ইন্তেজার
এম এ মাসুদ রানা
ফের যদি তুমি ফিরে এসো তাই
চেয়ে চেয়ে ইন্তেজার।
মানের মতো করে সাজাবো
এমন ভাবনায় আবার।
দিন বল আর সেই রাতের গভীরে
খুঁজি আমি বারবার
সাথে খুব আকুলতা নিয়ে মনে
করছি যে ইন্তেজার।
ইন্তেজার
এম এ মাসুদ রানা
ফের যদি তুমি ফিরে এসো তাই
চেয়ে চেয়ে ইন্তেজার।
মানের মতো করে সাজাবো
এমন ভাবনায় আবার।
দিন বল আর সেই রাতের গভীরে
খুঁজি আমি বারবার
সাথে খুব আকুলতা নিয়ে মনে
করছি যে ইন্তেজার।
হাসির ঝলক
এম এ মাসুদ রানা
তোমার হাসিতে আকাশ হাসে
তোমার হাসিতে জোছনা আসে।
তোমার হাসিতে ছন্দের ছড়াছড়ি
তোমার হাসিতে প্রেমের জোড়াজুড়ি
তোমার হাসিতে রাত্রী হয়েছে মাতাল
তোমার হাসিতে প্রেম করেছে কাতল।
তোমার হাসিতে শুরু হয়েছে ভালোবাসি
তোমার হাসিতে প্রিয়া এসেছি কাছাকাছি।
তোমার হাসিতে মিষ্টি সুবাস ছড়ায়
তোমার হাসিতে আমার হৃদয় নাড়াই
তোমার হাসিতে আছে অনেক বিশালতা
তোমার হাসিতে ভেসে আসে আকূলতা।
তোমার হাসিতে করে মুক্তার ছড়াছড়ি
তোমার হাসিতে আমিও করি নড়ানড়ি
তোমার হাসিতে মিলনের গান ধরি
তোমার হাসিতে প্রেমের বাসর গড়ি।
এম এ মাসুদ রানা
অহেতু মতামত দিও না তুমি
তোমার মতামতের যোগ্য কি আমি?
তুমি তো আমার থেকে অনেক দামী
মূল্যবান মতামত করো না কখনো বেদামী।
শান্তনা দেবার জন্য বলো না হাই
জোর করে কিছু করার দরকার নাই,
আমি আমাকে জানি, আমি শুধুই ছাই
আমার উপরে ঘি ঢেলেও কোন লাভ নাই।
জীবনের গতি থেমে গেছে
চলতে পারি না আগের মতো নেচে নেচে
আত্ম হত্যা মহাপাপ জেনে এখনো আছি বেঁচে
কি হবে কুয়াশার মাঝে আলো নিয়ে ছুটে।
তোমার চলন বলন সবে এসেছে বুঝে
তবুও অবুঝ মন তোমার মতামত খুঁজে।
তোমার তুলনা হবে না, কোন কিছু সমতুল্য
তোমার মতামতের দিতে পারবো না মূল্য।
সেই তরে বলি আমি,
তোমার মন যদি আমারে না চাই
প্রিয় নাম ধরে ডেকো না আমায়
সহজ করে বলে দিও আমায় বিদায়।
প্রিয়ার কাছে নিবেদন
এম এ মাসুদ রানা
ওগো মোর প্রিয়তমা
থেকো না এতো দূরে
কাছে এসে পাশে বস
সবকিছু দিবো ভরে।
তোমায় স্বপ্নে দেখি আমি
গোধুলি এক বিকেলে
বলেছিলে থাকবো চলবো
সুখের কথা বলে বলে।
এলোমেলো জীবনটাকে
সুখে দিবে ভরে,
এই বাসনা মনের মাঝে
হরদমেই নড়েচড়ে।
সুন্দর করে গড়বো জীবন
বুঝবো নিজের মত,
কোমল হাতের ছোয়া পেয়ে
ভুলবো মনের ক্ষত।
শুধু তোমার জন্য
এম এ মাসুদ রানা
শুধু তোমার জন্যে
এই সাজ সাজ প্রহর,
সাজোয়া পৃথিবীর আকাশ
তারার মিতালি জব্বর
শুধু তোমার জন্যে
এই মৃদু মৃদু আলো,
উত্তুরের বাতাস গায়ে
শীতল বাতাস জমকালো।
শুধু তোমার জন্যে
এই মায়াবী চোখ,
হাজার নদী মতো স্রোত
প্রতিক্ষণে ভেজা পলক।
শুধু তোমারই জন্যে
এই ঠোঁটে ছিলো হাসিহাসি
দূরের বনে আনমনে বসে থাকা
নিত্য কাঁদে বেহেলা বাঁশি।
স্বপ্নের রাষ্ট্র
এম এ মাসুদ রানা
আমি আমার রাষ্ট্রে,
কখনো হয়ে যাই প্রধানমন্ত্রী,
মন্ত্রী পরিষদও গঠন করি,
থাকেনা কারোই ভোটাধিকার ;
প্রয়োজন হয় না গণতন্ত্রের
দরকার হয় না আমলাতন্ত্রে
তৈরি করতে হয় না রাষ্ট্রীয় যন্ত্র।
মন্ত্রে থাকে না গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ!
থাকে না রাষ্ট্রের কোন সীমানা
অবাধে চলতে নেই কোন মানা
কেউ কখনো দেয় না হানা
সবাই মুক্ত এটা সবার জানা।
সবাই মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়ে
চলে যাই দূর বহুদূরে থাকি ফুরফুরে।
---- তুমি প্রিয়ে ----
এম এ মাসুদ রানা
জানি তুমি ভাঙ্গিবে হৃদয়
কঠিন পাথর দিয়ে,
ভাঙ্গে হৃদয় প্রবেশ করতে
চাও আলো নিয়ে।
জ্বলবে কেমন, জ্বালাবে কেমন
টের পাবে নিজে,
পুড়াচ্ছো নন্দিত আঁধারে প্রদীপ
জ্বলছো কৃত্রিম দিয়ে।
সবই জানো সঠিকভাবে তুমি
সবটাই জানাও প্রিয়ে,
কোথায় যাবো, কেমনে রইবো
তোমার সনে যাও নিয়ে।
এম এ মাসুদ রানা
স্বাধীনতা মানে না আর কেউ
গড়েছে চোরের দল
আমার ক্ষমতা রাখার তরে
করবো অনেক ছল।
মারবো মানুষ, জ্বালাবো আগুন
পুড়ুক মানুষ আজ
আমিতো বেশ মহা সুখেই আছি
বাজাই সুখের বাজ।
দেশের কথা বলি মুখেমুখে
চলছে চুরি রোজ
শত অন্যায় চলছে দেশে
রাখিনা তার কোন খোঁজ।
মানবতা যে, মরেছে কবে
কষ্টই বেঁধেছে বাধ,
ভালর মুখোশ পরে আমি
চলছি দিন রাত।
এম এ মাসুদ রানা
নারীবাদী কিংবা পুরুষবাদী
ধরনীর বুকে ভরপুর,
ধর্মের মাঝেও চলে রেষারেষি
নৈতিকতা হয়েছে দূর
মৌলবাদী কিংবা হিন্দুবাদী
নিরপেক্ষতা বড্ড কম,
জাত অজাতের দ্বন্দ্বে এখন
নিরপেক্ষর আটকে দম।
পদ-পদাবলীর জোট পড়ে
মানুষ এখন মানুষ নায়,
মানুষ আমি মানুষ খুঁজি
সততার হয়েছে পরাজয়।
মানুষ পাবো কোথায় গেলে
মানবতার নাগাল পাবো,
সুর মিলবে তাঁর গানে সুরে
সাম্যের পথে চলবো।
এম এ মাসুদ রানা
হচ্ছে কেন উল্টোপাল্টা
কেমন আজব দেশ?
রূপের কাছে গুণ হারে
মিথ্যা দিয়ে সত্য শেষ।
ছাত্রের কাছে শিক্ষকের হারে
ভণ্ডের কাছে সম্মানী;
তর্কের কাছে ন্যায় হারে
মূর্খের কাছে জ্ঞানী!
টাকার কাছে শিক্ষা হারে
মূর্খের দেয় শিক্ষা;
পুত্রের কাছে পিতার হারে
এমন মোদের দীক্ষা।
এম এ মাসুদ রানা
বুঝিনা মনের মতিগতি
কি যে হলো অাজ
ফসকে গেলো, কুচকে গেলো
অন্তরের ভাজ।
কষ্ট হলেও আমায় ভুলে
ভালো থেকো,
তোমার প্রিয়জনকে তুমি
মনে রেখো।
মনে থেকে ভুলতে যদি
কঠিন কষ্ট হয়
সহজ করে বলে দিও
মনে নেই সংশয়।
ছিলাম তো প্রয়োজনে
আমি তোমার,
তোমার কথাতেই কাটল
মনের ঘোর।
লজ্জায় মরে আজ ইসলাম বিশ্ব
কাফের খুশিতে মশগুল,
ফিতনার যুগে কুফরের জয়
সত্যকে বলেছে ভুল।
পীরের পায়ে সেজদায় পরে
সত্য সব জলে ভাসে,
মুসলমানদের কর্মে মুনাফিক
জয়ের হাসি হাসে।
রচনাকাল ০৬/০১/২০২১
এম এ মাসুদ রানা
সত্য ও মিথ্যার মাঝখানে
টাকার বিস্তার হয় সবখানে।
টাকায় বাড়ায় সব আপত্তি
টাকায় সৃষ্টি করে শক্তির ভিত্তি।
টাকায় বৃদ্ধি করে সম্মান
টাকায় হলো পৃথিবীর তামান।
জগৎ জুড়ে টাকা উড়ে
টাকার মেলায় অনেকে ধরে।
রাজনীতি বলো সমাজকর্ম বলো
সর্বত্রই শুধু টাকা নিয়েই চলো।
অসৎ লোক পায় সুখ সাচ্ছন্দ্য
তারাই বসবাস করে মহানন্দে।
টাকায় তাদের একমাত্র হাতিয়ার
অর্থেই প্রয়োজনে করেছে তৈয়ার।
সুখের মাঝে খুঁজে দুঃখের ছায়া
টেনে আনে বারেবারে মিথ্যে মায়া।
এম এ মাসুদ রানা
খোদার প্রেমে বন্দী হয়ে
জনমভরে কাঁদিল কাবায়
ঘোরাঘুরি জনম দাসী
পিরীতের ইবাদত খানায়।
আমার ভেতর আমিই সেটা
সেই আমিটাই সর্বময়!
আল্লাহর কথায় পথ ধরিয়ে
এই ত্রিভুবন আলোকময়!
তামান পৃথিবী আলোকিত
ভুবন বেশেই মুসাফির!
কণ্ঠে ধ্বনি সরল বাণী
আল্লাহু আল্লা শান তাকবির।
এম এ মাসুদ রানা
মরুভূমির মরিচীকা দেখেছি,
রুক্ষতার মাঝেও দেখেছি উল্লাস।
আমি তোমাকে পেয়েছি সহজেই,
হারিয়ে ফেলেছি সব প্রতারণা।
তপ্ত বালুতেও ফোটে রক্ত রঙ্গিন ফুল
প্রতারকের প্রতারণা প্রতিশ্রুতি রক্ষায়।
মৃদু বাতাসে উড়তে দেখেছি,
তোমার এলোমেলো কেশাম্বলী।
আমার সবই তোমায় দিয়েছি,
তোমার ভালবাসার এক ডাকে,
মনের কথাও বলেছি অনায়াসে।
ভাঙ্গল আমার মনের ভুল!
বৈরাগ্যকে ভালবাসা দিয়েছি
তোমায় ভালোবেসেছি।
এম এ মাসুদ রানা
এই যে তুমি চলে যাও
আমার সামনে দিয়ে
আবার ফিরে দ্যাখ
ক্লান্ত ভরা মন নিয়ে।
পশ্চিমে অস্তমিত হলো বেলা
চেষ্টায় ছিল না হেলা,
তুমি কোথাই যে চলে যাও
সুখকে দিয়ে দোলা।
তোমার চোখে দেখা যায়
সীমাহীন ব্যস্ততা,
কাঁধে ঝুলানো থাকে ব্যাগ
অসম্ভব কিছু কথা।
এমন কি কর্ম ব্যস্ততায়
তুমি থাকো সর্বদাই?
কাজের মাঝে ডুবে থেকে
ভাগ্য ফিরাবে তাই।
তুমি ঘুচাতে চাও ব্যর্থতা
মনে প্রবল আশা,
সময় নেই ফিরে তাকানোর
নিজের প্রতি ভরসা।
তোমার ব্যথা ভরা মন
সাফল্য খুঁজে সারাক্ষণ,
কথা ফোটেনা তাই মুখে
হৃদয়ে চলে হরদমে রণ।
তোমার দুঃখের যত কথা
যত বেদনা জমা বুকে,
পার না সুখটুকু চেয়ে নিতে
রয়েছো শুধুই ধুঁকে।
কোথাও রাখো সমদুঃখ মাথা
মিলে যদি শান্তি
নিভে যায় যদি বুকের আগুন
একটু মিলে শীতলতা।
রচনাকালঃ- ২২/০৯/১৯ নোট
এম এ মাসুদ রানা
বাড়ির কাছে উপজেলা শহর
কৃষক কুমার নৌকা বায়
ন্যায়ের শাসনের লয় হলে
পৃথিবীর শোভা দেখা যায়!
আশেপাশে জাহান্নাম জ্বলে
জ্বলছে নরক অবিরাম,
অন্তবিহীন পান্থপথে কর্মফলে
বাতাসে নড়ে অবিরাম।
ভাল-মন্দ, সৎ-অসৎ
কে বা রাখে কার খোঁজ,
নতুন এসে পুরনো পতন
পূর্ণদেহ শূন্যেই হয় ভোজ।
মরণকে স্মরণ করুন
এম এ মাসুদ রানা
যেদিন ফুরিয়ে যাবে জীবনের আশা
সেদিন হারিয়ে যাবে মুখের সব ভাষা।
প্রাণহীন দেহখানি ঘরের রইবে পড়ে,
স্বজনেরা আঁখি জল মুছবে আঁচলে।
গুণগান গায়বে তোমার মরণের পরে
মনে হবে 'দুনিয়াটা ছিলো মায়ায় ভরে।
নিঃশ্বাস থেকে যাবে, কার বিশ্বাস আছে?
কে বলতে পারবে, কে ক'দিন নিজে বাঁচে?
বাদশাহ হও-মেথর হও; ধনী কিংবা গরীব হও
মৃত্যুর জন্য তোমরা সবাই সাদায় প্রস্তুত রও।
দু'দিনের এই মিছে মায়ার খেলা ঘরে;
কীসের এত্তো গর্ব করে রব বলো পরে?
মরণ যখন আসবে দুয়ারে; যেতে হবে ইশারায়
যমদূত শিকার করবে তোমায় তার নিজ ইচ্ছায়।
এম এ মাসুদ রানা
জীবন হিসাবের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে
আজ করছি শেষ ঘুমের অপেক্ষা।
পৃথিবীর চরম বাস্তবতায় স্থীর নিয়তি
অনন্ত জীবনে তরে দিতে হবে যাত্রাপথ।
পালিয়ে বেড়ানোর নেই কোন উপায়
নিঃষ্ঠুর রহস্যময় নিশ্চিত শীতল মৃত্যু থেকে।
নেই কোন প্রস্তুতি, নেই কোন অবকাশ
আকস্মিক নতুনত্বের ঘটবে আগমন।
কামনা-বাসনা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির সমাপ্তি
সাধ-স্বপ্ন, ইচ্ছা-অনিচ্ছা সবে হবে বিনাশ
নিরুপায় নির্জনতায় বাধ্যগত গহীনে প্রস্থান।
অন্ধকার গন্তব্যে মুছে যাবে ক্ষয়িষ্ণু অতীত
বন্ধ হবে পৃথিবীর সমস্ত মায়া কান্না কোলাহল।
অপ্রতিরোধ্য সময় নিয়ে যায় নির্জন নিরিবিলি
সীমাহীন এক অন্ধকার গোপন কুঠরিতে
যেতে হবে তখুনি জীবনের শেষ ঘুম ঘুমাতে।
এম এ মাসুদ রানা
ধূসর আকাশ-সাদা ঘুড়ি
চলে অদৃশ্য লাটাই দিয়ে
সে অর্থে হয় বেওয়ারিশ
নতুন সাঁজের আনাগোনা।
টবে সাজানো ক'টা চারা
সরল ছন্দিত ছন্দে ভরা
ঝড়ো হাওয়া থমকে আসা
গুল্ম গুলো হয়েছে ছন্ন-ছাড়া।
রক্ত রাঙা রোজ ক্যাকটাস
পরিপাটি সাঁজে গন্ধরাজ,
শিশু-সুলভ চয়নে অর্কিড
সময়ের তরে কাঠগোলাপ।
বেমালুম দর্শকের আগমন
অযথা করে না পায়চারি
জীবিত-মৃত ইন্দ্রের খেলা
নিভৃত করে কেউ আর্তনাদ।