________ ভালোবাসা __________
______ এম এ মাসুদ রানা _______
আই সখি লজ্জাতে চল ঘরে চল
দাঁড়িয়ে থাকুক নারে দুষ্টর দল
উঁকি মরে কেও যদি শিষ দিয়ে যায়
বুঝে নিতে হবে সে-ই তোর
ভালোবাসা চাই, ভালোবাসা চাই।
রচনাকালঃ ১২/০৬/২০১৬
________ ভালোবাসা __________
______ এম এ মাসুদ রানা _______
আই সখি লজ্জাতে চল ঘরে চল
দাঁড়িয়ে থাকুক নারে দুষ্টর দল
উঁকি মরে কেও যদি শিষ দিয়ে যায়
বুঝে নিতে হবে সে-ই তোর
ভালোবাসা চাই, ভালোবাসা চাই।
রচনাকালঃ ১২/০৬/২০১৬
প্রিয়োসী চলে যেওনা
এম এ মাসুদ রানা
প্রিয়োসী চলে যেওনা
তুমি এই সবেতো এলে!
এখনো ভালবাসাই হয়নি।
শুভ্র বেলী ফুলের সুভাস মাখিয়ে,
এখনো হয়নি বলা ভালবাসি!
এখনি চলে যেওনা!
শব্দের ছন্দে তোমায়
শিশিরে সিক্ত করা হয়নি।
উচ্ছল প্রকৃতির চোখে চোখ রেখে,
তোমার মোহে স্মৃতিমোহিত হইনি।
গভীর মায়ায় জড়িয়ে ধরা হয়নি!
গুধুলী লগ্নে মায়াবী মুখে স্পর্শ হয়নি!
প্রিয়োসী, চলে যেওনা!
তুমি এই সবেতো এলে!
তোমায় জানাশোনা হয়নি!
তোমার চোখে রং মাখিয়ে,
পৃথিবীর আল্পনা করা হয়নি।
হাসিতে মুখোরিত পুষ্প কাঁননে,
বিহঙ্গের কলতান শুনা হয়নি!
রাতে আবেশে শিহরিত হইনি!
মিস্টি আলোয় চোখ মেলে,
উস্কোখুস্কো চুলে বিলি কাটা হয়নি!
প্রিয়োসী, চলে যেওনা!
তুমি এই সবেতো এলে!
এখনো বোঝাবুঝি হয়নি!
তোমায় ছাড়া যার ভোর হয়,
সে তো বড় হতভাগিনী!!
আবেশে যার চোখের পাতা এক না হয়,
সে তো কলংকিনী!
প্রিয়োসী, চলে যেওনা!
তুমি এই সবেতো এলে!
এখনো একসাথে চলা হয়নি!
সবে তো দেখা হলো..!
ভাগ্যে আমার জীবন শুরু হলো।।
এখনো ভালবেসে ক্লান্ত হইনি।
সবে তো তোমার ইচ্ছেয়
আমার পথ চলা শুরু হলো,
এখনি থেমে যেতে বলোনা!
সবে তো তোমায় ভালবাসলাম।
এখনো ছন্দের সুঁতোয় শব্দ দিয়ে
কবিতা লিখা হয়নি।
কষ্ট
এম এ মাসুদ রানা
কষ্টের সীমানা কতদুর ?
এর শুরু কোথায়?
এর শেষ কোথায় ?
কারো কষ্ট মুহুর্ত মাত্র,
কারো কষ্ট অষ্টপ্রহর।
কারো কষ্ট সপ্তাহ,
কারো মাস বা বছর,
কারো কখনো বা যুগ !
কারো কষ্ট শয়নে সমাপ্তি টানে।
কারো কষ্ট শুকতারার মত জ্বলে।
কারো কষ্ট পালাক্রমে আসে।
কারো কষ্ট বিষাদে মত জ্বলে।
কারো কষ্টে কষ্টে গাঁথা মালা।
কষ্টের সীমানা কতদুর ?
কারো কষ্ট এলোমেলো,
কারো কষ্ট একা।
কারো কষ্ট নিরবে কাঁদে,
যায়না তারে দেখা !
কারো কষ্ট দিন দুপুরে,
কারো কষ্ট রাতে,
কারো কষ্ট লালে লালে নীল,
দাগ কেটে রয় সুপ্রভাতে।
কারো কষ্ট নষ্ট বলে,
নষ্টেই কাব্যের কষ্ট ,
নষ্টে নষ্ট এক জীবন হারে,
কষ্টের গল্পটি স্পস্ট।
আমার কষ্ট চোখের কোনে,
বুকে কষ্টের মরুভুমি,
আমার কষ্ট একলা রাতের,
কষ্ট আমার তুমি।
কষ্টের সুতোয় কাব্য গাঁথি,
কষ্টেই আমি বাঁধা ,
অশ্রু দামে কষ্ট কিনি,
কষ্টেই সুখ গাঁথা ।
আমার কষ্ট একটা আকাশ,
বরফ গলা নদী,
আমার কষ্ট একটা অতীত,
ছুঁয়ে দেখতে যদি।
আমার কষ্ট ঘরের চোকাঠে,
শীতল পায়ে হাটে,
কষ্ট নড়ে চোখের ভিতর,
কষ্টের কোলে বছর কাটে।
আমার কষ্ট দুপুর বেলা,
কষ্ট একলা রাতি,
কষ্ট বুকের ভাসমান পাঁজর,
কষ্ট পথের সাথী।
তোমার কষ্ট বিমুখ হওয়া,
কষ্ট জলরাশি,
আমার সাথে কষ্টের সন্ধি,
কষ্টে কষ্টে হাসি।
কষ্ট খুঁজি সকাল সন্দ্ব্যা,
কষ্টেই যত ভয়,
আমার কষ্ট গোপন রাতের,
সন্ধ্যাতারা স্বাক্ষী রয়।
১৭/০৬/২০১৭
বরফ দুঃখ
এম এ মাসুদ রানা
তারিখঃ ৬/৬/২০২১
বরফ সমান দুঃখ নিয়ে
আহত পাখি মতো ছটপট করি
শিকাড়ীর তীর ভেদ করেছে কলিজা,
শিকাড়ীর শিকার হয়েছি আহতর সাথে
যন্ত্রনায় ছটফট করি আর মরি
তবুও অভিযোগ নেই কারো প্রতি,
নিশ্চল সয়ে রয় ব্যাথাতুর প্রানে।
আসামীর কাঠগড়ায় দাড়িয়ে নয়
এখানেও শীতল হয়নি শরীর
আশীবিষে দংশিত হয়েছি
রয়ে রয়ে সয়, অবুঝ চিত্তে তমদ্বারে
কত কথা কয়!
বুঝে না বাহির, বুঝেনা ভিতর..
কালের বিবর্তনে, কণ্ঠস্বরও নিথর!
___ এখনো তোমায় ভালবাসি ____
______ এম এ মাসুদ রানা _______
কত দিন রাখনি কোন খোঁজ
সত্যি ভূলে গেছ কি তুমি?
আমিও খুঁজিনি তোমায় কোনদিনি
ভূলে থাকতেও চেয়েছিলাম।
সময়ের কালক্ষপণ ছিল বড্ড বেসামাল
গা ভাসিয়ে ছুটেছি অজানায়।
কর্ম ব্যাস্ত জীবনের দোহাই ছিল বরাবর
বুঝিনি কে আপন আর করে পর।
আজ তোমায় দেখতে পেলাম নতুন ভুবনে
দেখেছিলাম কতটা যতনে।
তোমাকে দেখে দেখে এসেছিল চোখে জল
সেই অজানার অশ্রু জল পাবি কি ফলে?
যেমন ছিলে তেমনই আছো রবে চিরদিন
এতোটুকুু বদলাতে বাজানি কোন বীণ।
সুখের হাসি আজো ভরে আছে তোমার বদনে
ব্যথাত্তুর কপাল দেখেছে ক"জনে।
বলতে চেয়েছিল তখনি উচ্চস্বরে,
এখনো তোমায় ভালবাসি তোমাকে।
দেশ
এম এ মাসুদ রানা
দেশটা হয়েছে যেন শ্মশানঘাট
কথা না শুনলেই লাশ,
শকুনরা দেয় হানা সতীত্বে হাতে
চলছে পুরাদমে উল্লাসে
তাদের মানে এখন কি এসেছে
আইয়ুব আর ইয়াহিয়া?
দল-দালালি বাদ দিয়ে তোমরা
বিবেকের দাও নাড়া।
সৎ মানুষের মুখোশ পরে তোমরা
ফের জেগেছে টিক্কারা
নজর রাখুন আজ এদের প্রতি
ভরসা দেয় ঠিক কারা।
বাংলার কৃষক
এম এ মাসুদ রানা
চোখের দৃষ্টি যতদূর যায়
সবুজ সোনালী বাংলার গাঁয়,
প্রকৃতির রূপে নজর কাড়ায়
শীতল বাতাসে হ্নদয় দোলায়
তাঁরা চলচ্ছে বেলায় অবেলায়!
সবুজ শ্যামলের ভূমিতে
কৃষক পরে থাকে জমিতে
ক্ষিপ্ত ও অশান্ত রৌদ্রতে,
তিলে তিলে ক্ষয় করে জীবন
এভাবে করে সময় পার
পরিবারের হাসি ফোটাতে!
গামছা শক্ত করে মাথায় বেঁধে
ছুটে তাঁরাবকষ্টের সিড়ি বেড়ে
ঘাম ঝরিয়ে করে দিবস পার!
অতৃপ্ত মনে তৃপ্তি জাগ্রত করে
হরদমে আশা সুপ্ত জীবন গড়ার!
ছোট বেলার কথা
এম এ মাসুদ রানা
প্রভাতের হালকা আলো আসে
যখন জানালা দিয়ে
ছোট বেলায় শুনেছি সে ক্ষণে
গুনগুন কত গলা যে।
কত যে মধুর লাগত আমায়
শিশুকালে কিছু কথা
নিরবে থাকতাম একা একা
ঈদে নতুনত্বের ব্যথা।
আজো প্রভাতে আলো আসে
এখনো গগনে সূর্য হাসে
আসছেনা কেবল শিশুকালের
সেই মধুময় মিলন সুর,
আজিকে প্রভাতে ভেসে আসে
শুধুই গান বাজনার ধ্বনি
আসেনা শুরু হৃদয়ে মাঝে সেই
শিশু কালের সময়ের বানী।
আসছে
এম এ মাসুদ রানা
আসছে আসছে কাছে পবিত্র
এই রমজান মাস
রাখবো রোজা, পড়বো নামাজ
ইমান করবো চাষ।
এই মাসে মুখে আসুক সবার
পবিত্র কালামে সুর
এই মাসে দান দক্ষিনা করো
সবাই অপার অতুল।
এই মাস হলো রহমতের মাস
তার সুধা অফুরান
এই মাসে নেমে আসে ফেরেস্তা
নিয়ে বরকতি বান।
সিয়াম-কিয়ামে ফেলে টান
টান দিওনা কেউ পিছু
যত পারো সবাই আমল করো
মাথাটা করো নিচু।
রচনাকালঃ ১০/০৪/২০২১
নিঃসঙ্গতা
এম এ মাসুদ রানা
আমার নিঃসঙ্গতা হঠাৎ আসে
আবার কেমন দিনে,
ভেবে পাই না ইহার কি কারন?
আমায় জানান দিয়ে গেলো,
আমায় একা করে দিলো
দেহটার বল কেড়ে নিলো।
এই আমি আসলে কতটা নিঃসঙ্গ
কেমনে জানিবো,
কে জানাবে আমায়?
এই ভয়াবহ সত্যটা এড়ানোর জন্য
আমি থাকতে চাই দলবদ্ধ।
কে নিবে আমায় দলে,রাখবে সনে?
ভাবে অংশ গ্রহনের প্রয়াস গুলো
যে আসলে ভয়াবহ রকমের মেকী তা
জানার অবকাশ নেই আমার।
সত্যিই সীমাবদ্ধতার বাহিরে ছিল
এখনো আছি, থাকবো কত কাল
বিধাতার নিঠুর খেলায়, চিরকাল।
না এর জন্য আমি দুঃখিত নই
সংক্ষিত নয়, নিরাশও নয়।
হতাশও নই, আমি শুধুই নিঃসঙ্গ।
প্রকাশকালঃ ২৬/০৫/২০১৮
অপেক্ষা
এম এ মাসুদ রানা
আমি জানি তুমি ফিরবে না
আর ধরবে না এই হাত!
তবু তোমার অপেক্ষায় আছি,
আশায় থাকতে ভাল লাগে।
তুমি হয়তো জানো না"গো
আমার মনের লুকোনো কথা।
আমি কিছু পাবো না জেনেও
কিছু পাবার অপেক্ষায় আছি।
অনেক আনন্দ আছো তুমি,
এটা শুনে একটু স্বস্তি পেলাম।
কারন,
আর হারানোর ভয় থাকবে না
তাই নিয়ে আছি অপেক্ষায়!
কিছু কথা
এম এ মাসুদ রানা
বড় আবেলায় পেলাম তোমায়
এখনি কেন যাবে হারিয়ে?
হয়নি তোমার তো যাবার বেলা
এখনো আছি আমি জড়িয়ে।
কি করে বলি তুমি বিনে একা
ফিরে দেখো এখনও
আছি দাড়িয়ে আছি বিদায়ের
কাছাকাছি তখনো।
কেন হটাৎ তুমি এলে নয় জীবনে
আবার পুরোটা জুড়ে ?
তবে কেন চলে যেতে চাও এখন
তুমি আমায় ছেড়ে দূরে?
আজ পেয়েও হারানো বেদনা
সইতে আর পারি না
কেন এমন করলে আমার জীবনে
এটা আমি জানি না?
প্রকাশকালঃ ২৪/০৫/২০১৮
জাগো মুসলিম জাগো
এম এ মাসুদ রানা
রক্তে রঞ্জিত হয়েছে আজ
ফিলিস্তিন, আরকান, কাশ্মী
জেগে ওঠো হে নববীর হিটলার
রক্ষা করো মুসলিম নত নহে শির
তোপ কামানের ভয় করো না
ভেঙে দাও আজ ইহুদিদের হাত,
চলো বক্ষে জয়ের সাহস নিয়ে
এবার রাখোরে মুমিন কাধে-কাধ।
জাগিয়ে তোল তোমাদের প্রতিবাদ
তারা সাহস না পায় করার সংঘাত,
চেয়ে আছি মুমিন জাগার আশায়
এখন ভাবার আর কোন সময় নাই।
পথিক
এম এ মাসুদ রানা
করলে ঘৃণা ভালোবাসা
আমি খুঁজে পায়
আমি হলাম এক মুসাফির
দীর্ঘ ঘুরে আয়।
আমারবসাদাসিধা জিন্দেগী
একজন পাপী বান্দা
ভুল হলে ক্ষমা করো আমায়
প্রতিশোধের নেই ধান্দা।
বুঝি না তেমন কো প্যাঁচপুচ
সরাসরি বলে যাই
হতভাগা এই আমি ধরনীতলে
এটার জবাব নাই।
যোগ-বিয়োগের রাত-দিন
চলে যায় অহর্নিশ
হঠাৎ এ'লান বাজে উঠে ভোরে
দোয়েল দেয় শীর্ষ।
সম্যের মান
এম এ মাসুদ রানা
আমার কলম সত্যের বানী
লিখে থাকে অবিরাম
আমার কলম বিদ্রোহের ঝড়
তোলে থাকে অবিরত।
আমি না'কি মানুষ ভালো না
চালাই বিদ্রোহ আজ
আমার জন্য প্রয়োজন আছে
ভিন্ন কোন সমাজ।
আমার কলম হোক না অধম
শান্তিতে থাকুক দেশ
আমার কলম ঘুমন্ত নয় সবে
বিদ্রোহ লিখুক বেশ।
অনেকেই তো এসেছিলো এই
সুন্দর সজ্জিত ভবে
তাঁরাও তো বিদ্রোহ করেছিল
আরাম হীন তবে।
তাঁরাও গেয়েছিল বিদ্রোহী গান
এনেছিল সাম্যের মান
দ্বিধা ছাড়ায় তাঁরা উৎসর্গ করে
গেছে তাঁদের প্রাণ।
তাই তো আমিও ঝড়াতে চাই
কলম দিয়ে দ্রোহ বান
দ্রোহ দিয়ে ফিরিয়ে আনতে চাই
সমাজে সম্যের মান।
ঘুনে ধরা সমাজ
এম এ মাসুদ রানা
ঘুনে ধরা এই সমাজ
যাচ্ছে আর হচ্ছে কি যে আজ।
বন্দ হয়ে গেছে বিবেকের দরজা
কানুন আছে সমাজে আবছা।
লাল সবুজের পবিত্র এই মাটি
গুলির তরে হয়েছে লাশের ঘাঁটি।
থেমে গেছে প্রতিবাদী সব কণ্ঠ
পঁচে গিয়েছে রাষ্ট্র চালিত যন্ত্র।
সত্যের দাম, মুখের লাগাম নেই
অন্যায় অবিচারে ভরেছে সব হাই।
মিথ্যার ফুলঝুরি ছুটাছুটি হরদমে
বিচার পায় না কেউ জনে জনে।
ক্ষমতাকে পুঁজি করে, পেট পুরে
সৎ জ্ঞানী জনেরা আছে দূরে দূরে।
কাঁদিস না মা
এম এ মাসুদ রানা
কাঁদিস না মা ছেলের শোকে
বেদনার মাঝে সুখ
জান্নাতে তুমি বউমা পাবি যে,
সুন্দরী লাল টুকটুক।
আঁধার আকাশে মেঘ উড়েছে
বিজয়ের ঘনঘটা
তোমার ছেলে কিনছে বেহেশত্
লাগেনি অর্থ মোটা।
তোমার হাজার ছেলে শহীদ হলো
লক্ষ গাজী আছি
এমন করেই আমার দ্বীনের তরে
জীবন রেখেছি বাজি।
প্রিয়ার শেষ চিঠি
এম এ মাসুদ রানা
আমার বিদায় বেলায় খোদা
কালিমাটা পড়িয়ে নিও
ব্যথাতুরের শরীরেব কাফনের
সাদা কাপড় জড়িয়ে দিও।
তুমি জানাযাতে শরিক হয়ে
চিরবিদায় দিয়ে যেও
অন্তিমকালে চেহারাটা দুনয়ন
ভরে দেখে নিও।
আমার কথায় কেও ব্যথা
পেলে মাফ চেয়ে নিও
দু'হাত দিয়ে আমার কবরে
তিন মুঠো মাটি দিও।
তুমি আর আমি
এম এ মাসুদ রানা
দিলাম সালাম, নিলাম সালাম
ফেরদাউসের দাওয়ায়,
তুমি আর আমি ছড়াবো সুবাস
সুরভী ভেজা হাওয়ায়।
মন মহলের আলোর ছোঁয়ায়
জলসায় আসো যদি,
আমি খুঁজে দেবো তোমায়
মধুর মিলনের নদী।
মুক্ত আকাশে, মুক্ত মনের
যদি হতে চাও পাখি,
কতই রকমের বৃক্ষে তোমায়
করবে কতই ডাকাডাকি।
অব্য আর বিষন্ন
এম এ মাসুদ রানা
থমথমে সব চুপিচুপি কলরব
বেআইনে পুড়ছে আইন সব।
পাংশু মুখ, দুরুদুরু করছে বুক
দুর্নাম আর বদনামে অনেক সুখ
কাছে আসছে, দূরে সরছে
শুধুই বাড়ছে ভালোবাসা,
এই কাঁদছে, আবার হাসছে
এটা প্রেম আজব তামাশা।
বাঁচা একা, আদৌতে দোকা
সে গিলছে সব এটাও দেখা
একান্ত নির্জনে অনিচ্ছার দহন
পুড়বার তৃষ্ণায় বাড়ছে সহন।
বর্তমান রাজ্য
এম এ মাসুদ রানা
হৃদয় গুলো আজ হয়েছে পাথর
ব্যথায় দুঃখে সমাজ খুব কাতর।
অন্ন অভাবে বসেছে গাছ তলায়
প্রহর গুণে ভিষণ ক্ষুধার জ্বালায়।
দুধে ভাত খায়, থাকে পাঁচ তলায়
কারো কথা আসেনা কোন বেলায়।
কেউবা ভাসে মহাসুখের উদ্যানে
কেউবা আছে আর্তনাদের ময়দানে।
মরণকে কারে কখনো স্মরণ নাই
শুভ কাজকে বলে সর্বদা টা-টা বাই।
রাষ্ট্র জুড়ে ছড়িয়ে আছে দুর্নীতি
কোথায় গেলো ভাসানীর রাজনীতি।
চারদিকে চিৎকার আর হাহাকার
গোলাম হয়েছে সবাই শুধুই টাকার।
ফুল ফুটেছে
এম এ মাসুদ রানা
ফুল ফুটেছে সুরভী ঢেলেছে
মুগ্ধ হয়েছে সবে,
প্রিয়া প্রিয় বলে আসবে কবে।
যা কিছু ছিলো তো সবি দিয়েছি
দিবসের শেষে বেলাতে,
তুমি করেছো পার কোন হেলাতে?
আমি এভাবেই চাই ঝরে যেতে
তোমায় সবি দিয়ে,
আমি থাকবো শুধু বেদনা নিয়ে।
যেদিন,
আমি আর আসবো না ফিরে
তোমার সাজানো নীড়ে,
সাজানো পথে হাঁটবে ধীরে।
সেদিন,
আমি শুকনো ফুলের মালা হয়ে
মিলে যাবো ধুলোপথে,
তুমি থাকবে সজ্জিত এক রথে।
তুমি কি ভালোবাসো আমায়
------ এম এ মাসুদ রানা ------
কখনো আসো আমার আকাশে
মেঘবতি কপল নিয়ে ভাসো,
উড়ে এসে জুড়ে বাসো ক্ষণিকের
স্বপ্নমালা নিয়ে শুধু আসো।
আকাশের বুকে সাদা মেঘ হও
সাদা মেঘ এক রাশি পলকে,
তার কাছে যাবো তোমাকে
পাবার তাড়নায় এক ঝলকে।
একটু ভয়ে ভয়ে বলবো বলবো
সত্যি ভালোবাসি তোমায়।
তোমার কাছে যাচিবো আমিও
তুমি কি ভালোবাসো আমায়?
রচনাকালঃ ০৮/০৪/২০১৮
একজন মানুষ,
আগুনে আর কতটুকু পুড়ে
সীমাবদ্ধ কার ক্ষয়,
বিনাশ সীমিত হয় শরীর জুড়ে।
মন পুড়ে মনের দহনে
মন পুরার মত আর তো নয়,
মানুষের মনে জ্বলে যে,
প্রজ্বলিত অগ্নিকে করা যাবে জয়।
দেখেছি তো সবাই
আগুনের সোনালী লেলিহান শিখা
আগুন পুড়ালে তবু কিছু রাখে
মন দিয়ে থাকার নাই কোনই দিশা।
কিছুই বা থাকে,
হোক না তা ধূসর শ্যামল রং ছাই
মনের দহনে যদি পুড়ে
জমা থাকার মতো আর কিছুই নাই।
মন পুড়ালে কিছুই রহে না,
কিছুই থাকে না জমা,
বিরান ভূমি হয়ে যায়
কেহ করে না কাওকে ক্ষমা।
রচনাকাল ০৬/০৪/২০২১
কুরআন হাদিস
এম এ মাসুদ রানা
কুরআন হোক জীবন সাথী
ঈমানে আসুক নূর,
তাওবার মাধ্যমে জীবন গড়ী
হোক রজনী ভোর।
পবিত্র কুরআনে আছে সকল
রবের এহসান
হরফে হরফে আছে বিশেষ
গুণের গুণগান।
পবিত্র কুরআনে হলো পরিপূর্ণ
জীবন ব্যবস্থা
খোদার নামের শুরু আছে
শেষ কত যে, দূর।
হাদিসে হোক চলার সাথী
নবীজির গুণগান
নবীর জীবনাদর্শ সকল কিছু
হাদিসে ফরমান।
হাদিসে রয়েছে রাসূলের
নির্দেশ ও তাঁর মত।
যাঁরাই চলে দেখানো পথে
তারাই হলো তাঁর উম্মত।
ছন্দ
এম এ মাসুদ রানা
ছন্দে ছন্দে জীবন চালাই
ছন্দে নিয়ে খেলা,
ছন্দে ছন্দে কাব্য লিখি
সকাল সন্ধ্যা বেলা।
ছন্দে হাসা, ছন্দে কাঁদা
ছন্দে বলি কথা,
ছন্দে যাদুয় ছড়িয়ে দিবো
আমার ভালোবাসা।
ছন্দে ছন্দেই শুরু হয়েছিলো
ভালো বাসা-বাসি
ছন্দের ছন্দে শুরু হয়েছিল
কাছে আসা আসি।
ছন্দে তোমায় চাই গো"প্রিয়া,
ছন্দের সুধা ভরী!
ছন্দে দিয়ে এই জীবন গাঁথা
ছন্দ জন্যে মরি।
★★★ নকডাউন ★★★
★ এম এ মাসুদ রানা ★
আজ চলছে লকডাউন,
কাল চলবে লকডাউন,
আই লকডাউন আই,
তুমি ছাড়া কোন উপায় নাই।
এই কারণে দেশটা গেল রসাতলে
ক্ষমতায় থাকবো ছলে বা কৌশলে।
মানবো না তোমাদের কোন দাবী
তাইতো সবাই লকডাউনে আছি।
তোমার কারণে কর্মক্ষেত্রে,
যাবার কোন রকমের উপায় নাই।
গৃহে বসে করি শুধুই হাই-হাই,
সেই কারণে হৃদয় পুরে হচ্ছে ছাই।
ক্ষুধার জ্বালায় ক্ষীণ মোরা
চলতে পারিনা জোড়া জোড়া।
অনাহারে হাই, শরীর হয়েছে অচল
সমাজপতিরা শুধুই আছে সচল।
কর্মজীবী মানুষের কর্ম নাই
পেটের জন্য লকডাউন নাহি চাই।
মসনদের জন্য তারা লকডাউন চালাই
নিয়ন্ত্রণে জন্য প্রশাসন চলে দলে দলে।
লকডাউনে হয় সমাজপতিদের লাভ
সমাজের কথা বলে মুখে মাত্র ভাব।
জনজীবন নিয়ে নেই তাদের ভাবনা।
মসনদের জন্য চালাচ্ছে তারা,
লকডাউনের জন্য জঘন্য প্রতারণা।
এম এ মাসুদ রানা
শির করো উচু, চক্ষু দ্বয় কানা
দেহের রূপকাণ্ড সবে জানা।
অন্যের কাজে করি মাথা গরম
নিজে কর্মের তরে নাহি সরম।
রাব্বুল আল আমিনের কানুন ভুলে
যত্রতত্র ভিন্ন ভিন্ন বাজনার তালে,
প্রেম পিরীতির মিছে মায়ার জালে
সমাজ গেছে আজ চলে কোন হালে।
একক মনের ভাব হয়েছে নির্বলে
দ্বিমত পোষণ করি সবে মনঞ্জিলে
দিল মিলে না কারো দিলে দিলে
আধুনিক জগৎ চলছে গরমিলে।
বিবেকের দোয়ারে দিয়েছে হানা
গুণীজনদের হয়েছে চক্ষু কানা।
এম এ মাসুদ রানা
চুড়ি পরা তোমার দুটি হাত
শুধু অজুহাত চলবে তাতে
পর-দোষ দেখবি দিন রাত
মনে আছে কাকে করবে কাত
মসজিদে, মন্দিরে ও গীর্জায়
ইনসাফ কান্দে হাই হাই
ফতোয়ার তরবারী চলে তাই
শান দে রে শান দে জবান নাই।
হাতেও বেড়ি, পায়েও বেড়ি
জবানে নাই রে কারো লাগাম
জবান দিয়ে কিনছি শুধু হারাম
অসৎ কাজে চলি ধারাম ধারাম।
ধরনীর তলে আছে এখনো জবান
জবানের তরে জান করে কুরবান।
এম এ মাসুদ রানা
সোনালী রং লেগেছে
পশ্চিম আকাশ মন্তরে,
রূপমার প্রজাপতি
দোলা দিয়েছে অন্তরে।
পরেছো সবুজ শাড়ি আর
নামটা নাকি জামদানি,
করেছো আমার হৃদয়ে
খুশির রেখার আমদানি।
আমাকে সিক্ত করেছো
শিশিরভেজা গল্পতে,
দু'জনে যাই ছুটে যাই
অভিলাসের জলপথে।
দু'জন মিলে চড়েছি এক
চমৎকার এক রথে,
মনের মাঝে সর্বক্ষণে
আসে এক কৌতূহল বটে।
বেলা শেষ আসচ্ছি দু'জন
ফিরে আপন আপন গন্তব্যে,
কথায় কথায় ছিলো শুধু
তোমার আমার ভিন্ন মন্তব্যে।
এম এ মাসুদ রানা
বার্মা থেকে ফিলিস্তীন
আফগানিদের রক্তহীন
শীরিয়াবাসী নিন্দ্রাহীন
ইরাকীদের আজাদের দিন।
রক্ত খাবে আর কতো
যমুনাতে জল যতো
লাশের স্তুপ হয় কত
মুসলিম তবু হয় না নত।
সবখানেতে ইসলামের
ইস্যু বানায় মুসলিমের!
সুন্নত দেখলেই জঙ্গীবাদ
কথায় কথায় বলে বদজাত।
বিশ্বে কোন বিবেক নাই
কান্না শত শব্দ শুনতে পাই
সুশাসনের কোন আলামত নাই
নির্যাতন দেখলে বলে হাই হাই।
মুসলমানের এদেশ ভাই
তবু ইসলাম স্বাধীন নাই
ইসলামী কথার ঠাই নাই
ধর্মবাদী সবাই হচ্ছে উধাও ্
বুনো হাওয়া মোর দেশে
পশ্চিমারা যেন যায় ভেসে
নির্যাতন শেষে দেশে শন্তি আসে
সবাই তো হরদমে শান্তি যাচে।
এম এ মাসুদ রানা
আকাশে কত এলো পূর্ণিমা
এলো অমানিশা
কতো মেঘ নিজে সরে গেলো
বুকে নিয়ে তিশা।
নেই কোন কারো আক্ষেপ
শূন্যতাকে ঘিরে,
থাক না প্রেম শুধু অপাপ্তির
অস্থায়ী নীড়ে।
ক্ষনিকের সুখের সমাধান
চাই না এ তীরে
পরপারে এসো ওগো তুমি
হুর হয়ে ফিরে।
তোমার গ্রহণে থাকবে না
কোন রকম বাঁধা
না পাওয়ার অতৃপ্তি তৃষ্ণায়
হবে না তো কাঁদা।
এম এ মাসুদ রানা
সবাই যেন লাগায় তাড়া
সোয়ারী দুয়ারে হয় খাঁড়া
বের হয়ে আয় এবার তোরা
জড়সড় এখন নয়তো মোরা।
চলে যাবো এটা জানায়
কোন এক দূর অজানায়।
সময় আপন গতিতে চলে
এই কথা গুণীজন বলে।
ফুরিয়ে যায় জীবনের দিন
আর থাকতে না জ্ঞানহীন
শোধতেই হবে সব কিছু ভুল
কবর গহ্বরে পাবো না কুল।
সময়ের ঋণ করতে হবে শোধ
থাকবো না আর এখন নির্বোধ।
এম এ মাসুদ রানা
কথার আঘাত বড় কঠিন
যেন বিষমাখা তীর
আঘাতে কিছু আহত মন
হয় না যে স্থীর।
লাঠির আঘাত যদি করো
তবু পিঠে সয়
কথার আঘাতে ভাঙ্গে যে
পলকে এই হৃদয়
কথার আঘাত হলো তো
খোলা তলোয়ার
করে দেয় হৃদয়কে কচুকাটা
হয় টানাপোড়া
হয় তো পাথর মুখে রেখে
পড়ে আছে তালা
পারলে নম্রতায় পরিয়ে দাও
কাঁটা তুলে মালা।
এম এ মাসুদ রানা
রোজ ভোরে পানিকণা
হয় অনেক হিম
জ্বলে ওঠে এই পাপির
আশার পিদিম।
কোন সুখে বুক ভরে
জানি না রহিম
সাঁড়া দিতে ভালো লাগে
হে করিম।
শীত হোক না যতোই
লেপের আদর
আমার এ মন খোঁজে
রহমানের চাদর।
অনন্ত কাল থাকতে চাই
খোদার পথে
খোদার খুশির তরে
মসজিদে হয় যেতে।
এম এ মাসুদ রানা
মনে
শুধু ভয়
সম্পদ সবার নয়
জগৎ হবে একদিন ক্ষয়
সেরা
যেন তাঁরা
অর্থ লুটচ্ছে যাঁরা
সভ্যতা হচ্ছে শিল্পহারা
মিথ্যা
আমি কই
কারো ক্ষতে রই
এমন মিথ্যুক কেহ নই।
আপন
অহংকারে ভরা
সুযোগ বুঝে তাড়া
সর্বস্ব কেঁড়ে নেয় তাঁরা।
ধর্ম
ফুটে অকর্ম
সাধক বুঝে মর্ম
সবাই খুঁজে শুধুই কর্ম।
হিংসা
করে সবাই
আপন বুঝে না তাই
স্বার্থে জন্যে করে জবাই।
বিচিত্র মন
এম এ মাসুদ রানা
অন্তরে আছে যার কালো
মিঠা কথা শুধুই মুখে
প্রয়োজনে বুকে টেনে রাখো
স্বার্থের মহাসুখে।
কিছুলোক আছে ধরাতে এমন
যেন সবার প্রিয়জন
প্রয়োজনে টিসুর মত করে
ব্যবহার হলে প্রয়োজন।
সরলতা দেখলেই মনে করোনা
সে হলো বোকা
চালাকি মানে এমনটাতো নয়তো
দিতে যাবে ধোকা।
হক্ব কথা বলা সৎ পথে চলা
মনুষ্যত্বের এক নীতি
স্বার্থের তরে ব্যবহার করে
হবেনা তার কোন প্রীতি।
দ্বীনদার নারী
এম এ মাসুদ রানা
তোমার অর্ধাঙ্গিনী হয় যদি
দ্বীনদার নারী
শান্তির আলোয় ভরে যাবে
ঘর ও বাড়ি।
ভুল করেও খোঁজো নাকো
তুমি শুধু রূপ,
কিছুটা সময় কেটে গেলেই
রূপ হবে চুপ।
তুমি পারবেনা খেতে খাবার
সাথে না থাকে যদি নুন,
সংসার সুখী হবে না কখনো
ছাড়া সাংসারিক গুণ।
তুমি তাকওয়ার গুণ যদি
নারীর মাঝে পাও,
তুমি বিয়ের তরে চটপট
রাজি হয়ে যাও।
নামাজ
এম এ মাসুদ রানা
নামাজ ছাড়া পাবেনা কেউ
দেখতে মুক্তির পথ
যতো টানো এই বেনামাজি
তুমি জীবনের রথ।
মিছে করো তারা সব শ্রম
টাকা আর ঘাম
আর যত সব আছে আমলের
নেই কোনো দাম।
মনে করো যদি আখিরাত
মানো যদি পরকাল,
নামাজ নিয়েই হবে কবরে
তোমার প্রথম সওয়াল।
পড়লে নামাজ সহজ হবে
বাকি সব জওয়াব,
গুনাহ করে যদি রবের কাছে
কাঁদো সিজদায়।
হৃদয়ের আঁচ
এম এ মাসুদ রানা
ভালোবাসা হয় না শেষ
বেচে থাকে চিরদিন
তাই প্রেমের সাগরে করি
নিজে নিজেকে বিলীন।
প্রেম তরে কাঙাল হয়ে আছে মন
ভালোবাসার লোভে,
প্রেম হৃদয়ের কূপ দেখা পেলে
দ্বিধাহীন ডুবে আর ডুবে।
প্রেম নাকি হয় খোদার দান
তবুও হারায় কেহ জান,
নিরাশার সব ক্ষত বিক্ষত হৃদয়ে
অপেক্ষায় থাকে প্রাণ।
যেই প্রেমে থাকে শ্রদ্ধা ভক্তি
মিনতিতে ধরি তাঁর পায়ে,
তার হৃদয়ের পবিত্র প্রেমটুকু
মাখবো এই সারা গায়ে।
ক্ষণিকের জ্যোতি
এম এ মাসুদ রানা
আমার ভাবনায় যা আসে
তাই লিখে রাখি,
এর মর্মের মর্মে বুঝেশুনে
করি মাখামাখি।
জানি সবই কোনোটাই
হবে না অমর,
ভাবধারার ভাষা মিলিয়ে
খুঁজি নিজ ঘর।
অরূপার রূপ নিয়ে চিন্তায়
হয় রাত জাগা,
ক্ষণে ক্ষণে লিখে রাখি এই
সব ভালো লাগা।
সেই ভালো হয়ে জ্বলে যদি
জাগরণের বাতি,
পলকে পলকে শেষ না হয়
ক্ষণিকের জ্যোতি।
স্বকরুণ সুর
এম এ মাসুদ রানা
জীবনকে নিয়ে করে যায়
বড্ড অবহেলা,
তুমি যদি গো ফিরে আসো
কভু অবেলায়।
অপেক্ষায় প্রহরে পরে আছি
সাথে আছে মন,
ক্ষণে ক্ষণে অনুক্ষণে সেতো
করে জ্বালাতন।
নষ্ট বীণায় বাজে কেন এতো
স্বকরুণ সুর,
আত্মা থেকে আত্মার মাঝে
হয়েছে বেসুর।
মৃত্যুর দিয়ে শেষ হবে আমার
স্বপ্ন হবে না মধুর
তুমি হাতড়ে বেড়াই পাবেনা খুঁজে
ছুটবে দূর বহুদূর।
প্রেম
এম এ মাসুদ রানা
প্রেম নিয়ে হয় কতো রাগ
অনুরাগ অভিমান
হৃদয়ের সাজানো বাগিচায়
মরে কতো জন।
কতো মনে পুলকে পুলকিতে
সুখে সুখ করে অনুভব
কতো মন অপেক্ষা প্রহরে
নিভৃতে নিঃসঙ্গে ছাড়ে সব।
কতো মন দিনে দিনে হচ্ছে
চিতাদাহে ভষ্ম
কতো মন পাওয়ার আনন্দে
হয়ে থাকে উষ্ণ।
কতো মন হৃৎপিণ্ডে স্পন্দনে
বিচ্ছেদ তরে করে হাহাকার
কতো হৃৎপিণ্ড দ্বয়ে স্বার্থকতায়
মধুর মিলনে একাকার।
কেউ কেউ নিকোটিনের ধোঁয়ায়
ধুঁকে ধুঁকে হচ্ছে আঙ্গার
কেহ কেহ আনন্দে অভিভূত হয়ে
সুখে নীড়ে করে ধড়ফড়।
কত্তো জনে পরাজিত বলে
জীবনকে দিয়ে দেয় বলি
কত্তো জনে মিলনের সুরে
খেলে কত্তো আনন্দের হলি।
ঘুণপোকা
এম এ মাসুদ রানা
যায় দিন থাকে কথা
থাকেনা পিছে পরে
কার এত দায় এতো ঠেকা
এতো কেন নড়ে?
বিবেকের মনদোর আছে
মোহোর দিয়ে বন্ধ
বিদ্বেষের মনোভাব চলে
গোলপাকে দ্বন্দ্ব।
মিথ্যার ঘুণপোকা ধরে ঘরে
সুদ ঘুষ কত কী?
ওরা সবাই পান্তায় ঢেলে খায়
মন্দার গাওয়া ঘি।
মিথ্যার কথা মুখে চলে
সুনিপুণ কঠিন ছন্দ
সত্যের ভাবা ধারায় আরো
যেন লাল নন্দ।
ময়না
এম এ মাসুদ রানা
দৃষ্টিরেখাকে আড়াল করে
করি কতই ভাবনা
দৃষ্টিতে থাকা মুখটা হয়না
সেটা তো আয়না।
নবজাতক জন্ম নেওয়ার
পরেই কান্না শুরু করে,
আহ কি অদ্ভুত রীতিনীতি
সময়ের গান ধরে!
পশুর মনে পরতে পরতে
ঢেকে যায় ছলনায়,
আনমনা ভাবে ছবি আঁকি
করে কুনীতি রচনা।
মুখে মধুর হাসি অন্তরে বিষ
নেই কোনো যাতনা
মনে কুদৃষ্টি নিয়ে চলে সর্বক্ষণে
মুখে বলে ময়না।
হীন শাসন
এম এ মাসুদ রানা
নয়্যের সূর্যটা যে, আজ
নির্বাসনে চলে গেছে
দর্পে দর্পে ক্ষণে ক্ষণে সর্বত্রই
হীন শাসন রয়েছে।
ঘরে আর ঘরের বাইরে
কোন শান্তি নাই
ধর্ষন,খুন, গুম, ছিন্তাই আর
শুধুই বিবাদ ভাই।
জ্বলছে, জ্বালাচ্ছে আগুন
হরদমে সব খানে
কি হলো, কি যে আবার হবে
তাতো রবে জানে।
দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথায়
দেশটা আছে ভরা
সৎ যত মানুষ আছে ধরাতে
সবাই আঁধা মরা।
কেউ বা চলে ধরণীর বুকে
শুধু টাকার গরমে
কেউ বা লুকায় ধরার বুকে
সম্মান হারানোর শরমে।
ধর্মের বানী চালাই মুখে মুখে
নিজেও বুঝে না মর্মটা
তারা মানতে নারাজ সত্য কথা
বলে বড় হলো কর্মটা।
আপন আপন ভাবি যারে
সবি দেখি ক্ষণস্থায়ী
প্রিয়জনেই তার ভাঙ্গবে মন
এটাই হলো স্থায়ী।
সুযোগের ফাঁদ পেতে রাখে
আপন রক্ত বংশ,
অবশেষে কাছে এসে করে
সুখের নীড় ধ্বংস।
বিষ দিয়ে ভরা দিশা নাই
বলে অশ্রুর গল্প,
ঝর্ণা মতো ঝরে দুটি চোখ
আসে বলে অল্প।
স্বার্থের তরে কাছে আসে তারা
করে কত্তো ভঙ্গি,
সুবিধা লাভের হরদমই করে
প্রতারণাকে চিরসঙ্গী।
সংবিধান সরকারি লোকের হাতে
সবই ঠিকঠাক আছে,
কিছু ভুলে কি আসে যায়।
পুলিশি শাসন চলে স্বাধীন দেশে,
দাদার দেশটা লুটছে অনায়াসে।
চুরি ডাকাতি চলছে আজ
নীতি কথায় হয়নি কোন কাজ।
ফুরায়নিকো দিন এখনো তার
কোথায় কবে স্বাধীন হলাম আবার,
সেটাই চিন্তায়, বরং করছি বার বার।
আমজনতা নিয়েছে বৈঠা হাতে
সুযোগ পেলেই ধান নিচ্ছে কাঁধে।
বাস্তবে কেউ পায়নি এখনো,
সত্যিকার স্বাধীনতার সন্ধান
রাখতে পারেনি শহীদের মান।
কত্তো শত চেনা মুখ,
হারিয়ে যায়, অচেনাদের ভিড়ে।
কত্তো শত প্রিয় মুখ
হারিয়ে যায়, অর্থের ভালোবাসার তীরে।
কত্তো শত প্রিয়জন
প্রয়োজনের খাতিরে হারিয়ে যায় ধীরে ধীরে।
মরীচিকার মত,
কিছুক্ষণ থাকে হৃদয়ের ক্ষত
তারপর গতিশীল হয়, আবার জীবনে;
মানুষ হয় বহমান, প্রত্যেক্ষ পরোক্ষ ক্ষণে
অবশেষে,
মায়ার জাল ভেঙ্গে চূর্ণ করে;
একদিন,
আমিও সবার থেকে হারিয়ে যাবো।
সর্ব কালের শ্রেষ্ঠ বানী সমষ্টি
হলো পাক কোরআন,
বিশ্বাবাসী আর জ্ঞানীর জন্য
সাফল্যতার সমাধান।
দেখতে লাগে পুস্তকের মতন
ধর্ম পুস্তক খুব সাধারণ,
অক্ষর দিয়ে ভরা পরশ রতন
পাঠ করতে নেই বারণ।
পাঠে প্রশস্ত হয় হৃদয় বেশী
জ্ঞানের রবি ঈমান শশী,
যুগল শক্তির পেয়ে জ্ঞান বিজ্ঞান
আবিষ্কার রাশি রাশি।
কিতাবে আছে সমাধান সবি
তালাশ করো সব কিছু
জ্ঞান বিজ্ঞান আবিষ্কার করে
করছে তাঁরা মাথা নিচু।
ধরণীর তলে আমরা মানুষ
সবাই এক পরিবার,
জাতি বর্ণ গোত্র ভিন্ন যদিও
আছে হাজার হাজার।
রক্ত রং হয় না কারো সাদা
প্রাণে দুঃখ সয়না,
বায়ু-পানি, হাসি-কান্না, ক্ষুদা-নিন্দ্রা,
ভিন্ন ভিন্ন হয় না।
ধরনীর তলে আছে মানব জাতি
কাজে হয়তো কাছাকাছি,
প্রয়োজনের খাতিরে খুঁজি সবাইকে
যোগাযোগ হয় না মিছামিছি।
এই আমি হলাম অতি ক্ষুদ্র মানুষ
সকলের কাছে একটাই দাবি,
এই পৃথিবী হলো স্বর্গের মতোই সুন্দর
মিলনের সুর গাইবো সবি।
তুমি সবকিছু হ্যাঁ বলো
তুমি বলতে চাও না,
তোমার অনুভূতে আমি এক না।
সব ভালো তুমি দেখতে পাও না,
তোমার চোখে সব দেখো না।
তুমি সব ঘ্রাণ নিতে চাও,
সব ঘ্রাণ কিন্তু এক না।
তুমি সব কিছুই ধরতে চাও,
সবকিছু ধরা ঠিক না।
তুমি সব খাবারই খেতে চাও ,
সব খাবার খাওয়া উচিত না।
তুমি সব জায়গা ঘরতে চাও,
সব জায়গা যাওয়া ভালো না।
তুমি আবার ফুটপাতে যেতে চাও না,
অসহায়দের নিয়ে ভাবো না।
তুমি অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে চাও না,
তোমার ইচ্ছা বাসনায় আমি এক না।
তুমি দরিদ্রপল্লি নিয়ে, ভাবো না,
তোমার ভাবনায় আমি এক না।
তুমি সব কিছু নিয়ে ভাব না
আমি তোমার ভাবনায় এক না।
তুমি খারাপ বর্জন করতে চাও না,
তোমার সব অর্জন ভালো না।
তুমি মুক্ত আকাশ গড়তে চাও না,
তোমার ভাবনা আমার ভাবনা এক না।
রচনাকাল ১২/০২/২০১৮
নিজে নিজেই মুখে বলছো
আমি সৃষ্টির সেরা,
মুখে মুখে বলছো ধর্ম কথা
মন হিংসায় ভরা।
ধর্মে দোহাই দিয়ে চলছে
স্বার্থসিদ্ধর রাজনীতি,
নিজেকে বড় করতে চালাও
ভিন্ন ভিন্ন কুটনীতি।
যে হলো সৃষ্টি জগতের সেরা
মুখে নাহি বলে,
কাজের মাঝে পরিচয় মিলে
বৃক্ষ যেমন ফলে।
এই মেয়ে ফ্রেশবুকে এসে
জান ডাকো কারে,
বাবু ডাকো যারে স্বামীর সোহাগ
দেবে তোমারে।
চেটিং করে রাত ভোর করো
সুরে সুরে কথা বল
তুমি চালাও কথা ছন্দে ছন্দে
সাজানো পথে চল।
ওলে আমার বাবু সোনা বলে
ডাকো আদরের ডাক,
ঠিক করে রেখেছো আগে থেকে
কথায় কথার আচ।
ভদ্র কোন ছেলে দেখা পেলেই
স্বপ্ন দেখাও মিছেমিছি,
বিত্তশালী হলে সে আসবে তার
অনেক পাশাপাশি।
বৃত্তিহীন ছেলে হলে আসবে না
তার কাছাকাছি
মেয়ে বলবে তুমি দূরে থাকো
অনেক দূরে আছি।
মেয়ে এটাই হলো তোমার স্বভাব
প্রতারণা প্রধান কাজ,
উচিত শিক্ষা পাবে তুমি যখন
তখনি মাথায় পরবে বাজ।
ইন্তেজার
এম এ মাসুদ রানা
ফের যদি তুমি ফিরে এসো তাই
চেয়ে চেয়ে ইন্তেজার।
মানের মতো করে সাজাবো
এমন ভাবনায় আবার।
দিন বল আর সেই রাতের গভীরে
খুঁজি আমি বারবার
সাথে খুব আকুলতা নিয়ে মনে
করছি যে ইন্তেজার।
হাসির ঝলক
এম এ মাসুদ রানা
তোমার হাসিতে আকাশ হাসে
তোমার হাসিতে জোছনা আসে।
তোমার হাসিতে ছন্দের ছড়াছড়ি
তোমার হাসিতে প্রেমের জোড়াজুড়ি
তোমার হাসিতে রাত্রী হয়েছে মাতাল
তোমার হাসিতে প্রেম করেছে কাতল।
তোমার হাসিতে শুরু হয়েছে ভালোবাসি
তোমার হাসিতে প্রিয়া এসেছি কাছাকাছি।
তোমার হাসিতে মিষ্টি সুবাস ছড়ায়
তোমার হাসিতে আমার হৃদয় নাড়াই
তোমার হাসিতে আছে অনেক বিশালতা
তোমার হাসিতে ভেসে আসে আকূলতা।
তোমার হাসিতে করে মুক্তার ছড়াছড়ি
তোমার হাসিতে আমিও করি নড়ানড়ি
তোমার হাসিতে মিলনের গান ধরি
তোমার হাসিতে প্রেমের বাসর গড়ি।
এম এ মাসুদ রানা
অহেতু মতামত দিও না তুমি
তোমার মতামতের যোগ্য কি আমি?
তুমি তো আমার থেকে অনেক দামী
মূল্যবান মতামত করো না কখনো বেদামী।
শান্তনা দেবার জন্য বলো না হাই
জোর করে কিছু করার দরকার নাই,
আমি আমাকে জানি, আমি শুধুই ছাই
আমার উপরে ঘি ঢেলেও কোন লাভ নাই।
জীবনের গতি থেমে গেছে
চলতে পারি না আগের মতো নেচে নেচে
আত্ম হত্যা মহাপাপ জেনে এখনো আছি বেঁচে
কি হবে কুয়াশার মাঝে আলো নিয়ে ছুটে।
তোমার চলন বলন সবে এসেছে বুঝে
তবুও অবুঝ মন তোমার মতামত খুঁজে।
তোমার তুলনা হবে না, কোন কিছু সমতুল্য
তোমার মতামতের দিতে পারবো না মূল্য।
সেই তরে বলি আমি,
তোমার মন যদি আমারে না চাই
প্রিয় নাম ধরে ডেকো না আমায়
সহজ করে বলে দিও আমায় বিদায়।
প্রিয়ার কাছে নিবেদন
এম এ মাসুদ রানা
ওগো মোর প্রিয়তমা
থেকো না এতো দূরে
কাছে এসে পাশে বস
সবকিছু দিবো ভরে।
তোমায় স্বপ্নে দেখি আমি
গোধুলি এক বিকেলে
বলেছিলে থাকবো চলবো
সুখের কথা বলে বলে।
এলোমেলো জীবনটাকে
সুখে দিবে ভরে,
এই বাসনা মনের মাঝে
হরদমেই নড়েচড়ে।
সুন্দর করে গড়বো জীবন
বুঝবো নিজের মত,
কোমল হাতের ছোয়া পেয়ে
ভুলবো মনের ক্ষত।
শুধু তোমার জন্য
এম এ মাসুদ রানা
শুধু তোমার জন্যে
এই সাজ সাজ প্রহর,
সাজোয়া পৃথিবীর আকাশ
তারার মিতালি জব্বর
শুধু তোমার জন্যে
এই মৃদু মৃদু আলো,
উত্তুরের বাতাস গায়ে
শীতল বাতাস জমকালো।
শুধু তোমার জন্যে
এই মায়াবী চোখ,
হাজার নদী মতো স্রোত
প্রতিক্ষণে ভেজা পলক।
শুধু তোমারই জন্যে
এই ঠোঁটে ছিলো হাসিহাসি
দূরের বনে আনমনে বসে থাকা
নিত্য কাঁদে বেহেলা বাঁশি।
স্বপ্নের রাষ্ট্র
এম এ মাসুদ রানা
আমি আমার রাষ্ট্রে,
কখনো হয়ে যাই প্রধানমন্ত্রী,
মন্ত্রী পরিষদও গঠন করি,
থাকেনা কারোই ভোটাধিকার ;
প্রয়োজন হয় না গণতন্ত্রের
দরকার হয় না আমলাতন্ত্রে
তৈরি করতে হয় না রাষ্ট্রীয় যন্ত্র।
মন্ত্রে থাকে না গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ!
থাকে না রাষ্ট্রের কোন সীমানা
অবাধে চলতে নেই কোন মানা
কেউ কখনো দেয় না হানা
সবাই মুক্ত এটা সবার জানা।
সবাই মুক্ত বিহঙ্গের মতো উড়ে
চলে যাই দূর বহুদূরে থাকি ফুরফুরে।
---- তুমি প্রিয়ে ----
এম এ মাসুদ রানা
জানি তুমি ভাঙ্গিবে হৃদয়
কঠিন পাথর দিয়ে,
ভাঙ্গে হৃদয় প্রবেশ করতে
চাও আলো নিয়ে।
জ্বলবে কেমন, জ্বালাবে কেমন
টের পাবে নিজে,
পুড়াচ্ছো নন্দিত আঁধারে প্রদীপ
জ্বলছো কৃত্রিম দিয়ে।
সবই জানো সঠিকভাবে তুমি
সবটাই জানাও প্রিয়ে,
কোথায় যাবো, কেমনে রইবো
তোমার সনে যাও নিয়ে।
এম এ মাসুদ রানা
স্বাধীনতা মানে না আর কেউ
গড়েছে চোরের দল
আমার ক্ষমতা রাখার তরে
করবো অনেক ছল।
মারবো মানুষ, জ্বালাবো আগুন
পুড়ুক মানুষ আজ
আমিতো বেশ মহা সুখেই আছি
বাজাই সুখের বাজ।
দেশের কথা বলি মুখেমুখে
চলছে চুরি রোজ
শত অন্যায় চলছে দেশে
রাখিনা তার কোন খোঁজ।
মানবতা যে, মরেছে কবে
কষ্টই বেঁধেছে বাধ,
ভালর মুখোশ পরে আমি
চলছি দিন রাত।
এম এ মাসুদ রানা
নারীবাদী কিংবা পুরুষবাদী
ধরনীর বুকে ভরপুর,
ধর্মের মাঝেও চলে রেষারেষি
নৈতিকতা হয়েছে দূর
মৌলবাদী কিংবা হিন্দুবাদী
নিরপেক্ষতা বড্ড কম,
জাত অজাতের দ্বন্দ্বে এখন
নিরপেক্ষর আটকে দম।
পদ-পদাবলীর জোট পড়ে
মানুষ এখন মানুষ নায়,
মানুষ আমি মানুষ খুঁজি
সততার হয়েছে পরাজয়।
মানুষ পাবো কোথায় গেলে
মানবতার নাগাল পাবো,
সুর মিলবে তাঁর গানে সুরে
সাম্যের পথে চলবো।
এম এ মাসুদ রানা
হচ্ছে কেন উল্টোপাল্টা
কেমন আজব দেশ?
রূপের কাছে গুণ হারে
মিথ্যা দিয়ে সত্য শেষ।
ছাত্রের কাছে শিক্ষকের হারে
ভণ্ডের কাছে সম্মানী;
তর্কের কাছে ন্যায় হারে
মূর্খের কাছে জ্ঞানী!
টাকার কাছে শিক্ষা হারে
মূর্খের দেয় শিক্ষা;
পুত্রের কাছে পিতার হারে
এমন মোদের দীক্ষা।
এম এ মাসুদ রানা
বুঝিনা মনের মতিগতি
কি যে হলো অাজ
ফসকে গেলো, কুচকে গেলো
অন্তরের ভাজ।
কষ্ট হলেও আমায় ভুলে
ভালো থেকো,
তোমার প্রিয়জনকে তুমি
মনে রেখো।
মনে থেকে ভুলতে যদি
কঠিন কষ্ট হয়
সহজ করে বলে দিও
মনে নেই সংশয়।
ছিলাম তো প্রয়োজনে
আমি তোমার,
তোমার কথাতেই কাটল
মনের ঘোর।
লজ্জায় মরে আজ ইসলাম বিশ্ব
কাফের খুশিতে মশগুল,
ফিতনার যুগে কুফরের জয়
সত্যকে বলেছে ভুল।
পীরের পায়ে সেজদায় পরে
সত্য সব জলে ভাসে,
মুসলমানদের কর্মে মুনাফিক
জয়ের হাসি হাসে।
রচনাকাল ০৬/০১/২০২১
এম এ মাসুদ রানা
সত্য ও মিথ্যার মাঝখানে
টাকার বিস্তার হয় সবখানে।
টাকায় বাড়ায় সব আপত্তি
টাকায় সৃষ্টি করে শক্তির ভিত্তি।
টাকায় বৃদ্ধি করে সম্মান
টাকায় হলো পৃথিবীর তামান।
জগৎ জুড়ে টাকা উড়ে
টাকার মেলায় অনেকে ধরে।
রাজনীতি বলো সমাজকর্ম বলো
সর্বত্রই শুধু টাকা নিয়েই চলো।
অসৎ লোক পায় সুখ সাচ্ছন্দ্য
তারাই বসবাস করে মহানন্দে।
টাকায় তাদের একমাত্র হাতিয়ার
অর্থেই প্রয়োজনে করেছে তৈয়ার।
সুখের মাঝে খুঁজে দুঃখের ছায়া
টেনে আনে বারেবারে মিথ্যে মায়া।
এম এ মাসুদ রানা
খোদার প্রেমে বন্দী হয়ে
জনমভরে কাঁদিল কাবায়
ঘোরাঘুরি জনম দাসী
পিরীতের ইবাদত খানায়।
আমার ভেতর আমিই সেটা
সেই আমিটাই সর্বময়!
আল্লাহর কথায় পথ ধরিয়ে
এই ত্রিভুবন আলোকময়!
তামান পৃথিবী আলোকিত
ভুবন বেশেই মুসাফির!
কণ্ঠে ধ্বনি সরল বাণী
আল্লাহু আল্লা শান তাকবির।
এম এ মাসুদ রানা
মরুভূমির মরিচীকা দেখেছি,
রুক্ষতার মাঝেও দেখেছি উল্লাস।
আমি তোমাকে পেয়েছি সহজেই,
হারিয়ে ফেলেছি সব প্রতারণা।
তপ্ত বালুতেও ফোটে রক্ত রঙ্গিন ফুল
প্রতারকের প্রতারণা প্রতিশ্রুতি রক্ষায়।
মৃদু বাতাসে উড়তে দেখেছি,
তোমার এলোমেলো কেশাম্বলী।
আমার সবই তোমায় দিয়েছি,
তোমার ভালবাসার এক ডাকে,
মনের কথাও বলেছি অনায়াসে।
ভাঙ্গল আমার মনের ভুল!
বৈরাগ্যকে ভালবাসা দিয়েছি
তোমায় ভালোবেসেছি।
এম এ মাসুদ রানা
এই যে তুমি চলে যাও
আমার সামনে দিয়ে
আবার ফিরে দ্যাখ
ক্লান্ত ভরা মন নিয়ে।
পশ্চিমে অস্তমিত হলো বেলা
চেষ্টায় ছিল না হেলা,
তুমি কোথাই যে চলে যাও
সুখকে দিয়ে দোলা।
তোমার চোখে দেখা যায়
সীমাহীন ব্যস্ততা,
কাঁধে ঝুলানো থাকে ব্যাগ
অসম্ভব কিছু কথা।
এমন কি কর্ম ব্যস্ততায়
তুমি থাকো সর্বদাই?
কাজের মাঝে ডুবে থেকে
ভাগ্য ফিরাবে তাই।
তুমি ঘুচাতে চাও ব্যর্থতা
মনে প্রবল আশা,
সময় নেই ফিরে তাকানোর
নিজের প্রতি ভরসা।
তোমার ব্যথা ভরা মন
সাফল্য খুঁজে সারাক্ষণ,
কথা ফোটেনা তাই মুখে
হৃদয়ে চলে হরদমে রণ।
তোমার দুঃখের যত কথা
যত বেদনা জমা বুকে,
পার না সুখটুকু চেয়ে নিতে
রয়েছো শুধুই ধুঁকে।
কোথাও রাখো সমদুঃখ মাথা
মিলে যদি শান্তি
নিভে যায় যদি বুকের আগুন
একটু মিলে শীতলতা।
রচনাকালঃ- ২২/০৯/১৯ নোট
এম এ মাসুদ রানা
বাড়ির কাছে উপজেলা শহর
কৃষক কুমার নৌকা বায়
ন্যায়ের শাসনের লয় হলে
পৃথিবীর শোভা দেখা যায়!
আশেপাশে জাহান্নাম জ্বলে
জ্বলছে নরক অবিরাম,
অন্তবিহীন পান্থপথে কর্মফলে
বাতাসে নড়ে অবিরাম।
ভাল-মন্দ, সৎ-অসৎ
কে বা রাখে কার খোঁজ,
নতুন এসে পুরনো পতন
পূর্ণদেহ শূন্যেই হয় ভোজ।
মরণকে স্মরণ করুন
এম এ মাসুদ রানা
যেদিন ফুরিয়ে যাবে জীবনের আশা
সেদিন হারিয়ে যাবে মুখের সব ভাষা।
প্রাণহীন দেহখানি ঘরের রইবে পড়ে,
স্বজনেরা আঁখি জল মুছবে আঁচলে।
গুণগান গায়বে তোমার মরণের পরে
মনে হবে 'দুনিয়াটা ছিলো মায়ায় ভরে।
নিঃশ্বাস থেকে যাবে, কার বিশ্বাস আছে?
কে বলতে পারবে, কে ক'দিন নিজে বাঁচে?
বাদশাহ হও-মেথর হও; ধনী কিংবা গরীব হও
মৃত্যুর জন্য তোমরা সবাই সাদায় প্রস্তুত রও।
দু'দিনের এই মিছে মায়ার খেলা ঘরে;
কীসের এত্তো গর্ব করে রব বলো পরে?
মরণ যখন আসবে দুয়ারে; যেতে হবে ইশারায়
যমদূত শিকার করবে তোমায় তার নিজ ইচ্ছায়।
এম এ মাসুদ রানা
জীবন হিসাবের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে
আজ করছি শেষ ঘুমের অপেক্ষা।
পৃথিবীর চরম বাস্তবতায় স্থীর নিয়তি
অনন্ত জীবনে তরে দিতে হবে যাত্রাপথ।
পালিয়ে বেড়ানোর নেই কোন উপায়
নিঃষ্ঠুর রহস্যময় নিশ্চিত শীতল মৃত্যু থেকে।
নেই কোন প্রস্তুতি, নেই কোন অবকাশ
আকস্মিক নতুনত্বের ঘটবে আগমন।
কামনা-বাসনা, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির সমাপ্তি
সাধ-স্বপ্ন, ইচ্ছা-অনিচ্ছা সবে হবে বিনাশ
নিরুপায় নির্জনতায় বাধ্যগত গহীনে প্রস্থান।
অন্ধকার গন্তব্যে মুছে যাবে ক্ষয়িষ্ণু অতীত
বন্ধ হবে পৃথিবীর সমস্ত মায়া কান্না কোলাহল।
অপ্রতিরোধ্য সময় নিয়ে যায় নির্জন নিরিবিলি
সীমাহীন এক অন্ধকার গোপন কুঠরিতে
যেতে হবে তখুনি জীবনের শেষ ঘুম ঘুমাতে।
এম এ মাসুদ রানা
ধূসর আকাশ-সাদা ঘুড়ি
চলে অদৃশ্য লাটাই দিয়ে
সে অর্থে হয় বেওয়ারিশ
নতুন সাঁজের আনাগোনা।
টবে সাজানো ক'টা চারা
সরল ছন্দিত ছন্দে ভরা
ঝড়ো হাওয়া থমকে আসা
গুল্ম গুলো হয়েছে ছন্ন-ছাড়া।
রক্ত রাঙা রোজ ক্যাকটাস
পরিপাটি সাঁজে গন্ধরাজ,
শিশু-সুলভ চয়নে অর্কিড
সময়ের তরে কাঠগোলাপ।
বেমালুম দর্শকের আগমন
অযথা করে না পায়চারি
জীবিত-মৃত ইন্দ্রের খেলা
নিভৃত করে কেউ আর্তনাদ।
এম এ মাসুদ রানা
হাজরো নিষ্ঠুরতায়
অনুক্ষণ ক্ষত-বিক্ষত করে আমায়;
আমি ঘুমাতে পারি না।
আমার দুটো নিদ্রাতুর আঁখি
ঘুমবিজড়িত হয়ে পড়ে,
মুহূর্তেই বীভৎস স্বপ্ন দেখে চমকে উঠি ;
আমি ঘুমাতে পারি না।
আমিও তো মানুষ
কে বলবে এটা মিথ্যা কথা?
জেগে জেগে কত যে স্বপ্ন দেখি প্রতিদিন;
দেখার পরেই ভেঙে যায়,
ভেঙে যায় আবার শুরু করি।
স্বপ্নের এই ভাঙা-গড়াতেই দিন চলে যায় ;
স্বপ্ন নিয়ে স্বপ্ন দেখে কেটে যায় দিবস রজনী,
আমি ঘুমাতে পারি না।
এম এ মাসুদ রানা
কিছু সুখ লুকিয়ে থাক
কৃষ্ণচূড়ার ডালে,
কিছু ব্যথা বাসা বাঁধুক
হৃদয়ের খালে।
কিছু দুখ হারিয়ে থাক
প্রেয়সীর গায়ে,
তবুও থাকি পরিশেষে
শোকর আদায়ে।
প্রিয়ার ভুবন হয়ে উঠুক
গোলাপের ঝাঁড়
বাগিচায় ফুল ও কাঁটা থাক
সুবাস তো অপার।
হাসনাহেনা, বকুল, বেলি
ফোটাও সমান
সুঘ্রাণে ভরে উঠুক প্রিয়ার
সুখের আসমান।
ফিরে এসো না
এম এ মাসুদ রানা
প্রবঞ্চিত জীবনে কষ্ট দিয়ে যাও
সুখ পাখিটাকে কেড়ে নাও
তুমি আমাকে যন্ত্রণা দিয়ে যদি
অন্য কারো একজন হও।
তোমাকে বলবো না কোনো দিন
ভালবাসো ওগো আমায়
তোমার দেখানো পথ ধরে কোনদিন
খুজবো না গো তোমায়।
তুমি চলে যাও চলে যাও পাখি
দূর নীলিমার নতুন দেশে
বধু বেশে থাক তুমি মহাসুখে
ফিরে এসো না আগের বেশে।
এম এ মাসুদ রানা
কখনো জানতে চেয়েছো, আমি কেমন আছি?
বসন্তের কোকিল কি, এখনো ঘুম ভাঙ্গায়?
নাকি শীতের রিক্ততা আজও আচ্ছাদিত করে
রেখেছেব আমার এই নগর।
তোমার মিথ্যে আশ্বাস ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছো সব,
আমার সেই খবর কি তুমি রাখো?
আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছো নির্দয় ডাকাতের মতো,
আজ গৃহান্তরে গৃহহীন আমি।
আচ্ছা,
তুমি অপলোক দৃষ্টিতে চোখের দিকে চেয়ে বলতে,
স্বপ্নচারিণী,
আমার পৃথিবীর সমস্ত মায়া তোমার দুই নয়নে বন্দি।
তবে তুমি কেন আজ দেখতে পাও না?
কি এক অস্থির স্থিরতা এই দুনয়ন জুড়ে?
তুমি কি বুঝতে পারো না?
এ শহর আজ অন্ধকারে ঢাকা,
অনিশ্চয়তা চারিপাশে।
নাহ্!
তুমি অনেক বদলে গেছো, দীপ্তমান পৃথিবীতে।
তবে হ্যাঁ,
কখনো অন্ধকারে একাকিত্ব অনুভব করতে যেও না।
কারণ,
তখন আমার সমস্ত স্মৃতি চারিপাশ থেকে
তোমায় আকড়ে ধরবে, তোমায় প্রশ্ন করবে।
তুমি উত্তর দিতে পারবে না।
সেদিন জীবন্ত লাশের যন্ত্রনা উপলব্ধি করতে পারবে।
এই যন্ত্রনা খোঁচাতে খোঁচাতে রক্তাক্ত করে দিতে পারে,
তাই তুমি একাকিত্ব অনুভব করতে যেও না,
অনন্তকাল তুমি তোমার দীপ্তমান পৃথিবীতেই
" ভালো থেকো"।
জিয়া মানে
এম এ মাসুদ রানা
জিয়া মানে বাংলার প্রাণ
স্বাধীনতার ঢেউ!
জিয়া মনে উন্নয়নের বানী
দেয়নি অন্য কেউ!
জিয়া মানে ফসলের হাসি
কৃষাণ কৃষাণীর গান,
জিয়া মানে রূপসী বাংলা
গ্রাম বাংলার প্রাণ।
জিয়া মানে আশার আলো
কৃষকের ঘরে বাতি,
জিয়া মানে একটি বাংলাদেশে
আমরা স্বাধীন জাতি।
এম এ মাসুদ রানা
যখন তোমার সাথে কেউ থাকে না
তোমার একাকীত্ব যখন কাটে না
তোমাকে নিয়ে যখন কেউ ভাবে না
তোমার দৃষ্টিতে যখন কেউ আর আসে না
তখনি তুমি তুমি বলে ডাকো
তোমার একাকীত্ব সময়ে আমার সাথে থাকো
তোমার মনের কথা আমায় কখনো বলো নাকো
তোমার সুখের তরে আমায় সাথে নিয়ে রাখো।
বুঝেছি আমি তোমার সব ছলাকলা
সবার কাছে এইসব কথা কখনো যায় না বলা
আসোনা কাছে যখন আমার থাকে শুধু অবেলা
মহানন্দে থাকো যখন হৃদয় হয় আমার ঝালাপালা।
তোমার ইচ্ছায় আসো তুমি
তোমার ইচ্ছামত আবার ছেড়ে চলে যাও
তোমার প্রয়োজনে তুমি আবার ডেকে নাও
তোমার প্রয়োজন শেষে হও আবার উধাও।
তুমি মনে করেছো তোমার ছলনা বুঝি না
সবে বুঝি তাইতো আগের মতো তোমায় খুঁজি না
তুমি পাল্টে গেছো একেবারে শুধু সুখের তাড়নায়
তুমি তোমার মুখে আমাকে একবারও না জানায়।
এম এ মাসুদ রানা
কাশ্মীরে মরে যারা তাঁরও
কারো ভাই বোন স্বজন,
তাদের হাহাকার চিৎকার
শোন যায় গানের মতন।
আমাদের মা বোনও ভাই
আমাদেরই পুত্র, কন্যা,
কাশ্মীরে জমিনে শুধু বহে
মানুষের রক্তের বন্যা!
বির্তকবাদী আর কিছু
তার দাস কুত্তায়!
ওরা মেতে উঠেছেরে
মুসলিম গণহত্যায়!
নাই কি আপনার আমার
ঈমানী কোন শক্তি,
প্রতিবাদ করলে তাহারা
হতে পারে মুক্তি।
রচনাকাল ১৫/০৮/২০১৯
এম এ মাসুদ রানা
তুমি কি সত্যি ভাবো?
আমি তোমাকে বিরক্ত করি
যদি ভেবে থাকো তাহলে বললাম সরি
তোমার বিপরীতেই এখন পথ ধরি।
অহেতুক বিরক্ত করতে আসবো না তোমায়
অজান্তেও বদনাম করবো না আরা কামায়
ভেবো না দুষ্ট ও লম্পট আমায়
আড়াল করার চেষ্টায় আছি আমায়।
তেমন করে তোমায় নিয়ে ভাবি না আর
ফিরে দেখি না তোমাকে আর বার বার,
হৃদয়ে আসে না আগের মতো হাহাকার
করিও না কখনো আর তেমন চিৎকার,
নিজেকে নিজেই দিই শুধু ধিক্কার
তুমি তোমাকে সাজিয়ে নিয়ও চমৎকার।
অবনতি
এম এ মাসুদ রানা
ভূলুণ্ঠিত হয়েছে আজ বাংলার মানবতা
সাম্যের গান ধরে কখনো কখনো যথাতথা
শহীদের রক্তের আল্পনা হলো আবার বৃথা
মৌলিক অধিকার এখন শুধু মুখের কথা।
দেশে রয়েছে অনেক আধুনিক হাসপাতাল,
আধুনিক চিকিৎসকও রয়েছে বিদ্যমান
রয়েছে অনেক অনেক অত্যাধুনি যন্ত্রপাতি
বানানো হয়েছে সবকিছুই বিলাসবহুল।
তফাৎ রয়েছে শুধু ব্যবহারের জায়গায়
সিলিন্ডার আছে ভিতরে অক্সিজেন নাই
শয্যা আছে সঠিক কোন রকম ব্যবহার নাই
বিজ্ঞ চিকিৎসকের, পদোন্নতিও হয় নাই।
স্বাধীনতা অর্জনের পরক্ষণেই বলেছিলো সবে,
অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান, ও শিক্ষা দিবে,
কেন অক্সিজেনের অভাবে হাসপাতাল প্রাণ নিবে?
প্রণের বিনিময়ে মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিবে।
হাসপাতালের বারান্দায় বাবা ফয়সাল কান্না করে
সন্তানের শোকে জননীর কেন তাঁদের অশ্রু ঝরে?
তবুও পাষাণ্ড চিকিৎসকের হৃদয় নাহি নড়ে
সুচিকিৎসার বার্তা নিয়ে চিকিৎসক নাহি দৌঁড়ে।
আমরা জানতাম খোদার পরে বাঁচাই যদি প্রাণ
এক কথায় সবাই বলে দিতো চিকিৎসা বিধান।
চিকিৎসা ক্ষেত্রে শুরু হয়েছে ব্যাপক দর কষাকষি
তারদের মূল্য আমরা না দিতে পারায় হয়েছি দোষী।
চিকিৎসকেরা বাংলাকে করেছে এখন কসাইখানা
তাই যমদূত দিয়েছে সবুজ বাংলায় সরাসরি হানা
রূপসী বাংলা প্রিয়জন হারিয়ে হয়েছে সর্বহারা
ফজলে রাব্বীর স্বপ্নও এইবার হলো তো ছন্নছাড়া।
শামসুজ্জোহা
এম এ মাসুদ রানা
আমি দেখিনি অধ্যাপক শামসুজ্জোহাকে
তবুও তাঁর জন্য প্রাণ মাঝে মাঝে কাঁদে।
তিনি ছিলেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক,
জেনেছি বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাস পড়ে
তাঁর জীবনটা দিয়ে গেছে তাঁর ছাত্রদের তরে।
জানার পরে বুকটা গর্ভে গেলো মোর ভরে
পিছু হটেনি তিনি তাঁর স্বজন বা মৃত্যু ডোরে।
বলেছিলেন তিনি ওরা সকলে আমার সন্তান
তাদের মারতে পারবে না থাকতে এই জান।
স্বাধীনতার ইতিহাস প্রথম বুদ্ধিজীবী করে গণ্য
তাঁর জীবনী পড়ে নিজেও মনে হলো ধন্য।
শামসুজ্জোহা জন্ম নিবেনা কি বাংলায় আবার?
অন্যায় বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে দাঁড়াবে বার বার
কোন ছাত্র মরবে না বাংলায় কারো নির্যাতনে আর।
নিষ্ফল বাসনা
এম এ মাসুদ রানা
আমি জানি, তোমার থেকে জানি,
এখন তোমার নেই কোন কাজ
তাই তো এস এম এস করেছি আজ।
তুমি দাও নাই উত্তর, বলনি তুমি হাই
তাহলে কি আমি বুঝে নিবো আমার মূল্য নাই
আমার সাথে কথা বলতে, তোমার মনে নাহি চাই
বলা, চলা,কথা এসবের কোনোই দাম নাই।
মূল্য চাইবো না, এস এম এসও করবো না,
হুট করে হারিয়ে যাবো কোন এক অজানা পানে
যে পানে আমায় কেহ নাহি চিনে আর জানে।
তখন হয়তোবা, তখন তুমি মোরে খুঁজিবে
মনের মাঝে স্বপ্ন নিয়ে অনেক কিছু বাঁধিবে
তোমার সাধ্য থাকিবেনা যে, গতি পথ রুধিবে
মাঝে মাঝে হাঁসি মাখা মুখে কান্নাও আসিবে।
হীন শাসন
এম এ মাসুদ রানা
দিবাকর আজ হয়েছে
নিদারুণ ক্লান্ত
দর্পে দর্পে চলে সর্বত্র
শাসনে অশান্ত।
ঘরে কিংবা বাইরে
কোথাও নাই শান্তি
খুন ধর্ষণ ও বেবিচার
খেয়েছে সব অশান্তি।
জ্বলছে আগুন হরদমে
শুনি সব খানে
কি যে হবে কি যে করি
বলি যাই জনে জানে।
দুষ্ট লোকে মিষ্টি কথায়
ভরেছে সোনার দেশ,
সৎ মানুষ লেজ গুটিয়ে
ভালোর স্বপ্ন শেষ।
কেউবা আছে টাকার জোরে
বাড়ায় গায়ের গরমে,
জ্ঞানীরা ইজ্জত লুকায়
নষ্ঠ হবে এই শরমে।
ধর্মের বানীর ছড়ায় তারা,
রাখে না মর্মবানী,
মানতে হয় তারা নারাজ,
যতই করে কানাকানি।
ছলনাময়ী
এম এ মাসুদ রানা
দুঃখ দিয়েছো তুমি
কিছু বলিনি
তুমি যে, ছলনাময়ী
আগে জানিনি।
নিঝুম রাতে একাকী হলে
মন ভেঙ্গে যায়
স্মৃতি নামের স্মৃতির পাতা
আমায় কাঁদায়।
স্বপ্ন ভেঙ্গে স্বপ্ন নিয়ে
সুখেই আছে তুমি
আমাকে কষ্ট দিয়ে কি
সুখে রবে এমনি?
১৩/১২/২০২০
আমরা প্রবাসী
এম এ মাসুদ রানা
পরিবার প্রিয়জনের মায়া ছেড়ে
অন্য দেশে করি আমারা বাস,
শরীর দিয়ে ঝরে পরে কতোই ঘাম
তবু বলি মন তুমি একটু হাস।
প্রিয়জন চেয়ে রয় আমার দিকে
জোগাড় করে দেবো কড়ি বেশ,
হাজারো আঘাত সহ্য তবু বলি
আমি খুব ভালো আছি বলে শেষ।
সারাটি বছর ধরে রেখে দিয়েছি
মনে জমা আছে যত বড় দুখ,
এতো ব্যথা যন্ত্রণা মনে নিয়ে
বলি মুখে প্রবাসে অনেক সুখ।
প্রেম
এম এ মাসুদ রানা
সন্ধ্যা নামলো হঠাৎ করে, দিবসকে বিদায় দিয়ে
নিশাচরীর চরাচরের বিচরণের অধিকার নিয়ে।
সূর্যের আলোক রাশিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে
পৃথিবীর অভিনয়, সবে কালো পর্দায় মুড়ে
আজ সন্ধ্যাটা নামে, হঠাৎ করে এসেছে দোরে।
জোছনার বান ডাকে উঁকি দিবে জোনাকিপোকা
দেখবে ভালোবাসার চিহ্ন হয়েছে থোকা থোকা।
মানুষের প্রেমে, ধরে নিও উর্বর ফসলী জমির মতো,
অনাগত শশ্যের মতো, নিষ্পাপ মুখ আসে কত্তো শত।
থেমে যাওয়া সময়ে ঝিঁঝিঁ পোকার হাঁক আর ডাক
চিতা প্রিয় হরিণীর রক্তের গন্ধের ঘ্রাণে চেয়ে থাক
উত্থাল পাথাল জোছনার স্রোতের মতো বেগ রাখ।
তবুও আরো শক্ত, বাঁধনে বাঁধে রাখতে হবে
মানব মানবী বলবে, এই প্রেম অমর হয়ে রবে।
প্রার্থনা
এম এ মাসুদ রানা
আমার মাথায় বড় ঋণের বোঝা
আমায় শুরু করেছে সবাই খোঁজা
বলতে পারি না জোরে কোন কথা
মাঝে মাঝে জীবনকে মনে হয় বৃথা।
আমার দিনে দিনে বাড়ে শুধুই দেনা
সবাই বলে তেমাকে হয়ে গেছে চেনা
তুমি এমন এটাও হয়ে গেলো জানা
লেনাদেনা করতে করবো সবাইকে মানা।
অভাব নিয়েছে নিরবধির রূপ
সুখ হয়েছে আমার কাছে আগন্তুক
দূঃখ বেদনা নিয়ে কাটে যুগ আর যুগ,
আমার জীবনে আসিবে না কি সুখ?
যাচি খোদর কাছে আমি কিছু সুখ
আমার থেকে যাতে মুখ ফিরিয়ে নেই দুখ।
আমার জীবনে আসে যেন অনাবিল সুখ
দেনার তরে মলিন হয় না যেন আমার মুখ।
আসিবে যে, জীবনে শুভ দিন
সেই দিনে থাকে না যেন আমার কোন ঋণ।
-------বুঝিবে তখন ---------
এম এ মাসুদ রানা
তুমি বুঝিবে, তুমি বুঝিবে,
আমি থাকিবো না যখন,
বাতায়নে রাতে দাঁড়িয়ে
আকাশের প্রাণ দেখিবে তখন,
হাজার তারার জলসার মাঝে
আমায় খুজিবে তোমার মন।
বুঝিবে সেইদিন বুঝিবে
চোখের জলে ভাসিবে বুক
শাড়ির আছলে মুছিবে চোখ
পাইবে না কোন জায়গায় সুখ।
আসল নকল চিনিবে
ভালো আর মন্দও জানিবে,
খুঁজিবে সেইদিন খুঁজিবে
নিশি রাতেও আমায় বুঝিবে,
ভেঙ্গে যাবে যখন তোমার ঘুম
দিশেহারা হয়ে খুঁজিবে।
হাতে নেবে আমার লেখা বই
খুঁজিবে আমি আছি কই,
পড়িবে আমার লেখা
বলিবে তুমি ছাড়া কেমনে রই।
তুমি পড়িবে শুধু বইয়ের লেখা
বইয়ে আছে যে, ছবিটা আঁকা,
মনে মনে শুধু বলিবে কবি
আমার কথাগুলো ছিলো বাঁকা।
কবিতা পড়িতে পড়িতে
তোমার নয়নে আসিবে জল,
পাগল হয়ে বলিবে
আমার কবি তুই কথা বল।
পাখি ডাকা ভোরে
বাঁধিবে তোমায় ডোরে,
আমার সমাধীর পাশ থেকে
তুমি যাবে নাহি নড়ে।
নিথর প্রাণে থাকিবে দাঁড়িয়ে
জলভরা দু’টি চোখে
আমায় তুমি বলে ডাকিবে,
আসিবে স্মৃতির কথা মুখে।
স্মৃতিময় স্মৃতি আঘাত করিবে
তোমার মনের ভিতর,
বুঝিবে তখন বুঝিবে
সেই তরে করিবে ধড়-ফড়।
আধুনিক বিয়ে
এম এ মাসুদ রানা
আধুনিকতার নেশায়
কোন তামাশায়!
মুসলমানেরা হরদমে
ঈমান হারায়!
প্রলয়কালের সাথে
তাল মিলিয়ে,
কেমনে মুমিন মুসলমান
করবে বিয়ে।
বিয়ের বাজার হয়েছে
বেজায় গরম,
যৌতুক দিতে নাই কোন
লজ্জা শরম।
দশ বারো লাখ
টাকার কাবিনে,
নগদ বাকির সবে
থাকে জামিনে।
মোহরানা হয় নাকি
নারীর হক?
অনাদায়ে রয়ে যায়
ভেজার থাক।
ওই বিয়েটা হয়
তেমন বকব্রতী,
হলো না বেশি
আর খরচাপাতি।
ঘুষ
এম এ মাসুদ রানা
চল্ চল্ চল্ প্রচুর ঘুষ পাবি চল্
সরকারি চাকরিতে এখন ঘুষ প্রবল
ছলে বা কৌশলে একটি পদ কর দখল
বিসিএস ক্যাডার কিংবা পিয়ান বল।
বর্তমানযুগে মানুষের এটাই গান
ঘুষের সুযোগ ও পেনশন পান
দোষ কি সবাই খায় আপ্নেও খান?
অবৈধ সম্পদ কারা না চান।
ঘরে ঘরে তোলে কেউ সময়ের দাবি
আইন করা হোক ঘুষে, মুখে মুখে রাখি।
ঘুষ হলো উন্নয়নের প্রধান একটা চাবি
বেশি ঘুষ নিলে আবার পুরস্কারো পাবি।
ঘুষ দিলে তুমিও তো ঘুষই পাবি
যা কিছু ক্ষতি করে দিবি শতগুণ নিবি
ঘুষ হয়েছে এখন জাতীয় একটা ছবি
সরকারি চাকুরী তরে তুমিও ঘুষ দিবি।
ঘুষ ছাড়া হয় কি এখন কোন কাম
ঘুষ দিলে তো বেড়ে যাবে তেমার মান
সচিব, আমলা সবাই করবে সম্মান
ঘুষ না দিলে, দিতে হতে পারে জান।
জীবন
এম এ মাসুদ রানা
জীবন সংগ্রামে চলছি একা
নেই কোন সজনীর দেখা,
কি আসে আর বা কি যায়
আয়োজন সবে হবে বৃথা?
তা নিয়ে আর কিছু ভাবি না
জয় না হয় পরাজয়,
হবে তো নিশ্চয়
হব মনে হয় যন্ত্রণায় ক্ষয়।
বারে বারে ফিরে আসে
ঘুরে যায় কি আর?
জীবন চলে কি ভাবনায়
তা নিয়ে আছে কি তার?
রচনাকাল ১৮/১২/২০১৭
চল্ চল্ চল্ প্রচুর ঘুষ পাবি চল্
সরকারি চাকরিতে এখন ঘুষ প্রবল
ছলে বা কৌশলে একটি পদ দখল
বিসিএস ক্যাডার কিংবা পিয়ান বল।
বর্তমানযুগে মানুষের এটাই গান
ঘুষের সুযোগ ও পেনশন পান
দোষ কি সবাই খায় আপ্নেও খান?
অবৈধ সম্পদ কারা না চান।
ঘরে ঘরে তোলে কেউ সময়ের দাবি
আইন করা হোক ঘুষে, মুখে মুখে রাখি।
ঘুষ হলো উন্নয়নের প্রধান একটা চাবি
বেশি ঘুষ নিলে আবার পুরস্কারো পাবি।
ঘুষ দিলে তুমিও তো ঘুষই পাবি
যা কিছু ক্ষতি করে দিবি শতগুণ নিবি
ঘুষ হয়েছে এখন জাতীয় একটা ছবি
সরকারি চাকুরী তরে তুমিও ঘুষ দিবি।
ঘুষ ছাড়া হয় কি এখন কোন কাম
ঘুষ দিলে তো বেড়ে যাবে তেমার মান
সচিব, আমলা সবাই করবে সম্মান
ঘুষ না দিলে, দিতে হতে পারে জান।
ঈদের ছড়া
এম এ মাসুদ রানা
প্রতি বছর রমজান মাসে,
রোজা শেষে ঈদ আসে।
এসেছে ঈদ বছর ঘুরে
ঈদের আনন্দ সবার তরে।
ঈদগাতে আলোর বাহার,
আজকে ঈদে আনন্দ সবার।
নতুন পোশাক পরে সবে,
সন্ধ্যা আকাশে চাঁদ উঠবে।
ঈদের খুশি চলবে ভুবন ময়,
কররো মোরা বিশ্বজয়।
হিংসা ঘৃণা নয়কো করি ভাই,
আনন্দে উপভোগ করি সবাই।
ঈদ মোবারক বলি সবাই
হিংসা বিদ্বেষ মনে নাই ।
ঈদগাতে নমাজ পড়ে,
খুশির জোয়ার সবার তরে।
খুশির রঙে মাতবে ত্রিভুবন
ঈদ আনন্দে থাকে সবার মন।
আজকে খুশির ঈদের দিনে,
নাহি কেহ ঈদের আনন্দ বিনে।
বন্দি দাস
এম এ মাসুদ রানা
একাত্তরে আমারা আজাদ হলেও
এখনো আমজনতার বন্দি দাস,
নিরবে সয়েতে হচ্ছে জনতাকে
পাগলা কুকুরের হিংস্র ত্রাস!
বাংলায় মুক্তি লড়াই চলুক আবার
সাগরে বুকে উঠুক ঢেউ!
বঙ্গ জাতির মুক্তির ফের আসুক
সিপাহশালায় নতুন কেউ!
শহীদ জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা
শেখ মুজিবের অগ্নিবানীর সুর!
বাংলায় কালো রাতের হোক অবসান
আসুক আবার নতুন ভোর!
. মধ্য নিশি
এম এ মাসুদ রানা
একা একা আগুনে জ্বলতে জ্বলতে,
আমি একদিন অগ্নি শিখাকেও,
হাড় মানিয়ে নিশ্চয়ই হবো জয়ী।
ঐ সুদূর গগনে আছে যে একটি চাঁদ
কলঙ্কিত করে রেখে সেটাকেও আজ,
সুন্দর বসবাস ঘটবে এটাই তো কাজ।
অন্ধকারকে জয় করে নিশান উড়িয়ে
আমব্যসার ঘোর যাবে একেবারে ফুরিয়ে,
উদ্বীপ্ত আলোক ছটায় মনকে জুড়িয়ে।
অবহেলিত অনাকাঙ্ক্ষিত কলঙ্কিত বেশে,
চাঁদের আলো নিয়ে পরে থাকে ধুলির মাঝে
পৃথিবী আলোকিত করবে আছে যে কাজে।
আর তখনি দিপ্তমান একা একা জ্বলতে থাকা,
প্রজ্বলিত অগ্নি শিখাও জয়ের ধ্বনি দিবে।