Sunday, March 7, 2021

চক্ষু কানা

 চক্ষু কানা

এম এ মাসুদ রানা 


শির করো উচু, চক্ষু দ্বয় কানা

দেহের রূপকাণ্ড সবে জানা।

অন্যের কাজে করি মাথা গরম

নিজে কর্মের তরে নাহি সরম। 


রাব্বুল আল আমিনের কানুন ভুলে 

যত্রতত্র ভিন্ন ভিন্ন বাজনার তালে, 

প্রেম পিরীতির মিছে মায়ার জালে

সমাজ গেছে আজ চলে কোন হালে।


একক মনের ভাব হয়েছে নির্বলে 

দ্বিমত পোষণ করি সবে মনঞ্জিলে

দিল মিলে না কারো দিলে দিলে

আধুনিক জগৎ চলছে গরমিলে। 


বিবেকের দোয়ারে দিয়েছে হানা 

গুণীজনদের হয়েছে চক্ষু কানা।

জবান

 জবান

এম এ মাসুদ রানা 


চুড়ি পরা তোমার দুটি হাত 

শুধু অজুহাত চলবে তাতে

পর-দোষ দেখবি দিন রাত 

মনে আছে কাকে করবে কাত


মসজিদে, মন্দিরে ও গীর্জায়

ইনসাফ কান্দে হাই হাই 

ফতোয়ার তরবারী চলে তাই

শান দে রে শান দে জবান নাই।


হাতেও বেড়ি, পায়েও বেড়ি

জবানে নাই রে কারো লাগাম

জবান দিয়ে কিনছি শুধু হারাম

অসৎ কাজে চলি ধারাম ধারাম।


ধরনীর তলে আছে এখনো জবান

জবানের তরে জান করে কুরবান।

শুভ যাত্রা

 শুভ যাত্রা

এম এ মাসুদ রানা 


সোনালী রং লেগেছে 

পশ্চিম আকাশ মন্তরে,

রূপমার প্রজাপতি

দোলা দিয়েছে অন্তরে।


পরেছো সবুজ শাড়ি আর

নামটা নাকি জামদানি,

করেছো আমার হৃদয়ে

খুশির রেখার আমদানি।


আমাকে সিক্ত করেছো

শিশিরভেজা গল্পতে,

দু'জনে যাই ছুটে যাই

অভিলাসের জলপথে।


দু'জন মিলে চড়েছি এক

চমৎকার এক রথে,

মনের মাঝে সর্বক্ষণে

আসে এক কৌতূহল বটে।


বেলা শেষ আসচ্ছি দু'জন 

ফিরে আপন আপন গন্তব্যে,

কথায় কথায় ছিলো শুধু

তোমার আমার ভিন্ন মন্তব্যে।

শান্তি চাই

 শান্তি চাই 

এম এ মাসুদ রানা 


বার্মা থেকে ফিলিস্তীন

আফগানিদের রক্তহীন

শীরিয়াবাসী নিন্দ্রাহীন

ইরাকীদের আজাদের দিন।


রক্ত খাবে আর কতো

যমুনাতে জল যতো

লাশের স্তুপ হয় কত

মুসলিম তবু হয় না নত।


সবখানেতে ইসলামের

ইস্যু বানায় মুসলিমের!

সুন্নত দেখলেই জঙ্গীবাদ 

কথায় কথায় বলে বদজাত।


বিশ্বে কোন বিবেক নাই

কান্না শত শব্দ শুনতে পাই

সুশাসনের কোন আলামত নাই 

নির্যাতন দেখলে বলে হাই হাই। 


মুসলমানের এদেশ ভাই

তবু ইসলাম স্বাধীন নাই

ইসলামী কথার ঠাই নাই 

ধর্মবাদী সবাই হচ্ছে উধাও ্


বুনো হাওয়া মোর দেশে

পশ্চিমারা যেন যায় ভেসে

নির্যাতন শেষে দেশে শন্তি আসে

সবাই তো হরদমে শান্তি যাচে।

অতৃপ্তি তৃষ্ণা

 অতৃপ্তি তৃষ্ণা 

এম এ মাসুদ রানা 


আকাশে কত এলো পূর্ণিমা

এলো অমানিশা

কতো মেঘ নিজে সরে গেলো

বুকে নিয়ে তিশা।


নেই কোন কারো আক্ষেপ

শূন্যতাকে ঘিরে,

থাক না প্রেম শুধু অপাপ্তির

অস্থায়ী নীড়ে।


ক্ষনিকের সুখের সমাধান

চাই না এ তীরে

পরপারে এসো ওগো তুমি

হুর হয়ে ফিরে।


তোমার গ্রহণে থাকবে না 

কোন রকম বাঁধা 

না পাওয়ার অতৃপ্তি তৃষ্ণায়

হবে না তো কাঁদা।

সময়

 সময়

এম এ মাসুদ রানা 


সবাই যেন লাগায় তাড়া

সোয়ারী দুয়ারে হয় খাঁড়া 

বের হয়ে আয় এবার তোরা

জড়সড় এখন নয়তো মোরা।


চলে যাবো এটা জানায়

কোন এক দূর অজানায়।

সময় আপন গতিতে চলে

এই কথা গুণীজন বলে।


ফুরিয়ে যায় জীবনের দিন 

আর থাকতে না জ্ঞানহীন

শোধতেই হবে সব কিছু ভুল

কবর গহ্বরে পাবো না কুল।

সময়ের ঋণ করতে হবে শোধ

থাকবো না আর এখন নির্বোধ।

কথার আঘাত

 কথার আঘাত

এম এ মাসুদ রানা 


কথার আঘাত বড় কঠিন 

যেন বিষমাখা তীর

আঘাতে কিছু আহত মন

হয় না যে স্থীর। 


লাঠির আঘাত যদি করো

তবু পিঠে সয়

কথার আঘাতে ভাঙ্গে যে

পলকে এই হৃদয়


কথার আঘাত হলো তো

খোলা তলোয়ার

করে দেয় হৃদয়কে কচুকাটা

হয় টানাপোড়া


হয় তো পাথর মুখে রেখে 

পড়ে আছে তালা

পারলে নম্রতায় পরিয়ে দাও

কাঁটা তুলে মালা।

খুব ভোর

 খুব ভোরে

এম এ মাসুদ রানা 


রোজ ভোরে পানিকণা

হয় অনেক হিম

জ্বলে ওঠে এই পাপির

আশার পিদিম।


কোন সুখে বুক ভরে

জানি না রহিম

সাঁড়া দিতে ভালো লাগে 

হে করিম।


শীত হোক না যতোই

লেপের আদর

আমার এ মন খোঁজে

রহমানের চাদর।


অনন্ত কাল থাকতে চাই 

খোদার পথে 

খোদার খুশির তরে 

মসজিদে হয় যেতে।

কোথায় ভুল

 কোথায় ভুল

এম এ মাসুদ রানা 


মনে

শুধু ভয়

সম্পদ সবার নয়

জগৎ হবে একদিন ক্ষয়


সেরা

যেন তাঁরা

অর্থ লুটচ্ছে যাঁরা

সভ্যতা হচ্ছে শিল্পহারা


মিথ্যা

আমি কই

কারো ক্ষতে রই

এমন মিথ্যুক কেহ নই।


আপন

অহংকারে ভরা

সুযোগ বুঝে তাড়া 

সর্বস্ব কেঁড়ে নেয় তাঁরা।


ধর্ম

ফুটে অকর্ম

সাধক বুঝে মর্ম

সবাই খুঁজে শুধুই কর্ম।


হিংসা

করে সবাই

আপন বুঝে না তাই 

স্বার্থে জন্যে করে জবাই।

Friday, February 26, 2021

বিচিত্র মন

 বিচিত্র মন 

এম এ মাসুদ রানা 


অন্তরে আছে যার কালো

মিঠা কথা শুধুই মুখে

প্রয়োজনে বুকে টেনে রাখো

স্বার্থের মহাসুখে। 


কিছুলোক আছে ধরাতে এমন

যেন সবার প্রিয়জন

প্রয়োজনে টিসুর মত করে 

ব্যবহার হলে প্রয়োজন।


সরলতা দেখলেই মনে করোনা

সে হলো বোকা

চালাকি মানে এমনটাতো নয়তো 

দিতে যাবে ধোকা।


হক্ব কথা বলা সৎ পথে চলা

মনুষ্যত্বের এক নীতি

স্বার্থের তরে ব্যবহার করে

হবেনা তার কোন প্রীতি।

দ্বীনদার নারী

 দ্বীনদার নারী

এম এ মাসুদ রানা 


তোমার অর্ধাঙ্গিনী হয় যদি

দ্বীনদার নারী 

শান্তির আলোয় ভরে যাবে

ঘর ও বাড়ি।


ভুল করেও খোঁজো নাকো

তুমি শুধু রূপ,

কিছুটা সময় কেটে গেলেই

রূপ হবে চুপ।


তুমি পারবেনা খেতে খাবার

সাথে না থাকে যদি নুন,

সংসার সুখী হবে না কখনো 

ছাড়া সাংসারিক গুণ।


তুমি তাকওয়ার গুণ যদি 

নারীর মাঝে পাও,

তুমি বিয়ের তরে চটপট 

রাজি হয়ে যাও।

নামাজ

 নামাজ

এম এ মাসুদ রানা 


নামাজ ছাড়া পাবেনা কেউ

দেখতে মুক্তির পথ

যতো টানো এই বেনামাজি

তুমি জীবনের রথ।


মিছে করো তারা সব শ্রম

টাকা আর ঘাম

আর যত সব আছে আমলের

নেই কোনো দাম।


মনে করো যদি আখিরাত

মানো যদি পরকাল,

নামাজ নিয়েই হবে কবরে

তোমার প্রথম সওয়াল।


পড়লে নামাজ সহজ হবে

বাকি সব জওয়াব, 

গুনাহ করে যদি রবের কাছে 

কাঁদো সিজদায়।

হৃদয়ের আঁচ

 হৃদয়ের আঁচ

এম এ মাসুদ রানা 


ভালোবাসা হয় না শেষ 

বেচে থাকে চিরদিন

তাই প্রেমের সাগরে করি

নিজে নিজেকে বিলীন।


প্রেম তরে কাঙাল হয়ে আছে মন

ভালোবাসার লোভে,

প্রেম হৃদয়ের কূপ দেখা পেলে

দ্বিধাহীন ডুবে আর ডুবে।


প্রেম নাকি হয় খোদার দান

তবুও হারায় কেহ জান,

নিরাশার সব ক্ষত বিক্ষত হৃদয়ে 

অপেক্ষায় থাকে প্রাণ। 


যেই প্রেমে থাকে শ্রদ্ধা ভক্তি 

মিনতিতে ধরি তাঁর পায়ে,

তার হৃদয়ের পবিত্র প্রেমটুকু 

মাখবো এই সারা গায়ে।

ক্ষণিকের জ্যোতি

 ক্ষণিকের জ্যোতি

এম এ মাসুদ রানা 


আমার ভাবনায় যা আসে 

তাই লিখে রাখি,

এর মর্মের মর্মে বুঝেশুনে 

করি মাখামাখি।


জানি সবই কোনোটাই

হবে না অমর,

ভাবধারার ভাষা মিলিয়ে 

খুঁজি নিজ ঘর।


অরূপার রূপ নিয়ে চিন্তায়

হয় রাত জাগা,

ক্ষণে ক্ষণে লিখে রাখি এই

সব ভালো লাগা।


সেই ভালো হয়ে জ্বলে যদি 

জাগরণের বাতি,

পলকে পলকে শেষ না হয়  

ক্ষণিকের জ্যোতি।

Wednesday, February 17, 2021

স্বকরুণ সুর

 স্বকরুণ সুর

এম এ মাসুদ রানা 


জীবনকে নিয়ে করে যায়

বড্ড অবহেলা,

তুমি যদি গো ফিরে আসো

কভু অবেলায়।


অপেক্ষায় প্রহরে পরে আছি

সাথে আছে মন,

ক্ষণে ক্ষণে অনুক্ষণে সেতো 

করে জ্বালাতন।


নষ্ট বীণায় বাজে কেন এতো

স্বকরুণ সুর, 

আত্মা থেকে আত্মার মাঝে 

হয়েছে বেসুর।


মৃত্যুর দিয়ে শেষ হবে আমার

স্বপ্ন হবে না মধুর

তুমি হাতড়ে বেড়াই পাবেনা খুঁজে 

ছুটবে দূর বহুদূর।

প্রেম

 প্রেম

এম এ মাসুদ রানা 


প্রেম নিয়ে হয় কতো রাগ

অনুরাগ অভিমান

হৃদয়ের সাজানো বাগিচায়

মরে কতো জন।


কতো মনে পুলকে পুলকিতে

সুখে সুখ করে অনুভব

কতো মন অপেক্ষা প্রহরে

নিভৃতে নিঃসঙ্গে ছাড়ে সব।


কতো মন দিনে দিনে হচ্ছে 

চিতাদাহে ভষ্ম 

কতো মন পাওয়ার আনন্দে

হয়ে থাকে উষ্ণ। 


কতো মন হৃৎপিণ্ডে স্পন্দনে

বিচ্ছেদ তরে করে হাহাকার

কতো হৃৎপিণ্ড দ্বয়ে স্বার্থকতায়

মধুর মিলনে একাকার। 


কেউ কেউ নিকোটিনের ধোঁয়ায়

ধুঁকে ধুঁকে হচ্ছে আঙ্গার 

কেহ কেহ আনন্দে অভিভূত হয়ে

সুখে নীড়ে করে ধড়ফড়। 


কত্তো জনে পরাজিত বলে 

জীবনকে দিয়ে দেয় বলি 

কত্তো জনে মিলনের সুরে 

খেলে কত্তো আনন্দের হলি।

ঘুণপোকা

 ঘুণপোকা

এম এ মাসুদ রানা 


যায় দিন থাকে কথা

থাকেনা পিছে পরে

কার এত দায় এতো ঠেকা

এতো কেন নড়ে? 


বিবেকের মনদোর আছে 

মোহোর দিয়ে বন্ধ

বিদ্বেষের মনোভাব চলে

গোলপাকে দ্বন্দ্ব।


মিথ্যার ঘুণপোকা ধরে ঘরে

সুদ ঘুষ কত কী? 

ওরা সবাই পান্তায় ঢেলে খায়

মন্দার গাওয়া ঘি।


মিথ্যার কথা মুখে চলে

সুনিপুণ কঠিন ছন্দ

সত্যের ভাবা ধারায় আরো

যেন লাল নন্দ।

ময়না

 ময়না

এম এ মাসুদ রানা 


দৃষ্টিরেখাকে আড়াল করে 

করি কতই ভাবনা

দৃষ্টিতে থাকা মুখটা হয়না 

সেটা তো আয়না। 


নবজাতক জন্ম নেওয়ার

পরেই কান্না শুরু করে,

আহ কি অদ্ভুত রীতিনীতি 

সময়ের গান ধরে! 


পশুর মনে পরতে পরতে

ঢেকে যায় ছলনায়,

আনমনা ভাবে ছবি আঁকি

করে কুনীতি রচনা। 


মুখে মধুর হাসি অন্তরে বিষ

নেই কোনো যাতনা

মনে কুদৃষ্টি নিয়ে চলে সর্বক্ষণে

মুখে বলে ময়না।

হীন শাসন ২

 হীন শাসন

এম এ মাসুদ রানা 


নয়্যের সূর্যটা যে, আজ

নির্বাসনে চলে গেছে 

দর্পে দর্পে ক্ষণে ক্ষণে সর্বত্রই 

হীন শাসন রয়েছে। 


ঘরে আর ঘরের বাইরে

কোন শান্তি নাই

ধর্ষন,খুন, গুম, ছিন্তাই আর

শুধুই বিবাদ ভাই।


জ্বলছে, জ্বালাচ্ছে আগুন 

হরদমে সব খানে

কি হলো, কি যে আবার হবে

তাতো রবে জানে।


দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথায়

দেশটা আছে ভরা

সৎ যত মানুষ আছে ধরাতে

সবাই আঁধা মরা।


কেউ বা চলে ধরণীর বুকে

শুধু টাকার গরমে

কেউ বা লুকায় ধরার বুকে 

সম্মান হারানোর শরমে।


ধর্মের বানী চালাই মুখে মুখে 

নিজেও বুঝে না মর্মটা

তারা মানতে নারাজ সত্য কথা 

বলে বড় হলো কর্মটা।

অশ্রুর গল্প

 অশ্রুর গল্প

এম এ মাসুদ রানা 


আপন আপন ভাবি যারে

সবি দেখি ক্ষণস্থায়ী

প্রিয়জনেই তার ভাঙ্গবে মন

এটাই হলো স্থায়ী। 


সুযোগের ফাঁদ পেতে রাখে

আপন রক্ত বংশ,

অবশেষে কাছে এসে করে

সুখের নীড় ধ্বংস।


বিষ দিয়ে ভরা দিশা নাই

বলে অশ্রুর গল্প,

ঝর্ণা মতো ঝরে দুটি চোখ 

আসে বলে অল্প।


স্বার্থের তরে কাছে আসে তারা

করে কত্তো ভঙ্গি, 

সুবিধা লাভের হরদমই করে 

প্রতারণাকে চিরসঙ্গী।