা দেয় যত সমাজের যত বাসনা
যত বাধা যত কথা সবে মোর নিরাশা।
Monday, April 29, 2019
Sunday, April 28, 2019
শ্রমিকের গান
শ্রমিকের গান
এম এ মাসুদ রানা
লেনিন আর লেনিহান
ধর্মতলা আর আগরতলা
মে দিনের গান
কলাতী আর
সলোমনের মা
ফুল ও বসন্ত
সুভাষের বিরুদ্ধে সুভাষ।
আর তারপর
বেলভিউ নার্সিংহোম
এবং শেষশয্যায় শায়িত
আছে শত শ্রমিকের শ্রম।
পদাতিকের পা থামে
কাদের যেন
পা চালানোর কথা থেকে যায়
ইতিহাস তো লেখায়
কত মানুষের কথা।
বেশি করে লেখা হলো না
আমার ক্ষুদ্র শ্রমিকের কথা।
Saturday, April 27, 2019
তরুণের গান
____তরুণের গান___
__এম এ মাসুদ রানা__
জেগে উঠো তরুন সমাজ
অলসতা আর করো না
আলসতার সময় শেষ,
শেষ হয়ে যাচ্ছে আজ
তোমার আমার বাংলাদেশ।
---
তোমরা যদি তরুণ সমাজ
থাকো সবাই মৃয়মান
পানি ছাড়া শুকনো মোহনা
না তুলে কোন শব্দ
না থাকে কোন জলজ প্রাণ।
---
বাংলাদেশ হারাবে তখনি
যখনি যুব সমাজ হবে দূর্বল
দেশকে করো সবেমিলে ভক্তি
হয়ে যাও সবল ও সতেজ
সাহস ও শক্তি আনো মনে
তরুন ছাড়া থাকবে না এদেশের প্রাণ।
--
Thursday, April 25, 2019
আল্লাহর রহমত
★আল্লাহর রহমত★
এম এ মাসুদ রানা
ছলছল জলধারা
তাকে বলে ঝরনা।
ভাদ্রের রৌদূরে
কখনো হয় তো বন্যা!
টলটলে অশ্রুতে
মুখভরা কপোল,
আঘাত পেলে আসে
দু"চোখে জল।
আদিষ্টরই শীর
হয় গো ধীর!
পাপের প্রাচীরই
হইবে চৌচির!
ঘুচে দাও মুছে দাও
আঁধারের দাগ!
প্রাণবাঁশির মুছে যাক
হারনো যত রাগ!
দূর হবে জীবনের
সব কালো রাত!
আসবে ক্ষমার রাতি
আল্লার অশেষ রহমত।
Monday, April 22, 2019
Sunday, April 21, 2019
উৎসব
এম এ মাসুদ রানা
ধর্ম যার যার উৎসব যেন সবার
এই কথাটা মানি না তো আমি
কেন আমায় নিয়ে করো টানাটানি?
তোমাদের চলন বলনও মানি না আমি।
আমি বলি শুনো,
ধর্ম আমার উৎসব আমার
তোমার বৈশাখ আমার নয়!
যেমন করে আমার সালাত
আমার জুমাহ তোমার নয়!
উৎসব মানেই নয়তো হাসি
উৎসব মানে হয় ইবাদত!
উৎসবে হয় নেকি,বদি
বুঝে শুনে আগাও পথ!
কুরান হাদীস জীবনের বিধান
একটু খুলে দেখবেন ভাই!
বৈশাখী সাজ প্রসাদ খাওয়া
হারাম জানা শিখরে ভাই!
Subscribe to:
Posts (Atom)