Sunday, September 13, 2020

অপেক্ষা

অপেক্ষা
এম এ মাসুদ রানা


আমি সেই সময় টুকু চিনি
যাকে তোমরা অপেক্ষা বলো!
অপেক্ষা যে অপেক্ষা নয়,
মনে হয়, প্রতিটি মুহূর্তে বিষ পানের শামিল।
প্রতিটি দমে, পলে অনুপলে, ক্ষণে অনুক্ষণে,
মনে হয়তো দীর্ঘ্য দিনের মতন
যখন তোমরা বলো, অপেক্ষা কর,
একটু অপেক্ষা কর,
আমি আসবো, আবার আসবো।


অপেক্ষায় কেটে গেছে দিন, মাস, বছর
বলেছো তোরা যাই, চোখের পলকে আসবো,
হৃদয়ের প্রবণতাও নিভে গেছে অপেক্ষার তরে।
কিছুটা সময় বাকী আছে,
লাশ হয়ে পরে রব অচেনাদের কাছে,
তোমার তরে অপেক্ষায় থেকে যদি নাহি বাঁচি
লাশ হয়েও থাকতে পারবো কিছুক্ষণ তোদের কাছাকাছি
অপেক্ষায় রেখে গেছো শুধুই মিছামিছি।


বলি কারো তরে অপেক্ষা করবো না আর,
অপেক্ষা করতে করতে করেছি জীবনটা পার
সেও কারো জন্যে অপেক্ষা করেনি তো আবার!
সময় বয়ে চলে তার গতিতে,
অনেকটা মৃত্যুর মতো,
তবুও মরিনি এখনো আমি।

হয়নি যাবার বেলা

 হয়নি যাবার বেলা 
 এম এ মাসুদ রানা  

যেদিন এই দেহে থাকিবে না প্রাণ
সেদিন দুঃখ কষ্ট সবে হবে অবসান। 
বিদেহী হবে আত্মা আমার
কমল দেহ করে চুরমার।

আত্মীয় স্বজনরা করবে শুধু চিৎকার 
পিতা-মাতা ভাই-বোন পাবে না নিস্তার 
সময়ে অসময়ে করবে তাঁরা হাহাকার 
বলবে খোদা এই ছিল তোমার বিচার।

বন্ধু বান্ধব শুভাকাঙ্ক্ষী সকল 
একবার দেখার জন্য হবে তাঁর বেকুল।
পড়শীরা দেখে বলবে হলো কি আবার
সেবায় ত্রুটি এমন কি ছিলো তাঁর 
কেন পৃথিবীতে থাকতে পারলনা আর।

সেই ক্ষণে তুমিও বলবে কি কিছু কথা
রেখো না আমার তরে পেয়েছো তুমি যে ব্যথা।
কিছু কিছু ভুল আছে মেনে নিতে হয় 
জমিয়ে রাখলে তা শুধু বারাবে সংশয়। 
অভিযোগ থাকলে তুমি লুকিয়ে রেখে
বিরহ গড়াবে শুধু সত্যি ডেকে।

সন্ধ্যার ছন্দে

________ সন্ধ্যার ছন্দে
          এম এ মাসুদ রানা  

পাখিদের ঐক্যতানে গান
তুই সন্ধ্যা এবার নাম।
বাগানে গোলাপ, জবা, গাঁদা
দোলনচাঁপার গন্ধও চাঁপা।
গৌধুলি বিকালে নানান রঙ্গে রঙ
ধরেছো তুমিও আমার সঙ।
দোলছে গোলাপ কলি, বাদমী কলমী,
ঝিলে ফোটেছে সাদা শাপলা, আর পদ্ম
তোমার আমার সঙ্গোপনে ছিল না ছদ্ম।
অভিসার ছন্দ আনে আপন মনে
গুছানো খোঁপার কোন এক কোনে।
ধরি ফুল দুই আঙ্গুলে,
চুপি চুপি কইছি কথা আসে যেন মঙ্গলে।
ভেঙ্গে গেছে লাজ, ভয়,
নিরবতায় হাতে হাত একটা কিছু কয়।
অপলক দৃষ্টিতে, মিষ্টি মিষ্টি কথা রয়
তবুও মনের মাঝে সংশয় হয়।
তোমার স্পর্শে হৃদয়ে শিহরণ জাগে,
মধুর আলিঙ্গনের তরে আমায় ডাকে।

শহর

শহর
এম এ মাসুদ রানা 
নগরের নাগরিক, সভ্যতায় সভ্য সমাজ
দফায় দফায় কঠিন কাজ বেরেছে আজ।
গনতন্ত্র , রাষ্ট্রযন্ত্র, চালায় কি এক ভিষণ যন্ত্রে
পুঁজিবাদ ও সহিংসতাও চলে কোন মন্ত্রে।
আমি এই নগরের নাগরিক, সভ্যতায় সভ্য,
গনতন্ত্রের নিয়ামক, পুঁজিবাদের নিশানা নিয়ে লিখবো গদ্য।
তাঁহারা কি করে জানবে আমাদের ক্ষুধার কথা?
জাত-পাত, ধর্ম,  মধ্যবিত্ত চর্চার বিষয় কথা বলে বৃথা।
হিংসা, বিদ্বেষ, অন্যায়, ব্যাভিচার, নির্যাতনে একাকার 
গভীরে আমাদের বসবাস, ক্ষুধা আর তৃষ্ণার হাহাকার।
আকাশকুসুম লোভ লোভ দেখিয়ে সৃষ্টি করে তুলকালাম 
চেয়ারের চাষাবাদের নেশায়, তাঁহারা হয় বেশামাল।
কখনো বেরিয়ে আসে বর্ণচোরা মূখ, লোভের দীর্ঘশ্বাস,
চকচকে চোখ, লকলকে জিহবা আর লালার স্রোত
ছায়াটাকেও সন্দেহের চোখে দেখে, বিশ্বাসে আছে  ক্রোধ।
খুন, ধর্ষণ, জ্বালাও, পোড়াও, অবরোধ আর হরতাল,
পদাশ্রিত হতেই হবে, এই নিয়ে হয় তাঁরা মাতাল
লোভের তারনায় তাঁহারা খুঁড়ে দেখে পাতাল।

ইন্দ্রজাল

 ইন্দ্রজাল
এম এ মাসুদ রানা 

কোন এক নিষিদ্ধ রাত
কুয়াশা মাখা অন্ধকারে কাত।
আমার পাশে একজন মায়াবী
হাতের ইশারায় করে ভিন্ন দাবী।
হাতের মুঠোয় পেষিত আমার হাত
কিছু করতে চাইলে চলে যাবে জাত।
জল স্থল অন্তরীক্ষের সকল বাস্তবতা
হারিয়ে যাচ্ছে রহস্যময় গভীরে মনের কথা!
আমার চোখ খেলা করে তার চোখে,
পদ্মার স্রোতে ভেসে আছে অজানা রোগ।
মাকরাশা অদ্ভুত দ্রুততায় বুনে চলে তার জাল,
প্রতিটা টানে টানে জ্বালাময়ীর ভালবাসা ঝাল।
হঠাৎ হানা দেয় দমকা হাওয়া,সব মুহূর্তেই ছিন্ন ভিন্ন,
কোথায় ঊরে যায় কুয়াশার চাঁদরে তন্নতন্ন। 
এক স্বপ্নহীন অনশ্তিত্তের অন্তহীন ঘুম,
স্বপ্নের চাদরে চাষ করছি একাএকা পাহাড়ি জুম।
রাত্রির কোন প্রহর ঘোষণা করছে শেয়ালের দল?
চাঁদের মুখে ডানা মেলে ঊরে যায় এটাই পখিদে বল।

শুন্যতা

শুন্যতা 
 এম এ মাসুদ রানা 
মনের গভীরে দীর্ঘ মায়াময় ছায়ামূর্তি
শয়নে স্বপ্নে চলে আসে ভিন্ন উক্তি 
উক্তির মাঝেও থাকে তো যুক্তি
এরই মাঝে প্রাণে নিয়ে আসে শক্তি
শুন্যতা থাকা শর্তেও সৃষ্টি হয় ভক্তি।
যখন নিরবে চক্ষু তুলে তাকায়!
মনে গভীরে আবার ছায়ামূর্তি আঁকায়।
দীর্ঘশ্বাস হতে থাকে দীর্ঘ, তপ্ত হয় হৃদয়
আকাশের ওপারে আকাশ, আছে ততই। 
বাতাসে প্রিয় গন্ধ, খোঁজে স্পর্শ, শিহরণ
এতে জাগবে মনে ভীতর আরো জাগরণ 
তখনি মন দিয়ে মন হবে হরণ।
নিবিড় মেঘের দল খোঁজে কোলাহল
নিবিড় মনে আসে আরো বেশি মনোবল। 
খুঁজে পায় শুন্যতা, পাণ্ডুর, বিবর্ণতা 
নিরবে নিবিড়ে হবে যতশত মনের কথা।
হঠাৎ খামচে ধরে,ছিরেফেলতে ইচ্ছে করে
হৃদয় আমার! মায়াবি স্বপ্নের আঘাত প্রতিক্ষণ
শুন্যতার কারণে কখন আসবে আমার মরণ
পূর্ণতা না হলে কেউ করবে না কখনো স্মরণ।

তোমার অতলে

তোমার অতলে
এম এ মাসুদ রানা 

গভীর রাতে নেমেছে পরীরা আজ,
জোছনার আলোয় হচ্ছে তাদের কাজ।
রুপালী নদীর বুকে রয়েছে তারা শুকে
নিটোলে উঠেছো কিসের তরে ঝুঁকে।

সজল নয়নে চকিত ছলছলা পানি,
বিলাসী অহংকারেও দিয়েছে হাতছানি। 
ঠোঁটের ভাঁজে অগ্নি জোছনার রূপ
ডাকিতেছে নীরব প্রণয়ের ধুপ।

ছুঁয়ে দেবো আশাতীত ভালবাসার ছাপ,
আমার হবে বলে ধরবে, এই হাত।
খুঁজে নেই অনন্ত মধু মাস পশুরা খায় ঘাস
তখুনি মনে হয় তোমার অতলে হল বাস।

অপরিচিতা

অপরিচিতা
এম এ মাসুদ রানা 

পরিচিত জনও মাঝে মাঝে ভীষণ অপরিচিত লাগে।
অন্ধকারে পেঁচার ডাকে  প্রিয়ার কান্নাও কানে বাজে।
রোদেলা দূপুরটাকেও মাঝে মাঝে অপরিচিত লাগে
কা কা ডাকে তোমার বিচ্ছেদের ডাকও মনে জাগে।

তুমি কি একবারও ভাবে দেখনি?
আমার বুক ছাড়া, অন্য কারো বুকে সুখী হবে না
একটু কোমল পরশে ঝলসে যাবে তুমি;
পায়ের নিচে দাঁড়িয়ে থাকার জন্য থাকবে না ভূমি! 

আমি মনে মনে ভেবেছিলাম 
লাল পলাশের মত ফাগুনের ফুলে ফুলে
এটা ফাগুন ভাবা ছিল তোমার ভুলে ভুলে
হাতছানি দিয়েছিল বিচ্ছেদ দুলে দুলে।
তখনি তোমাকেও লেগেছিল ভীষণ অপরিচিতা
তোমাকে ভালোবাসা হলো আমার বৃথা!
গাঙ চিলের মতো মেলেছো বিলাসী ডানা
উড়ে গিয়ে দিবে কখন কাকে হানা।
ওহ! 
কি ভীষণ সুন্দর দেখাচ্ছিল তোমায় 
ব্যথিত হওয়া পরেও থাকতে পারি নাই ঝিমায়।

বসনায় অধীর

 বসনায় অধীর  
            এম এ মাসুদ রানা 

জীবন যেখানে ছিলো, 
সেখানেই থমকে আছে।
ফিরে যদি আসতে চাও 
টেনে নিবো আমি আবার। 

আমার শহরে ডাক পরেছে,
ধুলো মেঘ ব্যস্ততা থমকে রয়েছে। 
আসছে কত্তো সুমিষ্ট সতেজ বাতাস 
থাকছেনা এতে কোন তিক্ততার আচ।

এখানে তুমি আর আমি বলবো কথা,
কথার মাঝে থাকবে না যথাতথা। 
প্রচন্ড কোলাহলে কতো নিরবতা
এটাই তোমার প্রতি আমার একাত্মতা।

অভিমান ভাঙ্গবে কি তোমার  সহসা?
অভিমান আছে কি হৃদয়ে কঠিনভাবে বসা?
দীর্ঘশ্বাস এখনো হয়নি এক রতিও নিরাশ
আশা আছে করবে তুমি এই হৃদয়ে বসবাস।

বাঁচিবার সাধ

____বাঁচিবার সাধ
 এম এ মাসুদ রানা

অমানিশার নিকষ আঁধারে বসে আছি
বিষের পেয়ালা সাজাবো বলে।
তারাদের জলসা হবে কোন কালে
ঘোর নেশায় বিভোর হয়ে আজি !

হৃদপিণ্ডের জমানো রাশি রাশি খুনে
ভালোবাসা গেয়ে ওঠে গুনগুনিয়ে।
বহমান যৌবন-নদী ধরেছে বাজী-
তবুও ক্লান্ত মনে দূর্বার মৃত্যুমহারথী।

 সন্ধ্যায় হাসনাহেনা ফুলের গন্ধে মাতাল
জোনাকিদের মিটিমিটি আলো দিতে হয়নি দেরী,
ঝিঁঝিঁ পোকারাও হয়নি ক্লান্ত একই সুরে গেয়ে;
ক্লান্ত শুধু আমি তোমার পথ চেয়ে চেয়ে৷

জীবন জীবনের কাছে এত দামী বুঝিনি আগে, 
কাটে না বিষণ্ণ প্রহর কাল গুনে গুনে৷
এখনও মরিনি আমি বিরহের কুটিল বিষ পানে,
তোমার ফেরার প্রতীক্ষা আজো বাঁচিবার সাধ আনে৷

অনুভুতি

 অনুভুতি
 এম এ মাসুদ রানা 

দু'লাইন পদ্য আর কিছু ছন্দ
সামান্য অনুভূতিতে হয়েছে বন্দ।
হিসেবি ছন্দ, বেহিসেবি শব্দ করো না জব্দ
অচেনা মাতাল নদীতে থাকবে না জলাবদ্ধ। 
হৃদস্পন্দের মতো ক্ষণে ক্ষণে জাগে অশান্ত ঢেউ
আগুন জ্বলে প্রতিটি চূড়ায় চূড়ায় জানেনা কেউ। 
সোনালী আলোর স্রোতে কি ভেসে যায় ঢেউ?
কথায় কথায় করতে পাবে না হেউ।

অপলক দৃষ্টিতে, গুধলি ভীষণ তমিশার উদাস নৃত্য 
অনেকেই জানে না, নৃত্যের মাঝে আছে কি কৃতিত্ব? 
আমি তবে এখন কি জোছনা নিয়ে কবিতা লিখবো?
আমি তবে এখন কি তাঁরাদের নিয়ে গল্প লিখবো?
জোছনার জলে ভেজা মায়াবী এক নারীর কথা
তাঁর জ্বালাময়ী কথার কথায় আছে মনের ব্যথা। 
যার নেশা ধরা বাঁকা চুলে অজস্র তাঁরা জ্বলে।
যে সাদা বকুল গন্ধ ছড়ায় মেঘের ভাঁজে ভাঁজে
হৃদয়ের গভীরে কিছু কথা এখনো জমা আছে।

সুখ

________ সুখ ________
___ এম এ মাসুদ রানা ___

সুখ তো সে চলে গেছে
রেখে গেছে শুধু স্মৃতি।
তোমার ঠিকানা নিয়েছি
দরজায় দাঁড়িয়ে আছি
আমার তরে নিমন্ত্রণে।
কতো কথা রয়ে গেছে
কতদিন চলে গেছে
চলে গেছো অন্য ঠিকানাটায়
পরে আছি ধুলির মাঝে
প্রতিক্ষায় আসবে কি কাজে?
চেনা মুখ অচেনা রাস্তায়
দেখি আমি কত বারে বার
সুখের দেখা হয় যদি আবার
দেখা দিয়ে যাও বলে সবার,
ভাবি আমি এই বুঝি এলে
আমার ঠিকানায়।
অবশেষে নিঃশ্বাস হয় গো ভারী
তবু্ও ঘুরি ফিরি টারিটারি।
মনে হয় প্রভাতেই হবে তোমার দেখা
সেই খুশি নিয়ে ঘুরি একা একা
হবে তো আবার তোমার দেখা।

ফেলে আসা শিমুলতলা

★★ ফেলে আসা শিমুলতলা ★★
★★★ এম  এ  মাসুদ রানা ★★★

নীল আকাশের নীল রঙে নীল হয় জল
হিজলের ফুলে হয় বৃষ্টি নুপুর!
বকুল ফুল দিয়ে তৈরী হাতের কাকন 
রেশমী রুপালী চুড়ি ভেঙ্গে হয় চূর্ণ বিচূর্ণ 

দক্ষিনা বাতাস বয়, মন হয় উদাসী
সাথীকে খুঁজতে হয়েছিলাম অতি সাহসী
মুখে থাকবে সর্বক্ষণে সুখের হাসি
ফেলে আসা শিমুলতলার স্মৃতি বেকুল।

নীরব জোছনায় নির্জনে সাপের হিসহিস
কানের কাছে অভদ্র মশা করে ফিসফিস। 
ভেসে যায় পূর্নিমায় জোছনা মাখা মেঘে
বসে আছি শিমুলতলা গোলাপ বাগানে শেষে।

ভালোবাসার গান

_______ ভালোবাসার গান
____    এম এ মাসুদ রানা

তুমি যদি থাকতে পাশে,
আমিও থাকতাম তোমার কাছে।
বিকেলের স্নিগ্ধ আলোয়,
কথার মাঝে কথা থাকবে না ঝাঁঝাল।
দিতাম তোমায় সব বাগানের ফুল
বাশের পাতায় তৈরি করতাম দুল
ফুলে ফুলে সাজিয়ে দিতাম বেনী গাঁথা চুল।
স্বর্ণলতায় হাতে দিতাম কাঁকন গড়ে
খোঁপায় গুজে দিতাম একটি গোলাপ ফুল।
সাদা ফুলের গন্ধে মাতাল তোমার হরিনীর চোখ
দিশেহারা সেই চোখে চোখ রেখে থাকতাম অপলক,
নীড়েফেরা পাখিদের দল যেমন মেলে ডানা,
ছোঁয়ায় অভিমান হয়ে যেত বিকেলের আলো ফান।
সন্ধ্যের শীতল বাতাসে ছড়ায় ভালোবাসার গান

ভিন্ন আকাশ

_________ ভিন্ন আকাশ __________
          এম এ মাসুদ  রানা 

আমার আলোর পাখি, 
আমার আকাশটা আজ তোমার কাছে ভিন্ন ,
তাই তো করছো অচেনা আকাশটাকে ছিন্ন।
চাঁদের গায়ে ভালোবাসার কথা লিখে দিলাম
তোমার আকাশটাকে ভালোবেসে কি পেলাম।

আমার আলোর পাখি; 
কতকাল রাখবে বন্দী নিজেকে অন্ধকারে?
প্রতিটি নেশা ধরা পূর্নিমার রাতে,
ভিন্ন ভিন্ন পোষাকে নতুন তোমার সাঁজ।
তুমি নিজেকে আটকাতে পারবে কি?
মুক্তভাবে খোলা আকাশের নিচে চলা।
তোমাকে আসতেই হবে ফিরে
অচেনা আকাশের নীড়ে। 

আমার আলোর পাখি, 
চাঁদ গলা জোছনা শিক্ত ভালবাসার কথা
চকিতে তোমার খোপা খুলে দেওয়া যথাতথা। 
সাঁতার কাটবে সেই খোলা চুলে দূর্বার 
অপ্রতিরোধ্য প্রেমিকের চঞ্চল ঠোঁটের মত
চক্ষু ছুয়ে দিবে , ওষ্ঠ যুগল দেখে তোমার।
সারা গায়ে, সারা রাত আঁকবে রঙ্গিন ছবি
মনে করো, তোমার আকাশে সর্বদায় থাকবে রবি।

আমার আলোর পাখি, 
আমাকেতো তুমি  আর আটকাতে পারবেনা।
তোমার আমার আকাশটা আজ ভিন্ন তাই ,
চাঁদের গায়ে ভালোবাসার কথা লিখে দিলাম।
তোমার ভালোবাসা অনাদর হলেও নিয়ে লিনাম,
আমার যত্ন গড়া ভালোবাসাও তোমাকে দিলাম।

তোমাকে অনেক বেশি ভালবাসি

__তোমাকে অনেক বেশি ভালবাসি __
এম এ মাসুদ রানা

অনেক বেশি ভালোবাসি তোমাকে
বনলতা নাকি আমার সরলতা?
কতটুকু বুঝবে নিশিত অন্ধকারে
ক্লান্ত জীবনানন্দ হয় তো শান্ত!
তারও বেশি দেখেছি তোমায়
জোছনার আলোকিত রজনীতে আমি।

বিভোর ছিলাম তোমার সুগন্ধী চুলে!
দু লাইন পদ্যের ছলে, সে তছ্নছ করে দিলে
ভেবোনা, আমি তো আছি তোমার কাছাকাছি।
জোনাকির রঙ্গে ঝিলমিল পান্ডুলিপিতে
নতুন কবিতা জন্ম নিবে তো আবার।
চোখ-মুখ থেকে মুছে যাবে বিদিশার নেশা,
পদ্ম পাপড়ি চোখে তাকাবে আমায় ভালোবেসে।
কোনো এক বর্ষা মেঘ ডাকা পূর্নিমার রাতে,
তুমি থাকবে শুধু আমার অতি কাছে।
অবারিত জোছনার আলোয় ভালোবাসাবাসি,
হাজার বছর ধরে হাটবো, দূর্গম পথ পাশাপাশি
তোমাকে অনেক বেশি ভালবাসি।

Monday, September 7, 2020

মনের বচন

মনের বচন
এম এ মাসুদ রানা 

আবার হবে তো দেখা 
শেষ দেখা নই তো,
আবার হবে তো কথা 
শেষ কথা নই তো।

আবার আসবে তো কাছে
শেষ আসা নই তো,
আবার বসবে তো কাছে
শেষ বসা নই তো।

আবার হবে তো মজা 
শেষ মজা নই তো,
আবার হবে তো হাসা
শেষ হাসা নই তো।

আবার হবে তো চলা
শেষ চলা নই তো,
আবার হবে তো বলা 
শেষ বলা নই তো।

Saturday, September 5, 2020

শিক্ষক ও শিক্ষা

শিক্ষা ও শিক্ষক
এম এ মাসুদ রানা

শিক্ষক মাষ্টার ছোট একটি শব্দ
করে না কারো সাথে গর্ব।
সমাজটাকে সাজাতেব হয়েছে ব্যস্ত
শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দিতে বুদ্ধি রটায় কত্ত।

বাবা-মা' জন্ম দিলো ,শিক্ষক দিলো শিক্ষা,
সঠিক পথে চলতে উপদেশে ছিল না অপেক্ষা। 
ভাল আর মন্দে, দুঃখ আর আনন্দে
মন্দ কথা নাহি বলে, ভাল হতে বলে ছন্দে।
শিক্ষাগুরুর সম্মান , কেউ করে না আসম্মান
যায় যদি যাক তাদের প্রাণ।

সময়ের সারাক্ষণ,পড়াতে চায় তোনা মন
ঘুরতে মন চাই যখন তখন।
কটুক্তি আর কটু কথা বলে কত্ত যথাতথা
তাঁদের কথায় পায় না কখনো ব্যথা।
রাগে পরে পরে স্নেহ ভালোবাসায় দেয় স্থান 
আমায় ভালো করতে তাঁর বিভিন্ন কথাও ছড়ান।
সমাজের প্রিয়জন ,তোমরাই সুধীজন 
তোমাদের কাছে ছুটে যেতে চাই যখন তখন।
সেই কথা মনে আসলে আবেগে ফেটে পরে মন।

Wednesday, September 2, 2020

কৌমুদীর রূপ

কৌমুদীর রূপ
এম এ মাসুদ রানা

পাংশু জোছনা আর ক্ষণ অন্ধকারে ডুবা
পৃথিবীর সব স্বপ্নময় স্বপ্নের মতো,
ত্রিস্রোতা নদীর জলে জমাট বাধা
সপ্নের ফাঁদ গুলো ভেসে যায় জেনো!

গহীন অরণ্য আর অচেনা সব ডাকে
ধ্যান ভেঙ্গে তাকাই,
স্বপ্ন আর বাস্তবতা মিশে একাকার-
কুল করে কাহার কণ্ঠ শুনে আমার বিকার!

যেন তুমি ডাকিতেছ মিশে যেতে জলে
সেইখানে তোমার রূপ ভেসে যায়ে বলে!
আমায় নিয়ে যেতে করেছো ছল
তবুও হায়ায়নি এখনো মনবল।

Saturday, August 29, 2020

প্রাপ্যতা

প্রাপ্যতা
এম এ মাসুদ রানা

নির্জন নিরিবিলি বসে গল্প করি
বর্ষার আকাশে স্রোতহীন নদীতে ভাসায় তরি।
প্রবাহমান নদীর স্রোতের কাছাকাছি,
মনে মনে বলি এসো প্রিয়া গল্প করি।
তোমার মায়াবী কথাগুলো শুধু আমারেই কাঁদায়
এই ভেবে ভেবে আমার দু'চোখ ভাসায়।

কী ভেবেই তুমি নিয়েছ পলাতকা নারী সাঁজ?
দখিনা বাতাসে ডেকে যায় পূর্নিমার চাঁদ।
রোদে সোনালী চুল উড়ে, ঢেকে দেয় চোখ,
শুকনো হৃদয় তখনি দেখে রূপালী মেঘ।

অনাদর অবহেলায় পরে কেটেছে বেলা 
দেখবে ক্ষত বিক্ষত লাশ ধংসের প্রমত্ত মেলা।
ছিন্ন ভিন্ন রুপালী চাঁদখানি পরে আছে ধুলির মাঝে
জোছনায় বৃষ্টির প্রতিক্ষা নিরব হৃদয়েও বাজে।
হেমন্তের কাঙ্গাল রাতে তুমি করিবে অনুভব,
এতে হবে না প্রাপ্যতায় প্রাপ্তি সব।

আর কত দিন আর কত রাত

★★★ আর কত দিন আর কত রাত ★★★
★★★★★  এম এ মাসুদ রানা  ★★★★★

আর কত দিন, কত রাত
বিরহ বেদনায় কাঁদাবে আমায়।
এমন কিছু করবে তুমি 
একথা ভাবিনি কখনো আগে।
জানি তুমি থাকবে গো আমার হয়ে
তাই তো দিয়েছি পরান উজার করে
রাখিনি কোন কিছু আগলে ধরে।
সে দিনের সেই স্মৃতি আজো মনে পড়ে
সে দিনের সেই কথা আজো প্রাণে ধরে
সেই কথা স্মৃতি মনে হলে হৃদয় কেঁদে কেঁদে মরে।
তুমি কি আগে এমন কথা ভাবোনি?
তোমার দেওয়া তোমার ছবিটি পেয়ে
রেখেছি আমার হৃদয় মাঝে আপন করে
তবু তো নয়ন আমায় বারে বারে কাঁদায়।
তুমি  কি কেঁদেছিলে কখনো আগে?
তাই বুঝি আমাকে কাঁদাতে তোমার হৃদয় নাহি বাঁজে
বিরহ বেদনা দেওয়া তোমার কি সাঁজে!
অতীত স্মৃতি কথা তোমার মনে তো আসে।

Tuesday, August 25, 2020

অমীমাংসিত

অমীমাংসিত
এম এ মাসুদ রানা

হৃদয়ে অবহেলার রক্ত ঢাকা
আর কতকাল বইবো বলো?
মনের ভিতরে মন আছে বলেই -
তাই শুধু তোমাকেই চাই!
শুধু বিষ, আর শুধু বিষ,
সাথে থাকে অহর্নিশ।
আর কতকাল এই লুকোচুরি
খেলা আর খেয়ালি।
পাওয়া না পাওয়ার লড়াই!
কথায় কথায় করো এতো বড়াই,
কেনই বা বদলে গেলে!
আসতে পারো না কি কোন ছলে?
এতো করুণায় তোমার হৃদয় নাহি গলে।
কতকাল চলবে অমীমাংসিত সালিশ?
আবেগে অশ্রু জলে ভিজে কোমল বালিশ

Friday, August 21, 2020

কারাদণ্ড

______   কারাদণ্ড
        এম এ মাসুদ রানা 

আমি কার সাথে শুই?
কার সাথে ঘুমাই?
আমার কিছুই জানা নাই! 
পুরনো কথার কাছে ফিরে আসি বারবার, 
 ফিরে যাই, অতীতে, হই একাকার।
মুক্ত করতে চেয়েছিলো আমায়,
মুক্ত করতে পারে নাই। 
আমি জানি না, আমি জানি না, 
আমার মুক্তি হবো কখন ও কোথায়!
শুন্যতার সাদা শেওলায় ভেসে গেছি
একা একাই কারাগারে বসে আছি।
স্মৃতির পাতাগুলো এলোমেলো চারপাশ,
মুহূর্তে শুনবো কারাদণ্ডের স্বাদ।

Sunday, August 16, 2020

ভাল মানুষ

 ভালো মানুষ 
এম এ মাসুদ রানা

সাধনা হলো মোর শিক্ষা করা
শুরুর শিক্ষায় সাধনাকে ধরা।
আজ হয়াছি সাধনা সিদ্ধি
করিনি গুরু সাথে কোন যুক্তি।
বলি নাই মন্দ কথায় কোন ছন্দ 
হয়নি কখনো গুরুর সাথে দন্দ।

রাতেরো আকাশে চন্দ্রের আলোকে
বলে থাকি তো মোরা জোছনা, 
কেহ বলে আয় চাঁদ আয় কাছে আয়
চাঁদ মামা আয়, দুটো কথা বলে যায়।
চাঁদেরে কে চাই, ধূলির মাঝে 
জোছনা হলে সবাই আসতে চাই কাছে।

মুকুট পড়ে দাঁড়িয়ে থাকে রাজার বেসে
সে কি রাজা হবে কখনো শেষে-মেষে,
অন্ধকারে জ্বললে আলো, দূর হয় আধার 
মানুষ হবি, দরকার হবে না কাঁদার।
ভালো মানুষেরে গুণীরা করেছে কদর
সর্বক্ষণে তাঁহারা পেয়েছে সবার আদর।

Sunday, August 9, 2020

করোনাকালে

_____   করোনাকালে   _____
____ এম এ মাসুদ রানা ____

অন্তরঙ্গ দূরত্ব
পুরোনো নিয়মে তারা ঘুরপথে ফিরে আসতে চায়—
জানালার ধুলোট কাচে ছোপ ছোপ ছায়া বোনে,
সাড়া তোলে ব্যালকনিতেও।

কী দুঃসাহসে!
খকখক কাশি, বুড়োদের হাসির মতো ঠকঠক বাজে।
নতুন যারা, তারা চোখ মেলতে চায়
বন্ধ চোখের তারায় কড়কড়ে বালি 
তবু কী আহ্লাদে পিটপিট তাকায়!

জানালা-কপাট বন্ধ, রুদ্ধ ব্যালকনি
কারও আসার নেই, যাওয়ার নেই
বাতাস না, ধূলিকণা না, নিশ্বাসও না
পুরোনোরা কালো দাঁত ঝিকিয়ে হাসে;

কত দূরে যাবে
কতটা দূরে গেলে দূরত্বকে নিরাপদ বলবে তুমি!
কতটা দূরত্ব নিরাপত্তা দিলে দূরত্বকে দূরত্ব বলবে তুমি!
অন্তরঙ্গ দূরত্বে মানুষের মৃত্যুতে হয়।

টোকন ঠাকুর, খিদে ও খাদ্য
কেউ আমেরিকা যাবে, যাক
সামর্থ্য আছে যাওয়ার।
কেউ স্ট্রবেরি খাবে, খাক
সামর্থ্য আছে খাওয়ার।

 তুমি কি খাবে?
কোথায় যাবে? 
কি বা আর তুমি খেতে পারো?
কোথায় আর যেতে পারো?
মরবার আগে পেট পুরে খাও,
খিদে যা আছে তাই খেয়ে যাও।

আমি কি খাব? 
কোথায় যাবো?
এমন দেশ কি আছে? 
যেখানে মানুষ মানুষে ভেদাভেদ নাহি আছে,
রোগীদের প্রতি অনুরাগ সবার থাকে।

Saturday, August 8, 2020

অশান্ত মন

       অশান্ত মন
  এম এ মাসুদ রানা

নিদ্রাহীনতায় আমার দুটি'চোখে
জেগে আছি এক একা সারারাত।
তোমার স্মৃতি পরে মনে বারে বার,
দু'নয়নে আসে যায় জলে
তুমি বুঝলে না তার ফল।
গড়া স্বপ্নের বাধ ভাঙ্গে যায়
তবুও অশান্ত মন তোমাকে চায়।
হবে কি দেখা তোমার সনে?
ভাসা ভাসা মেঘ ভাসে মেঘে!
আসবে আবার কি শেষমেষে?
নিরাশার কাল আঁচলে ঢাকা
দমকা হাওয়া কখনো হয়নি ফাঁকা।
জ্যোৎস্নাটা আধারে ডুবে গেছে,
কেমনে দেখবো তোমায় বলো।
আজো আছি পথ চেয়ে!
তোমায় পাবার আশা নিয়ে
নিরাশার আশাকে দেখা দিয়ে।
আশাত্তুর হৃদয় হয় না ক্ষান্ত
নিরালায় বসলেই হয় অশান্ত।

Tuesday, August 4, 2020

হায়রে অর্থ

             হায়রে অর্থ
       এম এ মাসুদ রানা

যদি তোমার কাছে থাকে না অর্থ 
সব জায়গায় হবে তুমি ব্যর্থ।
প্রতি মুহূর্তে প্রিয়জনের কাছে পাবে কষ্ট 
তোমাকে দেখে বলবে তারা আমি ব্যস্থ।
করবে না কেউ তোমাকে স্বরণ
যদি হয় তোমার কোন কারণে মরণ।

ভাই-বোন, পিতা-মাতা দেখে শুধু সম্বল
তারা চাই, শুরু তারা চাই, তাদের অবলম্বন। 
শূণ্যতে হয় না কোন দোয়া কবুল আলেমগণে বলে
দোয়া দরূদে অর্থের প্রয়োজন আলেমের কথায় প্রমাণ। 
অর্থ ছাড়া দেবতাও তুষ্ট নয় গুণীজনে কয়
সবকিছু দিয়ে পূর্ণ করে পূজা দিলে দেবতা খুশি হয়।

অর্থ ছাড়া পায় না প্রেমিক প্রেমিকার কাছে দাম
অর্থ দিয়ে নির্ণয় হয় ভালবাসার মানা।
ভাই বল, বন্ধু বলো,  বলো কতো স্বজন 
অর্থ সাথে থাকলে করবে তারা কদর।
অর্থের বিনিময়ে হয় কত অপরই হয় আপন
অর্থ ছাড়াই হয় কত আপনই আপর।

যদি থাকে তোমার কাছে অর্থ 
তোমার কষ্টে তারাও পাবে কষ্ট। 
সর্বদাই কাছে থেকে হবে তারা ব্যস্থ
অর্থ থাকবে তবু্ও দিতে চাইবে অর্থ। 
ভুলেও বলবে না, হচ্ছে না তাদের সাধ্য
কাছে থাকতে হবে তারা বাধ্য। 
অর্থের কাছেই হয় শিক্ষার পচন
অর্থ ছাড়া কেউ শিক্ষাকে করে না যতন।

Saturday, August 1, 2020

বর্ষা

                    বর্ষা
          এম এ মাসুদ রানা 

হে বর্ষা, 
তুমি এসেছো নতুন সাঁজে
তাই তো মোর মনে কিছু কথা আসে।
কি দারুণ ছন্দে ডাকে মোর বন্দে
অনেক পাখির ছানা ডাকে মধুর কণ্ঠে। 

হে বর্ষা, 
তুমি এসেছো বলেই তো
জল করে তাই  থৈ থৈ
জেলে মাঝি করে হৈ হৈ।
হাঁস ছানা খেলা করে
মনের সুখে আহার ধরে। 
শিরি শির বৃষ্টি, শনশন শব্দ 
করেছো সবাইকে জব্দ। 

হে বর্ষা, 
তুমি এসেছো তাই তো,
ক্ষণে ক্ষণে মেঘ ডাকে
এই এলো বুঝি বৃষ্টি
একত্রে বসে থাকার সৃষ্টি 
বৃষ্টির দিকে থাকে সবার দৃষ্টি। 
বর্ষার দিনগুলি লাগে খুব মিষ্টি
আমন রোপনে কৃষকের দৃষ্টি। 

হে বর্ষা 
তোমার আগমনে তো
বিলে-ঝিলে ফোটে শাপলা পদ্ম
তাই কবিগণ লিখে গদ্য আর পদ্য
অভিনয় করবে তাই সেজেছে ছদ্ম। 
কি দারুণ তোর নতুন সাঁজ! 
ঝনঝন করে বাঁজে বৃষ্টির বাঁজ।
খেলে সবাই আপন খেলা
মাঠের মাঝে কাটে কৃষকের বেলা।

বিরহের দিন

                 বিরহের দিন 
             এম এ মাসুদ রানা

কোটিপতি ছেলের সাথে প্রিয়ার বিয়ের আয়োজন
সেই বিয়েতে করেছে আমায় নিমন্ত্রণ
যে প্রিয়া ছিলো আমার প্রাণের চেয়ে দামী
তার বিয়েতে কি উপহার দিবো বল আমি?

প্রিয়া দু'টি চোখে পরত যখন দু'টি চোখ
অজানার সুখে ভোরে যেতো সারা বুক।
ইশারায় ও কথার মাঝে খুঁজে পেতাম সুখ
ছোয়ার সাথে সাথে হারিয়ে যেতো হুস।

পাঁচ বছরের ভালোবাসা হলো মূল্যহীণ
তাই বাজেনি তোমার হৃদয়ে প্রেমের বীণ।
তাই দেখে দেখে কসটতে হবে সারাদিন
তোমার হৃদয় ছিলো ভালোবাসা মূলহীন,
নিমন্ত্রণ দিয়ে রাখলে না তো কোন ঋণ
শুরু হলো গেলো জীবনের বিরহের দিন।

Wednesday, July 1, 2020

একজন করোবা পজিটিভের গল্প

একজন করোনা পজিটিভের গল্প
______ এম এ মাসুদ রানা 

কিছু দিন ছিল গলা ব্যথা
তার সাথে হলো মাথা ব্যথা
তারপর শুরু হলো সর্বাঙ্গে ব্যথা
গলা খুসখুস ও হালকা খাসি তো আছেই। 
সংগ্রহ করল এবার নমুনা 
পরিক্ষা হলো কোন এক সরকারি ল্যাবে
অপেক্ষায় আছি কিছু ক্ষণ পরে রিপোর্ট দেবে।
রিপোর্টের আশায় আছি হোম কোয়ারান্টাইনে,
রিপোর্ট এলো মোর করোনা পজিটিভ,
নিয়ে গেলো আইশোলোশনে 
শুরু হলো একাকীত্ব জীবন  
এই বুঝি এলো মোর কাছে মরণ। 
জীবন কাটিতেছে শুধু নিরাশায় 
এই জীবন হলো বিথায় 
প্রাণ যে কখন যায়। 
ডাক্তার আসে যখন 
জানতে চাই মোর হয়েছে কী প্রোগেসিভ।
চিকিৎসা নেই, নেই কোন  ভেষজ,
কি অসুখ আসলো পৃথিবীতে আজব
অনেকেই বলে এটা হলো আল্লাহর গজব।
তাহলে আমি কি বাঁচবো না আর? 
বাঁচার তো স্বাদ জাগে মনে বার বার। 
অনেকে করোনার ছোবলে হারিছে প্রাণ
জীবনের স্বাদ স্বপ্ন হয়েছে অবসান। 
সচেতনতা কেউ তো ফিরে পেয়েছে প্রাণ 
আমি বাঁচাতে চাই, আমার জান। 
তাই তো বলি বাঁচতে চাই, বাঁচতে চাই
আমি বাঁচাতে চাই।  
এখনো আইসোলশনে আছি বাঁচার আশায়।

Tuesday, June 30, 2020

মন পাখি

                 মন পাখি
           এম এ মাসুদ রানা 

মন পাখি তোর কি মন খারাপ? 
মন পাখি তবে কি অভিমানী নারী?
একটুখানি অভিমানে-
তোর চোখে দু'টি জল চলে আসে! 

নদী কিংবা সমুদ্র!
সে তো যেমন শ্রাবণের অবিরাম ঢল।
 তবে কি আদুরে হও কারো বউ?
অল্প'তে চোখ করো ছলছল! 

একটু হাওয়াতেই হারিয়ে যাও-
অন্য কোন অজানা পাণে....
মন পাখি কি তবে নতুন মৌনতায় —
নতুন বধূ সাজতে চাও?

বিলাসীতার উচ্চ আকাঙ্খায় 
ধরেছো কি এমন বায়না?
ভাবের মধ্যে বোঝাতে চাও 
মুখে তো কিছুই বল না।

Saturday, June 27, 2020

হায়রে অতীত নিদারুণ বর্তমান

 হায়রে অতীত নিদারুণ বর্তমান   
           এম এ মাসুদ রানা

কিনে ছিলাম কতশত লাল গোলাপ
প্রিয়ার সাথে করে ছিলাম আলাপ।
কখনো দাঁড়িয়ে ছিলাম না একা একা 
করে ছিলাম কারণে অকারণে দেখা। 

আমি চাই, 
আজ ভালোবাসা পূর্ণতা পাক
বিষন্নতার দিন কেটে যাক।
বিরহ বেদনা দূরে থাক
মনোমালিন্য সবাই দূরে রাখ।

তবুও কেন আসোনি কাছাকাছি 
সবে কিছু ছিল কি তোমার মিছামিছি? 
আমাকে করছো এখন বাছাবাছি 
আগে মতো করো না তো নাচানাচি। 

অথচ এই স্বপ্ন পূরণের আশা
আমি করিনি তোমায় বাছাই। 
আমি শহরে সবার চেনা
তোমার ছিল না জানা,
তাই করেছো পবিত্র ভালোবাসা ফানা ফানা।

Wednesday, June 24, 2020

আমি দেখতে চাই

         আমি দেখতে চাই   
        এম এ মাসুদ  রানা 

ভোর বিহানে দেখতে মন চাই, 
ছোটো সোনামণি ব্যস্ত আছে
এখন যাবে সে বিদ্যালয়ে।
কাঁধে তার আছে স্কুল ব্যাগ,
নিদ্রা ভেঙে দেখি মহামারী শেষ
সবাই করিতেছে আরাম আয়েশ 
কারো প্রতি কারো নেই কোন খায়েশ 
সবাই আছে সবার তরে বড্ড বেশ।
চারিদিকে সবাই মুখরিত গুঞ্জনে
মহামারীর কবলে কবলিত ক'জনে
খবর পেতে করে শুধু ফোন আর ফোন
যাহা জানে তাহায় বলে দেয় টান।
সমাজের উঁচু নিচু ভেদাভেদ হয়েছে শেষ 
খুজতে ছুটে না কেহ আরাম ও আয়েশ 
করতে চাহে ধর্মে যাহা আছে জায়েজ, 
আমানতও হয় না কারও কাছে গায়েব। 
নির্দয় হয় না গোলামে উপর সাহেব
ধরে আছে ধর্মে কি আছে জায়েজ? 
বর্জন করিতেছে যতসব নাজায়েজ 
ধরণীতলে সবার বসবাস আয়েশে।

Friday, June 19, 2020

তুমি ছলনাময়ী

             তুমি ছলনাময়ী 
          এম এ মাসুদ রানা 

আমি যে, তোমায় কতোটা ভালবেসেছি
এটা কেবল শুধুই আমিই জানি
আর জানে শুধু আমার মন,
প্রতিক্ষণে প্রবাহিত হওয়া বাতাস।
ভালবেসে বেসে, ভালবেসে শেষ
কেবলি একাকি ভালবাসার দেশ।
হয়েছি তো সময়ে খাঁক, 
অগ্নি সাগরে দিয়েছি ক্রমাগত ঝাপ।
দীর্ঘ মরুঝড় পার হয়েছি
তীব্র তাপে, ঝলসানো আত্মা নিয়ে।
দেখবো তোমার মোনালিসা চাহনি
শুষ্ক বুকে দেখতে এতোটুকু পায়নি।
জলের প্রবল প্রলেপ,
দু’টি অগ্নি নয়নে দেখেছি, 
চোখের পাতায় তোমার নষ্টামি হাসি
বড্ড ভুল হয়ে গেছে তোমাকে ভালবেসে।
তুমি যে, হিসেবের খাতা খুলে বসেছ
হে ছলনাময়ী রমণী! 
আর কতোটা পুরুষ পেলে
শান্ত হবে তোমার ওই তৃষ্ণাতূর হৃদয়
উদগীরনরত জলন্ত লাভা করবে জয়।

Sunday, June 14, 2020

তুমি ফিরে আসো

_____ তুমি ফিরে আসো
_____ এম এ  মাসুদ রানা 

আমি আজো খুঁজিতেছি তোমাকে,
তুমি ছিলে যেখানে।
আমি আজো থাকি সেখানে,
তুমি ছিলে যেখানে।

অন্যের হয়ে গেয়েছো ভাবিনি কখনো
আছে তো সবকিছুই সাজানো।
এমন কেন করলে করে তুমি গোপনে? 
অকারণে এসেছিলে স্বপ্নে।

আমি আজোও ঘুরি ফিরি, 
খুঁজে জীবনের মানে।
জীবন যে অর্থের কাছে বন্দি, 
সবাই কি তা জানে?
স্বপ্নের স্বপ্নে এসেছিলে একটা ফানে,
অযথাই খুঁজতে হচ্ছে এখন তার মানে।

অকারণে এসেছিলে স্বপ্নে স্বপ্নের সনে
হাত ধরে আছে তো তোমার অন্য জনে।
নতুন ভূবণ সাঁজাবে বলে কথা হয় দু'জনে 
আমার কথা আসেনি তাই তোমার মনে।

আমি আজো বসে আছি নিরিবিলি উচ্ছাস 
প্রহরে প্রহর গুণি তোমাকে পাবার স্বাদ
যদিও জানি হবে না এতে কোন লাভ 
তবুও থাকে না'তো আমার কোন লাজ।

তোমাকে ভালোবেসে পথেঘাটে হলো বাসা
অর্থের বিনিময়ে এখন ভালবাসা চাস।
অর্থ ছাড়া ব্যর্থ জীবনে হয়েছি নিরাশ
এখনো বলি আশাত্তুর জীবনে ফিরে আসো।

শব্দ

          শব্দ 
 এম এ মাসুদ রানা

শব্দ দিয়ে বাক্য হয়
কথায় কথায় নয়,
শব্দ কথায় হয় তো মালা
শব্দ দিয়ে হয় খেলা
খেলার ছলে নেমেছে দিবস বেলা
দিবস শেষে সন্ধ্যা মেলা।

শব্দ তোমায় প্রশ্ন করি
তুমি থাকো কোথায়?
তোমার খবর কি রাখ? 
কেমন করে আসলে তুমি?
মানবের এই দুনিয়ায়
দেখে বলে তো কেউ হায় হায়।

তোমায় দিয়ে কত কবি
লিখেছে কত কবিতা আর গান। 
লিখেছে কতই আরও ছন্দ 
তোমায় নিয়ে চলছে হয়নি তো বন্দ।

Saturday, June 13, 2020

আসেনি কোন সাড়া

           আসেনি কোন সাড়া
---------- এম এ মাসুদ রানা 

দক্ষিনা বাতাস এখনো বহে ঝিরি ঝিরি
বৃষ্টি আসে ঠিক আগের মতো শিরি শির। 
ফুল ফোটে আজোও ভরা বসন্তে,
ভ্রমরের গুঞ্জন আসে কানে কানে
গাছে নতুন পাতা আসতে আপন মানে।

জ্যোৎস্না রাত্রী আসে তারা ভরা গগণে
কোকিল ডাকে না তো আর কোন বাগানে
ফুল ভরা বসন্তে আছে কি কোন মানে?
কোকিলের ডাক যদি না আসে কানে।

মেঘের ভীড়ে লুকিয়ে থাকে নীল আকাশ
উল্কা পিন্ড ছুটে চলে, উঠেছে কোন বাতাস
রাত্রী পেরুলে সূর্য জাগে, আগের মতো কাজ
পায় না তো কেউ আরও বসন্তের সাঁজ।

আসে তো এখনোও এলোমেলো আশ্বিনী ঝড়,
নিরাশার বিষম বেদনায় ছটপট কর।
যদিও মন খুজে প্রিয়া বলে বেদনার কাছে
চাওয়ার ব্যাকুলতা মনের মাঝে।

কেন তুমি চলে যাও আপন মনে দূর গগণে
ভাবতে পারো না'কি আমার ব্যাকুলতার মানে।
যেমন বসন্ত এসেছে কোকিল ছড়া
তেমনি তুমি দিয়েছিলে কল্পনায় নাড়া
তাইতো আসেনি তোমার কোন সাঁড়া।

Sunday, June 7, 2020

সুন্দরী কন্যা

÷÷÷÷ সুন্দরী কন্যা ÷÷÷÷
÷÷ এম এ মাসুদ রানা ÷÷

 সুন্দরী কন্যা, 
তুমি এসো মনের গভীরে 
সাঁজিয়ে দিতে এই মন। 
সাঁজাতে করো না কৃপাণতা,
সাজতে চাই যখন তখন। 

 সুন্দরী কন্যা 
তাকাও, একবার আমার পানে, 
বলতে চাই কানাকানি।
আবার হবে কিছু কথা
তোমার সাথে নয়নে নয়নে।

 সুন্দরী কন্যা,
আমায় একটু ভালোবাসা দাও
তোমার নিখুঁত পরশে।
আমার কাছে এসে বসো
স্বপ্ন আছে তোমার যত সবই কশো। 

 সুন্দরী কন্যা ,
আমার নামটি লেখ
তোমার মনের ডাইরিতে।
আমার ছবিটা আঁক 
তোমার মনের রং তুলি দিয়ে।

 সুন্দরী কন্যা,
আমার কথা ভাবো? 
একা একা নিরালায় বসে।
তোমার মন আমায় যদি খুঁজে?
খুঁজে পাও, তাহলে তো প্রেম বুঝো।

Friday, June 5, 2020

আতংক

______ আতংক _________
___ এম এ মাসুদ রানা ____

বিশ্ববাসী আতংকে আজ
করোনার ভয়ে ছেড়েছে কাজ।
কখন যে, পরবো করোনার কোবলে
কাকে যে, মারবে মরন ছোবলে।

বিশ্ব আজ থমকে গেছে
মরণ ব্যাধি পৌঁছে গেছে।
কেউ পায় না পরিত্রাণ 
মনে করি ধরলে তো যাবে জান।

তবুও মানুষ ঠাট্টা করে
মরণ ব্যাধি করোনাকে নিয়ে!
খোদা যে, আজ শাস্তি দিচ্ছে 
মরণ ব্যধি করোনাকে দিয়ে।

খোদার গজব যতই আসুক 
অন্যায়ে কাছে করবে না স্বর নিচু।
ইমানদার জাতিই পারে কেবল 
করোনাকে হাঁটতে পিছু।

করোনা

_________  করোনা _________
_____ এম এ  মাসুদ  রানা ____

'করোনা' দিয়ে যতটুকু আঘাত
মনে ভিতরে পুষি ভয়ের প্রতিঘাত।
আল্লাহ'র প্রতি এনেছি কি ইমান
যতটুকু প্রয়োজন ততটুক নয়।

মৃত্যুর ভয় এসেছে এখন মনে 
স্রষ্টাকে বলছি এখন প্রতিক্ষণে।
করোনার নাম বলছে সবাই জনে জনে
মহামারী ধেয়ে এসেছে জনজীবনে। 

ক্ষমা যদি না করো হে দয়াময় 
আমাদের পাপ নিয়ে থাকবে সংশয়। 
পারবো না পার হতে বিপদের ক্ষণ
বিপদ ধাপে ধাপে এসে করবে দহন। 

মন থেকে করোনার ভয় 
করতে পারি যেন মোরা জয়।
ভয় ভীতি থেকে করোনা পরাজয়।
করতে পরি যেন করোনাকে ক্ষয়।

এখনো তোমায় ভালবাসি

___ এখনো তোমায় ভালবাসি ____
______ এম এ মাসুদ রানা _______

কত দিন  রাখনি কোন খোঁজ 
সত্যি ভূলে গেছ কি তুমি?
আমিও খুঁজিনি তোমায় কোনদিনি
ভূলে থাকতেও চেয়েছিলাম। 
সময়ের কালক্ষপণ ছিল বড্ড বেসামাল 
গা ভাসিয়ে ছুটেছি অজানায়।
কর্ম ব্যাস্ত জীবনের দোহাই ছিল বরাবর 
বুঝিনি কে আপন আর করে পর।
আজ তোমায় দেখতে পেলাম নতুন ভুবনে 
দেখেছিলাম কতটা যতনে। 
তোমাকে দেখে দেখে এসেছিল চোখে জল
সেই অজানার অশ্রু জল পাবি কি ফলে?
যেমন ছিলে তেমনই আছো রবে চিরদিন 
এতোটুকুু বদলাতে বাজানি কোন বীণ। 
সুখের হাসি আজো ভরে আছে তোমার বদনে
ব্যথাত্তুর কপাল দেখেছে ক"জনে।
বলতে চেয়েছিল তখনি উচ্চস্বরে, 
এখনো তোমায় ভালবাসি তোমাকে।

শেষ শয্যার শরীর

__শেষ শয্যার শরীর 
_ এম এ মাসুদ  রানা 

বিদ্যুতেরও সাধ্য নেই
রুদ্ধ করে রক্তের প্রবাহ,
যেভাবে রাতের ঘরে
এলে তুমি, আমার কাছাকাছি, 
শরীরের বস্ত্র ছেড়ে হাত নেড়ে
অগুছালো চুল, বাগিচায় ফুল  
যখন উধাও, লজ্জার সকল শীল,
মরে যাই আমি যে তখনি!

উতাল সমুদ্র দেখে ছুটে
এক জাহাজের নাবিক। 
ধ্রুবতারার লক্ষ্যহারা,
কম্পাসের কাঁটাও বিকল
কখন যে, হয় তার
হাহাকার, কীভাবে যে বাঁচি?
চারদিকে বাঁজে, মৃত্যুর বাজে
মায়াবতীর সুরে হয় তো কাজ।

সেই সময়ে, 
আমি একান্ত বাসরে
নতজানু ক্রমে ক্রমে হই।
নিশ্চিত  মৃত্যুর দেখা পেয়েও
সমুদ্র তখন থাকে ফেঁপে 
থাকি রতির চাদরে কেঁপে। 
হর্ষের বদ্বীপের প্রমুখে
প্রাণপণে চলি দাঁড় বেয়ে।

তোমার সম্মত দেহে
আমি সারারাত থাকি চেয়ে।
শেষ শয্যার শরীর ভেঙে
রতিপথ ধরে স্বর্গগামী ।

Friday, May 29, 2020

ক্ষমা করে দাও

____ ক্ষমা করে দাও
___ এম এ মাসুদ রানা 

সীমাহীন ব্যর্থতার মাঝে
উচ্চ কণ্ঠে আওয়াজ কি সাজে?
কাঁধে এই বোঝা বহন করা ভার
মৃত্যুর পরোয়ানা এসেছে কার
অপরাধ করে কেউ পাবে না পার।

অপরাধী মানবের মান
হচ্ছে এইবার খানখান।
জাতিগত ঋণের বোঝা
আছে সবার কাছে গোছা।

ক্ষমা করো প্রভু মোদের রোজ
সর্বদাই করি এখন তোমায় খোঁজ,
গ্রহণ করিনা বেহিসাবি ভোজ
ঢেকে রেখেছি মোরা নজ।

রহমান রহিমের নামে
ভুলে যাও মোদের অপরাধ। 
করোনা করুণ অভিশাপ 
করে দাও মোদের ক্ষমা।

Thursday, May 28, 2020

হলো না

_________ হলো না ________
____ এম এ মাসুদ রানা _____

কেনাকাটা হলো না 
ঈদগাহে কেউ গেল না
প্রিয়াও মোরে শুভেচ্ছা দিলো না
ঈদটাও ভালো করে হলো না।

থেকে গেলো আফসোস 
সবাই মিলে করে বুদবুদ
মনে বহে হুদ হুদ
করে সবাই খুদবুদ।

মন করে বিষণ ডর
বুকে করে ধরফর।
হুকুম হয় না নড়চড় 
বাইরে আসলে বলে মর। 

বাইরে আসে না কোন তরে
কাছে আসে না করোনার ডরে
কাছে আসলে কেউ যদি সে মরে
এখনো মানুষ মরে সমান্য জ্বরে।

বলে সবে কোন কিছু হলো না
গাড়ি ঘোড়া চলে না
দোকান পাট খুলে না
অফিস আদালতে অভিযোগ চলে না।

সচেতনতা ও সহানুভূতির অভাব

___ সচেতনতা ও সহানুভূতির অভাব _______
________ এম এ মাসুদ রানা ________

বিলাসীতা যখন হয়েছে প্রধান কাজ
হৃদয়ে বাজে সাঁজ সজ্জার বাজ, 
উপদেশে দিয়ে আসেনা কোন লাভে 
হৃদয়ে সৃষ্টি করতে হবে সচেতনতার সাঁজ।

কথায় কথায় সবকিছু বন্ধের বাজনা বাজে
টেলিভিশনের পর্দায় সচেতনতার ছন্দ ভাসে। 
ক্ষুধার্ত পেটে এইসবে কি যায় আর আসে?
প্রিয়জন, স্বজন মোদের দেখে বলে নাই নাই। 

নিদারুন কষ্টে নিদ্রা নাহি চোখে আসে
করুণ দৃশ্য বিত্তবানদের চোখে নাহি ভাসে।
কেউ রাখে না কারো কোন খোঁজ, 
সাজাই প্রতিনিয়ত নানা আয়োজনের ভোজ,
তবুও নেওয়া হয়নি অনাহারী স্বজনের খোঁজ।

এমন অবস্থায় মার্কেটে যাই বলো কারা? 
মার্কেটে আসে কি করোনা ভাইরাস ছাড়া?
অবাদে দিচ্ছে না'কি মৃত্যুকে সাড়া?
বাংলায় দিচ্ছে না'কি সর্বনাশে নাড়া?
 
অবশেষে যেন দেখতে না হয় বাড়ি বাড়ি
সাঁজানো লক্ষ লক্ষ আছে লাশ সারি সারি!
শুনতে হবে স্বজন হারার আহাজারি 
লাশকে নিয়ে কেউ করবে না নাড়ানাড়ি 
এই দূর্দশা আসবে মনে হয় বাড়ি বাড়ি।

এখনো সময় আছে সচেতন হয় তারাতাড়ি 
সচেতনতার কথা বলো বাড়ি বাড়ি।
প্রচার করো সবাই মিলে হারাহারি 
বদ চিন্তা ছাড়ো নাড়ানাড়ি 
হুশিয়ার হয়, সবাই কুচিন্তা ছাড়ি।

আর্তনাদ

_____      আর্তনাদ 
___    এম এ  মাসুদ  রানা 

শূন্যে তাকায় মধ্যবিত্ত সমাজ 
পথঘাট হয়েছে ফাঁকা
ক'দিন থেকে আছি উপবাস
করতে পারিনি টাকা-কড়ি রোজগার। 

উচ্চবিত্তরা রাখছে ব্যাংকে জমা
বস্তা ভরা চাল, ফ্রিজে ভর্তি আমিষ।
তাদের ঘরে নেইতো কিছু অভাব
এটা খাবো, ওটা খাবো তাদের স্বভাব। 

এইতো বুঝি নিঃস্ব হলো মধ্যবিত্ত সমাজ
ওরাই বলে দূঃখী অসহায় দের নিয়ে মোদের বাস
তাকিয়ে দেখো মধ্যবিত্তরা তোদের কী কাজ?
তোদের কারণে মধ্যবিত্তরা গোলায় দিচ্ছে ফাঁস।

পেটে ভিষণ ক্ষুধা

_________  পেটে ভিষণ ক্ষুধা  ________
_________ এম এ মাসুদ রানা ________

কি করিবো যাদু? 
প্রাণ যে, আর মনে না।
পেটে যে, ভিষণ ক্ষুধা কেউ তো জানে না
ক্ষুধার জ্বালায় মনে হয় তো আর বাঁচে না
কেউ তো মোদের কাছে সুবার্তা নিয়ে আসে না
মোদের দুঃখ নিয়ে কেউ কখনো কাঁদে না
মন থেকে কেউ মোদেরকে ভালবাসে না।

ক্ষুদার রাজ্য যখন দেখি তোদের খেতে 
ক্ষুদা যে, মোর আরও বেশি বেশি করে নাচে।
কেউ তো আসে না মোদের কাছে
মোদের কষ্ট তাদের হৃদয়ে নাহি বাজে
মোদের জন্য তোদের হৃদয়ে ভালবাসা নাহি ফুটে
ডাস্টবিনের নোংরা খাবারটিও তো নাহি জুটে
তাই তো মোদের বাস হয়েছে ফুটপাতে। 

নিদারুণ ক্ষুদার কষ্ট নিয়ে এখনো বেঁচে আছি, 
মৃত্যু এসেছে তো মোর মনে হয় খুবই কাছাকাছি
বিত্তবানরা ব্যস্ত শুধু, মোদের ভাগ করতে ভাগাভাগি। 
তোরা কি ভাবিস না তোদের মৃত্যু তো এসেছে পাশাপাশি?
রাখে না মোদেরকে তোদের পাশাপাশি
রাখলেই তো সৃষ্টি হবে সকলের প্রতি সমান ভাল বাসাবাসি।

মোর ভাগ নিয়ে আসিস কি কখনো কাছে?
মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঝারিস সত্যের বড় বড় ভাষণ 
ভাষণের জন্যে তো তোদের এই আসন
সেই কারণেই করতে পারছিস মোদের শোষণ। 
শত মানুষের যে কথা বলিস, তা কখনো করিস?
তোদের ভাষণ হয়েছে কি কখনো আশিস?

তোদের ভাষণ, হয়নি কখনো আশিস 
মোদের কখনো নাহি ভালবাসিস
তোদের স্বার্থের কথা সর্বদাই যাচিস
এই স্বার্থের জন্য কখনো কখনো ফাঁসিস।

মোরা তো চাই না কোন ভাগ
মোরা চাই শুধুই ইনসাফ
হিসাব যেন নাহি হয় কখনো বেহিসাব। 
শুধু চাই দু"বেলায়, দু"মুঠো ভাত
ভাতের জন্যে হচ্ছি দিবানিশি কাত।
আমরা বাঁচতে চাই, আমরা বাঁচতে চাই 
বেহিসাবি সমাজে চাই শুরু ইনসাফ।

শুভ সকাল

🏝🏝🏝 শুভ সকাল  🏝🏝🏝
🏞🏞 এম এ মাসুদ রানা  🏞🏞
           
স্নিগ্ধ সকালের শুভ্রতায়
কেটে যাক না দিন মৌনতায়।
হয়তো রবে না কাছাকাছি
যেন তবুও যেন বয়েছো পাশাপাশি।
আলো-আঁধারির খেলা শেষে
সূর্য যেন আসে পূর্ব দিগন্তে ভাসে
তুমি মনে হয় আর আসবে না কাছে।
বলছি গভীর ভালোবেসে
চলো না যাই স্বপ্নের দেশে।
হোক না এটাই সত্য, 
তোমাতেই শুরু, তোমাতেই শেষ
রয়ে যাবে তবুও মধুর আবেশ।
জানি পরেছে তোমার মনে আকাল
বলতে চাই আমি শুভ সকাল।

মধ্যবিত্ত

_______ মধ্যবিত্ত 
____ এম এ মাসুদ রানা 

আমি মধ্যবিত্ত, 
নেই মোর জমানো কোন অর্থ 
অর্থের কাছে হয় বারে বার ব্যর্থ।
পেটে আছে ভিষণ ক্ষুধা 
ছটপট করতেছে এই জান
বেরিয়ে যাবে বুঝি মোর প্রাণ
মোদের নিয়ে করবে না আর ফান।

আমি মধ্যবিত্ত,
পাততে পারি না তো এই হাত
ক্ষুধার জ্বালায় হয়েছি কাত 
জীবনে ধরেছে চরম ভাজ
হাত পাতলে আসে মোর লাজ
চলে যাবে তো মোর জাত।

আমি মধ্যবিত্ত, 
কি করবো আজ হায়?
সময় এসেছে সম্মান বলে যায়-যায়
উচ্চবিত্তরা চালায় সমাজে খাই খাই
মধ্যবিত্তকে দেখলেই বলে নাই নাই।

আমি মধ্যবিত্ত,
সমাজে সম্মান বাঁচাতে করি অভিনয় 
এই জ্বালা নিয়ে তিলে তিলে জীবন ক্ষয়
এরই ফলে হরদমে মৃত্যুকে করছি জয়।
আবার এখন মৃত্যুকে করি চরম ভয়।
মোদের তরে সমাজপতিরা হয় না সদয়
সম্মান বাঁচাতে মধ্যবিত্ত তিলে তিলে ক্ষয়।

লকডাউন

_______ লকডাউন 
_____ এম এ  মাসুদ রানা 

কর্মব্যস্ত শহর হয়েছে আজ নিঃশব্দ
চারিদিকে বিরাজমান মরণের ভয়
এরই তরে জনজীবন তিলে তিলে ক্ষয়।

নেই কোন সোরগোল 
নেই কোন গোলমাল 
নেই কোন আয়োজন। 

হয় না তো কেউ বেসামাল 
হয় না তো কেউ মাতাল 
হয় না তো আবাদ রাতে বিচরণ। 

যার যার অবস্থানে লক ছাড়াই ডাউন।
বলতে পারো আমিও গৃহবন্দী
করি না আরও কারো সাথে সন্ধি।

প্রকৃতির অপরুপ দৃশ্য দেখি
ডাইরির পাতায় কবিতা লিখি
টেলিভিশনে ভিন্ন ভিন্ন ছায়াছবি। 

মুহুর্তেই লাশ হচ্ছে বহু তাজা প্রাণ 
বাধ্য হয়ে নিতে হচ্ছে লাশের ঘ্রাণ 
হয়েছে মহাবিশ্ব আজ নিষ্প্রাণ। 

দেশে দেশে দেখি শুধু মৃত্যুর মিছিল।
বিষন্ন ভগ্নহৃদয়ে তাই ভাবি সারাক্ষণ
কতক্ষণ থাকবে এই রণ। 

মানুষের চিৎকারে ভৃত্য হয়ে পরেছে সবে
মৃত্যু নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে আসবে কবে
সাবধান তো সবাইকে হতে হবে।

সবারই না'কি বাইরে বেরুনো নিষেধ
এটা হলো রাস্ট্রের আদেশ
লকডাউনে আছি এটাই বেশ।

মাফ করে দাও খোদ

______ মাফ করে দাও খোদা _____
______ এম এ  মাসুদ  রানা ______

কবিদের কাব্য শৈলী থমকে গেছে 
পরে গেছে চারিদিকে আর্তনাদ। 
উচ্চবিত্তকে করোনায় করছে কাত
নিম্নবিত্ত খিদায় নিচ্ছে মরণের স্বাদ।

করোনা পেতে রেখেছে  মরণ ফাঁদ 
সবাইকে করে সবাই নিরাশা। 
ফেলতে পারে না তো কেউ নিঃস্বাস 
আতংকের মাঝে করতেছে মানুষের বাস।

ঘোরে সবাই জনে জনে, 
আলাপ করে সবার সাথে ফোনে ফোনে। 
হবে কি করে করোনা থেকে আজাদ 
করতে চাই না কেউ নির্ঘাত মরণকে সাক্ষাৎ। 

সবকিছু ছেড়ে তুলেছি খোদার কাছে হাত 
আমাদের কৃতকর্মের জন্য হয়েছে মোদের লাজ।
পেতে চাই সবাই সুস্থ জীবনের স্বাদ
হে মেহেরবান আমাদের করে দাও মাফ।

Sunday, March 22, 2020

গজব

________ গজব __________

___ এম এ  মাসুদ  রানা ____


আল্লাহ দিচ্ছে যতই গজব
আমরা কামায় করি আজাব।
সকাল-সন্ধ্যা পাপ করি
অযু করে নামায় পড়ি।

সৃষ্টি তোমার তামাম জাহান
শ্রেষ্ঠ তোমার মানব জাত
গজব দিয়ে করতেছ কাত
তবু্ও তারা হয় না ভাজ।

আর দিওনা এই জমিনে
করোনা নামক গজবের আঘাত
এবার তো মোরা হয়েছি কাত
তাওবা হয়ে হবো ভাজ।

শুনছি আসছে আবার পংকপাল
এটার না"কি আরেক ঝাল? 
ক্ষেতে ফসল করবে না"কি বেসামাল? 
তাই হয়েছি সবাই তাল বেতাল।

আর করবো না কাফেরি কাজ
এবার তো মোদের হয়েছে লাজ
মুনাফেকি কাজ দিবো বাদ 
করবো মোরা সৎ কাজ।

Sunday, March 15, 2020

খেয়ালি

___________ খেয়ালি _____________

_______ এম এ মাসুদ  রানা __


খেয়ালি ক্ষণে ক্ষণে,
মোর কথা যদি আসে তোর মনে,
বুঝিবে আমি আছি তোর সনে
খু্ঁজিতে হবে না তোকে জনে জনে।

থাকিবো না"তো গহীন কোন বনে
অযাচিত হয়ে থাকি না"তো রণে। 
খুঁজিতেছো বল তুমি বনে বনে
খু্জিতেছো বল তুমি জনে জনে।

তোর ভাবনায় আসে না কেন?
সর্বক্ষণে থাকিস তুই মোর মনে।
দূরে রাখি না তোকে কোন ক্ষণে
তোকে বলি না কখনো অন্য জনে।

বেকুলতার মাঝেই তো আকুলতা 
এরই মাঝে হয় না'কি প্রীতি খোঁজা?
মিস ছাড়া, হয় কি গো ভালবাসা?
ভালবাসার নামে দিচ্ছো মিছে আশা।

করোনা ভাইরাস

___ করোনা ভাইরাস

__ এম এ মাসুদ রানা __


মরণ ব্যাধি এই করোনা
ধরলে তো আর ছাড়ো না।
করল প্রথম চীনকে জয়
করছে এখন সবাই ভয়।

বান্দা যখন আল্লাহকে গেল ভুলে
ঠিক তখনি করোনাকে দিলো তোলে।
ছাড়ো এবার মানুষ মারার ইনজয়
করোনা এবার করছে তিলেতিলে ক্ষয়।

সময় কেবল যাচ্ছে সবার
করোনা আবার ধরলো কার।
ভয়টা তোর আর যায় না ছেড়ে
করোনা তো সবাইকে দিচ্ছে মেরে।

খোদার কাছে এই মোনাজাত
'করোনা' থেকে যেন পাই আজাদ।
গুনাহ যেন করেন মাফ
বেমার করতে না যেন পারে কাত।

সব ছেড়ে আল্লাহ' পথটি ধর
কাজের মাঝে আল্লাহকে সরণ কর।
আল্লাহকে ডাকার পাশাপাশি
ইমান রাখিস কাছাকাছি।

Tuesday, March 10, 2020

একটি খেলা

_____ একটি খেলা _____

   ___ এম এ মাসুদ রানা ___



তুমি বরং তারই গল্প হয়ে যাও
যাকে তুমি মনের গভীরে নাও।
কখনো কি তাকে ছাড়তে চাও?
তারই কথা ভেবে তো সুখ পাও।

যে তোমাকে বইয়ের পাতায় পাতায়
লিপিবদ্ধ করে রাখতে চায়।
তুমি বলোই তো সে ছাড়া তুমি নাই
কি করি বলো হাই!

আমি না হয় পড়বো সেই গল্প
কোন এক বই মেলায়।
আমায় নিয়ে খেলেছো খেলায়
কোন একটা গোধুলীর বেলায়।

বিফলতা

------------ বিফলতা ------------

         ------ এম এ মাসুদ রানা -------


আজ বহে বুকে যমুনার বান
কথায় কাজে ছিল না কি মান
তাইতো হচ্ছে হৃদয় খানখান
চলে যাবে বুঝি এ-ই প্রাণ।

কথায় কাটে সবাই কথার ভাজ
করে যাই সবে মন দিয়ে কাজ
সেজেছো এখন অনুপম সাজ
বাঁজিতেছে কানে আনন্দের বাজ।

নতুন নতুন লোকের মাঝে
রয়েছো প্রিয়োজনের সাথে
মনোযোগী হয়েছে নতুন কাজে
আমার কথা মনে নাহি আসে।

ব্যথাতুর হৃদয়ে ব্যর্থতা ঘুচাতে
করি এখন চেচামেচি কলরব।
ব্যর্থতা কাঁধে নিয়েছি সবে
একাকীত্ব হয়েছি এখন ভবে।

বন্ধ করো

_________ বন্ধ করো __________

------- এম এ মাসুদ রানা ------


তোমরা জালিম, তোমরা নাস্তিক, 
তোমারা বড়ই স্বার্থপর!
মঞ্চ কাঁপিয়ে শান্তির কথা বলিস 
আবার কথায় কথায় মানুষ মারিস।

জুলুম নির্যাতন এসব দেখে
খুনের নেশা তোদের উঠে ফেঁপে,
বিশ্ব জনতা উঠেছে কেঁপে। 
মানব নিধন করতে গেলে
কাঁপে উঠেনা তোদের মন!

এখানে ওখানে বিশ্বজুড়ে
মা-বোনদের আহাজারি!
এইসব দেখে করছো কেন হাসাহাসি
থামছেনা তোদের  খুনাখুনি।
শান্তির আশায় প্রহর গুণি।

বিশ্ব মঞ্চে বড় বড় শান্তির ভাষণ
তোরা এরার বন্ধকর।
সবকিছু ছেড়ে চীনের দিকে লক্ষ কর
আমার দাবী মানব হত্যা বন্ধ কর।

কোন বিবেক নিয়ে করিস বাস
কথায় কথায় মানুষ মারতে চাস।
তোরাই না জাতীর কাণ্ডারি
বন্ধ করো তোদের সব ভণ্ডামি।

আমি তোমার সাথী

_____ আমি তোমার সাথী____

______ এম এ মাসুদ রানা ______


দিবসের শেষে গোধুলীর সাঁঝে
পুর্ব দিগন্ত থেকে তোমার সুর আসে।
নদীর ধারে দক্ষিনা বাতাস বয়
মাঝে মাঝে কেমন আছিস কয়।

দুঃখ থাকলেও আমার বুকে
জানতে পারবে না কেউ শুকে।
ভালবাসার স্বরে নদীর জল বলে
সুখ করিস খালি কোন ফলে।

তোর মনে আছে কত যে দুঃখ
সে"তো আমি জানি, আমি জানি।
দুঃখের পরে আসবে সুখ
এটাও তো আমি মানি, আমি মানি।

গভীর রাতে পরে আঁখির জল
দূঃখ ভরা নয়ন করে টলমল।
আমি সর্বক্ষণে থাকি তোমার পাশাপাশি
ধরে নিতে পারো আমি তোমার সাথী।

Monday, February 10, 2020

ব্যবধান


_________ ব্যবধন __________
____ এম এ  মাসুদ রানা ______

অন্য দেশের যুবকরা যখন
জয় করতে চায় অজানা কিছু।
দেশের জন্য জীবন দিয়ে রয়েছে রাজি
পরাজয় মনে না তারাই জন্য জীবন বাজি।

ঠিক তখনি আমার দেশের যুব সমাজ
ধর্ষনকে করেছে প্রধান কাজ ।
তাদের দেখে হয় না, এদের লাজ
করতে চাই না কোন ভাল কাজ।

অন্য দেশের যুব সমাজ শিখে
উন্নত হবে কিসে এটাই তারা লিখে।
শক্তিধর কেমনে হবে তার
এটার জন্য দিচ্ছে সবাই সাঁড়া।

আমার দেশের ছেলেকে মা-বাপে বলে
প্রতারক হতে হবে ছলে বা কৌশলে।
ভন্ড বাবার ভন্ডামি চলছে রমরমি
শীতে যেমন ধরে মানুষের কনকনি।

অন্য দেশে নেতা ব্যর্থ হলে
নিজ দায়িত্ব নিজেই  ছাড়ে।
জোড় করে নেয় না ক্ষমতা কাড়ে
এতে তো তাদের শুনাম বাড়ে।

আমার দেশে অসৎ লোকে নেতা হয়
কথায় কথায় দেয় মরণের ভয়।
জনগণের মনকে করতে চাই না জয়
এরই ফলে বারে বার হচ্ছি তো পরাজয়।

Saturday, January 25, 2020

শঠতার জিন্দেগী

___ শঠতার জিন্দেগী
___ এম এ মাসুদ রানা

অহংকারে ওঠে নাতো
প্রতিবাদীর প্রতিবাদী ঝড়।
জং ধরেছে ঈমানের ঘরে
গোড়া করছে নড়বড়।

সচেতন সমাজে আজ
হচ্ছে মরণের শিকার।
লাঞ্ছনা আর বঞ্চনাকে
সম্মুখে করছে বরণ।

কলমের ডগা ফেটে কাঁদে
নিরব নিথর হয়ে।
অভিসাপ পুষে রাখেছে
গোপনে বুকের ভিতর।

অপমানে কাঁপে নাতো
কারো পবিত্র মন।
শঠতার জীন্দেগী আজ
করেছি সাদরে গ্রহণ।


Wednesday, January 15, 2020

কোথায় তুমি

___________ কোথায় তুমি

************* এম এ মাসুদ রানা 


                   কোথায় তুমি
ফাগুন আসার কথা শুনে ফুটে যদি ফুল
রাত আসার কথা শুনে জ্যোৎস্না যদি হাসে
জ্যোৎস্না ছাড়া আঁধার রাতে যদি কাঁদে।
কষ্ট হোক না কেন সুখ আসে ফাঁকে ফাঁকে!

                    কোথায় তুমি
সাগরের পথ ধরে নদীর স্রোতে হয় ভয়
মিলনও বাসনার তরে সব বাধা ডিঙ্গে।
নিবে না তো কিছুই কেউ  ছিনিয়ে
হয়তো সবকিছুই মন থেকে মানিয়ে।

                    কোথায় তুমি
তুমি আসো না আমার বসন্তীর শুভক্ষণে
আসো না আমার অনুভুতি জাগানো মনে।
নীল আকাশ পানে আছো অনেক দূরে
মেঘের ভেলা পাল তুলে রখেছে তোমায় মুরে।

                    কোথায় তুমি
আমার প্রতি নেই কি তোমার মনের টান,
বিঁধেনি কি তোমার মনে আমার প্রেমবাণ
এক রথীও দিলেনা এই প্রেমের মান
কথায় কথায় মার শুধু পিছু টান।

                    কোথায় তুমি
স্বপ্নের চরে তুমি স্বপ্নচারিতা হলে না।
যেমন করে কোকিল নীড় বাঁধে না।
ভালবেসে নিরবে তোমার কাছে ডাকোনা,
সবসময় ভালবাসার নামে করো বাহানা।

হে মাধুরী

__________ হে মাধুরী 
******* এম এ মাসুদ রানা
হে মাধুরী
তোমাকে দেখেছি গভীর কোন রাতে
ফুল নয়, তারাও নয় এর চেয়ে বেশি
ভরেছিলে হৃদয়ে, বসেছিলে কাছাকাছি
তোমার কথায় ছিলনা কিছু মিছামিছি।

হে মাধুরী,
তোমায় দেখেছি জোৎস্না ভরা রাতের
রেখেছিলেতো হাত দুটো এই কাঁধে
ঐ কথামালা এখনো এই হৃদয়ে বাঁধে
চন্দ্র যেনো হার মেনেছিল তোমার সাঁজে।

হে মাধুরী,
তুমি যেনো শান্ত নদীর অশান্ত ঢেউ
মাঝে মাঝে দেখেছেতো কেউ না কেউ।
পাখির গানে মনের টানে
তোমাকে খুজে পাইনি নদীর ভরা বানে।

হে মাধুরী,
তুমি ছিলে অবারিত সবুজের মাঠে,
যত দেখেছি ততই অভিভূত হয়েছি।
মেটেনি এই পোড়া মনের সাধ
তাই তো দিয়েছো তোমার মনে বাঁধ।

হে মাধুরী,
তুমি ছুয়ে যাও আমায় শুধু একবার
তোমাকে পাবার তৃষ্টায় হচ্ছি যে ছারখার।
এক'বার ছুয়ে যাও তৃষ্ণাতূর হৃদয়
তুমি না এলে যন্ত্রণা করবে আমায় জয়।

Monday, January 6, 2020

তোমার প্রতিক্ষায় ছিলাম


 তোমার  প্রতিক্ষায় ছিলাম

     এম এ মাসুদ  রানা 


নয়নের দৃষ্টিতে যে,
করেছিল অবাধ বিচরন,
যার ভাবনায় ছিলাম সারাক্ষণ
জাগেতো মনের ভিতরে শিহরন।

সেতো তুমি স্বপ্নে স্বপ্নের জাগণ
নিত্য দিনে প্রতিক্ষাকে করেছো হরণ।
একবার দেখা হবে, একবার কথা হবে
তুমি আসবে, তুমি কাছে বসবে
পথে দাড়িয়ে থাকবে,
অল্প অল্প কল্পনাতে কথা বলবে।

দেখার নেশায় কাটবে মনের বিভোর
তুমিতো ছিলে ভাল লাগা মন পাখি
মনের মাঝে পোষা শংঙ্খ চিল।
উড়ে গিয়ে থাকো কোন অন্য এক বিলে
হঠাৎ করে হারিয়ে যাও আকাশের নীলে।

চলে যাবে যদি, তবে চলে যাও, 
বাসনার আঙ্গিনা ছেড়ে চলে যাও।
অন্য আর কারো সাজানো ভূবনে,
পারব না দেখতে, পারবো না সইতে 
তোমার এই চলে যাওয়া।

কেন যে, হলো না তোমাকে পাওয়া
চলে যাবে বলে ছেড়েছি নাওয়া, খাওয়া। 
এতে যদি হয় মরন, তবে হোক অবেলায় 
মরন হবে তো,  বড্ডো একটা খেলায়
থাকবো না আর, তোমার জন্য নিরালায়।

Saturday, December 28, 2019

প্রেমানন্দ

********** প্রেমানন্দ 
--------- এম এ মাসুদ রানা 

হাসির মাঝে ভালবাসা খুজে পাই
পেয়ে সবকিছুই তো ভুলে যাই,
এই তো থামানোর যন্ত্র নাই। 
বেসুরা সুরে শুধু গায় আর গায়
এরই মাঝে ভালবাসার ঘ্রাণ পাই।

কত যে কথা, কত যে ভাষা
মনের মাঝে বাঁধে যে, বাসা,
স্বপ্নের তুলিতে স্বপ্ন সাঁজায়
তারই মাঝে প্রেমের নীড় বাঁধা
সবই প্রেমের সুরে প্রেমমাল গাথা।

কুয়াশা ঢাকা এই সকাল সাঁঝে
স্বপ্নের কথাগুলো হৃদয়ে বাজে,
স্বপ্ননে ঘুরে আসি স্বপ্নের দেশ
দূরে নিরালাতে বসবো বেশ
কথার মাঝে চলবো কথার পেচ
এই কথার হবে না শেষ।

কিনে দিবো তোরে পুঁতির মালা 
পড়িয়ে দিবো তোকে যতনে গলে,
পড়িয়ে নিবে তুই মান্দার ছলে
মোর বুকে প্রেম জ্বালা জ্বলে বলে
তাই তো প্রেমানন্দ নিয়েছি কোলে।


Thursday, December 26, 2019

বিফল বাসনা

 বিফল বাসনা 
এম এ মাসুদ রানা 

আমি পাইনি খুজে তোমায় কোন কূলে
হেমন্তের শিশির ভেজা ফুলে ফুলে।
তুমি এসেছিল না'কি সেই হৈমন্তী রথে
হাল্কা কুয়াশা মাখা ছিলে তো বটে। 

তুমি এসেছিলে না'কি যমুনার স্রোতের অনুকূলে?
উত্তাল-পাতাল ঢেউয়ে ফেপে ফুলে। 
এসেছিল না'কি কাগজের নৌকায় চড়ে?
তোমায় পাইনি খুজে যমুনার কোন চরে।

তুমি একেছিলাম না'কি অনুভবে অনুভূতি নিয়ে?
বেলা শেষে ফিরে যাবে ভালোবাসা দিয়ে,
অথবা রঙধনুর সাত রঙে নিবো চেয়ে
মনে যতটা আছে পাওয়ার যাবো পেয়ে।

হলো না চাওয়া, হলো না পাওয়া,
হবে কি করে আর নাওয়া, খাওয়া? 
ভাঙ্গা মন রাতে শুধু কাঁদে আর শুধু কাঁদে
কষ্ট ভরা প্রতি প্রহের ফাঁকে ফাঁকে। 
তুমি এসেছিল না'কি নয়নের জলে?
দিয়ে গেলে তুমি নিরাশাকে কোলে!


Tuesday, November 19, 2019

ভালবাসায় সাড়া দাও

 ভালবাসায় সাড়া দাও

  এম এ মাসুদ রানা 


আমি বলি অনন্ত বিরহ, কখনো দহন কাল
সবার জীবনে বুনতে চাই জাল!
আমার শূন্য দৃষ্টি এক সমুদ্র নোনা জলে ভাসে
এক রূপকথার গল্প বলে নীববে কাঁদে।

হে প্রিয়তমা!
তোমার মনোকাশটা আমায় দেবে শুনি?
দিলে কি ক্ষতি হবে এটাও একটু জানি?
না দিলেও ক্ষতি নেই আমার।
আমার এই জীবন শুধুই বিরান ভূমি
উপযাচক হয়ে করতে এসো না খুশি।
মুঠো ভরে একমুঠো দিয়ো গো আশ্বাস
তৃষ্ণাত্তুর হৃদয়ে সেটাই করবো বিশ্বাস।

সেই আশ্বাসে পাই যেন অতীতের ফেলে আশা বিশ্বাস
হলুদ পাতার সবুজ দৃষ্টিতে নিবো নিঃশ্বাস।
নতুন চরে উড়ে আসা সাদা বকের সারি
সাদা কাশফুল হাওয়াতে করবে নড়ানড়ি।

আমার একটা সমুদ্র চাই
যেখানে আশ্বাসের ভালবাসা নাই।
দু'এক ফোঁটা বৃষ্টিতে, একটা সমুদ্র ভিজে
সমুদ্রের সাথে পাল্লা দিয়ে কেউ কি জিতে?
সবাই ছুটে আসে, তার গায়ে কিছু জলে ভিজে নিতে।

আকাশ জুড়ে যখন কালো মেঘের ঘনঘটা করে
তার ভয়ে কি সমুদ্র কখনো কি নড়ে?
সময়ের বিবর্তনে অন্ধকারে ঢাকা শুকতারা,
আবার সূর্য ডোবার পর একই স্থানে ধ্রুবতারা,
কেউ উদয় হয় না, তাদের নিজেস্ব স্থান ছাড়া
তুমিও দাও, আমার ভালবাসায় সাড়া।

Tuesday, November 12, 2019

বিচিত্র মানুষ

               বিচিত্র মানুষ 

                 এম এ মাসুদ রানা 

````````````````````````````````````````````````````````
নৈঃশব্দ্য শব্দটি খুব শদা
মানুষ সংক্ষিপ্ত ধ্বনি চায় অর্থ খোঁজে খুব বেশি
অর্থে খোঁজ না পেলেও করে তারা চেচামেচি
বিভিন্ন কারণে চলে আসে কাছাকাছি
ছলনা ও ললসা পেতে কথা বলে মিছামিছি।

বড়ই বিচিত্র কামনা-বাসনা থাকে মানুষের
স্বভাবও দ্রুত জমা বদলায়। দুর্বৃত্ত বাতাসে
উড়ে যায় পূর্ণিমার অদৃশ্য গহীন শাদা জোৎন্সায়
বিষাদের গ্রীবার জ্বলে ওঠে শোকের স্তবক অখণ্ড বিষাদ।

রঙ্গিন মেঘের গাঢ় রঙিন রোদেলাবিকাল মৃত
রজনীর উঠোনে উজ্বল মেঘের শাদা ধ্বনি, গূঢ়
বেদনার নিঃশব্দ অশ্রু ঝরে অলক্ষে কোথাও
ঝরা অশ্রু হবে কি আবার বৃথা?

মানুষের পকেটে নেই নক্ষত্র, মেঘভর্তি ব্রিফকেস হাঁটে
সুন্দর আঙুলগুলো দিনরাত অন্ধকার লেখে
শর্টহ্যান্ডে লেখে অপ্রতিরোধ্য বিষাদ দীর্ঘশ্বাস
পায়না তো জীবনে বাঁচাবার উচ্ছাস।

তবুও আমাদের প্রতিটি সকাল  অপেক্ষায় থাকে
মানুষের জন্যে সুখের পাখির জন্যে
সুখ পাখি পেয়ে হবে তো সবাই ধন্য
সুখ পাখি করবে কি আমাদের গণ্য?
বাজারে হবে আবার সবে কি কেনা বেচার পণ্য?
আমাদের বাঁচার জন্য পায়না অন্য।

অমর একুশ

             অমর একুশ 

               এম এ মাসুদ রানা 

বিষাদের করুণ ধুলোর নেইতো আর শেষ!
কষ্টদল আকাশে উড়াল দিয়েছে হাওয়া হাওয়া,
বায়ু প্রবাহের প্রত্যাশায়, বাঁধন ছেঁড়া বল্গাহরিণ হাওয়ায়,
দেয় ছুট জন্মে-জন্মে চেনা সবুজ জমিনে!

শোক নই তাই!  মুঠোভর্তি গাঁদাফুল নিয়েছি হাতে
হয়েছে কৃষ্ণচূড়া লাল, প্রদীপ্ত যৌবনের -ঘ্রাণ!
শোকের প্রভাতী মিছিলের নগ্নপদধ্বনি বেজে ওঠে আজ
নবতর দৃপ্ত মূর্ছনায়! উছলে উথলে ওঠে আলোর বকুল!

কে তারে বাঁধতে পারে ফের শৃঙ্খল-পিঞ্জিরায়
শহীদের স্মৃতিতে ছুটেছে দিকবিদিক,  বিশ্বময় ব্যাপ্ত আজ
একুশের অমেয় সঙ্গীত, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো.....
বিশ্বের পতাকা জুড়ে পৎপৎ ওড়ে শহীদের স্মৃতি বিশ্বময়!

উঠুক জেগে ফুলের সৌরভে ফসলের ঘ্রাণ!
মুখেমুখে নাচুক আলোর মুগ্ধ ব্যাকুলতা!
দূর হোক ক্ষুধা-ক্লান্তি-জ্বরা অন্তহীনতা!
বাংলাদেশ হাসুক খিলখিলি প্রাণবন্ত হাসি অমলিন
তাই চাই খোদা!
এইটুকু চাই!
শান্তি হোক শহীদের রক্তাক্ত আত্মার।

আমি ফিরছি

        আমি ফিরছি 

          এম এ মাসুদ রানা 


অন্ধকার ধূলিপথের বাঁকে বাঁকে ঘুরে ঘুরে
বেদনা বিধ্বস্ত একা একা ফিরছি......
তুমি কী জেগে আছো আমার অপেক্ষায়?
আমি রাত জেগে সবকিছু আগের মত সাজায়।

ঐ যে স্বপ্ন ঘুড়ির স্বপ্ন আঁকা দিন
ঐ যে রূপালি নদীর স্রোত, শৈশবের দুরন্ত সাঁতার
মনে পড়ে না  কী তোমার?
দীর্ঘ জলের দুর্দান্ত গল্প, মনে কী আছে তোমার?
ফিরছি, আমি আর থাকবো না একা একা,
ফিরছি, আমি তোমার কাছে ফিরছি!

অন্ধকার ধূলিপথের শহর নগর
লাবণ্যের সবুজ গল্পরা হারিয়ে গেছে
প্রযুক্তির লাল সন্ত্রাসের থাবায়!
বেঁচে আছি শুরু আমি তোমার আশায়।

ঐ যে রঙ বেরঙ্গের পাখি ডাকা সকাল
ঐ যে প্রাক বিদ্যালয়ের  বৃক্ষ বন্ধুরাজি
ডাকছে, ডাকছে, খুবই বেশি ডাকছে আমায়
কল্পের কল্পনাতে মনে পড়ছে তোমায়

তুমি কী জেগে আছো আমার অপেক্ষায়?
আমি, একা একা বেদনা বিধ্বস্ত ফিরছি!
আমি ফিরছি, আমি ফিরছি বুকভরা আশা নিয়ে
তুমি নিয়ো গো, নিয়ো আমায় মানিয়ে।

Friday, November 8, 2019

বিরহের সুর

        বিরহের সুর 

        এম এ মাসুদ রানা 


হাত বাড়িয়ে রাখি অন্ধকার রাতে
ঘোমটা দিয়ে ডাকা তোমার মুখ,
নিজেকে লুকিয়ে রেখে পা-ও কী সুখ?
ভুলেও যদি পড়ে মোর কথা মনে ;
খুজবে আমায় অন্ধকার ঘরের কনে।
বিরহের সুরে গাইবে স্বপ্নের গান
গানের মাঝে খুঁজে পাবে ভালবাসার মান।

বাস্তবে আবেগ নিয়ে ভুলতে চাই তোমাকে
জোনাকির মতো তারা নেভে আর জ্বলে
পাই না খুঁজে আমি তোমার সুঘ্রাণের সুর।
এই রিক্ত হাত দূ"টি হৃদয়ের কোলে
পাবো না"কি তোমায় কোন কৌশলে?
শূন্যতার হাহাকার নিয়ও তুমি আমলে।

তারার শত প্রদীপ জ্বলে আকাশের গায়
সেই পানে চেয়ে জল ঝরে হয়েছি যায় ম্লান।
মনে হয় আসবে ফিরে নুপূর পরা দু'পায়ে
অপেক্ষায় বাড়িয়ে রাখিবো রিক্ত  হাত।
প্রেম নাই, সুখ নাই গেছো তুমি উড়ে,
 খুঁজি আর খুঁজি তোমায়, বিরহের সুরে।

Wednesday, November 6, 2019

অভিমানী কন্যা

      অভিমানী কন্যা 

         এম এ মাসুদ রানা 

````````````````````````````````````````````
অভিমানী কন্যা ফিরে এসো
হাত বাড়িয়ে দিই রজনী গন্ধার ঘ্রানে,
বাড়িয়ে দিই লাভ লেইনের সন্ধ্যা
টাঙ্গন নদী, সিরাজউদৌলা রোড়
আর কাঠালডাঙ্গী হাটের দুপুর।

এতো অভিমান করতে হয় না পাগলী
এসো মাশানগাঁও সীমান্ত বোর্ডারে
ঝালমুড়ি আরা বারোভাজা খাই।
জমিদার বাড়ি ঘুরতে ঘুরতে কিনে দিই
বকুল ফুলের মালা।

এইসব কিছুই নেবে না তুমি?
তবে চলো লাইব্রেরিতে-এ যাই।
কিনে দিই জুলফিকার আলি বই
কেটে যাবে তোমার অভিমানের ক্ষণ।


বিনাশ বাঁশির সুর

           বিনাশ বাঁশির সুর  

                 এম এ মাসুদ রানা 

""""''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''"""""''''''''''''''''''''''''''''''''""""""""""''"""""""""""""
আমি শীতের প্রারম্ভিক লগ্নে,
শীতে শিরশির কুঁকড়ে উঠে স্বপ্ন দেখছি,
তুমি শীতের রাতে কমল ও পশমি বস্ত্রে
ঘুমের ঘরে গড়াগড়ি খেতে খেতে স্বপ্ন দেখছো।

আমি জেল গারদের ভিতরে শুয়ে শুয়ে
বদনে অন্তঃসলিল নদীর সমূহ যন্ত্রণা নিয়ে
ঘুমের ঘরে স্বপ্নে তোমার শরীরে প্রবাহিত হই
মিষ্টি লোভে শীতের পিপীলিকার মত করি ভীড়।

তুমি নিশ্চিত শয্যায় অলস পরশ নিয়ে
ঘুমের ঘরে স্বপ্নে ফুলের দেশে, পরীর সখি।
কোন অচেনা রাজপুত্তুরের ঘোড়ায় চড়ে
পরম প্রেম মাখা মমতায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছ।
সেই  ঘোড়ার চলার ধ্বনি শুনে
জেলের চার দোয়ালের ভিতর গুমড়ে ওঠি
ক্রমশ ঘনিয়ে আসা স্বপ্ন বিনাশ বাঁশির সুর।

Monday, November 4, 2019

তুমিও কাঁদবে একদিন

তুমিও কাঁদবে একদিন

   এম এ মাসুদ রানা 


তুমিও একদিন অঝরে কাঁদবে
আমার মত শূন্য বুকে নিয়ে,
নয়নের ঝরা জল শুকাবে না
আসবে না কেউ মুছে দিতে।

অন্ধকার গলির মাঝে একলা
চারপাশ ভরে থাকবে কাল ছায়া
ডাকবে না তোমায় আলোর পথে
পথের খোঁজে মন হবে দিশেহারা।

আমার মত করে অপবাদে
মিথ্যে অপরাধে অপরাধী হয়ে
বোবা ব্যাথায় কাঁদবে তখন
স্মরনে পড়বে আমায় বারে বার
তখনি খোঁজার চেষ্টা করবে বুহুবার
এই আপরাধে থেকে পাবে না পার।

আমি হারিয়ে গেছি হারানোর পথে
দূর এক অচেনা গগনের মাঝে
কতশত জীবন নদীর কূল ঘেসে।
ফুটবে না নতুন বসন্ত প্রভাত
তোমার মরে যাওয়া হৃদয় পানে।

Sunday, November 3, 2019

মন

            মন

‌‌‌‌    এম এ মাসুদ রানা 

""""""""""""''''''''""'''''"'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
চোখে থাকা রঙিন স্বপন
আমি ভাসিয়েছি কবেই,
চোখের ঝরানো জলে,
তাই বেদনা নিয়েছে কোলে।
মন তবুও আশায় থাকে
স্বপ্নগুলো কোন দিন
আসবে ফিরে পাবে বলে
সব যাতনা যাবো ভুলে।
যতই বলি এই মনকে
স্বপ্ন খুজে পাবে না।
এই মনে আছে স্বপ্নের আসন
মানে না আর কোন শাসন।
আশাও আর ছাড়ে না,
স্বপ্নও তো আর ফিরে আসে না।
পথগুলো আর হারিয়ে যায় না
মন ধরে কথায় কথায় বাহানা।

Thursday, October 31, 2019

ক্ষমা চাই

                       ক্ষমা চাই

                       এম এ মাসুদ রানা 

“””””””””””””””””””””””””””””””””””””””"""""""""''''''''''""""''''''""""""""""""
মনের অজান্তে কাউকে আঘাত দিয়ে থাকলে ক্ষমা চাই,
হতে পারে এমন দুর্ঘটনা আচার-আচরণ বা কথাই।
আমি মানুষ আমারও ভুল আছে, কেউ ভুলের উর্ধে নয়,
জ্ঞানীগুণী, মহামানব, পীর-দরবেশ ভুল করে নিশ্চয়ই ।

আমি তো কে এক তুচ্ছ মানুষ আমার জ্ঞানই কতটুকু,
নগন্য জ্ঞানের অধিকারী মানুষ সরিষা পরিমান যতটুকু।
মানুষ গর্বে ফেটে পড়ে, দেখায় কি দাপট, কি অহংকার?
ভুলে থাকে সৃষ্টি, ভুলে থাকে প্রভুকে, ভুলে থাকে শেষ বিচার।

ক্ষমা করে দাও হে স্বজন বন্ধু সখি নিরন্তর কাঁদে এ আঁখি,
করেছি কোন দোষে, মরছি পিষে নিদারুন ব্যথা ওঠে বুকে?
এই ব্যথার কারণে আজ আমি বেঁচে আছি ধুঁকেধুঁকে।
একদিন চলে যাবো, যে যার মতো সকল বন্ধন ছিঁড়ে,
তাকাতে পারবে না কেউ আর পিছু ফিরে-ফিরে,
স্বজন বন্ধু সখি সকলে রবে আপন-আপন নীড়ে।

হবে না দেখা খোলা-মেলা সেই দিন মরনের পরপারে,
কিঞ্চিৎ ব্যাথা যদি দিয়ে থাকি ধরণীর বুকে কোনো ছলে,
বুকে জমা রেখ না তুমি মন থেকে ক্ষমা করে দিও স্বজন বলে।
শুধরে নাও, ক্ষমা দাও, নয়লে মুক্তি পাব না কোন কালে।

Sunday, October 27, 2019

তমি আর ফিরবে না

তুমি আর ফিরবে না

    এম এ মাসুদ রানা 


আমি জানি!
তুমি কখনো ফিরবে না
আমার এই স্বপ্ন সাঁজানো নীড়ে
থাকবে তুমি শত মানুষের ভীড়ে।
ধরবে না আমার দুটি হাত
তবু চাই, সুখি হও, তুমি সুখী হও,
তোমার মনের মতো নীড়ে।

আমি জানি!
প্রতিক্ষার প্রহর শেষে হবার নয়
ফুটবে না ঊষার আলো পূর্ব গগণে
তবু আছি তোমার অপেক্ষায় বিহনে।
আসবে না সূর্য প্রভাত আমার লগ্নে
তোমাকে দেখি যে আমি শয়নে-স্বপনে।

Sunday, October 20, 2019

এসো দ্বীনের পথে

এসো দ্বীনের পথে 

       এম এ মাসুদ রানা 


ধর্ম ছেড়ে গোমূত্র খোঁড় হয়ো না,
পাইবা না ভাই কোন ছাড়,
সুযোগ বুঝে তারাই ধরে মারবে আছার।
মোরা নয় কারো হাতের গড়া পুতুল
ইচ্ছা মতো করবে তোরা অদলবদল
জীবনটা তোকে যে, করেছে দান
দানের ফলে রেখেছো কি তার মান?

জালিমেরে ভয় করছিস তোরা
বলো তোরা এটাই হলো বাঁচা মরা।
মরণ থেকে বাঁচতে পারবে নাতো ভাই
সত্য হলো বলি তাই,
ইলাহি ছাড়া বাঁচার কোন রাস্তা নাই
যদি বলো আছে, সবে পুরে হয়েছে ছাই
ঐ পথে বাঁচার কোন উপায় নাই।

অতীত যতো ঘটেছে, সবে ভুলে চলো
শুদ্ধি লাভের তরে খোদা সাথে বলো।
তারেই ফলে খোদা, তার বাড়াবে হাত,
সেই কারনে তরে পেয়ে যাবি নাজাত।
তাঁর কাছে চাও তুমি পরিত্রান।
বর্ষণ করো করুন সুরে মাগফিরাতে
তহলেই তো খোদা থাকবে তোমার সাথে।

তোরা চুপ থাক

তোরা চুপ থাক

 এম এ মাসুদ রানা 


তোদেরকে বলছি,
আমি তোদেরকেই বলছি!
তোরা কিছুই দেখো নাই,
তোরা কিছুই শুনো নাই,
তোরা কিছুই জানো নাই।

তোরা করছো কেন বাহাদুরি?
তোরা করছো কেন বাড়াবাড়ি?
তোরা করছো কেন মাতামাতি?
তোরা করছো কেন কাড়াকাড়ি?
তোরা করছো কেন নাচানাচি?

তোদের ভাবনাতে কি আসে যায়?
তোদের  মরনের কি ভয় নাই?
তোদের বাঁচবার কি স্বাদ নাই?
তোদের জীবনের কি মায়া নাই?

দেশ চলবে মোদের কথায় তোদের কি আসে য়ায়?
তোরা পড়তে গেছো, পড়তে থাকো এটাই তোদের কাজ।
দেশের ভাবনা, ভাবার মতো তোমাদের দরকার নাই।
দেশের ভাবনা, ভাবতে ভাবতে এসেছো মৃত্যু কাছাকাছি
মৃত্যুকে ভয় না করে, দেশের জন্য ধরেছো জীবনবাজি,
জীবন নিয়ে করছো কেন এতো মাতামাতি?

দেশকে নিয়ে ভাবো যে, তোরা
ভাবনা ভেবে পাবে কি এমন ফল?
দেশের জন্য পরছে কেন তোদের চোখে জল?
অকাল মৃত্যুই হবে, তোদের কর্মের ফল।
শাসক সমাজ আজ মানে নাতো কোন দাবি
তোদের লাশ দেখে ওরা করতেছে হাসাহাসি
তোদের লাশ দেখে বলো, আমরা কেমন করে বাঁচি
এর চেয়ে এই ভালো আমরা সবাই চুপ হয়ে থাকি।

Friday, October 18, 2019

তুমি কি আমার হবে না

তুমি কি আমার হবে না

   এম এ মাসুদ রানা 

__________________

ছলছল জল ভরা দু'নয়ন,
নিঃচুপ বলহীন এই বদন,
কতদিন দেখি নাই তোমায়,
আমি ভাল নেই, ভাল নেই
ভালো আছো কি তুমি?

একাকী নিরব রাতের যাত্রী হয়ে
কাটতেছি দিবস আর রজনী
আমায় নিয়ে কিছুই ভাবনি কি সজনী?
ঘন কালো মেঘ, অন্ধকার রাত
নিভে যাবে রাতের সব তারা
আধারে ঢেকে যাবে চাদের জোস্না
কাটবে কি ভালভাবে সময় আমার?

তোমার ভাবনায় পরে আছি আর্হনিশ
একাকী মন ভরে থাকে শুধু বেদনায়
এই মনে তুমি আসবে কখন?
তুমি আবার আমায় ভালবাসবে কখন?
গহীনে রেখছি প্রেম অতি গোপনে
দেখছি তোমায় আমি শয়নে স্বপ্নে।
বিরহ ব্যাথা জাগে শূন্যতায় হাহাকার
ব্যথাতুর হৃদয় নিয়ে হয়েছি একাকার।
নেই তুমি, তবু আছে মনের মাঝে
বেখালে তবুও হৃদয় আছো তুমি
রঙ তুলিতে আঁকেছি তোমার ছবি।

Sunday, October 13, 2019

রঙ্গিন আয়না

  রঙ্গিন আয়না 

 এম এ মাসুদ রানা

আমি তোমাকে ভালবেসে
এতটাই অন্ধ ছিলাম যে,
ভালো মন্দের করিনি বিচার।
তুমি বিশ্বাসঘাতকতা করবে
এমনটা করবে কখনো ভাবিনি
আমি হব মিথ্যে প্রেমের শিকার।

ধন্য তুমি, ধন্য তুমি, তোমাকে ধন্যবাদ
বিশ্বাস করা কোন নয় অপরাধ,
বিশ্বাস করে পেলাম আঘাত অপবাদ
মিটে গেছে আমার ভালোবাসার স্বাদ।

ভুল করেছি, ভুল বুঝেছি
ভুলের মাশুল দিচ্ছি আজি।
তাই তো এসেছি তার কাছাকাছি
দু'চোখে অশ্রু নিয়ে বেঁচে আছি মিছামিছি।

প্রেষ্য

         প্রেষ্য 

   এম এ মাসুদ রানা 


সন্ধ্যা থেকে ভোর করি
আলাপচারিতায় মেসেঞ্জারে।
হৃদয় থেকে বলি কথাগুলো
মূল্য ছাড়ই চলে বেচাকেনা
রঙ্গিন কথাই কথাই হয় চেনা
শুরু হয়ে যায় মন লেনাদেনা।

আগের মত নাইরে কেউ
নানান কাজে ব্যস্ত বিষণ।
আমি ছাড়াও আছে যে তার
নতুন কোন সুখের ভিষণ
সর্বক্ষণে ছিন্ন মুখী ভিন্ন মিশন।

যার জন্য লাইলী সাজো
কখনো দেখেছো ভেবে,
সে কি তোমার মজনু হবে?
বাড়তি কিছু করো যে তুমি
এটা তো তোমার প্রেম নয়
কাছে আসার প্রয়াস কয়
কত যে কথা মিছেমিছি হয়।

Friday, October 11, 2019

ইনসাফ

       ইনসাফ 

    এম এ মাসুদ রানা


মাগো তুমি বিচার করো,
এই খুনিদের বিচার করো,
বিচার করো মা তাড়াতাড়ি।
দেখ না মা চক্ষু মেলে
কে হলো সে, কোথায় বাড়ি।

ন্যায় কানুনে বিচার করো
মনটা তোমার মা শক্ত করো
তোমার বিচার দেখুক বিশ্ববাসী
বাংলার বুকে হয় যেন তাদের ফাঁসি
সুবিচার হলে ঝরবে দেশে চাঁদের হাসি।

মাগো তুমি রাখবে কথা
বুঝিয়ে দিবে তোমার মর্মব্যথা।
দেশবাসীর মিটাও জ্বালা
ঐ খুনিদের বিচার করো।

Thursday, October 10, 2019

আবরার

          আবরার

        এম এ মাসুদ রানা  


এইতো সেদিন বুয়েটের ক্যাম্পাসে গেয়েছিলে গান
গানের মাঝে পাওয়া গেল দেশাত্মবোধের টান।
এর ফলে, হৃদয় বিদারক ঘটেছিল বুয়েটে গতকাল।
তাই হায়েনার নিয়ে নিল আবরার তোমার প্রাণ।
নিদ্রাহীন উত্তাল-উত্তাপ অবস্থায় ছাত্রসমাজ
পতিবাদ করছে করবে ওরা, ছাড়েনি পথঘাট।

নিঃচুপ হয়ে আছে বুয়েট প্রশাসন
প্রতিবাদী সহপাঠীদের করছে প্রহসন।
ভাবছাড়া কথাগুলো বড্ড বেসামাল
অপরাধীদে অপরাধ দিচ্ছে সামাল
এই নিয়ে পরে গেছে বাংলায় তুলকালাম।

অপরাধীদের আজ ফুরফুরে মেজাজ,
অপরাধ করাটাই হলো তাদের মুল কাজ,
অপরাধ করলে তো তারা পেয়ে যায় আজাদ।
অপরাধ করতে না করে কোন হিসাব
আদালতের বিচারে নেই কোন ইনসাফ।

তোমাদের বলি, তোমরা তো কোন মায়ের সন্তান,
রাখলে কি তোরা তোদের মায়ের সম্মান?
কথায় কথায় নিচ্ছো তাজা প্রাণ।
এই সমাজটাকে করচ্ছো যখন তখন খানখান
তোমাদের কাজ করবে না'কি অবসান?
এই বাংলা ফিরে পাক তার নিজ প্রাণ।

Monday, October 7, 2019

অবুঝ মন

       অবুঝ মন 

   এম এ  মাসুদ রানা 


মনের অজান্তে মন যদি
তোমাকে ভালোবাসে ফেলে,
ক্ষমা করে দিও তুমি আমাকে
বৃষ্টি ঝড়া দু'চোখে শূন্যতা শুধু থাকে
মরা পাতা যাক না ঝড়ে বৃষ্টির জলে।

বেদনা থেকে যাক, আমারে মনে
সুখে থেকো তুমি, যদিও কারো সনে।
থাকো সুখে ভাস সুখে, সুখের সাগরে
তীরে রইব দাঁড়িয়ে, তোমার আসার তরে।
আমি না হয়,  অতি নগণ্য  একজন
অনন্তর পথে অপেক্ষায় রেখ না সারাক্ষণ।

থাকবো চেয়ে, তোমার আপেক্ষাতে
আমার পৃথিবীটা, তুমি বিনা একাকারা
দিয়েছি ওগো তোমার করে, এই ভূবন
তোমার কাছে, চাই না কোন মূল্য,
তবু হবে না'কি ভালবাসার সমতুল্য?

অন্যের নীলাকাশের বুকে, রংধনু সাজাতে,
আমি এসেছি অযাচিত প্রথিক হয়ে।
জীবনে দেখা না দিলেও, দেখা দিও মরনের।
চাইবো না জোর করে পেতে তোমার ভালবাসা
তোমার ভালবাসা চাওয়াটাই যে, মিছে আশা
নিঃস্বার্থ হয় না তো কখনো কোন ভালবাসা।